সম্পর্কের দেয়াল পর্ব-১৯

0
442

#সম্পর্কের__দেয়াল
#Writer_AnaHita_Ayat_SumaiYa
#পর্ব__১৯
পাভেল যথারীতি হাসপাতালে আসলো। মায়ার কেবিনে যেতেই দেখলো ও কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। এবং দুজন ই দুজন কে দেখলো। মায়া ফোনে বললো,
‘আচ্ছা ঠিক আছে আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো এখন রাখছি বায়।’

ফোনের ওপ্রান্তে অবস্থিত মানুষ টির সঙ্গে কথা বলা শেষ করে ফোন রেখে দেয় সে। আর এক গাল হেসে বলে,
‘আরে পাভেল যে। উপপ্স হয়েছে কি তখন কথা বলতে বলতে আমার ফোন টাই অফ হয়ে গেছে। চার্জ ছিলো না তাই আর কল ব্যাক ও করতে পারি নি। আমি ভাবছি আপনি আরো কি না কি ভাবলেন!’

অন্য জন ও উত্তরে মুচকি হেসে বললো,
‘ইট্স ওকে। নো প্রবলেম!’

মায়া পাভেলের সাথে আর কাউকে না দেখে এদিক ওদিক তাকিয়ে রিধি কে খুঁজতে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী তো তার প্রেগন্যান্সির আর তিন কি চার মাস। একবার ওকে দেখে নিলে ভালোই হতো। কিন্তু এতো খুঁজেও কাউকে পায় না উনি। এটা লক্ষ্য করে সামনের মানুষ টা।

‘কাউকে খুঁজছেন?’

‘হ্যাঁ রিধি কই ওকে নিয়ে আসেন নি? দেখছি না যে!’

এই প্রশ্ন শুনে মানুষ টা চুপ হয়ে যায়। মানুষ টা বুঝতে পারে প্রশ্ন করা ব্যক্তি এই ব্যাপারে একেবারেই অবগত নয়। নাহলে এমন প্রশ্ন তো আসার কথা ও না। মায়া ভ্রুঁ কুঁচকে একবার পাভেলের দিকে তাকায়। কিছু বুঝার চেষ্টা করে কিন্তু সফল হয় না।

‘আর ইউ ওকে মিস্টার পাভেল?’

‘আসলে…

‘আসলে কি?’

‘রিধি আসে নি আর কি! আপনি বললেন কি জরুরী কথা তাই আমি একাই আসলাম!’

‘ওহহ এই জন্য এতো আপসেট হওয়ার কিছু নেই। ভেবেছিলাম দুজন কে একসাথে দেখবো একটু কথা বলবো এই তো।’

‘কিন্তু…!

‘আরে সমস্যা নেই পরের বার সময় করে নিয়ে আসবেন। এখন বলুন কি খাবেন চা না কফি?’

‘না না ইট্স ওকে!’

‘এতো কষ্ট করে এসেছেন খালি মুখে কিভাবে ফিরে যেতে দেই। বসুন আমি চা অর্ডার করছি! প্লিজ না করবেন না!’

তাই আর না করলো না। কফি নিয়ে এলে দুজন রিধি সম্পর্কিত কিছু কথা ও বলে নেয়। পাভেল এমন ভাবে কথা গুলো বললো যে মায়া ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে নি যে রিধি আর এই শহরেই নেই! তাদের মধ্যকার স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ও ছিন্ন হয়ে গেছে। খাওয়া শেষ এ বিনয়ী সূরে বললো,

‘তাহলে আজকে আসি!’

‘হুম হুম সামনে মাসে রিধি কে সহ নিয়ে আসবেন!’

‘আচ্ছা!’

————————

পৃথিবীর নিয়ম নীতি বড়ই আজব। তার থেকেও আজব হচ্ছে এই পৃথিবীর বুকে বাস করা মানুষ গুলো। কেউ বা নিঃস্বার্থ ভাবে সকল কে ভালোবেসে যায় আবার কেউ বা ভীষণ স্বার্থপর। নিজের স্বার্থের বাইরে দু আনা ওবধি ভাবে নি। কেউ কেউ অপরাধ করে আবার কেউ বা অপরাধ কে সঙ্গ দেয়। একটা ভাব সম্প্রসারন রয়েছে ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’ ঠিক তেমন টাই হয়। আর এই সঙ্গ ই উপহার সরূপ তাকে করে দেয় ধ্বংস। কেউ ভুল করে আবার সেই ভুল মেনে তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। অনুতপ্ত হয়। আর কেউ মনে করে তার ভুল ই তার জন্য সঠিক। অনুতপ্ত বোধ বলতে তার মধ্যে তো কিছু জাগেই না উল্টো ভুলের উপর ভুল করেই যায়। কারোই তখন মাথায় থাকে না এই ভুলের হিসাব ও তাকেই চোকাতে হবে। কোনো ছাড় নেই! কারণ পাপ বাপ কেও ছাড়ে দেয় না।

