#আয়নায়_বন্দী_পরী
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১০
চোখ ঠিক হতেই দেখি বিছানার মধ্যে আনহা মরা লাশের মতন শুয়ে আছে।যেটা দেখে কলিজাটা বিভৎস ভাবে একটা মোচড় দিলো!আনহার এই অবস্থা দেখে বুকের ভিতরে হাহাকার করছে!এরমধ্যে যে আমায় আনহার রুমে নিয়ে এসেছে।সে আমায় বলে উঠলো…
–আপনি ঠিক আছেন তো?
আপনার চোখের জ্যোতি ফিরে এসেছে তো?
–জ্বি আমি ঠিক আছি।কিন্তু হুট করে এতোটা ভয়াবহ ভাবে আলোকরশ্মির উৎপত্তি হলো কেন?
আর আমি ব্লাইন্ড এই বা হয়ে গেলাম কেন কিছু সময়ের জন্য?
–এই ঘটনার আসল রহস্য কি তা আমরা কেউ এই জানি না!রাজ দরবারের সবার সাথেই এই অদ্ভুত জিনিসটা ঘটেছে।যেই মাসুদা রাণীর ঘরে এসেছে।তার সাথেই এমনটা হয়েছে।তবে এই জিনিসটা সবার সাথেই একবার করে ঘটছে।যখন কারোর সাথে এমনটা ঘটে,তখন পাশ থেকে কেউ তাঁকে স্পর্শ করলে সে আগেয় ন্যায় হয়ে যায়।তাই আপনার হাত আমি শক্ত করে চেপে ধরেছি।
–ওহহ আচ্ছা।
কিন্তু মাসুদা রাণীর কি হয়েছে সেটা একটু বলুন তো?
–সেটা তো কেউ এই বের করতে পারছে না মাসুদা রাণীর কি হয়েছে।তিনি সেই এক সাপ্তাহ আগ থেকে এমন ভাবেই বিছানায় মরা লাশের মতন পড়ে আছে।
–আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখছি।
আপনি যদি মাসুদা রাণীর ঘর থেকে একটু বের হতেন,তাহলে আমার চিকিৎসা করতে ভালো হতো।
–ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি।
–তারপর সেই পরী’টা আমায় আনহার রুমে একা ছেড়ে দিয়ে সে চলে গেলো।সে চলে যেতেই আনহার হাত চেপে ধরে তাঁকে ডাকতে আরম্ভ করলাম।অনেক কয়বার ডেকেছি।কিন্তু আনহা আমার কথার কোনো উত্তর এই দিচ্ছে না।আনহার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে কলিজাটা আরো ভয়ংকর ভাবে মোচড় দিতে শুরু করেছে।আমি আবারো আনহাকে ডাকতে আরম্ভ করলাম।কিন্তু সে এবারো কোনো উত্তর দিলো না।তাই এবার আনহার হাত ধরে তাঁকে ঝাঁকিয়ে ডাকতে আরম্ভ করলাম।আগের বারের ন্যায় এবারো সে কোনো রেসপন্স করেনি।কিন্তু তার দুই চোখের কোন বেয়ে পানি বের হতে আরম্ভ করেছে।যেটা দেখে আমি নিজের তালগোল হারিয়ে ফেলেছি!আমি যেনো আর আমার নিজের মধ্যে নেই!আনহার চোখের পানি দেখে ভাবুক হয়ে তার একদম তার কাছে চলে গেলাম।তারপর নিজের অজান্তেই তার উষ্ণ ঠোঁট জোড়ার সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলাম।আনহার ঠোঁট জোড়ার সাথে নিজের ঠোঁট মিশাতেই একটা ভিশন আসলো।যেই ভিশনে দেখতে পেলাম আমি একটা বাগানে চলে এসেছি।যেই বাগানটা ধবধবে সাদা।গাছপালা থেকে নিয়ে শুরু করে আসমান জমিন সব কিছুই সাদা।এবং সেই বাগানে কিছু অদ্ভুত প্রকৃতির প্রাণীকে দেখতে পেলাম।যাঁদের সবার পিঠেই পাখা আছে।তার মানে এই প্রাণী গুলার মধ্যেও সুপারন্যাচারাল পাওয়াটা আছে।আমি বাগানের পরিবেশ দেখতে মগ্ন হয়ে পড়েছি।ঠিক সেই সময় হুট করে আনহার গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।আনহার গলার আওয়াজ শুনে থতমত খেয়ে গেছি!আমি চতুর্পাশে চোখ পাকিয়ে আনহাকে খুঁজতে লাগলাম।কিন্তু কোথাও তাঁকে দেখতে পেলাম না।তাই আনহাকে ডাকতে আরম্ভ করলাম।আমার ডাকে বাতাসের গতিতে কিছু একটা আমার একদম সামনে এসে কানে কানে বলতে লাগলো…
