একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-০৪

0
3270

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………4

অয়ন,,,,,,,, আমি কি করে বলবো, এদের মারলো কে।

এর থেকে ও বেশি ভয় আমার মোবাইলে আসা মেসেজ দেখে হচ্ছে।

অয়ন,,,,,, আরে তুই কেনো টেনশন করছিস,, এরা গুন্ডা হয়তো কারো সাথে পুরোনো শত্রুতা ছিলো তারা সুযোগ পেয়ে মেরে ফেলেছে।

মেঘা,,,,,,,,, এরা আমার কারনেই মারা গেছে। (ভয়ে)

অয়ন,,,,,,,,,, মানে,, আমি এদের মারিনি,,, রিমান দারা এটা সম্ভব না। ওর এতো সাহস নেয়।

রিমান,,,,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, সাহস নেয় মানে,, আমি কেনো মারতে পারবো না।

অয়ন,,,,,,,,,, তার মানে কি তুই মেরেছিস।

রিমান,,,,,,,,,,,, আমি মানুষের বুক কাটি গলা না।

অয়ন,,,,,,,,,, মানে

রিমান,,,,,,,, হার্ট সার্জারেন্ট আমি, তো বুক না কাটলে সার্জারী করবো কীভাবে। মেঘা তুই কীভাবে সিউর যে, তোর কারনেই এরা মরেছে।

মেঘা,,,,,,,,,, এটা পড়। (মোবাইলটা আগে দিয়ে)

রিমান,,,,,,,, তোমাকে যারা বিরক্ত করেছে তাদের আমি মেরে ফেলেছি, এবার তুমি খুশিতো। ওদের সাহস কি করে হলো তোমার কাছে যাওয়ার। যারা তোমার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবে তাদের এভাবেই মরতে হবে। সো সাবান থেকো জান পাখি।

অয়ন ভাইয়া রিমান ভাইয়ার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে দেখে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে ভিষণ রেগে আছে৷

অয়ন,,,,,,,,,,, মেঘা কে এটা।

মেঘা,,,,,,,,,,, আমি জানি না (ভয়ে)

অয়ন,,,,,,,, এখানে তো নাম নাম্বার কিছুই নেয়। এরকম আরো মেসেজ কোনো দিন এসেছে তোর কাছে নাকি এটাই প্রথম।

এখন কি করবো, অয়ন ভাইয়াকে বলতে ভয় করছে। কারন এ কথাটা ওনাকে আগে জানায়নি এটা জানলে না জানি কি করে।

মেঘা,,,,,,,,,,,,, ঐ না, মা মানে হ্যাঁ।

অয়ন,,,,,,,,,,, ঠিক করে সত্যিটা বল (মেঘার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে)

মেঘা,,,,,,,,, হ্যা প্রতিদিন কে জেনো আমাকে এভাবে মেসেজ করে। আর অনেক দিন ধরে। আমি মনে করেছি সবাই চিন্তা করবে তাই বলি নি। (ভয়ে)

অয়ন,,,,,,,,,,,, পাগল তুই এতো বড়ো একটা কথা তুই কাওকে বলিস নি। এটা কতো বড় একটা সমস্যা কোনো ধারণা আছে তোর। আর তুই আজকে বলছিস (চিৎকার করে)

রিমান,,,,,,,,,,, আর কাওকে না হোক আমাকে তো বলতে পারতি৷ এটা একটা মেয়ের জন্য কতোটা বিপদজনক সেটার কোনো ধারণায় নেয় তোর।

মেঘা,,,,,,,,,,,, সরি ভাইয়া আমি বুঝতে পারিনি।

অয়ন,,,,,,,,,,,, এখনো ছোট বাচ্চা আছিস নাকি যে কিছুই বুঝিস না৷

রিমান,,,,,,,,,,,, মেঘার উপর রাগ দেখিয়ে এখন কোনো লাভ হবে না। এখন কি করা যেতে পারে এটা ভাব।

অয়ন,,,,,,,,,,, মেঘা তোর মোবাইল আমার কাছে থাকবে, আমি সব ডিটেলস বের করছি। ওর সাহস কি করে হলো তকে জান পাখি বলার। (রাগে)

