একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-১১

0
4082

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………11

রিমান ও ফারিয়কে জরিয়ে ধরে, শক্ত করে। ফারিয়া রিমানের বুকের সাথে মিশে যায়। দুজন দুজনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে,,,,,,,,,,,

সকালের স্নিগ্ধ আলো আমার মুখে পড়ছে, চোখ খুলতে ইচ্ছে করছে না। তবে আমাকে কেও শক্ত ভাবে ধরে রেখেছে অনুভব হচ্ছে। হয়তো আমি জানি সে কে। মিটমিট করে চোখ খুলি। আমার একদম সামনে রিমান।

আমাকে এমন ভাবে চেপে ধরে আছে, যেনো কেও নিয়ে যাবে। রিমানকে ঘুমের মধ্যে আরো বেশি আকর্ষিত লাগে। আমার চোখের পলক সরছে না।

তখনি রিমানের চোখ মিটমিট করছে, এখনি বুঝি ঘুম ভাঙলো। তার চোখ খুলার আগেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। ঘুমের ভান ধরে থাকি।

রিমান প্রথমে চোখ খুলেই, ফারিয়াকে এতো কাছে থেকে চমকে যায়। মনে হচ্ছে অন্য কারো বউকে জরিয়ে ধরেছে।

রিমান,,,,,,,,, ফারিয়া উঠে আমাকে তার এতোটা কাছে দেখলে কি না কি ভাববে৷ হয়তো খারাপ লাগতে পারে। কাল রাতে জ্বরের মাথায় জরিয়ে ধরেছিলো।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, (গাধা একটা, কিন্তু কি কিউট, এই কিউট নেসের কারনেই তো তোমার প্রেমে পরছি)

রিমান আস্তে করে তার হাত দিয়ে ফারিয়ার মাথা ধরে উঁচু করে তার অন্য হাত বের করে, ফারিয়াকে ঠিক করে শুয়িয়ে দেয়৷ ফারিয়ার কপালে হাত দিয়ে চেক করে জ্বর আছে নাকি।

রিমান,,,,,,,,,, জ্বর দেখা যায় নেমে গেছে। যাক নিশ্চিত হওয়া গেলো।

রিমান বিছানায় শুয়ে, একহাত বালিশে রেখে মাথা উপরে তুলে। ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

রিমান,,,,,,,,, যানো তোমার চেহেরা অদ্ভুত একটা মায়ায় বাঁধানো,যেটা আমাকে তোমার দিকে টানে। I think I

ফারিয়া লাফ দিয়ে উঠে।

ফারিয়া,,,,,,,,,,,, what you think.

রিমান আআআ চিৎকার করে উল্টিয়ে বিছানা থেকে পড়ে যায়।

ফারিয়া,,,,,,,, রিমান ঠিক আছো।

রিমান,,,,,,,,,, আল্লাহ, এমন করে কেও ভয় দেখায়। এখনি হার্ট অ্যাটাক করলাম হলে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, সরি,,,, আচ্ছা আপনি কি বলতে চাইছিলেন you Think

রিমান,,,,,,,,,, তুমি জেগে ছিলে।

ফারিয়া,,,,,,,, এসব ছাড়েন না, বলেন কি বলতে নিয়ে ছিলেন।

রিমান,,,,,,,,,,, আমি বলতে নিয়েছিলাম যে, আই থিংক আমাকে নিচে যাওয়া উচিত আজ মেঘার বিয়ে তাই অনেক কাজ আছে। বাই।

বলে তাড়াতাড়ি চলে যায়।

ফারিয়া,,,,,,,,,,,, উফফ ফারিয়া তুইও না,, একটু পড়ে উঠতি রিমানের কথা শেষ হওয়ার পর। আমিও দেখবো কতো ক্ষন রিমান নিজের মনের কথা লুকিয়ে রাখে।
,,,,,,,,,,,

আজ সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যায়। সত্যি বলতে রাতে ঘুময়ি হয়নি। ছাদে গিয়ে দোলনায় পা উঠিয়ে বসে আছি। ঠিক কতো ক্ষন ধরে বসে আছি জানি না।

