অবশেষে তুমি আমার পর্ব-১৫+১৬

0
327

#অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব:15+16
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

আভি আর আস্থা দশটার ফ্লাইট এ লন্ডন চলে যাই। লন্ডন পৌছে বিলাস বহুল হোটেল এর ভিতরে সব থেকে সুন্দর রুমটা ডুকে আভি আর আস্থা। আস্থা রুম টা ঘুরে দেখে সব সাদা রুম এর ।রং থেকে নিয়ে বিছানার চাদর জানলার পর্দা সব। পাশেই বড়ো ওয়াশ রুমে যেটা সম্পূর্ণ কাঁচের দারা গেরা। ভিতর থেকে রুমে সব দেখা যাই রুম থেকে ওয়াশ রুমে এর ভিতরে দেখা যাই বলতে গেলে হানিমুনে জন্য পারফেক্ট। আস্থা বলে বাহ রুমটা দারুন আভি তোমার পিএ ভালো পছন্দ। আভি বলে তা ঠিক বলেছো তোমার নিজের হাতে ঠিক করা। আভির ফোন আসাতে আভি ব্যালকনিতে চলে যাই আর আস্থা একটা টাওয়াল নিয়ে ওয়াশ রোমে ডুকে যাই। ওয়াশ রোমে ডুকে আস্থা খেয়াল করে রুমে আভি এসেছে। আস্থা শয়তানি হাসি দিয়ে পরনের শার্ট টা খুলে পেলে। এই দিখে আভি আস্থা কে না পেয়ে ওয়াশ রোমে কাছে গিয়ে আস্থা কে দেখে যেনো চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম। আস্থা আভির দিখে থাকিয়ে চুমুর মতো করে ইশারা করে। আভি শুকনো ডুক গিলে। আস্থা এবার আভি কে চোখ মারে। আভির অবস্থা বেহাল। আভি আর থাকতে না পেরে ডুকে যাই ওয়াশ রুমে আস্থা এটাই চাইছিলো। আভি আস্থার দিখে এগিয়ে গিয়ে কুলা পেট এ হাত রেখে আস্থার শরির পুরা টা দেখে নেই। আস্থা দুই হাত দিয়ে আভির গলা জরিয়ে দরে। আভি বলে এই সেক্সি লুক কি আমাকে ভিতরে আনার জন্য? আস্থা আভির গালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে জামাই যদি বউ এর মনের কথা না বুজতে পারে তাহলে তো বউ কে বাঁকা পথে যেতে হবে বেইব। আভি বলে তুমি কি যানো প্রিয়শী তুমি আফিম এর থেকে ও নেশালো। আস্থা বলে আচ্ছা তুমি তো এখন ও টেষ্ট করো নি বুজলে কি করে। আভি বলে তুমি আসে পাশে থাকলে মনে হয় তবে এতো দিন তো সুন্দরী বউ থাকতে ও ছুঁতে পারিনি । আস্থা আভির ঠুঁটে চুমু দিয়ে বলে sorry আভি তবে কথা দিলাম এই তিন মাস এর কষ্ট এক দিনে পুষিয়ে দেবো কি বলো। তুমি যানো আভি তুমাকে কালি গায়ে কি মারাত্মক লাগে সারা শরীর এ আগুন দরিয়ে দেই এতো সুন্দর কেনো? আস্থার কথা শুনে আভি দুষ্টু হেসে বলে আমি আছি তো আগুন নেভাতে বলেই আস্থার কুলা পেট আর নাভিতে স্লাইট করছে। আভির টিজিং সজ্জ করতে না পেরে আস্থা আভির ঠোঁট আকরে দরে। পরম আবেশে চুমু খেয়ে যাচ্ছে দুইজন যতো সময় বারছে ততো গভীর হচ্ছে আর কাছা কাছি আসছে আভি আস্থা। আভির হাত বিচরন করছে আস্থার পুরো শরির এর মাজে। আর আস্থা এক হাতে আভির শার্ট আরেক হাতে আভির চুল কামছে দরে আছে। কিছু কোন পর দুই জন দুই জন কে ছেরে দেই। আস্থা জুরে জুরে নিঃশ্বাস নিয়ে উল্টো দিখে ফিরে যাই। আভি পিছন দিয়ে আস্থার পেঠে হাত রেখে গাড়ে চুমু খাই আর নাক ঘষতে থাকে