তুই আমার কাব্য পর্ব-১৮

0
1966

#তুই_আমার_কাব্য 🍂

#Writer: Anha Ahmed
#Part: 18
.
🍁
.

চতুর্ভুজ আকৃতির ছাদ। ছাদের দক্ষিণকোণে একটা চিলেকোটার ঘর। চিলেকোঠার ঘরের উপরে ছোট্ট একটা ছাদ। সেই ছাদে ওঠার জন্য সাইডে একটা লোহার সিড়ি। মেঘলা সেই ছাদের ওপরই ভর দুপুর বেলা বসে বসে পরম নিশ্চিন্তে পা ঝুলিয়ে দুলিয়ে কাঠ বিড়ালের সহদোর রূপে বড়ই খাচ্ছে। সে কি আরাম! মেঘলাকে না দেখলে বুঝা দায়। কোন ব্যক্তি যে সূর্য মাথার উপর এমন সময় এইভাবে ছাদে বসে এতোটা আয়েশ করতে পারে তা আসলেই অবিশ্বাস্য। তবে হ্যা সে এক হাত ওড়না মাথায় টেনে রেখেছে নামে যা না দিলেও চলে তবে ওই যে মনের শান্তির বলে একটা ব্যাপার আছে না? ওরকমই। বাগানের এক কোণায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এক কামিনী ফুল গাছ। বড়ই খেতে খেতে মেঘলার চোখ যায় সেই গাছের দিকে। সেখানে একজোড়া পাখি বসে আছে। এই মুহুর্তে পাখিগুলোর নাম মনে আসছে না তবে সে চেনে। কেনো জেনো মেঘলার পাখি দুটোকে বিরক্ত করার এক অদ্ভুদ ইচ্ছা জাগ্রত হলো। কিন্তু কিভাবে করবে? কোনো কিছু দিয়ে ঢিল দিতে গেলে অনেক জোড় লাগবে আর যার ফলে পেটে টান লাগার আশঙ্কা আছে। একটা গুলতি হলে মন্দ হতো না। কিন্তু গুলতি সে পাবে কোথায়? খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে মেঘলা। যেনো এইটা অত্যাবশকীয় একটা কাজ না করতর পারলে নির্ধারিত চাকরিটা সে হারাবে। বাড়িতে কোথাও এর সন্ধান পেলেও পেতে পারে এই আশায় মেঘলা ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে । দুতালা দিয়ে হাঁটার সময় একটা রুম অতিক্রম করেও আবার পেছনে উঁকি দেয় মেঘলা। রুমটার সামনে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি করে দাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করছে রুমটা কাব্যর কিনা। পর্দাটা সামান্য সরিয়ে রুমে ভেতর উঁকি দেখে পাশের দেয়ালে বেশ কয়েকটা কাব্যর ছবি খুবই সুন্দর করে সাজানো রয়েছে। একটা শয়তানি হাসি দিয়ে আরেকটু ভালো করে পেছনে ও রুমের ভেতরে তাকিয়ে কারো অস্তিত্ত্ব আসে কিনা বুঝার চেষ্টা করার পর দেখলো একদমই ফাঁকা ময়দান। চাইলেই অনায়েসে কয়েকটা গোল খাইয়ে যেতে পারে। টুক করর রুমের ভেতর ডুকে চারপাশটা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছে মেঘলা। বেশ গোছানো, সুসজ্জিত রুমটা। দেখে কেউ বলবেই না এটা কোনো ছেলের রুম। মেঘলা বেশ নিরব আনন্দে রুমটা দেখে যাচ্ছে। মেঘলার কাছে রুমটাকে একটা যাদুঘরের মতো মনে হচ্ছে। সে প্রতিটি জিনিস দেখেই খুবই মজা পাচ্ছে। কেনো তার কারণটা মেঘলা আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে বলে মনে হচ্ছে না। একটা দরজার কাছে যেতেই ওপাশ থেকে পানি পড়ার শব্দ পাচ্ছে মেঘলা। কেউ আছে। কাব্য! মেঘলা ভয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যাবে তখন আবার থেমে গিয়ে বির বির করে বলে,

– নাহ্ মেঘলা! মাঠে নেমে পালিয়ে যাওয়া একদমই ঠিক না। মাঠে যখন নেমেছিস তখন গোল তো তোকেই দিতেই হবে। আর তার মাঝে মাঠ ফাঁকা। এমন সুযোগ বারবার খোদা করে দেবে না তোকে। তোর মনের সুপ্ত ইচ্ছেটা এইভাবে পূরণ করার সুযোগ হাত ছাড়া করতে পারিস না। কতক্ষণ লাগবে? আর ওনি তো ওয়াশরুমে। দুইতিন মিনিটের মধ্যে আমার কাজ হয়ে যাবে।

