একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-০৭

0
3093

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part………….7

অয়ন,,,,,,,,,,, ছাড়বো না এই সাইকোকে। এর সাহস কি করে হলো এখানে এসে এমন করার। (রাগে)

মেঘা,,,,,,, আমার সব জামা কাপড় পুড়িয়ে দিয়েছে, আমার রুমের কি অবস্থা করেছে দেখো। (কান্না করে)

রিমান,,,,,,,, তুই কিভাবে সিউর এটা ওই সাইকো করেছে।

অয়ন,,,,,,,,, ঐ আয়নায় দেখ কি লেখা।

সবাই সাইডে থাকা আয়নার দিকে তাকায়।

রিমান,,,,,,,,, জান পাখি এমন কেনো করো, তুমি এমন করলে আমার কষ্ট না, রাগ হয়। আরেক বার এমন করলে কাপড়ের জায়গায় কে থাকতে পারে এটা নিশ্চয়ই বলা লাগবে না।

অয়ন আয়নায় একটা ফুলের টপ ছুঁড়ে মারে।

রিমান,,,,,,,, অয়ন কন্ট্রোল,,,, বাড়ির দারওয়ান কোথায় ডেকে আনো একে।

দারওয়ান,,,,,,,,,, স্যার আমি কিছু জানি না, কে এমন করেছে, আপনারা যাওয়ার পর কেও ভিতরে আসে নি।

মা,,,,,,,, আমার তো ভয় করছে যদি আমার মেয়ের কিছু করে ফেলে তখন আমরা কি করবো।

অয়ন,,,,,,,,,, আন্টি চিন্তা করো না, আমি এমন কিছু হতে দিবো না।

রিমান,,,,,,,,,, মা আমি থাকতে তোমাদের চিন্তা করার কোনো দরকার নেয়, আমি মেঘাকে কিছু হতে দিবো না।

ফারিয়া,,,,,,,,,, আমাদের পুলিশকে বলা উচিত।

অয়ন,,,,,,,,, আমি বলো দিবো।

মা,,,,,,,,,,, কিছু ক্ষন পরেই সকাল হয়ে যাবে, ঘরে নতুন বউ এসেছে, এক কাজ করো ফারিয়া আর মেঘা রিমানের রুমে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ো, আর রিমান তুই অয়নের রুমে যা।

মেঘা,,,,,,,,,, চলো ভাবি আমি তোমাকে তোমার রুমে নিয়ে যায়।

আমি ভাবিকে তার রুমে নিয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,, ভাবি তুমি যাও গিয়ে আগে ফ্রেশ হয়ে আসো তারপর আমি যাচ্ছি।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, আর শুনো যা হয়ে গেছে তার জন্য একদম মন খারাপ করবে না। তোমার ভাইয়া ওই সাইকোকে ধরে ফেলবে আর ইচ্ছে মতো ধোলাই করবে, আর না পারলে আমাকে বলতে বলবে,আমার কিন্তু মারামারি করতে সেই লাগে।

মেঘা,,,,,,,,, ঠিক আছে (হালকা হেসে)

আমি বিছানায় বসে আছি, তখন অয়ন ভাইয়া আসে খাবার নিয়ে।

অয়ন,,,,,,,, ভাবির জন্য খাবার এনেছি, ভাবি কোথায়।

মেঘা,,,,,,,,,,, ফ্রেশ হচ্ছে।

অয়ন টেবিলে খাবার রেখে মেঘার পাশে এসে বসে।

অয়ন,,,,,,,,,,,,, মন খারাপ।

মেঘা,,,,,,,,,,, আমার পুরো রুম জ্বালিয়ে দিয়েছে আর বলছো মন খারাপ হবে না।

,,,,,,, তো কি হয়েছে, আমি কালকের মধ্যে পুরো রুম চকচকে করে দিবো দেখিস।

,,,,,,,,,, রুম চকচক করলে আর কি হবে, রুমে অনেক জিনিস ছিলো যেগুলো আমার মনের খুব কাছের ছিলো (চোখের পানি ফেলে)

