অবশেষে তুমি আমার পর্ব-১৯+২০

0
299

#অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব:19+20
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

হাঁসি অন্দের মাজে কেটে যাই আরো তিন মাস আভি আস্থার বিয়ের ছয় মাস হয়েছে দিন দিন যেনো দুইজনের ভালোবাসা বেরে যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রিয়তমার অভিমান ভাঙ্গাতে হচ্ছে আভির। আভি একটু দেরি করে বাসাই পিরলে বা ফোন না করলে কেঁদে দুই চোখ ফুলিয়ে পেলে আস্থা আর আভি বিভিন্ন ভাবে সেই অভিমান ভেঙ্গে দেই। আস্থা যেনো দিন যাচ্ছে আর আভির প্রতি গভীর ভালোবাসা বারছে আভি এখন যেখানে যাই আস্থা কে সাথে করে নেই আস্থা আভি কে চারা এক মিনিট ও থাকে না আর সারাদিন এটা ওটা বাইনা করে থাকে আর আভি হাঁসি মুখে তা পূরন করে আভির কাছে ও ভালো লাগে আস্থার এই আবদার । আজকে সকাল থেকে আস্থার শরির খারাপ তবে সেটা আভি কে বুজতে দেই না আভি যানতে পারলে অযতা চিন্তা করবে । প্রতিদিন এর মতো আজ ও আভি আস্থা কে জরিয়ে দরে কপালে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যাই আর আস্থা তার শ্বশুরির সাথে গল্প করে। তখনি আস্থার ঘা ঘুলিয়ে উঠে। আস্থা এক দৌরে নিজের রুমে গিয়ে ওয়াশ রোমে ডুকে বেসিন এ বমি করে চোখে মুখে পানি দিয়ে নিচে নামে লাস্ট সিরিতে আসতে আস্থা মাথা ঘুরে পরে যাই আর কপাল কেটে যাই। আস্থার শ্বাশুরি দৌরে গিয়ে আস্থা কে ডাকে আস্থা কথা বলে না। আস্থার শ্বাশুরি তখন ড্রাইভার কে ফোন দেই ড্রাইভার এসে আস্থা কে গাড়িতে তুলে হসপিটালে নিয়ে যাই। এই দিখে মাএ কনফারেন্স এ ডুকেছে আভি তখনি আভির ফোন আসে আভির পিএ আকাশ বলে sir বড়ো মেম। আভি মনে মনে বলে মম এই সময় ফোন দেই না কিছু হয়েছে কি ভেবে আভি সবাই কে সরি বলে ফোনটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাই আর আকাশ কনফারেন্স এ বক্তব্য দিতে থাকে। আভি ফোন রিসিভ করে মম বলেই আভির মা বলে আভি আস্থা মাথা ঘুরে সিরি থেকে পরে মাথা কেটে গেছে তুই তারা তারি হসপিটাল আয়। আভি ফোন না কেটে দৌরে বেরিয়ে যাই এই দিখে সবাই চেয়ে আছে তার দিখে এতে আভির যেনো কিছু যাই আসে না। আভি যতো জুরে পারে ড্রাইভ করছে আর দোয়া করছে আস্থা যেনো ঠিক হয়ে যাই। আভি হসপিটালে ডুকে দৌরে ডক্টর এর কাছে যাই। ডক্টর আভি কে দেখে বলে আরে মিঃ চৌধুরি আপনি এই ভাবে। আভি বলে ডক্টর আমার আস্থা আমার স্ত্রী ও কোথায়। ডক্টর বলে মেডাম 302 নাম্বার কেবিন এ আছে। আভি এক মিনিট ও দেরি না করে ওই কেবিনে ডুকে দেখে আস্থা বসে আছে হেলান দিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ। আভি দৌরে গিয়ে আস্থা কে জরিয়ে দরে বলে আস্থা কি করে হলো এমন বলো আমাকে জান কি করে পরলে। আভি আর আস্থা কে এই ভাবে দেখে আস্থার শ্বাশুরি বেরিয়ে বাসাই চলে যাই এখন আভি আছে সমস্যা নেই। আস্থা বলে আসলে মাথা ঘুরে। আভি বলে কিই তোমার কি শরির খারাপ আস্থা। আস্থা ভয়ে ভয়ে বলে না মানে আসলে সকাল থেকে শরির টা খারাপ যাচ্ছিলো বলতেই আভি বলে কিইই আর তুমি এখন আমাকে বলছো সকালে কেনো বলো নি বলো? আস্থা বলে সরি আমি ভেবেছি তুমি যানলে চিন্তা করবে তাই। আভি বলে গ্রেট আস্থা আমি চিন্তা করবো বলে বলো নি কেনো বলো নি তোমার যদি বেশি কিছু হয়ে যেতো আমার কি হতো বলো কি হতো আমার আমি তো আগে বলেছি কোনো সমস্যা হলে বলতে। আস্থা বলে সরি আর হবে না এমন বলেই কেঁদে দেই। আভি রাগ টা কমিয়ে আস্থা কে জরিয়ে দরে বলে কাঁদছো কেনো পাগলি আমি কি বকেছি তোমাকে আমি তো ভয় পেয়ে বলেছি এই গুলো আর চিন্তা থেকে। তুমি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছো আস্থা তোমার কিছু হলে আমি মরে যাবো প্লিজ আজকের পর থেকে যাই হবে আমাকে বলবে। আস্থা বলে সরি আভি আর হবে না মাফ করে দাও তখনি ডক্টর বলে আসতে পারি। আভি আস্থা কে ছেরে বলে আসুন। ডক্টর আস্থা কে উদ্দেশ্যে করে বলে কেমন লাগছে মেম। আস্থা বলে ভালো । ডক্টর বলে আপনার রিপোর্ট এসে গেছে। আভি বলে রিপোর্ট ডক্টর আমার আস্থার কি হয়েছে ডক্টর। ডক্টর বলে রিলেক্স sir আগে মিষ্টি নিয়ে আসোন। আভি বলে আপনি মজা করছেন আমার বউ অসুস্থ আর আপনি বলছেন মিষ্টি খাওয়াতে। ডক্টর বলে আপনি বাবা হবে আর মিষ্টি খাওয়াবেন না। ডক্টর এর কথা শুনে চমকে উঠে দুইজন । দুই জন এক সাথে বলে ডক্টর কি আবার বলুন। ডক্টর বলে আপনার ওয়াইফ প্রেগনেন্ট তিন মাস এর ডক্টর এর কথা শুনে আভি আর আস্থা কে জরিয়ে দরে আস্থা ও আভি কে জরিয়ে দরে কেঁদে দেই ডক্টর বেরিয়ে যাই। আভি বলে আমি বাবা হবো তুমি মা আস্থা ডক্টর বলেছে আমাদের বেবি আসবে ও আমাকে পাপা বলবে। আস্থা বলে ইয়েস আভি আর আমাকে মাম্মী আমরা ওকে খুব ভালোবাসবো।

