একথোকা কূষ্ণচূড়া পর্ব-১০ এবং শেষ পর্ব

0
346

#একথোকা_কূষ্ণচূড়া
#পর্বঃ১০(শেষপর্ব)
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

২১,
ধারাকে বউয়ের সাজে সাজাচ্ছে তৃপ্তি আর তাহিরা। কথা ছিলো আজ পাত্রপক্ষ দেখে দিনক্ষণ ঠিক করে যাবে। কিন্তু ধারা সকালে উঠেই দেখতে পায় ছোটোখাটো করে বিয়ের আয়োজনের বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। বোনের কাছে জানতে পারে আজকেই বিয়ে পড়িয়ে রেখে যাবে। ধারার অনার্স কমপ্লিট হলে উঠিয়ে নিবে। ধারা সাহস করে বোনকে আর বলেনি, সে শ্রাবণকে ভালোবাসে। ছোটো থেকে যা চেয়েছে, সেটাই তার বোন দিয়েছে। মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। সেই বোনের কথার উপর কিছু বলতে পারেনি ধারা। বউ সাজানো শেষে ঘোমটা-টা মাথায় বসিয়ে দিতেই ধারা চোখ বন্ধ করে নেয়। চোখ দিয়ে টপটপিয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু ঝড়ে ধারার। কার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে কিছু জানেনা ধারা। আগ্রহও নেই জানার। সে শুধু জানে ভেতরে ভেতরে সে শ্রাবণের বিরহে শে’ষ হয়ে যাচ্ছে। তাহিরা আর তৃপ্তি নিরবে ধারাকে সাজানো শেষ করে খাটে বসে পরে। পুরো বাড়িতে তেমন বেশি লোকজন নেই। সাজিয়ার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি,দেবর,জা, ননদ আর সাজিয়ার চাচা-চাচীরা, আর চাচাতো ভাই-ভাইয়ের বউ। পুরো বাড়ি জুড়ে এ ক’জন মানুষেরই আনাগোনা। হইচই নেই কোনো। উঠোনে বরপক্ষ হতে কিছু মুরব্বী আসবে, তাদের খাওয়ানোর আয়োজন করছে সবাই মিলে। এটা বিয়ে বাড়ি নাকি শোক বাড়ি জানেনা ধারা। তাহিরা আর তৃপ্তিকে সাজিয়া দায়িত্ব দিয়েছিলো সাজানোর তারাও সাজিয়ে বসে রয়েছে। সকালবেলা সবার আগমনের হইচই এ ঘুম ভেঙেছিলো ধারার। এরপর জানতে পারে তার বিয়ে। তৃপ্তি,তাহিরা এবং চাচাতো দুই ভাই বউ মিলে কাচা হলুদ ছুইয়ে গোসল করিয়ে এনে তাহিরা আর তৃপ্তি মিলে তাকে সাজালো। অথচ কার জন্য সে সাজলো এটাই এখন অব্দি জানলো না সে। তাহিরা আর তৃপ্তি ধারার মুখপানে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। তাহিরার কত স্বপ্ন ছিলো ধারাকে নিজের জা বানাবে তা আর বোধ হয় হয়ে উঠলো না। কিন্তু বড় ভাবীর তার সিদ্ধান্তের উপর কথা বলার অধিকার বা সাহস কোনো টাই নেই তাহিরার। ধারার আজকে বিয়ে এটা শ্রাবণ জানে কিনা কে জানে। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই তাকেও সাজিয়া ফোন করে তার বাবার বাসায় আসতে বলে। এরপর তো ধারাদের বাড়িতে এসে দেখে ধারার বিয়ে। শ্রাবণকে এই খবরটা কিভাবে দিবে, এই সাহস হচ্ছে না তাহিরার। ঘরের মধ্যে তিনজন জলজ্যান্ত মানুষ বসে আছে অথচ তাদের মাঝে কোনো কথা নেই। চলছে নিবির নিরবতা। সেই নিরবতায় যেনো তাদের একেকটা গভীর দীর্ঘশ্বাস আর মনের কথায় গল্প চলছে। তৃপ্তিও তাহিরার কাছে শ্রাবণ আর ধারার ব্যাপারে আগেই সব জেনেছে। তাই বিয়েটা নিয়ে তারও আগ্রহ নেই। সব নিরবতা ভেঙে ধারাই প্রথমে প্রশ্ন করলো,

” আমার বিয়ে কোথায়? কার সঙ্গে হচ্ছে তোমরা কিছু জানো? ”

