ইষ্ক ইবাদাত পর্ব-১৮+১৯+২০

0
6642

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১৮

রেয়ান্স পুরো হতভম্ব হয়ে বসে আছে হঠাৎ করেই তোড়ার তাকে জড়িয়ে ধরা তারপরেই আবার তাকে চুমু খাওয়া। সে বুঝতে পারছে না সে সত্যি সত্যি দেখছে নাকি সে স্বপ্ন দেখছে। তোড়া ও আবেগ আর নতুন তৈরী হওয়া অনুভূতি সাথে খুশির সংমিশ্রণ থেকে রেয়ান্স কে চুমু খেয়ে ফেলেছে। জড়িয়ে ধরা টা তবু ঠিক ছিল কিন্তু চুমু খাওয়া এটা ভেবে গাল দুটো আরো লাল হয়ে গেছে। তোড়া রেয়ান্স এর থেকে সরে না গিয়ে রেয়ান্স এর কাঁধে তার মুখ গুঁজে দেয় বুকে আর পিঠে থাকা হাত দুটো আরো জোরে চেপে বসে। রেয়ান্স এতক্ষণ ঘোরের মধ্যে থাকলেও তোড়ার তার কাঁধে মুখ গুঁজে দেয়া আর তার শরীরের তোড়ার হাতের চেপে বসা থেকে ঘোর কেটে যায়। সাথে সাথে মুখে ফুটে একটা চমৎকার হাসি। রেয়ান্স তার হাত ঘুরিয়ে এনে তোড়ার কোমরের চারিদিকে থেকে নিয়ে জড়িয়ে নেয় নিজের বুকের সাথে। মুখ এগিয়ে এনে তোড়ার কানের লতিতে ভালোবাসার উষ্ণ স্পর্শ দেয় গভীর ভাবে। রেয়ান্স এর এমন স্পর্শে হালকা কেঁপে উঠে আরো শক্ত করে খামছে ধরে।

-“কংগ্রাচুলেশন ওয়াইফি । রেয়ান্স তোড়ার কানে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে।

রেয়ান্স এর এমন স্পর্শকাতর ও আবেগঘন কথা শুনে তোড়ার হার্ট জোরে বিট করতে থাকে যেটা রেয়ান্স ও শুনতে পায় আর তার সাথে তোড়ার ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেওয়া রেয়ান্স কে যেনো পাগল বানিয়ে দিচ্ছে। রেয়ান্স চোখ বন্ধ করে নিজের ঠোঁট ক্রমশ তোড়ার কান সংলগ্ন জায়গায় ছুয়ে দিতে থাকে। আজ যে রেয়ান্স তোড়ার এমন ব্যবহারে নিজেকে নেশাগ্রস্ত মনে করছে শুধু নয়। আজ রেয়ান্স এর মতই তোড়া ও আসক্ত হয়ে যাচ্ছে রেয়ান্স এর এমন স্পর্শে ।হারিয়ে যাচ্ছে রেয়ান্স এর মধ্যে। এবং সেটা ও যেনো আরো চাইছে রেয়ান্স এর আরো বেশি করে ডুবে যেতে। নিজেকে যেনো কোনো মতে আটকাতে পারছে না। আচ্ছা তোড়া পারছে না নাকি চাইছে নিজেকে সরিয়ে নিতে।

রেয়ান্স একহাত তোড়ার কোমরে শক্ত করে জড়িয়ে রেখে অন্য হাত দিয়ে তোড়ার মাথার পিছনে রেখে নিজের কাঁধের থেকে তোড়ার মাথা তুলে নিজের মুখের সামনে নিয়ে আসে দেখে তোড়া চোখ বন্ধ করে আছে সাথে তার ওই মিষ্টি ঠোঁট জোড়া তিরতির করে কাঁপছে। রেয়ান্স যেনো নিজেকে এই মুহূর্তে কিছুতে নিজেকে সামলাতে পারছেনা তোড়ার ওষ্ঠের মধু সুধা পান করার থেকে। নেশাগ্রস্ত চোখে তাকিয়ে আছে তোড়ার কাঁপতে থাকা ঠোঁটের দিকে। তোড়ার ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট এগিয়ে আনে প্রায় ছুয়ে ছুয়ে আছে দু জোড়া ঠোঁট। তোড়ার মুখের আছড়ে পড়ছে রেয়ান্স এর উষ্ণ নিঃশ্বাস এতে তোড়ার কাঁপাকাপি আরো বেড়ে সাথে বেড়ে যায় বুকের ওঠানামা।

-“তোড়া মাই ওয়াইফি । রেয়ান্স একদম নেশা ভরা গলায় ফিসফিস করে বলে ওঠে।

তোড়ার রেয়ান্স এর এমন নেশায় ভরা আওয়াজ শুনে নিজের হাত আরো জোরে চেপে বসিয়ে দেয় রেয়ান্স বুকে আর পিঠে। যা রেয়ান্স এর শার্ট ভেদ করে শরীরে বসে গেছে। তোড়া কোনো কথা না বলেই তার অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়ে দিয়েছে তাই রেয়ান্স ও তার আর তোড়ার ঠোঁট জোড়ার মাঝে থাকা যে কিঞ্চিৎ পরিমাণে দুরত্ব ছিল সেটা আসতে আসতে কমিয়ে আনে। ধীরে ধীরে স্পর্শ করে তোড়ার ঠোঁট যুগল। আলতো আলতো স্পর্শে করে। এই আলতো স্পর্শে যেনো দুজন একসাথে একে অপরের নেশায় ডুবে যেতে থাকে। আলতো আলতো স্পর্শ থেকে ধীরে স্পর্শ গভীর হতে থাকে। শেষে চলতে থাকে একে অপরের ঠোঁটের খেলা। রেয়ান্স এর স্পর্শ গভীর হতে তোড়া যেনো আরো বেশি করে রেয়ান্স এর মাঝে ডুবে যেতে থাকে। শেষে দুজনের শ্বাস আটকে আসলে কুড়ি মিনিট পর একে অপরের ঠোঁট ছাড়ে। তোড়া নিজের মুখ আবারও রেয়ান্স কাঁধে গুঁজে দেয়। আর সাথে বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিতে থাকে। এদিকে রেয়ান্স তোড়ার আবারো তার কাঁধে মুখ গুঁজে দিতে মুখে এক টুকরো হাসি ফুটে ওঠে। সে ও বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে তোড়া কে নিজের বুকের সাথে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয়। তার পরেই ওই অবস্থায় এক হাত দিয়ে তোড়া কে জড়িয়ে রেখে ও অন্য হাত দিয়ে কার ড্রাইভ করতে থাকে।

