Marriage_With_Benefits Part-02

0
8415

#Marriage_With_Benefits
#Part_2
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
.
.
কি হলো তেলাপোকা দেখেছো নাকি?(আভি দৌড়ে ওয়াশরুমে এসে)

আমি ওয়াশরুমের দরজা লাগাই নি তাই উনি সরাসরি ভিতরে ঢুকে পড়েছে।অবশ্য এমন তো হবারই কথা আমি যেই জোরে চিৎকার করেছি।কোনো মানুষেরই মাথা ঠিক থাকার কথা না।

কি হলো বলো?এইভাবে ষাড়এর মতো চিৎকার দিয়ে উঠছো কেনো?(আভি)

আমি আয়না থেকে নিজের মুখ সরিয়ে উনার দিকে ফিরলাম।

আমি কান্না কান্না ভাব নিয়ে বললাম
আয়নাতে আমাকে খুব বিভৎস লাগছে।আপনার আয়না পাল্টান তো নয়তো একদিন এই আয়না দেখে আপনার হার্ট অ্যাটাক হবে।

অনেকটা ভাব নিয়ে উনি বললো
আমার আয়না খারাপ না।নিজের চেহারা খারাপ।নিজেই নিজের চেহারা দেখে ভয় পায়।কি অদ্ভুত তুমি?
বলেই আভি চলে গেলো।

উনি চলে যাওয়ার পর আমি আবার আয়নাতে নিজের চেহারা দেখলাম
আমাকে উনি কেনো পেত্নী বলছে তা এখন আমার কাছে পানির মতো পরিস্কার হয়ে গেছে। কারণ যেই মেকআপ আমি পার্লার থেকে করেছিলাম তা সব নষ্ট হয়ে গেছে।এখন আমার চেহারা দেখে যে কেউই বলবে আমি পেত্নীর খালাতো বোন।তাই তো নিজের চেহারাটা নিজেই দেখে এমন চিৎকার করে উঠলাম।ওই খচ্চরটার জন্য আজ আমার দুই হাজার টাকায় করা মেকআপ সব নষ্ট হয়ে গেছে।কতো কষ্ট করে আমি টাকাগুলো জমিয়েছি। বাচ্চাকাচ্চাদের প্রাইভেট পরিয়ে আমি টাকা গুলো জমিয়েছিলাম।আর উনি সব নষ্ট করে দিলো। কিডন্যাপ করে আনার আর সময় পেলো না।একদম ঠিক বিয়ের দিন।রাখ আজ বেটা খচ্চর তোকে দেখাচ্ছি মজা।আস্থা যে কি আস্থাহীন মেয়ে টা তুই হারে হারে টের পাবি।আমি মুখ ভালো করে ধুয়ে নিলাম।সাবান দিয়ে ঘষে মেজে ময়দা সুন্দরী থেকে আস্থা সুন্দরী হলাম।

ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি ওই খচ্চর লোকটা ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করছে।
হায় এতো ধ্যান দিয়ে কাজ করছে।কি হ্যান্ডসাম লাগছিলে উনাকে!!।আমি তো উনার এই সিরিয়াস ফেস দেখেই মোমের মতো গলে যাচ্ছি।ছেলে মানুষ এতো সুন্দর কি করে হয়!রাগী মুখটাতে মায়াবী চোখ কি সুন্দর ভাবে মানিয়েছে।সিল্কি চুল গুলো ঠিক করে রাখা হয়েছে কিন্তু তবুও কিছু চুল অবাধ্য হয়ে কপালে এসে পড়ছে।মন চাইলে ফু দিয়ে কপালের চুলগুলোকে সরিয়ে দেয়। হোয়াইট শার্টের উপর ব্ল্যাক কোর্ট পড়া।মনে হচ্ছে ব্ল্যাক যেনো উনার রূপের সুন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।উনার এই রূপ দেখলে যে।কেউই নিজের নিয়ত বিগড়িয়ে নিতে চাইবে।আমারও মন চাচ্ছে।

