Marriage_With_Benefits Part-3+4

0
7559

#Marriage_With_Benefits
#Part_3
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
.
.
প্রায় আটটা হতে চললো।আমি কাজ শেষ করেই তাকিয়ে দেখি মেয়েটা কাচুমাচু হয়ে ঘুমাচ্ছে।হয়তো এসির ঠান্ডা হাওয়াতে ওর শীত লাগছে।তাই আমি কেয়ার টেকার কে ডাকলাম।

জ্বি।স্যার।

ওর উপর একটা পাতলা চাদর মুরে দাও তো?

জ্বি।স্যার।
বলেই উনি আস্থার গায়ে একটা চাদর মুরে দিলো।আস্থা চাদর নিয়ে কাচুমাচু হয়ে ঘুমাচ্ছে।মনে হচ্ছে ও অনেক ক্লান্ত।অনেক দিন পরে একটু শান্তির ঘুম দিচ্ছে।চেহারাতে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
আমি এইসব ভাবছিলাম।তখনই কেয়ার টেকার এর ডাকে ধান ভাঙলো।

স্যার।আর কিছু?

নাহ।তুমি এখন আসতে পারো।(আমি মেয়েটার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে)

আমি মেয়েটাকে গভীর ভাবে পর্যেক্ষণ করতে লাগলাম।এই ঘুমন্ত পেঁচালকে দেখলে কেউই বলবে না যে এইটা এতো আস্ত একটা ধানী লংকা।আসলে এই মেয়েটা অনেক কিউট গুলুমুলু চেহারা।অনেক মায়া আছে মুখখানা তে।মেকআপ করার পর পেত্নী লেগেছিলো ঠিকই কিন্তু মেকআপ তুলে ফেলার পর অনেক অনেক সুন্দর লাগছে। মেয়েরা যে কেনো মেকআপ করে বুঝি না??।আর এই মেয়েকে দেখো আমাকে এই ঘণ্টা খানিকের মধ্যে অর্ধেক পাগল বানিয়ে কি শান্তির ঘুম দিচ্ছে।যেনো উনার মত নিষ্পাপ কেউই না।এমনকি সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চাও এর থেকে কম নিষ্পাপ।এর নিষ্পাপ চেহারা দেখলে কতো ভালো লাগে আর যখন জেগে থাকা ওর কান্ড কারখানা মাথায় আসে তখন মন চায় ইচ্ছা মত গাল দুটো লাল করে দেই থাপ্পড় মেরে।যার কপালে এই মেয়ে আছে তার দুর্গতির উপর খুব আফসোস হচ্ছে।কিন্তু আমাকে জালিয়ে নিজে শান্তি করে ঘুমাবে আর আমি তোমাকে ঘুমাতে দেবো এত ভালো মানুষ তো আমি আভি না।
বলেই দুষ্টু হাসি দিলো।

পরেই আস্থার কাছে গিয়ে ওর গুলুমুলু গাল টেনে দিলো।আস্থা ব্যাথা পেয়ে ভ্রু কুঁচকে আবার চুপ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।

হিহি।এর গাল গুলো কি নরম! অবশ্য হবে না যেই রাক্ষুসীর মতো খায়।দেখতে পাটের কাঠি আর ফু দিলেই উরে যাবে হলেও পেট হচ্ছে এর মুরুভূমির চোরা বালি।যা দিবে তাই ভিতরে চলে যাবে।আমাকে মি: কোবরা বলে..নিজে যে ধানী লংকা,,রাক্ষুসী,,পেটুক আর কত কি? তা উনার চোখে পড়ে না।
বলেই আবার আভি আস্থার গালে চিমটি কাটল।

আস্থা ঘুমের মধ্যে আভির হাতে থাপ্পড় মেরে বললো
কেউ কোয়েল জ্বালিয়ে দাও। বদজ্জাত মশা আমাকে কামড় দিচ্ছে।
বলেই আমার ঘুমিয়ে গেলো।

আমাকে বদজ্জাত মশা বলা।তারপর আবার থাপ্পড় মারা। আমি কামড় দিবো না আমি তোর তো আজ আমি গলা টিপে ধরবো।বললেই গলা টিপে ধরতে যাবো তখনই কেউ একজন ধরফরিয়ে আমার কেবিনে ঢুকলো ।তাকিয়ে দেখি আন্টি মানে নিহালের মা।উনি হয়ত ওই মেয়েকে ধরতে আসছে যে উনার মেয়ের ছবি বানিয়ে ব্ল্যাক মেইল করছে।