মেঘলা একটা লম্বা নিশ্বাস নিয়ে আলতো পায়ে আলমারির কাছে গিয়ে একটা তাক খোলার চেষ্টা করে কিন্তু সেইটা আটকানো। আরেকটা তাক খোলার সময় ফোনের ম্যাসেজের শব্দে মেঘলা আঁতকে উঠে। ওই যে কথায় আছে না চোরের মন পুলিশ পুলিশ। মেঘলা হাফ ছেড়ে আবারো কাজে লেগে পড়ে। তাক টা খুলতেই কাব্যর জামা কাপড় চোখে পড়ে। আহা! দেখেই যেনো ঈদ ঈদ অনুভূতি জাগছে মেঘলার। আবারো কিছু একটা মনে হতেই মেঘলার আনন্দ ফুস। পেছন ঘুরেই কাব্যর টেবিলের দিকে গিয়ে বইয়ের ওপর দেখে একটা কেঁচি নিয়ে আবারো আলমারির কাছে গিয়ে সবকটা শার্টের বোতাম কেটে ফেলে দেয়। ইচ্ছে করছিলো জামাগুলো কেটে কুচি কুচি করতে কিন্তু এতোটা সাহস হলো না মেঘলার। শার্টগুলো গুছিয়ে রাখার সময় একটা ছোট্ট অ্যলবাম চোখে পড়ে যা খুবই স্পেশালভাবে ডেকোরেশন করে রাখা। মানুষ জন্মগত কৌতুহুলী। মেঘলা সেই জন্ম সূত্র থেকে প্রাপ্ত কৌতুহলের বশেই অ্যলবামটা হাতে নিতে যাবে তখনই খেয়াল করলো কেউ দরজা খুলছে। কোনোরকমে আলমারিটা আটকিয়ে আলমারির পাশে কোণায় নিজেকে লুকিয়ে নিলো। ভয়ে তো হাত পা কাপছে। প্রাণের প্রদ্বীপ নিভু নিভু অবস্থা। দুই হাত মুখের কাছে নিয়ে শুধু মনে মনে ভাবছে ‘এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দাও খোদা ‘। মেঘলা সামান্য উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে কাব্যর অবস্থান। কাব্য একটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পড়ে চুল তোয়াল৷ দিয়ে মুছতে মুছতে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ভেজা ভেজা চুলগুলো কপালে পড়ে আছে। মুখটায় ভেজা ভেজা ভাব। নাহ্! এতটা সৌন্দর্য ছেলেদের মানায় না। সৌন্দর্য কেবলমাত্র মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। মেয়েদের অপেক্ষা ছেলেরা সুন্দর হলে হয় প্রেম জাগে না হলে হিংসা। ফর্সা শরীর এক ফালি কাপড়ও নেই। কাব্যর এমর অবস্থা দেখে মেঘল্ লজ্জায় সাথে সাথে নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে নেয় মেঘলা। রুমে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে মেঘলা আস্তে আস্তে চোখ খুলতেই চোখ ছানাবড়া। কাব্য একদম ওর সামনে তাও আবার এক হাত দিয়ে একপাশের রাস্তা আটকে আছে আরেকহাত পকেটে। কাব্য এইভাবে ওকে ধরর ফেলবে তার আশঙ্কা মেঘলার ভাবনায় দুর দুরান্তেও ছিলো না। এখন কি হবে? কি বলবে? ভেবেই মেঘলার আত্মায় খরা লাগছে। মেঘলা কাব্যর রিয়েকশন বুঝার জন্য ওর দিকে তাকায়। কাব্য মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে তবে চোখের কিংব্ মুখের ভাব একদম ভাবলেশহীন। রেগে আছে নাকি নরমাল কিছুই বুঝতে পারছে না মেঘলা। পরিস্থিতি সামলে নেয়ার জন্য মেঘলা একটা মেকি হাসি দিয়ে বলে,

– আ আ আপনি? এ এটা আ আপনার রু রুম? আ আমি তো জা জানতাতামই না। আসলে কি কি হয়েছে বললুন তো কিছু একটা ডুডুকেছে তো সেইটা দেখতে পেয়ে আমিও আ আরকি ডুকেছি।

কাব্য মনোযোগ দিয়ে মেঘলার কথা শুনে যাচ্ছে। এখনো সেই অবস্থায়ই খুবই নরমাল কন্ঠে বলে,

– আচ্ছা তাই নাকি?

