অবেলায় ভালোবাসি পর্ব-০১

0
939

#অবেলায়_ভালোবাসি
#মারিয়া_আক্তার
#পর্ব_০১

“তোমায় যদি আমি আমার বউ না বানিয়েছি, তাহলে আমিও পাটওয়ারি ছেলে নই।”

ছেলেটার কথায় তাহা বিদ্রুপাত্মক হাসে। কাঁধের ব্যাগের ফিতাটাকে আরো একটু টেনে নিয়ে ছেলেটার দিকে দু’ধাপ এগোয়। নিজের মুখটাকে ছেলেটার মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে বলে,

“আমায় তোর বউ বানাবি? সত্যি? তোর কি যোগ্যতা আছে আমায় বিয়ে করার?”

“দেখো তাহা, প্রথমেই বলি আমি তোমার চেয়ে বয়সে বড়। আমায় তুমি করে বলতে পারো। তুই তুকারি একদম করবে না। আর যোগ্যতা নেই বলছো? আমি পাটওয়ারি বাড়ির ছেলে। আমাদের পরিবার সম্পর্কে তোমার অজানা নয়।”

“এই রাখ তোর ঢং। আমি তোকে তুমি কি, তুই বলেই ডাকতে চাই না। তোর সাথে কথা-ই বলতে চাই না। আর কি বললি, তোর বংশের কথা। তোর বংশ দিয়ে কি করবো আমি? ধুঁয়ে কি পানি খাবো? তোর মত একটা বখাটে ছেলেকে আমি বিয়ে করবো ভাবলি কি করে?”

“এই একদম আমায় বখাটে বলবে না। কি বখাটেপনা করেছি আমি?”

“ওরে মনু! তুই কি বখাটেপনা করেছিস, তার কিছুই জানিস না? ছয় সাতটা গার্লফ্রেন্ড পকেটে নিয়ে ঘোরা। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকা তোর নিত্যদিনের কাজ। যেই মেয়েটাকে তোর চোখে দেখতে সুন্দর লাগবে, তাকেই পছন্দ করে ফেলা এসব-ইতো তোর বৈশিষ্ট্য। আর তোর মত এমন ক্যারেক্টারলেস ছেলেকে আমি বিয়ে করবো, এটা ভাবাই হল তোর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।”

“তোমার এত তেজ না? অনেক অহংকার তোমার। সব গুছিয়ে দেবো আমি। বিয়েতো তোমায় আমাকেই করতে হবে।”

তাহা এবার খুব রেগে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে ছেলেটার উদ্দেশ্যে বলে,

“তুই আমায় হুমকি দিচ্ছিস? আমায়? আচ্ছা আমিও দেখতে চাই তোর ক্ষমতা ঠিক কতটুকু। বিয়ে করে দেখা আমাকে। আর এখন রাস্তা থেকে সরে দাঁড়া। আর একদিন যদি আমার রাস্তায় তোকে দেখি তাহলে সেদিন সেখানেই মেরে পুঁতে রেখে দেবো।”

রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে সাইকেল নিয়ে চলে যায় তাহা। পিছনে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ছেলেটা তাহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে যেন তার আগুন ঝরছে।

_____________

“আমায় প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে তোমার সতীনের বোনের সেই বখাটে ছেলে।”

বিছানার সাথে লাগোয়া টেবিলের ওপর কলেজ ব্যাগটা রাখতে রাখতে কথাটা বলে তাহা। মায়ের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোনো জবাব আসেনি বলে তাহা মায়ের দিকে দৃষ্টিপাত করে। সোনিয়া বেগম নির্বিকারভাবে তাকিয়ে আছে তাহা’র দিকে। তাহা ভ্রুঁযুগল কিঞ্চিৎ কুঁচকে মায়ের মুখের দিকে মিনিটখানেক তাকিয়ে থাকে।

“কথা বলছো না যে?”

সোনিয়া বেগম এবার নিজেকে স্বাভাবিক করে তাহা’র উদ্দেশ্যে বলে,

“প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে মানে। আরহাম তোকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে? ও তোকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবে কেন? কি যা তা বলছিস তুই?”

তাহা তাচ্ছিল্য হেসে বলে,

“আমি কোনো যা তা বলছি না মা। তোমার সতীনের বোনের ছেলে মানে আরহাম পাটওয়ারি-ই আমায় প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। ওই বখাটে ছেলের পক্ষে এসব অসম্ভবের কিছু না।”

“তুই এসব সত্যি বলছিস?”

