অন্তরালে কুয়াশার ধোঁয়া পর্ব-০৫

0
595

#অন্তরালে_কুয়াশার_ধোঁয়া
#পর্ব_5
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


এই যে কাচ্চি।তাড়াতাড়ি খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।
বলেই ধপ করে বিরিয়ানির বাটিটা টেবিলে রাখলাম।

আপনি কবে আবার কিডন্যাপ হলেন।
বলেই অভ্র হাসতে হাসতে ঝুম আর উনি হাতে তালি দিলো।

আমি কিন্তু একটাকেও খেতে দেবো না বলে দিলাম!(আমি রেগে)

আরে আরে রাগ করছেন কেনো?দিন দিন বিরিয়ানিকে অপেক্ষা করাতে নেই।(বলেই অভ্র প্লেটে বিরিয়ানি বাড়তে লাগলো)

উনার পর আমি ঝুমের জন্যে বিরিয়ানি বাড়তে লাগলাম।

অতঃপর খাওয়া দাওয়া সেরে মিস্টার অভ্র আমার এক গাদা প্রশংসা করে নিজের ফ্ল্যাটে চলে গেলো।

আমি প্লেট গুলো গুছিয়ে রান্না ঘরে ধুতে লাগলাম।তখন ঝুম ফ্ল্যাটটা ঘুরতে ঘুরতে বললো
Mom I love This place,,

আমি শুধু মুচকি হাসি দিলাম।

আম্মু?(ঝুম)

হুহ?(আমি রান্না ঘরে কাজ করতে করতে)

গুড আঙ্কেল ইস ভেরি গুড।(ঝুম)

আমি ওর কথাশুনে ক্ষণিকের জন্য স্তব্দ হয়ে যাই।পরেই আবার নিজেকে স্বাভাবিক করে বলতে লাগলাম,,
ভালো হলেই ভালো।

ঝুম আর কিছু বললো না।
আমিও নিজের কাজ গুলো সেরে রুমে গিয়ে দেখি ঝুম সব ঠিকঠাক করে বসে বসে বই পড়ছে।ঝুম খুবই গোছানো একটা বাচ্চা।সব সময় জায়গার জিনিস জায়গায় রাখবে।ভালো কথা গুলো লক্ষ্মী ছেলের মত মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং পালন করবে।আজও পড়া শেষ করে নিজের ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছে।
আমি ঝুমের কাছে বসে ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললাম

আজ তো আমি তোমাকে পড়াতে পারলাম না!তোমার সব পড়া কি শেষ?(আমি ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

হুম।তুমি যখন আমাদের জন্য খাবার রান্না করছিলে গুড আঙ্কেল আমাকে সব পরিয়ে দিয়েছে। জানো আম্মু উনি না অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দেন।(ঝুম আমার দিকে উৎফুল্ল হয়ে তাকিয়ে)

এই প্রথম আমি ওর চোখে এতো উৎফুল্লতা দেখছি।যা আমাকে খুবই অবাক হচ্ছে। কারো সম্পর্কে ও সহজে মন্তব্য করে না।

তুমি উনার সাথে ভাব করে নিয়েছো তাই না?আম্মু কিন্তু অনেক জেলাস!(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)

ঝুম আমার গালে চুমু দিয়ে বলল
আমার আম্মু always আমার কাছে বেস্ট থাকবে।

ওরে আমার বেস্ট ছেলেটা।অনেক হয়েছে কথা এখন ঘুমাও।কালকে স্কুলে যেতে হবে।(আমি ঝুমকে ঘুমানোর জন্য তাড়া দিয়ে)

আম্মু?(ঝুম শুয়ে শুয়ে)

হুম(আমি)

What is Papa??(ঝুম)

আমি ঝুমের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।আজ পর্যন্ত যে ছেলে আমাকে নিজের বাবার কথা জিজ্ঞেস করেনি সেই ছেলে আজ আমাকে এই প্রশ্ন করলো।ঝুম কি সত্যি সত্যি মনে মনে ওর বাবাকে মিস করে?আমি ভুল করছি ওর পরিবারকে না খুঁজে।ওকে নিজের কাছে রেখে কি আমি ওর পরিবারের ভালোবাসা থেকে ওকে বঞ্চিত করছি।

আমি মনে মনে কথা গুলো বলতেই ঝুম আমাকে ধাক্কা দিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলো
আম্মু।বলো না বাবা কি?বাবা থাকার ফিলিংস কি?

