একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-১২

0
4008

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………12

,,,,,,,,,,কিছুতেই রাজি হচ্ছে না।

,,,,,,,,,রাজি কিভাবে করাতে হয় তা আমি ভালো করে জানি। চল আমার সাথে।

অয়ন মেঘার রুমে আসে, দেখে সবাই মেঘাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সে দেওয়ালের এক কোনায় দাঁড়িয়ে না করে যাচ্ছে।

অয়ন,,,,,,,,,,, আন্টি আপনারা সবাই একটু বের হবেন, মেঘার সাথে আমার কিছু কথা আছে। পিল্জ।

সবাই বের হয়ে যায়। অয়ন দরজা আটকিয়ে দেয়।

অয়ন,,,,,,,,,,, সমস্যা কি তোর, কেনো বিয়ে করবি না।

মেঘা,,,,,,,,,,, আমার ইচ্ছে,,, আমার যাকে খুশি তাকে বিয়ে করবো তাও তোমাকে না। (নিশ্চয়ই রিমান ভাইয়া অনুরোধ করেছে আমাকে বিয়ে করতে। না হলে গার্লফ্রেন্ড রেখে আমাকে বিয়ে কেনো করতো। আমি কারো করুনা করে বউ হতে চাই না)

অয়ন,,,,,,,,, চুপচাপ রাজি হয়ে যা।

মেঘা,,,,,,,,,,, না মানে না।

অয়ন রাগে জোরে তার নিজের একহাত দেওয়ালে রেখে মেঘার দিকে তাকায়, মেঘা চমকে যায়, অয়ন মেঘার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। রাগে অয়নের গলার রগ বেরিয়ে পড়ে, অয়নের শরীর কাঁপছে রাগে।

অয়ন,,,,,,,,,, ভালোই ভালোই বলছি রাজি হয়ে যা, না হলে কি হতে পারে তা ভালো করে জানিস।

মেঘা,,,,,,,, ক ক কি ক করনেন আ আপনি (ভয়ে)

অয়ন,,,,,,, আর একটা কথা বললে তোকে এখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবো। তখন তোর সম্মান কোথায় যাবে ভেবে নিস৷

মেঘা,,,,,,,,,, আপনি এমন করতে পারেন না।

অয়ন,,,,,,,,, আমি চাইলে এর থেকেও খারাপ হতে পারি৷ আর ভালো করে জানিস আমি যা বলি তা করে দেখায়৷ নিজের ভালো চাইলে রাজি হয়ে যা। আমি সবাইকে ডাকছি, কোনো ড্রামা করবি না। (রাগে)

মেঘা,,,,,,,,,,, (আল্লাহ অয়ন ভাইয়া সত্যি সত্যি যদি উঠিয়ে নিয়ে যায়। অয়ন ভাইয়ার কোনো ভরসা নেয়, এখন রাজি হয়ে যায় পরে দেখে নিমু)

অয়ন ভাইয়া সবাইকে ডাক দেয়, বিয়ের তাড়াতাড়ি করার জন্য বলে।

সবার সামনে আমাদের বিয়ে করানো হচ্ছে। যখন কাজি বললো কবুল আমার মন অন্য দিকে ছিলো, অয়ন ভাইয়া আমার হাতে জোরে একটা চাপ দেয়, আমি সাথে সাথে কবুল বলে দিয়। তারপর সাইন করে আমাদের বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। বিশ্বাসই হচ্ছে না আমার।

মেঘা,,,,,,,,(সবাই খুশি, অয়ন ভাইয়া তো এমন ভাবে হাসছে, দেখে মনেই হচ্ছে না যে, ওনার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে।)

এই সময় রাফি আসে, অবস্থা বেশি ভালো না, আবার বেশি খারাপ ও না। হাপাতে হাপাতে আসে। সবাই রাফিকে দেখে অভাক হয়ে যায়। রাফি দৌড়িয়ে আসে।

রাফি,,,,,,,,,,, সরি আংকেল লেইট হয়ে গেছে। কিন্তু আমি এসে গেছি, আপনাদের কোনো চিন্তা নেয়।

রিমান,,,,,,,, আগেও ছিলো না,,,,, আচ্ছা তোমাকে কারা নিয়ে গেছিলো।

রাফি,,,,,,,,, জানি না,,, আট নয় জন ছিলো।

রিমান,,,,,,,,, পালিয়ে এলে কিভাবে।

রাফও,,,,,,,,,, পালিয়ে আসি নি, সবাইকে শাস্তি দিয়ে এসেছি, এতো ক্ষনে তো পুলিশ ওদের ধরে নিয়েছে হয়তো। আমি অন্য আর কিছু না ভেবে সোজা এখানে এসেছি।