,,,,,,,,,, হুমম বুঝলাম,,, আচ্ছা কি কি ছিলো বল।

,,,,,,,,, আমার কতো টেডিবিয়ার, জামা, কসমেটিক্স, ছবি।

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে দুপুরে আমার সাথে যাস, আর তোর যা যা লাগে সব কিছু কিনে দিবো প্রমিজ।

,,,,,,,,,,,, টেডিবিয়ার

,,,,,,,,,, রুমে রাখার মতো জায়গা হবে না, এতো গুলো কিনে দিবো।

,,,,,,,,,,,, জামা, কসমেটিক্স।

,,,,,,,,,,, তোর আলমারি ভরে যাবে এতো গুলো কিনে দিবো।

,,,,,,,,, আর আমার ছবি।

,,,,,,,,, তোর কাছে যে ছবি গুলে ছিলে তার থেকে বেশি আমার কাছে আছে, তোর রুমে ঠিক যেভাবে সাজানো ছিলো ঠিক সেভাবেই লাগিয়ে দিবো।

,,,,,,,,,,,, কিন্তু অনেক টাকা খরচ হবে। (কান্না করতে করতে)

,,,,,,,,,, আমি এতো টাকা ইনকাম করি কার জন্য, আমার কি তোদের ছাড়া আর কেও আছে নাকি।

,,,,,,,,,, সত্যি (নাক টানতে টানতে)

,,,,,,,, হুমম,,,এক কাজ কর পুরানো ড্রেস এর কথা চিন্তা না করে নতুন ড্রেস আসবে এটা চিন্তা করে খুশি হ।

মেঘা তাও মুখ ভার করে রাখে।

অয়ন,,,,,,,,,, কি হলো এখনো তোর মন ভালো হয়নি।

মেঘা,,,,,,,,,, আমার ড্রেস নিয়ে এতোটা মাথা ব্যাথা নেয়, যদি আপনার কোনো কোনো ক্ষতি করে ফেলে তখন।

অয়ন,,,,,,,,,,,, আমার কেও কিছু করতে পারবে না, আমাকে কিছু করার হলে কবেই করে ফেলতো। ঐ সাইকো বুঝে গেছে যে, আমার সামনে আসলে ওর খবর আছে তাই আসছে না। ওতো নিজেই আমাকে ভয় পায়, আমার আবার কি ক্ষতি করবে।

মেঘা,,,,,,,,,,, সত্যি বলছো তো৷

অয়ন,,,,,,,,,,, হুমম,,,,,, আর তুই আগে ডিসাইট করে নে আমাকে আপনি করে বলবি নাকি তুমি করে। দুটো এক সাথে খিচুড়ি করে ডাকিস না।

মেঘা,,,,,,,,, মুখ দিয়ে তুমি বেরিয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,,, তাহলে তুমিই ডাক, ভালো লাগে। আর কান্না করে মুখটা ফুলিয়ে ফেলেছে। তকে না আজ একটু বেশিই কিউট লাগছে। (মেঘার চোখের পানি মুছে দিয়ে)

ফারিয়া,,,,,,,, (কাশি দিয়ে) ডিস্টার্ব করলাম না তো আবার।

অয়ন,,,,,,,,,, ভাবি,,, না আসলে তোমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছিলাম, তোমার না মাথা ব্যাথা করছে তাই রিমান খাবার আর ঔষধ পাঠিয়েছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,,,, রিমান কোথায় (মুশকি হেসে)

অয়ন,,,,,,,, পুলিশের সাথে কথা বলছে। ভাবি আপনি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

ফারিয়া,,,,,,,, ঠিক আছে।

অয়ন ভাইয়া চলে যায়, মেঘা গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।

ফারিয়া,,,,,,,, অয়ন ভাইয়া তোমাকে খুব ভালোবাসে তাই না।

এই কথা শুনে বুকে কেমন জানি করে উঠলো।

মেঘা,,,,,,,,,, না, অয়ন ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে না।

ফারিয়া,,,,,,,,, কথা গুলো তো সবি শুনলাম, মনে হচ্ছে ভালোবাসে না, বরং একটু বেশিই ভালোবাসে।

মেঘা,,,,,,,,,, এমন কিছুই না (লজ্জা পেয়ে) আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।

