আয়নায় বন্দী পরী পর্ব-০৯

0
300

#আয়নায়_বন্দী_পরী
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৯

–যেহেতু আমি কল্পনা করার সাথে সাথে দ্বীপের মাঝে চলে এসেছি,এবং গায়ের রং ও পরিবর্তন হয়ে গেছে।তার মানে আমি বর্তমানে মানুষ থেকে অন্য কিছু হয়ে গেছি।আর এই অন্য কিছুটাই আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানান দিচ্ছে বা এলান করছে পরী-পালকের ভিতরে প্রবেশ করতে।তাই কোনো কিছু না ভেবেই বাকি প্রশ্নের উত্তরের জন্য পরী-পালকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি।
হাঁটতে হাঁটতে পরী-পালকের একদম দরজায় চলে এসেছি।দ্বিতীয় বারের মতন দরজাটার সাথে আবারো দেখা হলো।আগের বা বহু চিন্তা-ভাবনা করে ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম।কিন্তু এইবার কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই ভিতরে প্রবেশ করলাম।ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখি পরী-পালকের অনেক কয়জন দারোয়ান আমার দিকে এগিয়ে আসছে।আমি তাঁদের এগিয়ে আসা দেখে সামনে আর অগ্রসর হলাম না।চুপচাপ একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়লাম।আর তারা আমার একদম কাছে চলে আসলো।তারপর তারা আমার কাছে এসেই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে প্রশ্ন করতে আরম্ভ করলো…

–এই তুমি জমিন থেকে এখানে কি করে এসেছো?

–এসেছি কোনো এক ভাবে।
কিন্তু কেন বলেন তো?আমার আসা দিয়ে আপনাদের কাজ কি?

–আমাদের এই তো কাজ।
আমরা পরী-পালকের রক্ষক।আমাদের কাজ না থেকে কি অন্য কারো কাজ থাকবে নাকি?

–দেখুন আমি অনেক জরূরী একটা কাজে এসেছি।
তাই আমার হাতে বেশি একটা সময় নেই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতন।সো প্লিজ আমাকে পরী-পালকের ভিতরে প্রবেশ করতে দিন।

–এই ছেলে একদম ফিক্কা দিয়ে জমিনের মধ্যে মেলা মারবো।তুই জমিনের লোক হয়ে পরী-পালকে আসার সাহস পেলি কোথা থেকে?তার উপরে আবার তোর গায়ের রং ও আমাদের মতন।কাহিনীটা কি বল তো?
তোর মধ্যে এমনধারা এবেলিটি এসেছে কোথা থেকে?

–এসেছে কোনো এক ভাবে।সো আমায় ভিতরে যেতে দিন।

–নাহ তোকে ভিতরে যেতে দেওয়া হবে না।কারন তোর আসল পরিচয় আমরা জেনে গেছি।কিন্তু পরী-পালকের বাকিরা তোকে পরীই মনে করবে।আর তুই তাঁদের সেই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে দেখা যাবে কারোর ক্ষতি করে বসেছিস।এই রাফতান এই ছেলেকে পরী-পালক থেকে বের করে দাও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে।

–এমনিতেই মাথায় টেনশন আনহাকে নিয়ে। তার মধ্যে দারোয়ান গুলো শুরু করেছি ভিন্ন রকমের কাহিনী।
প্রচন্ড লেভেলের রাগ উঠছে।কিন্তু আমার কিছুই করার নেই।কারন তাঁদের সাথে কখনোই আমি পেরে উঠবো না।কারন তাঁদের কাছে সুপারন্যাচারাল শক্তি আছে।তাই বোবার মতন তাকিয়ে রইলাম দারোয়ান গুলোর দিকে।তখনি রাফতান নামক দারোয়ানটা আমাকে পরী-পালক থেকে বের করার আদেশ পেয়ে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এগিয়ে এসে আমায় ঘিরে ধরলো।একজন আমার হাত চেপে ধরেছে।অন্য আরো কয়েকজন মিলে আমায় পিছন থেকে পাজকোল করে ধরে টেনে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে ধরলো।রাগটা যেনো এবার চুড়ায় উঠে গেছে।নিজের অজান্তেই আমার হাত চেপে ধরা দারোয়ান টাকে ঝাটকা দিয়ে কয়েক হাত দূরে নিয়ে ফেললাম।যেটা দেখে সবাই আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভয়ে দূরে সরে গেলো।আর যেই দারোয়ান এমনটা করার হুকুম দিয়েছিলো,সে তাজ্জব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!আরেহ দারোয়ানের কথা কিই বা বলবো,আমি নিজেই নিজের কর্মকান্ড দেখে শকট হয়ে গেছি!সবার মধ্যেই এক ধরনের নিরবতা এসে ছেয়ে গেছে।কেউ কোনো কথা বলছে না।আর আমি ভেবে কূল পাচ্ছি না,যে আমি এমনটা কি করে করেছি!আমার মধ্যে এমনধারা অলৌকিক শক্তি আসলো কি করে,যে আমি পরী-পালকে এসে পরী-পালকের লোকদেরকেই ফিক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দিয়েছি!নিজের এমন অদ্ভুত আচরণ দেখে নিজের মাথাই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।এই মধ্যেই সেই দারোয়ান টা নিরবতা ভেঙ্গে আমায় প্রশ্ন করলো,যে কিনা আমায় পরী-পালক থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ করেছিলো।

