অবশেষে তুমি আমার পর্ব-০১+০২

0
745

#অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব:1+2
# লেখনিতে: রিদিকা আফরোজ রোজা

এই যে মিঃ আপনি কি আভি চৌধুরি? একটা মেয়েলি কন্ঠ শুনে পিছনে ফিরে থাকাই আভি থাকিয়ে দেখে অসম্ভব এক সুন্দরী রমনী তার সামনে দারিয়ে আভি মনে মনে বলে তারমানে এই মেয়ের সাথে আমার বিয়ে টিক হয়েছে। আভি বলে ইয়েস আপনি আস্থা মির্জা রাইট? আস্থা বলে জি। এবার আস্থা আভির সামনে বসে এরপর আভি কে উদ্দেশ্যে করে বলে আপনাকে একটা কথা বলতে চাই এই বিয়েটা আমি করতে চাইনি পাপা জোর করলো তাই বাধ্য হয়ে করছি। আভি বলে মানে? আস্থা বলে আসলে আমি এক জন কে ভালোবাসি আর সে গরিব পরিবার এর ছেলে বলে বাবা থাকে মানে না আপনি তো বড়োলোক পরিবার এর ছেলে তাই আপনার সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছে বাবা । আভি বলে বুজতে পারলাম এই সমস্যা দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে টা করতাম না শুধু মায়ের জন্য মায়ের আপনাকে পছন্দ আর আমার গালফেন্ড বলেছিলো বিয়ের দিন আমি নাকি তার থেকে ও সুন্দরী মেয়ে পাবো কথা সত্য তবে বউ তো হয়ে ও আমার না। আস্থা বলে তো এখন কি করবেন। আভি বলে কি আর করা এক বছর এর কন্ট্রাক্ট এ বিয়ে করবো এরপর তুমি তোমার বয়ফেন্ড এর কাছে আমি আমার পথে ওকে । আস্থা বলে ওকে ডান।

আস্থার বাবা বলে আস্থা তুমি যাকে ভালোবাসতে সে এসেছিলো আর তোমার ভালোবাসা মাএ দশ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে গেছে। বাবার কথা শুনে আস্থা বলে তুমি রিশাব কে লাইক করো না ঠিক আছে তাই বলে এতো বড়ো অপবাদ দিলে ওকে পাপা আমি তো রাজি হয়ছি বিয়ে করতে। আস্থার কথা শুনে আস্থার বাবা বলে তুই তোর বাবার কথা বিশ্বাস করছিস না আমি তোকে বলছি আজ একদিন তুই তোর ভুল ঠিক বুজবি আর বলবি আমার বাবা ঠিক ছিলো তুই আজ ও মানুষ চিনতে পারলি না আস্থা আফসোস বলেই বেরিয়ে যাই আস্থার বাবা। আস্থা পরেছে দুই টানায় কি করবে বুজতে পারছেনা কে সত্যি বলছে তবে বিয়ে টা যে করতে হবে সেটা সিউর।

আজকে আভির বাবা মা আভি আর আভির বোন আরশি আস্থা দের বাসাই আসে । আস্থা কে ওদের সামনে বসানো হয়। আভির মা বলে চাঁদ টুকরো মুখ টা। ইচ্ছা না থাকলে ও মিষ্টি হাসি উপহার দেই আস্থা। এবার আভির বাবা বলে আভি আস্থা কে রিং টা পরিয়ে দাও। এরপর আভি আস্থা কে রিং পরাই আস্থা আভি কে এরপর সবাই ঠিক করে চার দিন পর শুক্রবার বিয়ে এরপর খাওয়া দাওয়া করে আভি রা চলে যাই।

