আমার অনুভুতি তুমি পর্ব-০৩

0
520

#আমার_অনুভুতি_তুমি
#পর্বঃ৩
#নুসাইবা_ইসলাম

অনেক্ক্ষণ হয়ে গেছে ইশা’র মা চলে গেছেন। সেই থেকে যে লামিয়ার রুমে এসে ইশা বসছে আএ উঠার নাম নাই। মামি অনেকবর এসে ইশা কে ডেকে গেছে খাবার খাওয়াদ জন্য কিন্ত এই মেয়ের যাওয়ার নাম ই নাই। বসে বসে কি আকাশ-পাতাল ভাবছে আর হাতের নখ কামড়াচ্ছে তা আল্লাহ ভালো জানেন। লামিয়া বেশ বিরক্ত হচ্ছে ইশা এর এমন কাজে।

এই মেয়ে এবাএ উঠে খেতে যাবি না লাঠি এনে তোকে আমি পিটানো শুরু কফবো? বিকেল হয়ে গেছে এখন ও দুপুরের খাবার খাওয়া হয় নাই। (লামিয়া)

আরে রাখো তো বাপু তোমার খাওয়া আমি আছি আমার চিন্তায়, আচ্ছা অই কিপটা বুড়ায় দেখো তো তোমার খামে কতো টাকা দিছে? ( ইশা)

ইশা সে তোমার গুরুজন হয় না, বড় মানুষদের এভাবে বলতে হয় না জানো না? ( লামিয়া)

প্রথমত বিয়ে হওয়ার আগেই শশুর বাড়ির সাপোর্ট টানছো না কি? দ্বিতীয় তো অইটা আমার সো কল্ড বড় কাকা তুমি ভুলে গেছো সে কি করছে আমার আব্বু আর আম্মুর সাথে? মামি তো তোমাদের আমাদের সব খুলেই বলছিলো। হ্যাঁ মানলাম শুধু জানতা আমার বড় কাকার ব্যাপারে দেখো নাই এইটুকু ই তো তাই না? ( ইশা)

ইশু আমি তো এমনি বলছি তুই সিরিয়াস কেন হচ্ছিস? ( লামিয়া)

আমার ভাল্লাগছে না আপু পুড়া কথা না বললে শান্তি পাবো না আমি তোমাদের৷ মামি, ইফরাত ভাইয়া,মামা কোথায় তোমরা তাড়াতাড়ি আসো এইদিকে। ( ইশা)

ইশা’র চি*ৎ*কা*র শুনে বাড়ির সবাই লামিয়ার রুমে ছুটে আসলো। সবাই ভাবছে কি হইছে যে ইশা এভাবে চি*ৎ*কা*র দিলো। সবাই এসে দেখে ইশা আর লামিয়া স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে।

এই এইভাবে কেই চি*ৎ*কা*র করে? আমাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি।
(মামি)

আসলে তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা বলার ছিলো আমি জানি আম্মা কখোনো এসব তোমাদের বলবে না। (ইশা)

ইডিয়েট যা বলার তাড়াতাড়ি বল এভাবে ডাকার মানে আছে? (ইফরাত)

