Marriage_With_Benefits Part-44

0
4849

#Marriage_With_Benefits
#Part_44
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
(তুমি আমার এমনই একজন……
যারে এক জনমে ভালোবেসে
ভরবে না এই মন।)

আমি এক বুক কষ্ট নিয়ে গান গাইতে শুরু করলাম।ওদের জন্য না হোক নিজের সন্তানের জন্য হলেও আমায় খুশি থাকতে হবে।
আমি গান গাইতে গাইতে আভির খুব কাছে চলে গেলাম।ওর চোখে চোখ রেখে গাইতে শুরু করলাম

(এক জনমের ভালোবাসা….
এক জনমের কাছে আসা….
এক জনমের ভালোবাসা
এক জনমের কাছে আসা
একটি চোখের পলক পড়তেই লাগে যতক্ষণ)

সত্যি সত্যি চোখের পলকেই আমাদের সম্পর্ক তৈরি হলো।আর এক পলকেই তা ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেলো।এখন শুধু চোখের পলকে পড়তেই জল গড়িয়ে পড়ে আর ভেসে উঠে ভালোবেসে কাটানো সেই মুহূর্ত গুলো।সত্যিই কি ওইসব নাটক ছিলো আভি?মন বলে তোমাকে বিশ্বাস করি কিন্তু চোখ বলে,,দেখেও কি বিশ্বাস করবি?
আমি আভির থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম।

(তুমি আমার এমনই একজন
যাকে এক জনমে ভালোবেসে
ভরবে না এই মন।)

সবাই গানের তালে নাচতে শুরু করলো।আভি আর তুলি আমার সামনে নাচছে।আমার চোখ যেনো এইসব দেখার জন্যই স্থির হয়ে গেছে।এইসব দরকার আমার না হলে আমি পারবো না মুভ অন করতে।আমি আভি দিকে তাকিয়ে কথাগুলো ভাবছি তখনই ডক্টর জয় আমার দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো।আমিও উনার হাত ধরে নাচতে শুরু করলাম।নিজেকে জোকার থেকে আর কিছু মনে হচ্ছে না।নিজের প্রাক্তন এর এনগেজমেন্টে গান গাইছি নাচছি।এই সব ভাবতেই গলা ধরে আসলো।

কি হলো আসু গাও?(জয় ফিসফিস করে)

আমি মুচকি হেসে আবার গাইতে শুরু করলাম

(ভালোবাসার সাগর তুমি,,,,,,
ভালোবাসার সাগর তুমি
বুকে অথৈ জল
তবুও পিপাসাতে আখি,,,,,,,
তবুও পিপাসাতে আখি
হয় যে ছল ছল,,,হয় রে ছল ছল)

গানের কলি গুলো বলতেই বুকে যেনো কষ্ট গুলো ডলা পাকিয়ে বসলো।কান্নার স্রোত যেনো চোখ আটকাতেই পারছে না।আজ সব কষ্ট বৃষ্টির মতো ঝরবে।

(তোমার মিলনে বুঝি গো জীবন
বিরহে মরণ
তুমি আমার এমনই একজন
যাকে এক জনমে ভালোবেসে
ভরবে না এই মন)

আমার চোখ দিয়ে পানি অবিরাম পড়ছে।আর তা আভি চোখকে ফাঁকি দিতে পারলো না।ওর দিকে তাকিয়েই আমি কান্না করছি।কিন্তু আফসোস ওর কাছে আমার কান্নার কোনো মূল্য নেই।

বাহ!মনে হচ্ছে আভি সত্যিই সত্যিই এই মেয়েটাকে ভুলে গেছে।না হলে এতো কান্না করার পরেও আভি চুপ।ভালোবাসা থাকলে এমন তো করতো না আভি।আমি শুধু শুধু চিন্তা করছি।(রাইশা মনে মনে)

(প্রাণের প্রদীপ হয়ে তুমি,,,,,,
প্রাণের প্রদীপ হয়ে তুমি
জলছো নিশিদিন
কোন মোহরে শোধ হবে গো,,,,,
কোন মোহরে শোধ হবে গো
এতো বড়ো ঋণ,,,
এতো বড়ো ঋণ)

