তুমি কবে আমার হবে পর্ব-৯+১০

0
258

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব_৯
লেখিকা #sabihatul_sabha

ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে বসে আছি,সামনেই মা আর আপু দাড়িয়ে আছে।
আপু:এটা কিসের পেপার?
~ চোখ তুলে আপুর দিকে তাকালাম, মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না,কাপা কাপা হাতে আপুর দিকে পেপারটি বাড়িয়ে দিলাম, তুমি নিজেই দেখো।বলে আপুর হাতে দিলাম।

——
অভি:এতো খারাপ লাগছে কেনো আমার?কেনো এতো খালি খালি লাগছে?কেনো এই বাড়িতে নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।নূর!!! কিন্তু ওকে তো আমি ভালোবাসি না।ডিভোর্স পেপারও দিয়ে দিছি।রুহির দিকেও মন দিতে পারছি না,আজ রুহির জন্যই তো ওকে ডিভোর্স দিলাম।

ফ্ল্যাসবেক..

অভি:দেখো রুহি আর কয়েকটা দিন কি তুমি তোমার আম্মু আব্বুকে বুঝিয়ে বলতে পারবে না।

রুহি:এই এক কথা আর কয়দিন বলবে তুমি? আমি বিরক্ত তোমার এই এক কথা শুনতে শুনতে,তুমি সত্যি করে বলতো তুমি কোনো দিন আমাকে মন থেকে ভালোবেসেছো। সব সময় তোমার কাছে তোমার মা-বোন আগে।

অভি:আস্তে কথা বলো।আর এখানে মা-বোনকে টানছো কেনো?আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছে, এটা আমাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাক।আর আমি বলছি তো আর কয়েকটা দিন টাইম দাও আমাকে।নূর বাসা ছেড়ে চলে গেছে।আমাদের ডিভোর্স হোক তারপর আমি তোমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো।আর আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না সেটা আমার থেকে তুমি ভালো জানো।

রুহি:কেনো টানবো না বলো?তোমার মা জানতো তুমি অন্য কাওকে ভালোবাসো জানার পরেও অন্য আরেক জনের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে দিলো,একবারো ছেলের কথা ভাবলো না।তোমার মা’র আমাকে পছন্দ না, কেনো পছন্দ না আমি কোন দিক দিয়ে কম বলতে পারো।ওই থার্ড ক্লাস মেয়েকে পছন্দ। আর তোমার মা বললো আর তুমি নাচতে নাচতে গিয়ে বিয়ে করে নিলে।একবারো আমার কথা ভাবলে না। আমার কথা একটি বার মনে পরলো না তোমার?
অভি:দেখো রুহি আস্তে কথা বলো এটা অফিস। আমি তোমাকে একবারি বলছি আমি মার মনে কষ্ট দিতে পারবো না আমি বাধ্য হয়ে বিয়েটা করছি সেটা তুমি জানো তারপরও এসব কথা এখন কেনো উঠছে। আর বিয়ের দিন রাতেও আমি তোমার সাথেই ছিলাম।আচ্ছা তুমি কি চাও সেটা বলো?

রুহি:আমি যেটা চাই সেটা তুমি করবে?
অভি :কি চাও বলো?
রুহি:আমি চাই আজকেই তুমি তোমার বউকে ডিভোর্স দাও!কালকে আমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসো।
অভি:রুহি মায়ের শরীর এখন ভালো না।মা একটু সুস্থ হোক।তারপর আমি ওকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা মাকে বলবো।
রুহি:মা মা মা!!! সারাক্ষণ শুধু মা,তুমি আমার কথা একবারও ভাবো না। আমি কি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।ছেলে পক্ষ আজকে বাবাকে পাকা কথা দিবেন।তুমি সারাক্ষণ তোমার মায়ের কথা ভাবো, আমার কষ্টটা তুমি বুঝার চেষ্টা করো না।আচ্ছা একটা কথা বলো তো,’তুমি যে এতো মা মা করো তোমার মা তোমার কথা একবারও ভাবে, যদি ভাবতো তাহলে তুমি আজ কষ্ট পেতে না। ওকে তুমি তোমার মা নিয়ে থাকো আমি আজকেই বাবাকে বিয়েতে হা বলে দিবো।
অভি:রুহি শান্ত হও,ঠিক আছে আমি আজকেই নূরকে ডিভোর্স দিবো।আর কালকে তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো। এবার খুশি তো।
রুহি:সত্যি তো?আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকবো তোমার।

বর্তমানে..