আসলে মামি আমি কিভাবে শুরু করবো জানি না। ইফরাত ভাইয়া তো কিছুই জানে না। মামি মনে আছে তোমার তুমি আমাদের কি বলেছিলে? আমার মা-বাবা পালিয়ে বিয়ে করায় মামা আম্মার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করেন। তখন তো আর তোমাদের সাথে আর যোগাযোগ ছিলো না, আমার দাদা-দিদুন কে উলটা পালটা বুঝিয়ে আমার বাবা আর মা কে বাড়িতে উঠতে দেন নি তখন আমার বাবা কতোটা কষ্ট পেয়েছেন? আমার বাবা -মা অনেক কষ্ট করছেন,ভাড়া বাড়িতে থেকেছেন। আমার জন্মের পড় দাদাই এর মন গলে তাই তিনি বাবা-মাকে আমার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। আমার বাবা হলেন শান্ত, সহজ-সরল একজন ব্যাক্তি দাদাই-দিদুন এর অনেক প্রিয়। দাদাই মারা যাবার আগে দাদাই এর নামের বেশ অর্ধেক সম্পত্তি আমার বাবার নামে করে দেয় আর বাকি অংশ বড় কাকার নামে। তখন আমার বড় কাকা প্ল্যান করে কিভাবে সেই সম্পত্তি আয়ত্তে নিবে। এইবার আসি মূল কথায় সে সম্পত্তি এর জন্য বড় কাকা সূর্য ভাইয়ার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেন আর সেই ব্যাপার টা গোপন রাখতে বলেন,আমার বাবা ভাইয়ের কথা ফেলতে পারেন না তিনিও রাজি হয়ে যান। এভাবে কাটতে থাকে দিন সূর্য ভাইয়া আমার প্রায় ১০ বছরের বড় যখন ওনার পড়ানোর জন্য বাহিরে পাঠাবেন তখন টাকা এর দরকার সেই ছুতোতেই আমার বাবার কাছ থেকে সব সম্পত্তি নিয়ে তা বিক্রি করে সূর্য ভাইয়াকে পড়ালেখা করানোর জন্য এবরোড পাঠান। আমার বাবা- মা এতে আফসোস কোনো কালেই ছিলো না। কাকা কাকিরা তো সবসময় ঢাকা থাকতেন আর আপনাদের চিনে না কারণ কখোনো জানতেই চান নাই আপনাদের ব্যাপারে। অবশ্য জানতেই বা চাইবেন কেনো তার দরকার ছিলো আমার বাবার সম্পত্তি। মামা আমাদের যে মেনে নিয়েছেন তা তারা জানতেন না। এইভাবে যাওয়ার পড় কি হইছে জানিনা আমি ঠিক আজ সকালে বড় কাকা আমাদের বাসায় গিয়ে বলে এসেছে আমার বাবাকে যে তার বিলেত ফিরত ভালো জব করা ছেলের সাথে আমাকে মানায় না। তাই যেনো আমার বিয়ে অন্যকোথায় দিয়ে দেন। তার ছেলের সাথে না কি আমার বিয়ে যায়না। আমি চাই না এমন একটা লোভি পরিবার এ লামিয়া আপুকে বিয়ে দিয়ে তার জিবন নষ্ট করুন। লামিয়া আপু আমাকে ভুপ ভাইবো না প্লিস সূর্য ভাইয়ার প্রতি আমার কোনো কালে কোনো ফিলিংস ছিলো না।
সবাই স্তব্ধ হয়ে বসে আছে কি বলবে বুঝতে পারছে না। এতো কিছু হয়ে গেলো আর তারা কিছু জানেই না?

ইশু আমরা কি তোদের কেউ ছিলাম না আমাদের বলিস নাই কেনো? আমাদের বললে তো আমরা কিছু করতে পারতাম না। হ্যাঁ আর তখন রাফিয়া আমাদের কিছু বললো না কেন? ( মামা)

আপনি আম্মাকে চিনেন না মামা এগুলা আম্মা কখোনোই আপনাদের বলতেন না। ( ইশা)

আচ্ছা এসব এখন বাদ দেও, আর যা বলার সূর্যের পরিবার কে তোর মামা বলে দিবেন এবার যা ফ্রেশ হয়ে খেতে বস। ( মামি)

আম্মু আজকে আমরা বাসায় খাবো না, আজকে আমি ইশু আর লামুকে ট্রিট দিবো । আজকে ওদের ঘুরতে নিয়ে যাবো দেন আমরা রাতে ডিনার করে ফিরবো। ( ইফরাত)

ইয়েএএ সত্যি ভাইয়া? যাইহোক অনেকদিন হইছে ঘুরতে যাই না। ইশু তোর ও তো ইচ্ছা ছিলো যাওয়ার। ( লামিয়া)

মামা মামি আমাদের একা ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন। ভাবছেন বাচ্চাদের মাঝে তাদের থেকে কি লাভ।

আম সরি লামিয়া আপি, আমি জানি সূর্য ভাইয়াকে তোমার অনেক ভালো লেগেছে। হ্যাঁ সূর্য ভাইয়া হয়তো খারাপ নোন কিন্তু ওনার বাবা- মা কে আমি একটু ও বিশ্বাস করতে পারি না। (ইশা)

আরে পাগল আমি কিছু মনে করি নাই, আর বাদ দে আমার কপালে যে আছে আল্লাহ তাকেই পাঠাবেন আমার জন্য। ( লামিয়া)

তোরা এতো প্যানপ্যান না করে গিয়ে রেডি হও তাড়াতাড়ি আমি গেলাম রেডি হতে। ( ইফরাত)

ইফরাত চলে যেতেই লামিয়া আর ইশা জোরে শব্দ করে হেসে দেয়। লামিয়া ইশা দুইজন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নেমে ইফরাত এর জন্য অপেক্ষা করছে।