– হ্যা হ্যা তাই ই।

– আচ্ছা যদি তাইই হবে তাহলে কিছু খুঁজে পেয়েছো কি?

– না আসলে……. বিড়াল, হ্যা আমার মনে হয় বিড়াল ডুকেছিলো কিন্তু জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে আমাকে দেখে।

– বাহ্! অনেক বড় উপকার করলে তো। তা বিড়ালটা আমার আলমারিতে কি করছিলো? দেখেছো নাকি?

কাব্যর কথায় মেঘলার ভেকে যায়। মনে মনে ভাবতে থাকে,

– কি বলবো এখন? আর আলমারির কথাই বা বলছে কেনো? তাহলে কি ব্যাটা খাটাশে দেখেছে? নাহ্! দেখবে কি করে? দরজা খুললে তো বুঝতে পারতাম আমি। তবে? আন্দাজে বলছে না তো আমাকে ধরার জন্য? আর এতো সহজে কথা বিশ্বাস করার মতো এতো ভালো মানুষ তো ইনি নন। আমি ধরা খেলে কি হবে? ওনি যদি সবাইকে বলে দেন? আমার তো পনেরোটা বেজে যাবে।

মেঘলা চোখ তুলে দেখে কাব্য এখনো মেঘলার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । মেঘলা একটা ছোট্ট ঢোক গিলে উত্তর দেয়,

– তা আমি কি করে বলবো? আমি এসে তো দেখেনি নি। আশ্চর্য! আমি আপনার তো ভালোই করতে গিয়েছি আর আপনি কিনা আমাকেই জেরা করছেন? ভালোর জামানাই নাই। এর জন্যই তো মানুষের ভালো করতে নেই। সরুন দেখি যেতে দিন। আর কোনোদিন আপনার ভালো করতে যাবো না।

মেঘলা যেতে চায় কিন্তু কাব্যর হাত সড়ানো ওর মতো মোমের পুতুলের পক্ষে সম্ভব হলো না। মেঘলার কাব্যর হাত দু হাত দিয়ে সড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু না পেরে কাব্যর দিক ঘুরে আবারো মেকি একটা হাসি দিলো কারণ সে বুঝতে পারছে কাব্য তার কথা বিশ্বাস করে নি। কাব্য মেঘলার আরো কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। কাব্যর এবাবে কাছ আসা দেখে মেঘলা আলমারির সাথে একদম মিশে যায় ভয়ে। চোখ খিঁচে বন্ধ করে মাথা নিচু করে আছে। তখনই খেয়াল করলো বুক ধুকধুক করছে। মাথা উচু করে চোখ খুলে কাব্যর দিকে অবাক অবাক এক দৃষ্টিতে তাকায়। কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করছে। ভয়ের বিন্দুমাত্র ভাবটাও এখন তার নেই মেঘলার মাঝে। চেনা লাগছে, খুবই চেনা। এই নিশ্বাসের শব্দ, এই শরীরের ঘ্রাণ, নিশ্বাসের উষ্ণতা, এই দ্বিতীয় হৃদয়ের উপস্থিতির অনুভূতি সব কিছু খুবই চেনা। মেঘলাকে এতো কাছে এসে কাব্যর নেশার ঘোর লাগছে কেমন জেনো। মেঘলার চোখের দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলো মেঘলাও অপলক তাকিয়ে আছে। কাব্য বুঝতে পারছে মেঘলার মাঝে ভয় না কোনোকিছু মিলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সাথে সাথে সরে গিয়ে মেঘলার হাত টেনে রুমের মাঝে এনে দাঁড় করায়। আচমকা এমন হওয়ায় মেঘলা আঁতকে ওঠে। কাব্যর দিকে তাকিয়ে দেখে চোখে রাগ ফুটে ওঠছে। কাব্যর রাগান্বিত চোখ দেখে মেঘলা ভয়ে হাতের আঙুলে আরেক হাতের আঙুলের সাথে খামছে ধরে আছে। সে যে ধরা পড়ে গেছে তা স্পষ্ট। কাব্য বিছানা থেকে ফোনটা ওঠিয়ে ফোনটা মেঘলার সামনে ধরে। মেঘলা ফোনের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করেছে। পরক্ষণেই বুঝতে পারলো কাব্য কিভাবে বুঝতে পেরেছে তার আলমারি কেউ ধরেছে। কাব্য ফোনটা বিছানায় রেখে আয়নার সামনে গিয়ে বাহিরে রাখা একটা সাদা টি-শার্ট পড়ে চুল আছড়াতে আছড়াতে বলে,

– আমার রুমে ডুকে আমার জিনিস নষ্ট করে যাবে আর সেইটা বুঝতে পারবো না সেইট্ ভাবলে কি করে? সাধে কি তোমাকে মাথা মোটা বলি? অবশ্য তোমারও বুদ্ধির দোষ দেওয়াও যায় না। ভাবছো তো কিভাবে আমি বুঝতে পারছি?