তোড়া এখনও ওই অবস্থায় আছে। সে না রেয়ান্স এর থেকে সরে গেছে আর না মুখ তুলেছে রেয়ান্স এর কাঁধের থেকে । রেয়ান্স বুঝতে পারে তোড়া লজ্জা পেয়ে মুখ তুলতে পারছে না। তাই সেও কোনো কথা বলে না বরং এক হাত তোড়া কে নিজের সাথে জড়িয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পরেই তোড়ার কিছু মনে পড়তে তোড়া রেয়ান্স এর কাঁধের থেকে মাথা হালকা স্লাইড করে নিজের ডান হাতটা এগিয়ে দেয় রেয়ান্স এর দিকে। রেয়ান্স নিজের সামনে হাত দেখতে একবার কোনা চোখে দেখে নেয়। তোড়ার কোমর থেকে হাত সামনে এনে ওই একই পজিশনেই তোড়ার হাত নিজের ঠোঁটের কাছে নিয়ে আসে আর পর পর নিজের স্পর্শ দিয়ে ভরিয়ে দেয়।

-“ওয়াইফি । রেয়ান্স হালকা নেশালো আওয়াজে ডেকে ওঠে।

-” হুম…। তোড়া ও সাড়া দিয়ে ওঠে।

-“ঠিক আছো তো? দুষ্টু ভাবে বলে ওঠে।

তোড়া কোনো কথা না বলে চুপ করে থাকে। আজকে তাদের প্রথম কাছের আসার শুরু। তারা আজ একে অপরের উষ্ণ স্পর্শ গ্রহণ করেছে। এটা ছিল তাদের সম্পর্কের প্রথম ধাপ এগোনো আর তাতে তোড়া রেয়ান্স এর সাথে পুরোপুরি ভাবে তাল মিলিয়েছে।

————-

এদিকে তানিয়া কে ফিল্ম প্রোডাকশন থেকে সিকিউরিটি দ্বারা বের করে দেওয়ার পর তাকে রীতিমত রিপোর্টার দিয়ে ঘিরে ধরে ছিল। একে একে সবার থেকে ভিড়ের মাঝে ধাক্কা খেতে খেতে নিচে পড়ে যায়। আর ওখানে থাকা ভিড়ের জন্য একে অপরের ধাক্কাধাক্কিতে মাথায় আঘাত পায় আর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাত পায় তানিয়া। ওই অবস্থার সমস্ত ছবি ইন্টারনেট ভাইরাল হয়ে যায়। কোনোমতে ওখানে ভিড় সামলে তানিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট তাকে হসপিটাল নিয়ে যায়।

তানিয়ার ওই অবস্থার ছবি ও ফিল্ম প্রোডাকশনে হওয়া সমস্ত ঘটনা এখন সোস্যাল মিডিয়া তে হট টপিকে পরিণত হয়েছে। লোকের মুখে মুখে এখন শুধু তানিয়ার বদনাম হয়ে যাচ্ছে।। মিডিয়া আর পাবলিক যেমন একজন সাধারণ মানুষ কে সেলিব্রিটি এর স্টেজ পৌঁছতে সাহায্য করে ঠিক তেমনই একজন সেলিব্রিটি কে নিচে নামাতে আরো বেশি সাহায্য করে। এখন তানিয়ার সাথেই সেটা হচ্ছে। হা যদিও এই ঘটনার জন্য তানিয়ার পুরো ক্যারিয়ার নষ্ট হয়নি সে শুধু মুভির থেকে বাদ পড়েছে। কিন্তু সে এখনও মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির টপ লেভেলে আছে। সে চাইলে মডেলিং ক্যারিয়ারের দিয়ে আবারো ফিরতে পারে সবার সামনে।।

মুম্বাই সিটি হসপিটাল তানিয়া বিছানায় শুয়ে আছে। মাথায় ব্যান্ডেজ করা হাতে কয়েক জায়গা ও। তার মাথার কাছে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট রূপ বসে আছে আর তানিয়া নিজের ফোনের থেকে নিউজ দেখছে। আর সেখানে স্নো ক্লাউড গ্রুপ এর লাইভ প্রোগ্রাম দেখতে পাচ্ছে যেখানে অভি তোড়ার হাত ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে। আর এটা দেখেই তার ভিতরে এতক্ষণ এর তৈরী হওয়া বোম টা ব্লাস্ট করে। সে যতো টা না নিজের অপমান নিয়ে হয়েছে তার থেকেও বেশি এই খবর টা দেখে আগুন হয়ে গেছে অভি এটা কি করে করতে পারলো ভেবেই তার মাথা ফেটে যাচ্ছে আর সাথে সাথে ফোন টা কে আছড়ে ফেলে ফ্লোরে।

তানিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভয়ে সরে দাঁড়ায় তার পাশে থেকে উঠে। তানিয়া এক এক করে ওই রুমে থাকা বাকি জিনিষ গুলো ভাঙতে থাকে রাগের চোটে। ওর কিছুক্ষণের পরেই ওখানে অভি এসে পৌঁছয় আসলে তানিয়ার এই রূপ দেখে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট অভি কে কল করে। অভি রুমে এসে দাঁড়াতে তানিয়া পাশে টেবিলের ওপরে থাকা ঝুড়ি থেকে আপেল তুলে অভি এর দিকে ছুড়ে দেয়। অভি তানিয়ার কাজে হকচকিয়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি সরে যায় তাই আর অভি এর গায়ে লাগে না।

-অভি তুমি আমার সাথে চিট করার সাহস কোথায় থেকে পেলে হ্যাঁ? তুমি আমাকে ছেড়ে ওই মেয়ের সাথে প্রোগ্রামে গেছো কোন সাহসে। তানিয়া চিৎকারে করে বলে ওঠে।

-“তানিয়া আমার কথা শোনো তুমি কি সব বলে যাচ্ছ আমি কেনো তোমাকে চিট করবো। আরে আমি তো তোমাকে ভালোবাসি জান। অভি তানিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলে ওঠে।

-” এই একদম মিথ্যা কথা বলবে না। তুমি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আজকে তুমি আমার সাথে ফিল্ম প্রোডাকশন এর ওখানে থাকতে ওই মেয়েটার সাথে না। তানিয়া বলে ওঠে।

-” আরে বাবা সেটা তো আমি আমাদের ভালোর জন্য গেছি রে বাবা। অভি বলে ওঠে।

-“অভি ফিল্ম প্রোডাকশন থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে আমাকে রিপ্লেস করা হয়েছে। সেখানে আমার সাথে আমার পাশে থেকে আমাকে প্রোটেক্ট করার কথা ছিল কিন্তু তুমি কি করছিলে? তানিয়া আবারো অভি এর দিকে এটা সেটা ছুড়ে মারতে মারতে বলে ওঠে।