আমি সরি আস্থা।আমার হাত পা বাধা।আমি চাইলেও এখন তোমার চোখের জল মুছতে পারবো না।আমি তোমার কাছে যথেষ্ট ঋণী।তুমি আমার জীবনে আলো হয়ে এসেছো।আমি সেই আলো নিভতে দিবো না।তোমাকে সুরক্ষিত রাখতে যদি যদি তোমাকে আর আমাকে কষ্ট পেতে হয় তাতেও আমি রাজি।কিন্তু তোমাকে হারাতে রাজি না।(আভি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে)

(আমার ভালোবাসার ফুলে তোমার ভরাবো চরণ,,
ভরাবো চরণ)

(তুমি আমার এমনিই একজন,,,,,,,
যারে এক জনমে ভালোবেসে
ভরবে না এই মন
এক জনমের ভালোবাসা,,
এক জনমের কাছে আসা
একটি চোখের পলক পড়তেই লাগে যতক্ষণ।
তুমি আমার এমনি একজন যাকে
এক জনমে ভালোবেসে
ভরবে না এই মন)
(আমার আম্মুর খুব পছন্দের একটা গান😜– লিখিকা)

অনেক কষ্ট করে গানটা শেষ করলাম।

ভাবী তুমি ঠিক আছো?(আয়ুশ)

হুম।এতো ক্ষন খারাপ ছিলাম এখন ঠিক আছি।(আমি চোখ মুখ মুছে)

এখন আভি আর তুলির আংটি বদল হবে।আমিও দেখতে চাই আভি কি করে তুমি আমি থাকা সত্ত্বেও অন্যকে আংটি পরাও।আর যদি পড়াতে পারো তাহলে এই সম্পর্ক শুরুর সাথে সাথে আমার আর তোমার সম্পর্কটিও শেষ হয়ে যাবে।যেটুকু বিশ্বাস ছিল তোমার উপর সেটুকুও ভেঙ্গে যাবে।
আমার বিশ্বাস ছিলো যে আভি তুলিকে আংটি না পরিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে কিন্তু না ও আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে তুলিকে আংটি পড়ালো।
আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম।আমার অবাস্তব স্বপ্ন থেকে যেনো জেগে উঠলাম।
ডক্টর জয়।চলুন আমার আর ভালো লাগছে না।(আমি জয়ের হাত ধরে)

আস্থা তুমি ঠিক আছো?(জয় মনমরা হয়ে)

আমি একদম ঠিক আছি।বরং এখন অনেক ভালো আছি।চলুন জয়।(আমি মুচকি হেসে)

ঠিক আছে চলো।
বলেই ডক্টর জয় আর আমি চলে আসলাম।বাকিদের না বলেই।

অন্যদিকে আভি এনগেজমেন্ট শেষ করে সবাইকে বিদায় দিয়ে নিজের রুমে এসে আস্থার ছবি নিয়ে কান্না করতে শুরু করলো।
আস্থা। আই অ্যাম সরি।আমি তোমার চোখের জল মুছতে পারি নি।যখন তুমি ডক্টর জয়ের হাত ধরেছিলে তখন আমার খুব রাগ হয়েছিলো আমি সহ্য করতে পারি নি।যখন তোমার কথা চিন্তা করি তুমি কি করে আমার আর তুলির আংটি বদল দেখলে।আমি তোমাকে প্রাক্তন বলে ছিলাম যাতে তুমি রাগে এনগেজমেন্ট থেকে চলে যাও কিন্তু তুমি এত জেদী,,গেলে না।একটা জিনিসের শেষ দেখেই ছাড়ো তুমি আর তোমার এই স্বভাবের কারণেই আমি তোমাকে বিপদে ফেলতে চাইনি।তুমি জানো আমারও তোমার তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে।তোমাকে কতো দিন জড়িয়ে ধরি না আমি।আমি যে আর পারছি না আস্থা প্লিজ যতো দিনটা সব ঠিক হচ্ছে ততদিন তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থাকো।আমি তোমাকে আর কষ্ট দিতে পারবো না।