রিমান,,,,,,,,, হেহহ এখানে ঐ সাইকো মানুষ মেরে ফেলছে আর তুই পড়ে আছিস কি বলে ডাকলো সেটা নিয়ে৷

অয়ন,,,,,,,,,, না মানে।

রিমান,,,,,,,,, জানে তোর মানে, এখন বানিয়ে মিথ্যা কথা বলার কোনো দরকার নেয়, আমি জানি তুই এই সিইকোকে খুঁজে বের করে ফেলবি। আমি আছি আমার টেনশনে আর লোড নিতে পারবো না, আমি ঘুমাতে গেলাম। মেঘা তুইও গিয়ে শান্তিতে ঘুমা৷

রিমান ভাইয়া চলে যায়, আমিও রুমের সামনে যায়, যেই দরজা খুলতে নিবো ওমনি অয়ন আমার হাত ধরে টান দিয়ে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে দেয়।

রাতের অন্ধকারে হালকা আলোয় অয়নের চেহেরায় চিন্তার ছাপ ঠিকি দেখা যাচ্ছে।

মেঘা,,,,,,,,, ভাইয়া আপনি,,

,,,,,,, আমাকে একটা কথা বল।

,,,,,,কি

,,,,,,,,, তুই সত্যি জানিস নাতো ঐটা কে।

,,,,,,,, না আমি সত্যি জানি না।

,,,,,,,,,, আর,,, ও যে তোর জন্য চারজনকে খুন করে ফেলেছে এই কারনে তোর ঐ সাইকোর প্রতি কোনো ভালো লাগা সৃষ্টি হয়নি তো। (সন্দেহের নজরে)

,,,,,,,,, চারজনকে খুন করে ফেলেছে এই জন্য আমার তার প্রতি ভালো লাগা কাজ করবে, এটা ভাবলে কি করে। ওনি একজন খুনি আর খুনির জায়গা জেলে হয় মনে না।

,,,,,,,,, এতো দিন তোকে কি কি মেসেজ করতো৷

,,,,,,,, তুমি শুধু আমার, ভালোবাসি, কারো সাথে কথা বলবে না, আমি তাড়াতাড়ি আসবো, আমার নজর তোমার উপরে,,, এই সবি লিখতো।

,,,,,,,,,,, তো এতো দিন বলিস নি কেনো, তোর মেসেজ পড়ে কি তোর ভালো লাগতো।

,,,,,,,,,, বিরক্তিকর লাগতো, সবাই চিন্তা করবে তাই বলিনি। তাছাড়া একে আমার এতোটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি তাই বলিনি।

,,,,,,,,,, ঠিক আছে যা ঘুমিয়ে পড়, আর কোনো চিন্তা করার দরকার নেয়।

আমি রুমের ভিতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করতে নিয় অয়ন ভাইয়া আবার আমার দরজা ধরে।

অয়ন,,,,,,,,,, সত্যি ভালো লাগে না তোর ওকে,,

মেঘা,,,,,,,,, না (বিরক্তি ভাব নিয়ে)

আমি এটা বলে দরজা বন্ধ করে দিয়। দরজা বন্ধ করার পড়ে নিজের অজান্তে ঠোঁটে হাসি চলে আসে।

সকালে,,,,,,,,,,

রিমান ভাইয়া আমাকে আমাকে ভার্সিটিতে দিয়ে আসে। সকালে উঠে অয়ন ভাইয়ার কোনো দেখা পেলাম না,ওনি নাকি কাজে গেছেন।

রিমান,,,,,

আমি মেঘাকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দিয়ে ফারিয়াদের বাসায় যায়। আসল ঘটনা তো জানতে হবে। কালকে কারো কথা আমার মাথায় ঢুকেনি।

ফারিয়ার বাসায় গিয়ে বেল বাঝালাম। এক জন এসে দরজা খুললো। আমি ভিতরে গিয়ে দেখি ফারিয়ার মা বসে আছে। ওনি আমাকে দেখে এমন ভাবে হাসি দিলেন যে বুঝতে পারলাম না, ওনি আমাকে দেখে খুশি হয়েছে নাকি বিরক্ত।