আভি এই খবর জানার পর আস্থা কে কুলে তুলে গাড়িতে বসিয়ে বাসাই নিয়ে যাই। বাসাই নেমে আস্থা কে কুলে তুলে নেই আভি যেনো আস্থা কে হাঁটতে দিবে না। আস্থা কে দেখে আস্থার শ্বশুর শ্বাশুরি আর ননদ বলে কি হয়েছে ওর আভি ডক্টর কি বলেছে? আভি বলে মম তুমি দাদী হবে ডেড দাদু আর আরশি ফুফু হবে। আভির কথা শুনে সবার খুশির সীমানা নেই। আস্থা কে নিয়ে শুরু হয়েছে মাতা মাতি। আভি উপর থেকে নিচে সব সিফ্ট করেছে যতো দিন না আস্থার বেবি হচ্ছে ততো দিন ওরা নিছে থাকবে। আভি সারা বাড়িতে কার্পেট বিছিয়ে দেই যাতে আস্থা না পরে যাই। আভির এই পাগলামি দেখে আস্থা মনে মনে বলে আল্লাহ তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমার লাইফে আভির মতো একজন কে এনে দেওয়ার জন্য। আভি এসে আস্থার পাশে বসে দুধ ডিম ফল খাওয়াচ্ছে। আভির বাবা মা ও মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এই খবর শুনে আস্থার বাবা ও চলে আসে অনেক মিষ্টি নিয়ে এরপর সবাই এক সাথে গল্প করে বিকালে আস্থার বাবা চলে যাই। আভি আস্থা কে কুলে নিয়ে বসে আছে দোলনাতে আর আস্থা দুই হাতে আভির গলা জরিয়ে দরে আছে। আভি বলে আমি খুব খুশি বউ আমাদের পুচকু আসবে। আস্থা বলে আমি ও আমরা ওকে অনেক আদর করবো আমরা ওকে নিয়ে বেরাতে যাবো অনেক মজা করবো। আভি বলে হুম বলেই আস্থা কে দোলনাতে বসিয়ে দিয়ে পেঠে চুমু খেয়ে বলে বেবি তুমি তারা তারি চলে আসো পাপা মাম্মী অপেক্ষা করছি তোমার জন্য বলেই আস্থার পেটে মাথা রাখে।
চলবে….