ফারিয়া,,,,,,,,, হুমম তাড়াতাড়ি যাও মুখে যা অবস্থা করেছো।

আমি ওয়াশ রুমে ডুকলাম, আনমনে নিজের ঠোঁটে হাসি চলে আসলো। আয়নায় তাকিয়ে হাসিটা আবার চলেও গেলো।

কান্না করেছি তাই কাজল লেপটে গেছে, বার বার চোখের পানি মুছতে গিয়ে লিপস্টিক ও চারপাশে ছরিয়ে গেছে, ভুতের মতো লাগছে। এই অবস্থায় ছিলাম অয়ন ভাইয়ার সামনে। এএএআআআ জোরে কান্না করে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, নিজের চেহেরা দেখে এখন কান্না করে লাভ নেয়। তাছাড়া যার সামনে এমন অবস্থায় গেছো, মনে করে কান্না করছো, তার কাছে কিন্তু তোমাকে কিউটই লেগেছে। (জোরে বলে)

মেঘা,,,,,,,,,, ভাবির এমন কথার মানে কি।

আমি ফ্রেশ হয়ে এসে চুপচাপ শুয়ে পড়ি। ভাবি আর আমি দুজনই ঘুমিয়ে যায়। সকাল ১০ টাই উঠি। উঠে দেখি ভাবি ও এখন উঠেছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, আমাদের কেও ডাক দেয়নি কেনো।

মেঘা,,,,,,,,, ভালো করেছে ডাক দেয়নি।

ফারিয়া,,,,,,,,,, লোকে কি বলবে নতুন বউ এতো ঘুমায়।

মেঘা,,,,,,,, জাস্ট চিল ভাবি, এমন কেও বলবে না। চলো ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়।

আমরা ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়,যেহেতু আমার কোনো জামা কাপড় নেয় তাই ভাবি আমাকে একটা জর্জেট শাড়ি দেয়, আর সে নিজেও একটা শাড়ি পড়ে,আমি চকলেট কালার শাড়ি পড়ি আর ভাবি মেরুন কালার।

মেঘা,,,,,,,,,, রিমান ভাইয়া আমাকে কেমন লাগছে।

রিমান,,,,,,,,,, বান্দরনীকে শাড়ি পড়ালে যেমন লাগবে ঠিক তেমন।

মেঘা,,,,,,,,,, মা দেখো তোমার ছেলে কি বলে,কুত্তা।

মা,,,,,,,, তুই ওকে জিজ্ঞেস করতে জাস কেনো, জানিস না ও কেমন।

রিমান,,,,,,, সেটাই তো, জানে আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি না, তাও জিজ্ঞেস করে।

মেঘা,,,,,,,,, আআআ কুত্তা চুপ থাক, নিজের তো ছাগলের মতো মুখ।

ফারিয়া বসে বসে তাদের কাহিনি দেখছে৷

অয়ন,,,,,,,,, তুই শাড়ি কথায় পেলি।

মেঘা,,,,,,,,, ভাবি দিছে। ভাইয়া বললি না তো ভাবিকে কেমন লাগছে।

রিমান এক বার ফারিয়ার দিকিয়ে আবার অন্যদিকে চোখ ফিরায়।

রিমান,,,,,,,, ঠিক ঠাক।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, ঠিক ঠাক আবার কি, হয়তো সুন্দর না হলে অনেক সুন্দর।

রিমান,,,,,,,, কেনো অসুন্দর ও তো হতে পারে।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, আমার শব্দ ভান্ডারে অসুন্দর বলে কোনো শব্দ নেয়।

রিমান,,,,,,,,, ওই দেখ ।

মেঘা,,,,,,,,, আচ্ছা সব মেহমান চলে গেছে তো এখনো বাড়ি সাজ খোলার লোক আসেনি।

অয়ন,,,,,,,,,, আজ বৌ ভাত,, মানে সবাই বউ দেখতে আসবে খাওয়া দাওয়া হবে তারপর রিমানের বাসর রাত তারপর এই সব খোলা হবে।

ফারিয়া লজ্জায় লাল হয়ে যায়, রিমান বার বার আড় চোখে ফারিয়াকে দেখছে।

অয়ন,,,,,,,,,,, মেঘা চল তোকে শপিং মলে নিয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,, হুমম চলো চলো।