” বিয়েটা নিয়েই আগ্রহ নেই। জানবো আর কি ধারা। বড় ভাবী হুট করেই বললো বিয়ে । বললো, আর বললেই বিয়ে হয় নাকি! কথাটাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিয়ের ব্যবস্থা করেই ছাড়লো বড় ভাবী। ”

তাহিরা ধীরস্বরে উত্তর দিলো ধারার কথার। এরমাঝেই সৃজানের চিৎকার বরপক্ষ এসে গেছে। তাহিরা আর তৃপ্তি ধারাকে একপলক দেখে উঠে দাড়ালো। বাইরে চলে গেলো তারা। ধারা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দৃষ্টিপাত করলো। বউ সাজে কত সুন্দর লাগছে তাকে। অথচ এই সাজটা শ্রাবণের জন্য না। কোনো অচেনা পুরুষের জন্য। ভাবতেই একরাশ হাহাকার চেপে ধরছে ধারাকে।

প্রায় অনেকটা সময় পর কাজী সহ ধারার বড় দুই চাচা, সাজিয়ার শ্বশুর মশাই সাজিয়া,সৃজান সহ ধারার ঘরে প্রবেশ করে। সব নিয়ম মেনে ধারাকে রেজিস্টার পেপারে সাইন করতে বলা হলে ধারা সাইন করে দেয়। এরপর কবুল বলতে বলার সময় কাজীর মুখে বরের জায়গায় শ্রাবণ নাম শুনে একটু চিন্তিত হয় ধারা। এ আবার কোন শ্রাবণের সাথে বিয়ে হচ্ছে তার! ভেবে কূল পাচ্ছে না ধারা। তার শ্রাবণ নয় তো! কিন্তু এই নামে তো অনেক মানুষই দুনিয়ায় আছে। কবুল বলা শেষে চোখ বন্ধ করে নেয় ধারা। সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে বিয়ে সম্পূর্ণ হলে।

২১,
ফুলে সাজানোর বাসর ঘরে বসে আছে ধারা। একটু আগে ধারার দুই চাচাতো ভাই বউ ঘরে রেখে গেছে তাকে। বিয়ের পর বউকে যে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, ধারার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তার অনার্স শেষ হওয়ার পর ছোটোখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গিয়েছেন তার শ্বশুর মশাই। বরপক্ষ হতে মাত্র দশজন মানুষ এসেছিলো। বিয়ে পড়িয়ে বউকে দোয়া করে চলে গিয়েছেন তারা। ধারার মনে সবশেষে একটা প্রশান্তির ধারা বয়ে চলছে। বিয়েটা তার শ্রাবণের সাথেই হয়েছে। শ্রাবণ ঢাকা থেকে আসার পর থেকে সাজিয়া আর তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে সব ঠিক করেছিলো। সেই অনুযায়ীই আজ বিয়েটা হলো। গতকাল ধারার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য ছিলো শুধু ধারার মতামত জানার জন্য। অতঃপর তার সম্মতি পেয়ে শ্রাবণ আজ পরিবার সমেত হাজির বিয়ে করতে। ধারার স্বপ্ন শিক্ষকতা করার। সাজিয়ার কাছেই শুনেছে সে, যখন সাজিয়া ধারাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছিলো না। না দেওয়ার কারণ কি! এটা প্রশ্ন করতেই সাজিয়া ধারার স্বপ্নের ব্যাপারে জানতে পারে৷ সেই স্বপ্নকে সম্মান জানিয়ে ধারাকে এখন বাড়িতে নিয়ে যাবেনা শ্রাবণ৷ কিন্তু কোনো দায়িত্ব পালনে হেরফের করবেনা শ্রাবণ এটাও সে বলে দিয়েছে। বিয়ে শেষে বর-বউকে যখন একসাথে খেতে বসানো হয়, তখনই শ্রাবণকে দেখে বিস্মিত হয়ে এমন লুকোচুরি বিয়ের মানে জানতে চাইলে শ্রাবণ সবকিছু খুলে বলে। ধারাকে একটু চমকে দিতে তার এই আয়োজন৷ কিন্তু তার জন্য ধারার যে কি মানসিক অশান্তিতে যেতে হয়েছে একটা রাত! সেই জন্য শ্রাবণ স্যরি বলে দিয়েছে। শ্রাবণের এই পাগলামি গুলোর কথা আনমনে ভেবে হাসছিলো ধারা। তখনই শ্রাবণ দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে। শ্রাবণের পাশে তাহিরা আর তৃপ্তিও আছে। শ্রাবণ ঘরে ঢুকতেই লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে থাকে ধারা। ঘোমটার আড়ালে ধারার মুখ দেখার জন্য উশখুশ করছে শ্রাবণ। তাহিরা আর তৃপ্তি তা দেখে মিটমিটিয়ে হাসছে আর শ্রাবণকে কি’ল-ঘু’ষি মা’রছে। তাহিরা তো শ্রাবণের ছটফটানি অবস্থা দেখে বলে,

