আশক্ত তোমার নেশায় পর্ব-০৪

0
335

#আশক্ত তোমার নেশায়
#পর্ব:4
#লেখনিতে:রিদিকা- আফরোজ- রোজা

কতো গুলো পোস্টার চাপাতে হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করছিলো রিহান তখনি শুনতে পাই পাশ থেকে কেউ বলছে রিহান এর বউ মাল টা হেভি রে রিহান রেগে পিছনে ফিরে দেখে আকাশ রিহান যেই আকাশ এর কাছে যাবে ওমনি আবির হাত ধরে বলে প্লিজ ভাই এখন এসব না ওরা শুধু এই গুলো করছে যাতে তুই আকাশ কে মারিস আর সবাই বলবে তুই নির্বাচন এ প্রতিদ্বন্দ্বী চারা জিতার জন্য এই কাজ করেছিস কেউ তো আর আসল কারন টা যানবে না আর যদি রাতে ও গোপনে মারিস দোষ তোর উপর পরবে প্লিজ ভাই আর মাএ দুই দিন এরপর যা ইচ্ছা করিস। রিহান একবার রাগী লুক নিয়ে আকাশ এর দিখে তাকিয়ে চলে যাই। নির্বাচন এর সব কাজ কমপ্লিট করে বাসাই ফিরতে রাত এগারো টা বেজে যাই। রিহান এখন ও রেগে আছে আকাশ এর কথা গুলো শুনে পারছে না শুধু মেরে পেলতে। রিহান রাগে পাশের গ্লাস টা আচার মারে সেই শব্দ শুনে সাথে সাথে রোজা রিহান এর রুমে আসে রোজা এতো কোন সজাক ছিলো রিহান কখোন আসবে ।রোজা রুমে গিয়ে দেখে গ্লাস টা নিচে পরে আছে রিহান বিছানাতে বসে মাথায় হাত দিয়ে মাথা নিছু করে আছে। রোজা পাশে বসে বলে আর ইউ ওকে? রোজার কথা শুনে রিহান রোজার দিখে তাকায়। রিহান এর চোখ দেখে রোজা ভয় পেয়ে জিজ্ঞাসা করে কারো সাথে ঝগরা হয়েছে? রিহান গম্ভীর কন্ঠে বলে না। রোজা এবার রিহান এর কুলে বসে গলা জরিয়ে ধরে বলে কিছু তো একটা হয়েছে আমাকে বলবে না। রিহান কিছু কোন রোজার দিখে তাকিয়ে রোজ এর বুকে মাথা রেখে চোখ বুজে নেই রোজা রিহান এর মাথার উপর থুতনি রেখে জরিয়ে ধরে আছে। কিছু কোন নীরবতা পালন করে রিহান বলে আই নিড ইউ রোজ আমার খুব বেশি প্রয়োজন তোকে অঙ্কেল আন্টি লন্ডন থেকে আসতে আরো এক মাস এতো দিন অপেক্ষা করা আমার পক্ষে অসম্ভব। রোজা বলে তাহলে এখন তুমি কি চাও মম ডেড এর অনুপস্থিতিতে বিয়ে টা হয়ে যাক? রিহান বলে না। রোজা বলে তাহলে কি করে তোমার কাছে থাকবো? রিহান বলে আমরা বিয়ে করবো লুকিয়ে। রোজা বলে মানে কি লুকিয়ে কেনো এমনিতে তো বিয়ে ঠিক। রিহান বলে যানি কিন্তু এই চারা উপায় নেই আমার তোকে খুব করে চাই রোজ আর খুব তারা তারি। রিহান রোজার বুক থেকে মাথা তুলে বলে আমাদের বিয়েটা কেউ যানবে না শুধু দুই জন যানবো পারিবারিক ভাবে বিয়ে হওয়ার আগে পর্যন্ত গোপন রাখবো তাহলে হবে। রোজা বলে আইডিয়া খারাপ না কিন্তু তাতে কি হবে। রিহান বলে আমি আর তুই এক বেডে থাকতে পারবো। রোজা বলে যদি কেউ যানে কি হবে বলো ওরা তো যানবে না আমরা স্বামী স্ত্রী। রিহান বলে যানবে না তোর রুম আর আমার রুমের ব্যালকনি একটা পাশা পাশি রুমে তোর রুমে ডুকা ব্যাপার না আমি মেনেজ করে নিবো তুই রাজি কি না বল? রোজা বলে তোমার যা ইচ্ছা তাই হবে। রিহান বলে তাহলে তো আর সমস্যা নেই কালকে সব কাজ শেষ করে রাতে কাজি অফিস এ যাবো আর শুধু শাক্কী হিসেবে ফারিয়া আর আবির থাকবে দুই জন চারা কেউ যানবে না।

রিহান এর নির্বাচন এর সমস্ত কাজ পরেছে আবির এর উপর বেছারা সব দিক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। আবির বির বির করে বলে এই রিহাইন্না তো বউ নিয়ে রোমান্স করছে আর আমাকে সব কাজ করতে হচ্ছে ভালো লাগে না বলেই কাজ করতে তাকে তখনি কল আসে আবির না দেখে রিসিভ করে বলে আব্বে কোন শালা রে কাজের সময় বিরক্ত করিস? তখনি অপর পাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠে বলে উঠে তুমি আমাকে কি বললে? মেয়েলি কন্ঠ শুনে আবির ফোনের স্কিন এ দেখে ফারিয়া আবির ভয়ে ভয়ে বলে না মানে ইয়ে জান আসলে কি হয়ছে তোমার ভাই এর জন্য সব হয়েছে। ফারিয়া বলে এখন সব দোষ আমার ভাই এর বিয়ে টা হতে দাও তোমাকে আমি ঠিক কি করবো ভাবতে ও পারবে না। আবির বলে সরি বেবি মাফ করে আসলে সামনে রিহান এর নির্বাচন সব কাজ আমার উপর তো যানো তুমি তাই রেগে বলেছি যদি যানতাম তুমি কখনো বলতাম না সরি জান। ফারিয়া হেসে বলে গাঁধা মজা করছিলাম আমি তোমার সাথে খেয়েছো? আবির বলে না পরে খাবো কাজ করছি। ফারিয়া বলে না এখনি খাবে। আবির বলে কাজ রেখে কি করে খাবো? ফারিয়া বলে আমি খাইয়ে দিবো। আবির বলে তাই বাসায় থেকে বুজি ফোনে খাইয়ে দিবে। ফারিয়া হেসে বলে দরজা খুলো আবির ফোন কানে রেখে দরজা খুলে দেখে ফারিয়া দারিয়ে আছে খাবার নিয়ে। আবির ফোন রেখে বলে তুমি এতো রাতে সত্যি? ফারিয়া ভিতরে ডুকে খাবার রেখে আবির কে জুরে চিমটি কাটে আবির আহ বলে চেঁচিয়ে উঠে আর বলে এটা কি করলে এতো জুরে কেউ চিমটি কাটে? ফারিয়া বলে তুমি তো বললে সপ্ন দেখছো তাই চিমটি কাটলাম এবার বসো তো। ফারিয়া আবির এর পাশে বসে আবির কে খাইয়ে দিচ্ছে আর আবির কাজ করছে খাওয়া শেষ করে আবির বলে চলো দিয়ে আসি। ফারিয়া বলে লাগবে না তুমি এমনি এতো কাজ করেছো। আবির বলে আমি তোমার কাছে যানতে চাইনি চলো বলেই ফারিয়াকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসে।
চলমান….