আশক্ত তোমার নেশায় পর্ব-০৬

0
356

#আশক্ত তোমার নেশায়
#পর্ব:6
#লেখনিতে:রিদিকা- আফরোজ- রোজা

সকাল এগারো টা বেজে গেছে বাড়িতে বসে সবাই চিন্তাই আছে কি হবে রেজাল্ট। এই দিখে রিহান বসে বসে বউ এর সাথে প্রম করছে রিহান এর কোনো চিন্তা নেই আবির এই দিখে কাজ করে মরছে আর গালি দিচ্ছে রিহান কে। এই দিখে নির্বাচন অর্ধেক হয়ে গেছে আকাশ এর দুই কর্মীর খবর নেই আকাশ রেগে ফোনটা চুরে ফেলে দেই আর এই সব দেখে রিহান হাসছে। আকাশ মনে মনে বলে রনি আর দিহান কোথায় আছে তখনি ফোনে মেসেজ আসে বস চিন্তা করবেন না ভোট গননার সময় আমরা আসল কাজ করবো মেসেজ টা দেখে খুশি হয়ে যাই। এই দিখে আবির ফোন দিয়ে বলে কাজ হয়ে গেছে রনির ফোন থেকে মেসেজ করে দিয়েছি ডুড। রিহান আকাশ এর দিখে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দেই। বিকাল 4 টায় ভোটের রেজাল্ট দেই আকাশ এর থেকে তিন গুন বেশি ভোট পেয়ে জয় হয় রিহান এর ঘোষনা শুনে আকাশ রাগে ফোন টা ছুরে মেরে রনি আর দিহান কে গালি দিতে থাকে। নির্বাচন এ জয় এর পর কিছু কোন রিহান কে নিয়ে উল্লাস হয় এরপর রিহান সবার মাজে কান থেকে বেরিয়ে নিজের ক্লাব ঘরে চলে যাই যেই কানে তার প্রিয় তমা স্ত্রী। রিহান ভিতরে ডুকতে রোজা জরিয়ে ধরে বলে congratulation my dear hausbent রিহান টাইট করে জরিয়ে দরে বলে thank you my dear ওয়াইফি। এরপর রিহান রোজা কে নিয়ে বাসাই চলে যাই আবির কে বলে বাকি কাজ সামলাতে। রিহান যেতেই ওর মা জরিয়ে ধরে বলে আমি জানতাম আমার ছেলের জয় হবে এই বার ও। রিহান হেসে বলে সব তোমাদের দোয়া মা। এবার রোজা আর ফারিন এক সাথে বলে আমাদের কে ট্রিট দিতে হবে আজকে ভাইয়া তখনি আবির বাসাই ডুকতে ডুকতে বলে আমার ও চাই। আবির এর কথা শুনে রিহান গিয়ে আবির কে জরিয়ে ধরে বলে তোর জন্য আমি আজ এতো উপরে তুই একমাএ আমার সব কাজে সাহায্য করিস মাজে মাজে মনে হয় আমি তোর আপন ভাই এতো করিস আমার জন্য তোর এই প্রতিদান কি করে দিবো? রিহান কানে কানে বলে তোর বোন কে দিয়েছিস আর কি প্রতিদান হতে পারে। আবির এর কথা শুনে হেসে দেই রিহান। রিহান বলে তোকে আর রোজা কে আর আবির কে আজকে রাতে ট্রিট দিবো প্রমিস এবার একটু বের হতে হবে কারো সাথে কথা না বলে চলে এসেছি। রোজা বলে এখনি যাবে কিছুই তো খাওয়া হয়নি সারা দিন তোমার। রিহান বলে চিন্তা করো না আমি খেয়ে নিবো হুম এখন যাই বলেই বেরিয়ে যাই আবির কে নিয়ে। রাত আটটায় ডিংক করে মাতাল হয়ে ফিরছে আকাশ একটু আগে একটা মেয়েকে রেপ করেছে হঠাৎ আকাশ এর পথ আটকে দারাই কয়েক জন লোক। আকাশ বলে কে তোরা। তখনি একটা ছেলেটি বলে তোর আরজাইল। আকাশ বলে রিহান তুই সাথে সাথে রিহান মাক্স খুলে বলে ইয়েস আমি। আকাশ বলে কি চাই? রিহান বলে তোর জীবন। আকাশ বলে মানে! রিহান বলে কালকে যেনো কি বলেছিলি রোজা কে দেখে মাল তাই তো? আকাশ বলে ইয়েস আসলে মাল টা সেই বলা শেষ করার আগেই রিহান নাকে ঘুষি মেরে মুটা লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এরপর নিছে বসে গাল চেপে ধরে বলে তুই আমার কলিজা কে মাল বলেছিস আমার কলিজা কে তোকে জানে মেরে পেলবো বলেই আবার মারতে থাকে। আবির দেখে আকাশ নরতে পারছেনা। আবির রিহান কে জরিয়ে দরে বলে প্লিজ ডুড মরে যাবে ছেরে দে। রিহান বলে কখনো না আজকে ওর শেষ দিন এই পৃথীবি তে তখনি আবির মনে করিয়ে দেই রোজার দিব্বির কথা সাথে সাথে লাঠি পেলে দিয়ে গাড়িতে উঠে পরে। আবির বাকি দের উদ্দেশ্যে করে বলে ওকে হসপিটাল এর সামনে রেখে আই বলেই গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে বাসার উদ্দেশ্য চলে যাই। আবির আর রিহান ফিরতে রাত নয়টা বাজে এসেই রোজা আর ফারিয়া কে নিয়ে আবির আর রিহান বের হয়। প্রথমে একটা বড়ো রেস্টুরেন্ট এ যাই সেখান থেকে ডিনার করে একটা বড়ো হোটেল এ যাই। রিহান বাসাই ফোন করে বলে দেই ও ফারিয়া আর রোজা কে নিয়ে রাতে ঘুরবে পরে একটা হোটেলে উঠবে সকালে চলে আসবে রিহান এর মা বলে সাবধানে থাকতে রোজা আর ফারিয়া কে দেখে রাখতে। হোটেল এর সামনে গাড়ি থামতে তিন জন রিহান কে উদ্দেশ্যে করে বলে এখানে কেনো?রিহান বলে ভিতরে চল গেলে দেখতে পাবি। ভিতরে গিয়ে রিহান দুইটা চাবি নেই প্রথমে আবির এর রুম খুলে রুমের ভিতর ছোট ছোট মুম বাতি আর বিছানাতে ফুল সারা রুম সাজানো। আবির বলে এই সব কি? রিহান বলে তোর জন্য আমার তরফ থেকে ছোট উপহার হুম গুড নাইট বলেই রোজা কে নিয়ে চলে যাই নিজের রুমে আর আবির ফারিয়া কে নিয়ে ভিতরে ডুকে দেখে বিছানাতে দুইটা পেকেট রিহান হাতে নিয়ে দেখে একটা শাড়ি সাথে পেটিকোট আর ব্লাউজ মেচিং আরেক টাই একটা টাউজার গেন্জী আবির ফারিয়া কে ড্রেস টা দিয়ে বলে যাও ফ্রেশ হয়ে আসো ফারিয়া বলে না দুই জন এক সাথে চলো বলেই ওয়াশ রুমে ডুকে যাই। রিহান ও তাদের রুম একি রকম ভাবে সাজিয়েছে। রিহান রোজার হাতে একটা পেকেট দিয়ে ওয়াশ চলে যাই আর বলে এটা পরতে। রিহান যেতেই রোজা দেখে একটা সাদা শার্ট একদম পাতলা যেটা হাঁটুর অনেক উপরে। কিছু কোন পর রিহান বের হতেই রোজা রিহান এর দিখে থাকিয়ে মুচকি হেসে ভিতরে চলে যাই শার্ট নিয়ে।
আবির বসে ফোন টিপছিলো তখনি ওয়াশ রোমের দরজা খুলার শব্দে থাকিয়ে ফারিয়া কে দেখে হাত থেকে ফোন পরে যাই। ফারিয়া পাতলা নীল শাড়িটা একদম তামিল নায়কাদের মতো করে পরেছে বিজা চুল। আবির আস্তে আস্তে এগিয়ে যাই ফারিয়ার দিখে। ফারিয়ার একদম কাছে গিয়ে আবির ফারিয়া কে টান মেরে বুকে নিয়ে আসে ফারিয়া দুই হাতে আবির এর গলা জরিয়ে দরে । আবির বলে তুমি রেডি তো জান তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করবো না। ফারিয়া আবির কে জরিয়ে ধরে বলে আমার সব কিছু তো তোমার আর তোমার এখন আমার উপর অধিকার আছে।আবির ফারিয়ার কপালে চুমু খাই দুই গালে চুমু খাই। ফারিয়া কে খুলে তুলে বেডে শুয়ে দিয়ে ঠুঁটে চুমু খাই ফারিয়া রেসপন্স করতে থাকে আবির এর সাথে বাহিরের চাঁদের আলো আজ দুই নর নারীর মিলনের শাক্কী।