কোথায়?কোথায় ওই অসভ্য মেয়েটা?আমার মেয়ের বাজে ছবি বানিয়ে ওকে ব্লাক মেইল করা।আজ দেখাচ্ছি।ওই মেয়েকে তো পুলিশে দিবো আমি।কোথায়?কোথায় ও?(নিহালের মা)

আন্টি শান্ত হোন।(আভি নিহালের মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে)

কি করে শান্ত হবো বাবা?কোনো মার পক্ষে কি উনার মেয়ের এমন বিপদ দেখলে শান্ত থাকা সম্ভব!এখন তো তুমি ছিলে বলে ওই মেয়ের খোঁজ নিতে পেরেছি আমরা না হলে নিহা তো আত্মহত্যা করতে যেতো।আর এইসব কিছু দেখে কি করে আমি শান্ত হই বলো!(নিহালের মা কান্না করতে করতে)

আন্টি আমি জানি।আপনারা যেই পরিস্থিতির দিয়ে যাচ্ছেন সেই পরিস্থিতিতে কারোর মাথাই ঠিক থাকে না।কিন্তু মাথা গরম করে কাজ করলে তো কাজ ঠিক হওয়ার বদলে আরো বিগরে যাবে।আমি বলছি তো যেই এই জঘন্য কাজ করেছে আমি ওকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিবো। আমি তা অবশ্যই করবো একটু বিশ্বাস রাখুন আমার উপর(আভি নিহালের মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে)

বিশ্বাস আছে বলেই তো তোমার কাজ থেকে সাহায্য চাইছি।(নিহালের মা)

এইদিকে এতো চিৎকার চেঁচামেচিতে আমার শান্তির ঘুম হাওয়া হয়ে গেলো। মানে ভাবা যায় একটা মানুষকে এই লোকগুলো শান্তিতে ঘুমাতে দিবে না।এতো খারাপ মানুষ কি করে হয়?আমি মোচরা মুচরি করতে করতে ঘুম থেকে উঠলাম।উঠে দেখি একটা মহিলা রেগে বোম হয়ে আছে।আগুন ধরিয়ে দিলেই ভুম করে ফেটে যাবে।কিন্তু উনার রাগের কারণ কি আমি তাই ভাবতে পারছি না।তাই কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।
কি হয়েছে উনি এতো চিৎকার করছে কেনো?

সব তোমার জন্য হয়েছে।এখন জিজ্ঞেস করেছো কি হয়েছে?(আভি রাগ দেখিয়ে)

আমি আবার উনার কি ক্ষতি করলাম?(আমি অবাক হয়ে)

ওই সেই মেয়ে?(মহিলাটা আমার দিকে আঙুল তুলে চিৎকার দিয়ে)

আমি কোন মেয়ে?(আমি দিশে হারা হয়ে)

উনি নিহালের মা।আর উনার মেয়ে নিহা।যার বাজে ছবি বানানো হয়েছে!(আভি)

আমি এতো ক্ষন উনার রাগের কারণ খুঁজে পেলাম।আসলে কোনো মা সহ্য করতে পারে না তার সন্তানের বিপদ উনিও পারেন নি।কিন্তু উনি আমার উপর অযথা রাগ করছে।আমি সত্যি কিছু করি নি।আমার কথা কেউই মানছে না।আমি একজন মেয়ে হয়ে কি করে আরেকজন মেয়ের ক্ষতি করতে পারি।আমি খারাপ হতে পারি কিন্তু এতটাও খারাপ না যে কারো সম্মান নিয়ে খেলবো।

কেনো করেছো তুমি এইসব?(নিহালের মা)

বিশ্বাস করুন আন্টি।আমি এইসব কিছুই করিনি!আমি সত্যি অনেক কষ্ট পেয়েছি এইসব জানতে পেরে।কিন্তু এইসবের আগে পিছে আমি নেই আন্টি।(আমি)

তুমি মিথ্যা কথা বলছো।তুমি এইসব করো নি তো কে করেছে?(নিহালের মা)

আমি জানি না।(আমি)

প্লিজ আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি।তুমি আমার মেয়ের জীবনকে এইভাবে নষ্ট করো না।আমি একজন মা হয়ে তোমার কাছে ভিক্ষা চাইছি।একজন মেয়ের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে তার সন্মান আর সেই সম্মান নিয়ে খেলা হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য তম কাজ।(নিহালের মা হাত জোর করে কাদতে কাদতে কথা গুলো বললো)

আন্টি বিশ্বাস করেন।আমি এইসব কিছুই করিনি।আমি নিজেও একটা মেয়ে।একজন মেয়ে হয়ে কি করে অন্য একটা মেয়ের জীবন নিয়ে এইভাবে ছিনি মিনি খেলবো আপনিই বলুন।(আমি)