রিমান,,,,,,,,,,, এসে এখন লাভ নেয়, মেঘার বিয়ে হয়ে গেছে।

রাফি,,,,,,,,,, বিয়ে হয়ে গেছে মানে। কার সাথে হলো।

বাবা,,,,,,,,, দেখো রাফি বাবা,,তোমার কোনো খোঁজ ছিলো না, তাই আমার মেয়ের সম্মান বাঁচাতে এটা আমাদের করতে হয়েছে।

রাফি,,,,,,,,, কার সাথে হয়েছে বিয়ে (রাগে)

রিমান,,,,,,,,, আমাদের অয়ন এর সাথে।

রাফি,,,,,,,,, এই বিয়ে আমি মানি না, মেঘা আমি তোমাকে এখনি বিয়ে করবো।

রিমান,,,,,,,,, ও হ্যালো ও আমার বোন, হালুয়া না যে, সবাইকে দিয়ে বেড়াবো।

রাফি,,,,,,,, মেঘা তুমি কিছু বলো।

মেঘা,,,,,,,,,, আর কিছু ক্ষন আগে আসলেই তো হলো। আরেকটু আগে আসতে পারলেন না।

অয়ন মেঘর দিকে রাগি চোখে তাকায়, মেঘা চুপ হয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,, মেঘা এখন আমার স্ত্রী, সো এখন ওকে কেও বিয়ে তো দূরের কথা কাছেও ঘেষতে দিবো না কাওকে। রাফি কথাটা বুঝো, তুমি যেটা চাইছো সেটা সম্ভব না এখন।

রাফি,,,,,,,,,(শান্ত হয়ে) আমার কপাল খারাপ। মেঘা আমার ভাগ্যে ছিলো না,এখন কিছুই করার নেয়। দোয়া করি ভালো থেকো। আর মেঘা কোনো সমস্যা হলে তুমি আমার কাছে আসতে পারো।

অয়ন,,,,,,,,,, আশা করি সেটার দরকার হবে না।

রাফি,,,,,,,,, ঠিক আছে, ভালো থেকো আবার দেখা হবে। বাই।

রাফি চলে যায়। সব মেহমান ও খেয়ে চলে যেতে থাকে। নীল এক পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে। রিমান নীলকে দেখে সেখানে যায়।

রিমান,,,,,,,,,, নীল এখনো যাওনি। এখানে আর কিছু নেয়। যাও বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

নীল,,,,,,,,, রিমান তোমার মনে হয় না তুমি একটু বেশিই বলো।

রিমান,,,,,,, না মনে হয় না, কারন আমি একটু না অনেক বেশি বলি। এখন আপনি আসতে পারেন, দরজাটা ঐদিকে।

নীল,,,,,,,,,(এর মাশুল তোকে দিতে হবে, আমি কে হারে হারে টের পাবি)

নীল রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়।

অয়ন,,,,,,,,, আংকেল আন্টি এখন আমাদের যেতে হবে।

রিমান,,,,,,,,,, আংকেল আন্টি না, মা বাবা বল এখন থেকে। আর আজকে যাওয়ার কি দরকার।

অয়ন,,,,,,,,,,, তুই কি চাস, লোকে আমাকে ঘর জামাই বলুক।

রিমান,,,,,,,,, অয়ন আমার মুখ খুলিস না, এখন আর এখানে থেকে কি করবা।

অয়ন,,,,,,,,,,, তোর মুখ বন্ধ থাকে নাকি। আচ্ছা যাই হোক আমরা এখন আসি।

মেঘা,,,,,,,,,,,(এখন থেকে এই ডেবিলটার সাথে একা থাকা লাগবে, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখো)

রিমান,,,,,,,,, কিরে মেঘা তোর বিদায় হচ্ছে তুই কাঁদিস না কেনো। কান্না কর, একটু দেখি।

মেঘা,,,,,,,,আমার কান্না আসছে না (বিরক্তি ভাব নিয়ে)

রিমান,,,,,,,,,, আমি জানি না তুই কান্না করবি, অন্যরা কান্না করতে করতে বেহুশ হয়ে, অনেক জনে তো কান্না করতে করতে আশে পাশে থাকা মানুষের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে, আর তোর চোখে এক ফোঁটাও নেয়।

মেঘা,,,,,,,,,,, এখান থেকে অয়নের বাসা দশ মিনিট লাগবে, এতো কাছে তাহলে কান্না কেনো করবো। আর আমার কান্না আসছে না।

