তবু কেন এত অনুভব পর্ব-১০

0
375

#তবু_কেন_এত_অনুভব🕊
#written_by_Liza
#১০ম_পর্ব

দোয়ার মা মুহুর্তে বলে ওঠে ” না আমি কোথাও বিয়ে দেবো না,”

আজীম শেখ ধমক দিয়ে বলে
” আহ নাদিম দোয়ার ভালো চায়। সবকিছুতে বাড়াবাড়ি করো না তো ”

আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দেবো না ব্যাস, তোমার যেমন সন্তান আমারো সন্তান। আমারো অধিকার আছে মতামত দেওয়ার। (দোয়ার আম্মু)

দোয়ার আম্মু রেগে চলে গেলো, আজীম শেখ চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।

তানাফ সবাইকে বিদায় দিয়ে দোয়াকে নিয়ে সোজা ক্লিনিকে চলে আসে।দোয়া সবার দৃষ্টির অগোচরে ওটিতে ঢুকে, পিও’র মা সুস্থ তাই ওটিতে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়নি। তানাফের কথা অনুযায়ী দোয়া পিও’র মায়ের সাথে দেখা করে।

পিও’র মা দোয়াকে দেখে জড়িয়ে ধরে,দোয়া তার কাকিমনির এই অবস্তা দেখে কাঁদছে। আজীম শেখ নার্সকে বলছে ” পেশেন্টের সাথে দেখা করা যাবে? জ্ঞান ফিরেছে? পুরো এগারো ঘন্টা হয়ে গেলো এখনো কিছু জানালো না ডক্টর। পেশেন্ট কেমন আছে? ”

নার্স আজীম শেখ’কে এড়িয়ে যায়,আজীম শেখ হতাশ হয়ে বেঞ্চিতে বসে আর দোয়ার আম্মুকে বলে ” পিও’র মায়ের কি হয়েছে, কেন এমন হয়েছে যতক্ষণ না জ্ঞান ফিরছে কিছুই জানতে পারবো না। কোন জায়গায় যে এলাম এরা একটু আশ্বাস ও দিচ্ছে না। এখান থেকে অন্য কোথাও পিও’র মাকে শিফট করবো। এখানে আশ্বাস পাচ্ছি না ”

দোয়ার আম্মু চুপচাপ শুনে যাচ্ছে একের পর এক। আজীম শেখ কাঁশি দিয়ে হালকা মনোযোগ পেতে চাইলো। দোয়ার আম্মু অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বলছে
” ডক্টরদের কাজ ডক্টরদের বুঝতে দেওয়া উচিৎ। একেক জায়গায় শিফট করলে ভুল মেডিসিনে আমাদের ছোটুর (পিও’র মায়ের) ক্ষতি হতে পারে ”

আজীম শেখ কথা না বাড়িয়ে বসে আছে, ওটি থেকে দোয়া বেরোতেই নাদিম শেখের চোখে পড়ে, নাদিম শেখ দোয়ামনি বলতে বলতে ওটির সামনে গিয়ে দাড়ায়। দোয়া হকচকিয়ে দাড়িয়ে পড়ে, দোয়াকে দেখে পিও,রীধী, দোয়ার আম্মু,সবাই এগিয়ে আসে।
সবাই ঘিরে ধরেছে দোয়াকে। দোয়া ঘামছে,দোয়া ঢোক গিলে শান্ত স্বরে বলে ” আমি কাল রাতেই এসেছি কেবিনে ছিলাম,তোমরা কাকিমনিকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলে তাই ভাবলাম সকালে সবার সাথে কথা বলবো ”

নাদিম শেখের কেমন যেনো সন্দেহ লাগলো। নাদিম শেখ দোয়াকে আষ্টেপৃষ্টে কথার জালে ফাসিয়েছে, নাদিম শেখ দোয়াকে বলছে ” এটা কেমন কথা? তোর কাকিমনি তুই দেখতে আসবি আবার কেবিনে কেন থাকতে হলো?বুঝলাম না তো।তুই যদি কেবিনেই থাকিস, আমি তো কেবিনের পাশেই ছিলাম। আমি কেন দেখতে পাই নি? সত্যি করে বল কখন এলি? সারারাত কোথায় ছিলি? ”

দোয়া ঘামছে, রাফি, ইভা,মায়া এসে হাজির। রাফি দোয়াকে ডাক দিয়ে বলে ” কাল রাতে এভাবে কাকিমনির জন্য চলে এলি,একটাবার আমাদের কথা শুনলি না। এখন কাকিমনি কেমন আছে? ”

আজীম শেখ সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে ” এটা ক্লিনিক এখানে মাছের বাজার করছো কেন? যা কথা হবে বাড়িতে। এখানে কোনো সিনক্রিয়েট করো না। চুপ হও ”