#অবশেষে তুমি আমার
# পর্ব:20
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

কেটে যাই এক মাস আস্থা কে বাসার সবাই খুব খেয়াল রাখে কেউ না কেউ আস্থার পাশে থাকেই আভি আবার নতুন করে তিন জন নার্স এনেছে আস্থা কে দেখার জন্য যাতে কোনো কিছুর জন্য আস্থা কে নামতে না হয়। আভি এখন জরুরি দরকার চারা অফিস এ যাই না সব কাজ বাসাতে বসে করে। আস্থা বার বার বলে অফিস এ যেতে নার্স রা আছে আভি তবুও যেতে রাজি না। কিছু কোন আগে আস্থা আভি কে বলে এখন মাএ চার মাস আভি আর তুমি সব কাজ বাদ দিয়ে বাসাই আরে বাবা মম আরশি আর নার্স রা আছে তো। আভি বলে আমি কাউকে ভরসা করি না ওকে আমার কাছে তুমি আর আমার বেবি আগে তোমাদের সেপ রাখা আমার প্রথম এবং শেষ কাজ অফিস যা ইচ্ছে হোক। আস্থা এই সময় প্রতিটা স্বামীর উচিত স্ত্রী কাছে থাকা বুজলে আমি ও চাই আমার বেবি আর তার মায়ের সাথে সব সময় থাকতে। আস্থা আভি কে জরিয়ে দরে বলে এতো ভালো কেনো বাসো আভি। আভি বলে তুমি নিজেই আস্ত একটা ভালোবাসা তাই। আস্থা বলে আচ্ছা আমি না থাকলে কি করবে। আভি রেগে থাকায় আস্থার দিখে। আভির চোখ দেখে ভয়ে ডুগ গিলে আস্থা। আভি রাগি গলায় বলে আজকের পর যদি কখনো এই কথা শুনি আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না আর যানতে চাইছো না তুমি না থাকলে কি করবো আমার নিঃশ্বাস ও সেই দিন বন্ধ হয়ে যাবে বলে উঠে চলে যাবে। ওমনি আস্থা দৌরে গিয়ে পিছন দিয়ে জরিয়ে দরে বলে আর হবে না আর বলবো না সরি। আভি বলে চারো। আস্থা বলে প্লিজ রাগ করো না বলেই আভির সামনে দিয়ে গিয়ে আভির গলা জরিয়ে দরে আভির সারা মুখে চুমু খেয়ে জরিয়ে দরে বলে আর বলবো প্লিজ রাগ করোনা তুমি কথা না বললে আমার একটু ও ভালো লাগে না। আভি বলে তাহলে কেনো এমন কথা বলো আমার কষ্ট হয় না। আস্থা বলে সরি আর কখনো বলবো না প্রমিস। আভি আস্থা কে খুলে তুলে বিছানাতে নিয়ে শুয়ে দিয়ে আদ শুয়া হয়ে আস্থার উপর শুয়ে পরে। আস্থা দুই হাতে আভির গলা জরিয়ে দরে। এই দিখে এই সন্ধ্যা বেলায় বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে জানলা দিয়ে বাতাস আসছে। আভি আস্থার কপালে চুমু খেয়ে দুই গালে চুমু খাই এরপর আস্থার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেই আস্থা চোখ বুজে আভির ভালোবাসা অনুভব করছে। বাহিরে বৃষ্টি বারছে আর ভিতরে দুই নর নারীর মিলন ততো দীর্ঘ হচ্ছে এক সময় দুটি দেহ এক হয়ে যাই যার শাক্কী থাকে এই বৃষ্টি। দূই জন একে অপরের প্রতি মগ্ন এতো টাই রাত দশটা খেয়াল নেই। আস্থা আভির বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে আর আভিকখনো আস্থার হাতে চুমু খাচ্ছে কখনো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আভি বলে খাবে না? আস্থা বলে হুম চলো বলেই গরম জলে গোসল করে নেই দুই জন এরপর আভি আস্থা কে খাইয়ে দিয়ে বুকে জরিয়ে দরে শুয়ে আস্থার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আস্থা আরামে আভি কে জুরে জরিয়ে দরে ঘুমিয়ে আছে।