রিমান,,,,,,,,, কান্না না করলে তোকে এখান থেকে যেতে দিমু না, কান্না কর কইতাছি।

মেঘা বিরক্তি ভাব নিয়ে চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসে পড়ে।

রিমান,,,,,,,, বের হ গাড়ি থেকে, যেতে যেতে এতো বড় অপমান ধর্মে সইবে না, বলে দিলাম।

অয়ন,,,,,,,,,,, রিমান নিজের মুখটাকে একটু শান্তি দে।

রিমান ,,,,,, কে শান্তি।

অয়ন,,,,,,,, অফফ,, মা বাবা আমরা গেলাম, দোয়া করবেন। বলে অয়ন যেতে নেয়,,

রিমান,,,,,,,,,, শুন অয়ন,,, (কাঁধে হাত রেখে।)

অয়ন,,,,,,,, বল।

রিমান,,,,,,,,, মেঘার খেয়াল রাখবি,, আর ওকে কিন্তু কোনো কষ্ট দিবি না, মেঘার চোখে পানি আসলে আমি কিন্তু বন্ধু সেজে না শালা সেজে তোর খবর নিবো। সব সময় ওর পাশে থাকবি।

অয়ন,,,,,,,,, আর যদি তোর বোন কোনো দোষ করে তখন।

রিমান,,,,,,,,, তখন আর কি, আমি তোর বন্ধু আর বন্ধু হয়ে কি বন্ধুর বউকে কিছু বলা যায়।

অয়ন,,,,,,,,,,, শালা বাটপার। গেলাম আমি।

গাড়িতে অয়ন ভাইয়া আমার সাথে বসে, দুজোনে চুপচাপ বসে আছি। জানি না কেনো একটু খুশি খুশি লাগতাছে। এমন মনে হচ্ছে আমার জিনিস আমার কাছেই আছে।

অয়ন,,,,,,,,,,,(হয়তো মেঘা আমাকে ভালোবাসে না, তার আচরণে তো তাই লাগলো, যদিও এটা মানা আমার জন্য খুব কষ্টকর। চেষ্টা করবো আমার জন্য তোর মনে ভালোবাসা জাগাতে)

ভাবতে ভাবতে অয়নের বাসায় পৌঁছে যায়।বৃষ্টি নামে জোরে। বর্ষার সময় বলে কথা, যখন তখন বৃষ্টি নামতে পারে।

অয়ন মেঘাকে গাড়ির ভিতরে বসিয়ে, সে দৌড়ে ভিতরে গিয়ে ছাতা এনে মেঘাকে বের করে।

মেঘা,,,,,,,,, (আমার কতো খেয়াল রাখে, না জানি নিজের গার্লফ্রেন্ডের কতো খেয়াল রাখে, হুহহ)

দুজনে ভিতরে যায়, ভিতরে গিয়ে মেঘা একটা টানা দেয়, ওর টানা দেখে অয়ন মেঘার দিকে তাকিয়ে আছে।মেঘা এটা খেয়াল করে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,,, তুই রুমে যা, আমি আসছি।

মেঘা,,,,,,,,,,কার রুমে।

অয়ন,,,,,,,,,, তোর চাচার রুমে তো আর যেতে বলবো না, আমার রুমেই যেতে বলবো।

,,,,,,,,, এখন কোথায় যাবেন।

,,,,,,,,, বাহিরে থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসি। কিছুই তো খাসনি৷

,,,,,,,,, এই বৃষ্টিতে আমাকে এতো বড় বাড়িতে একা রেখে যাবেন। (ভয়ে)

,,,,,,,,,, যাবো আর আসবো, আর এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেয় ভুতে তোকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে না। আর এখন থেকে অভ্যাস কর আমি আফিসে চলে গেলে তোকে এখানে একায় থাকতে হবে। (বলে অয়ন চলে যায়)

,,,,,,,,,, কি যে বাবা,,,,একা থাকে তাও এতো বড় বাড়ি লাগে টাকা কামরায়। একা একা থাকতে ভয় করতো এই জন্যই বেশির ভাগ সময় আমাদের সাথে থাকতো বুঝি না মনে হয়।

মেঘা অয়নের রুমে যায়, গিয়ে সোজা বিছানায় শরীর লাগিয়ে দেয়।

মেঘা,,,,,,,,, আরো কতো বার এখানে এসেছি তবে আজ অয়ন ভাইয়ার রুমটা অন্য রকম লাগছে। মনে হচ্ছে নতুন করে সাজিয়েছে।

কিছু ক্ষন পর অয়ন এসে দেখে মেঘা বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে আছে।