এই দিখে রোজা ওয়াশ ওয়াশ রুমে থেকে বের হয়ে দেখে রিহান কার সাথে কথা বলছে রোজা আস্তে করে গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে। রিহান রোজার সপর্শ পেয়ে ফোনটা কেটে বন্ধ করে টেবিল এর পাশে রেখে দেই। রোজার দিখে ফিরে বলে তোমাকে তো পুরাই হট লাগছে জান। রোজা বলে যানি বলতে হবে না তোমাকে। রিহান বলে আজকের এই মুহূর্তটার জন্য কতো অপেক্ষা তে ছিলাম তাই না? রোজা বলে হুম অবশেষে আজ আমাদের অপেক্ষার অবশান হবে বলেই দুই জন দুই জন এর ঠোঁট আকরে ধরে চুমু খাই। কিছু কোন পর দুই জন দুই জন কে ছেরে দেই। রোজা একবার রিহান এর দিখে থাকিয়ে দৌরে কাটের পাশে দারিয়ে হাঁপাতে থাকে। রিহান মুছকি হেসে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘালে গলায় কিস করতে থাকে রোজা সামনে ঘুরে রিহান কে টাইট করে জরিয়ে দরে। রিহান রোজা কে খুলে তুলে বিছানাতে শুয়ে দিয়ে ঠোঁট আকরে ধরে সাথে সাথে মেঘ আরাল করে দেই চাঁদ কে ভিতরে এক জোরা দেহের ভালোবাসা আদান প্রদান চলছে আর বাহিরে প্রচুর জুরে বৃষ্টি হচ্ছে যেই বৃষ্টি শাক্কী দুই জন এর মিলনের।
চলমান….