আস্থা ঘুরে আভি কে টাইট করে জরিয়ে দরে জুরে নিঃশ্বাস নেই। আভি বুক থেকে আস্থা কে তুলে আস্থার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেই কখনো চুমু খাচ্ছে তো কখনো নাক ঘষছে। আস্থা যেনো দারিয়ে থাকার শক্তি হারাচ্ছে। আভি আস্থার গলা থেকে নেমে হাঁটু গেরে বসে আস্থার কুলা পেঠে স্লাইট করে আস্থার দিখে থাকাই। আস্থা ঠোঁট কামরে চোখ বুজে আছে। আভি বাঁকা হেসে আস্থার নাভির
চার পাশে অনেক গুলো চুমু খাই আস্তা আভির মাথা চুল কামছে দরে জুরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে যা আভি কে আরো পাগল করে দিচ্ছে। আভি এবার আস্থা কে কুলে তুলে ভাট্টাপ এ নিয়ে আস্থা কে বসিয়ে আভি আস্থার পিছনে বসে এক হাতে স্লাইট করছে আস্থার পেটে আস্থার গাড়ে গলায় চুমু খাচ্ছে এই ভাবে তিন ঘন্টা কেটে যাই ওদের গোসল শেষ হয়। আভি কমরে টাওয়াল পরে আর আস্থার শরীর এ জরিয়ে নেই। আভি আস্থা কে খুলে তুলে রুমে এনে নামিয়ে দেই। আভি চেন্স করে একটা একটা নীল শার্ট কালো জিন্স পরে। আর আস্থা পরে নীল রং এর হাঁটু অব্দি একটা জামা আনারকলি হাতা। আস্থা বলে আভি চলো মিটিং সন্ধ্যা সাত টাই বাজে ছয় টা আধঘন্টা বাহিরে ঘুরে আসি। এরপর আভি আস্থা কে নিয়ে হোটেল এর বাহিরে বের হয়।

আধ ঘন্টা পর রুমে গিয়ে দুইজন চেন্স করে। আভি একদম পরমাল লুক আর আস্থা ও কালো জিন্স পিংক শার্ট ইন করা পায়ে হাই হিল কানে বড়ো রিং পিট অব্দি পরা সোজা স্লিকি চুল গুলো খুলা রেখেছে ঠুঁটে গোলাপী লিপস্টিক গারো করে দেওয়া আভি আস্থা কে দেখে বলে আমার বউ কে দেখে আজকের ক্লাইন্ট দের মাথা নষ্ট হবেই। আস্থা বলে তার জন্য তো এই রূপ আপনি ও কম কিসে বলেই দুই জন বেরিয়ে পরে। কনফারেন্স রুমে
ডুকতে আস্থা কে দেখে মিঃ রেহান হা হয়ে আছে যেটি আভির চোখে ঠিক পরলো কারো চোখে না পরলে ও ।আভি শুধু পারছেনা মেরে দিতে দাঁতে দাঁত চেপে রাগ দমিয়ে রাখছে । এই দিখে মিঃ আজহার এর পিএ নিধি তো রুদ্র কে দেখে ক্রাশ। আস্থা বিষয় টা লক্ষ্য করে রেগে দাতে দাঁত চেপে বলে মিস নিধি এটা কনফারেন্স রুম কোনো ছেলের দিখে হা হয়ে থাকিয়ে থাকার জন্য আপনার বস আপনাকে আনেনি আর ভুল জিনিসে নজর দিবেন না। আস্থার কথায় লজ্জা অপমানে বির বির করে বলে এর প্রতিশোধ নিবো আমি। কনফারেন্স রুমে বসে আছে বারো জন ছয় জন বস আর তাদের পিএ তবে মেয়ে পিএ একটাই। এখানে শুধু রোহান রুদ্র সমান নাহলে সবাই মধ্য বয়সি মিঃ আজহার ও তিনি নিধি কে মেয়ের মতো দেখেন। এরপর এক এক করে সবাই প্রেজেন্টেশন দেই শেষে আস্থা দেই সবার থেকে বেস্ট হয়েছে আস্থার টা। আর দ্বিতীয় রোহান। মিঃ আজহার বলে মিঃ আভি ডিল টা দুই কম্পানি পাবে আমার লন্ডন এর বড়ো কম্পানির সাথে কাজ করার তার মাজে আমি আপনাকে সিলেক্ট করলাম আর রোহান কে। দুইজন ধন্যবাদ জানাই আজহার কে। তবে রোহান এর সাথে কাজ করতে হবে বলে মুটেও খুশি না আভি তেমনি নিধি থাকবে বলে আস্থা ও খুশি না। নিধির ভাব দেখে আস্থা আভির হাত দরে বলে বেবি চলো রুমে আমরা হানিমুনে এসেছে একদম লেট চলবে না বলেই শয়তানি হাসি দেই মেয়েটার দিখে থাকিয়ে আভি ও বুজতে পেরে মুচকি হেসে বলে ইয়া বেবি চলো টাইম নষ্ট করার দরকার কি বলেই রোহান এর দিখে থাকিয়ে চলে যাই।