-” আরে বাবা আমি তোমাকে আগেও ফোন করেছিলাম কিন্তু তুমি রিসিভ করণি তোমার অকম্মা অ্যাসিস্ট্যান্ট কেও ফোন করেছিলাম এটা জানানোর জন্য যে ওরা তোমাকে রিপ্লেস করে দিয়েছে কিন্তু তুমি কি আমার ফোন রিসিভ করেছো? অভি দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।

-” ওহ তো তার মানে এই সব কিছু তুমি আগে থেকেই জানতে। আমাকে অপমান হতে পাঠালে। আর ঠিক আছে আমি ফোন রিসিভ করিনি কিন্তু তুমি তো ওখানে গিয়ে আমাকে সেভ করতে পারতে নাকি? তাহলে তুমি ওই মেয়ের সাথে কেনো গিয়েছিলে। তানিয়া এবার আগের তুলনায় আরো বেশি চিৎকার করে বলে ওঠে।

-” তানিয়া বেবি শান্ত হও। আরে বাবা আমি তো আমাদের জন্য গেছিলাম তোমার রিপ্লেসমেন্ট এর খবর শুনলে চারিদিকে হাঙ্গামা হয়ে যাবে আর দেখো সেটা হয়েছে। তো আমি তার জন্য আগের থেকে প্ল্যান করছিলাম। ওই মেয়েটা কে দিয়ে আমি আবারও তোমার পুরোনো ইমেজ দাঁড় করানোর চেষ্টা করব। অভি একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বলে ওঠে।

-“কি বলতে চাইছ অভি? তানিয়া কিছুটা শান্ত হয়ে বলে ওঠে। কিন্তু তার মধ্যে এখনও রাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

-” ওই তোড়া দেওয়ান এখন অনেক পপুলার তাই যখন শুনলাম তোমার সাথে কি হয়েছে তাই আমি ওই মেয়ের সাথে গেলাম যদি তোমাকে নিয়ে কোনো কিছু হয় তাহলে ওই মেয়ের পপুলারিটি দিয়ে তোমার ইমেজ যাতে ফেরাতে পারি। অভি মন খারাপের নাটক করে বলে ওঠে

-” কিন্তু অভি তুমি এখন জন সি ই ও হয়েও কি করে ওই মেয়ের হাত ধরে গাড়ি থেকে নামালে? তানিয়া ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে।

-” আরে বাবা মেয়েটা কে আমাদের কাজের জন্য হাতে রাখতে হবে না একটু। তাছাড়া ওর এখন ডিমান্ড বেশি তাই এইসব তো একটু করতে হবে। অভি বাঁকা হেসে বলে ওঠে।

তানিয়া অভির দিকে কুঁচকে তাকায়। অভি তানিয়ার দৃষ্টি লক্ষ করে তানিয়ার কাছে গিয়ে কোমরে হাত রেখে কাছে টেনে আনে।

-“আরে বাবা এটা তেমন কিছুই না বুঝলে আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি। অভি বলেই তানিয়া কে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে।

তানিয়া ও অভির এই কথা শুনতে গোলে গিয়ে সে ও অভি কই জড়িয়ে নেয়।

-” তোমাকে তো ভালোবাসতে বেবি তুমি হলে সোনার ডিম পাড়া হাঁস তোমাকে কি করে ছেড়ে দেই বলো। আর তোড়া ও তো আমার কাছে আলাদা। তোমাদের দুজন কে আমি কোনো মতেই হাত ছাড়া করব না জান। অভি তানিয়া কে নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেই নিজের মনে মনে বলে ওঠে।

আসলেই কি অভির মনে হয় যে তোড়া তার দিকে হাত বাড়িয়ে আগে যাওয়ার জন্য। তার পাতা ফাঁদে পা দেবে? নাকি অভি নিজেই নিজের অজান্তে তোড়ার পাতা ফাঁদে পা দিলো সেটাই এখন দেখার…. ।
.
.
.
.❤️❤️❤️
. চলবে…..

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১৯

রেয়ান্স তোড়া বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে লেখা ঝড়ের গতিতে এসে তোড়া কে হারিয়ে ধরে লাফাতে থাকে। হটাৎ এমনি করাতে রেয়ান্স চমকে গেলেও তোড়ার মনে কোনো চমকানোর ভাব নেই সে যেনো জানতো এটা হবে। তোড়া কে জড়িয়ে নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ভিতরে চলে আসে লেখা। তোড়া ও হাসি মুখে লেখার মাথায় হালকা করে চাপড় মারে।

-“কংগ্রাচুলেশন দিদিয়া । লেখা লাফিয়ে লাফিয়ে বলে ওঠে।

-“আচ্ছা আমরা কি চিড়িয়াখানায় এসে পড়েছি নাকি চিড়িয়াখানায় থেকে হনুমান আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে? রেয়ান্স লেখা কে একবার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে অবাক হয়ে বলে ওঠে।

-” ব্রো ভালো হচ্ছে না কিন্তু। লেখা মুখ ফুলিয়ে বলে ওঠে।

-“ও এই হনুমান তো দেখি মানুষের মত কথাও বলে। ওপস শুধু কথা বলে না হাত পা দেখি মানুষের মত শুধু লেজটাই নেই। রেয়ান্স বেচারা একটা মুখ করে বলে ওঠে।

-“দিদিয়া দেখ না কি বলছে আমি কি হনুমান লাগি নাকি? তোড়া কে নাড়িয়ে বলে ওঠে লেখা।

-“এমনিতে মনে হয়না কিন্তু এই লাফানো ঝাপানো দেখলে মনে হয় চিড়িয়াখানায় থেকে হনুমান চলে এসেছে। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-“এই আপনি চুপ করুন তো। সেই থেকে আমার লেখুটার পিছনে পড়েছেন। তোড়া রেয়ান্স চোখ পাকিয়ে ঝেড়ে বলে ওঠে।

তোড়ার রেয়ান্স কে এই ভাবে কথা শোনানো দেখে রেয়ান্স ও লেখা দুজনেই অবাক হয়েছে তবে লেখাটা যেনো তার দিদিয়া কে চেনার চেষ্টা করছে।

-” আদর মা আমার। তাসনীম দেওয়ান বলে ওঠে।

-” মম । তোড়া লেখা কে ছেড়ে তার মম এর কাছে যায়।

-“প্রথম সাফল্যের জন্য অনেক ভালোবাসা। আমি জানতাম আমার আদর ঠিক নিজের লক্ষ জিতে নেবে। তাসনীম দেওয়ান বলে ওঠে।

