তুই আমার জানপাখি পর্ব-০৫

0
4083

তুই আমার জানপাখি
writer:Faria Siddique
Part 5

আমিঃকই কিছু বলি নাই তো লাল হাতি।
রুদ্রঃ তুমি আবার আমাকে লাল হাতি বললা!!!!!
আমিঃতো।।হাতি কে হাতি বলব না তো কি বলব???
রুদ্র কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুশা দুইজন কে চুপ করিয়ে দিল।
রুশাঃতোরা দুইজন কি শুরু করলি বল তো।
রুদ্রঃ ওই মেয়েটাই তো আমাকে লাল হাতি বলল।
আমিঃ যে যেটা তাকে সেটা বলেছি।
রুদ্রঃও তাই না।।তাহলে তুমি তো লুজ এন্টেনা।
আমিঃওই আপনিআমারে কি বললেন???
রুশা আর বিশাল আর জনঃ প্লিজ স্টপপপপপপপপপপপপপপপপ।
দুইজনে স্টপ হয়ে গেল।।।
রুদ্রঃআমি গেলাম।
এই বলে আমাদের হিরো সাহেব রেগে চলে গেল।
রুশাঃশোন তোরা তিনজন কিন্তু ঠিক সময়ে চলে আসবি।
ওকে।।।।

In party,
আমি কালো কালারের একটা শাড়ি পরেছি।চুল গুলা ছাড়া।হালকা মেকআপ।এতেই একদম পরি লাগছে।
বিশাল আর জন লাল কালারের শার্ট এর ওপর কালো কালারের ব্লেজার।চুল এক সাইডে স্পাইক করা। হাতে ঘড়ি।
পার্টিতে ঢুকতেই সবাই আমাদের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।রুশা আর রুদ্র এখনও নিচে নামে নাই।

রুশার বাবা মা আমাদের তিনজনকে দেখে খুশি হয় এবং আমাদের পার্টি এনজয় করতে বলে।।।আমরা তিনজন কোল্ড ড্রিংক খেতে থাকি

হঠাৎ সব লাইট off হয়ে গেল।আর সিড়ি দিকে লাইট ফোকাস করা হল।দেখলাম লাল হাতি আর রুশা নামতাছে।
রুশা একটা লাল গাউন পরেছে।চুল গুলা ছাড়া।আর ভারী মেকাপ।দেখতে অনেক সুন্দর লাগতাছে।
রুদ্র সাদা শার্ট এর ওপর কালো ব্লেজার। চুল গুলা ওপরের দিকে স্পাইক করা। হাত এ ঘড়ি।দেখতে সুন্দর লাগছে।যাই হোক আমার কি।।।।
রুশা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল তোকে খুবই সুন্দর লাগছে।আমি বললাম তোকে ও খুব সুন্দর লাগছে।
বিশাল আর জনঃহ।আর আমরা তো বস্তির থাইক্কা আইসি
আমি আর রুশাঃবস্তিকে কেন অপমান করছিস বল তো।??
বিশাল আর জনঃ কিইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
আমি আর রুশা হাসতে হাসতে শেষ।।।।।।
রুদ্র ফারিয়াকে দেখে ভ্রু কুচকে দারিয়ে আছে..

