একথোকা কৃষ্ণচূড়া পর্ব-০৯

0
192

#একথোকা_কৃষ্ণচূড়া
#পর্বঃ৯
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

১৮,
” আমাদের কোনো মতলব নেই ধারা। মতলব শুধু একটাই। ”

ধারার প্রশ্নের উত্তর দেয় তাহিরা। ধারা ভ্রু জোড়া কুঁচকে জিগাসা করে,

” এই বললে মতলব নেই। আবার একটা মতলব আছে বলছো! কি মতলব বলো তো? ”

” তোমাকে আমার ছোটো জা বানানো। ”

ধারা নিশ্চুপ হয়ে যায় তাহিরার কথায়। শ্রাবণ হাসছে তার ভাবীর কথায়। তাহিরাও শ্রাবণের সাথে তাল মিলিয়ে হাসলো। একটুপর ধারাকে চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে থাকতে দেখে শ্রাবণ প্রশ্ন করলো,

” হঠাৎ এমন চুপচাপ হয়ে গেলেন কেনো কৃষ্ণচূড়া?”

” আপনি আমার সব প্রশ্নের উত্তর দেননি শ্রাবণ সাহেব!”

” ওয়েল, আমি বলছি। আমার পরিক্ষা শেষ সেজন্য এসেছি। অযথা ওখানে থেকে কি করবো বলুন? ”

” আচ্ছা আমি উঠি, ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে। ”

শ্রাবণ আর ধারার কথা শেষ হতেই তাহিরা বলে,

” একটা কথা শুনে যাও ধারা। ”

ধারা উঠে চলে যেতে ধরে ছিলো । সেজন্য তাহিরা কথাটা বলে। ধারা তাহিরার দিকে তাকিয়ে বলে,

” কি কথা? ”

” আমার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে নিয়ে তোমার সাথে শ্রাবণের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তোমার বড় বাবাদের কাছে পাঠাতে চাই। তোমার মতামত টা জানিয়ে যাও। ”

” এটা সম্ভব না আপু। ”

তাহিরার কথার উত্তর দেয় ধারা। শ্রাবণের হাসিখুশি মুখ মুহুর্তে চুপসে যায়। তাহিরাও মনঃক্ষুণ্ন হয়ে তাকায় ধারার দিকে। ধারা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। শ্রাবণ মুহুর্তে ধারার কাছে দাড়িয়ে ধারার একহাত তার হাতের মুঠোয় নিয়ে হুট করে চুমু খেয়ে বসে। ধারা শ্রাবণের এহেন কান্ডে চোখের পলক ফেলতে যেনো ভুলে গিয়েছে। সে এক নাগারে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে থাকে। শ্রাবণ ধারার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,

” এই যে হাত ধরলাম। ছাড়ছিনা, তাতে আপনার মতামত থাকলেও কি না থাকলেও কি। আপনি আমার ধারা, শ্রাবণের ধারা। ”

কথাটা বলেই শ্রাবণ সরে আসে ধারার কাছ থেকে। তাহিরা মিটমিটিয়ে হাসছে শ্রাবণের পাগলামি দেখে। ধারা অস্ফুটস্বরে বলে,

” আপনি ঠিক আগের মতোই আছেন, বিরক্তিকর। ”

” এই বিরক্তিকর মানুষকেই আপনি ভালোবাসেন কৃষ্ণচূড়া৷ ”

” না বাসি না আমি ভালো। ”

” সাজিয়া ভাবী ঠিকই বলে আপনি মিথ্যা বলতে পারেন না। দেখলেন ভালোবাসেন না বলতে গিয়ে আপনার ঠোট কাপলো, চোখ মাটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।”

শ্রাবণের কথায় ধারা সত্যিই আর উত্তর খুজে পেলো না। শ্রাবণ কথাটা বলেই কোথাও একটা চলে যায়। ধারা ওখানেই মুর্তির মতো দাড়িয়ে থাকে। তার যে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে এটা তার খেয়াল নেই। তাহিরা ধারার কাছে দাড়িয়ে কাধে হাত রেখে বললো,

” ভালোবাসার মানুষের থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবে ধারা? ভাইয়াকে মেনে নাও, স্বীকার করো তার ভালোবাসা। কারণ তুমিও যে তাকে ভালোবাসো। সেটা তোমার চোখেমুখেই প্রকাশ পায়। একটা কথা জানো তো, মুখে সব লুকানো গেলেও চোখ মিথ্যা বলে না। আর ভাইয়া তোমার চোখের কথা, মনের অনুভূতি গুলো একটু হলেও পড়তে পারে। ”