আস্থা।তুমি ঠিক আছো?(জয়)

আমার আবার কি হবে আমি একদম ঠিক আছি!(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

না মানে তোমার কষ্ট হচ্ছে না?(জয়)

আপনিই তো বলেছেন আমার কষ্ট,,চিন্তা বাচ্চার ক্ষতি করবে।তাহলে কেনো আমি জেনে শুনে কষ্ট পেয়ে বাচ্চার ক্ষতি করবো?(আমি)

জয় চুপ করে আছে।আস্থাকে যেনো অন্য রকম লাগছে।

গাড়ি ঘুরান তো আমি অনাথ আশ্রমে যাবো।(আমি)

কিন্তু এত রাতে?তোমার তো রেস্ট নিতে হবে।(জয়)

আমি এতটাও দুবর্ল না ডক্টর জয় আর আমার বাচ্চাও এতো দূর্বল না।আপনি চিন্তা করবেন না।(আমি)

আচ্ছা।
পরেই আমি আর ডক্টর জয় মিলে অনাথ আশ্রমে গেলাম।


অনাথ আশ্রমে
কতো দিন পর তুই আসলি?আভি কই?(খালা)

নেই।আভি নেই চলে গেছে।এখন রুমে যাই।তারপর কথা বলি।(আমি খালাকে রাগ দেখিয়ে রুমে চলে গেলাম)

তুমি কে?(খালা জয়কে ইশারা করে)

আমার হবু বর।(আমি রুমে থেকে চিৎকার করে)

জয় আমার কথা শুনে কাশতে শুরু করলো।

তোমার(জয়)আবার কি হলো?(খালা)

আমার কথা হজম হইনি তো কাশতে শুরু করলো।(আমি রুম থেকে চিৎকার করে)

এই মেয়ের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।ওই মেয়ে কি হয়েছে তোর? কি আবোলতাবোল বলছিস?(খালা ভ্রু কুঁচকে কোমরে হাত দিয়ে)

রিনা খান।ক্ষুদা লাগছে।যা আছে নিয়ে আসো।আর যদি কিছু না থাকে তাহলে বানিয়ে নিয়ে আসো।(আমি আসন পেতে বসে)

রাবেয়া কিছু খাবার নিয়ে আয় তো।কি হয়েছে ওর দেখি?(খালা)


আমি খাবার খাচ্ছি।আর খালা আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে।
কি হয়েছে?কাউকে কি খেতে দেখো নি কখনো?(আমি মুখে খাবার দিয়ে)

দেখেছি।কিন্তু তোর মত রাক্ষসীর হয়ে খেতে দেখি নি।(খালা)

আমি চুপ করে আছি।

বলতো কি হয়েছে?(খালা আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

পরেই আমি আভির সব কথা খালাকে বললাম।

খালা শুনে খুব রেগে যায়।
আমি ওকে ছাড়বো না।আমার মেয়েকে ধোঁকা দেয়া।(খালা)

রিনা খান কুল।ওর চ্যাপ্টার ক্লোজ।আমি এখন মুভ অন করতে চাই।তাই ওর বেপারে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।(আমি)

আচ্ছা।যা ভালো মনে করিস।(খালা)

এই মেয়েকে বুঝাই দায়।একটু আগে কান্না করতে করতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।আর এখন এখানে মুভ অন করবে বলে ভাষণ দিচ্ছে।কি করে এই মেয়ে নিজেই জানে না?(জয় মনে মনে)


খেতে খেতে আমার নজর গেলো দেয়ালে টাঙ্গানো একটা ছবির দিকে।
ওইটা কে?(আমি অবাক হয়ে)

ওইটা আমি।(খালা ভ্রু কুঁচকে)

আমি জানি ওইটা রিনা খান।কিন্তু তোমার সাথে ওইটা কে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