-” শুভেচ্ছা দিদিভাই । রেয়ান্স এর দাদু এসে বলে ওঠে।

তোড়া কোনো কথা না বলে দাদু ও মাকে জড়িয়ে নেয়। আর রেয়ান্স চুপচাপ দেখে যাচ্ছে তার দাদু যে এত জলদি কাউকে মেনে নেবে আর তার সাথে এতটা মিশে যাবে সে জানত না কারণ তার দাদু সহজে কারোর ওপর নিজের ভালোবাসা দেখায় না। তারপর সবাই মিলে একসাথে হইহই করে ডিনার করতে যায়। আজকে সবার সবার পছন্দের খাবার তৈরী হয়েছে হালকা করে তোড়ার এই প্রথম সাফল্য হিসাবে একটা ছোট্ট খাটো ডিনার পার্টি হয়ে গেলো তাদের মধ্যে। সবাই এক সাথে হাসি মজা করে কেটে যাচ্ছে আর তাদের মধ্যে এই পরিবার এত ভালোবাসা পেয়ে তোড়া যেনো আরো বেশি গলে যাচ্ছে কারণ সে ছোটো থেকেই এইসব কিছু পাইনি।

—————

-“তোড়া আমি যে আজ কি খুশি বলার মত নয়। রাই বলে ওঠে।

-” বলতে হবে না খুশি টা পানি দিয়ে গুলে খেয়ে নে। তোড়া বলে ওঠে।

-“হুম সেই। এতদিন পর তানিয়ার এই খারাপ অবস্থা দেখে আমার যা আনন্দ হচ্ছে না কি বলব। উফ দিল পুরো গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গেছে। রাই বলে ওঠে।

-” রাই মেরি মা এত খুশি হয়ে লাভ নেই এর পরে আরো এমন কিছু হবে তখন তো দেখব তুই খুশির ঠেলায় হার্ট অ্যাটাক করে নিয়েছিস। তোড়া বলে ওঠে।

-” হোহহহহহ । আচ্ছা শোন কালকে আমাদের বেরোনোর আছে। আর তুই যে যে কাজ গুলো দিয়েছিস সব হয়ে গেছে এবার শুধু রিলিজ এর বাকি। আর আমি জানি একবার যদি ওই নিউজ গুলো রিলিজ হয় তাহলে বোমা ফাটবে। আর তার সাথে তানিয়া আর ও অভি ও। রাই বলে ওঠে।

-” হুম এখন শুধু সময়ে এর অপেক্ষা। তোড়া বলে ওঠে।

রেয়ান্স কে রুমে আসতে দেখে তোড়া ফোন কেটে দেয়। রেয়ান্স রুমে ঢুকে তোড়ার দিকে একবার একটা কিলার লুক দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। আর এদিকে তোড়ার অবস্থা পুরো ঘায়েল হয়ে গেছে রেয়ান্স ওই কিলার লুক দেখে তার হার্ট প্রচণ্ড বেগতিক ভাবে বিট করছে। তোড়া ওয়াশরুমের দিকে তাকিয়ে নিজের বুকের ওপর হাত রেখে নিজের শ্বাস কন্ট্রোল করতে থাকে। তার যেনো কি হয়ে গেছে এমনিতেই সে রেয়ান্স এর প্রতি একটা অনুভূতি অনুভব করে আর তারপর আজকে যেটা হলো তারপরে থেকে রেয়ান্স কে দেখলেই যেনো তোড়ার হার্ট বেগতিক লাফাতে থাকে। আজকে কয়েক ঘণ্টা আগের কথা মনে করতেই তোড়ার লজ্জায় গাল লাল হয়ে যায়। তোড়া ভাবতে থাকে সে কিভাবে এটা করতে পারলো। আজ সে নিজে থেকে এগিয়ে গেছিলো রেয়ান্স এর দিকে ।

রেয়ান্স বাইরে বেরিয়ে দেখে তোড়া তার বুকে হাত চেপে রেখে বসে আছে। কোনো একটা গভীর খেয়ালে ডুবে আছে বলে মনে হচ্ছে। ভালো করে রেয়ান্স তোড়ার দিকে তাকাতে দেখে তার গাল গুলো স্ট্রবেরী এর মত লাল হয়ে গেছে। রেয়ান্স এর আর বুঝতে বাকি নেই যে তোড়া কি ভাবছে। এটা দেখেই রেয়ান্স এর মুখে হাসি ফুটে যায়। তবে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে তোড়ার সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়।।

তোড়া নিজের মুখের ওপর ঠান্ডা পানি পড়তে নিজের ভাবনা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। মুখে হাত দিয়ে দেখে কয়েক ফোটা পানির বিন্দু। বুঝতে পারেনা হঠাৎ পানি কোথায় থেকে এলো। তাই মাথা উঁচু করে সামনে তাকাতেই তার নজরে আসে ফর্সা পা। পানি এখন ও বিন্দু বিন্দু ফুটে আছে আর তার সাথে লোম গুলো ও ভিজে হয়ে পায়ের সাথে লেপ্টে আছে। এই এত টুকু দেখেই তোড়া একটা শুকনো ঢোক গেলে না জানি পুরো পা টা দেখলেই নিজের হুস না হারিয়ে ফেলে। কারোর পা ও যে এতটা আকর্ষণীয় হতে পারে না দেখলে তোড়ার বিশ্বাস করতে পারতো না। আসতে আসতে চোখ ওপরে তুলতে থাকে আর তার সাথে অজানা কারণে তোড়ার হার্ট এত জোরে বিট করতে থাকে মনে হচ্ছে এখুনি খুলে বেরিয়ে আসবে।

চোখ যতো উপরে উঠছে তোড়ার নিঃশ্বাস যেনো আটকে আসছে । পেটের কাছে আসতেই চোখ থেমে যায়। চোখ আটকে যায় অ্যাবস এর শেষে তে। উদাম গায়ে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে রেয়ান্স। তার পরনে শুধু একটা ট্রাউজার যেটা এক পায়ের দিকে কিছুটা উঠানো ছিল তাই তোড়া রেয়ান্স এর পা দেখতে পেয়েছে। রেয়ান্স এর শরীরের প্রত্যেক টা অ্যাবসের খাঁজে খাঁজে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে। যা নেশাগ্রস্ত এর মত তোড়া কে তার কাছে টানছে। শেষ অ্যাবসের থেকে আসতে আসতে চোখ ওপরে ওঠায় তোড়া আর তার সাথে শুকনো ঢোক গিলতে থাকে আর তার সাথে আছে তার বুকের ওঠানামা আর বেগতিক নিঃশ্বাস। রেয়ান্স এর এই বডি দেখলে যে কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। একটা নেশার মত এই বডি সবাই কে আকর্ষণ করবে। যেটা এখন তোড়ার ক্ষেত্রে হয়েছে।