উনার রূপের প্রশংসা করতে করতে হটাৎ মনে পড়লো।এই লোকটার পরনেও কালো।করেও এই লোক কালো কাজ।কি সুন্দর আজ আশা করে ছিলাম!!বিয়েতে যাবো,,মজা করবো,, গেট ধরে টাকা নিবো।যেই দুই হাজার টাকা দিয়ে সেজেছি সেই টাকা অশুল করবো।কিন্তু এই লোকটা আমার সব প্ল্যানে কেরোসিন তেল দিয়ে তার মধ্যে বোম ফিট করে সব আশা উড়িরে দিলো।কতো খারাপ উনি।আস্থা উনার হ্যান্ডসাম চেহারা দেখে গলে যাবি না।উনাকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।কিন্তু উনার চেহারার দিকে তাকালেই আমার রাগ ফুস।আমি উনার চেহারা দেখে হাবুডুবু খাচ্ছি তখনই উনি বলে উঠলো….

দেখা হয়েছে?(আভি লেপটপ টিপতে টিপতে)

উনার এই কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে যে পৃথিবীতে একমাত্র উনিই হ্যান্ডসাম!!খচ্চর বেটা।আমিও উনাকে পাল্টা জবাব দিলাম….
নাহ। হয় নি।আপনার ঘাড়ে বসে সারাজীবন আপনাকে দেখার শখ হয়েছে!(আমি ভাব নিয়ে সোফায় বসতে বসতে)

কিহ!(আভি লেপটপে কাজ বন্ধ করে আমার দিকে রক্তবর্ণ চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে)

কিহ!কি?চিন্তা কইরেন না।আমার কোনো শখ নাই। সাপের লেজে ইচ্ছা করে পারা দিয়ে তার ছোবল খাই।(আমি মুখ ভেঙিয়ে)

কি আমি সাপ?(আভি রাগে গজগজ করতে করতে)

আমারও উনার রাগ দেখে খুব আনন্দ লাগছে।এইকেই বলে মৌমাছি পিছনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া।আমিও উনাকে রাগাতে শুরু করলাম।

নাহ।আপনি সাপ না।আপনি কোবরা।(আমি হাত দিয়ে সাপের মতো ইশারা করে)

এইটা দেখে উনি সত্যি সত্যি সাপের মতো রাগে ফুস ফুস করতে লাগলো।উনার অবস্থা দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে।কিন্তু এখন সিরিয়াস ঝগড়া চলছে।হাসলে চলবে না।তাই মুখ চেপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করছি।

তোমার বয়ফ্রেন্ডকে একবার আসতে দাও।তারপর দেখো আমি তোমার কি হাল করি!(আভি)

আমি মুখ ভেংচি দিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।উনিও রাগ দেখিয়ে আবার ল্যাপটপে কাজ করতে শুরু করলো।

কিছুক্ষণ পর
এইযে মি: কোবরা।(আমি)

তুমি আমাকে এইটা বলা বন্ধ করবে?(আভি রাগে)

আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে।আমি কাল রাত থেকে কিছুই খাইনি।(আমি কিউট ফেস করে)

কেনো খাও নি?(আভি)

উনার প্রশ্ন শুনে আমার কি করতে মন চাচ্ছে আমি টা নিজেও বুঝতে পারছি না। মানে কেনো খাইনি তা উনার কেন জানা দরকার?সব কিছুর কৈফিয়ত কি এখন উনাকে দিতে হবে আমার??(আমি মনে মনে)

কালকে আমার বয়ফ্রেন্ডএর গার্লফ্রেন্ড মরে গেছিলো তাই গলা দিয়ে খাবার নামে নি।এখন দয়া করে করে কিছু খাবার এনে দিতেন বরই উপকৃত হতাম।(আমি দাঁত চেপে চেপে কথা গুলো বললাম)

উনি বাহিরে থেকে একটা লোককে ডেকে পাঠালো।দেখে মনে হলো লোকটা কেয়ারটেকার।

জ্বি স্যার।(কেয়ারটেকার)

