একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-১+২

0
6091

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি

#Maishara_Jahan
Part,,,,,,,,,,,,,1 + 2

মেঘা রাস্তায় কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রাগে ফসফস করছে কিন্তু মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারছে না। মেঘা কান ধরে আছে আর অয়ন তার সামনে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। মেঘার ফ্রেন্ডরা সবাই মেঘার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।

মেঘা,,,,,,,,,, ভাইয়া আমি এখন বড় হয়েছি, আমাকে এমন সবার সামনে অপমান করতে পারেন না। (ভয়ে)

অয়ন,,,,,,,,,, আচ্ছা তোর মনে আছে যে, তুই বড় হয়েছিস। এখানে কি করিস। (ধমক দিয়ে)

মেঘা,,,,,,, কলেজ শেষে সব ফ্রেন্ডরা একেক জন একেক জায়গায় ভর্তি হয়েছে তাই সবাই মিলে একটু ঘুরতে এসেছি।

,,,,,,,,,,,, ছেলেদের সাথে ঘুরছিস।

,,,,,,,,,,,,(হ্যাঁ ঘুরছি তো কি করবেন আপনি, আমি ওদের সাথে ঘুরবো, নাচবো গায়বো তাতে আপনার কি, আপনি আমাকে শাসন করার কে। ইশশ যদি জোরে বলতে পারতাম) ভাইয়া মেয়েরাও তো আছে। (ভয়ে আস্তে)

,,,,,,,,,, সে তো দেখতেই পারছি,, আর এটা কি পড়েছিস। (ধমক দিয়ে)

,,,,,,,,,, ট ট টপ।

,,,,,,,,,,এসব টপ তোকে কে কিনে দিলো।

,,,,,,,, ফ্রেন্ড গিফট করেছে। (ভয়ে)

,,,,,,,,, কোন ফ্রেন্ড একটু শুনি।

,,,,,,,,, রাহাদ গিফট করেছে।

,,,,,,,,,,, নিজের কোনো সম্মান নেয়, যে যা দিবে তাই নিয়ে নিবি।

মেঘার চোখে পানি চলে আসে৷ কিন্তু চোখের পানি নিচে পড়তে দেয় না৷ অয়ন রাহাদ এর কাছে যায়, ওর কাধে হাত রাখে। রাহাদ ভয়ে কুঁকড়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,,, আজকের পর মেঘাকে টপ কেনো একটা সুতা দিলেও না, এমন অবস্থা করবো যে, কাওকে গিফট দেওয়ার আগে দশবার ভাববি। (রাহাদের কানের কাছে গিয়ে)

মেঘা এখনো কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ওর ফ্রেন্ডরাও ভয়ে কিছু বলছে না।

অয়ন,,,,,,,,,, মেঘা গাড়িতে উঠ।

মেঘা,,,,,,,,,,,, আমি একা যেতে পারবো।

,,,,,,,,, উঠতে বলছি উঠ, আমি আরেক বার বলবো না। (ধমক দিয়ে)

মেঘা গিয়ে চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে। অয়ন রাগে জোরে গাড়ি চালায়, মেঘাও কিছু বলছে না, শুধু মুখ ভার করে বসে আছে৷ অয়ন একটা শপিং মলের সামনে এসে গাড়ি থামায়।

,,,,,,, বাহিরে বের হ

,,,,, এখানে কেনো।

,,,,,,,, বের হতে বলছি বের হ।

মেঘা চুপচাপ বাহিরে বের হয়ে অয়ন যেখানে নিয়ে যাচ্ছে সেখানে পিছন পিছন যাচ্ছে। অয়ন শপিং মলে ঢুকে একটা ড্রেস এনে মেঘাকে দেয়৷

অয়ন,,,,,,,, এটা খুলে আমি যেটা দিয়েছি ঐটা পড়ে আয়৷

মেঘা চুপচাপ ড্রেস নিয়ে চেঞ্জ রুমে ডুকে যায় কারন সে জানে অয়নের সাথে তর্ক করে কিছু হবে না। মেঘা ড্রেস চেঞ্জ করে আসে।

অয়ন,,,,,,, রাহাদের দেওয়া ড্রেসটা কোথায়।

মেঘা হাত বাড়িয়ে দেখায়, অয়ন মেঘার হাত থেকে ড্রেসটা নিয়ে, টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে আর জালানা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়৷

অয়ন,,,,,,,,, আর কোনো দিন কোনো ছেলে থেকে কিছু নিলে তোর অবস্থা এমন করবো।

মেঘা কিছু না বলে, সোজা তাড়াতাড়ি হেঁটে গাড়িতে গিয়ে বসে। অয়ন মেঘাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই,,

রিমান,,,,,,,, আরে অয়ন তুই, তোর না একটা জরুরি মিটিং ছিলো।

অয়ন,,,,,,,,, কি করবো তোর বোন এমন এমন কাজ করে যে, না গিয়ে থাকা যায় না৷ আমি এখন যায়,আমার কাজ আছে।