রেয়ান্স এক দৃষ্টিতে লক্ষ করছে তোড়া কে। সে দেখছে যে তোড়া কেমন নেশা ভরা চোখে তার বডি কে দেখে যাচ্ছে। আর তার সাথে এই মুহূর্তে তোড়ার ফিলিংস এর ব্যাপার টা ও বুঝতে পারে। এটা দেখেই রেয়ান্স এর মুখে দুষ্টু হাসি ফুটে ওঠে। রেয়ান্স এর মাথায় থেকে আবারো পানি তোড়ার মুখে পড়তে তোড়ার চমকে একদম ওপরে তাকায় দেখে রেয়ান্স তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর রেয়ান্স এর ভেজা চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে যা তার মুখে এতক্ষণ পড়েছে। এতক্ষণ তোড়া রেয়ান্স এর বডি দেখায় এত মগ্ন ছিল যে পানির উৎস এর কথা ভুলে গেছিলো। আর এখন বুঝতে পারে সে এতক্ষণ কি করছিলো। তোড়া এবার নিজের বুকের থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে।

রেয়ান্স তোড়ার অবস্থা দেখে মনে মনে হেসে উঠে একদম তোড়ার গা ঘেঁষে বসে পড়ে। এর সাথেই তোড়া চমকে উঠে পাশে তাকায়। রেয়ান্স তোড়ার দিকে তাকিয়ে নিজের হাতের থেকে টাওয়াল টা তোড়ার হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজের মাথা টা তোড়ার দিকে হেলিয়ে দেয়। তোড়া কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা হাতে টাওয়াল নিয়ে নেয়। কাঁপতে থাকা হাত বাড়িয়ে রেয়ান্স এর মাথা মুছে দিতে থাকে। তোড়া নিজের আঙুল নিয়ে রেয়ান্স এর চুলের মাঝে দিতেই সে যেনো আবারও ঘোরের মধ্যে হারিয়ে যায়। রেয়ান্স শুধু বসে বসে তোড়ার কাজ গুলো অনুভব করছে যেটা তার মনের ভিতরে থাকা তার কে নাড়িয়ে দিচ্ছে বারবার।

তোড়া নিজের ঘোরের মধ্যে থেকে এক হাত দিয়ে রেয়ান্স সিল্কি চুলে হাতের আঙুল দিয়ে খেলতে থাকে আর এক হাত দিয়ে ঘাড়ে থেকে স্লাইড করতে করতে নিচে নামতে থাকে। সে নিজেও বুঝতে পারে না যে ঘোরের মধ্যে সে কি করছে। তার চোখ শুধু এখন রেয়ান্স এই আকর্ষণীয় বডি এর ওপরে। রেয়ান্স কোনা চোখে শুধু তোড়ার কাজ গুলো দেখে যাচ্ছে সে বুঝতে পারছে যে তোড়া পারলে তাকে কামড়ে খেয়ে ফেলে এক্ষুনি। আর তোড়ার হাতের বিচরণ তাকে পুরো পাগল বানিয়ে দিচ্ছে। রেয়ান্স নিজেকে চেষ্টা করে ও নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারছে না।

রেয়ান্স এক ঝটকা দিয়ে তোড়া কে নিজের কোলে তুলে নেয়। তোড়ার কোমরে হাত দিয়ে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়। তোড়ার হাত এখন ও রেয়ান্স এর চুলে ও পিঠের ওপরে আছে। রেয়ান্স তোড়ার থুতনি উঁচু করে তুলে তোড়ার মিষ্টি রসালো ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। এদিকে তোড়ার হাতের গড়ন রেয়ান্স এর শরীরের আরো চেপে বসে। রেয়ান্স তোড়া কে নিজের সাথে মিশিয়ে রেখেই প্যাশনেট ভাবে কিস করতে থাকে পুরো জোশ এর সাথে। এক সময়ে গভীর থেকে আরো গভীর হতে থাকে এই কিস। দুজনে একে অপরের ঠোঁটের ওপর চেপে বসেছে। তারা যেনো অন্য দুনিয়ায় হারিয়ে গেছে। আর এটাতো তোড়ার কাছে নতুন একটা অনুভূতির শুরু যেটা তে সে আরো বেশি বেশি করে আকর্ষিত হচ্ছে।

দুজনের শ্বাস আটকে আসলে একে অপরের ঠোঁট ছেড়ে দেয়। তোড়া রেয়ান্স এর উন্মুক্ত বুকে মুখ গুঁজে দেয়। আর রেয়ান্স তোড়ার মাথায়। দুজনই জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে। তারা যেনো একটা লড়াই শেষ করলো নিজেদের মধ্যে। ভালোবাসার লড়াই যেটা তে কোনো দুঃখ কষ্ট নেই বরং নতুন অনুভূতি ও একরাশ খুশি ছড়িয়ে আছে। রেয়ান্স তোড়ার মাথায় চুমু খায় গভীর ভাবে। তারপরেই দু হাত দিয়ে শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়।

-“আমাকে….কালকে….বেরোতে হবে। কাঁপা কাঁপা ভাবে বলে ওঠে।

-” আমার….দু দিনের জন্য শুট আছে। লোনাওয়ালা যেতে হবে। তোড়া আবারও বলে ওঠে রেয়ান্স চুপ করে থাকা দেখে।

রেয়ান্স কোনো কথা না বলে তোড়ার মাথায় আবারো একটা গভীর চুমু খেয়ে ওই ভাবেই কোলে নিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে। তোড়া কে নিজের বুকের ওপরে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে রাখে নিজের সাথে। তোড়া ও কোনো কথা বলে না চুপচাপ রেয়ান্স এর স্পর্শ গুলো অনুভব করতে থাকে। রেয়ান্স তোড়ার চুল গুলো নিয়ে খেলতে থাকে আঙুল পেচিয়ে পেচিয়ে। আর এক হাত দিয়ে পিঠে স্লাইড করতে থাকে। যার জন্য কিছুক্ষণ এর মধ্যে তোড়া ঘুমিয়ে যায়। তোড়ার ভারী নিঃশ্বাস অনুভব করেই মাথা উঁচু করে দেখে তোড়া ঘুমিয়ে গেছে ।

রেয়ান্স বেড সাইট থেকে নিজের ফোন নিয়ে শাহীন কে কল করে।

-“কালকে আমার সমস্ত সিডিউল ক্যানসেল করো আর মিটিং ভিডিও কনফারেন্সে ট্রান্সফার করো। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” ওকে স্যার। বলেই শাহীন ফোন রেখে দেয়।

রেয়ান্স তোড়ার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। সে বুঝতে পারে তার এই বউ টা আস্তে আস্তে তার ওপর দুর্বল হয়ে পড়ছে। তোড়ার মনে তার জন্য অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে তাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে তার নিজের অজান্তেই। সে নিজেরই থেকে তার কাছে ধরা দিচ্ছে এগিয়ে আসছে তার দিকে। তবে সে এখনই তাড়াহুড়ো করতে চায় না তার বউ কে নিজের করে নিতে সে আস্তে আস্তে তার বউ এর মনে তার জন্য পাগল করা ভালোবাসা সৃষ্টি করতে চাইছে। আর তার বউ যে তাকে একটু একটু ভালোবাসতে শুরু করেছে এটা ভেবেই রেয়ান্স এর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…..

