আশক্ত তোমার নেশায় পর্ব-০৫

0
333

#আশক্ত তোমার নেশায়
#পর্ব:5
#লেখনিতে: রিদিকা- আফরোজ- রোজা
কালকে ছাএ লীগ এর নির্বাচন যার জন্য আজকে কলেজ বন্ধ শুধু দুই দল এর লোক আছে যারা কাজ করছে। এই দিখে রিহান ডিসিশন নিয়েছে বিয়ে আজকেই করবে যেই কথা সেই কাজ সন্ধ্যা ছয়টায় কাজি অফিস এ হাজির রিহান রোজা কে নিয়ে সাথে আবির আর ফারিয়া। রিহান আর রোজার বিয়ে শেষ হলে সবাই মিষ্টি মুখ করে এরপর রিহান বলে আরো একটা বিয়ে হবে আর সেটা হলো আবির আর ফারিয়ার। রিহান এর কথা শুনে দুই জন অবাক ফারিয়া বলে ভাইয়া কিন্তু মম ডেড? রিহান বলে চিন্তা করিস না আমি আছি তো তোদের তো চার মাস পর বিয়ে সমস্যা কি চিন্তা করিস না ভাইয়া আছি তো । কাজী সাহেব আবির আর ফারিয়ার বিয়ে ও করিয়ে দেই আর বলে আজ থেকে আপনারা স্বামী স্ত্রী। বিয়ে শেষ হতেই চার জন এক সাথে বেরিয়ে যাই ফারিয়া আর রোজা কে বাসাই নামিয়ে দিয়ে দুই জন চলে যাই ক্লাব ঘরে।
রিহান বলে কতো দূর কাজ? আবির বলে শেষ আর তোর সাপোর্টার আগের থেকে বেশি আছে চিন্তা নেই তবে আমাদের কে আকাশ এর ডান হাত আর বাম হাত রনি আর দিহান কে আটকে রাখতে হবে যাতে জামেলা না হয় তাহলে নির্বাচন ঠিক মতো হবে। রিহান শয়তানি হাসি দিয়ে বলে কাজ হয়ে যাবে ওদের ব্যাপার টা আমার উপর তুই এই দিখ খেয়াল রাকবি। এই দিখে আকাশ রনি আর দিহান কে উদ্দেশ্যে করে বলে আমি আগে যানি হেরে যাবো তাই নির্বাচন টা নষ্ট করবি তোদের দায়িত্ব এটা। দুইটা এক সাথে বলে ওকে বস হয়ে যাবে। রাত এগারো টাই সব কাজ করে বাসাই যাচ্ছে রনি আর দিহান তখনি কেউ পিছন থেকে মুখে রুমাল ছেপে ধরে সেন্সলেস করে গাড়িতে উঠিয়ে নেই এরপর দুই জন কে শহর এর অনেকটা দুরে জঙ্গলের মাজে একটা বাড়ি সেখানে বেধে রাখে চেয়ার এর সাথে এরপর মাক্স খুলে আবির আর রিহান দুই জন দুই জন এর দিখে থাকিয়ে হেসে বেরিয়ে পরে। গাড়ীতে উঠে রিহান জিজ্ঞাসা করে কয়টা বাজে? আবির ভয়ে ভয়ে বলে 1 টা না জানি কপালে কি আছে আজকে। রিহান বলে যাই আজে চল আমার বাসাই রাতে কোথাও যেতে হবে না। আবির বলে না তুই যা। রিহান বলে কোনো কথা না আজকে ফাস্ট নাইট বেটা চল। আবির বলে তোর ছোট বোন এর জামাই আমি রিহান বলে তাতে কি আমরা আগে বন্ধু শালা চল বলেই দুই জন বাসার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে। রাত 2 টা বাজে রিহান এর রুমের ব্যালকনিতে দারিয়ে রিহান এর জন্য অপেক্ষা করছে রোজা আর রুমে বসে ফোন দেখছে বার বার ফারিয়া। পিছন থেকে রোজা কেউ জরিয়ে ধরে রোজার বুজতে বাকি নেই কে এটা রোজার ধাক্কা মেরে ছারিয়ে নেই রিহান এর থেকে নিজেকে। রিহান সামনে দারিয়ে সরি বলে। রোজা এবার রিহান এর দিখে থাকায় রিহান দেখে রোজার চোখে পানি। রিহান অপরাধী কন্ঠে বলে আই এম সরি সোনা আসলে কালকে নির্বাচন তো আজকে একটু বেশি কাজ ছিলো। রোজা শান্ত কন্ঠে বলে আমি কি কিছু যানতে চাইছি তোমার কাছে আমি কে এতো কৈফত দিচ্ছো। রিহান বলে তুমি তো আমার এক মাএ বউ সোনা। রোজা বলে তাই নাকি সেই জন্য আজ সারা দিন এর ভিতর একটা খবর নাও নি ফোন বন্ধ ফোন করে যাচ্ছি সারা দিন ধরে এখন রাত দুইটা। রিহান মাথা নিচু করে পেলে। রোজা রিহান এর