রুহি আমার অফিসের পিএ ছিলো।প্রতি দিন এটা সেটা নিয়ে কথা হতে হতে কখন যে ভালোবাসা হয়ে গেলো।প্রথমে রুহি আমাকে প্রপোজ করে আমার মনেও ওর জন্য হয়তো ভালোবাসা ছিলো আমিও রাজি হয়ে যাই।তারপর থেকে আমাদের প্রেম শুরু। ওর পাগলামো, হাশি,কান্না,রাগ করে গাল ফোলানো,প্রতি দিন ফুচকা খাওয়ার বায়না দরা,সব আমার ভালো লাগতো, আসতে আসতে এই ভালো লাগা, কখন যে মারাত্মক ভালোবাসায় পরিবর্তন হলো।এই যে আজ ওর জন্য নিজের বউকে ছেড়ে দিলাম।বাসার কেউ জানেনা, মাকে বলিনি।শুনলে খুব কষ্ট পাবে।

——

আম্মু তোমার কান্না থামাবে ভাল্লাগে না এইসব কান্না!! আম্মুকে আর আপুর কাছে সব বলার পর থেকে আম্মু কান্না করেই যাচ্ছে আর আপু আমাকে জরিয়ে দরে চুপ করে আছে।হয়তো সত্যি টা মানতে আপুর কষ্ট হচ্ছে।আমার জীবনেও এমন কিছু হবে।

আম্মু:আমি নিজে তোর কপাল পুরলাম।আমি তো ভেবেছিলাম আমার বান্ধবীর ছেলে আমি কি ভেবেছি এমন হবে,বলে শাড়ির আচল মুখে দিয়ে আবার কান্না শুরু। নুসরাত ফোনটা কোথায়? রাবেয়াকে কল দে।
আপুঃআচ্ছা তুমি শান্ত হও আমি কল দিচ্ছি।

আমি চলে আসলাম ছাদে,বাসায় দম বন্ধ হয়ে আসছে।আপু আম্মুর সাথে যতোই নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করি ততোই যেনো ভেঙে পরছি।আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শাস ফেললাম। আবারো ডিভোর্স পেপারটার দিকে তাকালাম,এমন সময় হাতের ফোনটা বেজে উঠলো, তাকিয়ে দেখি সাফা কল দিয়েছে।

সাফাঃওই কুত্তী কল দরতে এতো সময় লাগে।কার কাছে মন গিয়ে থাকে হা।
~কী বেপার রে তুই সব সময় এতো রেগে থাকিস কিভাবে?
সাফা:আজ কি হইছে জানিস তুই?
~না বললে জানবো কিভাবে!আগে বল।
সাফা:কাল সকালে আমাদের বাসায় আসবি সব বলবো।মোবাইলে বলা সম্ভব না।
~আচ্ছা।
সাফা: আসবি তো?
~হুম আসবো।
বলে ফোন রেখে আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে জীবনের হিসেব মিলাতে লাগলাম।

——
রাবেয়া:কি রে আনিতা তোর কথা গুলো এমন লাগছে কেনো? সব ঠিক আছে তো।
আনিতা:আমি তকে বিশ্বাস করে আমার মেয়েকে তোর ছেলের হাতে দিয়ে ছিলাম।আমি ভাবতেও পারিনি আজ আমার ভুলের জন্য আমার মেয়ের এমন দিন দেখতে হবে।
রাবেয়া: কি হয়েছে নূরের ও ঠিক আছে তো?
আনিতা:আমার মেয়েটাকে তোর ছেলে ঠিক থাকতে দিলো কই।আজ থেকে আমার মেয়েও ডিভোর্সি তকমা টা গায়ে জরিয়ে নিলো।সমাজে আমাদের মাথাটা এতোটা নিচে না নামালেই পারতি।আমার মেয়ে আজ রাস্তা দিয়ে গেলে লোক আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলবে ডিভোর্সি।
রাবেয়া :কি হয়েছে আগে বলবি তো?আর ডিভোর্স মানে।
আনিতা:তুই সত্যি কিছু জানিস না?
রাবেয়া:জানলে কি তকে জিজ্ঞেস করতাম।

আনিতা বেগম রাবেয়া বেগম কে সব খুলে বললেন।সব শুনে রাবেয়া বেগমের হাত থেকে মোবাইলটা পরে গেছে। ওনি যা ভেবেছেন তার থেকে যে ওনার ছেলে একশো ডিগ্রি উপরে করে ফেলেছে।আজ মনে হচ্ছে সত্যি আমি ছেলেকে মানুষ করতে পারিনি।চোখ থেকে দুফোঁটা পানি গরিয়ে পরলো।

চলবে..

লেখার হাত ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব_১০
লেখিকা #sabihatul_sabha

ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়লাম,,নামাজ পড়লে মন আর শরীর দুটোই ভালো থাকে।তারপর বাগানে কিছুক্ষন হাটার পর রুমে চলে আসলাম।

রায়হান খান আর তার স্ত্রী রুকমা তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য খাবার টেবিলে বসে আছেন।ওরা আসলে একসাথে খাওয়া শুরু করবেন।তখনি দেখতে পায় তার ছেলে মেয়ে সিরি দিয়ে নেমে আসছে।রায়হান হালকা হেসে তার স্ত্রী কে বলেন খাবার পরিবেশন করতে।

খাওয়ার এক পর্যায়ে তিনি ছেলে রুদ্রের উদ্দেশ্যে বলেন,,

‘তো বিয়েটা কবে করবি?তোর পরে তো সাফা কেও বিয়ে দিতে হবে নাকি।’