” বউ তোমারই থাকবে, পালাচ্ছে না। আমরাও চলে যাবো এখনই। কিন্তু তুমি যা ভয় পাইয়ে দিয়েছিলা ভাইয়া। তোমার সাথে তো আমাদের কথা বলাই উচিত না। আর ধারাকে তোমার কাছে না, আমাদের সাথে রাখা উচিত। কি বলো ছোটো ভাবী? ”

” হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছো ননদীনি। তাড়াতাড়ি তোমার দেবরকে ঘর থেকে বের করো। ”

তাহিরার কথার সাথে তাল মিলায় তৃপ্তি। ধারা মিটমিটিয়ে হাসছে ঘোমটার আড়ালে৷ শ্রাবণ কাঁদো কাঁদো চোখে তাহিরার দিকে তাকায়। তাহিরা তা দেখে উল্টোদিক ফিরে হাসে। তারপর শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে শক্ত গলায় বলে,

” বলো কি করবো? ধারাকে নিয়ে চলে যাবো? নাকি তুমি যাবে? ”

” তোমরা চলে যাও ভাবী। ধারা থাকুক। কত অপেক্ষার পর বউকে পেলাম। তাকে তোমরা নিয়ে যাবে কেনো? আমি তো শুধু তোমাদের সবাইকে একটু চমকে দিতে চেয়েছিলাম। কতগুলা মাস আমার ধারার থেকে দূরে থাকতে হয়েছে, যে মানসিক অশান্তি আমি ভোগ করেছি, তার এক টুকরো আজকে তোমাদের ভোগ করালাম। এখন যাবা তোমরা? ”

শ্রাবণ গোমড়ামুখে উত্তর দেয়। শ্রাবণের কথায় আরেকদফা হাসাহাসি হয়। তাহিরা শ্রাবণের মাথায় টোকা দিয়ে বলে,

” আহারে দেবর আমার বউয়ের কাছে যেতে কত পাগল হয়ে গেছে। এটাই প্রথম দেখলাম বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে জামাই বাসর করতেছে। আর বরকে তার ভাবীরা ঘরে রেখে যাচ্ছে। যেখানে বউকে রেখে যাওয়ার কথা৷ যাই হোক, বেস্ট অফ লাক। গুড নাইট। ”

তাহিরার কথাটা বলেই তৃপ্তির হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তাহসিন আর লাম আজকে তাদের মায়েদের ছাড়াই অনেকটা সময় একা একা থেকেছে। সাজিয়ার শ্বাশুড়ি সামলেছে তাদের। উনি হাপিয়ে উঠেছেন এটা ভেবেই তারা ধারার ঘরে যায়। সেখানেই বাচ্চারা আছে। বাসর ঘরটা সৃজানের ঘরে সাজিয়েছে সৃজান, বড় বোনের কথা অনুযায়ী।

তাহিরা আর তৃপ্তি চলে যেতেই শ্রাবণ দরজার সিটকিনি আটকিয়ে ধারার সামনে গিয়ে খাটে বসে পরে। ধারার বুকের মাঝে ধুকপকানির আওয়াজ যেনো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রাবণ ঘোমটা তুলে থুতনিতে এক আঙুল দিয়ে ধারার মুখ টা তুলে ধরে। অস্ফুটস্বরে বলে,

” মাশা আল্লাহ। আমার কৃষ্ণচূড়াকে আজ কৃষ্ণচূড়ার মতোই লাল টুকটুকে বউ লাগছে। ”

ধারা লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেয়৷ এরপর সেও ধার গলায় বলে,

” তাহিরা আপু ঘরে রেখে যাওয়ার সময় বলেছিলো আপনি আসলে আপনাকে সালাম করতে। যদি উঠে দাড়াতেন। ”