তাহলে বলো কে করেছে?(আভি)

আমি জানি না(আমি বিরক্ত হয়ে)

তাহলে কে জানে?(আভি)

আভি এ জানে,,,
আমরা নিহালের কথা শুনেই ওর দিকে তাকাতেই দেখি।চারজন ব্ল্যাক সুট পড়া লোক…দেখে মনে হয় বডিগার্ড..উনারা দুইজনকে ধরে দাড়িয়ে আছে।আর ওদের সামনেই দাড়িয়ে আছে নিহাল।

এরা কে নিহাল?(আভি)

ওদের মুখেই বলুক।এই বল তোরা কে?
বলেই নিহাল ওদের একজনের মুখ উঁচু করলো।আর ওই লোকের চেহারা দেখেই আমার উপর সাত আসমান ভেঙ্গে পড়লো।আর সাথে সাথে আমার মুখ দেখে বেরিয়ে আসলো
ভাইয়া,,!তুমি?

আমার মুখ থেকে ভাইয়া ডাক শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো।সবার উপর যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।আর তার চেয়ে বেশী আমি অবাক কারণ ভাইয়া এখানে কি করে? উনিই কি এই সবের পিছনে?
আমার এই সব কথা ভাবতেই আভি আমাকে তাচ্ছিল্য করে বললো

ও তাহলে গার্লফ্রেন্ড আর বয়ফ্রেন্ড না ভাই আর বোন মিলে এই জঘন্য কাজ করছো? অবশ্য তোমার কাছ থেকে আর কি আশা করা যায়!তুমি যেমন তোমার ভাইও তো তেমনই হবে।(আভি আমাকে ছোটো করে কথা গুলো বললো)

আমি উনার কথা গুলো শুনে অনেক অবাক হলাম।এই লোকটা আমার কোনো কথাই শুনে না।না শুনে সব সময় আমাকে দোষী বানিয়ে দেয়।একবার আমাকে জিজ্ঞেস ও করলো আমি ওকে কেনো ভাই বলছি?আর আমাকে কথা শুনানোর একটা সুযোগ উনি হাত ছাড়া করতে চান না।(আমি উনার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছি)

কি হলো?এতক্ষন তো মুখে খই ফুটেছিলো।এখন কোনো কথা বের হচ্ছে না।নাকি কোনো কিছু বলার নাই। অবশ্য বলার থাকবে কি করে?সব কিছু এখন আমার জানা হয়ে গেছে।এখন বলো তোমাদের ভাই বোনকে আমি কি শাস্তি দিবো?(আভি আমার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো)

আমি উনার কথা শুনে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে ফেললাম।সব কথার মতো উনার এই কথাও আমার সহ্য হলো না।আর তার জন্যই উনাকে উদ্দেশ্য করে বললাম

ওই ব্যাটা!অনেক হইছে।আর না।একে তো আমার কথা শুনেন না। দ্বিতীয় তো আমাকে কথা শুনান।ওকে আমি ভাই বলছি ঠিকই কিন্তু ও আমার আপন ভাই না।আজ যার বিয়ে থেকে আমাকে তুলে এনেছেন উনি তার ভাই।আমার দূরসম্পর্কের কাজিন।আর উনার করার কুকর্মের জন্যে আপনি আমাকে কেনো কথা শোনাচ্ছেন?(আমি রাগে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে)

ও তোমার কাজিন ভাই হোক আর আপন ভাই হোক। ও তোমার ভাই তো!আর তুমি ওর সাথে মিলেই এইসব করেছো।(আভি)

হায়।আল্লাহ।আপনি ঘুরে ফিরে এক জায়গাতেই চলে আসেন কেন?আমি করছি?অনেক হয়েছে আমি আর আপনাকে বুঝানোর চেষ্টা করবো না যে আমি কিছু করি নাই।আপনার মত মানুষ যদি আমাকে বিশ্বাস না করে আমার কিছু আসে না।কিন্তু এখন আমি এই ছাগলকে দেখছি।
বলেই আমার কাজিন ভাইয়ের কাছে গেলাম।গিয়েই উনার গালে থাপ্পড় মারলাম।

কেনো করেছিস তুই এইসব নোংরা কাজ?আমি কি আপুকে বলবো তার ভাই কতো ভালো ছেলে।(আমি চিৎকার করে)

ভাই চুপ

বল।মুখে কি সুপারি দিয়ে বসে আছিস?(আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে)

আস্থা দাড়াও ও এইভাবে কিছু বলবে না।ওকে আমি জিজ্ঞেস করছি।
বলেই নিহাল ওকে ধুমধাম করে কতো গুলো দিলো।