–আচ্ছা তুমি কি কারনে পরী-পালকে এসেছো?

–আমি আনহার কাছে এসেছি।

–আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আমার সাথে এসো।তবে তার আগে তোমায় আমার পরিচয় টা জানিয়ে দেই।আমি এই পরী-পালকের প্রধান দারোয়ান আতাউর।তোমায় কিছু বলার আছে আমার।তারপর তুমি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে…

–জ্বি..
তারপর আতাউর নামক প্রধান দারোয়ান টা হাঁটতে আরম্ভ করলো।আমিও তার পিছন পিছন হাঁটতে আরম্ভ করলাম।সে আমায় নিয়ে গিয়ে একটা কক্ষের মধ্যে বসালো।তারপর বলতে লাগলো…

–দেখো আমি জেনে গেছি তুমি কে।
সো তুমি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।কিন্তু তার জন্য তোমার কয়েকটা নিয়মবিধি মানতে হবে…

–কেমন নিয়মবিধি?

–দেখো তোমার শক্তি দেখে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি তুমি কে।তাই তোমাকে আর আটকাবো না ভিতরে যাওয়া থেকে।কিন্তু তুমি ভিতরে প্রবেশ করার জন্য তোমার এই রূপ পরিবর্তন করতে হবে।আর এতে তোমাকে আমি সাহায্য করবো…

–রূপ কেন পরিবর্তন করতে হবে?

–কারন আনহা এই পরী-পালকের রাজার মেয়ে।
আর সে থাকে রাজ দরবারে।আর তুমি যেহেতু তাঁকে তালাশ করছো,তাহলে তোমাকে অবশ্যই রাজ দরবারে যেতে হবে।কিন্তু কথা হচ্ছে রাজ দরবারে তুমি পুরুষের আকৃতি নিয়ে আনহার সাথে কখনোই দেখা করতে পারবে না।কারন রাজ দরবারের দারোয়ান কখনোই তোমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিবে না।তাই তোমার রূপ পরিবর্তন করা অবশ্যক।আর তুমি সেখানে গিয়ে সাধারণ ভাবেই ভিতরে প্রবেশ করবে।না হয়তো হিচকিচালে রাজ দরবারের দারোয়ানের হাতে ধরা পরে যাবে তুমি।

–ঠিক আছে তাহলে আপনি আমার রূপ পরিবর্তন করে দিন।

–হুম দিচ্ছি।
আর শোনো,তুমি কোনো ভাবে ধরা পড়লে কিন্তু আমাদের নাম উল্লেখ করবে না,যে আমি তোমাকে সাহায্য করেছি।এবং পরী-পালকের দরজা দিয়ে আমরাই তোমাকে আসতে দিয়েছি।তুমি বলবে তুমি অন্য কোনো অলৌকিক শক্তির দ্বারা পরী-পালকে প্রবেশ করেছো।না হয়তো তোমার সাথে সাথে আমরাও বিপদে পড়বো।

–ঠিক আছে….
তারপর আতাউর নামক দারোয়ান টা একটা মাটির পাতিলায় করে কিছু একটা এনে বললো আমায় পান করে নিতে।আমি তার কথা মতন সেটা পান করে নিলাম।সেটা পান করতেই পরক্ষণে দেখি আমার শরীরের চামড়া আবার পাল্টাতে শুরু করেছো।যেটা দেখে বুঝতে বাকি নাই যে আমার রূপ পরিবর্তন হয়ে গেছে।আমার শরীরের রূপ পাল্টানোর পরে আতাউর নামক দারোয়ান বললো…

–যাও সামনের দিকে এগিয়ে যাও।আর আমার কয়েকজন দারোয়ান তোমার সাথে রাজ দরবার পর্যন্ত যাবে তোমায় প্রটেক্ট করার জন্য।না হয়তো দেখা যাবে কোনো ধরনের ভুল করে তুমি কারোর না কারোর হাতে ধরা পড়েছো।কারন মাঝপথে অনেক মায়াঝাড়ি দেখা যাবে।তাঁদের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় কেউ তোমাকে গাইড না করলে সেই মায়াঝাড়িতে তুমি ফেঁসে যাবে।

–আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর পরী-পালকের কয়েকজন দারোয়ানকে সাথে নিয়ে হেঁটে হেঁটে রাজ দরবারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি।হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা দূর যাওয়ার পরেই দেখি বিশাল বড় একটা ঝর্ণা।কিন্তু সেই ঝর্ণার পানি গুলো উল্টো প্রবাহিত হচ্ছে।পানি উপর থেকে নিচে পড়ার কথা।কিন্তু ঝর্ণার পানি গুলো নিচ থেকে উপরে উঠছে।
যেটা দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না।আমার সাথে সফর করা দারোয়ান গুলোকে ফেলে রেখে দৌড়ে ঝর্ণার কাছে চলে গেলাম মুখ ধোঁয়ার জন্য।যখনি ঝর্ণার পানি কোষ করে নিয়ে মুখে মারবো,তখনি আমার সাথে সফর করা একজন দারোয়ান দৌড়ে এসে আমায় টান দিয়ে ফেলে দিলো।যার দরুন কোষে নেওয়া পানিটা হাত থেকে পড়ে গেছে।দারোয়ানের এমন আচরণ দেখে তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।তখনি সে আমায় বললো….

–আরেহ প্রধান সাহেবের কথা কি আপনার মনে নেই?
উনি না বলেছিলো মাঝপথে অনেক মায়াঝাড়ি পড়বে।এটাই হচ্ছে সেই মায়াঝাড়ির মধ্যে একটা।আপনি যদি এই ঝর্ণার পানি দিয়ে মুখ ধৌত করেন,তাহলে সাথে সাথেই আপনার রূপ পরিবর্তন হয়ে যাবে।আর আপনি মানুষে রুপান্তরিত হবেন।

–ইন্না-লিল্লাহ এটা কি করতে চলেছিলাম আমি।
আসলে দুঃখিত আমার আচরণের জন্য।

–আরেহ দুঃখিত হওয়ার কিছুই নেই।পরী-পালকে এই মায়াঝাড়ি গুলো হচ্ছে এক ধরনের ট্রাপ বা ফাঁদ।যেই ট্রাপ গুলো জমিনের মানুষের জন্য বানানো হয়েছে। কোনো মানুষ যদি কোনো ভাবে পরী-পালকে অন্য রূপ ধরে প্রবেশ করে,তাহলে তারা এই সব ট্রাপে এসে ফেঁসে যাবে।তার জন্যই তো প্রধান সাহেব আপনার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আপনার সাথে আমাদেরকে পাঠিয়ে।সো ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নেই।কারন এতে আপনার কোনো দোষ নেই।

–ধন্যবাদ বিষয়টাকে সহজ ভাবে নেওয়ার জন্য।

–হুম এবার চলেন…

–আবারো দারোয়ান গুলোকে সাথে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।এভাবে আরো কিছুটা পথ অতিরিক্ত করার পর হুট করেই আমার চোখ একটা ঘোড়ার উপরে গিয়ে আঁটকে গেলো।যেই ঘোড়াটা কিনা একটা জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে ঘাস খাচ্ছিলো।আর তার পিঠের মধ্যে দুইটা পাখনা আছে।যেটা দেখে আমার বুঝতে বাকি নেই,যে এই ঘোড়ার মধ্যে উড়ার এবেলিটিস আছে।তাই
আবারো দারোয়ান গুলোকে রেখে দৌড়ে গিয়ে তার পিঠের উপরে চড়ে বসলাম।আমি ঘোড়াটার পিঠের উপরে বসতেই ঘোড়াটা তার পাখনা ফ্লাইং করলো উড়াল দেওয়ার সময়।তখনি আমার সাথে সফর করা সেই দারোয়ান গুলো এসে ঘোড়া টাকে টেনে ধরলো।আর একজন খপ কটে আমায় টান দিয়ে ঘোড়া থেকে নামিয়ে ফেললো।আগের বারের ন্যায় এবারো দারোয়ানের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।তখনি সেই দারোয়ান এই ঘোড়ার রহস্য রিভিল করলো…

–এই যে ভাই এই ঘোড়াটাও একটা মায়াঝাড়ি ট্রাপ।আরেকটু দেরি হলেই আপনি শেষ হয়ে যেতেন।কারন এই ঘোড়াটা আপনাকে পিঠে সওয়ারি করে নিয়ে গিয়ে পরী-পালকের কাল কুঠরিতে নামিয়ে দিতো।যার ফলে কালকুঠরির রক্ষকরা আপনাকে বন্দী বানিয়ে কুঠরির ভিতরে আজীবনের জন্য বন্দী করে দিতো।