সবাই বলে বিয়ের দিন নাকি মেয়েদের অনেক ফিলিংস আসে। অন্য রকম লাগে। কিন্তু আমি কিছু ফিল করতে পারছি না। সূর্যের আলোতেও আমার মনে মেঘ ছেয়ে আছে। কিন্তু এতে আমার কিছুই করার নেই। আমি চাইলেও এই বিয়ে হবে, না চাইলেও এই বিয়ে হবে।

সবাই হয়তো খুঁজবে তাই বসে না থেকে নিচে গেলাম। সবাই খুব ব্যাস্থ। এতো ব্যাস্ততার মধ্যেও শুধু রিমান ভাইয়া আরামে বসে আছে। আমিও সেখানে গেলাম।

মেঘা,,,,,,,,, ভাইয়া ভাবি কেমন আছে।

রিমান,,,,,,,,,,, আগের থেকে ভালো। তুই কেমন আছিস। (চায়ের কাপটা নিচে রেখে)

মেঘা,,,,,,,,,, মানে, ভালোই আছি, দেখতে পারছো না একদম সুস্থ।

রিমান,,,,,,,,, যেটা দেখা যায় না আমি সেটার কথা বলছি। তোর মনের কি অবস্থা।

মেঘা,,,,,,,,, (আমার মনে অসংখ্য মেঘ ছেয়ে আছে) যেমন থাকা উচিত তেমনি আছে।

তখনি আমার নজর পরে অয়ন ভাইয়ার দিকে, কি সুন্দর বিয়ের কাজে ব্যাস্থ আছে। শত কিছুর পরেও আমি ভেবেছিলাম হয়তো অয়ন ভাইয়া আমাকে একটু হলেও ভালোবাসে, হয়তো সে আমার মনের অবস্থা বুঝে,বিয়েটা যে কোনো উপায়ে ভেঙে দিবে।

হয়তো আমি ভুল ছিলাম, তিনি হয়তো সত্যি রিনাকে ভালোবাসে। আমার উপর এতো অধিকার শুধু তার বন্ধুর বোন হিসাবে দেখাতো। তার রাগের মাঝেও আমি ভালোবাসা দেখতাম। কিন্তু সেটা শুধুই আমার চোখের ভুল ছিলো।

ওনার চোখে আমাকে হাড়ানোর ভয় আমি দেখতে পারছি না। হারানোর তখন লাগে যখন আমরা কাওকে ভালোবাসি৷ সে তো আমাকে ভালোই বাসে না।

রিমান,,,,,,,,,, কাকে এমন শকুনের নজরে দেখছিস তুই।

মেঘা কিছু না বলে উঠে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, বেইজ্জত করার একটা সীমা আছে, ঐ তোর বড় ভাই হয় আমি। কোনো দামি নাই।

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আমি বসে আছি, আমাকে সাজানোর জন্য মেয়েরা এসেছে। রুমে লাল লেহেঙ্গা পড়ে আছে। জীবনে বিয়ে করা থেকে বউ সাজার বেশি ইচ্ছে ছিলো, কিছু আজ সেই আশাটাও নেয়।

আমি শুধু পুতুলের মতো বসে আছি, আমাকে সাজানো হচ্ছে।
,,,,,,,,,,

রিমান রুমে গিয়ে দেখে ফারিয়া রেডি হচ্ছে। ফারিয়া কালো শাড়ি পড়ে।

রিমান,,,,,,,, তুমি কেনো রেডি হচ্ছো।

ফারিয়া,,,,,,,,,, আমার ননদের বিয়ে আমি রেডি হবো না।

রিমান,,,,,,,,, জ্বী না,, আপনি কোথাও যাবেন না, এই রুমেই থেকে রেস্ট করবে।

ফারিয়া,,,,,,,,, আগ্গে না, সারা দিন আমাকে কোথাও যেতে দাওনি। আমি একদম ঠিক আছি। আর তাছাড়া ননদের বিয়েতে ভাবি না গেলে লোকে কি বলবে। (আয়নার সামনে বসে)

রিমান,,,,,,,,, সেটা আমি বুঝবো।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, আমি যাবো মানে যাবো।

রিমান,,,,,,, অফফ ঠিক আছে, কিন্তু বেশি ক্ষন না, আর সবসময় আমার সাথে থাকবে।

ফারিয়া,,,,,,,, ঠিক আছে।

ফারিয়া উঠে রিমানের সামনে দাঁড়ায়। রিমান হা করে আছে।

ফারিয়া,,,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে।

,,,,,,, একদম কালো পরী। (ফারিয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে)

