এমনটা কথা ছিলো না পর্ব-০৮

0
223

গল্প:- #এমনটা কথা ছিলো না পর্ব-০৮
লিখা:- AL Mohammad Sourav

আমার বিয়ের পর আজ প্রথম আমি কলেজে যাচ্ছি আমার স্বামীর সাথে। যখনি দরজার সামনে চলে আসছি তখনি পিছন থেকে আমার শ্বাশুড়ি ডাক দিয়ে আমাকে দাঁড়াতে বলে। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। ওনি কাছে এসে আমাকে বলে কলেজে যাচ্ছো ঠিক আছে যাও। তবে তোমাকে একটা কথা বলে দেয় ছোট করে। কথাটা হচ্ছে কলেজে গিয়ে তুমি আমার জন্য কাজটা স্বহজ করে দিলে। এখন তুমি যেতে পারো বলেই ওনি চলে গেছে। আমি কিছুই বুঝতে পারিনি কেনো ওনি এমন কথা বলেছে? তবে যা বলুক আমি সৌরভের বিশ্বাসের অর্মযাদা কখনো করবো না। সৌরভ বাইকটা নিয়ে এসেছে আমি বাইকের পেছনে বসেছি।
সৌরভ:- মা তোমাকে কিছু বলেছে?
সুমি:- বলেছে আমি কলেজে যাওয়ার কারণে ওনার নাকী কাজটা স্বহজ হয়ছে। আর কিছুই বলেনি। আচ্ছা আপনি কি বলতে পারেন মা কেনো এই কথা বলেছে?
সৌরভ:- কেনো বলেছে তা বলতে পারছি না। তবে তোমাকে অনেক সাবধানে কলেজে যেতে হবে। আর তাছাড়া তুমি এত চিন্তা করোনা আমি তো আছি তোমার পাশে। আচ্ছা নামো তোমার কলেজের সামনে চলে এসেছি।
সুমি:- হ্যা নামতেছি।
সৌরভ:- তোমার কলেজ ছুটি হবে কখন?
সুমি:- অনেকদিন পর কলেজে এসেছি ঠিক বলতে পারছি না। তবে ছুটি হলে আমি আপনাকে ফোন করে ডেকে নিবো।
সৌরভ:- আমি আসতে পারবো না। অফিস থেকে ছুটি দিবে না। তুমি এক কাজ করো ছুটি হলে একটা ডাইরেক রিকশা করে বাড়ীতে চলে যাবে। নাও এই টাকাটা রাখো।
সুমি:- এত টাকা লাগবে না। এখান থেকে পঞ্চাশটাকা ভাড়া হবে রিকশা।
সৌরভ:- কথা কম বলে রাখো। আচ্ছা আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে আমি যাই।
সুমি:- ঠিক আছে সাবধানে যাবেন। সৌরভ চলে গেছে আমি আজ তিন মাসের বেশী সময় পর কলেজে পা রেখেছি। কলেজে ঢুকতেই আমার বান্ধবী রিপাকে দেখতে পেলাম। রিপা আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরেছে।
রিপা:- সুমি তুই কলেজে! তা কি মনে করে এসেছিস?
সুমি:- কিছু মনে করে নয়। আমি আবার পড়া লেখা করবো। এখন থেকে নিয়মিত কলেজে আসবো।
রিপা:- সত্যি! তোর জামাই শ্বশুর শ্বাশুড়ি সবাই তোকে পড়তে অনুমতি দিয়েছে?
সুমি:- হ্যা। তা চল অনেকদিন পর কলেজে এসেছি। একটু ক্লাস রুমটা ঘুরে আসি। রিপাকে সাথে নিয়ে ক্লাস রুমে যাচ্ছি এক এক করে আগের অনেক বান্ধবীদের সাথে দেখা হচ্ছে। কিছু ছেলে ফ্রেন্ড ছিলো তাদের সাথেও দেখা হলো। সবার সাথে অল্প কথাবার্তা বলেছি। অবশেষে ক্লাস রুমে এসেছি রিপার পাশে বসেছি। আচ্ছা রিপা তা সেলিবাসের খবর কি?