অয়ন মেঘাকে গাড়িতে বসিয়ে ড্রাইভ করে একটা বড় শপিং মলে নিয়ে যায়।

,,,,,,,,,, চল আগে তোর জন্য ড্রেস কিনি।

অয়ন মেঘাকে অনেক গুলো ড্রেস কিনে দেয়, কিছু বাসায় পড়ার জন্য কিছু বাহিরে পড়ার জন্য। কসমেটিক্স এর দোকানে গিয়ে অয়নের মাথা খারাপ হয়ে যায়, অয়ন লিপস্টিক আর কাজল ছাড়া কিছুই চিনে না।

অয়ন,,,,,,,,,,, তুই যা টেডিবিয়ার এর শপে, দেখিস অনেক বড়ো কিন্তু শপটা, আবার পুরো দোকান কিনতে চাস না আবার। আমি গিয়ে এই সব কিছু গাড়িতে রাখে দিয়ে আসতে বলি।

মেঘা,,,,,,,, ঠিক আছে।

আমি লাফাতে লাফাতে টেডিবিয়ার এর শপে যায়, আসলেই অনেক বড়। এখানে শপে কেও নেয়, একটা টলি নিয়ে যেটা পছন্দ হচ্ছে সেটা উঠাচ্ছি।মনে চাচ্ছে সব নিয়ে নিয়।

আমি একটু দোকানের ভিতরে চলে যায়, চারপাশে টেডিবিয়ার, আবার মাঝখানে বড় বড় বুক সেফের মতো সেখানে আবার টেডিবিয়ার রাখা।

আমি দাঁড়িয়ে দেখছি হঠাৎ পিছনে কেও হাত দেয়, আমি ভয়ে চমকে উঠি। তাকিয়ে দেখি নীল ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।

নীল,৷,,,,,,,, ভয় পেলে নাকি।

মেঘা,,,,,,,,, একটু চমকে গেছিলাম,, আপনি এখানে।

নীল,,,,,,,,,, হ্যাঁ, শপিং করতে এসেছিলাম তোমাকে দেখলাম তাই তোমার পিছন পিছন চলে আসলাম।

মেঘা,,,,,,,, ওও কেমন আছেন।

নীল,,,,,,,,,, ভালো

নীল ভাইয়া আমাকে কেমন করে যেনো দেখছে, আমার ভয় করছে এই বিশাল দোকানে আমরা একা, কেও নেয়।

নীল,,,,,,,,,, চকলেট রঙের শাড়িতে তোমাকে একদম টেস্টি চকলেট এর মতো লাগছে। যাকে দেখলে লোভ সামলানো যায় না।

মেঘা,,,,,,,,, ধন্যবাদ (কথাটা এতো অদ্ভুত লাগলো কেনো)

অয়ন,,,,,,,,,,, মেঘা কোথায় তুই।

মেঘা,,,,,,,,, এখানে।

অয়ন আসে, এসে নীলকে দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,,, তুই এখানে।

নীল,,,,,,,,,,,, শপিং করতে আসলাম।

অয়ন,,,,,,,,, আপনার শপিং করা হয়ে গেছে নাকি আমরা পড়ে আসবো।

নীল,,,,,,,,,, আমার হয়ে গেছে, ঠিক আছে মেঘা তাহলে আমি আসি।

নীল চলে যায়।

অয়ন,,,,,,,,,, ওর সাথে এতো কথা বলার কোনো দরকার নেয়। পছন্দ হয়েছে কিছু।

,,,,,,,,, আমার আরো কয়েকটা লাগবে।

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, দাঁড়া আমি দেখছি আর কি কি নেওয়া যায়।

,,,,,,,,,,, আচ্ছা অয়ন ভাইয়া বললে না আজ আমাকে কেমন লাগছে।

,,,,,,,,,,,, অনেক কষ্টে তো নিজের দৃষ্টি অন্য দিকে দিয়েছি, আবার কেনো তোর দিকে টানছিস।