আমি তোকে কি করে বলবো বাবা?আমি নিজেই জানি না।বাবা থাকার,পরিবার থাকার অনুভূতি কি? আমি তো জানতাম আমার বাবা আছে!কিন্তু সেই থাকা আর না থাকা একই।কারণ কোনো দিন আমি তাকে কাছে পাইনি।ছোটো বেলা থেকেই বোর্ডিং স্কুলে বড়ো হয়েছি।পরিবার কি তাতো আমিই জানি না!
বাবা থাকার অনুভুতি তো আমারই অজানা।তোকে কি বলবো?(আমি মনে)

ঝুম, আমি জানি না।বাবা থাকার অনুভূতি কি?(আমি শুকনো হাসি দিয়ে)

You are just like me,, don’t worry, you have me!
বলেই ঝুম আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইল।

হুম। I still have jhum,,(আমিও ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলাম)


অন্যদিকে
অভ্রর ফ্ল্যাটে
অভ্র সাউন্ড বক্সে হালকা সাউন্ড দিয়ে বেলকনির রকিং চেয়ারে বসে গান শুনতে লাগলো,,

Kabhi hasna hai,,kabhi rona hai
Jeevan sukh dukh ka sangam hai

Kabhi hasna hai,,kabhi rona hai
Jeevan sukh dukh ka sangam hai

Kabhi Patjar hai,,kabhi saawan hai..
Yeh aata jata mausam hai..

Kabhi hasna hai,,kabhi rona hai
Jeevan sukh dukh ka sangam hai

Kuch jeene ki majburi hai
Kuch is duniya ki rasme hai..

Kuch din hai khone paane ke
Kuch vaade hai Kuch kasme hai

Ek bechani sir hardam hai

Kabhi hasna hai,,kabhi rona hai
Jeevan sukh dukh ka sangam hai

Kabhi Patjar hai,,kabhi saawan hai..
Yeh aata jata mausam hai..

Guzre hua lamho ke yaadein
Har waqt Hume tadpati hai

Ek saya banke ke Ati hai
Ek saya banke ke jati hai

Kabhi hasna hai,,kabhi rona hai
Jeevan sukh dukh ka sangam hai

Kabhi Patjar hai,,kabhi saawan hai..
Yeh aata jata mausam hai..

গানটার প্রতিটা শব্দ যেনো ঝুম, ঝুমুর আর অভ্রর পরিস্থিতি বলছে।


আম্মু আব্বু তুমি যাওয়ার পর এই প্রথম আমি পরিবার থাকার অনুভূতি পেয়েছি।ঝুম ঝুমুরের সাথে থাকলে নিজের অজান্তেই কেনো জানি মুখে হাসি ফুটে যায়।কি যেনো মায়া আছে ওদের মধ্যে!ওদের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে।কি জানি ওদের কি কাহিনী কি?তবে এইটা বলতে পারি ওদের সাথে থাকলে আমার একা লাগে না। একদিনেই কেমন যেনো আপন লাগতে শুরু করলো।
বলেই মুচকি হেসে রকিং চেয়ার থেকে উঠে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো।দাড়িয়ে আকাশ দেখতে লাগলো।আজ পূর্ণিমা।আকাশে এক ফালি চাঁদ দেখা যাচ্ছে।


সকালে
বারবার কলিং বেলের আওয়াজ শুনে ঘুম ভেংগে গেলো।

আমি উঠে হেলতে ঢুলতে দরজা খুলতে গেলাম,,
আরে আসছি আসছি।আমার রুম থেকে দরজা পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে আসতে হয় উড়ে উড়ে না। যতসব।
বলেই দরজা খুলেই দেখি জগিং করার ড্রেস পরে ক্লোজ আপ স্মাইল দিতে দাড়িয়ে আছে অভ্র।

মিস্টার অভ্র।এইসব কি ধরনের অভ্রতা?(আমি কপাল কুচকে তাকিয়ে)

দেখুন,,
বলেই উনি রুমে ঢুকে গেলো।

আপনি দেখুন! কারো বাসার ভেতর ঢুকতে গেলে পারমিশন নিতে হয়।(আমি উনার পিছু পিছু আসতে লাগলাম)

আমি সকালে উঠে জগিং করে চলে আসলাম আর আপনি এখনও পরে পরে ঘুমাচ্ছেন!(বলেই অভ্র সোফায় বসে পড়লো)

আমি ঘুমাই নাকি জেগে থাকি তা নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথা কেনো?(আমি)