–দারোয়ানের কথায় আবারো হুঁশ জায়গা মতন চলে এসেছে।আবারো আগের বারের ন্যায় তাঁদের সামনে লজ্জায় পড়লাম।কিন্তু তারা আমায় এই বিষয়ে কিছু না বলে সোজা বললো সামনে অগ্রসর হতে।আমিও তাঁদের কথার অনুসরন করলাম।এভাবে হাঁটতে হাঁটতে দীর্ঘ একটা লম্বা সফরের পর রাজ দরবারে চলে এসেছি।মাঝ পথে আরো অনেক কয়টা মায়াঝাড়িতে আঁটকেছিলাম।কিন্তু দারোয়ান গুলা আমায় প্রতিবারই রক্ষা করেছে।রাজ দরবারের সামনে আসতেই দারোয়ান গুলা আমায় বলো….

–আপনার সাথে আমাদের সফর এখানেই শেষ।বাকিটা আপনার একা করতে হবে।কারন রাজ দরবারে যাওয়ার অনুমতি নেই আমাদের।আর যাওয়ার আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানিয়ে দেই আপনাকে,আপনি কিন্তু সরাসরি আনহা নামটা কারোর সামনেই উল্লেখ করবেন না।কারন উনি পরী-পালকের রাজার মেয়ে।সো উনাকে আজরা মাসুদা বলে ডাকবেন।আজরা মাসুদা অর্থ হচ্ছে সৌভাগ্যবতী কুমারী।যিনি কিনা ভবিষ্যতে রাজার সিংহাসনে বসবে।

–ঠিক আছে ধন্যবাদ।
বাকিটা আমি একাই সামলে নিব।আর নামের বিষয়েও খেয়াল রাখবো।তারপর তারা চলে গেলো।আর আমি রাজ দরবারে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।রাজ দরবারের সামনে অনেক কয়জন গার্ড দাঁড়িয়ে আছে।যাঁদের হাতে অনেক ভয়ংকর ভয়ংকর জাদুই অস্ত্র দেখা যাচ্ছে।আমি সেসব কিছু দেখেও নিজের প্রাণের মায়া না করে রাজ দরবারে প্রবেশ করার জন্য অগ্রসর হলাম।রাজ দরবারের মুখে আসতেই রাজ দরবারের দারোয়ান আমার পথ আঁটকে দিয়ে জিগ্যেস করলো…?

–কি চাই তোমার?

–আমি রাজ দরবারে প্রবেশ করবো।

–রাজ দরবারে প্রবেশ করার কোনো মোক্ষ কারন?

–আজরা মাসুদার সাথে দেখা করবো।

–নাহ মাসুদা রাণীর সাথে দেখা করা যাবে না।কারন তিনি অনেক অসুস্থ।

–দরোয়ানের কথা শুনে চরম একটা বুদ্ধি এলো মাথার মধ্যে।সেই বুদ্ধি টাকেই কাজে লাগালাম।আসলে আমি অনেক দূর থেকে ছোট রাণীর অসুখ নিধন করার জন্য এসেছি।

–কি বলছেন সত্যিই নাকি?

–জ্বি সত্যি…

–ঠিক আছে তাহলে ভিতরে প্রবেশ করেন।

–বাহ বুদ্ধিটা তো কাজে লেগেছে।দারোয়ান একজনকে সাথে দিয়ে ভিতরে পাঠিয়েছে।তারপর সেই পাঠানো দারোয়ানটা ভিতরের অন্য একজনকে বললো…

–এই নারীকে ভিতরে নিয়ে যাও।সে ছোট রাণীর চিকিৎসা করতে এসেছি।

–তার কথা মতন অন্য আরেকজন এসে আমায় আনহার কক্ষে নিয়ে গেলো।যখনি আমি আনহার কক্ষে প্রবেশ করলাম,তখনি অনেক ভয়ংকর একটা আলোকরশ্মির উৎপত্তি হলো।এবং সেই আলোকরশ্মিটা সোজা এসে আমার চোখে বিঁধছে।যার কারনে চোখে আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।কানার মতন চোখে হাত দিয়ে বসে আছি।এরমধ্যেই দেখি কেউ একজন এসে আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরেছে।যার ফলে আমার চোখ আবার আগের ন্যায় হয়ে গেছে।চোখ ঠিক হতেই দেখি বিছানার মধ্যে আনহা মরা লাশের মতন শুয়ে আছে।যেটা দেখে কলিজাটা বিভৎস ভাবে একটা মোচড় দিলো….

চলবে…..

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।