রিমান,,,,,,,,,, কিরে মেঘা আবার কি করছোস।

মেঘা রাগী চোখে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে, যেনো এখনি খেয়ে ফেলবে। রিমান মেঘার তাকানো দেখে একটু পিছনে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, কি হয়ছে (একটু আস্তে)

মেঘা,,,,,, কি হয়ছে দাঁড়া বলতাছি (রিমানকে মারার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে) তোর প্রান প্রিয় বন্ধু আমাকে মেঘাকে সবার সামনে কান ধরিয়েছে, সবার সামনে অপমান করেছে, শুধু আমাকে না আমার ফ্রেন্ডদেরও অপমান করেছে।

রিমান,,,,,,,,,, ঠিক আছে,, দাঁড়া দাঁড়া। একটু শান্ত হয়ে দাঁড়া। অয়ন এমনটা কেনো করেছে।

মেঘা,,,,,,,,,, কলেজের ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে গেছিলাম এই জন্য।

রিমান,,,,,,, ওও এই জন্য, আমি জানতাম আমার ফ্রেন্ড অযথা রাগ করবে না।

,,,,,,,, কুত্তা তোর ফ্রেন্ডের গুষ্টি কিলাই, ওই অয়নকে বলে দিবি আমার রাস্তায় যেনো না আসে, আমি কি করবো না করবো তা তোর ফ্রেন্ড ঠিক করে দিবে না। আমার আর সহ্য হয় না এই অত্যাচার বলে দিলাম।

বলে আমি আমার রুমে চলে যায়, চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। সবসময় উনি আমার সাথে এমন করে। এটা করা যাবে না ঐটা করা যাবে না, ঐখানে যাওয়া যাবে না সেখানে যাওয়া যাবে না। উফফ।

ভিষণ রাগ হচ্ছে, আর রাগে দিয়ে পানি বেরিয়ে গেছে। আমি সোজা গোসল করতে চলে যায়। আমার রাগ উঠলে গায়ে পানি ঢাললে কিছুটা কম হয়। গোসল করতে করতে পরিচয়টা দেওয়া যাক।

আমি মেঘা, মা বাবার আদরের মেয়ে। আমি কলেজ শেষ করে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছি। আমার ভাই মানে রিমানের ইচ্ছা ওর মতো আমাকেও ডাক্তার বানাবে।

আর যে আমার উপর সব সময় রাগ করে থাকে উনি আর কেও না। মানে কেও না, কিন্তু আমার ভায়ের জন্য অনেক কিছু। ছোট বেলার ফ্রেন্ড বলে কথা।

অয়ন মানে আগুন, নামের সাথে চরিত্রের অনেক মিল আছে। নিজের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি বেশি পড়ে থাকে৷ আর কি করবে ওর বাড়িতে ও ছাড়া আর কেও থাকে না। কারনটা পড়ে বলবো। বর্তমানে তো ওর নিজের একটা বিসনেজ আছে।

খেয়ে দেয়ে আর কোনো কাজ নেয় তো তাই আমার পিছনে পড়ে থাকে৷ জীবনে কাওকে ভয় পায় না শুধু ওকে ছাড়া। জানিনা সামনে থাকলে আমার সাহস কোথায় চলে যায়৷

আমি গোসল করে বের হয়। এখন একটু ভালো লাগছে, কিন্তু রাগটা এখনো যায়নি। বিছানায় উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ি। মোবাইলটা হাতে নিয়েই একটা মেসেজ দেখে বিরক্তি লাগছে।

প্রতিদিন কে এতো মেসেজ দেয় জানি না, নাম্বার নাম কিছুই পাওয়া যায় না। ব্লক করি তাও কিভাবে জেনো মেসেজ দেয়। তবে আজ মেসেজটা পড়ে ভয় লাগলো। মেসেজে লেখা,,,,,,,

“হ্যালো জান, ভালো আছো তো, অনেক দিন পর আবার দেখলাম তোমাকে। অনেক কষ্টে ছিলে বুঝি, আমি তোমার কষ্টের কোনো কারন রাখবো না৷ আমি এসে গেছি চিন্তা করো না, I Won’t to kill him. খুব তাড়াতাড়ি দেখা হচ্ছে। বাই আই লাভ ইউ জান।”

এসবের মানে কি, কাকে মারবে, আর এই লোকটিই বা কে, যে প্রতিদিন আমাকে মেসেজ করে৷ ভাইয়াকে কি জানাবো। না থাক শুধু শুধু টেনশন করবে।

ভালো লাগছে না তাই সারা দিন নিচে যায়নি। রাতে রিমান ভাইয়া ডাকতে ডাকতে গলা ব্যাথা করে ফেলেছে তাও যায়নি।

আমি বিছানায় শুয়ে আছে, ক্ষুধায় ঘুম ও আসছে না, অনেক কষ্টে চোখটা লেগে আসে। ঠিক তখনি দরজায় কে যেনো টুকা দেয়৷ নিশ্চয় রিমান ভাই।

