অতিরিক্ত চেয়েছি পূর্ণতায় পর্ব-০৬

0
330

#অতিরিক্ত_চেয়েছি_পূর্ণতায়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৬

রাফিয়া বইপত্র গুছিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্য বের হতে নিলে পথ আঁটকে দাঁড়ায় রুজহান। তাকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠে সে। ঢোক গিলে মুখের মাস্ক শুদ্ধভাবে টান টান করে নেয়। রুজহান তার সামনে থাকা রমণীর আপাদমস্তক গভীর চাহনী নিয়ে পরখ করে। যেন সে চোখের দ্বারা রমণীকে ক্যামস্ক্যান করে ফেলছে। ছেলের বখাটে স্বভাবের দায়ে ঠাস করে চ’ড় লাগিয়ে দেয় রুজহানের গালে সে। বেচারা হতভম্ভ হয়ে গেল। কি এলাহি কান্ড করল যে চ’ড় খেল! চোয়াল শক্ত করে বলে,

‘চ’ড় দিলি কেন!’

‘না দিয়ে কি মিষ্টি দেব! ওমন বখাটের মত চোখ দিয়ে গিলছেন কেন!’

‘তোর মত মাথায় ভরা গোবরকে গিলতে আমার বয়েই গেছে!’

‘হু তা দেখতেই পাচ্ছি।’

রুজহান শুনে ভাব নিয়ে দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়ায়। এতে রাফিয়ার পালানোর পথটুকু মিটে গেল। হতাশার দৃষ্টিতে তার ফুফাতো ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,

‘রাস্তা ছাড়লে খুশি হতাম মশাই।’

‘ছাড়তে যে মন চাইছে না। ইভটিজিং ওয়ালা ফিলিং হচ্ছে। এই বুকে….।’
নিজের বুকের উপর বারদুয়েক মৃদু আঘাত করে প্রেয়সীর উদ্দেশ্য বলে,
‘তোমার রুপের আগুনে জ্বলছে যেতে মন চাইছে।’

‘পানিতে নাকানিচুবানী খেতে না চাইলে পথ থেকে সরে দাঁড়ান।’

‘ম্যাডাম আমি ধরেই বা রাখলাম কবে যে সরব! এখনো ধরেনি পূর্বেও ধরেনী। তবে ভবিষ্যতে ধরবই ধরব। কারণ একবার না ধরার ফলে তোমার এই করুণ পরিণতি।’

রুজহানের শেষাক্ত কথায় কোন কথার ইঙ্গিত করা হয়েছে তা বেশ বুঝতে পেরেছে রাফিয়া। মুখটা মিইয়ে গেল তার। তপ্ত শ্বাস ফেলে ক্ষণিকের কথাও দমিয়ে রাফিয়ার রুম থেকে প্রস্থান করল রুজহান। দৃষ্টিনত অবস্থায় রাফিয়ার দুচোখ বেয়ে একফুটো জল গড়িয়ে পড়ে। যা নিমিত্তে হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে মুছে ফেলল সে। ভাবে জীবনে যাকে পেতে চেয়েছিল সেই বেঈমানের কাতারে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছে, যাকে পেতে চাইনি বা যাকে নিয়ে কখনো কল্পনাও করেনি সেই কিনা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে গিয়েছে! এর প্রতিদান কেমনে দেবে সে। কখনো যদি সুযোগ আছে তবে এর সদ্যব্যবহার করবে সে। মুখশ্রীর মধ্যে মৃদু হাসি ফুটিয়ে রান্নাঘরের সামনে যায়।
অন্যথায় মিসেস আরজিয়া তার ছেলের ক্লেশকর মনভাবের ফলে ব্যথিত হলেও রাফিয়ার জন্যে তিনি বিশেষভাবে আপসোসপূর্ণ মনভাব পোষণ করে। কেননা সে ভালোবেসে সুখ পেতে গিয়ে ঠকে হয়েছে শক্ত,কঠিন! সেই কঠিন হৃদয়ে প্রণয়ের বীজ রুজহান কিভাবে ফুটাবে সেটা শুধু সেই জানে।
কিচেনে এসে ফুপিকে না পেয়ে রাফিয়া এদিক ওদিক তাকায়। তখনি ধপ করে তার মাথায় আপেলের বারি দেয় রুজহান। নিজের দাঁত দিয়ে আপেল চাবাতে থেকে জিজ্ঞেস করে।

‘কি রে কিচেনে কি চুরি করছিস! চাকু টাকু নিয়ে কাউরে খুন করবি ভেবেছিস নাকি। দেখ এমন কথা ভাবলে আগেবাগে বলে দেয় তোর পার্টনার নাবিলকে খবর দিয়ে রাখব। যাতে খু’নে’র দায়ে মামলা হলেই জামিন পেয়ে যাস।’