রুমে গিয়ে রিশাব কে কল দেই আস্থা রিশাব রিসিভ করে না অনেক বার ফোন দেই রিসিভ করে না আস্থা মনে মনে বলে কি হলো ওর ঠিক আছে তো রিশাব চিন্তা করতে থাকে। এই দিখে রিশাব তার গালফেন্ড নিধি কে বলে জান আমরা আজকে লন্ডন চলে যাবো দশ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছে আস্থার বাবা বোকা আস্থা বুজতে ও পারলো না আমি টাকার জন্য ওর সাথে রিলেশন এ গেছি আমার টাকার বিষন দরকার। নিধি বলে কিন্তু রিশাব ওকে কি বলবে? রিশাব বলে সেটা ভেবে রেখেছি বলেই রিশাব ফোন খুলে দেখে আস্থার ফোন রিশাব ফোন দেই আস্থা কে। রিশাব এর ফোন দেখে আস্থা খুশি হয়ে রিসিভ করে বলে রিশাব তুমি ঠিক আছো তো তোমার কিছু হয়নি তো রিশাব বাবা আমাকে জুর করে বিয়ে দিচ্ছে তুমি কিছু করো না প্লিজ। রিশাব বলে আমি তো লন্ডনে । আস্থা বলে মানে কি করে আর টাকা কোথায় পেলে? আচ্ছা পাপা যে বলেছে তুমি আমার পাপার কাছ থেকে টাকা নিয়েছো এটা সত্যি? রিশাব বলে কি বলছো এই বিশ্বাস করো আমাকে তুমি আস্থা তোমার বাবা টাকা অফার করেছিলো আমি নেই নি আমি বলেছি এক বছর এক বছর পর আমি আপনার মতো হয়ে এসে আমার আস্থা কে বিয়ে করবো ডিভোর্স করিয়ে দেখি কি করে আটকান তাই তো বন্ধু দের থেকে হেল্প নিয়ে আর কিছু টাকা জায়গা বিক্রি করে এনেছি যাতে তোমাকে আপন করতে পারি। আস্থা এবার কেঁদে দিয়ে বলে আমি যানতাম রিশাব তুমি আমাকে কতো ভালোবাসো এই কাজ করতে পারো না তুমি প্রমান করে দিলে আবার লাভ ইউ আর চিন্তা করো না বিয়ে টা কন্ট্রাক্ট এ করছি এক বছর এর এরপর তোমার কাছে চলে যাবো আমি।
রিশাব বলে ওকে জান বলেই ফোন কেঁটে দিয়ে বলে নেকা মেয়ে এতো কি করে যে কান্না করে আল্লাহ যানে। নিধি বলে ভালোই মিথ্যা শিখেছো দেখছি গুড জান। রিশাব বলে সব তো তোমার জন্য জান আমি গরীব টাকা এতো গুলো কে দিবে তাই ওকে পটিয়ে এসব করেছি যানি ওর বাবা কখনো মানবে না আমাকে টাকা অফার করবে সেটাই হলো। নিধি বলে ওর কার সাথে বিয়ে হচ্ছে অনেক বড়লোক মনে হয়। রিশাব বলে ইয়েস বিজনেসম্যান আভি চৌধুরি সাথে যার ছবি প্রতি সপ্তাহে ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। নিধি বলে বাহ এই মেয়ের কপাল ভালো বড়লোক ঘরে জন্ম বলে যাই হোক চলো সব রেডি করি যেতে হবে তো।

কেটে যাই তিন দিন রিশাব লন্ডন চলে গেছে নিধি কে বিয়ে করে আর আজকে আস্থার হলুদ আস্থা সেজে বসে আছে ফোন নিয়ে আজ তিন দিন হলো রিশাব এর খোঁজ নেই আস্থা চিন্তা করছে এই দিখে রিশাব নিধি কে নিয়ে মজে আছে নতুন জীবন উদযাপন করতে রঙ্গলালিলাতে যেটা যানতে পারলো না আস্থা। এবার আস্থা কে টেজে নেওয়া হয় একে একে সবাই হলুদ দেই আস্থা শুধু বাধ্য হয়ে বসে আছে। অবশেষে নাচ গান এর মাধ্যমে শেষ হয় আভি আস্থার হলুদ।

আজকে আস্থার বিয়ে গর্জিয়েস লেহেংঙ্গা সাথে ভারি অলংকার পুরাই একটা জীবন্ত পুতুল কারন আস্থার শরীর এ অনেক সোনার গহনা যেটা আভি দের বাসা থেকে দিয়েছে চৌধুরি বাড়ির বউ দের চল্লিশ ভরি সোনা দেওয়া হয় আবার আস্থার বাবা ও দিয়েছে। প্রথমে দুই জন রেজিস্ট্রি কাগজে সাইন করে যেটা রুদ্র এক বছর এর জন্য বানিয়েছে। এরপর তিন কবুল বলে । কাজি সাহেব বলে আজ থেকে তোমার স্বামী স্ত্রী জীবন মরন এর সাথী সবাই দোয়া করেন ওরা যেনো সারাজীবন এক সাথে থাকতে পারে পবিএ সম্পর্কের জোর অনেক যা পৃথিবীর সব কিছু কেই হার মানাই । কয়েক ঘন্টার ব্যবধান এ আস্থা হয়ে গেলো কারো সহধর্মিনী পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ আদো কি পারবে কেউ এই পবিএ বন্ধন কে বিচ্ছিন্ন করতে নাকি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে পবিএ সম্পর্ক কি আছে আভি আস্থার ভবিষ্যতে আভি আর আস্থা কি পারবে একসাথে থাকতে পবিএ বন্ধনের জুরে।
চলবে…..

#অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব:2
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

বিয়ে পরানো শেষ হলে সব নিয়ম কানুন মানা হয় এবার বিদায় এর পালা আস্থার বাবা আভির হাতে আস্থার হাত দিয়ে বলে আমার মেয়ে টা কে দেখো রেখো অনেক আদর এর মা মরা মেয়ে আমার ওকে কখনো কষ্ট পেতে দিও না। আস্থার বাবার হাতের উপর হাত রেখে আভি বলে আমি কথা দিলাম বাবা সব সময় আস্থা কে দেখে রাখবো আগলে রাখবো আপনি চিন্তা করবেন না। এরপর আস্থা কে নিয়ে চলে যাওয়া হয় আস্থা একটু কাঁদলো ও না তাঁর বাবার সাথে কথা ও বলেনি যেটা আস্থার বাবার খুব খারাপ লেগেছে । আস্থা গাড়িতে উঠে পরে আর আস্থার বাবা আস্থার যাওয়ার দিখে থাকিয়ে থাকে কিছু কোনো এর পর আস্থার রুমে গিয়ে আস্হার একটা ছবি হাতে নিয়ে বলে এতো টা আদর ভালোবাসার পর ও তুই তোর বাবা কে বিশ্বাস করলি না মিথ্যা অভিমান করে চলে গেলি একবার ও ভাবলি না যেই বাবা আমাকে মায়ের আদর ভালোবাসা দিয়ে বড়ো করেছে আমার দিখে থাকিয়ে আর বিয়ে ও করেনি সেই বাবা কে ভুল বুজলি তবে আমি যানি আস্থা একদিন তুই ঠিক বুজবি তোর বাবা তোর খারাপ চাই না সব বাবা সন্তান এর জন্য ভালো চাই আমি আগে যানতাম রিশাব ভালো না ভালো হলে ঠিক তোকে বিয়ে দিতাম তোর খুশি তো আমার খুশি আস্থা তুই বুজলি না। দেখিস আভি খুব ভালো ছেলে ওর সাথে তুই অনেক সুখী হবি একদিন তুই তোর বাবা কে নিয়ে গর্ভ করবি আভির মতো ছেলে কে তোর লাইফে আনার জন্য সেই দিনটার অপেক্ষায় থাকবো। বাবা তোর উপর রাগ করে নেই যানিস আস্থা ।আমি তো যানি আমার মেয়েটা সহজ সরল মারে সহজ সরল রা আজকাল বিষন টকে যাই তুই ও টকবি আমি যানতাম তাই তো আমি তোর বিয়ে দিয়ে দিয়েছি কারন আমি যানি রিশাব এর আসল রূপ যানার পর তুই নিজেকে শেষ করে দিতে দুই বার ও ভাববি না পরে আমরা কি হবে। আমি যানি আভি পারবে রিশাব এর নামটা তোর জীবন থেকে মুছতে আমার বিশ্বাস আভির সাথে থাকতে থাকতে তুই ঠিক থাকে ভালোবেসে পেলবি আর নিজে রিশাব কে মুক্তি দিবি বলেই আস্থার ছবি টা রেখে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরে আস্থার বাবা।

চোধুরি বাড়ির সামনে গাড়ি থামে আস্থা নিজে নিজে গাড়ি থেকে নেমে পরে। আস্থার শাশুরি আস্থাকে বরন করে ঘরে তুলে। সব কিছু নিয়ম পালন করে আস্থা কে আভির বোন আভির রুমে দিয়ে আসে । একটু পর আভি আসে বন্ধু দের কাছ থেকে । আভির বোন আর বন্ধু রা বলে দশ হাজার দাও । আভি কোনো কথা না বারিয়ে দিয়ে দেই টাকা এরপর দরজা মেরে দেই। আকাশ বলে শালার আর তর সয়ছে না ডুকবে কখোন টাকা চাইতে দিয়ে দিলো।