,,,,,,,,,, মানে,,, দূরর এতো কথা না বলো না কেমন লাগছে।

অয়ন মেঘার সামনে এসে, তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,,

,,,,,,,,,,, একদম চকলেট এর মতো লাগছে। আমার চকলেট গার্ল।

,,,,,,,,,,,,, তুমিও একি কথা বলছো, তবে তোমারটা খারাপ লাগেনি।

,,,,,,,,,,, আমিও একি কথা বলছি মানে, আর কে কি বলেছে, যার কথা তোর খারাপ লেগেছে।

,,,,,,,,,, না তেমন কিছু না।

,,,,,,,,,, বল বলছি।

,,,,,,,,,, নীল ভাইয়া বলেছে। (ভয়ে)

,,,,,,,,, কি বলেছে।

,,,,,,,, আমাকে একদম টেস্টি চকলেট এর মতো লাগছে। যাকে দেখলে লোভ সামলানো যায় না।

,,,,,,,,,,, ওর লোভ তো আমি সামলাবো। (রাগে)

রাগে যেতে নেয় আমি ভাইয়ার হাত ধরে টান দিয়, আমি টেডিবিয়ার এর সেফের সাথে লেগে যায়, ভাইয়া আমার উপরে এসে পড়ে।

মেঘা,,,,,,,,, নীল ভাইয়া হয়তো এমনি বলেছে রাগ করে কিছু করবেন না। (চোখ বন্ধ করে)

চোখ খুলে দেখি অয়ন ভাইয়া আমার খুব কাছে, ওনার নিশ্বাস আমার নাকে মুখে পড়ছে কিন্তু আমার বুকে গিয়ে লাগছে। ওনি আমার ঠোঁটে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে।

আমি কিছু বলতে নিয়, ওমনি ওনি আমার ঠোঁটে ওনার ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। আমি কিছু করার বা বলার অবস্থায় নেয়। আমার মধ্যে কি হচ্ছে নিজেও বলতে পারছি না।

অয়ন ভাইয়ার চোখ বন্ধ, আমি অয়ন ভাইয়াকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরাতে নিয়, অয়ন ভাইয়া আরো জোরে শক্ত করে আমাকে ধরে কিস করছে।

কিছু টেডিবিয়ার ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়। আমারো চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। কিছু ক্ষন পড়ে অয়ন ভাইয়া আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি, অয়ন ভাইয়া অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।

আমি তাড়াতাড়ি ওখান থেকে চলে যায়,গিয়ে গাড়িতে বসি। অয়ন ভাইয়াও আসে। দুজনে গাড়ির ভিতরে কোনো কথা বলছি না। চুপচাপ বসে আছি।

বাসায় যেতেই আমি তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। গিয়ে সোজা আমার রুমে। আমার হার্ট বির্ড এখনো দ্রুত চলছে। গিয়ে বিছানায় উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ি, বালিশে মুখ লুকাচ্ছি।

কিছুতেই ভুলতে পারছি না। তখনি দরজায় টুকা পড়ে। আমি লাফ দিয়ে উঠে বসি। অয়ন ভাইয়া এসে যা যা শপিং করেছি তা দিয়ে যাচ্ছে। আমার হার্ট মনে হচ্ছে এখনি বেরিয়ে আসবে।

অয়ন ভাইয়া সব কিছু দিয়ে চলে যায়। আমার কেমন জানি লাগছে। কিছু ক্ষন পড়ে লক্ষ করলাম আমি আমার রুমে আছি। আর আমার রুম আগের মতোই লাগছে সুন্দর।

আমি সারা ক্ষন ভাবির সাথেই ছিলাম, ভুলেও অয়ন ভাইয়ার সামনে যায় নি।

সন্ধ্যায় অনেকে রিমান ভাইয়ার বাসর ঘর সাজাচ্ছে, সেখানে আমাকে জোর করে নিয়ে যায়। গিয়ে দেখি অয়ন ভাইয়াও সাহায্য করছে। আমাকে দেখে আমার দিকে তাকায়। আমি অন্য দিকে তাকিয়ে আছি৷

আমি চুপচাপ বসে আছি সবাই কতো মজা করছে হাসছে। আর অয়ন ভাইয়া ও একদম স্বাভাবিক ভাবে সবার সাথে মজা করছে। মনে হয় কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব।