আচ্ছা লামিয়া আপু আরাফাত ভাইয়া আর ভাবি কবে আসবেন? অনেকদিন তো হইছে তাদের কোনো খবর ই নাই। ( ইশা)

ভাবি আর ভাইতা হানিমুনে গেছে গাধি এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে আসবেন? (লামিয়া)

তখন ইফরাত নিচে নামছে ইফরাত কে দেখে ইশা হা হয়ে তাকিয়া আছে, আজকে ইফরাত ভাইয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে। শ্যাম বর্নের মানুষ যে এতো সুন্দর হতে পারে তা ভাবনার বাহিরে ইশার। ইফরাত অতোটা লম্বা নন, ৫*৮ আর গায়ের রঙ শ্যাম বর্নের। ইশা কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুচকি হাসলো ইফরাত। ওদের সামনে গিয়ে বললো,

দুই চুন্নি এমন জঘন্য টাইপ সাজলি কিভাবে? আর ইশু তোরে তো পেত্নী লাগছে এভাবে কেউ চুল ছাড়ে। বাহিরে গরম জানোস না? আর ধুলা ময়লায় চুল ও নষ্ট হবে দুইজন চুল গিয়ে বিনুনি করে আয় আর মাথায় কাপড় দিয়ে ঢেকে আসবি যাতে চুল দেখা না যায়। (ইফরাত)

ইফরাত এর কথায় রাগ লাগলেও দুবোন অনিচ্ছাকৃত আবার রুমে গিয়ে চুল বিনুনি করে মাথা ঢেকে আসছে। গিয়ে দেখে ইফরার গাড়ি তে বসে আছে, লামিয়া জলদি গিয়ে ব্যাক সাইডে বসে পড়লো, ইশা ও লামিয়ার সাথে বসবে তখন,

আমার গাড়িতে ঘুমানোর অভ্যেস তাই ইশু তুই ভাইয়ার সাথে বস তুই এখানে বসলে আমার সমস্যা হবে। (লামিয়া)

দুইজন পিছে বসবা আর আমি একা এখানে ড্রাইভারের মতো গাড়ি চালাবো? ( ইফরাত)

ড্রাইভার রা এতো সেজেগুজে গাড়ি চালায় না ভাইয়া তাই কেউ আপনাকে ড্রাইভার ভাববে না। (ইশা)

চলবে.? #আমার_অনুভুতি_তুমি
#পর্বঃ৩
#নুসাইবা_ইসলাম

অনেক্ক্ষণ হয়ে গেছে ইশা’র মা চলে গেছেন। সেই থেকে যে লামিয়ার রুমে এসে ইশা বসছে আএ উঠার নাম নাই। মামি অনেকবর এসে ইশা কে ডেকে গেছে খাবার খাওয়াদ জন্য কিন্ত এই মেয়ের যাওয়ার নাম ই নাই। বসে বসে কি আকাশ-পাতাল ভাবছে আর হাতের নখ কামড়াচ্ছে তা আল্লাহ ভালো জানেন। লামিয়া বেশ বিরক্ত হচ্ছে ইশা এর এমন কাজে।

এই মেয়ে এবাএ উঠে খেতে যাবি না লাঠি এনে তোকে আমি পিটানো শুরু কফবো? বিকেল হয়ে গেছে এখন ও দুপুরের খাবার খাওয়া হয় নাই। (লামিয়া)

আরে রাখো তো বাপু তোমার খাওয়া আমি আছি আমার চিন্তায়, আচ্ছা অই কিপটা বুড়ায় দেখো তো তোমার খামে কতো টাকা দিছে? ( ইশা)

ইশা সে তোমার গুরুজন হয় না, বড় মানুষদের এভাবে বলতে হয় না জানো না? ( লামিয়া)

প্রথমত বিয়ে হওয়ার আগেই শশুর বাড়ির সাপোর্ট টানছো না কি? দ্বিতীয় তো অইটা আমার সো কল্ড বড় কাকা তুমি ভুলে গেছো সে কি করছে আমার আব্বু আর আম্মুর সাথে? মামি তো তোমাদের আমাদের সব খুলেই বলছিলো। হ্যাঁ মানলাম শুধু জানতা আমার বড় কাকার ব্যাপারে দেখো নাই এইটুকু ই তো তাই না? ( ইশা)

ইশু আমি তো এমনি বলছি তুই সিরিয়াস কেন হচ্ছিস? ( লামিয়া)