দেখুন যেহেতু আপনি আমার রান্না করবেন তাই আমার দায়িত্ব আপনাকে সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা। যাতে আপনি ঠিক সময় উঠে রান্না করতে পারেন আর আমি লেট না হয়।(অভ্র)

খুবই উপকার করলেন।আমার ঘুমটা নষ্ট করার জন্য আপনাকে খুবই ধন্যবাদ।(বলেই আমি রুমে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম)

অভ্র বিজয়ের হাসি দিলো।
কেনো জানি ওর ঝুমুরকে রাগাতে খুব মজা লাগে!খুবই আনন্দ পায় ও।

এদিকে ঝুম ঘুম থেকে উঠে অভ্রকে দেখে খুশিতে এক লাফে গিয়ে ওর কোলে বসলো।

হাই চাম্প।গুড মর্নিং।(অভ্র ওকে কোলে নিয়ে)

শুভ সকাল।আম্মু বলেছে বাংলা বলতে।(ঝুম কিউট করে)

ওকে Mamma’s boy। তুমি ফ্রেশ হবে না?(অভ্র)

আমাকে আম্মু ফ্রেশ করিয়ে দেয়।আমি একা একা হতে পারিনা।(ঝুম)

আজকে আমি ফ্রেশ করে দেই?(অভ্র)

ওকে আঙ্কেল।
বলেই ঝুম ওকে জড়িয়ে ধরলো।

অন্যদিকে আমি এসেই কড়া গলায় বললাম,,
কোনো দরকার নেই আমার ছেলেকে আমিই ফ্রেশ করাতে পারবো।

আম্মু আজকে আঙ্কেল করিয়ে দিক।
বলেই ওর কিউট ফেস আমার দিকে ছুঁড়ে মারল।আমি দীর্ঘ্য শ্বাস নিয়ে বললাম
ওকে।

ওকে গুড আঙ্কেল চলো।
বলেই ঝুম অভ্রকে নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

আমিও আর কিছু বললাম না।থাক না আমার ছেলেটা একটু খুশি। অভ্রর মধ্যে যদি ও ওর বাবাকে খুঁজে পায় এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।ও বাবার ইচ্ছে গুলো যদি অভ্রকে দিতে পূরণ করতে চায় তবে করুক না!
তবে ভয় একটাই অভ্র চলে গেলে আমার ছেলেটার কি হবে? ওতো খুব কষ্ট পাবে!
যাইহোক ভবিষ্যত চিন্তা করতে করতে ওর বর্তমান আমি নষ্ট করতে পারবো না।

আমি এইসব কথা ভাবছি তখনই ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো অভ্র আর ঝুম।

আম্মু আমি আঙ্কেলের সাথে উনার ফ্ল্যাটে যাই।(ঝুম)

তোমাকে তৈরি হতে হবে না?(আমি)

আমি এসে তৈরি হয়ে নেবো।প্লিজ আম্মু যাই।)ঝুম)

ঠিক আছে।তবে তাড়াতাড়ি চলে আসবে।
বলেই আমি রান্নাঘরে ঢুকলাম।

অন্যদিকে ঝুমকে কাধে তুলে নিয়ে অভ্র ছুটলো নিজের ফ্ল্যাটের দিকে।ওদের দেখে আমি একটা মুচকি হাসি দিলাম।


অভ্রর ফ্ল্যাটে
ওয়াও।গুড আঙ্কেল তোমার ফ্ল্যাট তো খুব সুন্দর করে সাজানো।(ঝুম ঘুরে দেখতে দেখতে)

তোমার পছন্দ হয়েছে?(অভ্র)

অনেক।(ঝুম খুশি হয়ে)

আচ্ছা তুমি বসো আমি তৈরি হয়ে আসছি।
বলেই অভ্র তৈরি হতে গেলো!

এদিকে ঝুম ঘুরতে ঘুরতে ওর চোখে পড়লো একটা ছবির দিকে।

আঙ্কেল?টেবিলের উপর ওইটা কার ছবি?(ঝুম)

ওইটা আমার খুবই আপন জনের।(বলেই অভ্র একটা মুচকি হাসি দিলো)

ঝুম শুধু অবাক হয়ে দেখতেই লাগলো।

কিছুক্ষণ পর
চলো চাম্প।আমি রেডি।এখন গিয়ে তোমাকেও তৈরি হতে হবে।(অভ্র)

ওকে আঙ্কেল।
বলেই ঝুম অভ্রর কোলে উঠে গেলো।


পরেই সবাই ব্রেক ফাস্ট করে বের হলাম।অভ্রর জোরাজুরিতে আমরা ওর সাথেই ওর গাড়িতে বের হলাম স্কুলে।