অয়ন ভাইয়াকে এতো স্বাভাবিক দেখে আমি নিজেই অনেক অভাক। রাতে ভাবিকে রুমে বসানো হয়।

,,,,,,,,,,,

একটা পাতলা গোলাপি শাড়ি আমাকে পড়ানো হয়। হালকা সাজ দেওয়া হয়। পুরো রুম ফুলের গন্ধে মম করছে। এই রাত নিয়ে সবার কতো স্বপ্ন থাকে। না জানি আমার বাসর কেমন হয়।

,,,,,,

অয়ন,,,,,,,,, রিমান কি ভাবছিস, আজকে তো আমার বন্ধুর দিন।

রিমান,,,,,,,,, আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি কিছু করার মুডে আছি৷ করতাম না আমি বাসর।

অয়ন,,,,,,,,,, এমন ভাবে বলছিস জেনো তুই বাসর না করলে আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। আমাদের কিছু হবে না তরি হবে।

রিমান,,,,,,,, কতো স্বপ্ন ছিলো বাসর রাতে এটা করবো ঐটা করবো।

অয়ন,,,,,,,,,, কর তোকে মানা কে করছে।

রিমান,,,,,,,,, আমার বিবেক।

অয়ন,,,,,,,, তাহলে এটা নিয়া বসে থাকো। এখন চলো যাও রুমে।

রিমানকে কোনো মতো ধাক্কিয়ে নিয়ে যায়। রুমের সামনে যেতেই মেয়েরা গেইট আটকায়।

মেঘা,,,,,,,,,,, ভাইয়া টাকা দে না হলে ঢুকতে দিবো না।

রিমান,,,,,,,,,,, আমার ঢুকাও লাগবো না। সর আমি চলে গেলাম।

মেঘা,,,,,,,, দাঁড়া টাকা দিয়ে যা।

রিমান,,,,,,,,, আমার রুম আমার বউ, তোরে টাকা দিমু কেন।

মেঘা,,,,,,,, এতো জানি না।

অয়ন,,,,,,,,,, দাঁড়া কতো লাগবো।

মেঘা,,,,,,,, তিন হাজার।

অয়ন,,,,,,,,, এই নে যা এখান থেকে এবার।

মেঘা,,,,,,,,, না না ছয় হাজার লাগবো।

রিমান,,,,,,,, ওরে লোভী সরি ফকিন্নি। তোদের চেহেরা হিসাবে দশ টাকা দেওয়া উচিত।

মেঘা,,,,,,,,,,, আজকে কিছু কই লাম না।

রিমান ভিতরে যায়, ভিতরে যেতেই সবাই বাহিরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। রিমানও দরজা লাগায়।

ফারিয়া গোমটা দিয়ে বসে আছে, রিমান গিয়ে বিছানায় বসে।

রিমান,,,,,,,, (হার্টের ডক্টরের হার্টে প্রবলেম হয়ছে নাকি, এতো ফাস্ট চলছে)

ফারিয়া এতো ক্ষন বসে বিরক্তি বোধ করছে তাই নিজেই গোমটা সরিয়ে দেয়।

ফারিয়া,,,,,,,,,, এমন ভাবে বসে আছেন কেনো কিছুতো বলেন।

,,,,,,,, কি বলবো বলার মতো কিছু রাখছো।

,,,,,,,,,, আচ্ছা আমার গিফট কোথায়।

,,,,,, কিসের গিফট।

,,,,,,,,,,,,, আরে এ রাতে বউকে গিফট দিতে হয়।

,,,,,,,,, সবাই কি ব্যাবসা খুলে রাখছে নাকি। দাঁড়াও তোমার গিফট আমি দিচ্ছি।

রিমান তার ডয়ার খুলে একটা বক্স বের করে, সেটা এনে ফারিয়াকে দেয়। ফারিয়া খুশি মনে বক্সটা খুলে। বক্স খুলে দেখে একটা ছোট নাইফ মানে ছুরি রাখা।