আমার ভাল্লাগছে না আপু পুড়া কথা না বললে শান্তি পাবো না আমি তোমাদের৷ মামি, ইফরাত ভাইয়া,মামা কোথায় তোমরা তাড়াতাড়ি আসো এইদিকে। ( ইশা)

ইশা’র চি*ৎ*কা*র শুনে বাড়ির সবাই লামিয়ার রুমে ছুটে আসলো। সবাই ভাবছে কি হইছে যে ইশা এভাবে চি*ৎ*কা*র দিলো। সবাই এসে দেখে ইশা আর লামিয়া স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে।

এই এইভাবে কেই চি*ৎ*কা*র করে? আমাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি।
(মামি)

আসলে তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা বলার ছিলো আমি জানি আম্মা কখোনো এসব তোমাদের বলবে না। (ইশা)

ইডিয়েট যা বলার তাড়াতাড়ি বল এভাবে ডাকার মানে আছে? (ইফরাত)

আসলে মামি আমি কিভাবে শুরু করবো জানি না। ইফরাত ভাইয়া তো কিছুই জানে না। মামি মনে আছে তোমার তুমি আমাদের কি বলেছিলে? আমার মা-বাবা পালিয়ে বিয়ে করায় মামা আম্মার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করেন। তখন তো আর তোমাদের সাথে আর যোগাযোগ ছিলো না, আমার দাদা-দিদুন কে উলটা পালটা বুঝিয়ে আমার বাবা আর মা কে বাড়িতে উঠতে দেন নি তখন আমার বাবা কতোটা কষ্ট পেয়েছেন? আমার বাবা -মা অনেক কষ্ট করছেন,ভাড়া বাড়িতে থেকেছেন। আমার জন্মের পড় দাদাই এর মন গলে তাই তিনি বাবা-মাকে আমার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। আমার বাবা হলেন শান্ত, সহজ-সরল একজন ব্যাক্তি দাদাই-দিদুন এর অনেক প্রিয়। দাদাই মারা যাবার আগে দাদাই এর নামের বেশ অর্ধেক সম্পত্তি আমার বাবার নামে করে দেয় আর বাকি অংশ বড় কাকার নামে। তখন আমার বড় কাকা প্ল্যান করে কিভাবে সেই সম্পত্তি আয়ত্তে নিবে। এইবার আসি মূল কথায় সে সম্পত্তি এর জন্য বড় কাকা সূর্য ভাইয়ার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেন আর সেই ব্যাপার টা গোপন রাখতে বলেন,আমার বাবা ভাইয়ের কথা ফেলতে পারেন না তিনিও রাজি হয়ে যান। এভাবে কাটতে থাকে দিন সূর্য ভাইয়া আমার প্রায় ১০ বছরের বড় যখন ওনার পড়ানোর জন্য বাহিরে পাঠাবেন তখন টাকা এর দরকার সেই ছুতোতেই আমার বাবার কাছ থেকে সব সম্পত্তি নিয়ে তা বিক্রি করে সূর্য ভাইয়াকে পড়ালেখা করানোর জন্য এবরোড পাঠান। আমার বাবা- মা এতে আফসোস কোনো কালেই ছিলো না। কাকা কাকিরা তো সবসময় ঢাকা থাকতেন আর আপনাদের চিনে না কারণ কখোনো জানতেই চান নাই আপনাদের ব্যাপারে। অবশ্য জানতেই বা চাইবেন কেনো তার দরকার ছিলো আমার বাবার সম্পত্তি। মামা আমাদের যে মেনে নিয়েছেন তা তারা জানতেন না। এইভাবে যাওয়ার পড় কি হইছে জানিনা আমি ঠিক আজ সকালে বড় কাকা আমাদের বাসায় গিয়ে বলে এসেছে আমার বাবাকে যে তার বিলেত ফিরত ভালো জব করা ছেলের সাথে আমাকে মানায় না। তাই যেনো আমার বিয়ে অন্যকোথায় দিয়ে দেন। তার ছেলের সাথে না কি আমার বিয়ে যায়না। আমি চাই না এমন একটা লোভি পরিবার এ লামিয়া আপুকে বিয়ে দিয়ে তার জিবন নষ্ট করুন। লামিয়া আপু আমাকে ভুপ ভাইবো না প্লিস সূর্য ভাইয়ার প্রতি আমার কোনো কালে কোনো ফিলিংস ছিলো না।
সবাই স্তব্ধ হয়ে বসে আছে কি বলবে বুঝতে পারছে না। এতো কিছু হয়ে গেলো আর তারা কিছু জানেই না?

