অন্তরালে কুয়াশার ধোঁয়া পর্ব-০৩

0
645

#অন্তরালে_কুয়াশার_ধোঁয়া
#পর্ব_3
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


আজকে বড়ো বাঁচা বাঁচ্ছি,ঝুমুর!লোকটাকে যে রাগানিত লাগছিলো,মনে হচ্ছে ছিলো ধরতে পারলে আর রক্ষে নেই।(মিতালী গাড়ি চালাতে চালাতে)

আমারও মনে হয়ে ছিলো।প্রাণ বের হতে হতে বাঁচলো।(আমি পেছনের সিটে জানালার পাশে বসে হাওয়া খেতে খেতে)

তোমার কি মনে হয় ওই লোক তোমাকে পেলে আস্ত রাখবে?(মিতালী লুকিং গ্লাস দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে)

আমিও ওর দিকে তাকিয়ে
আমাকে পেলেতো!এই দেশে কতো মানুষ আছে।এতো মানুষের ভিড়ে আমাকে কি খুঁজে পাওয়া সম্ভব?

যে খোজে সে ঠিক তার কাঙ্ক্ষিত জিনিস পেয়ে যায়!(মিতালী বাকা চোখে তাকিয়ে)

এখন কি তুমি চাও,ওই লোক আমাকে খুঁজে পান।আর আমাকে বিনা ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে দিক।?(আমি কপাল কুচকে)

আমি তা বলিনি। যাই হোক তোমার রেস্টুরেন্ট এ এসে পড়েছি।এখন নামো।(মিতালী গাড়ি থামিয়ে)

কিন্তু এই তর্ক কিন্তু নেক্সট টাইম পর্যন্ত চলবে।মনে রেখো(আমি গাড়ি থেকে নামতে নামতে)

ওকে ওকে।এখন চলো।
বলেই মিতালী গাড়ি থেকে নামলো।


অন্যদিকে
Disgusting!এমন লোকদের নর্দমায় ফেলে দেয়া উচিত।তাহলে বুঝবে কতো ধানে কত চাল।ভদ্রতা যেনো এদের শেখানোই হয়নি।(অভ্র নিজের শার্ট ঝাড়তে ঝাড়তে)

স্যার।বাড়িতেই তো এসে পড়েছি।(ড্রাইভার)

হ্যা।চলো।
বলেই অভ্র একটা বিল্ডিং এ ঢুকলো।সেই বিল্ডিংয়ের একটা ফ্ল্যাটে উনি থাকেন।



রেস্টুরেন্ট এর সামনে দাঁড়িয়ে মাথা উচু করে তাকিয়ে নামটা দেখছি।নামটা দেখেই চোখের এক কোণে কিছু ক্ষুদ্র পানি জমে গেলো।কাধে মিতালীর হাত পড়তেই ভাবনার জগৎ থেকে ফেরৎ আসলাম,,

ঝুম ঝুমুর রেস্টুরেন্ট!(মিতালী আমার কাঁধে হাত দিয়ে নামটার দিকে তাকিয়ে)

আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলাম।এইটা শুধু নাম না এইটা একটা গন্তব্য যেটা আমি আর আমার ছেলে মিলে পার করেছি।আমাদের মা ছেলের গন্তব্য আজ একটা নামে।

চলো মিতালী।
বলেই চোখে কালো চশমা পড়লাম।একদম বসের মত এন্ট্রি নিলাম।
দুপাশে শেফ আর ওয়েটাররা দাড়িয়ে আছে।এখনও রেস্টুরেন্ট খোলা হয়নি।আজ সন্ধ্যার পর থেকে ঝুম ঝুমুরের যাত্রা শুরু।

আমি ভিতরে গিয়ে স্টেজে উঠলাম।স্টেজে দাড়িয়ে,,
আসসালামু ওয়ালাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহাদুলিল্লাহ।এখন কাজের কথায় আসি।আমি জানি না আপনারা আগে কে কেমন করে এই রেস্টুরেন্টে কতোটুকু এফোর্ড দিয়েছেন।তবে এই রেষ্টুরেন্ট কোনো রেস্টুরেন্ট না এইটা একটা অনুভুতি।এইটাতে আমি চাই আপনারা আপনাদের 100 পার্সেন্ট দিন।99 percent is not allowed,is that clear?