মেঘা,,,,,,,,,, রিমান ভাই যা খান থেকে, আমার ক্ষুধা নাই৷ আমার অনেক ঘুম ধরছে। (ঘুমে)

একা ধারে দরজায় টুকা দিতেই থাকে, দিতেই থাকে।

মেঘা,,,,,,,,, ভাই দেখ, এমনি তোর ঐ বদ মেজাজি,শয়তান, গুতুম পেঁচা বন্ধুর কারনে রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে। যা এখান থেকে না হলে সব রাগ তোর উপর ঢালবো৷

তাও দরজায় টুকা দিয়েই যাচ্ছে। মেঘা রাগে দরজা খুলে।

মেঘা,,,,,,, ঐ কুত্তা (মারার জন্য হাত উপরে উঠিয়ে) মেঘা অয়নকে সামনে দেখে মুর্তির মতো হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি করে হাত নিচে নামায়।

অয়ন,,,,,,,,, কি করছিলি।

মেঘা,,,,,,,,, ক ক কিছু না,,,, আপনি এখানে (অভিমানী কন্ঠে)

অয়ন মেঘার দিকে তাকিয়ে, আবার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার চোখ ঘুরিয়ে দেখে।

মেঘা,,,,,,,, কি হলো বলুন এতো রাতে কি করতে এসেছেন।

অয়ন,,,,,,,, এই নে, (হাতে কিছু প্যাকেট দিয়ে)

,,,,,,,,, কি এগুলো।

,,,,,,,,,, খাবার, চুপচাপ খেয়েনে৷

,,,,,,,,, আমি খাবো না।

,,,,,,,,, যা বলছি তা কর, না হলে কিভাবে খাওয়াতে হয় তা আমি ভালো করে জানি। আমাকে যেতে হবে, বল নিজে ভালোই ভালোই খাবি নাকি খাওয়াতে হবে। (ডেবিল হাসি দিয়ে)

মেঘা তাড়াতাড়ি প্যাকেট হাতে নিয়ে তাড়াতাড়ি বলে,

,,,,,,, নিজেই খেয়ে নিবো।

বলেই দরজা বন্ধ করে দেয়। অয়ন মুশকি হেঁসে চলে যায়।

আমি খাবো না হুহহ, আমি না খেলে কে দেখবে আমার রুমে। গ্রানটা তো ভালোই আসছে, কি এনেছে একটু দেখি৷

মেঘা প্যাকেট খুলে দেখে, বিরানি আর আলাদা রোস্ট আছে৷ দেখে জিবে পানি এসে গেছে।

,,,,,ওয়াও আমার ফেবারিট খাবার, আমি যদি নাও খাই তাও সবাই মনে করবে আমি খেয়েছি, তার থেকে ভালো খেয়েই ফেলি।

আর না ভেবে সব খেয়ে শেষ করে দেয়। মেঘা খেয়ে টানা নিতে নিতে ঘুমাতে যাবে তখন নিজেকে আয়নায় দেখে৷ নিজেকে দেখে মাথায় হাত৷

মেঘা প্লাজু আর কমর পর্যন্ত গেঞ্জি পড়ে আছে।

,,,,,,, আয় আল্লাহ আমি এভাবে অয়ন ভাইয়ার সামনে গেছি, সাথে ওড়নাও নেয়। এই জন্য ওনি আমাকে ঐভাবে দেখছিলেন। আল্লাহ এখন আমি কি করবো৷

মেঘা লজ্জায় লাল হয়ে বিছানায় পড়ে, আর এই কথা মনে করে করে মুখে হাত দিয়ে নেকা কান্না করছে, কিছু খন পর পর।

এই মুখ এখন আমি কিভাবে দেখাবো অয়ন ভাইয়াকে। ওনার সামনেই যাবো না আমি।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, ccomment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part…………..2

মেঘা লজ্জায় লাল হয়ে বিছানায় পড়ে, আর এই কথা মনে করে করে মুখে হাত দিয়ে নেকা কান্না করছে, কিছু খন পর পর।

এই মুখ এখন আমি কিভাবে দেখাবো অয়ন ভাইয়াকে। ওনার সামনেই যাবো না আমি।

আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি গোসল করে নিয়, হসপিটালে আজ আমার প্রথম দিন। রেডি হয়ে নিচে নামি, নিচে নামতেই একটা শক খাই৷

নিচে অয়ন ভাইয়া বসে আছে। সাদা শার্ট পড়া, শার্টের দুটো বোতাম খোলা, হালকা লম্বা সিল্কি চুল গুলো এলো মেলো। সাদা গায়ের রং, মাঝে মাঝে ওনার গায়ের রং দেখে আমার হিংসে হয়। যাই হোক বসে বসে চা খাচ্ছে।

আমি আস্তে আস্তে সামনে যায়, অয়ন ভাইয়া আমাকে দেখে কেমন করে যেনো একটা হাসি দেয়। হাসিটা দেওয়াতে আমার বুকে কেমন জানি একটা করে উঠলো৷