নিহালের মার খেয়ে ভাই সব কথা বলতে শুরু করলো
আমিই আস্থার ছবি দিয়ে একাউন্ট বানিয়েছি।এই সম্পর্কে আস্থা কিছুই জানে না!(ভাই মাথা নিচু করে)

ওই মি: কোবরা।দেখেন আপনি অযথা আপনি আমাকে দোষারোপ করছে।এখন কি বলবেন?(আমি আঙুল দেখিয়ে)

তুমি কেনো ওর ছবি দিয়ে একাউন্ট বানিয়েছো?(আভি ভাইকে জিজ্ঞেস করলো)

আমি আস্থাকে ভালোবাসি।(ভাই)

এই কথা শুনে আমার মাথা ঘুরিয়ে পড়ার উপক্রম।

তুমি এই মেয়েকে ভালোবাসো?(আভি আমাকে তাচ্ছিল্য করে)

ওই মিয়া।আমাকে ভালোবাসার মধ্যে খারাপ কি আছে?(আমি উনার দিকে ভ্রু কুঁচকে)

না।তোমার সাথে শুধু ঝগড়া করা যায়।ভালোবাসা যায় না।কারণ তুমি ওইটার যোগ্য। ঝগড়া ছাড়া তুমি আর কিছু করতেই পারো না।এই ছেলে(ভাইকে)তোমার কি চোখে সমস্যা?দুনিয়াতে কি তুমি আর মেয়ে পাও নি।(আভি)

ওই মি:কোবরা।অনেক হইছে?হা?এতো ক্ষন আপনি আমাকে দোষী বলে অনেক কথা শুনিয়েছেন।এখন যেহেতু আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলাম আপনি আমাকে কিছু বলতে পারবেন না।(আমি)

ও তাই নাকি?? বললে কি করবে শুনি?(আভি)

আমিও আপনাকে ছেড়ে কথা বলবো না।বলে দিলাম(আমি কোমরে হাত দিয়ে)

ইসস।এতো ক্ষন যেনো আমাকে খুব ছাড় দিয়ে কথা বলেছো।এতোক্ষন তো প্রতি কথায় জবাব দিয়েছো?(আভি)

একশো বার দিবো।আপনি কে আমাকে কথা শুনানোর?(আমি)

আমি আভি চৌধূরী।(আভি)

আমিও আস্থা ইয়াসমিন।(আমি)

আর আমরা দর্শক।(নিহাল😒)

পরেই আমরা দুইজন উনাদের দিকে তাকিয়ে দেখি উনারা সত্যিই দর্শকের মতো আমাদের তামসা দেখছিলো।আর তা দেখে আমি আর আভি চুপ হয়ে গেলাম।

কেনো চুপ হলি তোরা?চালিয়ে যা…যা করছিলি।এদের(ছেলে দুটো)কে তো আমরা ধরেই ফেলেছি এখন পরেও এদের জবানবন্দি নিতে পারবো।কিন্তু তুই(আভি)তো ওর সাথে আর ঝগড়া করার সুযোগ পাবি না।তাই করে নে,,করে নে।আমরা এইখানে বসি.. কি বলিস?আর হ্যা কেয়ারটেকারকে বল পপকর্ন দিয়ে যেতে তোদের ঝগড়া পপকর্ন না খেয়ে দেখলে মিস হবে।(নিহাল আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে অপমান করে দিলো)

হইছে তোর নিহাল?(আভি)

না।আভি চৌধূরী।আপনার হলেই আমার জন্য যথেষ্ট।(নিহাল)

আমি শুরু করি নি।ওই শুরু করছে।(আভি)

এই মিথ্যা কথা বলবেন না।আমি করি নি।(আমি)

চুপ একদম চুপ।একটা কথা বললে দুইটাকে এক সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো তখন করতে থেকো।তোমাদের তর্ক।

আমরা,,,
আমি আর আভি কিছু বলতে যাবো তার আগেই নিহাল চুপ করে দিলো।

এখন বলো পরের কি করেছিলে?(আভি আবার ভাইয়াকে প্রশ্ন করলো)

আমি ভাবেছিলাম।যে আমি যদি ওর সম্মান নষ্ট করি তাহলে হয়ত খালামণি(আস্থার মা)সমাজের ভয়ে ওকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।আর সেই সুযোগে আমি ওকে বিয়ে করে ফেলবো।(ভাইয়া)

আস্থা কি জানে যে তুমি ওকে ভালোবাসো?(আভি)

