#My_sweetheart
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#Part_01
ইতি বিছানায় শুয়ে একটা বই পড়ছে,তখনি ওর মোবাইল বেজে উঠল, ইতি নাম্বার টা দেখে বিরক্তির সাথে ফোনটা ধরে বলতে লাগল
ইতি :কি চাই আপনার এত রাতে
ফারদিন :তোমাকে sweetheart
ইতি :মানসিক সমস্যা আছে আপনার,
ফারদিন :পাগল তো তুমি করেছ আমাকে
ইতি :আপনার সাথে ফালতু কথা বলার কোনো ইচ্ছে আমার নেই
ফারদিন : Sweetheart বারান্দায় আসো
ইতি :কি, আপনি কোথায়
ফারদিন :তোমার হোস্টেলের সামনে দাড়িয়ে আছি
ইতি :কেন
ফারদিন :কি করব তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে
ইতি :যাব না বারান্দায়, চলে যান
ফারদিন রেগে বলল
ফারদিন :বারান্দায় আসবে নাকি আমি ভিতরে চলে আসবো
ইতি :কি আপনি মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে পড়বেন
ফারদিন :তুমি ভালো মতই জানো, এই ফারদিন চৌধুরীর কাছে কিছুই অসম্ভব না,তুমি বের হবে
নাকি আমি আসবো
ইতি :না আ,আমি আসছি
ইতি বারান্দায় গিয়ে দেখে নিচে ফারদিন বাইকে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।ইতিকে দেখে হাত উচু করলো,ইতি রেগে বলতে লাগল
ইতি :আপনি কি পাগল এতো রাতে আপনাকে কেউ এখানে দেখলে কি হতে পারে জানেন
ফারদিন :I don’t care, my sweetheart তোমাকে তো রাতের আধারে, চাদের আবছা আলোতে বেশ সুন্দর দেখায়
ইতি : প্লিজ চলে যান আমার বিপদ বাড়াবেন না
ফারদিন :ওকে যাচ্ছি কাল ভার্সিটিতে দেখা হবে
বলেই ফারদিন চলে গেল,ইতি দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ফেলে পিছনে ঘুরেই ওর বান্ধবী সানিয়াকে দেখে ভয় পেয়ে গেল
ইতি :তুইও না মেরেই ফেলতি
সানিয়া:কে ছিল, ফারদিন ভাইয়া
ইতি :আর কে হবে, আমার জীবনটা জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছে
সানিয়া :এভাবে বলছিস কেন, ফারদিন ভাইয়া তোকে কত ভালোবাসে
ইতি :আমি তো বাসি না
সানিয়া:কেন, কি সমস্যা আছে ওনার, ভার্সিটির ক্রাশ বয়,তার উপর খুব ভালো ছাএ, কত বড় ঘরের ছেলে, সবই তো আছে,ওনার। ভার্সিটিতে ওনার ভয়ে কেউ কিছু করতেও পারে না
ইতি :ওনার সব আছে তাতে আমার কি,দেখ আমার মাথা নষ্ট করিস না
সানিয়া :ওকে ভিতরে চল
ইতি :হুম।
ইতি আর সানিয়া ভিতরে গেল,
সানিয়া :দোস্ত ফারদিন ভাইয়া তোকে খুব ভালোবাসে ওনাকে ফিরাস না
ইতি :প্লিজ আমাকে এসব বলিস না,আমার পক্ষে সম্ভব না,তুই তো জানিস আমার অবস্থা, বাবা মা মারা যাবার পর মামুর কাছে ছিলাম, মামীর কারনে এখন হোস্টেলে থাকতে হয়,আমি একটা এতিম অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করছি,মামু মামির থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে টাকা পাঠায়,আমি আমার সম্পূর্ণ মন পড়ায় দিতে চাই।
সানিয়া:ঠিক আছে,এখন ঘুমা
ইতি :হুম
পরের দিন ভার্সিটিতে,,, ইতি ভিতরে ঢুকতেই ফারদিন ওকে বলতে লাগল
ফারদিন :এত সময় লাগল কেন sweetheart,
ইতি :তাতে আপনার কি
ফারদিন :আমার তো অনেক কিছু
ইতি :আমার ক্লাস আছে
বলেই ইতি চলে যেতে লাগল,তখনি ফারদিন ইতির হাত ধরে ফেলল
ইতি :হচ্ছে টা কি এ কেমন বেয়াদবি
ফারদিন :এখনও ক্লাস শুরু হতে অনেক সময় লাগবে
ইতি :তো
ফারদিন :এখন তুমি আমার সাথে যাবে
ইতি :কোথায়