Yes ma’am!(সবাই)

গুড।কেউ একটা ভুল করলে দ্বিতীয় সুযোগ পাবে।যদি সদ ব্যবহার করতে পারে তাহলে থাকবে না হয় আল্লাহ হাফেজ।আশা করি সব বুঝতে পেরেছেন।আর আজ আপনাদের একটা পরীক্ষা।ম্যানেজার কোথায়?(আমি উনাকে খুঁজতে খুঁজতে)

জ্বি ম্যাম?(ম্যানেজার সামনে এসে)

আজ আমার ছেলের জন্মদিন।তার প্রস্তুতি আপনারা নিবেন।এই কাগজে আমার ছেলের সব পছন্দের জিনিস পত্র লেখা আছে।এখন দেখি আপনারা কতো টুকু প্রস্তুতি নিতে পারেন!আর কেক বানানোর কোনো দরকার নেই। কেক আমি বানাবো।(আমি)

আপনি ম্যাম?(ম্যানেজার)

কোনো সমস্যা?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

নো ম্যাম।(ম্যানেজার)

ওকে।যে যার যার কাজে লেগে পড়ুন।আমি সন্ধ্যায় আসছি।
বলেই বেরিয়ে গেলাম।


বের হয়ে
ওয়াও। ঝুমুর, আমি তো ভাবতেই পারিনি তুমি এত সিরিয়াস হয়ে যাও।(মিতালী অবাক হয়ে)

প্রফেশনাল হতেই হয়।এখন চলো আমার বাবাটা অপেক্ষা করছে।(আমি মীতালিকে তাড়া দিয়ে)

হ্যা চলো।(মিতালী)


বাসায় যেতেই দৌড়ে ঝুম এসে আম্মু বলেই কোলে উঠে গেলো।

I missed you mom,,
বলেই ঝুম শরীরে লেপ্টে গেল।

ভালোই হয়েছে এসে পড়েছো?তুমি জানো ও তোমাকে কি মিস করেছে।অনেক অস্থির হয়ে গেছিলো তোমাকে ছাড়া,কতো চেষ্টা করছে যে অস্থির না হওয়ার জন্য তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।(আন্টি)

একদম মা ভক্ত।মা ছাড়া কিছু বোঝেন না,ঝুম মশাই।(মিতালী ঝুমের গাল টেনে)

ঝুম,I missed you too my baby,,
বলেই ঝুমের কপালে একটা চুমু দিলাম।


অন্যদিকে
ফ্রেশ হয়ে অভ্র বের হয়েই দেখলো ওর ড্রয়িং রুমের টেবিলে একটা ইনভিটিশন কার্ড পরে আছে
কার্ডটা হাতে নিয়ে
রেস্টুরেন্টের ওপেনিং?ঝুম ঝুমুর রেস্টুরেন্ট?কি নাম!ডোন্ট কেয়ার।
বলেই অভ্র কার্ডটা ডাস্টবিনে ফেলে দিলো।


সন্ধ্যায়
ঝুম চলো চলো।আজকে আমরা অনেক মজা করবো চলো চলো।
বলেই আমি ঝুমকে নিয়ে গাড়ির পেছন সিটে বসলাম।আর আন্টি,মিতালী সামনের সিটে বসলো।মিতালী গাড়ি চালাতে লাগলো।
চোখের পলকেই আমরা পৌঁছে গেলাম রেস্টুরেন্টে।


ঝুম সেখানে গিয়ে অনেক মজা করলো।সবার সাথে ভালোই মিশে গেছে আসলে মিশে গেছে বললে ভুল হবে,মিশতে চেষ্টা করছে।কিন্তু ওর বাঙালি সংস্কৃতিতে মিশতে একটু সমস্যা হচ্ছে তবে মিতালী আর আন্টির ওকে সাহায্য করছে।ওদের সাথে ওর ভালোই ভাব হয়েছে,বলতেই হবে।

অন্যদিকে আমি হিটলার এই কার্বন কপি হয়ে রেস্টুরেন্টে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছি।কারণ উনাদের অন্যান্য আয়োজন প্রশংসনীয় হলেও রান্না আমার ভালো লাগলো না।আমি সব গুলো টেস্ট করেই উনাদের খবর নিলাম।
সবাই কি ভেবেছেন,আমি বিদেশ থেকে এসেছি বলে বাঙালি খাবারের টেস্ট ভুলে যাবো এমনটা ভাববেন না।আপনাদের কাছে আর এক ঘন্টা আছে নিজেদের কুকিং স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার।আমি শিখিয়ে দিচ্ছি রান্না কি করে করতে হয়!
বলেই তাদের হাতে ধরে বুঝিয়ে দিলাম কোথায় কোথায় সমস্যা?

