আশক্ত তোমার নেশায় পর্ব-০৭ এবং শেষ পর্ব

0
590

#আশক্ত তোমার নেশায়
#শেষ পর্ব
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

সময় নিজের গতিতে চলতে থাকে কেটে যাই এক মাস আজকে দেশে এসেছে রোজার বাবা মা এই দিখে আজকে আবির এর বাবা মা ও এসেছে। রিহান এর বাসার ডয়িং রুমে বসে আছে আবির এর পরিবার আর রোজার পরিবার। রিহান এর বাবা বলে এক সপ্তাহ পর দুই বিয়ে এক সাথে কি বলেন সবাই? রিহান এর বাবার কথা শুনে সবাই রাজী হয়ে যাই। এবার আবির আর ফারিয়া দুই জন দুই জন কে রিং পরিয়ে দেই রিহান আর রোজা ও রিং বদল করে। মিষ্টি মুখ করে ডিনার করে আবির চলে যাই বাসাই। রিহান রোজ কে ইশারা করে রুমে যেতে। রিহান আর রোজা দুই জন রুমে চলে যাই। রোজা বলে আমি তো চলে যাচ্ছি রাতে চলে যেও গেইট খুলা রাখবো মম ডেড ঘুমালে ফোন করবো ওকে। রিহান মাথা নারিয়ে হে বুজাই রোজা রিহান এর গালে চুমু খেয়ে বাবা মার সাথে নিজের বাসাই চলে যাই। রাত বারোটায় রিহান রোজার রুমে ডুকে রোজাকে বুকে নিয়ে শুয়ে পরে। পরের দিন বিকালে আবির রিহান ফারিয়া রোজা বের হয় শপিং এ। বিয়ের জন্য সেইম ডিজাইন এর দুইটা লেহেংঙ্গা আর হলুদ এর জন্য ও সেম ডিজাইন এর লেহেংঙ্গা কিনে দুই জন আর রিসিপশান এর জন্য দুইটা লং ভার্বি গাউন কিনে। রিহান আর আবির এর জন্য ও মেচিং কিনে সব। শপিং করতে করতে রাত এগারোটা বেজে যাই রিহান আর আবির অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যাই এই দিখে রোজা আর ফারিন তো কিছুই না। বড়ো রেস্টুরেন্ট এ ডুকে ডিনার করে নেই সবাই এর পর আবির বাসাই চলে যাই রিহান রোজা আর ফারিয়া কে নিয়ে বাসাই চলে আসে।
কেটে যাই চার দিন আজকে হলুদ দুই জুটির তাই রিহান দের বাসা প্লাস বাগান সাজানো হয়েছে। বাগানে হলুদ এর জন্য সাজানো। সবাই প্লান করেজে এক সাথে দুই জুটির হলুদ হবে। রোজা আর ফারিয়া কে পাশা পাশি বসিয়ে ভিডিও করে আর এক জন এক জন করে হলুদ মেখে দেই ওদের আগেই রিহান আর আবির এর হলুধ হয়ে যাই । হলুদ শেষ হয় নাচ গান এর মধ্যে দিয়ে।
আজকে ওদের বিয়ে এক রকম এর লেহেংঙ্গা আর সেইম সাজ দুই জন এর সারা শরির ভরা গহনা। রিহান আর আবির ও সেইম সাজ আবির আর রিহান কে ফারিয়া আর রোজার দুই পাশে বসাই। একটু পর কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করে। আবির কাবিন হিসেব তার সব কিছুর 50% ভাগ ফারিয়া কে দিয়েছে আর রিহান রোজার নামে নতুন প্লাট আর একটা গাড়ি নগদ এক কোটি টাকা কাবিন দেই এরপর বিয়ে সম্পন্ন হয়। রোজা কে নিয়ে রিহান কমিউনিটি সেন্টার থেকে বাসাই চলে আসে আবির ও ফারিয়া কে নিয়ে চলে যাই।
ফুল দিয়ে সাজানো রুমে বসে আছে রোজা আর ভাবছে এক মাস আগের কথা ওই দিন ও তো এই রকম ফুল দিয়ে সাজানো ছিলো হোটেল রুম যেখানে ওদের প্রথম কাছে আশা যেটা ছিলো সবার অজান্তে আর আজকে সবাই কে জানিয়ে। রিহান রুমে আসতেই রোজা গিয়ে সালাম দেই রিহান সালাম নেই। আজকে যেনো রোজা একটু বেশি লজ্জা পাচ্ছে যা এক মাস আগে ও পাইনি। রিহান ব্যাপারটা বুজতে পেরে রোজা কে কুলে তুলে ব্যালকনির দোলনাতে বসাই এরপর রোজার পায়ের কাছে বসে এক জোরা নুপুর বের করে নুপুর গুলো দেখে রোজা তো অবাক কয়েক দিন আগেই এই ডিজাইন টা ওর পছন্দ হয় কিন্তু মডেল না তাকায় আনতে পারে নি। রোজা বলে এই গুলো কোথায় পেলে এই গুলো তো ছিলো না? রিহান বলে আমার জান কিছু পছন্দ করেছে সেটা আমি কি করে না এনে দেই আরো পাঁচ দিন আগে এনেছি দোকানে বলেছি ডাবল টাকা দিবো এই মডেল এনে দিতে এরপর ওরা এনে দেই আর আমার হাতে পাই পাঁচ দিন আগে বলেই রোজার দুই পায়ে নুপুর পরিয়ে দিয়ে চুমু খাই রোজা ও রিহান এর কপালে চুমু খাই। রিহান রোজার পাশে বসে এক হাতে জরিয়ে ধরে রোজা রিহান এর বুকে মাথা রেখে বলে পরের জন্মে ও আমার স্বামী হিসেবে তোমাকে চাই লাভ ইউ রিহান। রিহান বলে লাভ ইউ টু কলিজা।