নাদিম শেখ আড়চোখে দোয়াকে পর্যবেক্ষণ করছে,দোয়া মুখ টিস্যু দিয়ে মুছে অন্যদিকে তাকিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে নাদিম শেখ’কে।

দোয়া ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছে তার মেঝো কাকাই কেমন প্রকৃতির। দোয়াকে তার কাকিমনি সব বলে দিয়েছে।

নাদিম শেখের দেওয়া টাকাগুলো তানাফ দোয়ার মায়ের হাতে দেয় আর বলে ” এগুলো নাদিম শেখের টাকা। এই টাকাগুলো দিয়ে ডিল করতে এসেছিলো। আমি আপনার কাছে দিলাম। এগুলো যে তার নিজের হালাল টাকা তা বলা যাচ্ছে না। হতেও পারে আপনাদের টাকা। তাই আপনিই রাখুন ”

দোয়ার মা তানাফের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে
” কি বলে যে তোমার এ ঋণ শোধ করবো বাবা জানিনা। ”

তানাফ রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে ” এই টাকাগুলো আপনাদের প্রাপ্য। ঋনের ব্যাপারটা তোলা রইলো। কখনো কিছু চাইলে আশা করি সেদিন ঋণ শোধ হয়ে যাবে ”

দোয়ার মা তানাফের কথাশুনে কিছু বুঝে উঠতে পারলো না। তানাফ বিদায় দিয়ে ডক্টর রুমে এসে সকল ফাইল রেডি করছে।

রাফি,ইভা,মায়া এরা তিনজন তানাফের সাথে দেখা করার জন্য কেবিনে বসে আছে। নাদিম শেখ বারবার পায়চারি করছে এদিক-ওদিক।

সবাই বুঝতে পেরেছে নাদিম শেখের অবস্তা। নাদিম শেখ বিড়বিড় করে মনে মনে বলছে
” কে জানে মরেছে কি-না, জ্ঞান না ফিরলে একটিবার জানানোর কথা। আমার তো মোটেও সুবিধের ঠেকছে না বাপু। একটা বার কি ওটিতে ঢুকে দেখবো? না না ঢুকবো না,ধরা পরে গেলে সবাই বুঝে যাবে। তার চেয়ে বরং নজর রাখি সবার উপর ”

দোয়া বেঞ্চিতে বসে আছে,নাদিম শেখ দোয়ার পাশে গিয়ে বসে আর বলে ” তোর জন্য খুব ভালো সম্মন্ধ এনেছি বুঝলি? না করিস না। খুব সূখী হবি। ”

দোয়ার রাগে শরীর কাঁপছে দোয়া চুপচাপ সহ্য করে যাচ্ছে৷ রাফি সবটা শুনতে পেয়ে তানাফকে বলে দেয়। তানাফ হেসে বলে
” সমস্যা নেই। দোয়া রাজি হলে আমিও রাজি। ”

রাফি হতাশ হয়ে কিছু বলে না আর। তানাফ মিটমিট করে হাসছে আর মনে মনে বলছে ” বিয়ে তো হবেই তবে কার সাথে সেটা আমি ফিক্স করবো। ”

দু’দিন পার হয়ে গেলো। ফেইক রিপোর্ট রেডি করে পার্সোনালি নাদিম শেখ’কে দিলো তানাফ। নাদিম শেখ রিপোর্ট দেখে খুশি, কিডনি নেওয়া হয়েছে। নাদিম শেখ মনে মনে বলছে ” ধুকে ধুকে মরবি, আর আঘাত করবো না। মরবি যখন ভালোভাবে মর।এরপর আমি শান্তি ”

তানাফ নাদিমের কান্ড দেখে হাসছে,ইনান তানাফের সাথে দাড়িয়ে আছে। নাদিম শেখের ফেস দেখে ইনান তানাফকে বলে ” স্যার এই ব্যাটা বহুত খুশি হইলো বুঝতেছি। যদি জানতে পারে ফেইক রিপোর্ট। তাইলে এই ব্যাটা অন্যের মরা*র খুশি উৎযাপন করতে গিয়ে নিজে ম*রে বসে থাকবে ”

তানাফ ইনানের এলোমেলো চুলগুলো আরেকটু এলোমেলো করে দিয়ে বললো ” ইনান তুমি না থাকলে আমি ভালো থাকতাম না। তোমার জন্য আমার মন ভালো থাকে। ”

ইনান জ্বীভে কামড় দিয়ে হেসে বলে ” স্যার ছেলেভাবি জান তো আপনাকে সুখে রাখতে পারলো না।তাই আমিই নাহয় আপনাকে সুখে রাখলাম।আফটার অল আমার প্রিয় স্যার ”