সামনে থেকে রুমে ডুকে যাই রিহান ও পিছন পিছন যাই কথা বলতে তার আগে রোজা বলে তোমার খাবার খেয়ে ঘুমাও গুড নাইট বলেই চলে যাবে ওমনি রিহান হাত ধরে পেলে। রোজা বলে সমস্যা কি বললাম না হাত চারতে সারা দিন যখন আমাকে দরকার পরে নি এখন ও হয়তো পারবে না। রিহান কিছু না বলে রোজা কে জরিয়ে ধরে রোজা ছুটতে চাইছে পারছে না রিহান বলে সরি তো প্লিজ মাফ করে দাও জান আর জীবনে ও এমন হবে না যদি হয় যা শাস্তি দিবা তাই মেনে নিবো কথা দিলাম। রোজা বলে মনে থাকে যেনো চলো খাবে ফ্রেশ হয়ে আসো। রিহান ওয়াশ রোমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে বসে রোজা রিহান কে খাইয়ে দেই রিহান ও রোজা কে খাইয়ে দেই । রোজা বলে আমি এই গুলো রেখে আসছি রিহান হাত ধরে বলে এখানে থাক হুম বলেই নিজের কাছে নিয়ে আসে। রিহান বালিস এ হেলান দিয়ে বসে রোজা রিহান এর বুকে মাথা রেখে গলা জরিয়ে দরে আছে। রোজা বলে ঘুমাবে না কালকে তো তারা তারি উঠতে হবে। রিহান বলে আজকে ফাস্ট নাইট কি করে ঘুমাই বাসর করবো। রোজা বলে আজকে মুটেও না প্রমিস কালকে এখন ঘুমাও রাত তো শেষ হতে যাচ্ছে প্লিজ। রিহান এর পাশে রোজা শুয়ে পরে আর রিহান রোজার বুকে মাথা রেখে জরিয়ে ধরে রোজা রিহান এর চুলে হাত বুলিয়ে দেই কিছু কোন এর মাজে ঘুমিয়ে যাই দুই জন।
এই দিখে এতো রাতে আবির কে দেখে অবাক ফারিয়া তাও আবার তার রুমে। ফারিয়া বেড থেকে নেমে আবির সামনে গিয়ে বলে এতো দেরি হলো কেনো আজকে। আবির বলে কাজ প্রচুর সব শেষ করলাম মাএ। ফারিয়া বলে তুমি আমার রুমে কিন্তু ভাইয়া যদি দেখে। আবির হেসে বলে তোমার ভাই পাঠিয়েছে আমাকে। ফারিয়া বলে বিশ্বাস হয় না ভাইয়া এটা করলো যাই হোক বসো খাবার আনছি বলে ফারিয়া নিছে চলে যাই আবির ওয়াশ রোমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে রিহান এর টাউজার আর গেন্জী পরে নেই। ফারিয়া আর আবির দুই জন খেয়ে নেই খাওয়া শেষ করে ফারিয়া কে বুকে নিয়ে শুয়ে পরে আবির আর বলে বাসর টা কলকের জন্য তুলা রাখলাম বলেই হেসে দেই দুই জন।
আজকে সকাল টা দুই জুটির জীবনে সব ছেয়ে বেস্ট দিন। রিহান সকালে তারা তারি উঠে আবির কে তুলে নিজের রুমে নিয়ে যাই। আট টা বাজে আবির আগে বেরিয়ে গেছে আর রিহান মাএ শাওয়ার নিয়েছে। রিহান বের হতেই রোজা তার কেনা সাদা পাঞ্জাবি পাজামা বের করে দেই রিহান কে রিসান সেই গুলো পরে নেই। রোজা রিহান এর চুল আছরে দিয়ে চোখের নিচ থেকে কাজল নিয়ে কানের পাশে লাগিয়ে দিয়ে বলে আমার জামাই এর উপর যেনো কারো নজর না লাগে। রিহান হেসে রোজা কে জরিয়ে ধরে বলে লাভ নেই নজর দিলে আমি আগে ও তোমার ছিলাম এখন ও আছি এর পরের জন্মের জন্য এক হয়ে গেছি আমরা বলেই রোজার কপালে চুমু দেই রোজা ও রিহান কে চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরে। কিছু কোন পর দুইজন দুইজন কে ছেরে দিয়ে নিছে নেমে আসে রিহান ওর বাবা মা কে সালাম করে রোজা বের হয় রিহান এর সাথে। রিহান গাড়ির ভিতর বসতে রোজা বলে কোনো জামেলাতে জরিয়ো না প্লিজ। রিহান রোজার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে কোনো সমস্যা তে জরাবো না প্রমিস বলে চলে যাই।
চলমান …..