আমি এই প্রথম উনার মুখে নিজের নাম শুনলাম।উনি এতো ক্ষন এই মেয়ে,,ওই মেয়ে বলেই আমাকে সম্মোধন করেছে।এখন উনি আমার নাম ধরে ডাকলেন।উনার মুখ থেকে আমার নামের উচ্চারণ কেমন যেনো ভিন্ন মনে হলো।
আমিও একটা মুচকি হাসি দিলাম।

না। ও জানে না।আমার ওকে বলার সাহস হয়ে উঠে নি(ভাইয়া)

কেনো?ওকে বলার সাহস হয়ে উঠে নাই।(আভি)

আস্থা।অন্য সব সাধারণ মেয়ের মতো না।ওকে যদি কেউ প্রেম ভালোবাসার কথা বলে তাহলে ও তাকে আস্ত রাখে না।(ভাইয়া)

আভি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।আমি উনার তাকানো দেখে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম।

এই মেয়ে সত্যিই গুন্ডি।নিজের আত্মীয় স্বজনদেরও নিস্তার নেই এর হাত থেকে।(আভি মনে মনে)

আমি উনার চেহারা দেখেই বুঝতে পারছি উনি আমাকে নির্ঘাত গুন্ডি ভাবছে।আমি সত্যিই কেউ আমাকে ভালোবাসার কথা বললে প্রথমে ওকে বুঝাই আর না বুঝলে কেলাই।আর পাড়ায় আমার এইসব কথা নিয়ে চর্চা অনেক হয়।কিন্তু আমার কিছু করার নেই।
কারণ আমার জীবন ভালোবাসার জন্য না।কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালোবাসার মূহুর্ত গুলো মধুর না..বিষের মত হয়।যেমন আমার।
আমার গভীর চিন্তা ভাঙ্গে আবার আভির কথা শুনে
.
.
চলবে….
#Marriage_With_Benefits
#Part_4
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
.
.
তাহলে তুমি ওর মা বাবাকে বলতে পারতে যে তুমি ওকে বিয়ে করতে চাও(আভি)

উনারা কখনও আস্থার বিয়ে আমার সাথে দিবে না।আর আমার পরিবার ও আস্থাকে মেনে নিবে না।(ভাইয়া)

কেনো?মেনে দিবে না।(আভি অবাক হয়ে)

শিট।আমার ব্যাপারে আমি কাউকে জানতে দিবো না।আর ওদেরকে তো ভুলেও না।
(আমি মনে মনে)

কারণ আস্থা,,,,
ভাইয়া কিছু বলার আগেই আমি গিয়ে উনাকে থাপ্পড় কিল ঘুষি মারতে শুরু করলাম।পাশে থাকা ঝাড়ু দিয়ে উনাকে পিটাতে শুরু করলাম।যে করেই হোক।আমি আমার ব্যাপারে এখানের কাউকে কিছু জানতে দিবো না।এখন ওর মুখ যে করেই হোক আমাকে বন্ধ করতে হবে,,(আমি মারছি আর ভাবছি)

মুখ খুললেই শুধু বাজে কথা বের হয় তোর।আর আমার ব্যাপারে কিছু বলার সাহস কই পাস তুই?আমার মান সম্মান নিয়ে খেলা করার অধিকার তোকে কে দিয়েছে?তুই কি বলেছিস আমাকে বদনাম করলে আমি তোকে বিয়ে করে ফেলবো?আর আমার বাবা মা আমাকে বিয়ে দিয়ে দিবে?এইটা ভাবলি কি করে তুই?আমি তোকে বড় ভাই হিসেবে সম্মান দেই কিন্তু তুই সেই সম্মানের যোগ্য না। আমার জীবন কারো খেলার পুতুল না।না তোর না অন্যর।আমার জীবন শুধু আমারই।
বলেই বেধম পিটাতে শুরু করলাম।আমার মাথা ঠিক ছিলো না।আমার ঘায়ে আঘাত দিয়েছে।আর এইটা আমি কিছুতেই সহ্য করবো না।

আমার এই অবস্থা দেখে আভি অবাক হয়ে গেলো
এই মেয়ে কি করছে?ওর মাথা ঠিক আছে?এতো রাগ কেনো ওর মনে?যেনো ও শুধু সুযোগ খুচ্ছে ওর মনের রাগ কারো উপর ফেলানোর জন্য।দূর একে আটকাতে হবে।নাইলে ওকে মারতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করে বসবে এই মেয়ে
বলেই আভি আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।

ছাড়।আমায় ছেড়ে দে।ওদের কি মনে হয় আমার জীবন ছিনিমিনি খেলার জন্য।ওরা ছিনিমিনি খেলবে আর আমি দেখবো!(আমি মোচরা মুচরি করতে করতে)