কবির সেরকম একজন। ভুল করেছে এবং তা মেনে নিয়ে ভুলের ক্ষমার জন্য ছুটে এসেছে সে হাসপাতালে। হাসপাতাল টি দুতলা বিশিষ্ট। কবির সেখানেই এসেছে যেখানের একজন ডাক্তার মায়া। মায়ার কক্ষ দ্বিতীয় তালায়। কবির নিচ তলা পুরো টা তন্ন তন্ন করে পাগলের মতো খুঁজেছে তাদের কিন্তু কারো ছায়ার ও দেখা মিলে নি।

দ্বিতীয় তলায় গিয়ে আবার একই ভাবে খুঁজতে শুরু করলো। আশে পাশের মানুষ রা হতবাক হয়ে তা দেখে যাচ্ছে কারো মুখে কোনো কথা নেই। মায়ার রুমেও ঢোকে সে কিন্তু পেছন থেকে দেখা যাচ্ছে একটা ছেলে ছাড়া মেয়ে দুটির চিহ্ন ও নেই। তাই সে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে। সব টা খোঁজা শেষে কবির মায়ার কক্ষের বাহিরে একটা বেঞ্চিতে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে। দৃষ্টি নিচের দিকে। বুক টা অনর্গল কাঁপছে। চোখ মুখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে। নিশ্বাসে তড়ঙ্গের মতো ভাসছে একটি কথা,

‘তাহলে কি আমি আমার পাপ মোচনের সময় পাবো না? পারবো না আমার স্ত্রী কে বাঁচাতে? হে আল্লাহ শেষ একটা চান্স তো দিয়ে দেন প্লিজ!’

ক্লান্ত হয়ে অন্তর থেকে আল্লাহ আল্লাহ জপ করতে থাকে সে।

মায়ার কেবিন থেকে বের হওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতেই ফোন টা বেজে উঠে। রিমি কল দিয়েছে দেখে রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে সে জানালো,

‘হ্যাঁ বলো?’

‘মা বাড়িতে এসে পৌঁছেছেন এখন তোমাকে চাচ্ছে কি করবো এবার?’

‘আমি এক্ষুনি আসছি!’

পাভেলের উদ্বিগ্নতা দেখে মায়া বললো,

‘কি ব্যাপার কোনো সমস্যা?’

‘না আসলে মা বাড়িতে ছিলো না অনেক দিন। খালার বাড়িতে ছিলেন। আসতেই চাচ্ছিলেন না তাই বলেছিলাম আমি অসুস্থ যাতে তাড়াতাড়ি চলে আসে। রিমি বললো মা এসে পৌঁছেছে এখন আমাকে না দেখলে তো চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিবে!’

পাভেল কথা টা বলতে বলতে নিজেই হাসলো পাশাপাশি অন্য জন ও। তবে উনি ভ্রুঁ কুঁচকে বললো,

‘রিমি আপনাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে নাকি?’

‘ও্ ব্ হ্ হ্যাঁ!’

মুখ ফসকে ওর নাম নিয়ে ফেলায় প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আটকে যায় সে। কথা শেষ হওয়া মাত্র সে তাড়াহুড়ো করে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়। মায়া দেখলো ও ওর ফোন টা রেখে চলে যাচ্ছে। তাই সে ফোন টা নিয়ে পেছন পেছন এসে দেখলো পাভেল কিছু দূর চলে গিয়েছে। কবির পাভেল কে দেখলো ওবথি কিন্তু চিনতে পারলো না। মায়া আর কাউকে না দেখে নিজেই ডাক দিয়ে বললো,

‘পাভেল আপনি আপনার ফোন ফেলে যাচ্ছেন!’

আরো ৩ বার নাম ধরে ডাকতে হয় তারপর ঐ মানুষ টা শুনলো। প্রথম দুবার কবির এই নাম টা শুনতে পায় নি তৃতীয় বারের সময় শুনতে পেয়ে মারাত্মক রকমের চমকে উঠে সে দাঁড়িয়ে যায়! দ্রুত এগিয়ে আসে সে দিকেই যে দিক থেকে কন্ঠ টা ভেসে আসছিলো! গিয়ে দেখে একজন ডাক্তার আর একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। কবির কিছু না বুঝে শুনেই আচমকা পাভেলের পায়ের কাছে বসে পা ধরে বলতে থাকলো,

‘ভাই আমাকে মাফ করে দেন! আমি ভুল করে ফেলেছি ভাই। আমার বউয়ের প্রাণ ভিক্ষা চাই আপনি ক্ষমা না করলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না। আমার থেকে আমার স্ত্রী কেও কেড়ে নিবেন। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন ভাই। আমি অনেক বড় ভুল করেছি!”