সোনিয়া বেগম অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন।

“মা, তুমি এসব কি বলছো? আমি তোমায় মিথ্যে বলতে যাবো কেন? আর শোনো একটা কথা তোমায় আমি বলে দিই। আর তুমি এটা তোমার সতীনকে বলে দিও। তার বোনপো যেন আমার পথে না আসে। আর একদিনও যেন আমায় এসব না বলে সে। আর কোনোদিন যদি এর পূনরাবৃত্তি হয় তাহলে সেদিন সেখানেই ওকে মেরে হাতপা ভেঙ্গে রেখে দেবো।”

“এসব কি তাহা? মেয়ে হয়ে মেয়ের মত কথা বল। গুন্ডাদের মত কথা বলছিস কেন তুই? আর আরহাম যদি তোকে এসব বলে থাকে তাহলে তার সাথে পাঙ্গা নিতে যাস না। ছেলেটা হলো বখাটে। আমারতো রীতিমত ভয় করছে। তাহা তুই একদম ওর সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলতে যাবি না। কি থেকে কি করে বসে।”

“মা প্লিজ, তুমি এসব নিয়ে ভাবতে যেও না। তোমার মেয়ে আর পাঁচটা মেয়ের মত দুর্বল নয়। আর শোনো, তুমি বলে দিও সে যেন আমার পিছনে না পড়ে। পড়লে তার ফল ভালো হবে না। তোমার কাছে এটা আমার অনুরোধ। পারলে রাখার চেষ্টা করিও। তোমার সতীনকে বলে দিও।”

“বারেবারে সতীন সতীন করছিস কেন?”

বেশ উচ্চস্বরে বলে ওঠেন সোনিয়া বেগম। তাহা আবারও তাচ্ছিল্য হাসে।

“তাহলে সম্পর্কে সে তোমার কি হয়? বলো।”

সোনিয়া বেগম চুপ করে থাকেন।

“উত্তর নেইতো তোমার কাছে? নিজের স্বামীর অন্য স্ত্রী সতীনই হবে। সতীনকে ঘরে জায়গা দিয়েছো, আবার মানতে কষ্টও হচ্ছে। কি আর করার। যাই হোক, এখন তুমি নিজের রুমে যাও। আমি এখন ঘুমাবো।”

“তুইতো এমন ছিলি না তাহা। এমন হয়ে গেলি কেন? মায়ের সাথে কখনো আগে তুই এমনভাবে কথা বলিস নি, তাহলে এখন এভাবে কেন কথা বলিস?”

প্রশ্ন করে উত্তরের আশায় তাহা’র মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন সোনিয়া বেগম। তাহা নিজেকে ধাতস্থ করে। চোখ বন্ধ করে নিয়ে আগত চোখের জলটাকে বাহিরে আসতে দেয় না।

“আমার মনে হয় আমি যা করছি ঠিক করছি। আর তুমি যাও এখন এখান থেকে। কিছুক্ষণ পর হয়তো তোমার ডাকও পড়তে পারে। তোমার সতীনের মেয়ের কতকিছুই লাগতে পারে। যাও, যাও তাড়াতাড়ি যাও। কামলা খাঁটতে যাও।”

সোনিয়া বেগম উঠে তাহা’কে নিজের দিকে ফেরান। মেয়েটা তার অভিমান থেকে কত কিছু বলছে।

“মাকে খুব ভালোবাসিস তাই না?”

অভিমানে তাহা মুখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকায়। সোনিয়া বেগম নিঃশব্দে হেসে বলেন,

“আমি তোর জন্য রং চা করে নিয়ে আসছি দাঁড়া।”
______________________

“আকাশেতে লক্ষ তারা,
চাঁদ কিন্তু একটারে। হেইয়ো।”

“কুত্তি চুপ করবি তুই? আলুর গান শুরু করেছিস এখন। আবার গান গেয়ে দেখ, একেবারে ঠোঁট সেলাই করে রেখে দেবো।”

তাহা’র দিকে গাল ফুলিয়ে তাকিয়ে থাকে লিসা। মেয়েটা তার ঠোঁট সেলাই করে দেবে? কি সাংঘাতিক কথাবার্তা। অবশ্য এগুলো এই মেয়ের দ্বারাই সম্ভব।

“কিরে আসছিস না কেন এখন? যাবি না নাকি ভিতরে?”

তাহা পিছনে ফিরে দাঁড়িয়ে থাকা লিসার দিকে তাকায়। লিসা এখনো গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তা দেখে তাহা’র ভ্রুঁ কুঁচকে আসে। সে জানে এই মেয়ে এখন নাটক করা শুরু করে দেবে।

“বান্ধবী, তুই আমার ঠোঁট সেলাই করে দিবি?”

“তুই থাক তোর ড্রামা নিয়ে। আমি গেলাম ভিতরে।”

লিসা দেখে তাহা ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে তাই সে দৌঁড়ে তাহা’র কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর দু’জন হাঁটতে হাঁটতে ভিতরে ঢুকে।

“দেখছোস লিচুর বাচ্ছা লিচু, তোর জন্য আজ দেরি হয়ে গেছে। একেতো তিনদিন মিস তার মধ্যে আবার আজকে আমাদের আগেই স্যার চলে এসেছে।”

লিসা গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলে,

“বান্ধবী, এতো চিন্তা কেন? কলেজে পড়ে তুই এসব নিয়ে ভয় পাচ্ছিস? আর এটা কোচিং সেন্টার গাধী। এখানে এত ভয় পেলে কি চলে? আরে তুই চল আমার সাথে।”

তাহাকে একহাতে ধরে লিসা পাঠদানরত স্যারের উদ্দেশ্যে বলে,

“আসবো স্যার?”

স্যার পড়ানো রেখে দরজার দিকে তাকায়। দরজায় দু’টো মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দু’জনের পরনেই গোল ফ্রক আর লেগিংস। গলায় স্কার্ফ ঝুলানো। একজনের চুলগুলো বিনুনি করে রাখা। চোখেমুখে তার দুষ্টুমির চাপ। অন্যজনের চুলগুলো উপরে পনিটেইল করে বেঁধে রাখা। চোখে গোলগোল চশমা। মেয়েটার মধ্যে মেয়েদের মত কোমল ভাবটা নেই। কিছুটা ছেলে ছেলে ভাব আছে। মেয়েটার মুখের অভিব্যক্তি বুঝা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে মেয়েটাকে দেখে খানিকটা বিচলিত মনে হচ্ছে। এমনটা আহিরকে দেখার সাথেসাথে হয়েছে, এটা আহিরের মনে হচ্ছে। তবে এ মেয়েটাকে আহির চিনে। ওর জেঠিমার চাচাতো বোনের মেয়ে। আর মেয়েটার বাড়ি আহিরের বাড়ির কাছেই। রাস্তার এপাড় আর ওপাড়। মেয়েটার নাম তাহানিয়া। ওর বাবা এলাকার চেয়ারম্যান। মেয়েটাকে চিনলেও কখনো কথা হয়নি। তবে এই মেয়েটাকে এলাকার মানুষ একটু অন্য চোখে দেখে।

“তোমরা এখন? কোচিং শুরু হয় কয়টায়?”

তাহা ভ্রুঁ কুঁচকে আহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে। আহির এখানে কেন? আহির কি কোচিং এ নতুন পড়াতে এসেছে? তাহা’রা তিনদিন কোচিং এ না আসায় এখানকার কোনো খবর জানে না। আহিরের বোন আফিয়া তাহা’র ক্লাসমেট। তাহার ভাবনার মাঝেই লিসা আমতাআমতা করে বলে,

“স্যরি স্যার। বাসায় একটু ঝামেলা থাকায় আমাদের দেরি হয়ে গেছে।”

আহির তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দু’জনের দিকে তাকায়। তা দেখে তাহা আর লিসা সোজা হয়ে দাঁড়ায়।

“বাসায় ঝামেলা? তাও আবার দু’জনের একসাথে? যাই হোক, এসো।”

আহিরের অনুমতি পেয়ে তাহা আর লিসা ভিতরে প্রবেশ করে। তাহা একনজর আহিরের দিকে তাকিয়ে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে। আহির আবারো পড়ানো শুরু করে। পড়ানোর মধ্যেই চোখ যায় তৃতীয় বেঞ্চে বসা মেয়েদুটোর দিকে। একজন তাহানিয়া, অন্যজনের নামটা ঠিক মনে নেই আহিরের। দেরিতে আসা দু’জনই এখন বসে বসে কথা বলছে। ইতোমধ্যে কি নিয়ে যেন ঝগড়াও শুরু করে দিয়েছে। এসব দেখে আহিরের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়।

“এই তৃতীয় বেঞ্চ? লাল ফ্রক দু’জন দাঁড়াও।”

তাহা আর লিসা ঝগড়া থামিয়ে একবার দু’জনে নিজেদের জামার দিকে তাকায়, আরেকবার আহিরের দিকে তাকায়।

“দাঁড়াচ্ছো না কেন তোমরা? কথা কানে যাচ্ছে না?”

আহিরের ধমক শুনে লিসা আর তাহা তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে যায়। আহির বইটাকে টেবিলের ওপর রেখে পকেটে দু’হাত গুঁজে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। আহির এবার বলে,

“দু’জনে আমার ক্লাসে বসে বসে কথা বলছিলে ইভেন ঝগড়াও শুরু করে দিয়েছো। একে তোমরা দেরিতে এসেছো, তারপর আবার এসব?”

আহির এবার লিসার দিকে তাকায়। তারপর সে লিসার নাম জিজ্ঞেস করে। লিসা ভয়ে ভয়ে নিজের নামটা বলে। আহিরের রাগীদৃষ্টি দেখে লিসা ইতোমধ্যে কান্নাই করে দিয়েছে। অল্পতে ভয় পাওয়ার মেয়ে সে, তাই। আহির লিসাকে দুই একটা প্রশ্ন করলে, লিসা ঠিকঠাক জবাব দেয়। তাই আহির লিসাকে বসার অনুমতি দেয়। লিসা বসে পড়ার পর আহির এবার তাহা’র দিকে তাকায়। তারপর বোর্ডে গিয়ে কিছু লেখে। এবার তাহাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

“আমি বোর্ডে একটা সেনটেন্স লিখেছি। এটা এখন আছে সিম্পল সেনটেন্সে তোমাকে এখন এটাকে কমপ্লেক্স সেনটেন্সে রূপান্তর করতে হবে। এসো সামনে।”

তাহা দুঃখী দুঃখী মুখ করে লিসার দিকে তাকায়। এসব সলভ করতে পারে না তাহা। এটা লিসা ভালো করেই জানে। ইংরেজিতে তাহা খুব মানে খুব কাঁচা। সবসময় টেনেটুনে পাশ করে এসেছে। এখন এটা কি করে সলভ করবে? তাহা’কে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আহির বেশ জোরে ধমক দিয়ে উঠে। তাহা তাও বেঞ্চ ছেড়ে উঠে আসে না। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

“তুমি কি আসবে না? কি হলো কথা কানে যাচ্ছে না?”

তাহা শান্ত কন্ঠে বলে,

“আমি এসব পারি না।”

আহির ভ্রুঁ কুঁচকে তাকায় তাহা’র দিকে। অবাক হয়ে বলে,

“সিরিয়াসলি? তুমি এসব পারো না? কিছুদিন পর তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা, এখনও এসব পারো না। আমি যতদূর জানি এই কোচিং সেন্টারে ভালো মানের স্টুডেন্ট ছাড়া পড়ানো হয় না। তাহলে? আচ্ছা তোমার এসএসসি রেজাল্ট কি ছিল?”

তাহা আশেপাশে তাকায়। সব স্টুডেন্টরাই ওর দিকে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে।

“৪.৮৩”

আহির ওহ বলে তাহা’র দিকে তাকায়। তাহা’কে সামনে আসতে বলে। তাহা নিশ্চুপ থাকলে এবার জোরে ধমকে ওঠে। তাহা’সহ ক্লাসের সবাই কেঁপে ওঠে এতে। তাহা গুঁটিগুঁটি পায়ে আহিরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

“হাত পাতো।”

তাহা প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে আহিরের দিকে তাকায়। আহির ইশারায় হাত সামনে আনতে বলে। তাহা হাত সামনে আনলে আহির টেবিলের ওপর থেকে একটা স্কেল দিয়ে তাহা’কে গুনে গুনে পাঁচটা বাড়ি দেয়। তাহা দাঁত খিঁচে দাঁড়িয়ে থাকে। আহির এবার স্কেলটা জায়গায় রেখে সকলকে আগামীকালের পড়া বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। তাহা সে জায়গায় এখনো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাহা এবার স্কেলটাকে হাতে উঠিয়ে বেশ জোরে চাপ দিয়ে ধরে। অতিরিক্ত রাগে তার মুখ দিয়ে কিছু শব্দ বেরিয়ে আসে।

“আহিরের বাচ্চা আহির। আপনার খবর আমি করবোই। আমি যদি এর শোধ না নিয়েছি, তাহলে আমার নামও তাহানিয়া ফেরদৌসি নয়।”

চলবে,,,ইনশাআল্লাহ