–আকাশ তুমি আমায় দেখতে পাবে না।কিন্তু তুমি আমার কথা শুনতে পাবে।কারন এটা তোমার আর আমার কল্পনার দুনিয়া।যেই দুনিয়াটা আমার তৈরী করা।আমি কোনো বিপদে পড়লে তোমায় আমি এখানে নিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করার উপায় বলতে পারবো।যার ফলে তুমি আমায় সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে।তবে তোমার হাতে সময় থাকবে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা।মানে তোমায় সমস্যার কথা বলে দেওয়ার পর চব্বিশ ঘণ্টা তুমি সময় পাবে আমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য।না হয়তো চব্বিশ ঘণ্টা অতিক্রম হয়ে গেলে আমার তৈরী করা ভিশন বা কল্পনার দুনিয়া চিরতরের মতন নষ্ট হয়ে যাবে।যার পর তুমি হাজার চেষ্টা করলেও আমাকে উদ্ধার করার রাস্তা আর খুঁজে পাবে না।
–আচ্ছা আনহা কি হয়েছে তোমার?
–আকাশ কি হয়েছে সেসব তুমি পরে আমার মুখ থেকেই শোনো।কিন্তু তার আগে তুমি আমায় সুস্থ করে তুলো।
–কি ভাবে সুস্থ করবো তোমায় আনহা?
–তুমি যেভাবে এসেছো,সেভাবেই তোমাকে আবার জমিনে ফিরে যেতে হবে।তারপর জমিন থেকে ড্রাগন ফল খুজেছে বের করে সেই ড্রাগন ফলের রস আমার বালিশের নিচে রাখা একটা জাদুই বোতল আছে।যেই বোতলের ভিতরে স্পেল পড়া একটা শুরার পানি আছে।যেটা আমাদের জাদুই নহরের পানি।তার সাথে ড্রাগন ফলের রস মিশিয়ে আমার মুখে ঢাললেই মিনিট কয়েকের মধ্যে আমি ঠিক হয়ে যাবো।
.
আকাশকে গায়েবি ভাবে আনহা সমস্যার সমাধানের কথা বলে দিয়ে ভিশনের দুনিয়া বা কল্পনার দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসে।কিন্তু আকাশ এখনো আনহার ভিশনের দুনিয়ায় আঁটকে আছে।এর মধ্যেই আনহার রুমের মধ্যে কারোর আসার শব্দ শুনতে পায় আকাশ।যার ফলে আকাশ ও ভিশনের দুনিয়া থেকে বের হয়ে আসে।ভিশনের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসতেই আকাশ আনাকে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে সরে আসে।আর এর মধ্যেই আনহার রুমের মধ্যে একজন প্রবেশ করে।যার মাথায় কিনা স্বর্নের মুকুট পরিধান করা।আকাশ তাঁকে দেখেই চিনে ফেলে,যে এই ব্যাক্তিটাই হয়তো পরী-পালকের রাজা।তাই সে সম্মানের সহিত দাঁড়িয়ে যায়।আর রাজা এসে আকাশকে জিগ্যেস করে…
–মাহরুমা আপনি নাকি আমার মেয়েকে চিকিৎসা করার জন্য এসেছেন?
–রাজার মুখে মাহরুমা নামটা শুনে বেশ অবাক হলাম!
কিন্তু অবাক হলেও আমি কোনো ধরনের রিয়েক্ট না করে রাজার প্রশ্নের উত্তরে ছোট করে জ্বি বললাম।
তারপরই উনি আবার আমাকে জিগ্যেস করলো…
–মাহরুমা আমার মেয়ের কি হয়েছে?