তানাফ ইনানের কান টেনে দিয়ে বলে ” ফাজিল হয়েছো খুব ”

আহ ছাড়ুন স্যার লাগছে, এখন যদি কান খুলে চলে আসে সবাই আমাকে কানকাটা ইনান ডাকবে (ইনান)

তানাফ হেসে দেয় ইনানের কথায়।

পিও’র মাকে নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে যায়। পিও’র মা কিছুটা সুস্থ, সারা বাড়িতে হৈ হুল্লোড়।

নাদিম শেখ কাকে যেনো ফোনে বলছে ” কাল অথবা পরশু করে চলে এসো। মেয়ে একদম ইন্টেক। ভালো লাগবে আশা করি। টাকা আনতে ভুলো না যেনো। প্রথমে কয়েকদিন নতুন বাড়িতে রাখবে ওকে। এরপর যা ইচ্ছা করে পাচার করে দিও৷ খবরদার মেয়ে যেনো দেশে ফিরতে না পারে কোনোভাবে। ঠিক আছে এই কথায় রইলো। আসার আগে আমাকে জানিয়ে দিও ”

নাদিম শেখ ফোন রেখে ড্রয়িংরুমে বসে পত্রিকা পড়ছে, পিও’র মা হুইল চেয়ারে বসে আছে মূর্তির মতো। পিও’র মা সবটা শুনে চুপ করে আছে।

দুপুর গড়িয়ে রাত হলো,নাদিম শেখ আজীম শেখ’কে বললো ” ভাইজান আমার একটু কাজ আছে তাই রাতে বেরোতে হবে।কাল সকালে অথবা পরশু ফিরবো,তুমি একটু পিও’র মাকে দেখো। রাত বেরাতে কি হয় বলা যায় না। ”

আজীম শেখ’কে বুঝিয়ে শুনিয়ে নাদিম শেখ বেরিয়ে পরে, রাতে সবাই খাওয়াদাওয়া করে শুয়েছে। পিও ফোনে গুনগুনিয়ে কথা বলছে বারান্দাতে, হোস্টেল থেকে আসার পর পিও অন্যমনস্ক হয়ে আছে। সারাদিন মোবাইলের সাথে লেগে আছে। এই ব্যাপারগুলো দোয়ার আম্মু খেয়াল করে।

রাত দেড়টা….

দোয়ার আম্মু রুমে এসে উঁকি দেয় পিও’র মা ঘুমিয়েছে কি-না দেখতে। দোয়ার আম্মু খেয়াল করে বারান্দায় কে যেনো গুনগুনিয়ে কথা বলছে, দোয়ার আম্মু বারান্দায় গিয়ে দেখে পিও একটা ছেলের সাথে কথা বলছে বারান্দায়। ছেলেটি বারান্দার নিচে দাড়িয়ে ইশারায় পিওর সাথে কথা বলাতে ব্যাস্ত।

দোয়ার আম্মু পিওর কাঁধে হাত রাখতেই পিও ভয়ে আৎকে ওঠে, পিও দোয়ার আম্মুর পায়ে ধরে বসে পরে আর বলতে শুরু করে ” কাকিমনি প্লিজ বাবাকে বলো না, বাবা খুব বকবে।”

দোয়ার আম্মু পিও দাড় করিয়ে পিও’র মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে ” এভাবে কথা বলাটা কী ঠিক? ভালোবাসিস ওঁকে?”

পিও মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সম্মতি দেয়। দোয়ার আম্মু পিওর গালে হাত দিয়ে বলে ” ওর আব্বু আম্মুকে কাল আসতে বলবি। পাকা কথা সেরে নেবো”

পিও দোয়ার আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বলে ” সত্যি কাকিমনি? ”

দোয়ার আম্মু আশ্বাস দিয়ে পিও’র মায়ের কাছে চলে যায়, পিও’র মা বেঘোরে ঘুম। দোয়ার আম্মু পিও’র মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলে “জানি না ছোটু,নাদিম কেন এমনটা করছে, তুই পরের মেয়ে হয়ে এতটা বুঝিস, সে আপন র*ক্তের ভাই হয়েও তোর ভাসুরকে বুঝলো না রে”

পিও’র মা দোয়ার আম্মুর আওয়াজে চোখ মেলে দেয়,
চোখ বেয়ে অনর্গল পানি ঝড়ছে। পিও’র মা দোয়ার আম্মুকে বলতে লাগলো “দোয়াকে বিয়ে দিস না,দোয়াকে বিয়ে দিস না”

পিও’র মা কথা বলতে পারছে না, মাথায় ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। পিও’র মা কথাগুলো বলে ঝিমিয়ে পরে।
দোয়ার আম্মু হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রুমে চলে আসে।