অয়ন,,,,,,,,,, গুড মনিং।

মেঘা,,,,,,,,, (সকাল সকাল আপনার চেহেরা দেখেছি মনিং আর গুড কিভাবে হলো)গুড মনিং (হালকা হাসি দিয়ে)

অয়ন,,,,,,,,, রাতে বিরানি খেতে কেমন লেগেছে।

মেঘা,,,,,,,,,, সেই ছিলো,,,

এখন মনে পড়ছে, রাতের কথা মনে করতেই, বুকের মধ্যে কেমন কেমন জানি করছে, সাথে লজ্জাও। আমি এমন ভাব করলাম জেনো কিছুই জানি না।

মেঘা,,,,,,,,, এতো সকালে আপনি এখানে, তাও আবার এভাবে।

অয়ন,,,,,,,,, কেনো আমাকে এখানে দেখে তোর কি কোনো সমস্যা হচ্ছে। (চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে)

তখনি রিমান ভাইয়া আসে৷

রিমান,,,,,,,,, কিরে অয়ন এই বাড়িতে থাকলে তোর কি সমস্যা। এতো বছর ধরে তুই এই বাড়িতে আছিস, আমার কতো সমস্যা হচ্ছে আমি কিছু বলেছি।

মেঘা,,,,,,,,,, আমার কেনো সমস্যা হবে, আমি তো এমনি জিজ্ঞেস করেছি (জোরে)

রিমান,,,,,,,, আমি জানি তোর গলা ষাঁড়ের মতো কিন্তু এটা বার বার প্রমান করা লাগবো না।

মেঘা,,,,,,,,,, ভুলে যাস না আজকে বাবা বাসায় আছে, ডাকবো নাকি।

রিমান,,,,,,,,, তোর গলা তো সেই লেভেলের সুন্দর।

অয়ন,,,,,,,,, চুপ করতো তোরা,, কালকে রিমান আমাকে যেতে দেয়নি, আমি রিমানের সাথে ছিলাম।

রিমান,,,,,,,,,,,, তো এতো রাতে তোকে যেতে দিবো, দিন কালের যে অবস্থা, রাতে এদিকে লুট পাট হয়।

মেঘা,,,,,,,,,, (হুহহ ওনাকে কে লুটতে আসবে, রাগে সব সময় চেহেরা লাল করে রাখে, ওনাকে দেখেই গুন্ডা দৌড়ে পালাবে,আরে আল্লাহ এতো সুন্দর চেহেরা দিছে একটু হাসি খুশি রাখো, তা না পেঁচার মতো করে রাখবে)

অয়ন,,,,,,,,, এতো কি ভাবছেন।

মেঘা,,,,,,,,, কিছু না, ভাইয়া তাড়াতাড়ি নাস্তা কর, আমাদের যেতে হবে।

অয়ন,,,,,,,,,, হুমম আমিও যাবো,রিমান তাড়াতাড়ি কর।

মেঘা,,,,,,,,, আপনি কেনো যাবেন,হসপিটালে আপনার কি কাজ। রিমান ভাইয়াকে দেখতে যাবেন নাকি৷

রিমান,,,,,,, কেনো আমি কি নতুন বউ যে, আমাকে দেখতে যাবে।

অয়ন,,,,,,,,, আমি অফিসে যাবো, এক সাথে বের হওয়ার কথা বলছি। (বিরক্তি নিয়ে)

নাস্তা করে তিনজনে বেরিয়ে পড়ে। অয়ন গাড়ির দরজা খুলে মেঘার জন্য সেখানে রিমান ঢুকে পড়ে। অয়ন রিমানের দিকে এক গ্রাস বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে। রিমান অয়নকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলে,,

রিমান,,,,,,,,,,, এভাবে তাকানোর কিছু নাই, তোরা দুজন সামনে বসে থাকবি আর আমি পিছনে বসে কি তসবিহ গুনমু।

মেঘা চুপচাপ পিছনে গিয়ে বসে পড়ে। অয়ন গাড়ি চালিয়ে দুজনকে হসপিটালে পৌঁছে দেয়। মেঘা আর রিমান গাড়ি থেকে বের হয়, সাথে অয়ন ও।

অয়ন,,,,,,,,,,, শোন রিমান নজর রাখবি তোর বোনের উপর, যাতে কোনো ছেলের সাথে কথা না বলে, কারো সাথে আড্ডা না দেয়।

মেঘা,,,,,,,,,,, কেনো, নতুন জায়গা ফ্রেন্ড বানাবো না।

অয়ন মেঘার দিকে অগ্নি নজরে তাকায়, মেঘা অয়নের তাকানো দেখে মাথা নিচু করে ফেলে।

রিমান,,,,,,,,,,,, আরে নতুন জায়গা, ফ্রেন্ড না হলে কি ভালো লাগে নাকি। আর এতে সমস্যা কি।