চুপ।চুপ একদম চুপ।আমি আছি না?আমার উপর নির্ভর করতে পারো।(আভি)

আমি উনার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে উনার কলার ধরে নিজের দিকে ঝুঁকিয়ে বললাম
আস্থা কারো উপর আস্থা রাখে না।তাই আপনার উপর নির্ভর হাওয়ার কথা আমাকে বলবেন না।

আভি আস্থার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।পরেই নিজেকে সামলে আস্থাকে বললো
এখন চুপ না করলে সত্যিই তুলে নিয়ে নর্দমায় ফেলে আসবো।

আভি প্রচন্ড রেগে আছে।
আমাকে ভরসা করতে পারে না।কতো সাহস ওর আবার আমার কলার চেপে ধরে।আজ শুধু একটা সমস্যায় ব্যাস্ত বলে নয়ত এই মেয়েকে বুঝিয়ে দিতাম আভি চৌধূরী কি জিনিস!

আমি আভির কথা শুনে চুপ হয়ে আছি।কারণ কেনো জানি ওর চেহারা দেখে একটু ভয় করছে।এখন যদি সত্যি নর্দমায় ফেলে দেয়।তাই আমি চুপ হয়ে আছি।এছাড়া এখন ভাইয়া কোনো কথাই বলতে পারবে না।উনি কোনো কথা বলার পরিস্থিতিতেই নেই।যেই মার পড়ছে।এখন আমি নিশ্চিত আমার সম্পর্কে এখন আর কেউ কিছু জানতে পারবে না।

এখন তুই বল।তোর কাহিনী কি?(আভি অন্য ছেলেকে জিজ্ঞেস করে)

ওই ছেলে মারার আগেই সব স্বীকার করে নিল।কারণ ও দেখেছে কেমন মাইর ভাই খেয়েছে।এখন এমন মার না খেতে চাইলে সত্য কথা বলে দিতে হবে।তাই ও সত্য কথা বলাই শ্রেও মনে করলো।

আমি নিহাকে ভালোবাসি।কিন্তু যখন আমি ওকে সবার সামনে প্রপোজ করি তখন ও আমাকে সবার সামনে অপমান করে রিজেক্ট করে দিলো।তাই সেই অপমানের বদলা নিতে আমি এইসব করেছিলাম।(ছেলেটা)

তাহলে তুই আস্থার ছবি কেনো ব্যাবহার করলি?(আভি)

আস্থার ভাই আমার বন্ধু।যখন আমি ওকে আমার প্ল্যান বলি তখন ও বললো যে ও আস্থার ছবি দিয়ে একাউন্ট বানিয়ে নিহাকে ব্ল্যাক মেইল করবে।আর এতে আমাদের ধরা পড়ার চান্স কম থাকবে।(ছেলেটা)

মাঝখান দিয়ে আমার স্বভাব মতো বাম হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বললাম,,
মি: কোবরা আমি এই বার ওকে(ছেলেটাকে) একটু কেল্যাই প্লিজ।(আমি কিউট ফেস করে)

What is kelani?(আভি ভ্রু কুঁচকে আমাকে প্রশ্ন করলো)

একটু আগে আমি ভাইকে যা দিছি ওইটা কেলানি!(আমি হাত ভাঁজ করে)

নাহ।(আভি চোখ রাঙিয়ে)

আমি চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম।আর ভাবতে লাগলাম আস্থা তুই কি করে এতো বাধ্য হয়ে গেলি?উনি বললো না আর তুইও শুনে নিলি।এক দিনে এই কোবরার ছোবলে পরে গেলাম আমি।

ওদের পুলিশে দাও।এইবার বাকিটা পুলিশ করবে।(আভি)

ওদের নিয়ে যাও(নিহাল ওই চার জন গার্ড কে বললো)

যাওয়ার আগে ভাইয়া আমাকে বললো
বাসায় যদি জানি আমি তোর কারণে জেলে তাহলে তুই ভাবতে পারছিস তোর কি হাল হবে?খালামণি তোর কি হাল করবে?(আমাকে থ্রেট দিয়ে ভাইয়া কথা গুলো বললো)

আমি টেবিলে থাকা পেপার হোল্ডার দিয়ে ওর কপাল বরাবর ছুড়ে মারি।ওইটা সাথে সাথে ওর কপালে লেগে কপাল ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো,,,,
আমি ওর কাছে গিয়ে ওর চোখে চোখ রেখে বললাম
আমাকে থ্রেট দিয়ে কেউ কথা বলুক এইটা আমার পছন্দ না।

তারপর গার্ডদের উদ্দেশ্য বললাম,,,
এই অবর্জনা গুলোকে আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যান।প্লিজ।