আবির ফারিয়া কে আইনার সামনে দার করিয়ে একটা লকেট পরিয়ে দিয়ে গলায় চুমূ খাই। ফারিয়া লকেট টা খুলে দেখে এক পাশে তার ছবি আরেক পাশে আবির রোজা খুশি হয়ে বলে thank you so much জান এটা গিফ্ট করার জন্য। আবির গাল টিপে বলে পছন্দ হয়েছে? ফারিয়া বলে অনেক বলেই আবির কে জরিয়ে ধরে। আবির ফারিয়া কে নিয়ে ব্যালকনির মাজে রাখা ছোট কাট এর মাজে ফারিয়া কে বসিয়ে ফারিয়ার কুলে মাথা রেখে চন্দ বিলাস করছে….

কেটে যাই তিন বছর সব কিছু পাল্টে যাই রিহান এর বাবা আর এখন অফিস এ যাই না রিহান সব সামলাই আর রাজনীতি ছেরে দিয়েছে। আবির ও নিজের বাবার বিজনেসে দেখে। রোজা ও এখন বিজনেস চালাই তার বাবার। রিহান আর রোজার দুই বছর এর একটা ছেলে আছে আর ফারিয়ার ডেলিভারি আজকে। রিহান এর ছেলে রায়ান এর জন্ম দিন ছিলো আজ আর ফারিয়ার ডেলিভারি তারিখ ছিলো চার দিন পর কিন্তু আজকে হঠাৎ ব্যথা উঠে সাথে সাথে পার্টি ছেরে ফারিয়া কে নিয়ে বেরিয়ে যাই হসপিটালে। আবির রিহান ফারিয়া আর তিন পরিবার দারিয়ে আছে ওটির সামনে একটু পর ডক্টর বেরিয়ে আসে তোয়ালে মুরানো একটা বাচ্চা নিয়ে এসে আবির এর কুলে দিয়ে বলে আপনার মেয়ে হয়ছে মিঃ আবির। আবির বেবি কে চুমু খেয়ে বলে আমার ওয়াইন কেমন আছে ডক্টর? ডক্টর বলে ভালো একটু পর কেবিনে দেওয়া হবে বলেই ডক্টর চলে যাই আর সবাই বাচ্চা কে আদর করতে তাকে। এক ঘন্টা পর সবাই এক সাথে ফারিয়ার কেবিনে ডুকে বাচ্চা কে ফারিয়ার খুলে দেই ফারিয়া বেবি কে বুকের সাথে জরিয়ে দরে। রিহান বলে শালা তোর মেয়ে হবে আমার পুত্র বধু বলেই একটা চেইন পরিয়ে দেই। রিহান এর কথা শুনে সবাই হেসে দেই।আবির বলে একটা সেল্ফি হয়ে যাক বলেই আবির সামনে দারাই আর সবাই সুন্দর করে পিছনে দারাই আর সামনে ফারিয়া আর রোজা দুই জন এর কুলে দুই বাচ্চা……
( সমাপ্ত)