অয়ন,,,,,,,,,,, সমস্যা কি মানে, প্রথমে মেঘা ছেলেদের ফ্রেন্ড বানাবে তারপর ছেলেরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে একে পটিয়ে ফেলবে তারপর ওরা মেঘাকে উল্টো পাল্টে কথা বলে প্যাচে ফেলে কি না কি অঘটন ঘটিয়ে ফেলে।

মেঘা আর রিমান হা করে আছে।

রিমান,,,,,,,,,,, ভাই তোর মনে হয় না তুই একটু বেশিই আগে ভেবে ফেলেছিস। এমন কিছুই হবে না, আর তুই এতো চিন্তা কেনো করছিস।

অয়ন,,,,,,,,,,,, চিন্তা কেনো করবো না, মেঘা তোর বোন হয়, সে হিসাবে আমারো তো,,,, কিছু হয় তাই না।

রিমান,,,,,,,,, তোর লজিক শুনে আমার সার্কিট ফিউজ হয়ে গেছে। আচ্ছা আমি খেয়াল রাখবো।

অয়ন,,,,,,,,,,, আমি যেটা বলেছি সেটা মাথায় রেখো হুমম,, আর অলদা বেস্ট ফর ইউর ফাস্ট ডে।

মেঘা,,,,,,,,,,, (হুমকি দেওয়ার নতুন স্টাইল গুতুম পেঁচা কোথাকার)

অয়ন চলে যায়,, আর রিমান ও মেঘাও ভিতরে চলে যায়।

মেঘাকে আজ শুধু রোগীদের ফাইল দেখতে বলা হয়েছে। ক্লাসে গিয়ে শুধু শুধু বসে ছিলো। ইচ্ছে থাকলেও কারো সাথে কথা বলেনি মেঘা। কিছু খন পর রিমান আসে।

রিমান,,,,,,,, কিরে মেঘা কি করছিস।

মেঘা,,,,,,,,,, ভাইয়া ক্লাস শেষ এখন শুধু ফাইল দেখছি।

রিমান,,,,,,,,, এভাবে সময় নষ্ট না করে চল আমার সাথে অপারেশন রুমে। হার্ট সার্জারি।

মেঘা,,,,,,,,,,, কিন্তু ভাইয়া আমি কি করে অপারেশন করবো৷

রিমান,,,,,,,,,, আমার মাথায় কি গাধা লেখা আছে। ইস্টুপিট আমি অপারেশন করবো তুই শুধু দাঁড়িয়ে দেখবি৷

মেঘা,,,,,,,,,,, ভাইয়া রক্ত আর কাটা ছিটা দেখলে আমার খুব ভয় করে।

রিমান,,,,,,,,, ভয় পেলে ডাক্তার হতে পারবি নাকি। আর প্রথম প্রথম একটু ভয় লাগবে পরে ঠিক হয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি চল সময় নেয়।

মেঘা,,,,,,,,,ঠিক আছে চলো।

ভাইয়া আর আমি অপারেশন রুমে যায়, আমি এক কোনায় দাড়িয়ে আছি, যেখান থেকে সব কিছু ঠিক করে দেখা যায়। জানি না কেনো বুক ধরফর করছে, হাত কাঁপছে।

ভাইয়া ইশারা দিয়ে বলে সব কিছু ভালো করে দেখতে। ভাইয়া হার্ট অপারেশন শুরু করে। বুকের বা সাইডে,একটা ছোট নাইফ দিয়ে কাটা শুরু করে।

রক্ত বের হচ্ছে, এখন আমার হাত পা সব কাঁপছে। রক্ত বের হচ্ছে আর সেটা মুছছে, যখন কাটা জায়গাটা একটা মেশিট দিয়ে ফাঁক করানো হয়, তখন মাথায় চক্কর দিয়ে উঠে, সব কিছু অন্ধকার দেখছি। পরে আমার কিছু মনে নেয়।

চোখ খুলে দেখি আমার পাশে অয়ন বসে আছে আর ভাইয়া আমাকে ইনজেকশন দিচ্ছে।

অয়ন,,,,,,,,, মেঘা তুই ঠিক আছিস তো, কি হয়েছে তোর।

মেঘা,,,,,,,,,, আমি এখানে কেনো কি হয়েছে আমার।

রিমান,,,,,,,,, অপারেশন রুমে তুই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছিলি।

অয়ন,,,,,,,,,,, কেনো তুই কি কিছু খাসনি। নাকি শরীর দুর্বল লাগছে। কি হয়েছে একটু বলবি।

মেঘা,,,,,,,, আমাকে কেনো জিজ্ঞেস করছেন, আমি জানি নাকি, আপনার ডাক্তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন।

রিমান,,,,,,,,,,, তুই রক্ত দেখে অজ্ঞান হয়ে গেছিস নাকি। (চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে)

মেঘা,,,,,,,,,,, মনে হয় (আস্তে)