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২০

হালকা মৃদু আলো চোখে এসে পড়তে তোড়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিট পিট করে চোখ খুলে নিজের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করে। পুরো রুমের মধ্যে আলো আধারি বিরাজ মান। থাই গ্লাস ভেদ করে মৃদু রৌদ্দুরের ছটা পর্দা ভেদ করে রুমে প্রবেশ করেছে আর তাই রুমের মধ্যে আলো আধারি হয়ে আছে। তোড়া চারিদিকে ঘুরে নেওয়ার পর অনুভব করে তার কানের কাছে কিছু আওয়াজ হচ্ছে ভালো করে বোঝার চেষ্টা করে দেখে ধুকধুক আওয়াজ হচ্ছে। এটা কি হার্ট বিট এর? বাহ এত সুন্দর হয় বুঝি। তোড়ার কাছে যেনো এই আওয়াজ মন মুগ্ধ কর লাগছে তাকে যেনো বিমোহিত করে দিচ্ছে এই আওয়াজ। সে তার মাথাটা আরো একটু চেপে ধরে আওয়াজ টা পুরো নিজের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন সে অনুভব করে তাকে কেউ আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে আছে সে কারোর বাহু বন্ধনে আছে। এতক্ষণ সে পরিবেশ দেখতে আর হার্ট বিট এর আওয়াজ এর মধ্যে হারিয়ে ছিল তাই খেয়াল করেনি।

তোড়া বুঝতে পারে না সে কার বাহুবন্ধনে আছে। এবার সে খেয়াল করে তার হাত দুটো ও তাকে জড়িয়ে আছে। কিন্তু কে কাকে জড়িয়ে আছে। সে কয়দিন রেয়ান্স এর সাথে থাকলেও সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে কখনওই রেয়ান্স কে তার পাশে দেখেনি আর না ছিল এই ভাবে তাই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। কিন্তু তার এই হার্ট বিট আওয়াজ মুগ্ধ করছে তাকে যেনো আরো বেশি করে আকর্ষণ করছে। তার মনে হচ্ছে এই প্রত্যেকটা বিট যেনো তার নাম করছে। তাই এই মন কেড়ে নেওয়া আওয়াজ থেকে সে বঞ্চিত হতে চায় না। কিন্তু কি করার তাই তোড়া মাথাটা হালকা উঁচু করে তাকাতেই রেয়ান্স এর মুখ দেখতে পায়।

রেয়ান্স এর মুখের দিকে তাকাতেই তোড়া মুগ্ধ হয়ে যায়। একরাশ ঠান্ডা অনুভূতি যেনো তাকে স্পর্শ করে যায়। সে এক দৃষ্টিতে মুখের দিকে চেয়ে আছে। নিজের এক হাত রেয়ান্স এর বুকের ওপর ভাঁজ করে রেখে তার ওপর নিজের থুতনি রেখে রেয়ান্স কে দেখতে আছে আর অন্য হাত দিয়ে রেয়ান্স এর চুলের মধ্যে দিয়ে আঙুল পেচিয়ে খেলতে থাকে। তোড়া যেনো এখন কোনো ঘোরের মধ্যে চলে গেছে। সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে রেয়ান্স এর মুখের দিকে দেখছে। সে এই প্রথম এত কাছে থেকে রেয়ান্স কে দেখছে। কারোর ঘুমন্ত মুখ ও যে এতটা অ্যাটট্রাকটিভ লাগতে পারে সেটা তোড়ার জানা ছিল না। এমনিতেই তো কিলার বয় সব মেয়েদের মনে বাস করে আর যদি এই ঘুমন্ত মুখ ও দেখে না জানি তাদের সবার কি অবস্থা হবে। তোড়ার নিজের হাল বেগতিক হয়ে যাচ্ছে।

তোড়া রেয়ান্স পুরো মুখটা স্ক্যান করে যাচ্ছে তার দুটো চোখ দিয়ে। তার হাত চুল থেকে নেমে এসে ভ্রু জোড়ার ওপর আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে থাকে। হালকা জোড়া ভ্রু ঘন পাপড়ি দেখে মনে হচ্ছে ল্যাস লাগানো। আচ্ছা সে কি মেয়ে যে তার চোখের পাতায় ল্যাস লাগানো হবে ধুর এটা জন্ম প্রদত্ত পেয়েছে হুম তাই হবে ভেবেই আবারও ধ্যান দেয় দেখায়। হালকা ট্রিম করা দাঁড়ি। তোড়া রেয়ান্স এর দাড়িতে হাত বুলিয়ে দিতেই তার গায়ের পসম দাঁড়িয়ে তার শরীরের মধ্যে শিরশিরানি অনুভব হয়। আর বাম গালে একটা ছোটো কালো তিল। এটা ঠিক কান ও চোয়ালের মাঝ বরাবর আছে যেটা এই মুখটা কে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তিল দেখতেই তার হাত তিল এর ওপরে চলে যায় আঙুল দিয়ে খুটতে থাকে তিল টা কে। এবার তার নজর আসে হালকা পিঙ্ক ঠোঁট এর ওপর আচ্ছা মেয়েদের ঠোঁট লোভনীয় হয় শুনছে কিন্তু ছেলেদের ও ঠোঁট হয় নাকি এত লোভনীয় মন চায় এখুনি খেয়ে ফেলে। আরে বাবা এত সুন্দর রসালো লোভনীয় জিনিষ দেখলে লোভ লাগবে না এটা হতে পারে নাকি। তোড়া জিভ দিয়ে নিজের শুকনো ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে নেয়। আর নেশাতুর চোখে ঠোঁট এর দিকে চেয়ে থাকে। তার হাত এতক্ষণ তিল থেকে নেমে এসে ঠোঁটের ওপর স্লাইড করতে থাকে। সে পুরো নেশায় ডুবে গেছে।

