অতিরিক্ত চেয়েছি পূর্ণতায় পর্ব-০৯

0
293

#অতিরিক্ত_চেয়েছি_পূর্ণতায়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৯

রাতের আঁধারে ছাদে একলা দাঁড়িয়ে আছে রাফিয়া। তার মনের ধারে চলছে বিস্তর শূন্যতা। আনমনে সুরেলা কণ্ঠে গেয়ে উঠে।
‘এক নিমিত্তে চেয়েছিলাম তোমায়,
সেই সীমানায় তুমি দিলে একরাশ শূন্যতা,
তোমার শূন্যতায় আমি হলাম কাঙাল।
কাঙালের প্রাণে প্রণয়ের সুপ্ততা কি কখনো ফুটবে!
কখনো কি ফুটবে একবিন্দু পরিমাণ প্রণয়ের বীজ!
কখনো গেয়ে উঠবে প্রণয়ের সুরেলা সুর!’

‘সুরও উঠবে,বীজও ফুটবে,শূন্যতার জবাব হলো অতিরিক্ত চেয়েও নেব পূর্ণতায়।’

আকস্মিক কারো দৃঢ় কণ্ঠ শুনে নিজের অন্যমনস্কের গানের সুর থামিয়ে দেয় রাফিয়া। চট করে পিছে ঘুরে দেখে রুজহান দুহাত পকেটে গুজে দরজায় হেলান দিয়ে নিবিড় দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছে। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।

‘শেষে আপনি কি বলছেন!’

‘তুই যদি বয়রা হয়ে থাকিস আমার কোনো দোষ নেই। এই বল ভার্সিটির মধ্যে নতুন কে কে জুটেছে কপালে! নাকি বোকা গাধীর কেউ জুটেওনি।’

কথা বলতে থেকে রাফিয়ার নিকটস্থ এগিয়ে আসে রুজহান। রাফিয়া যথেষ্ট দূরত্ব নিয়ে দাঁড়ায়। তবে এতে পাত্তা দিল তো মনে হলো না সে। বরঞ্চ রুজহান রাফিয়ার হাত ধরে পুনরায় নিদিষ্ট স্থানে দাঁড় করিয়ে দেয়।
রাফিয়া দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

‘ইডিয়ট আমার অনেক বন্ধুবান্ধব হয়ছে হাহ্। খালি আপনারই থাকবে আমার থাকবে না!’

‘হুম এবার আমি বলি শুন। ইশরাকের সঙ্গে মোটেও কথা বলবি না। তার বান্ধবী ছাড়া বন্ধুদের ধারেকাছেও ঘেঁষতে যেন না দেখি।’

‘এ্যা নিজের আর্জি পেয়েছেন নাকি যে বলবেন আর আমি মানতে বাধ্য!’

কথাটায় রুজহান হালকা ঝুঁকে এলো রাফিয়ার মুখশ্রী বরাবর। ভড়কে উঠে সে। পিছিয়ে যায় দুকদম। বাঁকা হেসে রুজহান বলে,

‘যে কারণে পিছিয়েছিস সে কারণেই তুই বাধ্য।’

হকচকে নিজেকে স্বাভাবিক করে সটান হয়ে গেল রুজহানের সামনে রাফিয়া। আমতা ভাব করে বলে,

‘আ আমি কই পিছিয়েছি। আপনি এনা অসভ্যের মত আগালেন!’

‘এটাকে আগানো বলে না মেরি জান এটাকে বলে কিসিং রোমান্স টাইম অফ মিডনাইট।’

‘বে’…।’

‘জানি আমার খুব আদব আছে। বারে বারে রিপিট করতে হবে না। কিছু তো জানিস না। খালি বিয়া করবি,বোকা বানিয়ে নাকে দুধ খাবি এসবি করতে পারবি।’

রাগে নাক পুরু লাল হয়ে গেছে রাফিয়ার। পারলে এমুর্হুতে রুজহানের ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে দিতো। তবে কিই বা করবে এটুকুন মেয়ে দামড়া পোলার সঙ্গে তো লড়াইয়ে জিততে পারবে না। রুজহান হাহা করে হেসে বিদেয় নেই। মুখ ফুলিয়ে রাগের বশে জোরালো লা’থ দেয় লোহার বানানো রেলিং এ। যার ফলে সে নিজেই পা ধরে মুখ থেকে ‘উহ উহ’ করে পা ঢলতে লাগল। নিজের ফাঁদে নিজেই কুড়াল মা’রল!