রিপা:- সেলিবাসের খবর জানতে চাস না। সামনে মাসে প্রথম সেমিস্টার। আমার তো মনে হয় আমি গুল্লাই যাবো পড়া লেখা একদম মন বসে না। বাড়ী থেকে বিয়ে দেখছে যদি বিয়েটা হয়ে যেতো তাহলে ভালোই হত।
সুমি:- এখনো তোর ফাজলামি যায়নি। আচ্ছা আমি তো অনেকদিন ধরে একদম কিছুই পড়িনি। তা এখন আমাকে একটু সাহায্য করবি?
রিপা:- হ্যা বল কি সাহায্য চাস?
সুমি:- তুই যেই স্যারদের কাছে কোচিং করিস ওনাদের কাছে কি আমাকে ভর্তি করিয়ে দিবি।
রিপা:- এই কথা ঠিক আছে কলেজ ছুটির পর আমি তোকে নিয়ে যাবো।
সুমি:- ঠিক আছে দোস্ত। কিছুক্ষণ পর টিচার এসেছে। এক এক করে তিনটা ক্লাস করিয়ে ছুটি দিছে আজকে। কিছু বুঝতে পারিনি কেনো এত তাঁড়াতাড়ি ছুটি দিছে। রিপা আমাকে সাথে নিয়ে ওর কোচিংয়ে ভর্তি করিয়ে দিছে। আজ প্রথম দিন তাই আমি কোচিং করিনি আগামীকাল থেকে করবো বলে বাহিরে এসেছি। একটা রিকশা নিয়েছি তখনি আমার সাথে অন্য একটা ছেলে এসে রিকশাতে বসে গেছে। আরে আপনি কে আমার রিকশাতে উঠেছেন কেনো? তখনি ছেলেটা বলে।
রিকশাটা আপনার কিন্তু দেখে তো মনে হচ্ছে না আপনি রিকশা চালাতে পারেন! তখন আমি পচন্ড রেগে গিয়ে রিকশাটা থামিয়ে দিয়ে নেমে পড়ি। তখন ছেলেটাও নেমে গিয়ে বলে। দেখুন রাগ করছেন কেনো? আমরা দুজনে তো এক রাস্তা দিয়ে যাবো।
সুমি:- আপনি আমাকে চিনেন কি করে? তখন ছেলেটা মুচকি হেসে বলে। আমি নয়ন আপনি আমাকে চিনবেন না তবে আমি আপনাকে অনেক ভালো করে চিনি। আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি সেই স্কুল থেকেই। আজ অনেকদিন হলো আপনাকে দেখছিনা। মনে করেছি আপনার বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু না আজ কলেজে দেখে প্রাণটা ফিরে এসেছে। তখনি একটা গোলাপ বের করে আমার হাত জোঁড় করে ধরিয়ে দিয়ে বলে। আমি তোমাকে পচন্ড ভালোবাসি সুমি। প্লিজ তুমি না করোনা।
সুমি:- দেখুন আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে আমি বিবাহিত। আমার স্বামী আছে আর আমি আমার স্বামীকে পচন্ড ভালোবাসি। আর আমার স্বামিও আমাকে পচন্ড ভালোবাসে। প্লিজ আপনি অযথা আমাকে বিরিক্ত করবেন না।
নয়ন:- আমাকে বোকা বানাতে আর পারবে না। আমি জানি তুমি বিয়ে করোনি। আচ্ছা আজ যাই এখন থেকে রোজ রোজ কলেজে দেখা হবে। বলেই নয়ন নামের ছেলেটা চলে গেছে। আমি থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুই বুঝতেছিনা। আচ্ছা এসব কথা কি সৌরভকে বলবো! নাহ থাক যদি পরে কিছু মনে করে। আজকের মত কিছু বলবো না। আর যদি এমন করে তাহলে সৌরভকে বলে দিবো। তখনি একটু এগিয়ে এসে অন্য একটা রিকশা ঠিক করে বাড়ীতে এসেছি। শ্বাশুড়ি আর বড় ভাবি দুজনে হাসা হাসি করছে। আমি কিছু না বলে রুমে গিয়ে কাপড় চ্যাঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে শ্বাশুড়িকে বলি।
সুমি:- মা রান্নাবান্না কি সব হয়ে গেছে?