রেয়ান্স এতক্ষণ জেগে জেগে তোড়ার কাজ দেখ ছিলো। সে তখনই জেগে গেছিলো যখন তোড়া তার মাথাটা তার বুকে চেপে ধরে তার হার্ট বিট শুনছিলো। সে বুঝতে পারে তোড়া তার হার্ট বিট এর আওয়াজে মুগ্ধ হয়ে গেছে। আর তাই সে চুপ করে শুয়ে ছিল আর দেখতে ছিল যে তোড়া কি করে। তোড়া যখন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল সে আবেশে ডুবে যাচ্ছিলো। কিন্তু তারপরেই তোড়ার কাজ গুলো ছিল ভীষণ ভয়ংকর যার কারণে তার শরীরের রক্ত চলকে ওঠে দ্রুত থেকে দ্রুত চলমান হতে থাকে। বহু কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চুপ করে শুয়ে থাকে। কিন্তু সে এবার আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তোড়া তার আঙুল দিয়ে তার ঠোঁটে স্লাইড করে যাচ্ছে আর জন্য তার ভিতরে ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। সে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকায়। তার চোখের সামনে তোড়ার মুখ দৃশ্যমান হয়। কিন্তু তোড়া এখন যে নেশায় বুঁদ হয়ে তার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে সে বুঝতে পারছে তোড়া তার ঠোঁট খেয়ে ফেলার চিন্তা করছে।

-“হয়েছে নাকি খেয়ে ফেলার চিন্তা আছে? রেয়ান্স নেশা ভরা গলায় বলে ওঠে।

-” উহু হয়নি তো। এখন তো আমার খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে। তোড়া ঘোরের মধ্যে বলে ওঠে।

-“এতক্ষণ থেকে দেখে ছুয়ে ও হয়নি এখন আবার খেয়ে নেবে? রেয়ান্স দুষ্টুমি করে বলে ওঠে।

-” হুমম। বলেই তোড়া নিজের জিভ দিয়ে ঠোঁটের ওপর বুলিয়ে নেয়।

-” এত রসালো কেনো ঠোঁট দুটো মনে হচ্ছে প্রচুর মজা লাগবে খেতে। তোড়া আবারো বলে ওঠে।

-” আল্লাহ এই মেয়ে দেখছি আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করেছে যতো নিজেকে কন্ট্রোল করছি এ তার সব বাঁধ ভেঙে দিচ্ছে। রেয়ান্স নিজের মনে মনে বলে ওঠে।

-“এই তুমি কি সকাল সকাল নেশা করেছো নাকি? রেয়ান্স বলে ওঠে।

-“নেশা এই ঠোঁটের নেশা এই পুরো মুখের নেশায় পেয়েছে আমায় আর এই ভয়েস উফ মারাত্মক আমাকে আরো নেশায় ফেলে দিচ্ছে মন চাচ্ছে খেয়ে ফেলি। তোড়া নেশা ভরা গলায় বলে ওঠে।

এদিকে রেয়ান্স এর অবস্থা খারাপ থেকে ভীষণ খারাপ হতে শুরু করেছে একই তো তোড়ার এই ঘুম ঘুম মুখ চোখ দুটো ফোলা ফোলা। তার সাথে উষ্ক খুষ্ক চুল আর মাঝে মাঝে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজানো দেখে রেয়ান্স এর রক্ত মাথায় উঠে গেছে। আর এখন আবার এই পাগলামি কথা গুলো ঘুম ঘুম গলায় পুরো নেশার মত কাজ করছে যেটা পাগল করে দিচ্ছে রেয়ান্স কে।

-” আচ্ছা তোমার কি সত্যি সত্যি খেয়ে ফেলতে চাচ্ছে মন? রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” হুম চাচ্ছে তো ভীষণ ভাবে চাচ্ছে। তোড়া আবারো জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলে ওঠে।

-“আচ্ছা তোমাকে কি আমার নেশায় পেয়েছে নাকি? তুমি হঠাৎ আমার ঠোঁটের ওপর নজর কেনো দিচ্ছ আর চুমু খেতে এত আগ্রাসী হয়ে গেলে কেনো? রেয়ান্স ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে কারণ তার এখন মনে হচ্ছে তোড়া নিজের মধ্যে নেই।

-” এক চুমু কি কিমাত তুম কেয়া জানো রেয়ান্স বেবি । পেয়ার কা শুরুবাদ হোতা হে এক চুমু সে। তোড়া নেশায় ভরা আওয়াজে বলে ওঠে।

আর রেয়ান্স এর তো পাগল পাগল অবস্থা এটা কি ছিল মানে এখুনি তোড়া কি বললো। তাকে রেয়ান্স বেবি বললো এটা তো তার নিয়ন্ত্রণ এর সব সীমা পার করে দিয়েছে। এই মেয়ে তার ঠোঁটের ওপরে মরেছে আর এ যে এখন একদম স্বাভাবিক নেই সেটা বুঝতে পারছে রেয়ান্স আচ্ছা তার ঠোঁট কি এতই আকর্ষণীয় যে তোড়ার এমনি অবস্থা হয়ে গেলো যে তার ঠোঁট খেয়ে ফেলার চিন্তা করছে। রেয়ান্স এক দৃষ্টিতে এক ভ্রু উঁচু করে তোড়ার মুখের দিকে চেয়ে ভাবছে। তোড়া এগিয়ে আসতে নিলেই। এইবার রেয়ান্স তোড়ার মুখ দুটো দু হাত দিয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। দুজনে পুরো নেশায় ডুবে আছে তাই তাদের কিস করার লিমিট ও পার হয়ে যায়। গভীর থেকে গভীর ভাবে কিস করতে আর তোড়া তো রেয়ান্স এর ঠোঁট খেয়ে ফেলার চিন্তায় আছে। আধা ঘন্টা পর রেয়ান্স তোড়া কে ওই ভাবে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। সে বুঝতে পারে তার বউ টা আজ তার নেশায় ডুবে গেছে তার কোনো হুস নেই। সাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে এক হাত দিয়ে পানি ছেড়ে দেয়। তোড়ার গায়ে পানি পড়তেই হঠাৎ করে কেঁপে ওঠে। সে এখনও রেয়ান্স এর ঠোঁটের মাঝে ডুবে আছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে পুরো ভিজে গেলে তার হুস ফেরে সে চোখ খুলে দেখে রেয়ান্স তার দিকে দেখছে। আর তার ঠোঁট এখনও কামড়ে ধরে আছে রেয়ান্স এর ঠোঁট। কয়েক সেকেন্ড ওই ভাবে দেখার পর তাড়াতাড়ি রেয়ান্স এর ঠোঁট ছেড়ে দেয়। সরে যেতে নিলে বুঝতে পারে সে রেয়ান্স এর কোলে আছে। সে বুঝতে পারছে না এখানে কি করে এলো আর সে কেনো বা রেয়ান্স এর কোলে কি হচ্ছে এই সব। সে তো রুমে ছিল রেয়ান্স এর মুখের দিকে দেখ ছিল তাহলে এখানে কি করে। মনে করার চেষ্টা করতেই তার আসতে আসতে মনে পড়ে সে কি করেছে এতক্ষণ। আর এগুলো ভাবতেই তার গাল লাল হতে থাকে। রেয়ান্স বুঝতে পারে তোড়া এবার লজ্জা পাচ্ছে তখন কার কথা মনে করে। সে নিচু হয়ে তোড়ার গালে হালকা একটা বাইট বসিয়ে দেয় আর তারপর ছোটো ছোটো চুমু দেয়। তোড়া কে নিচে নামিয়ে সে বেরিয়ে যেতে নিয়ে তোড়ার দিকে ফিরে তাকায়।