,,,,,,,,কিহহহ, কালো পরী৷

,,,,,,,,,,, না মানে অনেক সুন্দর লাগছে। কালো পরে ছিলে তো তাই বেরিয়ে গেছে।

,,,,,,,, আচ্ছা ঠিক আছে,,, (রিমানকে বারান্দায় টেনে নিয়ে গিয়ে) দেখো না আজ পুরোটা চাঁদ উঠেছে, দেখতে কতোটা সুন্দর লাগছে। আর কি রোমান্টিক মুহূর্ত।

রিমান,,,,,,,,, এতে রোমান্টিক এর কি হলো (আকাশে তাকিয়ে)

,,,,,,,,,,, (অফফ এটাতো ইশারাও বুঝে না) আচ্ছা আমার চোখে ভালো করে দেখো, কি দেখতে পারছো। (রোমান্টিক ভাবে তাকিয়ে)

রিমান ভালো ভাবে ফারিয়ার চোখ দেখে বলে,,,

,,,,,,,, তোমার চোখে একটু ডার্ক সার্কেল দেখা যাচ্ছে, হয়তো অসুস্থ কারনে, তোমার শরীরে রক্তও কম মনে হচ্ছে। তোমাকে বেশি করে ফল খেতে হবে।

ফারিয়া রিমানের এমন জবাবে হতভম্ব হয়ে যায়।

ফারিয়া,,,,,,,,, (ডক্টরের সাথে বিয়ে হলে এমনি হবে) সরো।

রিমানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, ফারিয়া রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

রিমান,,,,,,,, তুমি যেটার ইশারা দিতে চাইছো সেটা আমি এতো তাড়াতাড়ি বুঝবো না। যতো ক্ষন না তুমি বলবে।
,,,,,,,,,

বউ সেজে বসে আছি, সবাই আমাকে এসে দেখে যাচ্ছে। বিয়েটা সাধারণ ভাবেই হচ্ছে। কোনো গায়ের হলুদ হবে না। শুধু বাড়িটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। কাজি ডাকা হয়েছে। আর শুধু অনেক কাছের আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। তাও এক শত মানুষ হবে।

এখন শুধু রাফি আসার পালা। শুনেছি একটু পরেই বের হবে আসার জন্য।

বসে আছি তখন অয়ন ভাইয়া আসে। আমি চোখ তুলে তাকায়, আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়। অয়ন ভাইয়ার দিকে তাকালে কষ্ট আরো বেশি হবে।

অয়ন,,,,,,,,, বউ সেজে তোকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। একদম টুকটুকি বউ।

আমি সোজা নিচে তাকিয়ে আছি, আমার কথা বলার কোনো ইচ্ছে করছে না।

একটা ফোন আসাতে অয়ন ভাইয়া চলে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,, আসবে হয়তো ওনার জিএফ এর ফোন।
,,,,,
বাবা,,,,,,,,, রাফি ফোন করেছিলো ওরা বেরিয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,,, অয়ন তাড়াতাড়ি কিছু কর, রাফি এসে গেলে মেঘার বিয়ে হয়ে যাবে।

অয়ন,,,,,,,,,,, আসতে দে না।

রিমান,,,,,,,,,, কি বলছিস, মেঘাকে ছাড়া তুই বাঁচতে পারবি না, এটা আমার থেকে ভালো কে জানে। এক কাজ কর তোরা পালিয়ে যা,আমি ব্যাবস্তা করে দিবো।

অয়ন,,,,,,,,,, তোর বোন রাজি হবে না।

রিমান,,,,,,,, তাহলে এক কাজ কর মেঘাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যা।

অয়ন,,,,,,,,,, ভাই হয়ে নিজের বোনকে ভগানোর প্ল্যান করছিস লজ্জা করে না।

রিমান,,,,,, এটা আমার ছোট থেকেই নেয়। আর আমার বোন তোর কাছে বেশি সেফ থাকবে এটা আমার বাবা না বুঝলেও আমি ভালো করে জানি।