মায়া আর পাভেল উপস্থিত কান্ডে থতমত খেয়ে যায়। মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে যেনো সব। কে এই লোক? কোথা থেকে আসলো? আগে তো কোথাও দেখি নি! কিন্তু ইনি আমার কাছে মাফ কেন চাইছে? এই টাইপের অনেক গুলো প্রশ্ন মাথায় দোল খেতে থাকলো। এক পর্যায়ে সে বলে উঠলো,

‘আ্ আরে এসব কি করছেন? পা ছাড়ুন আমার। ছাড়ুন বলছি!’

‘না আমি পা ছাড়বো না! বলুন না ভাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন?’

‘আরে আগে আপনি আমার কথা শুনুন উঠুন প্লিজ!’

কবির অনেক রিকোয়েস্টের পর উঠে দাঁড়ায়। মায়া এক গ্লাস পানি নিয়ে এসে ওর দিকে এগিয়ে দেয়।

‘নিন পানি খান শান্ত হোন!’

এক নিশ্বাসে পানি টুকু খেয়ে নিলো সে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে বেচারা। ওরা দুজন অবাক ই হচ্ছে শুধু। লোকটা পাগল নয়তো? কিছুক্ষণ থেমে ভালো করে লোক টা কে একবার পরখ করে নিয়ে বললো,

‘কে আপনি? আর আমার কাছে কেন মাফ চাচ্ছেন! আমি তো আপনাকে চিনি ও না!’

কবির উত্তর না দিয়ে বাচ্চাদের মতো কেঁদেই যাচ্ছে।

‘আরে শান্ত হোন। আর বলুন কি হয়েছে নাহলে বুঝবো কিভাবে আমি?’

কথাটা শুনে ও চট জলদি পাভেল কে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘আপনার মা ঠিক আছে তো ভাই?’

‘আমার মা?’ (এবার তো আরো বেশি অবাক। সোজা সাবজেক্ট টা মায়ের দিকে ঘুরে চলে এলো কি করে?)

‘হ্যাঁ ভাই আমি আপনার বউ কে ঔষধ দিয়েছিলাম আপনার মা কে প্যারালাইসিস করার জন্য!’

‘হোয়াট…?’

মায়ার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। পাভেল মায়ের প্যারালাইসিস এর কথা শুনতে পেয়ে কবির কে আচমকা মারতে শুরু করে।

‘আমার মা কে প্যারালাইসিস করতে ঔষধ দিয়েছিস মানে কি শুয়রের বা**!’

মায়া বিবেক বুদ্ধি লোপ পাওয়া মানুষের মতো থ হয়ে দেখলো সব। তারপর যখন মনে হলো পাভেল কে আটকানো উচিত তো সে গিয়ে পাভেল কে জোড় করে আটকায়।

‘আমাকে ছাড়ুন মায়া। ওর কত বড় সাহস আমার মা কে ও…! তোকে তো আমি মেরেই ফেলবো!’

‘প্লিজ মিস্টার পাভেল শান্ত হয়ে যান। লোক টা কি বলতে চাচ্ছে শুনুন সব টা। আমার মনে হচ্ছে কোথাও গোলমাল আছে। রিধি তো ওর শাশুড়ি কে খুব ভালোবাসে তাই না ও কেন এমন কিছু চাইবে! প্লিজ পাভেল কন্ট্রোল ইউর সেল্প’

কবির মার খেয়ে ও মুখে কোনো টু শব্দ ও করলো না যে আমাকে মারবেন না। আমার ব্যথা লাগছে এই রকমের কিছু। মায়া ওর দিকে এগিয়ে এসে বললো,

‘আপনি কে কি বলতে চাচ্ছেন জানেন আপনি? আপনি উনাকে চিনেন?’

ও একটা লম্বা নিশ্বাস নিয়ে চোখের পানি মুছে কষ্ট করে উঠে দাঁড়ায়। পাভেল পায়ে কয়েক টা লাথি দেওয়ায় খুব ব্যথা পায় সে। নিজেকে সামলে নিয়ে বলতে শুরু করলো,

‘আজ থেকে সম্ভবত ১৬ কি ১৭ দিন আগে উনার বউ এই হাসপাতালে আসে ডক্টর নোহানের কাছে এটা জানতে যে কাউকে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত করে ‌মারতে কোন ঔষধ গুলো লাগে!’