ধারা অসহায় চোখে তাহিরার দিকে তাকায়। তাহিরা আশস্ত করে ধারাকে। ধারাকে বলে,

” জানি যে ঘা”ত প্রতিঘা”ত জীবনে সহ্য করেছো; তাতে ভালোবাসতে ভয় করা স্বাভাবিক। কিন্তু ভরসা করতে পারো। দেখো না, ওর ভাইকে কিন্তু আমি চিনতামও না। অথচ ভালোবাসার কমতি নেই একটুও। শ্রাবণকে তবু তুমি আগে থেকেই চিনলে। ”

কথাটুকু বলেই তাহিরা চলে যায় নিজের ক্লাসের দিকে ঘচলে যায়৷ অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে সে৷ ধারা হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিলো। ক্লাসের সময় পেরিয়ে গেছে। এখন গেলেই একগাদা ব”কা শুনতে হবে শিক্ষকের। তাই মনঃস্থির করলো বাসায় যাবে সে। বাসায় যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই শ্রাবণ আবার এসে ধারার সামনে দাড়ায়। ধারা চমকে যায়। এরপর শ্রাবণকে দেখে ক”টমটিয়ে তাকায় তার দিকে। দাঁতে দাঁত পিষে প্রশ্ন করে,

” আপনার কি জাতের স্বভাব এটা হঠাৎই ভু’তের মতো উধাও হওয়া আর সামনে আসা? ”

” না কৃষ্ণচূড়া এটা আবার জাতীয় স্বভাব। ”

হাসিমুখে উত্তর দেয় শ্রাবণ। ধারা ফের বিরক্তিকর চাহনীতে তাকায় শ্রাবণের দিকে। শ্রাবণ তা দেখে বুকে একহাত দিয়ে বলে,

” এইভাবে তাকাবেন না কৃষ্ণচূড়া। বারবার প্রেমে পরে যাই। ”

ধারা চারদিকে খেয়াল করে দেখে অনেক স্টুডেন্ট’স তাদের দেখছে আর চলে যাচ্ছে। সে শ্রাবণকে বলে,

” এটা পাবলিক প্লেস মিঃ শ্রাবণ। ”

” তাতে কি, প্রেয়সীকে দেখতে বাবা মায়ের সামনেও তাকিয়ে থাকতে রাজী আমি৷ ”

” আপনি আসলেই একটা নির্লজ্জ,বিরক্তিকর মানুষ জানেন। ”

” জানি। ”

কথাটা বলেই শ্রাবণ ফের গিয়ে ধারার মুখোমুখি দাড়ায়। ধারা শ্রাবণের চোখের দিকে সরাসরি দৃষ্টি ফেলে। শ্রাবণও তাকিয়ে আছে ধারার দিকে। সময় যেনো তাদের জন্য থমকে গেছে। তারা কোথায় দাড়িয়ে আছে তাদের চোখে তৃষ্ণা মি’টাতে গিয়ে সে খেয়াল নেই।

২০,
শ্রাবণ ধারার দিকে তাকিয়ে থাকা অবস্থাতেই নিজের জিন্স প্যান্টের পকেট থেকে একটা কৃষ্ণচূড়ার কলি বের করে ধারার হিজাব গলিয়ে কানের উপর বসিয়ে দেয়। এরপর ফিসফিসিয়ে বলে,

” আবার বলছি, আপনি আমার ধারা, শ্রাবণের ধারা। ধারা ব্যতিত শ্রাবণের বর্ষণ অপূর্ণ। আপনি আমার একথোকা কৃষ্ণচূড়া, আমার ধারা। পুরো কৃষ্ণচূড়ার গাছের দিকে সবাই হাত বাড়ায় ফুলের আশায়। কিন্তু একথোকা কৃষ্ণচূড়া একটা মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত। আমি সেজন্য আপনাকে গাছের সাথে তুলনা করলাম না। এতোদিন আমার চাকরি বা কোনো কাজ ছিলো না বলে এতো দাবী নিয়ে সামনে দাড়াইনি। কিন্তু আজ দাড়ালাম। আর আমি সরছিও না আপনার জীবন থেকে, আগের বারের মতো। আর সরলেও শ্রাবণের ভালোবাসার বর্ষণে ধারা ঠিক প্রবাহিত হয়ে আমার কাছে চলে আসবে। ভালোবাসি আপনাকে, খুব বেশিই ভালোবাসি ধারা। আসি, নিজের খেয়াল রাখবেন। পরে দেখা হচ্ছে। ”