অয়ন,,,,,,, চুপচাপ শুধু দেখ কি হয়। (অন্য দিকে তাকিয়ে।) এটা এখানে কি করছে রিমান।

রিমান,,,,,,,,, নীল এখানে,,,, কে জানে কি করতে এসেছে।

অয়ন,,,,,,,,,, এর উপর নজর রাখতে হবে, পাক্কা কোনো গন্ডগোল লাগাবে।

অনেক সময় হয়ে যায়, রাফিদের কোনো খবর নেয়। সবাই বলাবলি করছে।

নীল,,,,,,,,, খেলা শুরু।

কিছু ক্ষন পরে ফোন আসে, রাফি নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু লোক এসে রাফিকে বেঁধে কোথাই জেনো নিয়ে গেছে। ওরা বন্ধুক দেখিয়ে নিয়ে গেছে। সবাই খুঁজা খুজি করছে।

রিমান,,,,,,,,, এটা কি হলো, এটা তুই করেছিস।

অয়ন,,,,,,,,,,, আর কে করবে, আমি ছাড়া।

সবাই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। এবার মেঘার কি হবে। মেঘার মা অনেক কান্না কাটি লাগিয়ে দেয়।

অয়ন,,,,,,,,,, লোহা গরম আছে হাতুড়া মেরে দে।

রিমান,,,,,,,,, লোহা গরম তো পানি ঢেলে দে।

অয়ন,,,,,,,, ইস্টুপিট,,, আংকেল আন্টি ভেঙে গেছে, যা এখন গিয়ে, বুঝতেই পেরেছিস কি করতে হবে।

রিমান,,,,,,,,,, এখনি যাচ্ছি।

রিমান তার মা বাবার কাছে যায়। সাথে নীল ও যায়।

রিমান,,,,,,,, মা আর কান্না করো না, পিল্জ।

মা,,,,,,,,,,, এখন আমার মেয়ের কি হবে।

রিমান,,,,,,,, মা দেখো রাফিকে তো উঠিয়ে নিয়ে গেছে, সে আসবে কিনা সন্দেহ। তাই আমাদের উচিত মেঘাকে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া। না হলে আমার বোন সবার সামনে হাসির পাত্রি হয়ে যাবে।

বাবা,,,,,,,,,, কি বলিস রিমান, রাফি অনেক সাহসি আর বাহাদুর ছেলে, ওর মতো,,,

রিমান,,,,,,,,, রাখো তোমার সাহসী, তোমার বাহাদুর ছেলেকে গুন্ডারা বেঁধে নিয়ে গেছে। হয়তো পাছায় বারি খেয়ে সব বাহাদুরি বেরিয়ে গেছে। যে নিজের হিফাজত করতে পারে না সে আমার বোনের কি করবে।

বাবা,,,,,,,,, কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি ভালো ছেলে কোথা থেকে পাবো।

নীল,,,,,,,,, আন্টি জানি এটা ঠিক সময় না বলার, তবে আজ না বললে দেড়ি হয়ে যাবে। আমি মেঘাকে পছন্দ করি, আপনারা বললে ওকে বিয়ে করতে চাই। আর আমি মেঘাকে সব কিছু থেকে রক্ষা করবো।

রিমান,,,,,,,,, মারহাবা,,,, সরি নীল আমার বোনকে তোমার সাথে বিয়ে দিবো না।

বাবা,,,,,,,,, কিন্তু আর ছেলে পাবো কোথায়।

রিমান,,,,,,,,, আমাদের অয়ন থাকতে তোমরা বাহিরে ছেলে খুঁজো। অয়ন করবে আমার বোনকে বিয়ে।

বাবা,,,,,,,,,, কিন্তু অয়ন রাজি হবে নাকি।

রিমান,,,,,,,, আমি বললে অয়ন অবশ্যই করবে।

বাবা,,,,,,,,,, না অয়নকে জোর করে রাজি করানো ঠিক হবে না। ওর প্রতি অবিচার করতে পারবো না।

রিমান,,,,,,,,, এই কথা তোমার মুখ থেকে সোভা পাই না বাবা।

অয়ন,,,,,,,,, আমি মেঘাকে পছন্দ করি আংকেল, আপনার সম্মানের কথা চিন্তা করে কিছু বলিনি।