অয়ন,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, আমার সাদা চাদরে আপনার মেকাপ লেগে নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷

অয়নের কন্ঠ শুনে মেঘা লাফিয়ে উঠে।

অয়ন,,,,,,,,,, এক কাজ কর কাপড় চেঞ্জ করে, ফ্রেশ হয়ে আয়, তারপর খেতে বসবি।

মেঘা,,,,,,,, আমি তো আমার জামা কাপড় আনি নাই।

অয়ন,,,,,,,,,,, জানি, আলমারিতে দেখ জামা কাপড় আছে।

,,,,,,,,আমি আপনার জামা কাপড় পড়বো।

,,,,,,,,, গাধি খুলে দেখ মেয়েদের কাপড় আছে।

আমি গিয়ে দেখি অনেক গুলো মেয়েদের কাপড় রাখা।

,,,,,,,(নিশ্চিত গার্লফ্রেন্ড এরা কাপড়)

,,,,,,,, আমি অন্য পড়া কাপড় পরি না।

,,,,,,,, তোর কি মনে হয় অন্য ইউস করা ড্রেস তোকে পড়তে দিবো। নতুন সব।

,,,,,,,, আপনি মেয়েদের কাপড় রাখেন কেনো।

,,,,,,,,, মেয়েদের কাপড় পড়ে টিকটক করি তোর কোনো সমস্যা।

এ কথা শুনে মেঘা জোরে জোরে হেঁসে দেয়।

,,,,,,,,, আপনাকে মেয়ে সাজলে কতো অদ্ভুত লাগবে, এ কথা মনে করে করে অনেক হাসি পাচ্ছে। হাহাহাহা৷

,,,,,,,,,,,পাগল তোর মনে হয় আমি এমন করবো। যা চুপচাপ ড্রেস চেন্স করে আয়।

আমি গিয়ে চুপচাপ ড্রেস চেন্স করে আসি। এতো মেকাপ মাখছে, মেকাপ উঠাতে এক ঘন্টা লাগছে।তারপর অয়ন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে।

তারপর দুজোনে খাবার খেয়ে শুতে যায়। আমি বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। অয়ন ভাইয়া আসে।

অয়ন,,,,,,,, কি হলো দাঁড়িয়ে আছিা কেনো।

,,,,,,,, আমি কোথায় শুবো।

,,,,,,,,কেনো বিছানা কি চোখে পড়ে না।

,,,,,,,, ও তাহলে আপনি সোফায় ঘুমাবেন।

,,,,,,,,, কেনো, আমার বিছানা অনেক বড়, এক পাশে তুই ঘুমাবি অন্য পাশে আমি।

মেঘা অয়নের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে।

অয়ন,,,,,,,,কি (হয়তো মেঘা আন ইজি ফিল করছে, তাছাড়া কিছুদিন ওর থেকে দূরে থাকায় ভালো, কিছু ভুল হয়ে গেলে মেঘা কষ্ট পাবে)

অয়ন চুপচাপ বালিশ নিয়ে সোফায় চলে যায়। মেঘা একটা হাসি দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। বাহিরে ঝুম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।

অয়ন,,,,,,,,,,(অবশেষে তুই আমার হলি, এখন আমার আর কোনো চিন্তা নেয়, আর কিছু চাওয়ার নেয়,আমার জীবনে পূণতা নিয়ে এসেছিস তুই)

,,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,, অবশেষে মেঘার বিয়েটা হয়ে গেলো। যাক নিশ্চিত হওয়া গেলো।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, রিমান (হাসি দিয়ে)

রিমান,,,,,,,,,, কি হলো।

ফারিয়া,,,,,,,,, দেখো কি রোমান্টিক রাত, রাতে ঝুম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, হুমম, এ রাতে ঘুম অনেক ভালো হয়। চলো ঘুমাবে, বাতিটা নিবিয়ে দাও।

ফারিয়া রাগে বাতি নিবিয়ে দেয়,

রিমান,,,,,,,,, আরে এখনি বাতি নিবিয়ে দিলে। ঠিক আছে সমস্যা নেয় সব কিছু ভালোই দেখা যাচ্ছে।

আমি ঘুমাতে গেলাম আপনার যা খুশি করেন হুহহ। তখনি জোরে একটা বিদ্যুৎ চমকায়, বিরাট একটা শব্দ নিয়ে।

ফারিয়া রিমানকে জরিয়ে ধরে ভয়ে। এমনটা আশা করা যায়, কিন্তু এমনটা হয় না। রিমান ভয়ে ফারিয়াকে ভয়ে জরিয়ে ধরে।