আভি ডুকে দেখে আস্থা রুমের ভিতর হাঁটছে আভি তো অবাক নতুন বউ বর এর জন্য কাটে বসে অপেক্ষা করে আর আস্থা কিনা নিছে পাইছারি করছে তখনি আভির মনে হয় আস্থার বয়ফেন্ড এর কথা আভি আর কিছু বললো না চলে গেলো ওয়াশ রুমে । এই দিখে আস্হা বসে আছে হাতে চাকু নিয়ে আভি কিছু করলে এটা ডুকিয়ে দেবে । আভি ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে বিছানার কাছে যাচ্ছে ওমনি আস্হা চুরি বের করে বলে আমাকে একদম দরবেন না তাহলে এটা দিয়ে পেট পুটু করে দিবো। চুরি দেখে ঘাবরে যাই আভি আস্থা কে উদ্দেশ্যে করে বলে বলে পাগল নাকি তুমি এটা সরাও লাগবে আমার আর আভি এতো টা ও কেরেক্টার লেস না যে কারো অনুমতি ছারা থাকে টাচ করবে এই আভি চৌধুরি মেয়েদের খুব সম্মান করে সারা দিন আমার পিছনে লাখ লাখ মেয়ে ঘুরে তাদের পাত্তা ও দেই না আর তুমি ভেবেছো তোমার পিছনে আমি ঘুরবো । আস্থা বলে আমি আপনার বউ আপনি সবার সাথে আমার তুলনা করছেন। আভি বলে তুমি কি সেটা মানো? তখনি আস্থার হুঁশ পেরে ও কি বলে পেললো আস্হা মনে মনে বলে এটা তুই কি বলছিস আস্থা তুই কি পাগল এই লোকটা তোকে সবার সাথে তুলনা করলে কি তুই তো থাকে বর হিসেবে মানিস না তুই রিশাব কে ভালোবাসি। আস্থার ভাবনার মাঝে আভি বলে লিসেন আস্থা ঘরে আমাদের মাঝে সম্পর্ক যেমন হোক বাবা মায়ের সামনে অন্ততো একটু অভিনয় করো আদর্শ স্ত্রী যাতে মা বাবা কষ্ট না পাই আমি ও তোমার কাছ থেকে দূরে থাকবো ।এক বছর এর জন্য একটু মেনে চলবে প্লিজ আর হে আমি কাটে শুয়ে পরছি তুমি ও ফ্রেশ হয়ে কাটে শুয়ে পরো। আস্থা বলে কি আমি আপনার সাথে শুতে যাবো কেনো। আভি বলে ডোন্ট ওয়ারি আমি তোমার আশে পাশে ও আসবো না মাঝে বালিশ দিয়ে শুয়ে পরো কারন আমি সোপাতে শুতে পারবো না তুমি চাইলে শুতে পারো। আস্হা বলে তাক কোনো দরকার নেই আমি ও শুতে পারি না বলেই ওয়াশ রুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে এসে মাঝে বালিশ রেখে আভির বিপরীত দিখে শুয়ে পরে।

সকাল বেলা আস্থার ঘুম ভেঙ্গে যাই আস্থা ছেয়ে দেখে আভি কে একদম আষ্টে পিষ্টে জরিয়ে দরে আছে আভি ও । আস্হা কিছু কোন এর জন্য চোখ বুজে থাকে মনে হচ্ছে যেনো পৃথিবীর হব থেকে শান্তির জায়গা ।এই ভাবে দুই মিনিট পার হয়ে যাই তখনি আস্থার মনে হয় রিশাব এর কথা আস্থা আভির কাছ থেকে সরে এসে বলে এটা তুই করতে পারিস না আস্থা মাএ কাল তোদের বিয়ে হয়েছে আজকে তুই আভির আসে পাশে থেকে রিশাব কে ভুলে যাচ্ছিস রিশাব তোর ভালোবাসা তুই ওকে ঠকাতে পারিস না তখনি আস্থার মনে হয় কাজী সাহেবের কথা। আস্হা মনে মনে বলে কাজী সাহেবের কথা কি ঠিক পবিএ বন্ধন এর জোর কি সব থেকে বেশি যা হারাম সম্পর্ক কে হার মানাই না হলে কেনো আভি আসে পাশে থাকলে আমার রিশাব কে মনে ও পরে না কেনো এটাই কি হালাল সম্পর্কের জোর বলেই ওয়াশ রুমে ডুকে যাই।

ফ্রেশ হয়ে আস্থা নিচে নেমে দেখে ওর শাশুরি রান্না ঘরে কাজ করছে কাজের লোক রা পাশে দারানো। আস্থার মনে পরে যাই আভির বলা কথা । আস্হা আভির মা কে বলে গুড মনিং মম। আভির মা আস্থার গালে হাত রেখে বলে গুড মনিং বাচ্চা তুমি রান্না ঘরে কেনো? আস্থা বলে মম তোমাকে হেল্প করবো। আভির মা বলে তুমি পারবে না বেবি যাও উপরে যাও । আস্থা বলে আমি তো পারি না আসলে ছোট বেলায় তো মা মারা যাই আমাকে কেউ শেখাই নি তুমি আমাকে শেখাবে। আভির মা বলে কেনো শেখাবো না সংসার টা তো তোমার শিখতে তো হবে আর কে বলেছে মা নেই আমি কে হুম আজ থেকে আমি তোমার মা আর আমি তোকে ঠিক ছোট বেলার মতো আদর করবো যাতে তোমার মনে না হয় আমি তোমার শ্বশুরি হয়। আস্থা আভির মা জরিয়ে দরে কেঁদে দেই । আভির মা বলে পাগলি মেয়ে কাঁদেনা বসো এখানে। আস্থা বলে মম তুমি আমাকে তুই বলবে ওকে। আস্থার শাশুরি শান্তি বলে ওকে বলবো এই নে কফি কা আর আরেকটা আভির জন্য নিয়ে যা। আস্থা কফি খেয়ে আভির জন্য কফি নিয়ে রুমে যাই।
চলবে…