রিমান,,,,,,,,,, চাপাবাজ (আস্তে)

নীল,,,,,,,,,, আংকেল আমি মেঘাকে ভালোবাসি, ওর জন্য সব কিছু করতে পারি। মেঘা আমার সাথে অনেক সুখি থাকবে।

অয়ন,,,,,,,,, আংকেল আপনি আমাকে ভালো করে জানেন। নিজের জান দিয়ে দিবো কিন্তু মেঘার কিছু হতে দিবো না।

নীল,,,,,,,,,, আংকেল আমি

রিমান,,,,,,,, চুপ থাকো ইয়ার,,, দেখো বাবা, এই নীল কেমন ভালো করে জানো, আর অয়ন কেমন তাও জানো। মেঘার জন্য অয়ন এর থেকে ভালো হবে না।

নীল,,,,,,,, আংকেল এই অয়ন, যার আগে পিছে কেও নেয়। এতিমে মতো থাকে। কার কাছে,,

রিমান রেগে নীলের কলার ধরে,,,

রিমান,,,,,,,, খবরদার আমার বন্ধুকে এতিম বলেছিস তো। অয়নের আমি আছি। তোর ঐ বাবা থাকার থেকে না থাকা অনেক ভালো। আর তুই তোর বাবার মতো হয়েছিস। আমার বোনকে আমি বসিয়ে রাখবো তাও তোর হাতে দিবো না।

অয়ন,,,,,,,, রিমান ছাড় ওকে।

বাবা,,,,,,,, ঠিক আছে মেঘাকে জিজ্ঞেস করি, ও কি বলে।

রিমান,,,,,,,,, ও বাবা, আমার বিয়ে ঠিক করলে জিজ্ঞেস করলে না, মেঘার বিয়ে ঠিক করলে জিজ্ঞেস করলে না। জিজ্ঞেস তো দূরের কথা আমার কথার কোনো পাত্তাও দিলে না, আজ একটা ভালো কাজ করতে যাবে, আর সে দিনে তোমার প্যাচ লাগানো লাগবে।

বাবা,,,,,,,,, আমি অয়নের কথা আগে জানলে ওর কথা ভাবতাম।

রিমান,,,,,,,,,, এই দিনে তোমাকে আমি কিছু বলতে চাই না। যাও গিয়ে মেঘাকে বলো।

অয়ন, বাবা মা যায় মেঘাকে বলতে।

রিমান,,,,,,,, কাপড় বানালাম আমরা আর পরবে তুমি, এটা কি করে হতে দিয় । বলে রিমান চলে যায়।

নীল,,,,,,,,, রিমান এর মাশুল তোমাকে দিতে হবে।

,,,,,,,

অয়ন,,,,,,,,,,,(ফোনে), বেরি গুড, কাজ করে ফেলেছো, শুনো আমি যখন বলবো তারপরেই রাফিকে ছাড়বে।

,,,,,,,, স্যার আমরা তো কাওকে কিটনাপ করিনি।

,,,,,,,,,,, কিহহহ, মানে।

,,,,,,,,,, স্যার আমরা যখন কিটনাপ করার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন চারটি গাড়ি আসে, একদম সাজানো। আমাদের হিসাবে এটা রাফির বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো। কিন্তু ঐ গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া আর কেও ছিলো না।

,,,,,,,,,, আচ্ছা রাখি। গাড়ি খালি ছিলো, কিন্তু ফোনে বলেছে সবার সামনে থেকে বন্ধুক দেখিয়ে নিয়ে গেছে। তার মানে রাফি বুঝেছিলো তাকে কেও কিটনাপ করতে পারে তাই ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছিলো। স্মার্ট। রাফি তো অনেক চালাক। তবে মনে হয় কাজটা সাইকো করেছে। ভুলেই করেছে তবে আমার জন্য ভালো করেছে।

রিমান,,,,,,,,,,,, অয়ন তুই এখানে, আর মেঘা বিয়ের জন্য রাজি হচ্ছে না।

অয়ন,,,,,,,,,,, কিহহহ বুঝা ওকে।

,,,,,,,,,,কিছুতেই রাজি হচ্ছে না।

,,,,,,,,,রাজি কিভাবে করাতে হয় তা আমি ভালো করে জানি। চল আমার সাথে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।