ওইটা হচ্ছে আমাদের এই অনাথ আশ্রমের হেড।উনার তত্ত্বাবধানে দেশের সব অনাথ আশ্রম চলে।এক মাস আগে একটা অনুষ্ঠানে উনার সাথে আমার দেখা হয় আর এইটা তারই ছবি।(খালা)

আমি ছবিটাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কোথায় যেনো এই মহিলাকে দেখেছি??খুব পরিচিত লাগছে।খুব ইম্পর্ট্যান্ট মহিলা।কিন্তু মনে পড়ছে না।(আমি ছবির দিকে গভীর ভাবে তাকিয়ে আছি)

কিরে? তুই মিস সুমাইয়ার ছবির দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস?(খালা আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে)

এক মিনিট কি বললে তুমি?কে উনি?উনার নাম কি?(আমি অবাক হয়ে)

মিস সুমাইয়া।(খালা অবাক হয়ে)

আমার শাশুড়ি মা।(আমি খুশি হয়ে)

কি?(খালা প্রচন্ড অবাক হয়ে)

হ্যা।উনিই আভির মা। মানে আমার শাশুড়ি মা। ইয়েস।
বলেই খালাকে নিয়ে ঘুরতে থাকি।
আস্থা আস্তে।(জয়)

ওকে ওকে।খালা কোথায় যেনো বলেছিলে উনি থাকে?(আমি)

উনি আবাদত গাজীপুর।উনার কোয়াটারে থাকে।(খালা)

আমাকে ঠিকানাটা দাও।আমি এক্ষুনি উনাকে আনতে যাবো।শাশুড়ি আজ আপনাকে পাইছি।
বলেই হিহি করে হেসে দিলাম।

এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে।(জয়,,খালা,,রাবেয়া এক সাথে)


তুমি শিওর তো এতো রাতে আভির মাকে খুঁজতে যাবে।(জয় ড্রাইভ করতে করতে)

কেনো জানি মনে হচ্ছে।উনিই পারবে আভি আর আমার সম্পর্ক ঠিক করতে।(আমি অনেক আশা নিয়ে)

তোমার এখনও মনে হয় আভি আর তোমার সম্পর্ক ঠিক হবে?(জয় অবাক হয়ে)

আমি শেষ চেষ্টা পর্যন্ত করবো আভিকে ফিরে পাবার।যতক্ষণ না পর্যন্ত দেয়ালে পিঠ ঠেকে ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করবো।(আমি)

তাহলে তুমি পিছনে রেস্ট নেও।আমি পৌঁছে তোমাকে ডাক দিবো।(জয়)

ওকে ডক্টর জয়।(আমি)

ডক্টর জয় গাড়ি থামালো আমি গিয়ে পিছনে শুয়ে পড়লাম।
ডক্টর জয়?(আমি)

হুম?(জয়)

থ্যাঙ্ক ইউ।(আমি)

ডক্টর জয় মুচকি হাসি দিলো।


আস্থা আস্থা।(ডক্টর জয়)

হুম।(আমি চোখ কচলাতে কচলাতে)

আমরা এসে পড়েছি।(জয়)

ও।তাহলে যাওয়া যাক।
বলেই আমি গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম।

ডক্টর বলেছেন ভিতরে যাবো কি করে?ভিতরে যদি দারোয়ান থাকে?(আমি ফিসফিস করে)

গিয়ে দেখি।অ্যাড্রেস তো এই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার।(জয়)

হুম।(আমি)

পরেই গিয়ে দারোয়ান পরে পরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।

দেখো।এরজন্য আমরা ভয় পাচ্ছিলাম।আর এ এখানে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।দিবো একটা কানের নিচে।(আমি)

আস্থা চলো।ভালোই হয়েছে ঘুমিয়েছে।(জয়)

আসছি!
বলেই আমি আর জয় দুতলায় উঠলাম।
কলিং বেলে টিপ মারলাম।
বুকের ধুপুকানি বেড়েই চলেছে।উনাকে। কি বলবো?আমি আপনার ছেলে বউ না প্রাক্তন স্ত্রী।কি করে শুরু করবো?কোথা থেকে শুরু করবো?উনি কি আমার সাথে যেতে রাজি হবে?অনেক প্রশ্ন যার উত্তর এখন আমার অজানা।