ও সুস্থ হচ্ছে না কেন?এই সাত দিনে অনেক মাহরুমাকেই এনে দেখিয়েছি।কিন্তু কেউ এই সুস্থ করতে পারেনি আমার মেয়েকে।আপনি কি পারবেন আমার মেয়েকে সুস্থ করতে?আপনি আমার মেয়েকে সুস্থ করার বদলাতে যা চাইবেন আমি তাই আপনাকে দিব।কারন আমার মেয়ে সুস্থ হওয়া অনেক জরুরী।তার কিছু হলে এই পরী-পালকে অনেক বড় তুফান নেমে আসবে।
–মাহরুমা মানে কি এবার বুঝে আসলো।পরী-পালকের চিকিৎসকদেরকেই মাহরুমা বলে ডাকা হয়।কিন্তু কিসের তুফানের কথা বললো রাজা মশাই সেটাই বুঝে আসলো না!তাই তিনাকে জিগ্যেস করলাম।
কিসের তুফান মহারাজ?
–তুফান বলতে আমার মেয়ে ভবিষ্যতে আমার সিংহাসনে বসে পুরো পরী-পালকে শাসন করবে।কিন্তু তার যদি কিছু হয়,তাহলে পরী-পালকের পরীরা বিদ্রুপ করবে অন্য কাউকে সিংহাসবে বসানোর জন্য।কারন এখানকার নিয়ম হচ্ছে রাজার বংশধর থেকেই কেউ একজন সিংহাসনে বসবে।কিন্তু আমার তো মাসুদা বাদে আর কোনো সন্তানাদি নেই।তাই তার সুস্থ হওয়া অনেক জরুরী।প্লিজ মাহরুমা আপনি আমার মেয়েকে সুস্থ করে দিন।আপনার যা চাই আমি তাই দিব।কিন্তু প্লিজ আমার মেয়েকে সুস্থ করে দিন আপনি।
–রাজা মশাই আমার কিছু চাহিদা করার হলে পরে করবো।কিন্তু আগে আপনার মেয়েকে সুস্থ করা প্রয়োজন।আর আমি আপনার মেয়েকে সুস্থ করতে পারবো।তবে তার জন্য আমার সাহায্যের প্রয়োজন।
–কেমন সাহায্য মাহরুমা?
–আপনার পরী-পালকের মেইন দরজায় কয়েকজন গার্ড চব্বিশ ঘণ্টা পাহারায় নিযুক্ত থাকে।আমার তাঁদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে লাগবে।আমি তাঁদেরকে সাথে নিয়ে একটা জায়গায় যাবো।তারপর কিছু ঔষধ নিয়ে ফিরে আসবো।পরে সেই ঔষধ মাসুদা রাণীকে পান করালে সে সুস্থ হয়ে যাবে।
–ঠিক আছে আমি মেইন দরজার গার্ডদেরকে ডেকে আনাচ্ছি।আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করুন।
–জ্বি..
তারপর রাজা একজন সিপাহীকে ডেকে আনালো।তারপর তাঁকে বললো তিন মিনিটের মধ্যে পরী-পালকের মেইন দরজার গার্ডদেরকে নিয়ে এখানে হাজির হতে।এবং মেইন দরজায় অন্য গার্ডদেরকে আপাতত কাজে লাগাতে।রাজার আদেশ মতন সিপাহী পরী-পালকের মেইন দরজার গার্ডদেরকে নিয়ে আনতে চলে গেলো।আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি,আচ্ছা যেই রাস্তা আমি এতো লম্বা সময়ে অতিক্রম করেছি,সেই রাস্তা গার্ডরা তিন মিনিটে কি ভাবে অতিক্রম করে আসবে!এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে মিনিট তিনেক হয়ে গেলো।আর রাজার সিপাহী ফিরে আসলো।কিন্তু তার সাথে কেউ নাই।যেটা দেখে রাজা তাঁকে জিগ্যেস করলো…
–গার্ডরা কোথায়?
–মহারাজ গার্ডরা অন্য একটা প্রয়োজনীয় কাজে কোথায় যেনো গেছে।
–তো মেইন দরজায় এখন কারা আছে?