___

ইশিতা তার ভাড়াটে ব্যক্তির হাতে টাকার বান্ডিল ধরিয়ে বলে,

‘প্রথমে একবার সহায়তা করেছিস। তার বকশিশ সহ আজকের পেমেন্ট দিলাম। নিয়ে উধাও হয়ে যাহ্। তোকে যেন এই দেশের কোনো জায়গায়ও খোঁজে না পাওয়া যায়।’

ভাড়াটে ব্যক্তি টাকা নিয়ে কুৎসিত হেসে বলে,

‘নিজের বন্ধুকে টাকা দিচ্ছিস। বিশ্বাস নেই বুঝি!’

‘না তুই ফ্রেন্ডসার্কেল এমন এক সদস্য যাকে কেউ কখনো সন্দেহের নজরেও দেখে নাহ্। তাই তো তোর সাহায্যে ষড়যন্ত্র রচিয়েছি। তবে কৈ মাছের জল প্রাণেই বেছে যায় প্রতিবার। সবচেয়ে বেশি ঠ্যাং লাড়ায় কৈ মাছের জামাই। যখনি মা’রতে চাই তখনি কোথাকার থেকে হাজির হবেই।’

ইশিতার বলা কথা শুনে যেন সেই ভাড়াটে ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভে বলে,

‘শা’লার দামড়াটে ভাব দেখে আমার গা জ্বলছে যাচ্ছিল। একটুর জন্য ম’রে যেতো রাফিয়া। তবে ঐ ব্যারিষ্টার নিজের হাত ঢুকিয়েই দিল। বেসমেন্টের ঘটনাটা ধরা সহজে সম্ভব ছিল না কারো পক্ষে। কিন্তু ঐ ব্যারিষ্টারের সেখানেও মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল। কুকুরের নাকে রাফিয়ার জিনিসের ঘ্রাণ শুকিয়ে খোঁজ পেয়েই গেল। মেডিক্যালেও সর্বনাশ করতে না করতে পুনরায় কেবিনে চলে এলো। জানিস আমার মনে হয় রাফিয়ার শরীরে কোনো না কোনো বিপদ সংকেতের তাবিজ বা ট্রাকিং কোড লাগিয়ে দিছে ঐ ব্যারিষ্টার। না হলে অতি জলদি উড়াল দেওয়ার সাধ্য হতো না তার।’

‘যা বলছিস ঠিক! ব্যারিষ্টারের সঙ্গে রাফিয়ার কেমিস্ট্রিটা কোথায়! খোঁজ লাগিয়ে দেখতে হবে। প্রতিবার এক মেয়ের পিছনে এক ছেলের সহায়তা স্বরুপ রক্ষাকবচের মত থাকা। লক্ষণ দেখে সাইকো লাভার মনে হচ্ছে।’

‘ঠাস’ করে কিছু ভাঙার শব্দে দুজনে চমকে পিছে মোড়ে। মেঝেতে কফির মগ ভেঙ্গে আছে। যে মগে কফি বানিয়ে ইফতিয়াসকে দিয়েছিল ইশিতা। হলো কি বুঝতে ভ্রু বাঁকিয়ে প্রশ্নাত্মক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে স্বামীর উপর সে। শেষের কথায় কি এমন বলল যে তার স্বামী প্রতিক্রিয়া করে উঠল। ভাড়াটে ব্যক্তি ইশিতার চোখের অনুসরণ দেখে গলা খাঁকড়ি দিয়ে উঠে। বিনিময়ে ইফতিয়াস ও ইশিতার চোখাচোখি হলো। ইশিতা দৃষ্টি সরিয়ে ভাড়াটে ব্যক্তির দিকে চেয়ে বলে,

‘শোন তুই যাহ্। আর পারলে আজকের মত গা ঢাকা দিস। গুড লাক।’

ভাড়াটে ব্যক্তি মাথা নেড়ে বিদেয় নেয় নির্জন গুহা থেকে। যেখানে নদী,আলো,বাতাস ও ভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করে রেখেছিল ইশিতা। ইচ্ছেকৃত শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে কেসের মধ্যে ফেলে স্বামীকে নিয়ে শহর থেকে দূর দূরান্তরের স্থানে শায়িত হয়েছে সে। ভাড়াটে ব্যক্তি চলে গেলে সোজা স্বামীর নিকটস্থ হয়ে তার গালে হাত রাখে ইশিতা। ইফতিয়াস নিরুত্তক দৃষ্টিতে তাকায়। ইশিতা মুখ খুলে কিছু বলবে তার পূর্বেই ইফতিয়াস অস্বাভাবিক রুপে তাকে জাপ্টে ধরে মিলনের আহ্বান জানায়। ইশিতাও স্বামীর পরশ,ছোঁয়ায় পূর্বকথিত ঘটনা ভুলে মিলনের স্বাদ উপভোগে ব্যস্ত হলো।