শ্বাশুড়ি:- নাহ তোমার জন্য সব রেখে দিছে বড় বৌ সবকাজ করে নিছে। তুমি তো রাজরানী তোমার মত কপাল কয়জনের আছে! যাও গিয়ে দুপুরবেলার খানা খেয়ে নাও।
বড় ভাবি:- মা আমি কিন্তু রোজ রোজ দুপুরবেলা রান্না করতে পারবো না। এমনিতেই আমার হাত কেমন কালো হয়ে যাচ্ছে এই রান্না করতে গিয়ে।
শ্বাশুড়ি:- বৌমা এক সাপ্তাহ কষ্ট করো এরপর সব ঠিক হয়ে যাবে। আর সুমি তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো যাও গিয়ে খাবার খেয়ে আমাদের উদ্ধার করো। যখন আমি চলে আসতেছি তখনি ওনি ডেকে বলে। রান্নাঘরে হাড়িপাতিল গুলি পরে আছে খাবার শেষে ধুয়ে নিও।
সুমি:- ঠিক আছে মা। আমি খাবার খেয়ে রান্নাঘরে গিয়ে হাড়িপাতিল মেঝে পরিষ্কার করে রুমে এসে একটু ঘুমিয়ে গেলাম। বিকালে আচরের আযান শুনে ঘুম ভাঙ্গছে। আমি উঠে নামাজ পড়ে বই নিয়ে পড়তে বসেছি। ঘন্টা খানেক পড়ে আর রিপাকে ফোন করে কিছু নোটের সন্ধান নিলাম। মাগরিবের নামায শেষে রাতের খাবার তৈরি করতে গেছি তখনি বড় ভাবির রুম থেকে কিছু কথা ভেসে আসছে। শুন কম করে এক সাপ্তাহ তোকে কিন্তু আমাদের প্ল্যান মত কাজ করতে হবে। আর কাজটা কম্পিলিট করতে পারলে তুই তোর হাদিয়া পেয়ে যাবি। আর কোনো কথা শুনতে পেলাম না। বড় ভাবি কাকে কাজ করতে বলছে? মনে হয় ওনার কোনো কাজ হবে! আমার এসবে মাথা ঘামানোর কোনো দরকার নেই। আমি গিয়ে রাতের খাবার তৈরি করে নিয়েছি। এর মাঝে সৌরভ এসে ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে লেপটবে কি যেনো করছে। আমি রুমে ঢুকতেই লেপটবে চোখ রেখেই আমাকে বলে।
সৌরভ:- সুমি কলেজে কেমন সময় কাটছে আজকে তোমার?
সুমি:- হ্যা আলহামদুলিল্লাহ ভালোই কাটছে। তবে অনেকদিন পর তাই কিছুটা আন ইজি ফিল হয়ছে।
সৌরভ:- দুই তিনদিন গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তা তোমার কোনো অসুবিধা হয়নি তো কলেজে?
সুমি:- নাহ তেমন কোরো অনুবিধা হয়নি। তবে আমি নাহ রিপার সাথে ওর কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে গেছি। সামনের মাসে পরীক্ষা হবে প্রথম সেমিস্টারের তাই।
সৌরভ:- ভালো কাজ করেছো। আচ্ছা খাবার রেডি হয়ছে?