এই ভাবে প্রতিদিন এর রুটিন মতো চলছে আভি আস্থার জীবন। যতো দিন যাচ্ছে আভি ততো আস্থার প্রতি কেয়ার ভারাচ্ছে । আস্থা কে প্রতি মাসে বাসাই ডক্টর এনে চেকাপ করাই। আস্থা কে ফ্রেশ করিয়ে দেই চুল বেঁধে দেই খাইয়ে দেই আভি। আস্থা সারা দিন এ অনেক বার বমি করে বাসাই আভির শরির তবুও বিরক্ত বুদ না করে সব কাজ করে যাচ্ছে । আস্থা মাজে মাজে ভাবে কেউ এতো ভালো কি করে বাসতে পারে। আভি ফ্রেশ হয়ে আসতেই আস্থা আভির গলা জরিয়ে দরে বলে আই লাভ ইউ আভি। আভি বলে আই লাভ ইউ টু বেবির আম্মু। আস্থা আভির কুলে বসে গলা জরিয়ে দরে বলে আচ্ছা আভি আমি যে সারা দিন এতো বিরক্ত করি বমি করি এসব এ একটু বিরক্ত হও না। আভি বলে তুমি আমার কলিজা আস্থা আমার জান আমার ভালোবাসা আমার সন্তান এর মা। আমার উচিত না এই গুলো করা। আমি যানি আস্থা তোমার ঠিক কতো টা কষ্ট হয়। তুমি যদি এতো কষ্ট করতে পারো বাবা হিসেবে এই টুকু আমি পারি না। আভির কথা শুনে আস্থা কিছু কোন আভির মুখের দিকে থাকিয়ে আভির গালে হাত রেখে বলে তুমি পৃথীবির বেস্ট হাসবেন্ড আভি দোয়া করি প্রতি টা মেয়ে যেনো তোমার মতো কেয়ারিং স্বামী পাই। আভি আস্থার জন্য নিজে পুচকা তৈরি করে এনেছে। আভির দুই দিন পর পর এই কাজ এটা বানিয়ে দাও ওটা আস্থার বাইনা আভি হাঁসি মুখে সব পূরন করে আভি কে দেখে শুধু নার্স রা অবাক হয় এতো ভালোবাতে পারে কেউ কাউ কে।

আভি আজকে শপিং গিয়েছে যতো দরন এর খেলনা চিলো সব নিয়ে এসেছে সাথে বেবির কাপর জুতো। এই সব কিছু কাজের লোক রা বাসার ভিতরে নিচ্ছে। আস্থা বলে এই সব কি আভি তুমি বেবি আসতে না আসতে পুরো দোকান তুলে এনেছো এর এই জামা জুতো তোমার বেবির লাগবে না। আভি বলে আমার মেয়ের লাগবে সব ও অনেক বড়ো হবে দেখো তুমি। কাজের লোকরা সব জিনিস গুছিয়ে রাখে। আভি ওদের রুম টা পুরো পাল্টে দেই। চার দিখে বাচ্চার ছবি আর পুতুল দিয়ে রুম সাজানো। আস্থা সারা দিন ফোনে বেবির পিক দেখে আবার রুমের ভিতর রাখা ছবি দেখে। আস্থা পেঠে হাত রেখে বলে আর অপেক্ষা করতে পারছি না সোনা কবে আসবি তুই তোর পাপা ও যে তোর জন্য অপেক্ষা করে আছে। আভি আস্থার পেটের কাছে শুয়ে আস্থার পেটে চুমু খেয়ে বলে আর তিন মাস বেবি এরপর তুমি আমাদের কাছে চলে আসবে আর মাএ তিন মাস বলেই আভি আস্থার পেটে হাত বুলাই।

আস্থা কে জেনো আজ কাল বেশি সুন্দর দেখাই। আভি আস্থার চুল আচরে দিচ্ছে আর বলছে জান তুমি এতো কিউট হচ্ছো কেনো বেবি আসার পর আগের থেকে বেশি সুন্দর লাগছে ভাবছি সব সময় বেবি দিয়ে রাখবো। আস্থা বলে ফাজিল একটা। আভি চুল আচরে আস্থা কে দুই হাতে জরিয়ে দরে বলে আমরা বেবি হবার পর আবার হানিমুন এ যাবো বেবির জন্য আরেকটা খেলার সাথি আনতে। আস্থা বলে একটা আসোক তারপর। আভি বলে আসবেই তো আর তিন মাস কবে যে যাবে।
চলবে…..