‘ইডিয়েট বয় আমি ফুপিকে খুঁজছি।’

‘ছিঃ রাফু তুই আমার মাকে বেছে দেওয়ার বুদ্ধি এটেঁছিস! আজ এর ফায়সালা আমি করেই ছাড়ব।’

‘চ’ড় নামক খাদ্যটি ভুলে গিয়েছেন মনে হচ্ছে।’

‘তুই আর চ’ড় ! কবে মা’রলি রে।’

গালে হাত রেখে ভাবান্তর হওয়ার ভান ধরে বলে রুজহান। রাফিয়া রীতিমত বিরক্ত হয়ে
পাশ কেটে যেতে নিলে হঠাৎ মুখ থুবড়ে ধপাস করে মেঝেতে পড়ে সে। মৃদু আর্তনাদে ‘আহ আহ’ করে কোমরে ধরে বাচ্চাদের মত কাঁদতে লাগল। রুজহান আশপাশ চোরাদৃষ্টি বুলিয়ে হাতে থাকা অর্ধ খাওয়া আপেলটি রাফিয়ার মুখে পুরে দেয়। এতে সে হকচকিয়ে খেল। ল্যাং মে’রে যে রুজহানই তাকে ফেলেছে সেটার প্রতিবাদ করতে চেয়ে ছিল রাফিয়া। তবে করার পূর্বেই আপেলকে বাউন্ডারি হিসেবে মুখের মধ্যে চুপের সিলমোহর লাগিয়ে দিল। আড়চোখে আপেলের দিকে তাকিয়ে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে রুজহানের দিকে তাকাল রাফিয়া। ছেলেটা ভাবলেশনহীন চট করে কোলে উঠিয়ে নেয় রাফিয়াকে। মিসেস আরজিয়া কিচেনের কাছ থেকে উচ্চস্বর শুনতে পেয়ে দৌড়ে এলো। রুজহানের কোলে রাফিয়াকে দেখে তীব্র চিন্তায় ঘাবড়ে যায়। তাদের সন্নিকটে গিয়ে বলে,

‘তাওসীফ বাবু রাফু মামুনির কি হয়েছে! ওরে কোলে উঠিয়ে রাখছিস কেন!’

‘বেশি কিছু না মা তোমার বস্তাওয়ালী মামুনির সাতসকালে কোলে উঠার ব্যারাম হয়েছে। বারংবার কানের কাছে এসে প্যাঁক প্যাঁক করে কোলে উঠবে বলে হা হুতাশ করছে। বদ’মাই’শ মেয়ে একটা।’

রাফিয়া চমকে উঠে রুজহানের বে’হা’য়া কথায়। ছেলেটা ফাজিল থেকেও মারাত্মক খব্বিশ হচ্ছে! দাঁতে দাঁত চেপে আপেলটি মুখ থেকে সরিয়ে বলে,

‘মামুনি তোমার ছেলেককে আমার সঙ্গে লাগতে বারণ করে দাও। না হলে কিন্তু …..।’

‘কিন্তু কি করবি! নিজেই ঠাস করে কোমর ভেঙ্গে হাড়গোড় হয়ে যাবি।’

চুপ হয়ে গেল রাফিয়া। দ্বিগুণ কথা যে রুজহানকে উস্কে দিচ্ছে তা বেশ ভালো আন্দাজ করে ফেলেছে সে। বিধেয় মুখ ফুলিয়ে হাত গুজে শ্বাস ছাড়চ্ছে শ্বাসকষ্টের রোগীদের মত। রুজহান বিশ্ব জয়ের হাসি দিয়ে রাফিয়াকে গিয়ে সোফায় রাখল। দিবায়েত সাহেব হা করে ছেলের কান্ড দেখে চলেছে এই দুদিন ধরে। মেয়েটা এসে থেকে শান্তি পাচ্ছে না তার বজ্জাত ছেলের কান্ডনামির ফলে। খবরের কাগজপত্র ট্রি টেবিলের উপর রেখে গলা খাকড়ি দিয়ে উঠে তিনি। রুজহান স্বাভাবিক আচরণে রাফিয়ার কাপড় ঝেড়ে দিচ্ছে একবার, তো আপেল কেটে খেতে দিচ্ছে। রাফিয়া বোবার মত চোখ ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইল। চোখের ইশারায় তার ফুপাকে নিরহ ভাবের আশ্বাস দেয়। তিনি অন্ধের মত চোখ ঘুরিয়ে সন্তপর্ণে প্রস্থান করে। রুজহান তার বাবাকে না দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। ধপাস করে করে গা ঘেঁষে বসে পড়ে রাফিয়ার পাশে। ভ্রু কুঁচকে দূরে সরে বসে সে। পুনরায় রুজহান অদেখার ভান ধরে রাফিয়ার বাহু ঘেঁষে বসল। বিরক্তির সীমানা পেড়িয়ে যাওয়ায় রাফিয়া আরেক বার সরতেই ‘আহ’ করে মেঝেতে পড়তে নেয়। তবে পড়ল না এবার। কারণ রুজহান তার বাহু ধরে হেঁচকা টান দিয়ে কোলে বসিয়ে নিয়েছে। বুক ধড়ফড়ে উঠছিল রাফিয়ার। জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে রুজহানের কোলে বসে থাকা অবস্থায়। তার মাথায় শান্ত্বনাস্বরুপ হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,