আভি,নিহাল আর নিহালের মা আমার কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেলো।

এই মেয়ে একদম তোর কার্বন কপি।তুই যেমন দয়ামায়াহীন তেমনি এই মেয়ে ও দয়ামায়াহীন।একদম পারফক্ট তোর জন্য।(নিহাল আভির কানে কানে ফিসফিস করে কথা গুলো বললো)

আভি চোখ রাঙিয়ে নিহালের দিকে তাকাতেই ও চুপ হয়ে গেলো।

পরেই আভি আস্থার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো,,
এই মেয়ের নাম আস্থা হলে কি হবে এই মেয়ের সত্যি এর উপর আস্থা রাখা মুশকিল।এই মেয়ে বাহিরে এক রকম ভিতরে এক রকম।

আমাকে ক্ষমা করে দিও মা।আমি না জেনেই তোমার উপর আরোপ করেছি!(নিহালের মা)

আন্টি কি যে বলেন?আপনি আমার গুরুজন আপনি প্লিজ এমন করে ক্ষমা চাইবেন না?(আমি)

বাহ!এই মেয়ে ভালো করে কথাও বলতে জানে?জানতাম না তো যে এই ঝাল মরিচ আবার মিষ্টিও হতে পারে।এই হচ্ছে এর আরেক রূপ।ভাবতেই অবাক লাগে।কিন্তু কিসের জন্য ও তখন এতো অস্বাভাবিক আচরণ করেছিলো?কি আছে ওর মনে ভিতর আর ওর এই বাহিরের এই রূপের ভিতর?খুব রহস্যময়ী মেয়ে তুমি আস্থা।(মনে মনে আভি কথা গুলো বললো)

আন্টি আপনি কিছু করেন নি। তাও কি সুন্দর ভাবে আমাকে সরি বলছেন!আর একজন আছে যে আমাকে কতো ইনসাল্ট করেছে,,কতো ছোটো করে কথা বলেছে,,আমাকে নর্দমায় ফেলে দিবে বলে হুমকিও দিয়েছে,,আর সবচেয়ে বড় কথা উনি আমাকে কিডন্যাপ করে এখানে এনেছে।কিন্তু দেখুন উনি আমাকে সরিও বলছে না।একটু অনুতপ্তও হচ্ছে না।আজকাল কেমন,,কেমন মানুষ আছে তাই না আন্টি!ভুল করতে ঠিকই পারবে কিন্তু ক্ষমা চাইতে গেলে উনাদের ইগোতে গিয়ে লাগে।এইসব মানুষদের না সাহারা মরুভূমি তে পাঠিয়ে দেয়া দরকার।ওই মুরুভুমির গরমে যদি এদের মন গলে। অবশ্য আমার মনে হয় না এদের মন গলবে।এদের মন তো পাথর দিয়ে তৈরি।
আমি আভিকে শুনিয়ে শুনিয়ে কথা গুলো বললাম।

উনি আমার দেখি রাগী লুক দিয়ে তাকিয়ে আছে।উনার মায়াবী চোখ দুটো বলে দিচ্ছে।আজকে আমার রক্ষে নেই।কিন্তু আমার তো এই মি:কোবরা কে রাগাতে ভালো লাগে।তাই একে আমি রাগাইও।


আভি আস্থার কথা গুলো শুনে সত্যিই সাপের মতো ফুস ফুস করছে,,
এই মেয়েকে যাও একটু ভালো বলছিলাম।এই মেয়ে তাও ভালো না।কাকে কোন সময় কথা শুনিয়ে দেয় এই মেয়ে ঠিক নাই।এখন এই মাথা ব্যাথাটাকে বের করতে পারলে আমার শান্তি।সারাদিন আমার মাটি করে ফেলেছে।
(আভি মনে মনে)

হইছে তোমার?(আভি আমার উদ্দেশ্যে করে দাঁত চেপে বললো)

আমিও মুখ ভেংচি দিলাম।আমার কান্ড দেখে যে উনার মাথার রগ ফুলছে আমি তা হারে হারে টের পাচ্ছি।উনি আমার দিকে রক্ত চক্ষু দিয়ে তাকিয়ে নিহাল ভাইয়ার উদ্দেশ্য বললো
নিহাল একে(আমাকে) বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আয়।এখানে থাকলে আমার মাথা ব্যাথার কারন হবে।(আভি)

আভি বাবা।থাক না ও।আজ আমাদের বাড়িতে চলো।আমার মেয়ে আর নিহালের বাবা তোমাকে দেখে অনেক খুশি হবে(নিহালের মা)

