তুই আমার জানপাখি পর্ব-০৩

0
3877

তুই আমার জানপাখি
writer : Faria Siddique
Part 3

আচ্ছা আমি কি গল্পে ভিলেন আনব।নাকি এভাবেই চালিয়ে দিব।আর সবাই যদি ভিলেন চান তাহলে জানান।

গাড়ি টার সাথে ধাক্কা খেয়ে আমার বাইকের সামনের লাইট ভেঙে গেছে।যা দেখে আমার রাগ সপ্তম আসমান এ চরে গেল।নিজের রাগ কে আর কন্ট্রোল করতে না পেরে হাতের কাছে কিছু খুজছিলাম আর পেয়েও গেলাম একটা সুন্দর লাঠি।লাঠি টা হাতে নিয়ে দারিয়ে আছি।দেখলাম গাড়ি র ভেতরের প্রানি বাহিরে এসে উল্টো আমার সাথে রাগ দেখাচ্ছে।

আপনারা ঠিক ধরেছেন। উহা আমার হিরো সাহেবের গাড়ি।
রুদ্রঃhey,stupid girl…দেখে গাড়ি চালাতে পারো না???(রেগে)
আমিঃআর সম্ভব না আমার রাগকে আমি আর কন্ট্রোল করতে পারছি না। (মনে মনে)
রুদ্রঃচুপ কেন?speak up (চিল্লিয়ে)
আমি don’t care ভাব নিয়ে গাড়ির কাছে গিয়ে আমার হাত এ থাকা লাঠি দিয়ে দিলাম সামনের হেড লাইট দুইটা ভেঙে। তারপর ও দেখতাছি রাগ কমতাছে না তাই দিলাম সামনের গ্লাস তা ভেঙে। রুদ্র তো আমার দিকএ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রাগে তার চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে।আমি এবার সামনে গিয়ে বললাম

আমি’ঃ রাগ টা কমেছে।(আনমনে)
রুদ্রঃতুমি কি বুঝতে পারছ তোমার জন্য কি অপেক্ষা করছে???? (রেগে)
আমিঃ দেখুন মিস্টার আমার জানার দরকার নেই।আপনি আমার বাইক এর ক্ষতি করেছেন আমি আপনার বাইক এর।হিসাব বরাবর।বাই।
আমি চলে আসলাম রুদ্রকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে।

খান ভিলা

রুদ্র বাসায় এসে নিজের রুম এ গিয়ে ভাংচুর করতে থাকে আর বলতে থাকে তোমাকে আমি দেখে নিব মিস।
সবাই দারিয়ে আছে কেউ ভয় এ রুদ্রের কাছে যাচ্ছে না। কারন তারা জানে রুদ্র রাগলে কতটা ভয়ানক হয়ে ওঠে।.
রুদ্রঃ how dare she?(রেগে সামনের আয়নাতে ঘুষি দিয়ে)
আমি তোমাকে ছাড়ব না।আজ পর্যন্ত কারোর সাহস হয় নি আমার সাথে এমন আচরণ করার। you have to pay for it……
রুদ্র কোন মতে মাথা ঠান্ডা করে একটা লং শাওয়ার নিল।

আমার বাড়িতে

আমি এসেই একটা লং শাওয়ার নিয়ে একটা শার্ট আর টাউজার পরে নিল । তারপর খেতে চলে গেল। খেয়েদেয়ে এসে একটা ঘুম দিল।কারণ কালকে তার ক্লাস আছে।

এইদিকে রুদ্র ঘুমাতে পারল না।বারবার মেয়েটার কথা মনে হচ্ছে আর রুদ্র রেগে যাচ্ছে।শুধু বারবার একি কথা বলছে রুদ্র।।।।

পরের দিন
আমি ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার নিলাম।তারপর রেডি হয়ে নিলাম।আজ একটা খয়েরি কালারের লং স্কার্ট,কাল শার্ট আর গলায় স্কার্ফ। চুল গুলু মাঝখান দিয়ে সিতা করে দুই সাইডে ফেলে রাখছি।কোন সাজগোজ ছাড়া।নিজেকে আয়নায় দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছি।হায় আমি এত সুন্দর কেনে???
তারপর নাস্তা করে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাই।আজ বাইক নেই নাই কারন কালকের জন্য বাইক গ্যারেজে দিয়ে আসতে হইছে।।