–অন্য গার্ডরা পাহারা দিচ্ছে।
–মাহরুমা,গার্ডরা তো বলে কাজে গেছে।
আপনি অন্য কাউকে সাথে নিয়ে গেলে হয় না?
–নাহ মহারাজ হবে না।
উনাদের এই প্রয়োজন।কারন সফরের রাস্তাটা আমার ভালো করে মনে নেই।তবে সেই রাস্তাটা আতাউর নামক গার্ডটা চিনে।তাই উনাকেই প্রয়োজন।
.
আকাশের কথা শুনে মহারাজ সেই সিপাহিকে আবার বলে….
–মেইন দরজার আসল গার্ডরা যেখানেই থাকুক না কেন,তাঁদেরকে ইমিডিয়েট রাজ দরবারে হাজির হতে বলো।
–জ্বি মহারাজ।
.
সিপাহী রাজার কথা মতন আবারো তাঁদেরকে আনার জন্য চলে গেলো।এদিকে আকাশ মেইন দরজার গার্ডদেরকে তার সঙ্গী হিসেবে চাহিদা করার কারন হচ্ছে তারা তার বিষয়ে জানে।আর তারাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাজ দরবার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে।আকাশ যদি এখন একা এখান থেকে সফর করে,তাহলে মাঝপথে মায়াঝাড়িতে নিশ্চিত আঁটকে যাবে।এবং সবাই তাঁকে ধরে ফেলবে।তাই সে পরী-পালকের মেইন দরজার গার্ডদেরকেই চাহিদা করেছে তার সঙ্গী হিসেবে।এভাবে তিন মিনিট কাঁটার পর সেই সিপাহী মেইন দরজার গার্ড আতাউর এবং তার সাথের কয়েকজন সঙ্গী সাথীকে নিয়ে হাজির হয়।তখন রাজা আতাউরকে বলে…
–আতাউর এই মাহরুমার সাথে তোমরা সফরে বের হও।সে আমার মেয়েকে সুস্থ করার জন্য ঔষধ আনতে যাবে।
–জ্বি মহারাজ…
–হুম এবার বেরিয়ে পড়ো।
আর মাহরুমা দয়া করে আপনি চটজলদি ফিরে এসে আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলবেন।
–মহারাজ আপনি টেনশন করবেন না।আমি চটজলদি ফিরে এসে মাসুদা রাণীকে সুস্থ করে তুলবো।আচ্ছা এবার চললাম..
তারপর আতাউর নামক গার্ড এবং তিনার সঙ্গী সাথীকে নিয়ে রওয়ানা হলাম।মাঝ পথের সমস্ত মায়াঝাড়ি থেকে আতাউর এবং তিনার সঙ্গী সাথীরা আমাকে বাঁচিয়েছি।আমি তাই তো তাঁদেরকে সফরের সঙ্গী হিসেবে চেয়েছি।তিনারা আমাকে সমস্ত মায়াঝাড়ি থেকে বাঁচিয়ে পরী-পালকের মেইন দরজার সামনে নিয়ে এসেছে।মেইন দরজার সামনে আসতেই প্রধান দারোয়ান আতাউর আমাকে বললো….
–বাহ তুমি তো দেখি অনেক বিচক্ষণ।আচ্ছা
সামনে কি করবে তুমি?
–আপনারা কয়েকজন পাহারায় থেকে আর বাকি কয়েকজন আমার সাথে চলেন।বিশেষ করে আপনি আমার সাথে সফরে চলেন।
–আরেহ এতে তো সমস্যা হবে।কারন পরী-পালক থেকে কারোর এই বের হওয়ার অনুমতি নাই।
–আরেহ কোনো সমস্যা হবে না।কারন আপনারা শুধু দ্বীপ পর্যন্তই আমার সাথে যাবেন।আর তাছাড়া রাজা তো অনুমতি দিয়েছেই সফর করার।আপনারা পরী-পালক থেকে বের হয়ে দ্বীপ পর্যন্তই খালি আমার সাথে যাবেন।পরে আমি আপনাদেরকে দ্বীপে রেখে জমিনে যাবো।পরে জমিন থেকে ড্রাগন ফল নিয়ে আবারো দ্বীপে হাজির হবো।
–ঠিক আছে তাহলে চলো…
–দারোয়ান আতাউর এবং আরো দুজনকে সাথে নিয়ে পরী-পালক থেকে বের হয়ে দ্বীপে গেলাম।দ্বীপে যেতেই আমার গায়ের রং আবার পরিবর্তন হয়ে গেলো।যেটা দেখে আমার বুঝতে বাকি নাই যে আমি আবার মানুষ হয়ে গেছি।আচ্ছা আমি এবার জমিনে চললাম…
–ঠিক আছে যাও,কিন্তু কতো সময় লাগবে তোমার?