সাইলা বেগম,,,,,, আরে রিমান, আসো এখানে বসো।

রিমান,,,,,,,,, আন্টি আমার আসলে ফারিয়ার সাথে কিছু কথা ছিলো, একটু ডেকে দিলে ভালো হতো৷

,,,,,,, তাতো অবশ্যই ডাকবো, তার আগে একটা কথা বলোতো, তুমি একটা বড় ডক্টর, দেখতে মাশাল্লাহ, অনেক টাকাও আছে তাহলে এটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করো।

,,,,,,(এটার মানে কি এনার মেয়ে ভালো না, অদ্ভুত সবাই নিজের মেয়ের প্রশংসা করে আর এনি তো)

ফারিয়া,,,,,,,,,,, মা ওনি তো ভালো মেয়েকেই বিয়ে করছে। আমার থেকে ভালো মেয়ে আর কোথায় পাবে তাই না মা। চলো রিমান আমরা উপরে গিয়ে কথা বলি।

রিমান,,,,,,,,,(উপরে নিয়ে কি মারার প্লেন আছে নাকি, এমনিত তেও মাও অদ্ভুত মেয়েও অদ্ভুত,আল্লাহ রক্ষা কইরো) আমরা এখানে বসেই কথা বলি।

ফারিয়া,,,,,,,, আরে দূরর আমার সাথে চলো, এখানে বসে কথা হবে না।

ফারিয়া আমাকে জোর করে টানতে টানতে নিয়ে যায়, কি মেয়েরে বাবা, লজ্জা সরম কিছু নাই, মায়ের সামনে একটা পর পুরুষকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

ফারিয়া তার রুমে আমাকে নিয়ে যায়। রুমটা খুব সুন্দর গুছালো।

রিমান,,,,,,,,,, এসে গেছি, এবার বলো এসব কি হচ্ছে। আমি তোমাকে কবে ভালোবাসতাম৷

ফারিয়া,,,,,,,,,, জান তুমি সব ভুলে গেছো, মনে নেয় তুমি আমাকে সবার সামনে প্রপোজ করেছিলে।

রিমান,,,,,,,,, না একদমি মনে নেয়।

ফারিয়া,,,,,,,,,, তুমি সব কিছু ভুলে গেছো৷

রিমান,,,,,,,, ভুলে মানুষ তখন যায় যখন ওর সাথে এসব কিছু ঘটে,আমরা দেখা করলাম কালকে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, মনে নেয়, আমি একদিন অনেক অসুস্থ হয়ে যায়, তারপর আমার বাবা হসপিটালে ভর্তি করে, সেখানে আমাদের দেখা হয়, তারপর কথা হয় তারপর আস্তে আস্তে ভালোবাসা।

রিমান,,,,,,,,, হয়তো তুমি পালগ না হলে আমাকে পাগল বানানোর চেষ্টা করছো।

ফারিয়া,,,,,,,,, তুমি সব কিছু ভুলে গেছো, তুমি আমাকে বিয়ে করবে বলেছিলে। আরো কতো ওয়াদা করেছিলে।

রিমান,,,,,,,,, দেখো আমাকে রাগ উঠিয়ো না, চুপচাপ বলো সত্যিটা কি। (রাগে, জোরে ফারিয়ার দুবাহু ধরে)

ফারিয়া ব্যাথায় চিৎকার করে উঠে, আমি তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়।