-“তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও লেট হচ্ছে তোমাকে বের হতে হবে। লজ্জা টা পরের জন্য তুলে রেখো কাজে দেবে। বলেই রেয়ান্স বেরিয়ে যায়।

আর তোড়ার অবস্থা তো এখন পুরোই পানি পানি সে ভাবতেও পারছেনা সে এইসব কি করেছে আর কি সব পাগল এর মত কথা বলেছে ভাবতেই তার নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে মন চাইছে।

—————

তোড়া রুম থেকে একেবারে রেডি হয়ে বেরিয়ে দেখে বাড়ির সবাই ও রেডি হয়ে গেছে। কিন্তু তার মাথায় এটা ঢুকছে না বাড়ির সবাই কোথায় যাচ্ছে রেডি হয়ে সকাল সকাল।

-“এই তো আদর ও চলে এসেছে। আয় জলদি খেতে বসে পড় লেট হয়ে যাচ্ছে তো। তাসনীম দেওয়ান বলে ওঠে।

-” মম দাদু লেখা তোমরা কি কোথাও যাচ্ছো নাকি? তোড়া চেয়ারে বসে বলে ওঠে।

-“হুম যাচ্ছি তো। লেখা এক্সাইটেড হয়ে বলে ওঠে।

-” চুপ করে খা। বেশি নাচতে হবে না তাহলে তোকে রেখে যাব। রেয়ান্স মৃদু ধমক দিয়ে বলে ওঠে।

রেয়ান্স এর কথা শুনেই তোড়া চোখ তুলে তাকায় সে এতক্ষণ রেয়ান্স কে খেয়াল করিনি। রেয়ান্স কে দেখতেই আবারো তার গাল লাল হতে থাকে চোখ নামিয়ে খেতে শুরু করে মাঝে মাঝে কোনা চোখে দেখতে থাকে রেয়ান্স এর দিকে আর যতোবার দেখে তখনই রেয়ান্স এর চোখে চোখ পড়ে যায়। তোড়া জলদি জলদি খেয়ে উঠে যায়। সাথে বাড়ির সবাই ও উঠে যায়।

তোড়া রেডি হয়ে বেরোনোর সময় দেখে ওর সাথে বাকিরা ও আসছে কিন্তু ওরা কোথায় যাবে। ভাবতে ভাবতে তোড়ার ফোন বেজে ওঠে। দেখে রাই ফোন করেছে।

-“কোথায় তুই আমি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছি। রাই বলে ওঠে।

-” এই তো বের হচ্ছি। তোড়া বলে ওঠে।

তোড়া ফোন কেটে বের হয়ে যায়। পার্কিং এর কাছে গিয়ে দেখে দুটো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। আর তার কিছুটা পরে রাই গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বাই রোডে যাবে। এতে তাদের রোড ট্রিপিং ও হয়ে যাবে আর সাথে লং ড্রাইভ ও। তোড়া আসতে দেখে তার মম দাদু লেখা আর রেয়ান্স ও আসছে সাথে শাহীন ও আছে।

-“আরে রাই যে কেমন আছো? তাসনীম দেওয়ান বলে ওঠে।

-” ভালো আছি আন্টি। তুমি কেমন আছো? বলেই জড়িয়ে নেয়। রাই।

-“হে রাই দি তুমিও কি আমাদের সাথে যাচ্ছ? লেখা বলে ওঠে।

-” আমি তো তোড়ার ম্যানেজার তাই ওর সাথে যেতে হবে আমাকে। কিন্তু আপনারা কোথায় যাচ্ছেন? রাই বলে ওঠে।

-” আমরা ও যাচ্ছি লোনাওয়ালাতে। লেখা বলে ওঠে।

-“মানে তোমরা কখন ঠিক করলে আর তাছাড়া আমাকে তো বলনি। তোড়া বলে ওঠে।

-” সারপ্রাইজড । লেখা লাফিয়ে বলে ওঠে।

-“আসলে অনেক দিন হলো মুম্বাই এসেছি আর তাছাড়া তোর দাদু আর রেয়ান্স ও অনেক দিন যায় নি আমাদের ওখানে তো সেক্ষেত্রে তোর শুট দেখাও হবে আর আমাদের ঘোরা ও হবে তাই না। তাসনীম দেওয়ান বলে ওঠে।

-“লেট হচ্ছে বেরোতে হবে। রেয়ান্স বলে ওঠে।

তোড়া একবার সবার মুখের দিকে তাকিয়ে নেয়। কিন্তু এদিকে রাই পুরো হা হয়ে গেছে কারণ তার সামনে দ্য রেয়ান্স রাওয়াত দাঁড়িয়ে আছে। যাকে দেখা প্রত্যেকটা মেয়ের স্বপ্ন সেই কিনা তার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না তার কাছে সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে।

-“রাই বেটা তুই আমাদের সাথে চল আর এক্সট্রা করে তোকে গাড়ি নিতে হবে না। তাসনীম দেওয়ান বলে ওঠে।

সে ঘোরের মধ্যে থেকে রেয়ান্স এর দিকে তাকিয়ে থেকে গাড়িতে ওঠে। শাহীন ড্রাইভ করছে তার পাশে দাদু আর পিছনে লেখা তার মম আর রাই বসেছে। এদিকে তোড়ার ওদের দেখে নিয়ে সোজা গিয়ে রেয়ান্স এর গাড়িতে বসে যায় কোনো কথা না বলে সে এখনও শক এর মধ্যে আছে আর তার সাথে কিছুটা রাগ কারণ তারা কেউ তাকে বলেনি তারা ও যাচ্ছে তার সাথে সে তো খুশি হতো এটা আগে জানলে যদিও এখনও খুশি হয়েছে তবুও একটা মন খারাপ লেগে গেছে। রেয়ান্স গাড়িতে বসে একবার তোড়ার দিকে দেখে নিয়ে বাঁকা হেসে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…..