সুমি:- হ্যা। আর সবাই তো দেখলাম টেবিলে বসেছে।
সৌরভ:- ঠিক আছে চলো আমরা খেয়ে আসি। সৌরভের সাথে করে দুজনে গিয়ে খেয়ে এসেছি। রাতে সৌরভ ঘুমিয়ে গেছে। আমি পড়তেছি রাত ১২টার দিকে আমি সৌরভের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়েছি। প্রতিদিনের মত আজ দুজনে এক সাথে উঠে নামায পড়েছি। আজ কলেজে যাবার সময় শ্বাশুড়ি তেমন কোনো কিছু বলেনি। আর আমাকে তেমন কাজের কথাও বলেনা। সৌরভ আমাকে কলেজে নামিয়ে দিছে। আমি নিজে থেকেই বলেছি।
সুমি:- আজ আমার বাড়ীতে যেতে দেরী হবে। কোচিং দুই ঘন্টা আর কলেজ ছুটি হয় ১টার দিকে।
সৌরভ:- ঠিক আছে সাবধানে চলে যেয়ো। আজকে আমার হাতে দুইশত টাকার নতুন একটা নোট ধরিয়ে দিছে। আর বলেছে। খিদা লাগলে কিছু খেয়ে নিও।
সুমি:- ঠিক আছে। সৌরভ চলে গেছে আমি কলেজে গেছি রিপার সাথে আমি স্কুল লাইফ থেকেই এক ব্যাঞ্চে বসে আসছি আর কলেজেও এক সাথেই বসি। দুজনে মিলে ক্লাস শেষে কোচিংয়ে গেলাম। স্যার আমাকে আগের কিছু নোট দিয়ে দিছে আর বলেছে একটু বেশী সময় নিয়ে নোট গুলা কম্পিলিট করতে পরীক্ষার আগেই। কোচিং শেষ করে বেড়িয়েছি। রিপা চলে গেছে আমি রিকশা নিবো তখনি নয়ন নামের ছেলেটা একটা বাইক নিয়ে এসে বলে।
নয়ন:- সুমি বাইকে বসো আমি তোমাকে তোমাদের বাড়ীতে ছেড়ে দিবো।
সুমি:- দেখুন আমি বিবাহিত আমার বর আছে।
নয়ন:- মিথ্যা বলে লাভ নেই চলো আমি তোমাকে নামিয়ে দিবো। আমি আর কিছু বলিনি একটা রিকশাকে ডেকে উঠে পড়ি। নয়ন পিছন পিছন আসতেছে এক প্রকার রিকশাটা থামিয়ে দিয়ে আমার হাত ধরে টান মেরে নিচে নামিয়ে দিছে।
সুমি:- দেখুন আপনি কিন্তু বেশী করতেছেন?
নয়ন:- সুমি তুমি কেনো বুঝতেছো না। প্লিজ আমাকে আর না করোনা। তখনি আমি একটা পলুশকে ডাক দেয় আর নয়ন তার বাইক নিয়ে চলে যায়। নাহ এভাবে আর হবে না সৌরভকে সবগুলি কথা বলতে হবে। আমি বাড়ীতে এসে মনটা খারাপ করেই রুমে গেছি। মনে মনে চিন্তা করতেছি না কলেজেই যাবোনা সৌরভ যদি ভুল বুঝে আর তাছাড়া ছেলেটা যদি খারাপ কিছু করে ফেলে। আজ সৌরভ আসলে বলবো আমি আর পড়া লেখা করবো না। এইসব চিন্তা করতেছি তখনি আমার মোবাইলে মেসেজ এসেছে একটা অচেনা নাম্বার থেকে। মেসেজটা দেখে মাথাটা হ্যাঙ্গ হয়ে গেছে। মেসেজে লিখা সুমি আমি সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসি প্লিজ তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না। আমি মেসেজটা ডিলেট করে নাম্বারটা ব্লাকলীষ্টে ফেলে দিছি। আজ আর দুপুরবেলা খায়নি রুমে ছিলাম সারাটা দিন মনটা ভিষণ খারাপ গেছে। সন্ধা বেলে সৌরভ এসেছে। আমি সৌরভকে কিছু বলবো তখনি দেখছি ফোনে কেমন জোঁড়ে আর রাগারাগি ভাবে কথাবার্তা বলছে। আমি কিছুই বলিনি। এখন রেগে আছে কিছু বলবো পরে আরও সমস্যা হবে ঠান্ডা মাথায় সব বলবো। রাতটা চলে গেছে সকালে সৌরভ আমাকে কলেজে নিয়ে গেছে তবে আজ তেমন কোনো কথা বলেনি আমার হাতে টাকা দিয়ে চলে গেছে। কলেজে ঢুকে কারো সাথে কোনো কথা বলিনি সোজা ক্লাসে ঢুকে গেছি আজ রিপা আসেনি ফোন করেছি বলছে কি কাজ আছে। আমি ক্লাস শেষ করে কোচিং করে চলে আসতেছি ঠিক নয়ন আগের মত করে আমার রাস্থা আটকিয়েছে।