ওর জন্য কিছু খাবারে ব্যাবস্থা করো!
বলেই আবার লেপটপে মনোযোগ দিলো।

ম্যাম আপনি কে খাবেন?(কেয়ার টেকার)

আমি তো এতো সম্মান পেয়ে শিহরিত হয়ে গেলাম। ম্যাম!বাহ!
আমি মনে মনে

ম্যাম।বলুন কি খাবেন?(কেয়ার টেকার আবার আমাকে প্রশ্ন করলেন)

আমার জন্য দুই প্লেট বিরিয়ানী,,চারটা রোস্ট,,এক লিটার কোকাকোলা,,দুই বাটি মুরগির মাংস ভুনা।গরুতে আমার অ্যালার্জি।আর হ্যা সাথে আইস ক্রিম আর দই আনবেন।

একদমে সব গুলো বলে ফেললাম।তারপর তাকিয়ে দেখি কেয়ারটেকার আর কোবরা দুইজনেই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

কি হলো? যান গিয়ে নিয়ে আসুন প্লিজ।আমার ক্ষুদা লেগেছে।(আমি বিরক্ত হয়ে)

হ্যা,,, জ্বি জ্বি ম্যাম। এক্ষুনি আনছি!
বলেই লোকটা বেড়িয়ে গেলো।

লোকটা যাওয়ার পর আমি আভির দিকে তাকালাম উনি তখনও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তাই আমি বললাম
কি হলো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তুমি এতো গুলো খাবার খাবে?(আভি অবাক হয়ে)

হ্যা। খাবো তো?(আমি ভাবেলেশ ভাবে)

তোমার মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় নেই?(আভি)

হলে আমি হবো তাতে কি?(আমি)

নাহ। মেয়েরা তো নিজের ফিগার আর ডায়েট নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে!

আমার কাজে পেট ভরে খাওয়া মানেই ডায়েট।আর ফিগার ফুগার নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই।(আমি চিন্তাহীন ভাবে সোফায় হেলান দিয়ে বসলাম)

এই মেয়ের সাথে তর্ক তে যাওয়াই ভুল।(আভি মনে মনে)

আভি লেপটপে কাজ করছে তখনই লোকটা খাবার নিয়ে আসলো।আমার সামনে বিভিন্ন খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে।আহা!খাবার দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। ঝাঁপিয়ে পড়লাম খাবারের টেবিলে।

আভি আমার খাবার দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আমি উনার তাকিয়ে থাকা দেখে বললাম
কি হলো? কোনো দিন খাবার খাচ্ছে এমন মেয়ে দেখেননি।এই ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?আমার পেট খারাপ হয়ে যাবে?

এই মেয়ের সাথে কথা বলাই পাপ।
আভি আবার লেপটপে মনোযোগ দিলো।

আমি মনোযোগ দিয়ে খাবার গুলো খেয়ে নিলাম।সব গুলো খাবার এতো মজার ছিলো যে একদম পেট আর মন দুটো ভরেই খেয়েছি।খাবার গুলো খেয়েই প্রাপ্তির ঢেকুর দিয়ে উঠলাম। কেয়ারটেকারটা আমার খাবারের প্লেট গুলো নিতে এসেছে।উনি হয়ত অনেক অবাক হয়ে গেছেন কারণ এতো খাবার খেতে উনি কখনও কাউকে দেখেনি।কিন্তু আমি কি করবো আমার খুব ক্ষুদা লেগেছিলো।তাই খাবার গুলো সব খেয়ে নিলাম। অবশ্য উনাদের রেএকশন দেখে আমার হেব্বি মজা লাগছে। মন চাইছে গলা ফাটিয়ে হাসি।বিশেষ করে মি: কোবরার।উনি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো

অসহ্য(আভি বিরক্ত হয়ে)

আমার উনার কথা হজম হলো না।তাই আমিও পাল্টা জবাব দিতে বললাম
এতো যখন সমস্যা আমাকে নিয়ে।তাহলে কিডন্যাপ করে এনেছেন কেনো আমাকে?আমি কি বলছিলাম?