–সে তো জানি না।কারন ড্রাগন ফল খুঁজতে কতো সময় লাগবে কে জানে!
–আচ্ছা ওয়েট তাহলে এই বিষয়ে আমি তোমাকে সাহায্য করছি।তুমি চোখ বন্ধ করে ড্রাগন ফলের কথা চিন্তা করো।আমি তোমাকে জাদুর মাধ্যমে ড্রাগন ফল গাছের নিচে পৌঁছে দিচ্ছি।তবে হ্যাঁ তিন মিনিটের মধ্যে যা করার করবে।কারন তুমি জমিন থেকে কি ভাবে এসেছো তা আমার অজানা।কিন্তু তুমি তিন মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারলে আমার জাদুর মাধ্যমে আবার ফিরে আসতে পারবে।না হয় তো তোমার আবার প্রয়াস করতে হবে এখানে আসার জন্য।তখন সেটার জন্য কতো সময় অতিবাহিত হবে তা উপর ওয়ালাই ভালো জানে।
–বাহ তাহলে তো ভালোই।
আচ্ছা আমি চোখ বন্ধ করছি।আপনি যা করার করেন,আমি তিন মিনিটের মধ্যেই কাজ শেষ করে ফিরে আসবো।তারপর আমি চোখ বন্ধ করতেই ড্রাগণ ফল গাছের নিচে পৌঁছে গেলাম।ড্রাগন ফল গাছের নিচে পৌঁছে একটা ড্রাগন ফল ছিঁড়ে নিয়ে দ্বীপের কল্পনা করতেই আবার চলে আসলাম দ্বীপের মধ্যে।পরে আতাউর এবং তার সঙ্গী সাথীর সাথে পরী-পালকে প্রবেশ করলাম।আতাউর আবার আমাকে কিছু একটা পান করিয়ে আগের ন্যায় বানিয়ে দিয়েছে।পরে তাঁদের সাথে সফর করেই রাজ দরবারে পৌঁছে গেলাম।রাজ দরবারে পৌঁছে ড্রাগন ফলকে পিষিয়ে রস বানিয়ে আনহার বালিশের নিচ থেকে শুরার পানির সাথে মিশিয়ে দিলাম।পরে সেই শুরার পানি আর ড্রাগন ফলের রস একত্রে করে আনহার মুখে ঢালতেই কয়েক মিনিটের মাঝে সে নড়াচড়া করতে আরম্ভ করলো।তার কিছুক্ষন যেতে না যেতেই আনহা চোখ খুলেছে।আনহা ঠিক হয়েছে দেখতে পেয়ে সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে।কিন্তু শনি টাও ঠিক সেই সময়ে আমার উপরে এসে পড়েছে।আনহা চোখ খোলার সাথে সাথে আবারো একটা ভয়ংকর আলোকরশ্মির উৎপত্তি হলো।যেটা আমি বাদে আর কেউ এই দেখতে পায়নি।সেই আলোকরশ্মিটা আমার চোখে এসে পড়তেই আমি সাথে সাথে চোখের জ্যোতি হারিয়ে ফেললাম।আর যন্ত্রণায় বিকট আওয়াজে চিৎকার করে উঠলাম।মনে হচ্ছে যেনো কেউ আমার চোখের মধ্যে ফুটন্ত আগুনের লাভা ঢেলে দিয়েছে।এতো পরিমাণে যন্ত্রণা হচ্ছে আমার।এরপর আর কিছু মনে নেই…..
চলবে…..
গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।