রিমান,,,,,,,,,, এখন প্লিজ এটা বলিস না যে তোর ব্লাড ফুবিয়া আছে।

মেঘা,,,,,,,,, মনে তো হয়।

অয়ন,,,,,,,,,,,, ব্লাড ফুবিয়া নিয়ে তুই ডাক্তার হতে এসেছিস। (চোখ বড় বড় করে)

রিমান,,,,,,,, গাঁধি তুই এটা আমাকে আগে বলবি না। (রাগে)

মেঘা,,,,,,,,, আমি কতো বার বলেছি রক্ত কাটা ছিড়া দেখলে আমার ভয় হয়। আর তুই বা কেমন ডাক্তার বুঝতে পারলি না। নকল করে পাশ করেছিলি নাকি৷

রিমান,,,,,,,,,, সবাইকে নিজের মতো ভাবিস না। ভয় একটু তো সবারি করে কিন্তু তোর যে ফুবিয়া আছে সেটা বলবি তো৷

মেঘা,,,,,,,,,, এখন তাহলে কি করবো।

রিমান,,,,,,,,, এখন আর কি করার ডাক্তার তো আর তুই হতে পারবি না। (নিরাশ হয়ে)

অয়ন,,,,,,,,,,, চিন্তা করিস না আমি মেঘাকে ভার্সিটিতে ভর্তির সব ব্যাবস্থা করে দিবো।

মেঘা,,,,,,,,, কোন ভার্সিটিতে ভর্তি করবেন।

অয়ন,,,,,,,, যেটাতে আমি ছিলাম।

মেঘা,,,,,,,,, এক মিনিট আপনাকে এখানে কে ডাকলো৷

রিমান,,,,,,,,, আমি।

মেঘা,,,,,,,,,, কেনো,, না মানে শুধু শুধু বিরক্ত কেনো করলি।

রিমান,,,,,,,,,, আমি বিজি ছিলাম, তোকে সামলানোর জন্য কাওকে তো লাগবে নাকি।

মেঘা,,,,,,,,,, (কেনো হসপিটালে নার্স ছিলো না হুহহ)

রিমান,,,,,,,,,,, আমার কাজ আছে, অয়ন তুই মেঘাকে নিয়ে বাসায় যা। (মন খারাপ করে)

অয়ন,,,,,,,,, ঠিক আছে,, চল মেঘা।

মেঘা গিয়ে গাড়িতে বসে। অয়ন গাড়ি চালাছে আর বার বার মেঘাকে দেখছে, মেঘা মন খারাপ করে বসে আছে। অয়ন গাড়ি থামায়।

অয়ন,,,,,,,,, গাড়ি থেকে বের হ।

মেঘা,,,,,,,,, কেনো।

অয়ন,,,,,,,,,, বড্ড বেশি প্রশ্ন করিস, আগে বের তো হ।

বের হয়ে দেখি একটা পার্কের সামনে আমরা। আমরা ভিতরে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসি।

অয়ন,,,,,,,,,, ডাক্তার হতে পারবি না বলে এতো মন ভার, অন্য কিছু নিজের পেশা হিসেবে বেছেনে।

,,,,,,,, এই জন্য না।

,,,,,,,,, তাহলে আমাকে বল কি জন্য মন খারাপ, আমি সব ঠিক করে দিবো।

,,,,,,,,,, ভাইয়ার কতো ইচ্ছে ছিলো আমাকে ডাক্তার হিসেবে দেখার। কিন্তু কিছুই হলো না। ভাইয়ার মনটা খারাপ হয়ে গেলো আমার কারনে। (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)

অয়ন,,,,,,,,,,, দূরর পাগলি এতে মন খারাপ করার কি আছে। তোর ভাইয়া তো নিজেই ডাক্তার। আর তোর ব্লাড ফুবিয়া আছে সেটা তো তোর কোনো দোষ নেয়। তুই নিজেতো অনেক চেষ্টা করেছিস তাই না, এটাই বেশি৷ আর এটা রিমান আমার থেকে বেশি ভালো বুঝতে পারবে।

মেঘা,,,,,,,,,,, সত্যি এতে আমার কোনো দোষ নেয়?

অয়ন,,,,,,, হুমম সত্যি। আচ্ছা তুই কি হতে চাস,, তোর ইচ্ছে কি।

,,,,,,,,, তেমন ভাবে কোনো দিন ভাবি নি কারন ভাইয়া আগেই নলে ছিলো তার ইচ্ছে আমাকে ডাক্তার বানাবে৷

,,,,,,,,,, আচ্ছা, তোর কি করতে ভালো লাগে।

,,,,,,,,, জানি না,, হ্যাঁ তবে আমার নাচতে খুব ভালো লাগে, টিভিতে দেখি ডান্স সো। আমারো ইচ্ছে হয় যদি সেখানে গিয়ে নাচতে পারতাম (হাসি দিয়ে)

অয়নের হাসি এক সেকেন্ডে ওদাও হয়ে যায়। মেঘার দিকে রাগী ভাবে তাকায়, কিন্তু মুখে হাসি এনে বলে৷

