তুই আমার জানপাখি পর্ব-০৪

0
3919

তুই আমার জানপাখি
Writer:Faria Siddique
Part 4

আমি সকালে ওঠে বিশাল আর জন কে জাগাই।তারপর তিনজন মিলে রেডি হই।আমরা তিনজন এ একই কালারের ড্রেস পরেছি।আমি সাদা কালারের শার্ট আর কাল কালারের লং স্কার্ট,গলায় কালো কালারের স্কার্ফ আর চুল গুলু মাঝখান দিয়ে সিতা করে দুই সাইড এফেলে রাখছি।বিশাল আর জন দুই জন এ সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরেছে।চুল গুলা এক সাইড এ স্পাইক করা,হাত এ ঘড়ি।তিনজন কেই জাক্কাস লাগছে।নাস্তা করে আমরা বের হয়ে পরলাম.

কলেজ গেইট দিয়ে ঢুঢুকতেই একটা ছেলে এসে আমাকে প্রোপজ করল। বিশাল আর জন ভয় পেয়ে গেল।কারন লন্ডন এ যতগুলো ছেলে প্রোপজ করেছে তাদের সবাইকে হসপিটাল নিতে হয়েছে।
আমি ছেলে টাকে ভালো করে বুঝলাম।কিন্তু না ছেলে টাকথা শুন্তাছেই না।
আমিঃ দেখ আমি এসব পছন্দ করি না।প্লিজ আমার সাম নে থেকে যাও।
ছেলেঃ আমি সত্যি তোমাকে খুব ভালবাসি
এমন সময় রুশা আর রুদ্র আসল।আর দারিয়ে ছিল।আমি তাদের খেয়ালি করি নাই।আর রুদ্র অ আমাকে দেখে নাই কারন তারা আমআর পিছনে ছিল।আমি এবার দিলাম ছেলেটা কে একটা লাথি।
আমিঃ তরে ভালভাবে বলছিলাম না।শুনছ নাই।(রেগে)
বিশাল এসে তারাতারি আমকে ধরে আর জন অই ছেলেটাকে নিয়ে যায়।ঠিক তখনি রুদ্র বলে
রুদ্রঃ রুশা এই তোর সেই বাঘিনী।
আমি পিছনে ফিরতে ফিরতে বললাম
আমি ঃ কে রে আমারে বাঘিনী কয়???
পিছনে ফিরে আমি অবাক।রুদ্র তো হা হয়ে আছে।আস্তে আস্তে তার চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু versity বলে নিজেকে ঠাঠান্ডা রাখার চেস্টা করল।
আমি কিছু না বলে দারিয়ে আছি।
রুশাঃভাইয়া এই সেই ফারিয়া। যে আমাকে লজ্জার হাত থেকে বাচিয়েছে।
রুদ্র ঃ আর আমার গাড়ি ভেঙেছে।
আমিঃ রুশা এই বজ্জাত টা তোর ভাই।(কানেকানে)
রুদ্রঃ আমার বিোনকে বাচিয়ে নিজের শাস্তি টা কমিয়ে নিয়েছ।(ভাব নিয়ে)
আমিঃও হ্যালো মিস্টার।ভাব কম মারেন। আপনি আমার বাইকএর ক্ষতি করেছেন আর আমি আপনার গাড়ির।
রুদ্র’ঃ তুমি তোমার দুই টাকার বাইকের জন্য আমার এত দামি গাড়ির ক্ষতি করেছ।তোমাকে তো এর শাস্তি দিতেই হবে।ভাবছিলাম তোমাকে মেরে গুম করে দিব কিন্তু না তোমার জন্য অন্য কিছু ভাবতে হবে(মনে মনে)
আমিঃএই যে লাল হাতি কোথায় হারিয়ে গেলেন।
রুদ্রঃ কিইইইইইইইইিইই।তুমি আমাকে কি বললে।

চলবে………..