ফারিয়া বরফের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কিছু ক্ষন পর রিমান ফারিয়াকে ছেড়ে দিয়ে, একটা ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে, মাথা চুলকাতে থাকে।

ফারিয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফারিয়া রিমানের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। ছোট একটা কিস দিয়ে আবার সরিয়ে নেয়। লজ্জায় অন্য দিকে ফিরে থাকে। রিমান হা করে থাকে।

ফারিয়া যেতে নেয়, রিমান তার হাত ধরে টান দেয়, ফারিয়া রিমানের বুকে পড়ে। ফারিয়া জোরে যেতে নেয়, রিমান আবার টান দিয়ে ফারিয়ার ঠোঁট নিজের ঠোঁটে আবদ্ধ করে নেয়।

রিমান ফারিয়াকে কিস করতে থাকে, ফারিয়া চোখ বন্ধ করে ফেলে। এক সময় রিমান ফারিয়াকে কোলে করে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। রিমান আবার কিস করতে যায় তখন ফারিয়া রিমানকে বলে,

ফারিয়া,,,,,,,, দাঁড়াও, এর আগে আমাদের কিছু কথা বলা উচিত, কিছু কথা পরিষ্কার করে দাওয়া উচিত।

রিমান,,,,,,,,, আমি আর অপেক্ষা করতে পারবো না।

বলে আবার ফারিয়াকে কিস করতে থাকে। তারপর,,,,, কিছু না, ভেবে নেন।

সকালে,,,,,,,,,,,,

সকালে ফারিয়ার ঘুম ভাঙে, সে লজ্জায় কোনো দিকে তাকাচ্ছে না। কোনো মতো চাদরটা মুখ থেকে সরিয়ে তাকায়। তাকিয়ে দেখে যার জন্য সে লজ্জা পাচ্ছিলো সে নেয়।

ফারিয়া উঠে বসে, সেখানে একটা কাগজ পায়। কাগজটা নিয়ে দেখে, রিমান লেখেছে, অনেক কষ্ট করে পড়ে।

,,,,,,,লেখা, আমাকে জরুরি হসপিটালে যেতে হবে, তুমি ঘুমাচ্ছিলে তাই ডাকিনি। চিন্তা করো না তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো।

,,,,,,,,শুধু শুধু লজ্জা পাচ্ছিলাম।

,,,,,,,,

অয়ন ঘুম থেকে উঠে, তার শরীর ব্যাথা করছে। সোফায় শুয়ে।

মেঘা,,,,,,,,,, চলেন আমাদের বাসায় যাবো।

,,,,,,,,এতো তাড়াতাড়ি কেনো।

,,,,,,, বাসায় আমার অনেক জিনিস আছে, আমার ওগুলো এখনি লাগবে। তাই যাবো।

,,,,,,,,, দূরররর এতো তাড়াতাড়ি গেলে কেমন লাগবে কাল যাবো, কি লাগবে বল আমি এনে দিয়।

,,,,,,,, আপনাকে বলা যাবে না, আমি বাসায় যাবো প্লিজ নিয়ে জান (কিছু ক্ষন থেকে চলে আসবো)

,,,,,,,,ঠিক আছে চল।

,,,,,,,,,,,,

,,,,,,, এতো কিছু করেও মেঘাকে নিজের করতে পারলাম না (লাথি দিয়ে একটা চেয়ার ফালিয়ে) ও অয়নকে তো আমি ছাড়বো না, তবে এর আগে আরেক জনকে সায়েস্তা করতে হবে। সাহস কি করে হলো আমার সাথে এমন করার।

,,,,,,ফোনে,,,,, হ্যালো, শোন তোর মোবাইলে একজনের ছবি পাঠিয়েছি, তার নাম কোথায় থাকে সব কিছু, কিছু ক্ষনের মধ্যে তার লাশ দেখতে চাই আমি।

,,,,,,,ওকে বস হয়ে যাবে।

মেঘা,অয়ন তারা রিমানের বাসায় যায়। গিয়ে আরামছে টিভি ছেড়ে বসে পড়ে মেঘা। বসে কি

অয়ন,,,,,,,,, বসে কি আছিস, যা গিয়ে কাপড় গুা।

মেঘা,,,,,,, সব ঘুছানো আছে,শুধু নিয়ে যাবো। ভাইয়া কোথায় ভাবি।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, কাজে গেছে ।

মেঘা,,,,,,,ওও

কিছু ক্ষন পরে টিভিতে একটা মাডার্ নিউজ শুনে সবাই দাঁড়িয়ে যায়।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।