চলবে…

#অবশেষে তুমি আমার
# পর্ব:16
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

পরের দিন সকাল বেলা কনফারেন্স শেষ করতে মিঃ আজহার বলে মিঃ চৌধুরি আমার আজকে সন্ধ্যা বেলায় একটা পার্টির আয়োজন করেছি অব্যশয় আপনারা আসবে। আভি বলে কেনো না সন্ধ্যাবেলা চলে যাবো। মিঃ আজহার বলে পার্টি টা এই হোটেলে হবে। এরপর সবাই বেরিয়ে যাই। সন্ধ্যা বেলায় আভি আর আস্থা রেডি হয় মেচিং কালো ড্রেস পরে। আস্থা পরনে একটা লং পার্টি গাউন যেটা পায়ের এক দিখ দিয়ে পুরো টাই কাটা আরেক দিক ঘিরে রাখা। পিছনে অনেকটা খুলা। পায়ে হাই হিল কানে লং কালো দুল গোলাপী লিপস্টিক একদম পার্টি লুক এর রেডি । আভি বলে বাহ জান সব ড্রেস তোমাকে ভালো লাগে এটাও কিন্তু দারুন মানিয়েছে আর মানাবে না কেনো সুন্দরী বউ আমার বলেই আস্থার গাল টিপে দেই।আস্থা বলে হয়েছে চলো তো বলেই আস্থা আভির হাতের ভিতর হাত ডুকিয়ে পার্টির ভিতরে ডুকে । ডুকতে মিঃ আজহার আর বিভিন্ন বিজনেসম্যান রা আভি আর আস্থার সাথে হাত মেলাই। তখনি রোহান হেসে বলে ইউ আর লুকিং সো হট। আভি বলে সেটা আপনাকে বলতে হবে যেতে পারেন। রোহান বলে রাগ করেছেন কেনো আপনার বউ এই পার্টির সবচেয়ে সুন্দরী আর আকর্ষণী আর এমন জিনিস কে পছন্দ না করবে। আভি বলে মিঃ রোহান যার তার জিনিস এ চোখ দেওয়া উচিত না আর আভি চোধুরির জিনিস এ মুটেও না তাহলে আভি চোধুরি ঠিক কি করতে পারে আজকে না হয় তার একটু টেইলার আপনাকে দেখাবো রেডি থাকবে এখন ইনজয় করোন গো। রোহান চলে যাই । আস্থা বলে কি করবে? আভি শয়তানি হাসি দিয়ে বলে বেশি কিছু না জাস্ট দুই মাস হসপিটালে থাকার ব্যবস্থা করে দিবো। আস্থা বলে তুমি পারো ও বেছারা রোহান এর জন্য কষ্ট লাগছে আভি চৌধুরির বউ এর সাথে প্লাট করতে এসেছিলো এবার বুজো।

আভি আর আস্থা কাপল ডান্স করতে থাকে পার্টির সবাই ডান্স করছে। আস্থা আভি কে জরিয়ে দরে কানে কানে বলে বাহ তুমি ভালোই ডান্স পারো আমার আগে কোনো মেয়ের সাথে করেছো নাকি। আভি বলে আরে না আমার গালফেন্ড ছিলো কিন্তু ওর কাছা কাছি কখনো যাই নি আমি হাত দরা চারা । আস্থা বলে যাক চরিএ ভালো আমার জামাই এর বলেই দুই জন হেসে দেই। আভি বলে আমার একটা ফোন আসছে একটু এই দিখে যাচ্ছি। আস্থা বলে চলো আমি ও একটা টেবিল এ বসি বলেই আস্থা একটা টেবিলে বসে আর আভি একটু দূরে দারিয়ে কথা বলছে। আচমকা পিছন থেকে আভি কে কেউ জরিয়ে দরে আভি ঘাবরে যাই তবে বুজতে পারে এটা আস্থা না। আমি রেগে সামনে ঘুরে দেখে নিধি। আভি এক ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেই। এই দিখে এই দৃশ্য দেখে আস্থা যেনো মাথা ঠিক নেই। মিঃ আজহার এর পিএ নিধি বলে আই লাভ ইউ আভি প্রথম দেখায় তোমাকে আমার ভালো লেগেছে বলতেই আস্থা জুরে বিয়ার এর বোতল টা টেবিলে বারি মারে সাথে ভেঙ্গে যাই। এই দিখে এই শব্দে মিউজিক বন্ধ করে সবাই আস্থার দিখে থাকায়। আস্থার চোখ বলে দিচ্ছে ও কতোটা রেগে আছে। আস্থা উঠে নিধির সামনে দারিয়ে টাস করে দুই গালে দুইটা থাপ্পর মেরে দেই নিধি নিছে পরে যাই। আস্থা নিধির চুল দরে টেনে তুলে বলে অসভ্য বেহায়া নষ্টা মেয়ে তোর বাবা মা তোকে ভালো শিক্ষা দেই নি তুই যানিস আভি আমার স্বামী বিবাহিত তার পর ও কি করে ওকে প্রপোজ করলি তোর কলিজা আছে না হলে তোকে আমি নিষেদ করার পর ও আভির কাছে এসেছিস । এতো যখন পুরুষ দরকার তো বাজারে যা পেয়ে যাবি বলেই ধাক্কা মেরে নিচে পেলে দিয়ে এক হাতে গলা টিপে দরে আরেক হাতে মুখ আর বলে তোকে আজকে মেরে পেলবো এই দিখে অবস্থা বেগতি দেখে আভি আস্থার কাছে গিয়ে আস্থা কে চারাতে চাই কিন্তু আস্থা চারছে না এই দিখে নিধির অবস্থা খারাপ। মিঃ আজহার এসে আস্থা কে দরে দুইজন সরিয়ে আনে নিধি উঠতে পারছে না তবুও কষ্ট করে উঠছে। আস্থা আভি কে ধাক্কা মেরে পেলে দিয়ে পাশের টেবিল থেকে চুরি টা নিয়ে নিধির দুই হাতে আচর কাটে দুই হাত কেটে গল গল করে রক্ত পরছে। আভিরা কেউ বুজতে পারেনি আস্থা এমন কাজ করবে। আভি গিয়ে আস্থা কে আবার ও জরিয়ে দরে আস্থা রেগে বলে চারো এই ডাইনির হাত কেটে দিবো ও এই দুই হাতে তোমাকে দরেছে কেটে দিবো ওর হাত। আভি বলে আস্থা প্লিজ শান্ত হও এই দিখে নিধি কে দুইজন দরে নিয়ে যাই। আস্থা আভি কে জারি মেরে পেলে দিয়ে এক দৌরে রুমে চলে যাই। আভি ও সাথে সাথে রুমের দিখে যাই। আস্থা ভিতরে গিয়ে যা পাচ্ছে তাই ভেঙ্গে দিচ্ছে। আভি বলে আস্থা ডেয়ার প্লিজ কুল বেবি তোমার লেগে যাবে। আস্থা বলে লাগোগ বলেই আভির কলার দরে বলে কেনো সবাই তোমাকে পছন্দ করে তুমি বিবাহিত জানার পর ও যার যখন ইচ্ছা হুট করে জরিয়ে দরে কেনো কেনো বলো আমাকে তোমাকে টাচ করার অধিকার শুধু আমার অন্য কেউ কেনো করবে বলেই আভিকে জরিয়ে দরে কেঁদে দেই। আভি আস্থার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠে আমি বুজতে পারিনি জান এমন কিছু হবে আর তুমি কি ভুল বুজছো আমাকে তুমি তো সব দেখেছো। আস্থা বলে আমি তোমাকে ভুল বুজিনি এখানে তোমার কোনো দোষ নেই তবুও কেনো কেউ টাচ করবে তোমাকে। আভি বলে আচ্ছা কান্না থামাও আমি কথা দিলাম আজ থেকে আমাকে টাচ তো দূরে থাক কোনো মেয়ে আমার আসে পাশে ও আসবে না সেই ব্যবস্থা করবো। আর আজকে যা করলে এরপর কোনো মেয়ে সাহস পাবে না আসতে। আস্থা বলে এই দেখতে পাচ্ছো পিস্তল টা ইচ্ছা করছিলো এর সব গুলো বুলেট এর মেয়েদের শরির এ ডুকিয়ে দেই। আভি বলে আর কিছু করতে হবে না ওর সারা জীবন মনে থাকবে।
আভি আস্থার চোখের জল মুচে দিয়ে কপালে চুমু খাই। এরপর কিছু কোন আস্থার দিখে থাকিয়ে থেকে আস্থার দুই ঠোঁট নিজের ঠোঁটের বাজে নিয়ে কিস করে আস্থা ও রেসপন্স করছে। আভি আস্থা কে শুয়ে দিয়ে আদ শুয়া হয়ে আস্থার উপর শুয়ে আস্থার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেই আস্থা চোখ বুজে আভির ভালোবাসা অনুভব করতে থাকে। অবশেষে আজ দুই নর নারীর স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক পূর্ণতা পেলো আস্থা আভি কে জরিয়ে দরে চোখ দিয়ে দুই ফোটা জল বের হয়। আভি ঠোঁট দিয়ে মুচে দিয়ে তৃপ্তির হাসি দেই দুইজন ।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আভি দেখে আভি বুকের উপর। আস্থা একটু উঠে আভির উপর ঝুকে আভির মুখের দিকে থাকিয়ে থেকে আভির গালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে আমার জামাই টা এতো বেশি কিউট যে মেয়ে গুলোর কি দোষ দিবে দেখলে মন চাই চুমু খাই বলেই আভির ঠুঁটে চুমু খাই তখনি আভি চোখ মেলে থাকাই । আস্থা বলে কি ব্যাপার আভি তুমি না ঘুমে ছিলে? আভি বলে জি না যখন বালিশে আমার মাথা রেখেছো তখন ঘুম ভেঙ্গে যাই। আস্থা বলে এতো কোন তাহলে অভিনয় করেছো শয়তান বলেই আভি কে আস্তে করে গালে থাপ্পর দেই আভি হেসে আস্থা কে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই। ফ্রেশ হয়ে আভি আর আস্থা বের হয় নাস্তা করতে তখনি দেখা হয় নিধির সাথে। নিধির দুই হাতে ব্যান্ডেজ ঠোঁটের কোনে চোখ মুখ পুলা একটু কুরিয়ে হাঁটছে। মুখের নকশা পাল্টে গেছে। আভি কে দেখে সাথে সাথে অন্য দিখে ঘুরে যাই বিষয় টা আভির খুব হাসি পাই আর আস্থার ঠুঁটে শয়তানি হাঁসি। এই দিখে হোটেলের নিছে যতো মেয়ে ছিলো সবাই নিচে চোখ আভি মনে মনে বলে আমার বউ হেবি দিয়েছে সব গুলো টাইট। আভি আর আস্থা একটা টেবিলে বসে তখনি দুইটা মেয়ে আভি দের সাইডে বসে। একটা মেয়ে বলে দেখ কি সুন্দর ছেলেটা একটা ছবি তুলি বলেই ছবি তুলে এটা আভি আস্থা দুই জন দেখতে পাই। আভি ভয়ে গলা শুকিয়ে যাই আর মনে মনে বলে এই মেয়ের কপালে শনি রবি সব আছে। আস্থা উঠে মেয়েটার সামনে গিয়ে বলে ফোন টা দাও। মেয়েটি বলে কেনো আমার ফোন তোমাকে দিবো। আস্থা বলে ওকে লাগবে না মাএ আমার হাসবেন্ড এর পিক তুলেছো সেটা ডিলিট করো। মেয়েটি বলে যদি না করি? আস্থা বলে তাহলে তোর ফোন টাই থাকবে না বলেই মেয়েটার হাত থেকে ফোনটা কেরে নিয়ে জুরে আছার দেই সাথে সাথে মোবাইল টা কন্ড কন্ড হয়ে যাই। মেয়েটি বলে এটা কি করলে আমার এতো দামী ফোন। আস্থা বলে আগে বলছিলাম না ভালো করে কাটলি না তাই ভেঙ্গে দিলাম। এরপর আস্থা ওদের মেনেজার কে ফোন করে এক লাখ টাকা আনতে বলে। এরপর আস্থা টাকা নিয়ে মেয়েটির মুখে চুরে মেরে বলে এর থেকে বেশি হবে না তোর ফোনের দাম কিনে নিস বলেই আভির হাত দরে বেরিয়ে যাই। আভি মনে মনে বলে আমার বউ তো আমার থেকে উপরে।
চলবে….