ইশু আমরা কি তোদের কেউ ছিলাম না আমাদের বলিস নাই কেনো? আমাদের বললে তো আমরা কিছু করতে পারতাম না। হ্যাঁ আর তখন রাফিয়া আমাদের কিছু বললো না কেন? ( মামা)

আপনি আম্মাকে চিনেন না মামা এগুলা আম্মা কখোনোই আপনাদের বলতেন না। ( ইশা)

আচ্ছা এসব এখন বাদ দেও, আর যা বলার সূর্যের পরিবার কে তোর মামা বলে দিবেন এবার যা ফ্রেশ হয়ে খেতে বস। ( মামি)

আম্মু আজকে আমরা বাসায় খাবো না, আজকে আমি ইশু আর লামুকে ট্রিট দিবো । আজকে ওদের ঘুরতে নিয়ে যাবো দেন আমরা রাতে ডিনার করে ফিরবো। ( ইফরাত)

ইয়েএএ সত্যি ভাইয়া? যাইহোক অনেকদিন হইছে ঘুরতে যাই না। ইশু তোর ও তো ইচ্ছা ছিলো যাওয়ার। ( লামিয়া)

মামা মামি আমাদের একা ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন। ভাবছেন বাচ্চাদের মাঝে তাদের থেকে কি লাভ।

আম সরি লামিয়া আপি, আমি জানি সূর্য ভাইয়াকে তোমার অনেক ভালো লেগেছে। হ্যাঁ সূর্য ভাইয়া হয়তো খারাপ নোন কিন্তু ওনার বাবা- মা কে আমি একটু ও বিশ্বাস করতে পারি না। (ইশা)

আরে পাগল আমি কিছু মনে করি নাই, আর বাদ দে আমার কপালে যে আছে আল্লাহ তাকেই পাঠাবেন আমার জন্য। ( লামিয়া)

তোরা এতো প্যানপ্যান না করে গিয়ে রেডি হও তাড়াতাড়ি আমি গেলাম রেডি হতে। ( ইফরাত)

ইফরাত চলে যেতেই লামিয়া আর ইশা জোরে শব্দ করে হেসে দেয়। লামিয়া ইশা দুইজন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নেমে ইফরাত এর জন্য অপেক্ষা করছে।

আচ্ছা লামিয়া আপু আরাফাত ভাইয়া আর ভাবি কবে আসবেন? অনেকদিন তো হইছে তাদের কোনো খবর ই নাই। ( ইশা)

ভাবি আর ভাইতা হানিমুনে গেছে গাধি এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে আসবেন? (লামিয়া)

তখন ইফরাত নিচে নামছে ইফরাত কে দেখে ইশা হা হয়ে তাকিয়া আছে, আজকে ইফরাত ভাইয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে। শ্যাম বর্নের মানুষ যে এতো সুন্দর হতে পারে তা ভাবনার বাহিরে ইশার। ইফরাত অতোটা লম্বা নন, ৫*৮ আর গায়ের রঙ শ্যাম বর্নের। ইশা কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুচকি হাসলো ইফরাত। ওদের সামনে গিয়ে বললো,

দুই চুন্নি এমন জঘন্য টাইপ সাজলি কিভাবে? আর ইশু তোরে তো পেত্নী লাগছে এভাবে কেউ চুল ছাড়ে। বাহিরে গরম জানোস না? আর ধুলা ময়লায় চুল ও নষ্ট হবে দুইজন চুল গিয়ে বিনুনি করে আয় আর মাথায় কাপড় দিয়ে ঢেকে আসবি যাতে চুল দেখা না যায়। (ইফরাত)

ইফরাত এর কথায় রাগ লাগলেও দুবোন অনিচ্ছাকৃত আবার রুমে গিয়ে চুল বিনুনি করে মাথা ঢেকে আসছে। গিয়ে দেখে ইফরার গাড়ি তে বসে আছে, লামিয়া জলদি গিয়ে ব্যাক সাইডে বসে পড়লো, ইশা ও লামিয়ার সাথে বসবে তখন,

আমার গাড়িতে ঘুমানোর অভ্যেস তাই ইশু তুই ভাইয়ার সাথে বস তুই এখানে বসলে আমার সমস্যা হবে। (লামিয়া)

দুইজন পিছে বসবা আর আমি একা এখানে ড্রাইভারের মতো গাড়ি চালাবো? ( ইফরাত)

ড্রাইভার রা এতো সেজেগুজে গাড়ি চালায় না ভাইয়া তাই কেউ আপনাকে ড্রাইভার ভাববে না। (ইশা)

চলবে.?