ম্যাম,একটু কঠিন হলে কি হবে?উনার রান্না করার দক্ষতা প্রশংসনীয়?(একটা শেফ ফিসফিস করে)

হুম।(আরেকটা শেফ ফিসফিস করে)

ফিসফিস না করে রান্নায় মনোযোগ দিলে আপনাদের দক্ষতাও প্রশংসনীয় হবে!(আমি বাকা চোখে তাকিয়ে)

ইয়েস ম্যাম।
বলেই তারা তাড়াতাড়ি কাজে লেগে পড়লো।

অতঃপর
খুব ভালো করেই সব কিছু মিটে গেলো। ঝুমেরও খুব ভালো সময় কেটেছে।যারা যারা এসেছে সবাই খাবার আর আয়োজনের প্রশংসা করেছে।আল্লাহর রহমতে সব ভালোয় ভালোয় চলেছে।


রাতে
আমি আর ঝুম বিছানায় শুয়ে আছি।আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।আর ও চোখ বন্ধ করে আছে।

মম?(ঝুম পিটপিট করে তাকিয়ে)

হুম!(আমি হাত বুলাতে বুলাতে)

কালকে কি কি করবে?(ঝুম)

কালকে?কালকে সকালে আগে তোমার স্কুলে যাবো।তোমাকে ভর্তি করে,যখন তুমি ক্লাস করবে আর আমি সুপার মার্কেট যাবো।তারপর সেখান থেকে তোমাকে নিয়ে আমাদের নতুন বাসায় যাবো।(আমি)

আমাদের বাসা কেমন?is it beautiful?(ঝুম মাথা উচু করে)

তাতো গেলেই দেখতে পারবে! নাও ঘুমাও।
বলেই ওকে জড়িয়ে শুয়ে পড়লাম।


সকালে
তাড়াহুড়া করে ঝুমকে তৈরি করে বের হলাম স্কুলে ভর্তি করবো বলে।মিতালী আর আন্টির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার শুরু করলাম আমার ছেলে আর আমার পথ চলা।
শহরের নামকরা একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

প্রিন্সিপাল স্যার এর সামনে বসে আছি।তাকে ফরম পূরণ করে দিয়েছি।উনি চশমা চোখে দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।আমি আর ঝুম একে অপরের দিকে কিছুক্ষন পর পর তাকাচ্ছি।কারণ আমরা জানি উনি কি প্রশ্ন করবে?

বাচ্চার প্রগ্রেস রিপোর্ট তো ভালো!তবে এই ফরমে শুধু আপনার নাম আছে বাচ্চার বাবার নাম নেই।কেনো?(প্রিন্সিপল)

আমি আর ঝুম দুজনই একে অপরের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম,
আসলে ওর বাবা মা দুজনেই আমি।এতে কি কোনো সমস্যা হবে?(আমি)

না।কোনো সমস্যা নেই।এখন কি আর সেই যুগ আছে!আপনার বাচ্চার ট্যালেন্ট বেশি ম্যাটার করে!(প্রিন্সিপল মুচকি হেসে)

পরেই একজনকে ডেকে পাঠালো।উনি এসে ঝুমকে নিয়ে গেলো ওর ক্লাসে।যাওয়ার আগে উনিই নাকি বই দিবেন বললো।
আমি ঝুমের কপালে চুমু দিয়ে বললাম।

ভালো ছেলে হয়ে থাকবে!

ঠিক আছে, আম্মু।
বলেই ঝুম আমার গালে চুমু দিয়ে লোকটার সাথে চলে গেলো।

তাহলে আমি এখন আসি স্যার?(আমি)

জ্বি জ্বি।(প্রিন্সিপল)

পরেই আমি স্কুল থেকে বিদায় নিলাম।


এখন বাজে দশটা।দুটোয় ঝুমের ছুটি।তাই এই ফাঁকে মাসের বাজার করতে লাগলাম।আজকে আবার ড্রাইভারও এসেছে।নতুন জয়েন্ট করেছে।তাকে নিয়েই যা যা লাগবে কিনতে শুরু করলাম।


ঝুমের স্কুল ছুটি হওয়ার পর ও গেটে দাঁড়িয়ে আছে।এমন সময় কয়েকটা ছেলে ওকে বিরক্ত করছে।কারণ ঝুম বাঙালি পরিবেশে একদম অপরিচিত, কথায় কথায় ইংলিশ বলে।যদিও এইটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল তবুও ঝুমের ইংলিশ বাকি বাচ্চাদের তুলনায় একটু বেশিই ভালো।আর তেমন বাংলাও বলতে পারে না।এই জন্য অনেকের কাছে ও খুবই অদ্ভুত।যাকে ওই ছেলেদের ভাষায় বলে ভাব নেয়া।