_____

দেখতে দেখতে একমাস পেড়িয়ে গেল স্বাভাবিক ভাবে সবার জীবন এগোচ্ছে। রাফিয়া ভার্সিটি যাচ্ছে,রুজহান তাকে উৎক্ত করে যা তার প্রতিদিনকার রুটিন। দিবায়েত সাহেব ও মিসেস আরজিয়া আলাপ করে বিবেচনায় রেখেছে আগামী মাসে রুজহানের ইলেকশনের উপর যে মামলা দায়ক কেস সমপর্ণ করা হয়েছে। তার সমাপ্তির পরই গায়ে হলুদ ও এনগেঞ্জমেন্টের আয়োজন করা হবে। যা রুজহান ও রাফিয়ার অগোচরে হবে। বলাবাহুল্য একপ্রকার উপহার দুজনের জন্য। এতে দুজন দুজনার প্রতি কি অনুভব করে তাও বুঝতে সক্ষম হবে।
আজ রাফিয়া ইকোনমিকের ক্লাস শেষে ক্যান্টিনে গেল। হাতে মোটা দুটি বই। একটা টেবিলের চেয়ার টেনে বসে বই খুলে পড়তে লাগে। ক্যান্টিনে কর্মরত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,

‘ভাইয়া ওয়ান স্যান্ডউইচ এন্ড ওয়ান কফি প্লিজ।’

‘ওকে সিস্টার।’

বিনিময়ে বইয়ের দিকে দৃষ্টপাত রাখল রাফিয়া। কিঞ্চিৎ সময় পর তার পাশে স্যান্ডউইচ ও কফি রেখে ভাইয়াটা চলে যায়। রাফিয়া হাত দিয়ে বাটিতে থাকা স্যান্ডউইচটা নিতে গেলে বাটি খালি পেয়ে থুতনী তুলে তাকায়। হা হয়ে যায় তার স্যান্ডউইচের বাটিতে স্যান্ডউইচ নেই। আশ্চর্যের নেত্রপল্লবে চর্তুপাশ্বে নজর বুলায়। কিন্তু কাউকে দেখল না তার স্যান্ডউইচ চুরি করতে। তথাপি কর্মরত ভাইয়ার ভুল ভেবে ডাক লাগায়। তিনি এসে বলে, ‘জি আপা!’
রাফিয়া সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে চেয়ে বাটির দিকে ইশারা করে। তিনিও বাটি খালি দেখে বলে,

‘ওহ আপনি খেয়েছেন তাহলে বিল পেমেন্ট করবেন আনছি ওয়েট।’

‘আরে আরে শুনেন আমি কবে খেলাম বরং আপনি খালি বাটি এনে রেখেছেন।’

‘এ্যা!’

ছেলেটা বোকা বনে গেল রাফিয়ার কথা শুনে। কেননা সে নিজ হাতে স্যান্ডউইচ বানিয়ে ওমন সুন্দরী রমণীর জন্য সাজিয়ে এনে রেখেছিল টেবিলে। তবে কই গেল! মাথা চুলকে বলে,

‘আপু এই হাত দিয়ে আপনার জন্য স্যান্ডউইচ ও কফি বানিয়ে রাখছি। আপনি বলছেন খান নাই মজা করছেন কেন!’

রাফিয়া অবাক সহিত কণ্ঠে বলে, ‘কি কফিও রাখছিলেন কই আমার দুপাশে না আছে স্যান্ডউইচ, না আছে কোনো কফির মগ।’

ছেলেটা চর্তুপাশ্বে ছাত্রগণের দৃষ্টপাত দেখে ঢোক গিলে বলে,

‘আপু আপনি অপেক্ষা করুন আমি আরেক বার আনছি।’

কিছুক্ষণ পর ছেলেটা আবার খাবার এনে রাখল। রাফিয়া পড়ার মাঝে পুনরায় বাটি খালি পেয়ে সূক্ষ্ম গোয়েন্দা নজরে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়। দুহাত বুকের উপর গুজে কিঞ্চিৎ সময় চোখের দৃষ্টি এপাশ ওপাশ ঘুরিয়ে তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,

‘আপনি আমাকে বিরক্ত করতে এখানেও চলে এলেন!’

‘কে আমি!’