রিমান,,,,,,,,,, কি হলো আমি তো এতো জোরেও ধরেনি ।

ফারিয়া,,,,,,,,, না কিছু হয়নি।

,,,,,,, আপনার হাতে কি হয়েছে।

,,,,,,,,, কিছু না।।

,,,,,,,,, আপনার চোখে পানি ঝলঝল করছে, আপনার হাত দেখান।

,,,,,,,, আরে কিছুই হয়নি। আর কিভাবে দেখাবো আমার জামার হাতাতো বড়ো।

,,,,,,,, হুমম বুঝেছি, এভাবে মানবেন না।

আমি টেবিলে পেপার কাটার সিজার দেখে সেটা নিয়ে, জামার হাতা কাটতে থাকি।

ফারিয়া,,,,,,,,, আরে কি করছেন, আমার জামা।

রিমান,,,,,,,, আপনার বাবাকে বলবেন আরেকটা কিনে দিতে৷

রিমান জামার হাতা কেটে দেখে ফারিয়ার বাহুর এক জায়গা পুরো কালো হয়ে গেছে। ফর্সা গায়ে কালো দাগ স্পষ্ট দেখা যায়।

রিমান,,,,,,,,, বিছানায় বসেন,,, এটা কিভাবে হলো।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, আসলে পড়ে গেছিলাম তখন এ জায়গায় আঘাত পেয়েছি।

,,,,,,,, কিন্তু আঘাত দেখে তো মনে হচ্ছে কেও জোরে লোহার কিছু দিয়ে আঘাত করেছে।

,,,,,,,,, ক ক কি যে বলেন না, আমাকে কে মারবে।

,,,,,,,,,, মেডিসিন নিয়েছেন।

,,,,,,,,, না।

,,,,,,,,, ভালো করেছেন, ব্যাথা আরো বাড়লে পড়ে এক বারে হসপিটালে ভর্তি হয়েন।

,,,,,,,,,, এটুকু ব্যাথার জন্য হসপিটালে ভর্তি হওয়া লাগবে৷

,,,,,,,,,, এটা এটুকু ব্যাথা লাগে আপনার, দাঁড়া আমি ভালো করে দেখি, একটু ব্যাথা লাগবে। এটা দেখে আমি ঔষধ লেখে দিবো সময় মতো খেয়ে নিবেন।

রিমান ফারিয়ার বাহুর কাছে গিয়ে টিপে টিপে দেখছে৷ ফারিয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, (মিথ্যা ভালোবাসার নাটক সত্যি না হয়ে যায়,এমন ফিল আমি আগে কখনো কারো জন্য করিনি)

রিমান,,,,,,,,,,,, ব্যাথা লাগছে। (হাত টিপে ধরে)

ফারিয়া,,,,,,,,,,, হুমম (ব্যাথা হচ্ছে কিন্তু হাতে হচ্ছে না মনে সেটা বলতে পারছি না৷)

,,,,,,,,,, আপনি ব্যাথা পেয়ে খুশি নাকি, ঠোঁটে হাসি যে।

,,,,,,,,, এমনি, আমি হাসি খুশি থাকতে পছন্দ করি।

রিমান,,,,,,,,, আমি কাওকে দিয়ে ঔষধ পাঠিয়ে দিবো।

ফারিয়া,,,,,,, ঠিক আছে, দেখেছেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন তাই এতো কেয়ার করছেন, মনে করেন মনে করেন৷

রিমান,,,,,,,,, ভালোবাসা টালোবাসা কিছু না, আনি একজন ডক্টর তার সেটার কর্তব্য করছি, বুঝেছেন।

ফারিয়া,,,,,,,,,, আমি তো বুঝেছি কিন্তু বুঝার দরকার আপনার।

রিমান,,,,,,,, অদ্ভুত তো আপনি। (রিমান এখান থেকে কেটে পড়াই ভালো)

রিমান,,,,,,, আমি এখন যাচ্ছি আপনাকে পড়ে দেখে নিবো৷

ফারিয়া,,,,,,,, কবে দেখবেন বলেন আমি সেজে গুজে রেডি থাকবো। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

রিমান ঐখান থেকে চলে যায়।

ফারিয়া,,,,,,,,,, আম সরি রিমান সত্যিটা আমি তোমাকে এখন বলতে পারবো না। ভেবেছিলাম আমার কাজ হয়ে গেলে তোমার জীবন থেকে চলে যাবো, কিন্তু কাহিনি তো অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। আর সত্যি বলতে জীবনের এই মোড়টাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে।