শ্রাবণ কথাগুলো বলেই ধারার হাত ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। ধারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শ্রাবণের কথাগুলো শুনছিলো, সেই ঘোর থেকে ধারা বেরুতে পারেনি। ঠায় দাড়িয়ে রইলো, কৃষ্ণচূড়ার গাছের নিচে। শ্রাবণ চলে যেতেই সে কৃষ্ণচূড়ার কলি টা কানের উপর থেকে নিয়ে হাতে নেয়। মুচকি হেসে একটা চুমু খেয়ে বসে কলি টায়। এরপর হাঁটা ধরে বাসার দিকে। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হতেই ধারা ভাইকে দেখতে পায়। অবশ্য রোজই দেখতে পায়। প্রতিদিন ক্লাস শেষে তার ভাই এসে তাকে নিয়ে যায়। সৃজান অন্য একটা ভার্সিটিতে পড়াশুনা করছে। গেটের একধারে দাড়িয়ে ঘড়িতে সময় দেখছে আর বারবার ক্যাম্পাসের দিকে তাকাচ্ছে সে। ধারা ভাইয়ের সামনে গিয়ে দাড়ায়। সৃজান ধারাকে দেখে একটু চমকে তাকায়। এই মানুষগুলোও যেনো কেমন! একটুতেই চমকে যায়। ধারা খিলখিলিয়ে হাসছে ভাইয়ের চেহারার অবস্থা দেখে। সৃজান ধারাকে দেখে বলে,

” তোর ক্লাসের সময় তো শেষ হয়নি। এতো তাড়াতাড়ি বের হলি আজ? ”

” শেষ ক্লাস করিনি ভাইয়া। কিন্তু তুমি আজ এতো তাড়াতাড়ি আসলে যে? ”

” আমিও তোর মতো শেষ ক্লাস না করেই বেরিয়ে এসেছি কলেজ থেকে। ”

” ওহ আচ্ছা। ভাইয়া ফুচকা খাবে? প্লিজ। ”

২১,
সৃজান ফুচকা পছন্দ করেনা। বাইরের স্ট্রিট ফুড তার একদমই পছন্দ না, ধুলাবালি, কিভাবে বানায় না বানায় দুনিয়ার অভিযোগ তার স্ট্রিট ফুডের বিরুদ্ধে। সেজন্য ধারা মুখটা কাচুমাচু করে আবদার টা করে। সৃজান বোনের কাঁদো কাঁদো স্বরে গলে গিয়ে বলে,

” আচ্ছা খাবো। কিন্তু জাস্ট ওয়ান প্লেট ওকে? ”

ধারা খুশিতে ভাইকে পারেনা জড়িয়ে ধরে। লাফ দিয়ে সৃজানের গালে একটা চুমু দিয়ে বলে,

” লাভ ইউ ভাই। ”

এরপর দৌড়ে গিয়ে একটা ফুচকা স্টলে বসে দুই ভাইবোনের জন্য দুপ্লেট ফুচকা অর্ডার দেয়। সৃজানও হেঁটে এসে বোনের পাশে চেয়ার নিয়ে বসে। ধারা খুশিতে বাচ্চাদের মতো চি”ল্লিয়ে ফুচকা তাড়াতাড়ি বানিয়ে দিতে বলছে ফুচকাওয়ালা-কে। ভাইয়ের বারণে সে তেমন একটা খায় না বাইরের খাবার৷ সৃজান বোনের হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। সবসময় বোনকে গম্ভীর, একরোখা মনোভাবের মুখোশে আড়াল থাকতে দেখে সে। আজ হাসতে দেখে মনে মনে একরকম শান্তি অনুভব করছে সে। ফুচকা ওয়ালা ফুচকা দিয়ে যেতেই ধারা টক দিয়ে ফুচকা খেতে শুরু করেছে। সৃজান ফুচকার প্লেট নিয়ে বসে আছে। ধারা ৩-৪টা ফুচকা খেয়ে ভাইয়ের দিকে খেয়াল করে দেখে সে খাচ্ছে না। তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে ভ্রু নাচিয়ে ভাইকে বুঝায়, কি? সৃজান মাথা নাড়িয়ে কিছুনা বুঝায়। ধারা ভাইয়ের প্লেট থেকে একটা ফুচকা টকে চু”বিয়ে ভাইয়রে মুখের সামনে ধরে। সৃজান ফুচকা টা খেয়ে নেয়। বোনকে এতো খুশি দেখে অজান্তেই চোখ দিয়ে একফোটা পানি গড়িয়ে পরলো সৃজানের। তার যে একটা ছোটো বোন আছে, সেই বোনের ভালোবাসা সে কখনও এভাবে পায়নি। জানে ধারার দুনিয়া সে আর তার বড় আপু, কিন্তু মেয়েটাকে হাসিখুশিতে মুড়িয়ে রাখতে ব্যর্থ ছিলো সে। নিজেকে একজন অকর্মণ্য ভাই মনে হতো। আজ মনে শান্তি লাগছে, অনেক শান্তি। ভাইবোনের সম্পর্ক হয়তো এমন, একমুহূর্তে হাসাতে পারে। আবার কিছু হলে কাদাতেও পারে। ভাইবোনের ভালোবাসা স্নিগ্ধ ভালোবাসা, এখানে কোনো অপবিত্রতা নেই। ধারার হাসিখুশি মুখের দিকে তাকিয়ে আনমনে এসব ভাবছিলো সৃজান। ধারা নিজের প্লেটের ফুচকা শেষ করে ভাইয়ের দিকে ফের তাকায়। আবারও নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ধারা প্রশ্ন করে,