,,,,,,,,,,, এই রাতে কেও এই ধরনের গিফট দেয়।

,,,,,,,,,, আমি দিয়, আমার কাছে শুধু এটা না এর থেকে বড় বড় হাতিয়ার আছে। ছোট বড় সব ধরনের ছুরি আছে। হার্টের ডক্টর তো তাই কাটা কাটির অভ্যাস আছে (ফারিয়াকে ভয় দেখিয়ে)

ফারিয়া ছুরিটা হাতে নেয়।

,,,,,,,, আমার ছুরিটা বেশ পছন্দ হয়েছে। আমারো কাটা কাটির অনেক শক।

,,,,,,,,,,,,,,(আস্তাকফিরুল্লা) কি কাটা কাটির শক (ভয়ে)

,,,,,,,,,,, ফল আর কি,, কিন্তু এটা তো ফল কাটার ছুরি না। তো কি হয়েছে আমি অন্য কিছু ভালো কাটতে পারি (রিমানের গলায় ধরে)

,,,,,,,,,,,, পাগল এটা ছুরি কেটে যাবে, নামাও। আর কি কাটতে পারো।

,,,,,,,,,,, সেটা জেনে কি করবেন, এটা আমি রেখে দিয়, যদি কোনো সময় কাজে লাগে।

,,,,,,,,,,,(এই মেয়ে বলে কি) আচ্ছা যাও গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়ো।

,,,,,,,,,, কেনো, আমি বিছানায় শুবো, তোমার সমস্যা হলে তুমি গিয়ে ঘুমাও।

,,,,,,,, আমি সোফায় ঘুমাতে পারি না, তুমি যাও।

,,,,,,,,,, আমি তো যাবোই না।

,,,,,,,,,,, দেখো এমনি আমার রাগ হচ্ছে, যেমন বিয়ে চেয়ে ছিলাম তেমন তো হলোই না। চুপচাপ যাও না হলে আমার রাগ হলে কি করবো নিজেও জানি না।

,,,,,,,,,,,, আমারো রাগ হচ্ছে কারন আমিও যেমন চেয়ে ছিলাম তেমন কিছুই হয়নি। আর আমার রাগ হলে কি করবো জানেন৷

,,,,,,,,, কি করবে হুমমম।

,,,,,,,, বেশি কিছু না চিৎকার করবো।

,,,,,,,,,,, হাহাহা করো না করো, আজ তুমি চিৎকার করলে কেও আসবে না, উল্টো তোমার সম্মান যাবে।

,,,,,,,,, তাহলে এক কাজ করবো বাহিরে গিয়ে তোমার বাবাকে বলবো, আপনার ছেলের নাকি আমাকে পছন্দ হয়নি তাই আমার সাথে থাকতে চাই না, তাই আমাকে ধরে মারছে।

,,,,,,,,, নাউজুবিল্লাহ আমি তোমাকে কবে মারলাম।

,,,,,,,, এটা তুমি আর আমি জানি কিন্তু বাবা তো জানে না। বলো যাবো।

,,,,,,,,,, না, (ডাকাতনি বউ)

রিমান তাদের মাঝখানে একটা কোল বালিশ দেয়।

,,,,,,, এ পাশ আমার ও পাশ তোমার।

,,,,,,,,,, ঠিক আছে (সরি রিমান আমার জন্য তোমার একটা বিশেষ দিন খারাপ হয়ে গেলো)

সকালে,,,,,,,,,,

আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি রিমানের হাত আমার উপরে, দুজনের মুখ কাছে। রিমান কোলবালিশে পা দিয়ে শুয়ে আছে। কিছু ক্ষন তাকিয়ে থাকি।

তোমার এই মুখ আমাকে তোমার দিকে আকর্ষণ করছে। প্রেমে পড়ে গেছি তোমার মুখের। আমি উঠে গোসল করতে যায়। গোসল করে এসে দেখি রিমান ও উঠে গেছে৷

রিমান আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। একটা রোমান্টিক নজরে তাকিয়ে আছে। আমি লজ্জা পেয়ে আমার হাত থেকে টাওয়ালটা টেবিলে রাখি৷

রিমান আমার দিকেই এগিয়ে আসছে, আমার নিশ্বাস ঘন হয়ে আসছে। হার্টের আওয়াজটা বেড়ে যাচ্ছে। রিমান আমার আরো কাছে চলে আসে।