,,,,,,,,,,,
ক্লাস শেষ, তাও ভার্সিটির ভিতরে বসে আছি, অয়ন ভাইয়া বলেছে কেও নিতে আসলে তারপর যেতে, এর আগে আমার পা যদি বাহিরে যায় তাহলে কেটে রেখে দিবে।

কিছু ক্ষন পর অয়ন ভাইয়া আসে।

অয়ন,,,,,,,,,, সরি একটু লেইট হয়ে গেলো।

মেঘা,,,,,,,,,, আপনি কেনো রিমান ভাইয়া কোথায়।

অয়ন,,,,,,,,, ওর কাজ আছে এজন্য, এক মিনিট আমি আসলে কি প্রবলেম।

মেঘা,,,,,,,,,, (আপনি আসলে প্রবলেমি প্রবলেম) কোনো সমস্যা নেয়, এমনি বললাম।

অয়ন,,,,,,,,,, ঠিক আছে চল।

আমি গিয়ে গাড়িতে উঠতে নিয়, ভাইয়া না করে।

অয়ন,,,,,,,, আমরা হেঁটে যাবো।

মেঘা,,,,,,,,,, কোন দুঃখে।

অয়ন,,,,,,,,, যে তোকে মেসেজ দেয়, তার কোনো কিছু পাওয়া যায় নি, তবে ওর কথা শুনে একটা কথা বুঝা গেছে যে,সে সব সময় তোর উপর নজর রাখে। তাই রাস্তায় সন্দেহ জনক কাওকে দেখলেই হবে৷

মেঘা,,,,,,,,,, এতো দূরে হেঁটে যেতে পারবো না।

অয়ন,,,,,,,,, এটুকু রাস্তা হাঁটলে কিছু হবে না, তাছাড়া বসে বসে মোটা হয়ে গেছিস।

মেঘা,,,,,,,,,, আল্লাহ কি বলে (নিজেকে দেখতে থাকে)

অয়ন ভাইয়া আমার হাত ধরে হাঁটতে থাকে। আমি নিশ্চুপ হয়ে যায়, এক মিনিটের জন্য সব কিছু ভুলেই যায়।

মেঘা,,,,,,,,,, ভাইয়া

অয়ন,,,,,,,,, বলেছিলো না তোর কাছে যে যাবে তাকে মেরে ফেলবে আমি এখন তোর হাত ধরে বাসা পর্যন্ত যাবো দেখি কি করে।

এ কথা শুনা সাথে সাথে আমার আত্মা কেঁপে উঠে, আমি এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিয়।

অয়ন,,,,,,,,,,, কি হলো (চোখ বড় বড় করে)

মেঘা,,,,,,,,,,, যদি আপনার কিছু হয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,, আমাকে দেখে কি মনে হয় আমাকে মারা এতো সোজা, আমি চাই আমাকে মারতে ও সামনপ আসোক, অথবা কাওকে পাঠাক।

মেঘা,,,,,,,, এতো ওভার কন্ফিডেন্স থাকা ভালো না, আপনি আমার থেকে দূরে থাকেন।

এটা বলার সাথে সাথে অয়ন আমাকে জরিয়ে ধরে। অদ্ভুত একটা ফিলিং আমাকে গ্রাস করে। যেই অয়ন ভাইয়া আমার হাত ও ধরতো না সে আজ কাল কেমন জানি হয়ে গেলো, আজ আমাকে জরিয়ে ধরছে। আমি বরফের মতো জমে গেলাম।

কিছু ক্ষন পরে নিজেই ছেড়ে দিলো।

অয়ন,,,,,,,,,, কারো ভয়ে যদি তোর থেকে দূরে থাকতে হয় তাহলে এমন জীবন রেখে লাভ নেয়। এবার তোকে জরিয়ে ধরলাম দেখি কি হয়। চল আমার সাথে, কিছু হবে না। (তোর থেকে দূরে থাকলে আমি এমনি মরে যাবো)

অয়ন ভাইয়া আমার হাত ধরে হাঁটছে আমি তার সাথে সাথে হাটছি। দুজনে চুপ করে আছি। কেও কোনো কথা বলছি না। না চাইতেও দুজনের ঠোঁটে হালকা হাসি।