হঠাৎ একটা মহিলা দরজা খুললো।আমি উনাকে দেখে অবাক।সত্যিই উনি আমার শাশুড়ি মা।সুমাইয়া চৌধূরী।আদিব চৌধুরীর স্ত্রী আর আভির মা।

কি হয়েছে?কে তোমরা?এতো রাতে কি চাও?(সুমু ভ্রু কুঁচকে)

পায়ে লাগো শাশু মা।
বলেই পা ছুঁতে যাবো তখনই উনি বলে উঠলো।

কি কি করছো?এতো রাতে কি পা ছুঁতে এসেছো?(সুমু অবাক হয়ে)

না।শাশুড়ি মা আপনাকে নিতে এসেছি।(আমি এক গাল হেসে)

কি?আমাকে নিতে?কোথায় নিতে?আর কে তুমি?কে তোমার শাশুড়ি মা?(সুমু বিরক্ত হয়ে)

ভিতরে গিয়ে কথা বলি।(আমি)


ভিতরে শান্তি বিরাজ করছে।আমি পটপট করে সব বলে দিলাম।মা সব কিছু খুব মনোযোগ সহকারে শুনলো।

আস্থা।তুমি যা বলছো আমি শুনলাম।কিন্তু আমি তোমার কোনো সাহায্য করতে পারবো না।(সুমু)

কিন্তু কেনো?আপনি গেলেই তো আভি ওর দাদুকে ভুল বুঝবে না।আরো ওই তুলিকে বিয়ে করবে না।(আমি)

তোমার কি মনে হয়?তুলিকে যদি ও বিয়ে না করে তাহলে ও তোমার কাছে ফিরে আসবে?আমি আভিকে চিনি।ও যা করছে ভেবে চিনতে করে ছোটো বেলা থেকেই এখনও ভেবে চিনতেই করছে।তুমি বা আমি কখনই ওকে আটকাতে পারবো না যতক্ষণ না পর্যন্ত ও নিজে থামছে।(সুমু)

আমি মার কথা গুলো শুনলাম। উনিই ঠিকই বলেছেন।আভি এমনি এমনি কিছু করার মানুষ না।ও যেহেতু তুলিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহেতু ও ছাড়া ওর সিদ্ধান্ত কেউ পাল্টাতে পারবে না।(আমি মনে মনে)

কিন্তু মা আভিকে না আটকাতে পারেন।ওই বাড়িতে ফিরে চলুন সবাই আপনাকে মিস করছে।(আমি)

ওই বাড়ি থেকে আমাকে কি বলে বের করে দেয়া হয়ে ছিলো জানো?আমি চরিত্রহীনা।আমার নাকি চরিত্র এতো খারাপ এক জনে নাকি আমার পোষে না।আর এই অপবাদ গুলো কে দিয়েছে জানো? আমারই ভালোবাসার মানুষ আদিব।(সুমু মা কান্না করতে লাগলো)

আমি চুপ করে আছি।

এখন বলো কেনো আমি সেই বাড়িতে যাবো যেই বাড়িতে আমি যার হাত ধরে গিয়েছি সেই আমাকে এই অপবাদ দিয়েছে?তুমিই বলো তুমি যেতে যদি আভি তোমাকে চরিত্রহীন বলতো।(সুমু মা)

আমি চুপ করে আছি আমার মুখে কোনো কথা নেই।আভি আর আমার মধ্যে যতো ঝগড়াই হোক না কেনো আভি কখনও আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেনি।আমাকে তুলির জন্য ছেড়ে দিয়েছে তবুও আমার চরিত্র নিয়ে একটাও কথা বলেনি। আয়ুশকে নিয়ে ঘটনার সময়ও ও আমায় বিশ্বাস করছে।(আমি মনে মনে)

আমি যাবো না আস্থা।আর তোমার কাছে আমার এই অনুরোধ তুমি কাউকে আমার কথা বলবে না।কথা দাও আমায়!(সুমু)


চলবে,,,,