” কি হয়েছে ভাইয়া? আমাকে এভাবে দেখছো যেনো কতজনম আমায় দেখো না। ”

” তোকে দেখেছি সবসময়ই, শুধু আজকের মতো হাসতে দেখিনি। হাসিখুশি থাকিস এমন, ভালো লাগে। ”

ধারা নীরবে হাসে সৃজানের কথায়। সে জানে তার পাগল ভাইটা তাকে ভীষণ রকম ভালোবাসে, শুধু ঝ”গড়ার আড়ালে ভালোবাসা গুলো লুকিয়ে রাখে। ফুচকা খাওয়া শেষ করে বিল দিয়ে দু ভাইবোন হাটা ধরে বাসার দিকে। ধারার আবদার আজ হেটে বাসায় ফিরবে। ধারার কথা রেখেছে সৃজান। রাস্তার পাশ ঘেষে বোনের পাচটা আঙুলে আঙুল বদ্ধ করে সাবধানে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। বা পাশে নিজে থেকে বোনকে ডানপাশে রেখেছে যেনো কোনো বিপদ না হয়। ধারা নিষ্পলক ভাইয়ে কিছু ক্ষণ দেখে। একদম বাবাদের মতো করে আগলে রাখছে তাকে। বড় ভাইবোন হয়তো বাবা মায়ের মতোই হয়। বাবা মায়ের কথা মনে হতেই কয়েকটা পানি গড়িয়ে পরে ধারার চোখ দিয়ে। এরপর রাস্তার পাশেই দোকান দেখে আইসক্রিমের জন্য বায়না ধরে ধারা। ধারার সাথে সৃজানকেও খেতে হবে। ধারা এমনটাই বলে দিয়েছে সৃজানকে। সৃজান বোনের আবদার মিটায়। এরপর আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় এসে পরে। বাসায় এসে গেট খোলা দেখে ভাবে হয়তো বড় আম্মুরা কেউ বাসায় ঢুকেছে৷ উনারা যে ওরা ভার্সিটিতে যাওয়ার পর এসে রান্না করে রেখে যায়। দুজনে বাসায় ঢুকতেই সাজিয়াকে দেখতে পায়। সৃজান আর ধারা একেঅপরের মুখের দিকে তাকায়। সাজিয়াকে এই সময় বাড়িতে দেখে অবাক হয়। সাজিয়া তাহসিনকে খাওয়াতে ব্যস্ত বিধায় ওদের খেয়াল করেনি। ধারা বোনের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলে,

” আপু তুমি এই সময়? কখন আসলে?

সাজিয়া ভাইবোনকে খেয়াল করে ধারার কথার উত্তর দেয়,

” একটা কাজে এসেছি। তোরা ফ্রেশ হয়ে নে। কিছুক্ষণ আগে এসেছি। এসে শুধু রান্না করেছি। খেতে বসবো একসাথে। ফ্রেশ হ গিয়ে। ”

” কিন্তু কি কাজ আপু? ”

সৃজান এগিয়ে এসে প্রশ্নটা করে। সাজিয়া ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয়,

” ধারাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে কাল। ”

সাজিয়ার উত্তরে ধারার পায়ের তলার মাটি যেনো নড়বড়ে হয়ে যায়। আজ যে শ্রাবণকে সে বুঝিয়েই দিয়েছে সে শ্রাবণকে ভালোবাসে। কিন্তু এখন তার বোন আবার পাত্রপক্ষও খুজে বের করে ফেলেছে তার জন্য? কি করবে সে! বোনকেও মানা করতে পারবেনা, আবার শ্রাবণের জায়গায় অন্য কাউকে মানতেও পারবেনা। মাথা ঘুরে উঠে ধারার। আলুথালু পায়ে এগিয়ে যায় নিজের ঘরের দিকে। সৃজান বিষয়টা খেয়াল করে বললো,

” ধারা মনে হয় বিয়ের জন্য তৈরি না আপু। ”

” সেটা আমি বুঝবো। তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো। যাও। ”

সৃজান বড় বোনের উপর আর কথা বললো না। নিজের ঘরের দিকে যায়। সাজিয়া ভাইবোনের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে ভাবে, ‘ ধারার ভালোর জন্য এটুকু আমার করতেই হবে। তাতে ওর মতামত থাকুক বা না থাকুক। ‘

চলবে?