স্কুলে আমি আর অভ্র, ঝুমকে বিদায় দিলাম।

চলুন আপনাকে আপনার জায়গায় পৌঁছে দেই।(অভ্র)

আমার জায়গায় মানে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আপনি যেখানে যাবেন সেখানে পৌঁছে দেই।(অভ্র)

ধন্যবাদ।আমার গাড়ি এসে পড়েছে আমি একাই যেতে পড়বো।আর একটা কথা আপনি আমার ছেলের সাথে ক্লোজ আমার সাথে না।কথাটা মাথায় রাখবেন।
বলেই আমি আমার গাড়ি করে সেখান থেকে চলে গেলাম।

মেয়ে মেয়েই হয়। অ্যাটিটিউড এর বোম।
বলেই অভ্রও ওর গাড়ি চলে অফিসে চলে গেলো।


অন্যদিকে
ম্যাম আজকে রেস্টুরেন্ট এ যাবেন না?(ড্রাইভার)

নাহ।আজকে অন্য জায়গায় যাবো।(আমি বাহিরে তাকিয়ে)


কিছুক্ষণ পর
আমি দাড়িয়ে আছি আমার বাবা পিয়াস চৌধুরীর ফ্যাক্টরির সামনে। ফ্যাক্টরিটা বন্ধ হয়ে গেছে।আমি ভিতরে ঢুকতে যাবো তখনই একটা দারোয়ান এসে আমাকে আটকে বললো

আরে ম্যাডাম কই যান?(দারোয়ান)

ভিতরে।(আমি)

ভিতরে কিছু নাই।সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।(দারোয়ান)

ছাই হয়ে গেছে? পুড়ে গেছে? মানে?(আমি অবাক হয়ে)

আজ থেকে সাত বছর আগে যেদিন এই ফ্যাক্টরির পুরান মালিক মারা গেছে ওইদিন সকালে এই ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগছে।সবাইতো কয় ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার কারণে নাকি মালিক অনেক দেনার মধ্যে গেছিলো তাই নাকি সেদিনই আত্মহত্যা করে।(দারোয়ান)

আত্মহত্যা?আমার বাবা আত্মহত্যা করেছে?কিন্তু জয় আর আরিফ তো আমাকে বলেছে আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে।তার মানে আমার বাবার খুনকে তারা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে।সেদিনের পর থেকে কি হয়েছে আমি তো কিছুই জানি না।বাবার ইনভেস্টিগেশন এইভাবে চলেছিল এইটা আমার কাছে অজানা।(আমি মনে মনে)

আচ্ছা।আপনি বলছেন পুরান মালিক!কিন্তু এখন এই ফ্যাক্টরির নতুন মালিক কে?(আমি)

JK গ্রুপ এর মালিক!উনিই তো চৌধুরী গ্রুপের সব কিছু কিনছে?কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার কি জানেন?(দারোয়ান)

কি?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

উনি একা সব ফ্যাক্টরি কিনছে কিন্তু এই সাত বছরে একটা ফ্যাক্টরিও চালু করে নাই।যদি চালু নাই করতো তাইলে কিনলো কেন?(দারোয়ান)

ঠিকই।এই ফ্যাক্টরির দাম কোটি হাজার টাকা।কোটি হাজার টাকার ফ্যাক্টরি কিনে কেউ ফেলে রাখবে কেন?আর কে এই JK গ্রুপ এর মালিক?(আমি মনে মনে)

আচ্ছা। পুরান মালিকের তরফ থেকে কেউ আসে নাই এখানে?(আমি)

না।আমি তো জানি পুরান মালিকের কেউ ছিল না।উনার একটা মেয়েই ছিলো কিন্তু সেও উধাও।বাবার মরার দিনও তাকে দেখা যায়নি।এইবার ভাবুন কেমন মেয়ে যে বাবার মৃত্যুর দিনও আসে নাই।(দারোয়ান)

হুম।খুবই খারাপ মেয়ে।যে নিজের বাবাকে ফেলে চলে গেছে।কিন্তু এখন সে ফিরে এসেছে।এইবার সব রহস্য অন্তরালের কুয়াশার ধোঁয়া থেকে বের করেই ছাড়বো।তার আগে আমায় জানতে হবে জয় আর আরিফ কোথায়?(আমি বিড়বিড় করে)

কিছু বললেন আফা?(দারোয়ান)

আচ্ছা আপনি কি আরিফ আর জয় নামের কাউকে চিনেন?(আমি)


চলবে,,