,,,,,,, দেখ আমি তোর সাথে ভালো ভাবে কথা বলছি, ভালো ভাবে বলতে দে। এসব নাচ গান বাদ দিয়ে ভালো কিছু ভাব। অন্য ছেলেদের সাথে মিশে মিশে নাচবি ভালো দেখাবে না। আর এমন করার কথা মাথায় আনলেও না পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো। ভালো কথা চিন্তা কর কি করবি। আর কিছু না করলেও সমস্যা নেয়।

,,,,,,,,,,,(ঠোঁটে হাসি চোখে আগুন,, হেসে হেঁসে হুমকি দিচ্ছে হিটলার কোথাকার) আ আ আমি তো এমনি বললাম৷

অয়ন,,,,,,,,, সব সময় ভালো একটা মুড নিয়ে আসি আর তুই কিছু না কিছু বলে মুডটা নষ্ট করে দিস।

,,,,,, কবে ভালো মুড নিয়ে আসলেন । (ফিসফিস করে)

,,,,,,, তুই কিছু বললি।

,,,,,,,,,, না,, একদমি না।

,,,,,,, তুই বস আমি আইসক্রিম নিয়ে আসছি।

,,,,,,,, ওয়াও ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আসবেন।

অয়ন দুটো কোন আইসক্রিম নিয়ে আসে। দুটো এনে মেঘাকে দেয়।

মেঘা,,,,,,,, ওয়াও থ্যাংস,,, আপনারটা কোথায়।

,,,,,,,,, আমি এসব খাই না। তুই খা।

,,,,,,,,,, (ভালো জিনিস খাবেন কেনো)

মেঘা বেঞ্চে আসন বেঁধে বসে আইসক্রিম খেতে থাকে। অয়ন মেঘার খাওয়া দেখে মুশকি মুশকি হাসছে৷

অয়ন,,,,,,,,,,, আগে একটা খা,, দুটো এক সাথে কেনো।

,,,,,,,,, আপনি বুঝবেন না দূটো এক সাথে খাওয়ার কি মজা। আপনি তো আইসক্রিমি খান না। এটাও আবার কেও না খাই। একটু খেয়ে দেখেন। (আইসক্রিম অয়নের সামনে ধরে)

,,,,,,,,,, না না লাগবে না তুই খা।

,,,,,,,,,, আপনি আইসক্রিমকে মানা করে দিছেন, চরম মিস করলেন, যাই হোক মনে কষ্ট পেলাম।

মেঘা আইসক্রিম খেতে নেয় আর অয়ন তার মুখ আগে বারিয়ে আইসক্রিমে কামর দেয়। এক পাশে মেঘা কামর দিয়ে আছে অন্য পাশে অয়ন। মেঘার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়। অয়ন মেঘার দিকে তাকিয়ে আছে।

অয়ন আইসক্রিম এর এক বাইক নিয়ে মুখ সরিয়ে নেয়। আমি এখনো শকে আছি, কি হচ্ছে। বুকের মধ্যে কেমন জানি করছে। অয়ন ভাইয়া এক বাইক খেয়ে বলে,,

,,,,,,,,, এবার খুশি আইসক্রিম খেয়েছি আমি।

অয়ন ভাইয়ার ঠোঁটের উপরে ক্রিম লেগে আছে।

মেঘা,,,,,,,,, ভাইয়া আপনার ঠোঁটের উপরে আইসক্রিম লেগে আছে।

,,,,,,,,, হুমম তো মুছে দে।

,,,,,,,, আমি (অভাক হয়ে)

,,,,,,,,, হুমম,, দে (মুখ আগে বাড়িয়ে)

আমি হাতের আঙুল দিয়ে অয়ন ভাইয়ার ঠোঁট মুছে দিচ্ছি। অয়ন ভাইয়া যেনো অন্য রকম ভাবে তাকিয়ে আছে। আমার কেমন জানি লজ্জা লজ্জা লাগছে। আমি একবার নিচে তাকাচ্ছি একবার তার দিকে।

এই প্রথম বার এতোটা কাজ থেকে দেখছি অয়ন ভাইয়াকে, সে শুধু হেন্সাম না অতি আর্কষনীয় সুদর্শন দেখতে। যেকোনো মেয়ের নজর এক দেখাতেই চলে যাবে।

আমি তাড়াতাড়ি আমার চোখ সরিয়ে নেয়।

মেঘা,,,,,, ভাইয়া আমাদের যাওয়া উচিত।

,,,,,,,,, ঠিক আছে চল।

অয়ন আমাকে বাসায় দিয়ে আসে, সারাদিন আমার এসব ভাবতে ভাবতে চলে যায়। রাতে ভাইয়া বাসায় আসে। মনটা খারাপ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

রিমান ভাইয়া বাসায় এসে গোসল করে বিছানায় বসে আছে, আমি তখন রিমান ভাইয়ার বাসায় যায়।