তোমার কৃতকর্মের কারণে।তুমি যে খুব ভালো মানুষ তাই তোমার খাতির করার জন্য এনেছি!(আভি দাঁত চেপে চেপে)

বাহ!বাহ!বাহ!এখন যেহেতু এনেছেন আমার সব কিছু সহ্য করতে হবে।আর আপনি কিন্তু বলেছিলেন আপনি আমার কিছু করবেন না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার ওই কাল্পনিক বয়ফ্রেন্ড আসছে।(আমি ভাব নিয়ে)

এই জন্যই তুমি আমার সামনে এতক্ষন পর্যন্ত টিকে আছো।কারণ আমি আমার কথার খেলাপ করি না।নাহলে তোমাকে আমি নর্দমায় চুবাতাম।(আভি)

আমি আপনার চোখে এতো জঘন্য যে আমাকে নর্দমায় চুবাতে চান?(আমি চোখ বড় বড় করে)

হ্যা।যে মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলা করে,,যে এত বাজে কাজ করতে পারে সে আমার চোখে জঘন্য।(আভি চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে আমাকে ভাব দেখিয়ে কথা গুলো বললো)

আমি আপনাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি আমি কিছুই করি নি।আপনি কেনো আমার কথা বুঝতে চাইছেন না?আমার কথা কেনো মানছেন না?(আমি রাগে চিৎকার করে সোফা থেকে দাঁড়িয়ে কথা গুলো বললাম)

উনি চেয়ার থেকে উঠে আমার সামনে এগিয়ে আসতে লাগলো।আমি ঠিক সেইখানেই দাড়িয়ে আছি।আমি ভয় পেয়ে পেছানো মেয়ে না।আর এখানে তো ভয় পাওয়ার কোনো কথাই না।কারণ আমি কিছুই করি নি।আমি নির্দোষ।আর যখন আমার কোনো দোষ নেই তখন কেউ আমার উপর আঙ্গুল তুলে কথা বলবে তা আমি কিছুতেই মানবো না।আর সে যদি হয় এই মি:কোবরা তাহলে তো কখনই না।

উনি আমার সামনে এসে দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে আমার দিকে ঝুঁকে বললো
আমার উপর চিৎকার করা আমি একদম পছন্দ করি না।একবার ভুল করেছো ঠিক আছে দ্বিতীয় বার এই ভুল ভুলেও করতে যাবে না।আর করলেও ক্ষমা চাওয়ার জন্য তুমি আস্ত থাকবে না।আভি চৌধূরীর উপর কেউ চিৎকার করা তো দূরের কথা তার উপর কেউ চোখ তুলে তাকাতেও পারে না।সেই সাহস আমি কাউকে দেই নি।

বলেই উনি পিছনে ফিরে হাঁটতে শুরু করলো।আমাকে এতো গুলো কথা শুনাবে আর আমি ছেড়ে দিবো এতো ভালো মানুষ আমি আস্থা না।আমাকে যেহেতু উনি ইট মেরেছে তাই আমিও উনাকে পাটকেল না মেরে শান্ত হচ্ছি না।তাই আমিও দৌড় দিলাম উনার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।যেহেতু উনি আমার থেকে যথেষ্ট লম্বা তাই উনার দিকে মাথা উঁচু করে উনার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলতে শুরু করলাম