In University

ফারিয়া গাড়ি পার্ক করতে যাবে ঠিক এমন সময় কালকের একটা মেয়ে এসে চেচামেচি শুরু করে দেয়।আমি নাকি ওর পার্কিং এর জায়গায় পার্ক করছি।ওই মেয়ের সাথে কয়েকটা ছেলে ওআসে।ঠিক তখনি রুশা আসে আর ওদের অপমান করে তারিয়ে দেয়।ছেলে গুলা যাওয়ার সময় রুশার দিকে এমন করে তাকাচ্ছিল যেন খেয়ে ফেলবে।
তারপর আমি আর রুশা পুকুর পাড়ে যাই। আমরা দারিয়ে আছি ঠিক তখনি কেও একজন রুশাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়।আমি তারাতারি রুশাকে উঠাই।তারপর University র সামনের দোকান থেকে একসেট জামা কিনে এনে রুশাকে দেই।রুশা change করতে চলে যায়। আমি একটু পরে তার জন্য কফি নিয়ে যাচ্ছিলাম।গিয়ে দেখি রুশা যেই রুম এ change করছে অই রুম এর জানালা দিয়ে ওই ছেলেগুলা ভিডিও করছে।আমার রাগ সপ্তম আসমানে ওঠে গেল।আমি গিয়ে ছেলে গুলার হাতের মোবাইল ভেঙে ফেললাম।তারপর তাদের নাক বরাবর দিলাম এক ঘুষি।তারপর লাথি মারতে মারতে মাঠের মাঝখানে নিয়ে গেলাম তারপরদেখি ওই ছেলেগুলা ছুরি বাহির করল। আমি তো ক্যারাটে জানি সবগুলারে মাইরা হাত পা ভাইংগা দিসি।তারপর দেখি রুশা আসতেছে আর অর পিছনে একটা পোলা ছুরি নিয়া আস্তাছে।আমি গিয়া ছুরি তে ধইরা দিলাম এক লাথি। তারপর আমার হাত কেটে গেল।হাত নিয়ে নিচে বসে পরলাম।তারপর দেখি বিশাল আএ জন দৌড়ে আমার কাছে আসছে।রুশা আমার হাতের রক্ত বন্ধ করার চেস্টা করেছে।তারা এসে আমার হাত ব্যান্ডেজ করে দিল আর বকাবকি কারতে থাকল।
আমিঃ আমার ভিষন খিদা পাইসে।
অরা তিনজন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
বিশালঃ তুই কিছু খাস নাই।
আমিঃ না
তারপর আমরা ক্যান্টিনে গেলাম।গিয়ে বিশাল আমার প্রিয় খাবার চাউমিন অর্ডার করল।কিন্তু আমি তো খেতে পারব না।কারণ আমার দুইটা হাতই কেটে গেছে। তাই বিশাল আর জন আমাকে খাইয়ে দিল। আর এদিকে রুশা কেদেই যাচ্ছে ।
আমিঃ আ রুশা বাচ্ছাদের মত কাদিস না তো।
রুশাঃতোর এমন হয়েসে শুধু আমার জন্য।
বলেই আবার কেদে দিল।এদিকে রুশার বাবা মা এসব কাহিনি শুনে versity তে আসল।এসে রুশা কে জড়িয়ে ধরল।তারপর ছেলেগুলার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেই রুশা তার মা বাবা কে সব খুলে বলল।তার মা বাবা আমার কাছে এসে আমাকে আদর করে বললেন তোমার মা বাবা খুবই লাকি তোমার মত মেয়ে পেয়ে।এই কথা শোনার সাথে সাথে আমি চলে আসলাম। উনারা আমার এই আচরণ এ অবাক হল।বিশাল আর জন কে তারা জিজ্ঞাসা করল। বিশাল আর জন বলল আজ না অন্য একদিন বলবে।এই বলে তারা আমার কাছে চলে আসল।
রুশা আমার কাছে এসে বলল কাল তার birthday।আমরা তিনজন যাতে অবশ্যই যাই
।আমি বললাম আমরা যাব।।
তারপর সবাই মিলে ক্লাস এ গেলাম।ক্লাস এর সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
ক্লাস শুরু হল আবার শেষ হয়ে গেল।ক্লাস শেষে আমারা তিনজন আমার বাড়িতে চলে আসলাম

খান ভিলা

রুদ্র বাড়িতে এসে সব শুনে রেগেমেগে কোথায় চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে নিজের রুম এ চলে গেল। রাত এ খাবার খেয়ে রুদ্র রুম এ চলে গেল।।
রুদ্রের কাছে একটা কল আসল। কল ধরে রুদ্র একটা বাকা হাসি দিল।তারপর ভাবতে লাগল রুশা কে যেই মেয়েটা বাচিয়েছে তার কথা

রুদ্রঃ ফারিয়া নামক মেয়েটির সাথে একবার দেখা করতে হচ্ছে তো। এত সাহসী মেয়ে আমার versity তে আছে আর আমিই জানি না।

চলবে………….