অন্য পুরুষের কণ্ঠনালি শুনে থতমত খেল রাফিয়া। ইশরাক হা করে নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। তার মাথায় ঢুকল না কোন কথা রাফিয়া বলল তাকে উদ্দেশ্য করে। সেও ইশরাককে মোটেও আশা করল না এমুর্হুতে। সে তো মনে ভেবেছিল রুজহান ভাইকে। বিধেয় হাসার চেষ্টা করে বলে, ‘না না আপনাকে বলিনি।’
ইশরাকের হাস্যজ্জ্বল মুখ কালো হয়ে গেল। মিনমিনে কণ্ঠে বলে,
‘অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করছিলে!’

‘ইয়েস রাফু তার জামাইরে এক্সপেক্ট করছে।’

রুজহানের কণ্ঠ শুনে দুজনে গোল চোখে বেক্কলের মুখশ্রীর ন্যায় চাই। সে সটান শরীর নিয়ে স্মার্টনেসের মত হেঁটে আসছে তাদের দিকে। একহাতে তার খিচুড়ির বাটি। অন্যহাতে একটি কোল্ড ড্রিংক। ইশরাক ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।

‘কে আপনি!’

রুজহান মুখ ফুলিয়ে রাফিয়াকে কেন্দ্র করে বলে,

‘হোয়াট ডুড তোর বান্ধবী তোরে আমার ব্যাপারে বলিনি। দ্যাটস নট গুড মেরিজান! আইম হার ফিয়ন্সে নেইম অফ ব্যারিষ্টার তাওসীফ রুজহান। নাইস টু মিট ইউ ডুড!’

ইশরাক চোখ পিটপিটিয়ে দেখে হ্যান্ডসেক করতে নিলে রুজহান আপসোসের মুখ করে তার হাতের দিকে ইশারা করে। ইশরাক দেখে কিছু বলল না। বরং ‘নাইস টু মিট ইউ টু ডুড আসছি’ বলে প্রস্থান করে। রুজহান বাঁকা দৃষ্টিতে রাফিয়ার দিকে চেয়ে বলে,

‘মেরিজান খাবার এনেছি চলো খেতে বসি।’

রাফিয়া ভাব দেখিয়ে চলে যেতে নিলে রুজহান কদম এগিয়ে নিতে নিলে বেচারী ভীতিগ্রস্থ হয়ে বসে পড়ে। বিড়বিড়ে ‘পার্ভাট’ উপাধি দেয় রুজহানকে সে। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)

_____

নাবিলের বউ গালে হাত দিয়ে লান্স করার জন্য তার স্বামী অফিসার নাবিলের দিকে চেয়ে আছে। অথচ তিনি ব্যস্ত ফাইল ঘাঁটাঘাটির মধ্যে। বসে অপেক্ষা করতে করতে ঝিমিয়ে উঠছে তার বউ। পরক্ষণে মাথা হেলিয়ে পড়তে নিলে ধড়ফড় করে উঠে সে। রাগান্বিত দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে নাবিলের কাছে গিয়ে তার কলার চেপে ধরল। টেবিলের নিকটস্থ এসে তার বউ নিজের সঙ্গে বসায় আর বলে,

‘তোর চোখে খালি কাজই পড়ে,না আমিও পড়ি। কাজ রে তো আর বউ বানাস নাই খব্বিশ একখান!’

ভেজা বিড়ালের মত ঢোক গিলে নাবিল। বৃথা হেসে বলে,

‘বউ কাজ করছি এ..।’

‘একটু পর’ বলতে গিয়েও পারল না। কারণ তার বউ খুব শান্ত চোখে তাকিয়ে আছে। যা ঝড় আসার পূবার্ভাস। ফলে অপরাধ ধাতস্থ করে খাওয়ার জন্য হাত ধুতে গেল। হাত মুছে যেই না বউয়ের সঙ্গে খেতে বসবে তখনি কেবিনে কনস্টেবল এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা অবস্থায় ভেতরে প্রবেশ করে। থমকে যায় নাবিল ও তার বউ। দায়িত্ব সামনে এলে সে কঠোর হতেও দ্বিধা করে না। ফলে বউয়ের দিকে নিসাড় চোখে তাকায়। যার অর্থ কি বোঝায় তার বউ বুঝে যায়। অন্যত্রে নিজের রাগ দমিয়ে বিনা বাক্য ব্যয়ে খাবারের পেকেট হাতে নিয়ে নেয়। নাবিলের কেবিনে এটার্চ করা রুমে গিয়ে বসে। নাবিল রুক্ষ নজরে ব্যক্তির দিকে এগিয়ে কপাটে তীব্র এক চ’ড় লাগায়। ব্যক্তিটি চ’ড়ের ঘাতে মেঝেতে গিয়ে পড়ে।

চলবে….