নাহ।আন্টি এই পেঁচাল কে নিলে আরো আপনাদের ক্ষতি হবে।(আভি হটাৎ করে বলে ফেললো)

আপনি(আভি)চুপ করুন তো।আন্টি আজ না আরেক দিন।আজ আমি অনেক ক্ষন ধরে বাসায় যাই না।সবাই অনেক চিন্তা করবে আরেক দিন আমি সত্যি আপনাদের বাসায় যাবো।(আমি আন্টির হাত ধরে)

আচ্ছা। মা তুমি যাই বলো।কিন্তু একদিন কিন্তু আমাদের বাড়ি যাবে এইটা তো শিউর?(আন্টি)

হ্যা।পাক্কা।আস্থার উপর আস্থা রাখতে পারেন।(আমি)

ভুলেও না আন্টি ওর উপর আপনি একটুও আস্থা রাখবেন না।(আভি)

ওই। মি:কোবরা।সবাই কি আপনার মত সাপ নাকি?কিছু মানুষ ভালোও আছে।যেমন আমি!(আমি ভাব নিয়ে)

ইউ,,,
আভি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিহাল থামিয়ে বললো
আভি আজ থাক।অনেক সাও আর নেউলে ঝগড়া দেখছি আজ আর না।

আভি চুপ হয়ে গেল।
এক লোককে দিয়ে নিহালের মাকে বাসায় পাঠিয়ে দিলো।মহিলাটা অনেক ভালো। আমার অনেক ভালো লাগলো তার ব্যবহার।এখন আমার যাওয়ার পালা আমাকে নিহাল বাসায় দিয়ে আসবে।

এই মেয়ে শুনো।(আভি আমাকে উদ্দেশ্য করে)

হুম।এই লোকটা তখন কোন ভুলে যেনো আমার নাম নিয়েছিলো।এখন আবার এই মেয়ে ওই মেয়ে শুরু করে দিয়েছে। হায়রে।
(আমি মনে মনে হতাশা নিয়ে বললাম)

কি হলো কথা কানে যায় না?(আভি)

আমি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে উনার সামনে গিয়ে বললাম,,
জ্বি।বলুন।

এই নাও।(আভি আমার দিকে একটা চেক এগিয়ে দিয়ে)

এইটা কি?(আমি অবাক হয়ে)

এই চেক টাতে পাঁচ লাখ টাকা আছে।আজ যা যা হলো তার ক্ষতিপূরণ।আমি কারোর কারো কাছে সরি বলি না।তাই আজ তোমার যা যা ক্ষতি হয়েছে টা আমি টাকা দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছি।(আভি আমার সামনে এসে দাড়িয়ে কথা গুলো বললো)

আমি উনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললাম
চেক টা আসল তো?

আভি চৌধূরী কোনো কাচা কাজ করে না।(আভি)

আমি উনার কাছ থেকে চেক টা নিলাম।উনি অবাক হয়ে গেলো।কারণ উনি হয়ত ভাবে নেই আমি,,যে প্রতি পদে পদে লড়াই করি সে কি করে চেক নিই।

গুড ওয়ে টু say সরি।
বলেই যেতে লাগলাম।একটু যেতেই আবার ফিরে এসে উনার সামনে দাড়ালাম।

জানেন হিন্দিতে একটা কথা আছে “”ইয়আহ্ মিলনা লেকিন উপার মাত মিলনা।””কিন্তু আমার কাছে এইটা একটু ভিন্ন।আপনার আমার সাথে সব সময় দেখা হয় এইটাই দোয়া করি।কারণ আপনার এক দেখায় আমার পাঁচ লাখ টাকা লাভ হলো।
পরেই আভির কানে কানে ফিসফিস করে বললাম
We Meet,,,,with beniefits

বলেই মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসলাম।আর উনি সেখানেই দাড়িয়ে আছে।

আস্থা চলে যাওয়ার পর আমি সোফাতে পরলাম।
তোমার সাথে যেনো আমার আর কখনও দেখা না হয় আস্থা।আমি এইটাই চাই।তুমি এই এক দেখাতেই কয়েক ঘন্টায় আমার লাইফে ঝড়ে নিয়ে এসেছো।পরের দেখাতে আমার জীবনে তুমি সুনামি নিয়ে আসবে তা আমি শিউর।তাই আল্লাহ যাতে তোমার সাথে না দেখা করাই তাই আমি চাই।
.
.
চলবে…
অনেকের কৌতূহল হচ্ছে যে কি beniefits বা লাভ আছে বা স্টোরির সাথে নামের মিল কোথায়??তাদের বলছি একটু ধৈর্য্য ধরুন ধীরে ধীরে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।ইনশাআল্লাহ।