পিও তার মায়ের পাশে শুয়ে পড়ে মহা আনন্দে,
ফজরের আজান পরছে পিও’র মা হুইল চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ সেরে নেয়, শরীর কিছুটা ভালো লাগছে এখন। বারান্দায় গিয়ে বসে আছে। ফজরের নামাজের পর শীতল বাতাস শরীরটাকে যেনো সতেজ করে দিয়েছে।

পিও’র মা ফোন নিয়ে কার্ডে থাকা নাম্বার ঠুকে নিলো, তানাফের ফোনে অনবরত রিং পরছে। তানাফ সবেমাত্র নামাজ সেরে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। রিং পরার কারণে তানাফ ওঠে বসে অনিচ্ছাস্বত্তেও৷ তানাফ ফোনের স্ক্রিণে তাকিয়ে দেখে আননোন নাম্বার। তানাফ ফোন রিসিভ করে সালাম দিতেই অপরপাশ থেকে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ভেসে ” বাবা আমি দোয়ার কাকিমনি,”

তানাফের চোখে ঘুমের রাজ্য যেনো মুহুর্তেই উধাও। তানাফ বলছে ” জ্বি আন্টি বলুন। শরীর ভালো তো? হঠাৎ এই সময়ে ফোন। সব ঠিক আছে? ”

দোয়ার কাকিমনি এক এক করে নাদিম শেখের সকল কথা বলে দেয় তানাফকে,সবটা শুনে তানাফের অস্থিরতা বেড়ে গেছে।
তানাফ দোয়ার কাকিমনিকে বলে ” চিন্তা করবেন না আন্টি, আমি এই ব্যাপারটা দেখছি ”

দোয়ার কাকিমনি স্বস্তির শ্বাস ফেলে ফোনটা রেখে ঘুমাতে চলে যায়।

দুপুরে পিওকে দেখতে আসে পাত্রপক্ষ।কথাবার্তা পাকাপাকি হয়ে গিয়েছে। পিও বেজায় খুশি যাকে চেয়েছে তাকে পেতে চলেছে।

আজীম শেখ ঠিক করেছে পিও ও দোয়ার বিয়ে একসাথেই দেবে একই দিনে। দোয়ার জন্য পিও’র বিয়েটা আটকে আছে।

এদিকে তানাফ তার পরিবারকে দোয়ার কথা জানিয়ে দেয়, তানাফ একমাত্র ছেলে হওয়াতে কোনো আবদারের কমতি ছিলো না তার। তানাফ যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। তানাফ দোয়ার ছবি দেখিয়ে তার বাবাকে বলে
” আব্বু এই মেয়েকে আমি বিয়ে করতে চাই আপনারা কী বলেন? এই মেয়েকে ভালোবাসি আমি, তবে বিয়ে করার আরো একটা কারণ আছে। আমি যত দ্রুত সম্ভব বিয়েটা সেরে ফেলতে চাই ”

তুমি এখন বড় হয়েছো,একজন খ্যাতিমান ডক্টর, তোমার ভালো-খারাপ বোঝার ক্ষমতা আছে৷ তুমি ভালোবাসো যেহেতু অবশ্যই বিয়ে করবে। কিন্তু বাবা কারণটা কী আলাদা সেটা খুলে বলো, তোমার আম্মু শুনুক (তানাফের আব্বু)

আব্বু ওর নাম দোয়া,ওকে ওর নিজের কাকাই পাচার করে দেওয়ার চিন্তায় আছে। সম্পত্তির লোভে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার চেষ্টাই আছে। গত দু’দুদিন আগে আমি দোয়ার কাকিমনিকে বাঁচিয়েছি। দোয়ার কাকা দারুন চতুর চালাক, সে পুরো সম্পত্তির জন্য সবাইকে মারার ছক কষেছে। এটাই হলো কারণ আব্বু। আমি দোয়াকে হারাতে চাইনা। ওর পরিবারকে প্রটেক্ট করতে চাই (তানাফ)

তানাফের কথা শুনে মুহুর্তেই রাজি হয়ে যায় তানাফের আব্বু। তানাফের আব্বু,আম্মু রাজি দোয়াকে তানাফের বউ করার জন্য।

তানাফ নিশ্চিত হয়ে প্লানমাফিক এগোতে থাকে।

নাদিম শেখ বাড়ি এসে পিও’র বিয়ের কথাবার্তা শুনে ভেতরে ভেতরে রেগে যায়। নাদিম শেখ মনে মনে বলে ” সমস্যা নেই দোয়ামনিকে বিক্রি করে যা পাবো তাতেই আমার চলবে”

চলবে….