আমার মুখ দিয়ে কোনো কথায় আসছে না। রিমান আসতে আসতে আমার খুব কাছে চলে আসে। সে নিচু হয়ে আমার গাড়ের দিকে মুখ নেয়। আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি।

রিমান ফারিয়ার কাছে গিয়ে, ওর পিছনে থাকা টাওয়ালটা নেয়। আমি চোখ খুলে দেখি রিমান টাওয়ালটা নিয়ে একটা বেকা হাসি দিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়।

এখন আমার এতো লজ্জা লাগছে যে বলার বাহিরে। আমি রুম থেকে বের হতে দরজা খুলি কিন্তু খুলে না৷

কিছু ক্ষন পর রিমান শুধু সাদা টাওয়াল পড়ে বের হয়, আরেকটা টাওয়াল দিয়ে রিমান মাথা মুছছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, (হায় ক্রাস খেয়েছি মনে হয়, ওয়াট এ বডি)

রিমান,,,,,,,, এমন হেবলার মতো কি দেখছো।

,,,,,,, লজ্জা করে না, মেয়েদের সামনে এভাবে আসতে।

,,,,,,, না করে না, আমার লজ্জা একটু কম।

,,,,,,,,,, দরজা খুলেন, এটা বাহিরে দিয়ে বন্ধ।

,,,,,,,তারমানে আমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিলাম কালকে।

রিমান গিয়ে দরজা ধাক্কায়।মেঘা তাড়াতাড়ি দরজা খুলে, দরজা ভিতর দিয়ে খুলে তাই রিমান দরজায় বারি খেয়ে পড়ে যেতে নেয় ফারিয়া ধরে ফেলে।

ফারিয়া রিমানকে দুহাত দিয়ে জরিয়ে ধরে থাকে। রিমান তার দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছু খন পর ফারিয়া বলে।

ফারিয়া,,,,,,,, একটা কথা বলবো।

রিমান,,,,,, হুমম বলো (ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে)

ফারিয়া,,,,,,, আমার না হাত ব্যাথা করছে আপনাকে এমন ভাবে ধরে রেখে।

রিমান,,,,,,,,, ওও

মেঘা জোরে জোরে কাশি দেয়, আর ফারিয়া রিমানকে ছেড়ে দেয়, আর রিমান ঠাস করে পড়ে যায়।

রিমান,,,,,,,, একটু আস্তে চাড়তে পারলা না।

ফারিয়া,,,,,,,,, আস্তে আবার কিভাবে ছাড়ে।

মেঘা,,,,,,,,, মা বাবা ডাকছে। আমি এখন আসি।

রিমান,,,,,,,, মেঘা শুন, তুই কিছু দেখছস।

মেঘা,,,,,,,, হ দেখলাম তো।

রিমান,,,,,,, বেশরম এমনি বলতে পারতি কিছু দেখিসনি৷

মেঘা,,,,,, ও আচ্ছা, আমি কিছু দেখিনও আমার চোখ রুমে রেখে এসেছি।

রিমান রেডি হয়ে আয়নায় দেখছে, ফারিয়াও আয়নার সামনে রেডি হচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, ওয়াও খুব সুন্দর লাগছে।

ফারিয়া,,,,,,, ধন্যবাদ

রিমান,,,,,, আমি নিজেকে বলছি,, ওয়াও কও লাগছে আমায়।

ফারিয়া,,,,,, সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে।

,,,,,,ধন্যবাদ

,,,,,,,,, আমিও নিজেকে বলছি।

দুজনে নিচে যায়,গিয়ে দেখে মেঘা মন খারাপ করে বসে আছে।

রিমান,,,,,,,, কি হয়েছে।

বাবা,,,,,,, জানিস তো তের বোনের উপর কার নজর পড়েছে তাই ওর বিয়ে ঠিক করেছি, বড়ো এসপির সাথে, এখন কোনো গুন্ডা আমার মেয়েকে কিছু করতে পারবে না।

রিমান,,,,,,,,, এটা অয়ন শুনলে কি হবে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