আমরা হাটতে হাটতে বাড়ি পৌঁছে যায়। কখন যে এতোটা পথ এক সাথে হাঁটতে হাঁটতে শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পারিনি।

আমরা বাড়ি পৌঁছে ভিতরে ডুকে দেখি রিমান ভাইয়া মন খারাপ করে বসে আছে। আমাদের দেখে দাঁড়িয়ে যায়। আমাদের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা হাত ছাড়তে ভুলেই গেছি।

রিমান,,,,,,,,,, কি জেনো বলছিলি আমি তলে তলে টেমপু চালায় তাহলে তোরা কি চালাস এরো প্লেন।

আমি তাড়াতাড়ি হাত ছেড়ে দিয়।

অয়ন,,,,,,,,, তুই যেমন ভাবছিস তেমন কিছু না।

রিমান,,,,,,,,, ওও আচ্ছা মেঘা তো অন্ধ তুই তাকে হাত ধরে রাস্তা পাড় করাচ্ছি।

মেঘা,,,,,,,, চুপ থাক।

আমি উপর চলে যায়, সত্যি বলতে একটু লজ্জা করছে।

রিমান,,,,,, অয়ন তুই একটু বস তোর সাথে জরুরি কথা আছে।

,,,,,,, হুমম এখন বল (বসে)

,,,,,,,, আচ্ছা আমার কি কোনো দিন কোনো এক্সিডেন হয়েছিলো।

,,,,,,,,,,, না

,,,,,,,,, মাথায় আঘাত পেয়েছিলাম।

,,,,,,,,, আমাকে কেনো জিজ্ঞেস করছিস।

,,,,,,, মনে থাকলে বল না

,,,,,,, না পাস নি।

,,,,,,,, আমার স্মৃতি চলে গেছিলো নাকি কোনো দিন।

,,,,,,,,,, দূররর এমন হবে কেনো।

,,,,,,,,,,, তাহলে দুনিয়ার সব কিছু মনে আছে শুধু ফারিয়াকে ছাড়া। এখন তো আমার নিজের উপর সন্দেহ হচ্ছে।

,,,,,,,,, সর শালা, প্রেম করছস আর আমাকে বলিস ও নাই।

,,,,,,,,,, আমি তো নিজেকেই বলি নাই। ফারিয়ার কথা শুনে নিজের উপর কেমন সন্দেহ সন্দেহ লাগছে।

,,,,,,,, আমি গেলাম তোর ফালতু কথা শুনার কোনো ইচ্ছে নাই।নিজের উপর সন্দেহ করে।

,,,,,,,,,, আমার জ্বালা তোরা কেমনে বুঝবি।

সারা দিন আমার এসব ভাবতে ভাবতেই চলে যায়।

সকালে,,,,,,,,,,

ঘুম থেকে উঠে দেখি পুরো বাড়ি সাজানো হচ্ছে। বাড়ি মানুষে ভরা,,, পুরো বাড়ি কেনো সাজানো হচ্ছে, তাও আবার ফুল দিয়ে। যাকেই জিজ্ঞেস করছি সবাই বলছে কথা বলার মতো সময় নেয়।

তাকিয়ে দেখি অয়ন ও আছে, সবাইকে বলছে কোথায় কি করতে হবে কি।আমি গিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করি।

,,,,,,কি হচ্ছে ভাই এসব বিয়ে নাকি।

,,,,,,,হুমম

,,,,,,হুমমম মানে কার বিয়ে।

,,,,,,,, তোর আজ গায়ের হলুদ, কাল আংকেল আমাকে ফোন করে তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিলো।

,,,,,, আমার বিয়ে আমিই জানি না। এ অবিচার আমি হতে দিবো না, এই অত্যাচার আমি মানবো না।

,,,,,,,,,,, কিছুই করতে পারবি না, শুধু শুধু ডায়লগ মেরে লাভ নাই।

,,,,,,,,,,, আআআ আব্বাআআআ ও আব্বা আমি বিয়ে করমু না তুমি কই (কান্না করে)

চলবে,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