রিমান,,,,,,,,, তুই আয় ভিতরে আয়।

আমি গিয়ে পাশে বসি।

,,,,,, ভাইয়া সরি আমি তোর মনের ইচ্ছে পূরণ করতে পারিনি। তাই তোর মন খারাপ তাই না।

,,,,,,,,,,হুশশশ এই জন্য না, আমার মন এই জন্য খারাপ যে, আমি ভাই হয়ে তোর মনের কথা বুঝতে পারিনি। তোর ব্লাড ফুবিয়া আছে জানা শর্তেও তুই আমার জন্য ডাক্তার হতে চেয়েছিস। অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তাই না।

,,,,,,,, একদমি না, তুই মন খারাপ করে থাকলে আমার কষ্ট লাগবে। যা হয়েছে তা নিয়ে ভেবে আর লাভ নেয়, আর তুই ও তো আমার ভালোই চাইতি।

,,,,,,,,, আচ্ছা আগে কি করবি, কি নিয়ে পড়াশোনা করবি তোর কি ইচ্ছে।

,,,,,,,,, এখনো জানি না।

,,,,,,,, সোজা সুজি বললেই হয়, বিয়ে করে সংসার করবি এতো প্যাচিয়ে বলার কি আছে।

,,,,,,,,, চুপ শয়তান,,, ও মনে পড়ছে, বাবা তোর বিয়ে ঠিক করেছে৷

,,,,,,,,কিহহহ মানে,,, কার সাথে।

,,,,,,,,, বাবার বন্ধুর মেয়ের সাথে।

,,,,,,,, আমি এখন বিয়ে করবো না। বাবা বাবা (চিৎকার করতে করতে)

বাবা,,,,,,,,,, কি হয়েছে ষাঁড়ের মতো বে বে করছিস কেনো।

রিমান,,,,,,,, ছাগল বে বে করে ষাঁড় না, আচ্ছা তুমি বলে আমার বিয়ে ঠিক করছো। আমি বিয়ে করবো না।

বাবা,,,,,,,,, আমি তোকে বলছি না হুকুম করছি, তোকে এই বিয়ে করতেই হবে আমি আমার বন্ধুকে কথা দিয়ে ফেলেছি৷

রিমান,,,,,,,,, মানে কি, আমি এখন বিয়ে করবো না, আর আমার কতো দিনের স্বপ্ন প্রেম করবো তারপর বিয়ে করবো।

বাবা,,,,,,,,,, জুতা দেখছস।

রিমান,,,,,,,,,, ওয়াও নতুন জুতো ভালে হয়েছে (জুতোর দিকে তাকিয়ে)

বাবা,,,,,,,,, এটা দিয়ে তোকে পিটাবো। আমি আমাকেও বাবা মা দেখে বিয়ে দিয়েছে, আমরা প্রেম কি বুঝতামি না।

রিমান,,,,,,,,, আচ্ছা তাহলে যে আমাদের বলে ছিলে তুমি কোন মেয়েকে ভালোবাসতা আর তাকেই বিয়ে করতে কিন্তু দাদু জোর করে আমার মার সাথে তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে।

বাবা,,,,,,,,,চুপ আস্তে তোর মনে আছে।

মেঘা,,,,,,,,,, বাবা সত্যি এটা (অভাক হয়ে)

রিমান,,,,,,,, ওও নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে পারোনি তো তাই দাদুর সব রাগ আমার উপর ডালছো তাই না, দাঁড়াও আমি মাকে সব বলছি।

বাবা,,,,,,,, খবরদার কিছু বলবি না।

রিমান দৌড়ে তার মার কাছে যায়।

রিমান,,,,,,,,, মা জানো বাবা না বিয়ের আগে একটা মেয়েকে ভালোবাসতো, বিয়ের পড়েও ঐ মেয়ের সাথে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু দাদুর কারনে পারেনি।

বাবা,,,,,,,,, ঐ তুই বাড়িয়ে চারিয়ে কি বলছিস,, চুপ কর না হলে (জুতো নিয়ে)

রিমান,,,,,,,, মা দেখো সত্যি কথা বলতে দেয় না।

মা,,,,,,,, তুমি চুপ থাকো, তোমাকে আমার আগেই সন্দেহ হয়। তুই বল।

রিমান,,,,,,,,, মা বাবা বলে আজকে ঐ মেয়ের কথা খুব মনে পড়ছে, ঐ মেয়ের কাছে চলে যেতে ইচ্ছে করছে, বাবা এগুলো বলছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।

বাবা,,,,,,, তোর মুখে ঠাডা পরবো, এতো বড়ো মিথ্যা কথা।

মা,,,,,,,, কোন মেয়ে কথা মনে পড়ছে, রুমে চলো মনে করাচ্ছি। আজকে তো তোমার একদিন আমার একদিন। (রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়)

বাবা,,,,,,,,, তোরে তো পড়ে দেখমু, আর শুনে রাখ যাই হোক বিয়ে তোকে করতেই হবে।

বলে বাবা মায়ের পিছন পিছন চলে যায়,আজ বাবার খবর আছে।

চলবে,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।