আপনি কি? বা আপনি কে? তা নিয়ে আমার বিন্দু মাত্র মাথা ব্যাথা নেই।আপনি যেমন আপনার উপর চিৎকার করা পছন্দ না তেমনি আমাকে কেউ কিডন্যাপ করুক এইটা আমারও পছন্দ না।আর মেয়ে দের সম্মান নিয়ে কি যেনো বলছিলেন? ও হ্যা,,যে মেয়েদের সম্মান করতে জানে না সে আপনার কাছে জঘন্য।তাহলে আপনি কি? হা?আপনিও তো মেয়ে দের সম্মান করতে জানেন না।যদি জানতেন তাহলে এক অপরিচিত মেয়েকে এইভাবে তুলে নিয়ে আসতেন না।আর হ্যা হতে পারে আমি আপনার মতো পাওয়ারফুল বা বড়োলোক না।কিন্তু আমার উপর কেউ চিৎকার করলে আমিও তা সহ্য করবো না।একবার এই ভুল করেছেন দ্বিতীয় বার যাতে এই ভুল ভুলেও করতে যাবেন না। আমি নাহয় ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবো না।কিন্তু আমি আপনাকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটাই দিবো না।
বলেই উনার সামনে থেকে সোফায় এসে বসলাম।

উনার শরীর রাগে থরথর করে কাপছে।যা আমি দেখেই বুঝতে পারছি।কিন্তু এতে আমার কোনো ভয় নি।কারণ আমি যা বলছি একটাও ভুল বলিনি।যার যেই ঔষুধ তাকে সেই ঔষুধ দিয়েছি আমি।

উনার রাগ দেখে কেয়ারটেকার বললো
স্যার।আপনি প্লিজ শান্ত হোন।উনি বাচ্চা মেয়ে।কি বলতে কি বলে ফেলেছে!

আমি আপনাকে কিছু বলতে বলেছি?(আভি রক্ত চক্ষু দিয়ে কেয়ারটেকার এর দিকে তাকিয়ে)

সরি স্যার।(কেয়ার টেকার নিচের দিকে তাকিয়ে)

গেট আউট।(চিৎকার করে আভি)

কেয়ার টেকার কিছু না বলে প্লেট গুলো নিয়ে চলে গেল।

একজন মধ্যবয়স্ক মানুষের উপর নিজের রাগ ফেলছে।কি অসভ্য লোক।(আমি মনে মনে)

উনিও আর তর্ক বাড়াননি।হয়তো বুঝে গেছে আমার কথায় যুক্তি আছে।তাই আর কথা বাড়ালো না।আবার এইটাও হতে পারে সব গুলো রাগ জমিয়ে রেখেছে সুযোগ পেলে ইচ্ছা মত দিবেন।কিন্তু আমি সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

প্রায় দুপুর তিনটার দিকে আমি লেপটপে কার্টুন দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।এক জায়গায় বসে থাকা যেই আমার পক্ষে অসম্ভব আর সেই আমি আস্থা সেই দুপুর বারোটা থেকে এখানে বসে আছি। নড়াচড়ার অনুমতিও পাচ্ছি না।ওই খচ্চর কোবরার জন্য।খুব বিরক্ত লাগছে।আর সাথে অনেক কাহিলও লাগছে।এতো দিন বিয়ের ব্যাস্ততায় একটু রেস্টও নিতে পারি নি।তারপর আজকে এক ধস্তাধস্তি।সব মিলিয়ে যেনো আমার শরীর ছেড়ে দিয়েছে।এক পর্যায় আমি সোফাতেই ঘুমিয়ে পড়লাম।

আভি অনেকক্ষন ল্যাপটপে কাজ করছিলো।এই দিকে আস্থা ঘুমিয়ে পানি হয়ে গেছে। খেয়ালই ছিলো না ওর।হটাৎ মনে হলো কেবিনটা অনেক শান্তি লাগছে।তাকিয়ে দেখে অশান্তির নানী আস্থা ঘুমিয়ে আছে সোফায়।

যাক বাবা।এই পেঁচাল ঘুমালো।কি অবাধ্য মেয়ে!!একে কি করে সামলায় এর পরিবার।কোনো ডর ভয় কিছুই নেই এই মেয়ের মধ্যে।পুরোপুরি অদ্ভুত মেয়ে। ও কি সত্যি বলছে যে ও এই সবের মধ্যে নেই।যাই হোক এর পিছনে যে আছে সে বেরিয়ে আসবেই।তখন দেখা যাবে এই মেয়ের বড়ো বড়ো কথা গুলো কোথায় যায়।


চলবে…..