কাব্য ঘুরে দাড়িয়ে ড্রেসিনটেবিলে হেলান দিয়ে মেঘলার দিকে তাকিয়ে আবার বলে,

– ওই যে আলমারির হ্যান্ডেলটা ওখানে ফিঙ্গার প্রিন্টের এর্লাম সেট করা। আমি ছাড়া অন্য কেউ টাচ করলে এসএমএস যাবে যেটা কিছুক্ষণ আগে তোমাকে দেখালাম। এসএমএসটার শব্দ শুনে অতি সাবধানে দরজাটা খুলে দেখলাম একটা ইয়া বড় বিড়াল তার শিকারে মগ্ন। সে এতোটাই আনন্দের সাথে শিকার করছে যে আশপাশটা খেয়াল করতেও নারাজ। তোমার জন্য দুঃখ লাগছে। ইশ্! কতটা সাহস নিয়ে এতো বড় কাজটা করতে এসেছো অথচ ব্যর্থ হয়ে গেলো। সব মেহনতে ঠান্ডা পানি। তো বলো তোমাকে কি শাস্তি দেওয়া যায়? সবাইকে ডেকে জানাবো নাকি যে আমার রুমে কত বড় বিড়াল ঢুকেছে? নাহ্! আমি বরং ভাবিকেই বলি। যা বিচার করার ভাবিই করুক।

কাব্য ওঠে দরজার দিকে যাবে তখনই মেঘলা দৌড়ে কাব্যর হাত টেনে কাঁদো কাঁদো মুখে বলে,

– না না প্লিজ প্লিজ! আপিকে বলবেন না। যা শাস্তি দেয়ার আপনি দিন। আমি মাথা পেতে নিবো। প্লিজ কাউকে বলবেন না। প্লিজ। কি করতে হবে বলুন? আমি করবো সেটাই। এর আগেও তো যা বলেছেন তাই করেছি এবারও তাই করবো।

মেঘরা কাব্যর হাত ধরে আছে কাব্য সেটা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো। মেঘলাও ব্যাপারটা বুঝে হাত ছেড়ে দিয়ো দুরে গিয়ে দাঁড়ায়। কাব্য মেঘলার দিতে তাকিয়ে তারপর আলমারির দিকে যায়। আলমারি খুলে সবকটা শার্ট খাটের ওপর রেখে মেঘলার উদ্দেশ্য বলে,

– আজকে রাতে আমার রুমে বসে এই সব গুলো জামার বোতাম নিজে লাগিয়ো দেবে। এমনভাবে লাগাবে জেনো পরের বার টেনেও না ছেড়া যায়৷ যদি ছিড়ে যায় তবে খবর আছে।

কাব্য আরো কয়েকটা শার্ট পাশের তাক খুলে বের করে নিজেই বোতাম ছিড়তে লাগলো। কাব্যর এমন কাজ দেখে মেঘলা অবাকের শীর্ষ চূড়া থেকে ধাম করে পড়ে গেলো। কাব্য সেগুলো কাটার পর সবগুলো একসাথে করে মেঘলার উদ্দেশ্য বলে,

– ফার্স্টে সবগুলো শার্ট ধুয়ে দেবে তারপর আমার সামনে বসে বোতামগুলো লাগবে। ওকে!

কাব্যর কথা শুনে মেঘলা অসহায় দৃষ্টিতে একবার কাব্য দর দিকে আবার শার্টগুলোর দিকে তাকায়। না হলেও বিশটা শার্ট আছে। ছিড়তে তো মজাই লেগেছে কিন্তু সেলানো কি মুখের কথা? হাত পা ছড়িয়ে ওখানেই বসে কান্না করতে ইচ্ছে করছে মেঘলার। কেনো বার বার ওর সাথেই এমন হয়। এই কাব্যকে শিক্ষা দিতে গিয়ে নিজেই উল্টা নিজের পায়ে কুড়াল মারলো। মেঘলার তো নিজের উপরেই রাগ হচ্ছে। নিজের চুল নিজেই টেনে ছিড়তে মন চাচ্ছে। কাব্য রুম থেকে রাগে গটগট করে বের হয়ে গেলো। আর কাব্য মেঘলার রিয়েকশন দেখে শয়তানি মুচকি হাসি দেয়।

চলবে….. ❤

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। হ্যাপি রিডিং ❤