ওরা ঝুমকে অনেকক্ষন ধরে বিরক্ত করছিলো।কিন্তু ঝুম প্রত্যুরে শুধু চুপ করে আছে।কাউকে কিছুই বলছে না।এক পর্যায় ওরা ঝুমের উপর পানি ঢেলে দিলো।তাও ও চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।কিছুক্ষণ পর ওই ছেলেদের মধ্যে একজন ঝুমকে বিরক্ত করতে এতো মশগুল ছিলো যে একদম রাস্তার কিনারায় চলে গেলো।হটাৎ একটা গাড়ি যেই ওকে টক্কর দিতে যাবে তখনই ঝুম ওকে টেনে দূরে নিয়ে আসলো। ঘটনা এতো তাড়াতাড়ি হলো যে ছেলেগুলো ভয় পেয়ে গেলো।

Be careful,, মম বলে কেউ খারাপ করলে তার সাথে খারাপ হয়!(ঝুম খুব শান্তভাবে বললো)

ছেলেগুলো আর কিছু না বলে চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেলো।

এতক্ষন এই ঘটনা গুলো একজন লক্ষ্য করছিলো।আর সে আর কেউ নয় অভ্র।মিটিং শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে এখন অফিসে যাওয়ার পথে ওর গাড়ি খারাপ হয়ে যায়।ড্রাইভার গেছে মেকানিক খুঁজতে।আর গাড়িতে বসে বসে ও এইসব দেখলো।ওর কাছে এই ছেলেটা খুবই ইন্টারেস্টিং লাগলো।তাই ও গাড়ি থেকে নেমে ছেলেটার কাছে গেলো।

হ্যাল্লো চাম্প।(অভ্র ভাব করার চেষ্টায়)

আসসালমুআলাইকুম।(ঝুম ভ্রু কুঁচকে)

বাহ!ভালো তো।(অভ্র মনে মনে)

অলাইকুম আসসালাম।কেমন আছো?(অভ্র হাসি মুখে)

I’m good,,(ঝুম অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো)

আমাকে জিজ্ঞেস করবে না?(অভ্র)

Do I know you?(ঝুম চোখ বাকা করে)

No,you don’t! আমরা কি পরিচিত হতে পারি না!আসলে আমি দেখলাম তুমি ওই ছেলেদের কিছু বললে না।তোমাকে দেখে মনে হয় না তুমি চুপচাপ সহ্য করার মানুষ।তার উপর ওই ছেলে যখন অ্যাকসিডেন্ট করত,তুমি ওকে আটকালে কেনো?প্রতিশোধ নিতে পারতে?তাই কৌতূহল নিয়ে কারণটা জানতে এসেছি?(অভ্র কৌতূহল নিয়ে)

আম্মু বলে মানুষকে প্রতিশোধ পরায়ন হাওয়া উচিত না।প্রকৃতির প্রতিশোধ বলেও নাকি একটা কথা আছে।(ঝুম খুব কষ্ট করে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বললো)

হ্যা হ্যা(এক গাল হেসে)তুমি এইসব বুঝো?(অভ্র ঝুমের কাধে হাত রেখে)

না।তবে এইটুকু জানি রিভেঞ্জ আর রাগ ভালো না।মম সব সময় বলে ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হয়,যদিও মম কোনো দিন ঠান্ডা মাথায় কাজ করে না😩।তবুও আমি চুপচাপ দাড়িয়ে ভাবছিলাম কী করা যায়!(ঝুম সিরিয়াস হয়ে)

ওয়াও।তোমার মম তো তোমাকে এখন থেকেই তোমাকে ট্রেনিং দেয়ার চেষ্টা করছে।তবে তোমার বয়সের ছেলেমেয়েদের হাসি খুশি থাকতে হয়।বলেই অভ্র ঝুমকে কাতুকুতু দিতে লাগলো।আর ঝুমও হাসতে লাগলো। এরইমধ্যে কেউ একজন অভ্রর মাথায় লাঠি দিয়ে খুব জোড়ে বাড়ি মারলো।

তখনই ঝুম বলে উঠলো
Mom?? what have you done? তুমি ভালো আংকেলের মাথায় বাড়ি মারলে?

আমার মাসুম ছেলেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ধান্দা?(আমি রাগে)

You idiot!,
বলেই অভ্র মাথা চেপে নিচে নেতিয়ে পড়ল।


চলবে,,,