ফারদিন :নদীর পাড়ে
ইতি একটু রেগে বলল
ইতি :কি পেয়েছেন টা কি, আপনি যা বলবেন তাই হবে
ফারদিন রাগী চোখে ইতির দিকে তাকিয়ে বলল
ফারদিন :Of course, আমি যা চাই তাই হবে,চুপচাপ আমার সাথে চল
ইতি ফারদিনের রাগ দেখে ভয় পেয়ে যায়, কারণ ওর রাগ ভালো না যা খুশি তা করতে পারে।
ইতি আর কিছু না বলে চুপচাপ ফারদিনের সাথে যেতে লাগল।
ফারদিন ইতিকে নিয়ে নদীর কাছে গেল,ফারদিনকে দেখে যত ছেলে মেয়ে নদীর পাড়ে ছিল সবাই চলে গেল,
ইতি :এখানে কি পানিতে ডুবিয়ে মারতে এনেছেন
ফারদিন ইতির মুখে এমন কথা শুনে দিল এক থাপ্পড়, ইতি অবাক হয়ে গেল,গালে হাত দিয়ে কাদতে কাদতে বলল
ইতি :আপনি আমাকে মারলেন
ফারদিন :আর কখন এইসব কথা বলবে না, তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
ইতি কিছু না বলে গালে হাত দিয়ে কাদছে,ইতির কান্না দেখে ফারদিন শান্ত হয়ে ইতিকে জরিয়ে ধরলো
ফারদিন : I’m sorry sweetheart, কেন আমাকে রাগাও বল
ইতি কিছু না বলে চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে।
ফারদিন :এখন বসো এখানে
ফারদিন ইতিকে বসিয়ে, ইতির কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে,আর ইতি মনে মনে ভাবতে লাগল
ইতি :রাক্ষস একটা ইচ্ছে করছে এক লাথি দিয়ে পানিতে ফেলে দেই,
এর মাঝে বেল বেজে উঠল, ফারদিন উঠে বলতে লাগল
ফারদিন :যাও ক্লাসে
ইতি উঠে চলে যেতে লাগল
ফারদিন :তুমি রাগ করেছ,
ইতি কিছু না বলে চলে গেল।
ইতি ভার্সিটি থেকে হোস্টেলে ফিরলো,ইতি রুমের দরজা খুলে দেখে রুমে বেলুন দিয়ে ভরা,প্রতিটা বেলুনে সরি লেখা, ইতি সব দেখে একদম বাকরুদ্ধ, সামনে একটা টেডি বিয়ার এর হাতে একটা বোর্ডে সরি লেখা, ইতি দেখে ওর মুখে হাসি চলে আসলো,ইতি গিয়ে টেডি বিয়ারটা ধরে আদর করতে লাগল,
সানিয়া :এইসব কি, কে করেছে
ইতি :কি জানি কিন্তু খুব সুন্দর
তখনি বারান্দা থেকে ফারদিন আসলো।ইতি ফারদিনকে দেখে রেগে গেল,সানিয়া মিটিমিটি হাসছে,ফারদিন সানিয়াকে ইশারায় বলল চলে যেতে, সানিয়া কিছু না বলে চলে গেল
ইতি :কোথায় যাচ্ছিস তুই
সানিয়া :দোস্ত একটু কাজ আছে আমি একটু পর আসছি
ইতি :এই যাবি না
সানিয়া চলে গেল,ইতি সামনে তাকিয়ে দেখে ফারদিন হেসে ওর সামনে কান ধরে বলল
ফারদিন : Sorry sweetheart,,,,,, please forgive me, please
ইতি :আপনি এখানে কেন কেউ দেখে নিই তো
ফারদিন :তা নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না, আমি বারান্দা দিয়ে এসেছি,এবার বল
ইতি :কি বলব
ফারদিন :আমাকে মাফ করেছ তো
ইতি :,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ফারদিন :এখনও রাগ, কিছু তো বল
ইতি :,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ফারদিন :মাফ করবা না তো, এখন আমি মাইক নিয়ে হোস্টেলের সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সরি বলব
ইতি :কি
ফারদিন :যাই তাহলে
বলেই ফারদিন যেতে লাগল ইতি ফারদিনের হাত ধরে বলল
ইতি : না না আমি মাফ করে দিয়েছি,আপনার বিশ্বাস নেই
ফারদিন : Good
ইতি :এখন চলে যান প্লিজ, কেউ আপনাকে এখানে দেখলে আমার জন্য বিপদ হবে প্লিজ।
ফারদিন : Ok sweetheart
চলবে,,,,,,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন