আনন্দধারা বহিছে ভুবনে পর্ব-০৩

0
230

#আনন্দধারা_বহিছে_ভুবনে (পর্ব ৩)
নুসরাত জাহান লিজা

আজ টানা চারটা ক্লাস করে একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছে৷ একে তো অসহ্য গরম, তারমধ্যে শেষের ক্লাসটায় একগাদা বিরক্তি এসে ভর করেছে। এমনিতেই অবন্তীর গতকাল রাতে একফোঁটা ঘুম হয়নি। এমন অবশ্য প্রায়ই হয়। ক্লাস শেষে ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং থেকে শাফিনকে নিয়ে পা বাড়াল, গন্তব্য কেআর মার্কেট। কিছু শিটও ফটোকপি করতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় যাবে। পথে এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস এর মিলির সাথে দেখা হলো। মেয়েটা ভীষণ মিষ্টি দেখতে, বেশ শান্ত স্বভাবের। অবন্তী আর মিলি একসাথে স্কুলে পড়েছে। ভাবভঙ্গিতে বোঝা যায় মেয়েটা শাফিনকে পছন্দ করে। তাকে দেখলেই লাজুক মেয়েটার মুখাবয়বে লালচে ভাব গাঢ় হয়। কখনো সেভাবে না বললেও বোঝ যায়। শাফিনটা যে কী!

“মিলি, তুই যাবি আমাদের সাথে?”
“না রে! তোরা যা। আমার একটু জরুরি কাজ আছে।” অবন্তীর আমন্ত্রণ নাকচ করে দিয়ে চলে গেল মিলি।

“তুই একবার বললেই বেচারি আসত আমাদের সাথে।”

“আসে নাই তাতে কী এমন হইসে?” হাঁটতে হাঁটতে নিরস গলায় উত্তর দিল শাফিন।

“কিছু হয় নাই, কিন্তু আমার একটা কথা মনে হচ্ছে। তোর ভবিষ্যৎ আমি দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি।” অবন্তী হাঁটা থামিয়ে অদ্ভুত ভাবুক ভঙ্গিতে কথাটা বলল।

“তা তোর দিব্যদৃষ্টি কী বলে আমাকে নিয়ে?”

“এটাই বলে যে, তুই সারাজীবন সিঙ্গেলই থাকবি, দোস্ত। দোকলা হতে পারবি না।” অবন্তী হেসে উত্তর দিল।

“জ্যোতিষ শাস্ত্র কবে থেকে রপ্ত করা শুরু করলি?”
“এটা বোঝার জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্র শিখা লাগে না রে পাগল! তোকে ঠিকঠাক কিছুদিন দেখলেই বোঝা যায়।”

“আমার এখন দোকলা হওয়ার জন্য কী করণীয় সেটাও একটু বলেন জনাবা? শুনে নিজের দুর্দশা কাটাই।”

“বৎস, এরজন্য তোকে বেশি বেশি করে মেয়েদের আশেপাশে থাকতে হবে, শুধু আমার সাথে থাকলে মেয়েরা জীবনেও পটবে না। তোরও আর জুড়ি মিলবে না। বুঝেছিস বৎস!”

“তথাস্তু জ্যোতিষ রানী অন্তি।”
কথা শেষ করে দুজনেই নিজেদের ছেলেমানুষীতে হেসে ফেলল।

শাফিন একটা অবোধ্য দৃষ্টি নিয়ে অবন্তীর দিকে তাকিয়ে রইল। মনে মনে আওড়াল,
“তোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমি যদি বুড়োও হয়ে যাই, তবুও যতদিন শ্বাস টানতে পারব ততদিনই অপেক্ষা করব। আমার আর কাউকে দরকার নেই।”

মুখে কিছু বলার সাহস নেই, যে দস্যি মেয়ে, জানলে হয়তো কথা বলাই বন্ধ করে দেবে। তাছাড়া নিজের একটা গতি না করতে পারলে বলাও সম্ভব নয়।

বাবার কাছ থেকে হাত পেতে টাকা নেয় না বহুদিন। কেমন বাধোবাধো লাগে। তিনি অবসর নিয়েছেন এখন। তাকে একটু স্বস্তি দিতেই শাফিন একটা ইন্টারমিডিয়েটের ছেলেকে ফিজিক্স আর ম্যাথ পড়ায়। যেটুকু পায়, নিজের হাতখরচ চালিয়ে নেয়া যায়। টেনেটুনে মাস চলে যায়।

“যাই বলিস, মিলি কিন্তু দারুণ সুন্দরী! কী বলিস?”

“আমার শুধু তুই হলেই চলবে। মিস ইউনিভার্স চাই না। তার মধ্যে যতই পারফেকশন থাকুক। আমার ভুলে ভরা সাদাসিধে তোকেই চাই রে।”

আবারও মনেই থাকল কথাগুলো। বাইরে এলেই কেলেঙ্কারির একশেষ। তাই বোবা অনুভূতিরা ভাষা পায় না কোনোদিনই। মনেই জমে থাকে। থাকুক, জমে জমে কথারা পাহাড় গড়ুক। একদিন সেই পাহাড়ের চূড়ায় হয়তো এই আরাধ্য মেয়েটির পদধূলি পড়বে! বুকের টনটনে ব্যথায় হয়তো প্রলেপ পড়বে!

এরমধ্যে আবার বড়বোন শিউলির ব্যাপারটা বেশ ভাবাচ্ছে। একটু পরপর ভেতরে খোঁচা দিচ্ছে। চারদিকটা যেন ওর দিকে গুটিয়ে আসছে, একটু পরে প্রচণ্ড চাপে পিষে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাবে। অবন্তীর কথায় ভাবনা থেকে বের হলো।

“মাঝে মাঝে কই হারায়ে যাস তুই? মনে হয় এই দুনিয়ায় ছিলি না। বাপরে, কত্ত বার ডাকলাম।”

“আরে কিছু না। বাদ দে! ডাকলি কেন সেইটা বল?”

“ধূরু, তোরে ডাকতে ডাকতে তো আসল কথাই ভুলে গেলাম।”

অবন্তীর বলার ধরনে শাফিন ফিক করে হেসে ফেলল, “চল আগে চা খাই। ক্লাস করে মাথা জট পেকে আছে।”
অবন্তী একমত হলো। চায়ের দোকানে এসে দাঁড়ালো।

শাফিন এখনো শিউলির বিষয়টা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। অবন্তীর সাথে এসব শেয়ার করা হয়নি। কেন যেন ইচ্ছে করে না। কিছু কষ্ট নাহয় ওর নিজেরই থাকুক, একান্তই একার।

***
অয়ন এলাকার স্থানীয় এবং কাছের বন্ধু রনি আর ফিরোজের সাথে বসে আছে জয়নুল আবেদীন পার্কে। প্রখর রোদমাখা দগ্ধ এক দুপুর। কিন্তু বাতাসের জন্য গরমটা এখন সেভাবে গায়ে লাগছে না।

ওদের সামনে দিয়েই তিনজন মেয়ের একটি দল গেল, শাড়ি পরে, খুব সুসজ্জিত হয়ে। রনি পেছন থেকে বলল,

“কী সুন্দর পাখি, একটাও ডালে বসে না, সব উইড়া যায় রে।”

ফিরোজ ফোড়ন কাটল, “তুই কোন গাছের ডাল বন্ধু?”

এবার অয়ন মুখ খুলল, “মেয়েদের দেখলেই তোদের এসব শুরু হয়ে যায়। আমি বলছি না, এসব করবি না? খুব বিরক্তিকর লাগে।”

“আরে, দোস্ত এত হাইপার হয়ে যাইতেছিস ক্যান, জাস্ট ফান করলাম।”

“দেখ, তোদের কাছে যেইটা ফান, ওদের কাছে এইটা চরম বিরক্তিকর। তোর বোন আছে না বাসায়? তার সাথে কেউ এভাবে কথা বললে তোর ভালো লাগবে?” অয়ন ক্ষুব্ধ গলায় কথাগুলো বলল।

রনির মুখ থেকে হাসি মিলিয়ে গেল। নিজের ভুলটা বেশ ভালো করে বুঝেছে। তবে এই বন্ধুটাকে খুব একটা বুঝে উঠতে পারেনি এতকালে। এমনিতেই ওদেরই একজন প্রতিনিধি। সারাদিন ওদের সাথেই থাকছে, মন খুলে আড্ডা দিচ্ছে, খুব কাছের একজন হয়ে মিশছে, তবুও কোথাও একটা যেন দেয়াল দেয়া আছে। ওদের একজন হয়েও ঠিক ওদের মতো নয়।

ফেরার পথে স্পোর্টস ক্লাবটায় চোখ পড়ল, মাঠে ক্রিকেট প্র‍্যাকটিস চলছে। সেদিকে তাকিয়ে অয়নের বুকের ভেতরটা ভারী হয়ে এলো। মিডিয়াম পেসার ছিল, সাথে বেশ ভালো ব্যাটিং করত।

কোচ বলেছিলেন, “ন্যাশনাল টিমে একজন ভালো মানের পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব আছে। তুই লেগে থাকলে ডাক পেয়ে যাবি একদিন। দেখিস।”

অয়নের আর ডাক পাওয়া হয়নি। দেশের জার্সিতে মাঠ মাতানোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। কারণ এরপর আর কখনো খেলাই হয়নি! আবারও দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো বুক নিংড়ে।

***
কলিংবেল বাজতেই শিউলি সচকিত হলো। দেয়ালের ঘড়িটায় চোখ বুলিয়ে দেখল ঘড়ির মিনিট এবং ঘণ্টার কাঁটা প্রায় একই জায়গায় আছে। প্রতিদিন রাত বারোটার আশেপাশেই তুহিন বাসায় ফেরে। প্রথমদিকে অভিযোগ করেছে, কিন্তু তাতে নিজের উপরে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় বলে অনেকদিন ধরেই কিছু বলা একপ্রকার বাদ দিয়েছে। যা ইচ্ছে করুক, সে তার মতো থাকবে।

দরজা খুলে দেবার পর তুহিন মুখ খুলতেই একটা বিশ্রী গন্ধ নাকে এসে ধাক্কা দিল। আজ বোধহয় অনর্থ একটা ঘটবেই, মনে মনে এমন আভাস পেয়ে শিউলির ভেতরটা কেঁপে উঠল।

নিজের বিছানায় বসেই তুহিন হিসহিসিয়ে বলল, “তোরে দেওয়া এক সপ্তা সময় শেষ। আমার টাকা কই? টাকা দে!”

শিউলি প্রমাদ গুনল, তুমি থেকে ‘তুই’তে নেমে এসেছে মানে অবস্থা আসলেই ভয়াবহ, “টাকা কী চাইলেই পাওয়া যায় নাকি!”

“তোর বাপের কাছ থেকে আইনা দিবার কইছিলাম।”

শিউলির ভীষণ রাগ হলো, “আমার বাপ টাকার গাছ লাগায় নাই, যে তুমি যাইয়া ঝাকি দিলা আর টপটপ করে পড়ল। আমি কুড়ায়ে নিয়া আসলাম।”

“বেশি চ্যাটাং চ্যাটাং কথা কইবি না কইলাম। মেজাজ মর্জি ঠিক নাই।”

“তোমার মেজাজ-মর্জি আমি আজ পর্যন্ত ঠিক দেখি নাই।”

হঠাৎ তুহিনের যেন মাথা বিগড়ে গেল, অপ্রকৃতিস্থের মতো উঠে এসে শিউলির গায়ে হাত তুলল, শিউলি থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। এলোপাথাড়ি মারের একপর্যায়ে চিৎকার শুরু করতেই সফুরা ছুটে এলেন। তিনি বহু কষ্টে ছেলেকে শান্ত করলেন। এই বাসায় দুটোই ঘর, তাই রাতে শাশুড়ির ঘরেই চলে এলো থাকতে।

বহুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে সফুরা ঘুমাননি বুঝতে পেরে খুব ঠান্ডা গলায় শিউলি বলল, “আম্মা, আমি কাল বাড়িতে চলে যাব। একবারে, আর ফিরব না।”

“তুমি যখন দেখছো সে মাতাল, একটু বুইঝা কথা কইলেই কিন্তু হইত। তা না, উল্টা আরও রাগ উঠাইয়া দিছো।”

“আপনের মেয়েও তো শ্বশুর বাড়িতে থাকে। তার সাথে এমন হইলে কী একই কথা বলতেন আম্মা?”

সফুরা যেন কিছুটা থমকালেন, এরপর নিজেকে ধাতস্থ করে নিয়ে বললেন, “এইটা আমগোরে নিয়তি, বুঝলা? মেয়ে মানুষ হইছো, একটু সহ্য কইরাই চলা লাগব।”

সফুরার কথায় ক্ষোভটা বেড়ে গেল, মেয়ে হয়েছে বলে মুখ বুজে এহেন অন্যায়, অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য করতে হবে এটা কোথাকার সংবিধানে লেখা আছে? শিউলি এসব পারবে না। আত্মসম্মান অনেক বড় জিনিস, সেটাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেকে অপমান করতে পারবে না।

“আমার পক্ষে আপনের মাতাল ছেলেরে সহ্য করা সম্ভব না। মুখ বুইজা সহ্য করলে আমার যদি মেয়ে সন্তান হয়, তারে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার শিক্ষা দিতে পারব না। আল্লাহ না করুক, তার সাথে এমন হইলে সেইটা আমার সইবে না।”

কিছুক্ষণ থেমে আবারও বলল, “আমি কাল চলে যাব এইটাই ফাইনাল। অনেক তো দেখলাম। এতদিনেও শুধরায় নাই যখন, সে আর কখনো শুধরাবো না।”

সেই রাতে দুই চোখের পাতা এক হলো না, সারারাত কেমন ছটফট করল। তুহিনের জন্য নয়, মা আর বাবার জন্য। কী ভাবনেন তারা?

যেমনই হোক এই সংসারটার প্রতি কেমন যেন একটা মায়া পড়ে গিয়েছিল। মায়ার টান ছিঁড়ে ফেলা ভীষণ কষ্টকর। কিন্তু গ্লানিবোধ থেকে মুক্তি পাবার কাছে সেই মায়া নিতান্তই তুচ্ছ মনে হলো। তবুও কেন যেন দু’চোখ ভিজে এলো। কেন, কে জানে!

***
সেদিন ঝামেলা হবার পর থেকে এই বাসার পরিবেশ একেবারে শান্ত। একটা থমথমে গোমট আবহাওয়া বিদ্যমান। অবন্তীরও পরিবেশটা ভালোই লাগছিল। কিন্তু আজ সেটা পাল্টে গেল। অয়ন হচ্ছে একটা ঝামেলাবাজ ছেলে। তাই গোলযোগ না বাধিয়ে স্বস্তি পায় না, সেটা হোক বড়চাচা নয়তো অবন্তী!

আজ অয়ন যেন ঠিক করেছে ঝামেলাটা অবন্তীর সাথেই করবে। রাত পৌনে বারোটা বাজে। সে এসাইনমেন্ট করছিল, কিন্তু মাথার ঝিমুনিটা যাচ্ছিল না বলে চা বানাতে এসেছে। অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডা লেগে গেছে, টনসিলের ব্যথায় কথাও ঠিকমতো বলতে পারছে না। চুলোয় কেতলি বসাতেই অয়ন এলো।

“খুন্তি, আমাকেও এককাপ দিস তো।”

“আচ্ছা দেব।” কেতলিতে আরও কিছুটা পানি ঢেলে চলে আসছিল, তখনই অয়নকে বলতে শুনল, “আজ এত শান্ত যে? চা চাওয়ার সাথেই রাজি হলি? কী ব্যাপার খুন্তি?”

“আমার তো তোর মতো ফালতু সময় নেই, তাই সময় বাঁচালাম।”

“মানে কী? আমি পায়ে পা বেঁধে ঝগড়া করি?”

“করিস না?” অবন্তীর গলায় তিরস্কারের সুর।

“একদম না। বরং তুই সবসময় কথার তীর ছুঁড়িস।”

“তুই এমন ব্যাকা কেন? একটু সোজা হতে পারিস না? ফাজিল!” অবন্তীর গলা চড়ছে।

“এক কাপ চা-ই তো চেয়েছি। তাতেই এমন করছিস যে মনে হচ্ছে আমি তোর সহায় সম্পত্তি লিখে নিচ্ছি?”

একটু আগে লবন পানি দিয়ে কুলকুচো করছিল, গলা ব্যথার জন্য। সেই মগটা হাতে নিয়ে চলে আসছিল।

“শোন না, খুন্তি, আমার ভালো লাগছে না। একটু ছাদে যাবি আমার সাথে? তোর সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করছে।”

অয়নের গলায় কিছুটা যেন অনুরোধ ঝরল। এমন করে সে কখনো কথা বলে না। সবসময় ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে কথা বলে। তাই অবন্তীও স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিল, “আজ পারব না রে! কাল এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট।”

“ওসব ছুতো আমার জানা আছে, আসলে আমি বলেছি বলেই যাবি না। তোর ওই বন্ধু, কী যেন নাম? হ্যাঁ মনে পড়েছে, শাফিন। সে বললে তোর জানও হাজির।”

“শাফিন আমার বন্ধু অয়ন।” ক্রুদ্ধ স্বরে বলল অবন্তী।

“সে যে কী, সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। শাক দিয়ে মাছ ঢাকলেই কী? ঢাকের কাঠি আপনাআপনি ই বাজে।”

এমনিতেই প্রেসারে আছে, তার উপরে গলা ব্যথায় সব অসহ্য লাগছে, এখন আবার এই নতুন কাহিনী। এমন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বাক্যবাণে অবন্তীর মাথায় হঠাৎ কী হলো, সে জানে না! হাতের কুসুম গরম লবন-পানি ভর্তি মগের সবটুকুই ছুঁড়ে দিল অয়নের দিকে। প্রায় পুরো পানি গিয়ে লাগলো বেচারার মুখে।

অবন্তী আর একমুহূর্ত দাঁড়ালো না সেখানে, হতভম্ব অয়নকে সেভাবেই রেখে হনহনিয়ে হেঁটে নিজের ঘরে চলে এলো। তুমুল রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।
…….
(ক্রমশ)