এখন সবাই কাপল ডান্স করবে।আমি বসে আছি।বিশাল আর জন ওরা নাচ করতাছে।
হঠাৎ করে একটা বাচ্চা আমার শাড়ি তে জুস পালায়।
বাচ্চাঃ I am sorry……
আমিঃit’s ok..Baba…
বাচ্চাটাকে অনেক আপন মনে হচ্ছে।
ঠিক তখনি বাচ্চার মা এলো এবং আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি বাচ্চার মায়ের দিকে।
রাগে আমার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।।
বিশাল আর জন দৌড়ে আমার কাছে এলো।বিশাল আর জন বারবার বাচ্চার মাকে আর আমাকে দেখতাছে
বিশাল আর জনঃ প্লিজ আপু তুমি এখান থেকে চলে যাও।
বাচ্চার মা’ঃ না আমি যাব না।ফারিয়া বোন আমার একবার আমার কথা শুন।
আমি নিজেকে কোনমতে কন্ট্রোল করে চলে আসতে গেলেই আপিলা আমার হাত ধরে ফেলে।যা আমার রাগকে চরম পর্যায়ে পৌছে দেয়।
আমি হাতটা ঝারা দিয়ে ফেলে চিল্লিয়ে বললাম
আমিঃ how dare uuuuuuuuuuuuuuuuu(সামনের চেয়ারে জোড়ে লাথি মেরে।)
সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
রুশা,রুশার মা বাবা আমার কাছে এসে বলল কি হয়েছে??
রুশাঃআরে মিম আপু তুমি কখন এলে।আর ফারিয়া তোমার সাথে এমন করছে কেন???
আপিলাঃদারিয়ে দারিয়ে কাদছে।
আমিঃআমার লাইফটা শেষ করে তোমাদের শান্তি হয় নি।।।।। এখনও আমার পিছনে পরে আছ কেন/????(চিল্লিয়ে কান্না করে)
আমিঃ আমাকে একটু বাচতে দাও।আমি আর আমার ভাই তো তোমাদের লাইফ থেকে চলে গেছি।প্লিজ আমাদের একটু শান্তিতে বাচতে দাও।(হাত জোর করে কান্না করে)
বিশাল আর জন ও কান্না করে দিছে।আমার কান্না কখনই তারা দুইজনে সহ্য করতে পারে না।
বিশাল আর জনঃপ্লিজ জানু কান্না বন্ধ কর।নাইলে তোর সমস্যা হবে।
এই কথা বলতে বলতেই আমার নাক দিয়ে রক্ত পরা শুরু করে আর আমি বেহুঁশ হয়ে যাই।
বিশাল আর জনঃএই জানুউউউউউউউউউউউউ( বলতে বলতেই আমি পরে যাই)
রুশার বাবাঃ তারাতারি ফারিয়াকে হসপিটাল এ নিয়ে যাও।
রুদ্র এসে আমাকে কোলে করে গাড়িতে নিয়ে হসপিটালএ নিয়ে যায়।
আপিলা যেতে চাইলেই বিশাল আর জন বাধা দেয়
বিশাল আর জন ঃ প্লিজ আপু আপনি যাবেন না।আপনার জন্য আমাদের জানুর এ অবস্থা। স্রোত ভাইয়া জানতে পারলে দুনিয়া শেষ করে দিবে।
রুশা,রুশার মা বাবাঃ আমাদেরকে একটু বলবা কি হচ্ছে এখানে।
বিশাল আর জন ঃ এখন সময় নাই তারাতারি আমাদের হসপিটাল এ যেতে হবে।
আপিলাঃপ্লিজ বিশাল আমাকে একবার বোনুর কাছে যেতে দাও।
বিশাল আর জন আপিলার কথায় পাত্তা না দিয়ে রুশা,রুশার মা বাবা কে নিয়ে হসপিটাল এ চলে যায়।
আর আপিলা ওখানে বসে কান্না করতে থাকে।।।।।।।।

In Hospital

রুদ্র এসে আমাকে ভর্তি করে বাহিরে বসে আছে।
এমন সময় বিশালরা আসল।
বিশাল আর জনঃ ফারিয়ার কি অবস্থা??? (কান্না করতে করতে)
রুদ্রঃjust relax.doctor treatment করতাছে..
বিশাল আর জন মাথা দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে বসে আছে.…
বিশালঃ জন ভাইয়াকে কল করে সব বল।।।।
জন ভাইয়াকে কল করে সব বলে কল কেকেটে দিল।
বিশালঃ ভাইয়া কি বলল????
জনঃ ভাইয়া কান্না করতাছে….আর বলছে আজকেই ফ্লাইটএ উঠবে।
রুদ্র,রুশা,রুশার বাবা মাঃ আমাদের একটু বলবা কি হইছে?
রুদ্রঃমিমকে দেখে ফারিয়া এভাবে react করল কেন??আর ওর নাক দিয়ে রক্ত পরলই বা কেন?????
বিশালঃ মিম আপু ফারিয়ার আপন ফুফাতো বোন।
রুদ্ররা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে…..
রুশাঃএই সেই ফারিয়া যার সম্পর্কে মিম আপু আর ভাইয়া বলতো।
রুদ্রঃযার জন্য মিম এখনও কান্না করে????
রুশার মাঃ মিম আর ফারিয়া দেখতে একদম এক রকম।
রুশার বাবাঃ কিন্তু ও এভাবে বেহুঁশ হল কেন?????

চলবে…………….