‘কোলে উঠানোর দ্বিতীয় ভয়াবহ স্টেপ ডালিং।’

চোখ টিপ দিয়ে রাফিয়াকে নামিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে সে। মাথার উপর দিয়ে গেল রাফিয়ার। হাবার মত হা করে রুজহানের যাওয়ার পথে চেয়ে রইল। কি মনে করে যেন হাতঘড়ি দেখে। সকাল আটটা চল্লিশ মিনিট বেজে গেছে। তার ক্লাস শুরু হয়ে শেষের পথে। রুজহানের কারণে দেরি হলেও প্রতিবাদ করেও লাভ নেই তার। ফলে ব্যাগ কেঁধে নিয়ে দৌড় লাগায়। ভার্সিটিতে যেতে একঘণ্টা সময় লাগে। কোনোমতে রিকশা ভাড়া নিয়ে চলল রাফিয়া।

_____

‘ডুড তুই নিজে ব্যারিষ্টার হয়ে ঘাবড়াচ্ছিস কেন! সত্য কোনো না কোনো একদিন ভাবীর সামনে আসবেই। তার চেয়ে বরং তুই স্বেচ্ছায় বলে দেয়। দেখবি এক দুদিন অভিমান করে থাকবে। পরবর্তীতে নিজ সাধে মিশবে।’

‘ব্যারিষ্টার হলেও কেস জটিল রে। পাঁচবছরের সাধনা আমার। খেলা আমি খেলছি, গুটি হিসেবে চাল খেল ইফতিয়াস। তবে সে চাল খেলেও সুখবর হলো সে নিজেই প্রতারক বের হলো। কিন্তু ইশিতার ব্যাপারটায় গন্ডগোল আছে রে! আমি চাইলেই পাঁচবছর আগে ইফতিয়াসের কাছে ভাড়াটিয়া মেয়ে পাঠিয়ে তার লালসার লোভ জাগ্রত করে রাফিয়ার জীবন থেকে দূর করে দিতে পারতাম। তবে করিনী কারণ রাফিয়ার স্বচ্ছ চোখের সত্য অশ্রু বুক জ্বালাপালা করে দিতো আমার। তাই তো ভালোবাসায় ত্যাগ স্বীকার করে পাঁচবছর আগে লন্ডন চলে যায়। ব্যারিষ্টারের উন্নত পদের স্নাতক পেয়ে দেশে আসি। নামডাক সব অর্জন করলেও হৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত নারীকে পাওয়ার লোভ শতগুণ ছিল। মাঝপথে যখন জানলাম ইশিতা নামের মেয়েটি কোনো এক কারণে ইফতিয়াসের সঙ্গে ঘনঘন মেলামেশা করছে। সেই সুবাদে আমিও বন্ধুত্বের মাধ্যমে পুনরায় রাফিয়ার জীবনে চলে এলাম। পথযাত্রা শুরু হয়ে বর্তমানে রাফিয়ার মনপ্রান্তে নিজের প্রণয়ের সুপ্ত বীজ রোপন করার পর্যায়ে উন্নত হচ্ছি।’

‘সব বুঝলাম কিন্তু তোর মায়ের ভয়ের কারণ কি! সেটা আজ অব্দি বুঝিনী।’