” সালাম তুমি মুখেও দিতে পারো বউ। পায়ে হাত দিয়ে সালাম দেওয়ার নিয়ম আমি মানিনা। রব ব্যতিত কারোর সামনে মাথা নিচু করে সালাম করতে নেই শুনেছি৷ তাই এমনটা করার কোনো মানেই হয়না। ”

ধারা শ্রাবণের মুখে বউ ডাকটা শুনে লজ্জায় আরও গুটিয়ে যায়। শ্রাবণ এই প্রথম তাকে তুমি বলে ডেকেছে। শ্রাবণ ধারার লজ্জা মিশ্রিত মুখপানে কিছু ক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থেকে ধারার হাতদুটো হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে,

” আজ থেকে তুমি আমার জন্য হালাল হয়ে গেছো ধারা। হারানোর ভয় ছিলো, তাই আগেই তোমাকে আমার করে নিলাম। রবের কাছে শুকরিয়া, তিনি আমাকে তোমাকে পাওয়ার তৌফিক দান করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। তুমি শুধু আমায় বিশ্বাস,ভরসা করে পাশে থেকো। ”

ধারা শ্রাবণের এই কথায় নিরবে দুফোঁটা অশ্রু ঝড়িয়ে ফেলে। এই অশ্রু, আনন্দের, পূর্ণতার । শ্রাবণ নিজের আঙুল দিয়ে ধারার অশ্রু সন্তর্পণে মুছিয়ে দেয়। দুহাতে ধারার মুখ আগলে নিয়ে বলে,

” ধারা আজ থেকে হাসবে, সে ঝড়বে,উঠে দাড়াবে কিন্তু সে কাদবেনা। ”

শ্রাবণের কথা শেষ হতেই ধারা ঝাপটে পরে শ্রাবণের বুকের মাঝে। শ্রাবণ পরম ভালোবাসায় নিজের স্ত্রীকে বুকের মাঝে আগলে নেয়। অবশেষে বহু প্রতিক্ষার পর শ্রাবণের ধারা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো।

২৩,
বারান্দায় চেয়ার পেতে আকাশপানে তাকিয়ে আছে সাজিয়া। রাতের একটা বেজে আসছে। নিস্তব্ধ রাত, চারদিকে ঝিঝি পোকার ডাক ব্যতিত কোনো শব্দ নেই। বাড়ির সবাই সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পরেছে। ঘুম নেই শুধু সাজিয়ার চোখে। তাহসিন তৃপ্তির কাছে ঘুমিয়ে পরেছে। সৃজান কলপারে যেতে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হতেই বোনকে এভাবে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে আসে। চেয়ারের পিছনে দাড়িয়ে সাজিয়ার কাধে হাত রাখে সৃজান। তখনই সাজিয়া বলে,

” আমি আমার সব দায়িত্ব পালন করে ফেললাম ভাই। আমার কলিজার টুকরারে অন্য একজনের হাতে তুলে দিলাম। বাবা খুব খুশি হইছে, তাই না ভাই? ”

সাজিয়ার বাচ্চাদের মতো অভিমানী কন্ঠে কথাগুলো শুনে সাজিয়ার সামনে এসে সাজিয়ার কোলে মাথা রেখে কেঁদে ফেলে সৃজান। এরপর জড়ানো কন্ঠে বলে,

” আজ থেকে আমার পেত্নী বোনটার উপর আমার পূর্ণ অধিকার থাকলোনা আপা। তারে ঘরে আনতে হলেও অন্য মানুষের অনুমতি লাগবে। যেমন টা তোমারে আনতে চাইলে লাগে। তোমরা দুইটা মানুষ, আমার আত্মা। দুইজনরেই পরের হাতে দেওয়া লাগলো আপা। আমি কি নিয়া থাকবো আপা? ”

” তোকেও একসময় একটা লাল টুকটুকে বউ এনে দিবো ভাই। সেদিন আমার সব দায়িত্ব শেষ হবে। ”

সাজিয়ার কান্নার মাঝেও হেসে সৃজানের কথার উত্তর দেয়।সৃজানের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনে ভাবে, ওপারে ভালো থাকো বাবা, তোমার চিন্তা নেই। তোমার সাজিয়,রেজিয়া,সৃজান ভালো থাকবে। খুব ভালো থাকবে। আল্লাহ তোমায় জান্নাতবাসী করুক বাবা। দোয়া করো তোমার মেয়ের জন্য, সে যেনো সুখী থাকে তার নতুন জীবনে। ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ। ”

সমাপ্ত