‘কিহ..’

‘ও মিথ্যা বলছে মায়া ওকে একদম বিশ্বাস করবেন না!’

‘সামলান নিজেকে পাভেল। হ্যাঁ আপনি কি বলেছিলেন তা বলুন!’

তারপর কবির সব কিছু একে একে বলতে শুরু করে। কথা টা বিশ্বাস না হওয়ায় ডক্টর নোহানকেও ডাকা হয়। উনি ও বলেন সব সত্যি। মায়ার মাথায় যেনো বাজ পড়লো। রিধি এতো টা খারাপ তিনি ভাবেন নি কখনো।

‘পাভেল রিধি এমন কিছু করার কথা ভাবে আমি মানতেও পারছি না! রিধি আপনার বউ হিসেবে খুব খুশি ই তো ছিলো। আপনার মা কে নিজের মায়ের মতোই ভালোবাসে জানতাম!’

কবির রিধি নাম টা শুনে বললো,

‘ম্যাম উনার বউয়ের নাম রিধি নয় রিমি!’

‘মানে?’

এবার ওকে নির্ঘাত পাগল ভাবলেন মায়া। কারণ রিমি তো সম্পর্কে পাভেলের শালিকা হয়। তিনি এবার বললেন,

‘আপনার মাথায় না বিরাট বড় সমস্যা ডাক্তার দেখান গিয়ে। শালিকা কে বউ বানিয়ে দিচ্ছেন? ছিঃ’

মায়া একবার ও ভাবলো না যে লোকটা কে পাভেল কে চিনেই না। সে লোক তার শালিকার নাম কিভাবে জানতে পারে! তবে এবার কবিরের কথায় পাভেল প্রচন্ড রকমের শক খায়। তাই সে বললো,

‘আপনার কাছে কোনো প্রমাণ আছে এসবের?’

কবির কিছু একটা গভীর ভাবে ভেবে নিজের ফোন টা বের করে বলো,

‘এই ছবি টা দেখুন। আমার স্ত্রী কে সিজার করানোর জন্য ত্রিশ হাজার টাকা গ্যাপ পড়ে যায়। তাই আমি যখন ঔষধ নিয়ে আসি ভাবছিলাম যে উনারা যদি টাকা না দেয় দূর থেকে একজন লোককে দিয়ে লুকিয়ে তোলানো এই ফটো দিয়ে উনাদের ব্লাকমেইল করবো। এই ফটো টার থেকে বড় প্রমাণ আর আমার কাছে নেই। আপনার বউ রিমি আর সঙ্গের জন দিশা। ভাই আপনার মা ঠিক আছেন তো? আমি ভুল করেছি বলে আল্লাহ আমার সন্তান কে কেড়ে নিয়েছে আমার বউ এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন! আমি মাফ চাই আমার পাপের জন্য ভাই!’

পাভেলের এবার বিশ্বাস করতেই হলো। ফটো টাতে সব স্পষ্ট কবিরের হাত থেকে ঔষধ নিচ্ছে রিমি। পাশেই দিশা দাঁড়ানো। পাভেল হাসপাতাল থেকে পাগলের মতো দৌড় দেয় বাড়ির উদ্দেশ্য। রিমি এতো টা নিচে নেমে যাবে ভাবতে পারে নি। মায়ের জীবন বাঁচানোর আগেই মাথায় ঘুরতে থাকলো তার মা মরে গেছে। আপন বলতে কেউ রইলো না তার। আর মন বলছে,

‘তুই এতিম হয়ে গেছিস পাভেল। তোর বউ রিমি তোর মা কে মেরে দিয়েছে!’

———————-

ওদিকে রিমি ঠান্ডা শরবত নিয়ে আসার নাম করে শরবতের মধ্যে এতো দিন অপেক্ষা কৃত ঔষধ গুলো ও মিশিয়ে দেয়। ব্যাস একটু একটু করে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত হয়ে পড়বে পাভেলের মা। ভাবতেই কি যে খুশি লাগছে। রিমি যেই না শরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে ড্রয়িংরুমের দিকে এগোতে নিবে ওমনি তার ফোন টা বেজে উঠে। দিশা ফোন করেছে দেখে এক হাতে সে ফোন টা রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে দিশার মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন,

‘রিমি রে ডাক্তার রা বলছেন আমার দিশার নাকি ক্যান্সার হয়েছে। দিশা নাকি মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত!’

ব্যাস এই টুকু কথা শুনে সারা শরীরে কাঁপুনি ছুটে যায় রিমির। শরবতের গ্লাস হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়…!

চলবে___________________