নয়ন:- গতকাল তুমি মেসেজের উত্তর দাওনি ভালো কথা কিন্তু আমার নাম্বারটা ব্লক করেছো কেনো? আমি কিছুই বলিনি তাও নয়ন আমার পিছু নিতে লাগলো। আমি চলে আসতেছি তখনি পেছন থেকে আমার হাতটা ধরে বলে।
নয়ন:- সুমি চলো কোথাও গিয়ে একটু গল্প করি। তখন এক ঝাঁটকায় হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলি।
সুমি:- দেখুন আপনাকে কতবার বলবো আমি আপনাকে চিনি না। আর আমি আমার স্বামীকে ভালোবাসি।
নয়ন:- তোমার বিয়ে হয়ে গেলেও আমি তোমাকে ভালোবাসবো। দরকার হলে আমি তোমার স্বামীর সাথে ডির্ভোস করিয়ে দিবো। তখনি আমি রেগে গিয়ে ওকে ঠাস করে এক থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। আর বলি।
সুমি:- তোকে যদি আর কোনোদিন আমার সামনে আসতে দেখি তাহলে কিন্তু আমি আমার স্বামীকে সব বলে দিবো। তখন লোকজন জড়ো হয়ে গেছে আর আমি সবাইকে বলেছি ছেলেটা আমাকে একা পেয়ে বিরিক্ত করছে। তখন সবাই মিলে নয়নকে তাঁড়িয়ে দেয়। আমি একটা রিকশা নিয়ে আজকের মত বাড়ীতে চলে আসি। নাহ আজ সৌরভকে সবকিছু বলতে হবে। বলে আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে খেয়ে নিলাম। রান্নাঘরে কিছু কাজ ছিলো সেই গুলি করে রুমে গিয়ে শুয়ে সৌরভকে ফোন করেছি কিন্তু ফোন রিসিভ করেনি। মনে হয় কাজে আছে। আমি নোট গুলি খুলে একটু পড়ার আর বুঝার চেষ্টা করেছি। রাতে সৌরভ এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেছে খেতে তখনি বড় ভাবি সৌরভের দিকে ওনার মোবাইলটা এগিয়ে দিয়ে বলে সৌরভ দেখ তো ছবি গুলি।
সৌরভ:- কিসের ছবি?
বড় ভাবি:- চেয়ে দেখো কিসের ছবি? তখনি সৌরভ তাকিয়ে দেখে সুমি আর একটা ছেলে রিকশাতে বসে আছে। সুমির হাতে সেই ছেলেটা গোলাপ দিতেছে। সৌরভ এসব দেখে অনেকটা রেগে গিয়ে আমার দিকে মোবাইলটা এগিয়ে দিয়ে বলে।
সৌরভ:- সুমি এসব কি? তোমাকে আমি কতটা বিশ্বাস করি আর তুমি আমার বিশ্বাসের এই দাম দিলে? আমি ছবি গুলি দেখি নয়ন নামের ছেলেটা আমার সাথে যা যা করেছে সবগুলি ছবি তোলেছে।
সুমি:- দেখুন কোথাও একটা ভুল হচ্ছে কেউ ইচ্ছে করে আমাদের মধ্যে ঝগড়া লাগাতে চাচ্ছে। এই গুলা সব প্ল্যান করে কেউ করেছে। তখনি সৌরভ বসা থেকে উঠে গিয়ে বলে।
সৌরভ:- সুমি তোমার সাথে এত কিছু হয়ে গেছে আর তুমি আমাকে বলোনি! তোমার সাথে তো আমার এমনটা কথা ছিলো না। তুমি আমার বিশ্বাসের এই দাম দিলে?
সুমি:- ছেলেটা কলেজের প্রথম দিন থেকে আমাকে বিরিক্ত করছে। আমি আপনাকে বলতে চায়ছি কিন্তু তখনি বড় ভাবি বলে উঠে।
বড় ভাবি:- তুমি বলতে চায়ছো তাহলে বলোনি কেনো? আর তাছাড়া আমরা সব জানি ঐ ছেলেটা আমাকে আজ সবগুলি ছবি দিছে আর বলেছে তোমার সাথে ওর চার বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক। আমি কিছু বলতে যাবো তখনি সৌরভ বলে।
সৌরভ:- সুমি তুমি এখুনি তোমার সবকিছু গুচিয়ে নিবে সকালে আমি তোমাকে তোমার বাড়ীতে দিয়ে আসবো। তুমি আমার বিশ্বাসটা এই ভাবে ভেঙ্গে দিতে পারলে। আমি কিছু বলতে যাবো তখনি সৌরভ খাবার গুলি রেখে উঠে বাহিরের দিকে চলে গেছে।

চলবে,,,,