নাবিলের কথায় রুজহানের মধ্যে অস্বাভাবিক অস্থিরতা প্রলক্ষিত হলো। ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস নিতে লাগল সে। ব্যাপার কি বুঝতে পেরে নাবিল রুজহানকে বসিয়ে এক গ্লাস পানি এনে দেয়। সে এক ঢোকে পুরু গ্লাস পানি খেয়ে নেয়। ধীরস্থিরে রুজহানের শরীর নিস্তদ্ধ হলো। চেহারায় রাগের চিহ্নটুকু মুছে গেল। ফুটে উঠেছে অসহায়, করুণ চাহনী। ঠোঁট কামড়ে চোখ বুজে সোফার উপর গা এলিয়ে শুয়ে পড়ে। নাবিল কিছু বলতে চেয়েও বলল না। অতীতের ব্যাপারে যখনি কথা উঠে তার বন্ধুর মধ্যে অস্বাভাবিক উত্তেজনা, শ্বাসকষ্টের প্রলাপ দেখা দেয়। হৃদয়ের কোন ক্ষত সে চুপিয়ে রেখেছে তা একমাত্র সেই জানে!
রুজহানকে ঘুমের ব্যবস্থা করে রুমের লাইট অফ করে বেরিয়ে পড়ে নাবিল। বন্ধুর রেস্টের প্রয়োজন সে রেস্টে থাকুক। নিজের গেস্টহাউজ থেকে থানার উদ্দেশ্য বের হলো নাবিল। রুজহান ও সে অবসর সময়ে তার গেস্টহাউজে চলে আসে। খোলামেলা নদীর মাঝে গেস্টহাউজটি হওয়ায় বাতাসের অনুভূতির সঙ্গে পরিবেশের স্নিগ্ধতা মন শান্ত করার অন্যতম ওষুধ বলে মান্য করে তারা। পুলিশের জিপে বসে থানার পথে চলে যায়।

____

ভার্সিটির মধ্যে রাফিয়া তার ফিন্যান্স ক্লাসের সমাপ্তির পর লাইব্রেরিতে চলে আসে। নতুন ছাত্রী হওয়ায় সকলে তাকে নিচু দৃষ্টিতে পরখ করে এবং নিজেদের মাঝে সিনিয়র ভাব এনি রাখে সর্বদা। কথা বলতে গেলে অহং দেখিয়ে চলে যায়। ফলে নিজ উদ্দিনে লাইব্রেরিতে এসে বই খুলে বসে রইল রাফিয়া। ইউনিভার্সিটিতে পুরুষ ও মহিলা আলাদা ক্লাস হলেও লাইব্রেরিতে সকলে একসঙ্গে বসে পড়াশুনা করে। বই খুলে পড়ছে সে। কি পড়ছে তাতে রাফিয়ার খেয়াল নেই! সে ব্যস্ত গত দুদিনে রুজহানের বিহেভর নিয়ে ভাবনার জগৎ এ হারানোয়! মেডিক্যালে কে এনেছিল এখন অব্দি জানতে পারেনি রাফিয়া। মনের কোণায় দোয়া করে একবার যেন সেই ব্যক্তির দেখা পায় ! তার ফুপিকে জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘কে এনেছে তা জানি না রুজহান বলে ছিল তাকে নাকি কে কল দিয়ে বলছে তুই মেডিক্যালে ভর্তি আছিস!’
সেইটুকু কথার পরিধি পরিমাপে বুঝতে সক্ষম যে রুজহানের কাছে কোনো না কোনো এভিডেন্স আছে বোধ হয়।
আকস্মিক রুজহানের কথা ভাবায় তার গালে অভিমানী ছাপ সৃষ্টি হলো। মেডিক্যালে সেদিন জোরপূর্বক নাস্তা খাওয়াতে নিলে ক্ষুধাহীন রাফিয়া মুখ ছিটকে উঠে। যার কারণে জেদ দেখিয়ে রুজহান খব্বিশ স্যুপের বাটির মধ্যে থাকা স্যুপ ইঞ্জেকশনে ভরে নেয়। গরম স্যুপের কারণে ইঞ্জেকশনও গরমে লাল হয়ে বুদবুদ করে উঠছিল। শয়তানি দৃষ্টিতে রাফিয়ার দিকে চেয়ে পাগলের মত হাহা করে হেসে দেয় রুজহান। রমণী বাহু ধরে ইঞ্জেকশন দিতে নেয় সে। ভীত মনে চিৎকার দিয়ে তৎক্ষণাৎ গরম স্যুপ খেয়ে নেয় রাফিয়া। ঢোক গিলতে নিলে তার গলা পুড়ে ছারখার হওয়ার মত উপক্রম হলো। রুজহানের মুখ গম্ভীর হলো রাফিয়ার করা কাজে। শীতল স্পর্শে রাফিয়ার ঠোঁটে লেগে থাকা স্যুপের এঁটো মুছে দেয় রুজহান। চিনি মিশ্রিত ঠান্ডা দই এক চামচ রাফিয়ার ঠোঁটের অন্দরে পুরে দেয়। তথাপি গলার পুড়া স্থানটি ঠান্ডায় প্রবাহে শান্ত হলো। উগ্র অমায়িক ভয়ানক রুপ দেখাতে বাধ্য করতে ওস্তাদ তিনি।

‘তুমি কি এখানে নতুন!’

অপরিচিত ছেলের কণ্ঠস্বর পিছন থেকে আসায় রাফিয়া শুনে পিছে মোড়ে। ছেলেটিকে দেখে বড়জোড় শক খেল। সে এই কাকে দেখছে!

চলবে…..