তার কথাতে কাশি উঠে যায় মা -ছেলের, রায়হান খান তাজ্জব বনে যায়।তিনি এমন কি বললেন যে তার স্ত্রী-ছেলের এই হাল।

এমন সময় কলিং বেল বেজে ওঠে।
তোমরা খাও আমি দেখি কে আসছে,বলে রুকমা বেগম দরজা খুলতে গেলেন।

রুদ্রেরও খাওয়া শেষ,,তাই ওঠে চলে যাচ্ছে বাহিরে যেতে হবে অনেক দিন হলো বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না।

~আন্টি কেমন আছেন?
~এই তো মা আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
~জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আন্টি সাফা কি বাসায় আছে
~হুম আছে তুমি বাহিরে দারিয়ে আছো কেনো।বেতরে আসো।

~জি…

বলে বাসায় আসতে নিয়ে কিসের সাথে যেনো হুঁচট খেয়ে ছিটকে পরার সাথে সাথেই বাম হাতের সামনে দাড়িয়ে থাকা এক পুরুষালি দেহ বিশিষ্ট মানুষটার শার্টের বুকের দিকটা খামচে ধরলাম।আর আমার কপাল গিয়ে ঠেকলো লোকটার ওষ্ঠ দ্বয়ের সংযোগস্থলে। আচমকা কপালে নরম কিছুর স্পর্শ অনুভব করতেই মানুষটার কাছ থেকে বিদুৎ ঝটকায় খাওয়ার মতো পিছনে ছিটকে সরে গেলাম।আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে একদমই কষ্ট হয়নি। অস্বস্তি আর লজ্জায় চোখ তুলে তাকাতেও পারছি না।কি থেকে কি হয়ে গেলো এটা। আমার মাথা পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।বাসার সবার সামনে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এটা ভাবাই যেনো দুঃস্বপ্ন মনে হচ্ছে।

রুকমা বেগম মুচকি মুচকি হাসছেন, সাফা তো সেই লেভেলের মজা পাইছে মনে হয়।রায়হান খান পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করছেন।

রুদ্র নিজের ঠোঁট গুলোতে আঙ্গুল দিয়ে আলতো ছুঁয়ে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাসার সবার চোখ এখন রুদ্ররের দিকে। রুদ্র সেটা বুঝতে পেরে ঠোঁট থেকে হাত সরিয়ে ফেললো।কিন্তুু এখন লজ্জা লাগছে।উফফ!ছেলে মানুষ কি এতো লজ্জা পায় না-কি।হয় তো পায় না কিন্তুু রুদ্র পাচ্ছে।কারন এই প্রথম কোনো নারী তার এতটা কাছে এসে ছিলো।কিন্তু আজ কি হলো ভালো লাগার মানুষটির কপালে কাকতালীয় ভাবে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো।মনে মনে অদ্ভুত এক অনুভূতির উপস্থিতি অনুভব করলো রুদ্র।এমন অনুভূতির সাথে এই প্রথম পরিচিতো সে।

“দুস্ত এটা কি হয়ে গেলো? ভাইয়ার কাছ থেকে তুই চুমু নিয়ে এলি এভাবে।
সাফার মুখে চুমু শব্দটা শুনেই লজ্জায় মুখে রক্তিম আভা ফুটে উঠেছে। নিজের কপালে এভাবে স্যারের ঠোঁটের স্পর্শ পাবো ভাবতেই লজ্জায় আঁকড়ে ধরছে।

সাফার আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

নূর তুই কি লজ্জা পাচ্ছিস? তোর গাল গুলো এমন লাল হয়ে যাচ্ছে কেনো?

আমি অপ্রস্তুুত হয়ে গাল গুলো দু হাতে আলতো ছুঁয়ে বললাম,

“কতটা রোদের তাপ পরেছে দেখেছিস,রোদের জন্যই এমনটা হয়েছে।”

সাফা আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে,’তাই নাকি!বলেই হাসা শুরু করলো।

আচ্ছা এবার বল এমন কি কথা আছে যা ফোনে বলা যাবে না বল শুনি?

সাফা বলে উঠলো, ‘দুস্ত কাল কে কি হইছে শুন,

আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে,

ফ্ল্যাসবেক….

কাল কলেজ থেকে বাসার এসে আমার রুমে এসে কাপর চেঞ্জ করে পিছনে ফিরেই কার সাথে যেনো ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম, তার আগেই ওই ছেলে আমার হাত ধরে ফেলে।

“আপনি কে? আমার হাত ধরার সাহস পেয়েছেন কোথায় আপনি?হাত ছাড়ুন বলছি।”

প্রচন্ড রাগ নিয়ে শক্ত গলায় কথাগুলো বললাম।কিন্তু আমার কথায় সামনের লম্বাচওড়া লোকটার কোনো কর্নপাতহয়েছে বলে মনে হয় না।মানুষটা চোখ মুখ শক্ত করে ভয়ংকর রাগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে রাগান্বিত কন্ঠে বললো,,

বেয়াদব, স্টোপিড মেয়ে তুমি এখানে কি করছো?

লোকটার গাঁ জ্বালানো কথা শুনে আমার ধপধপ করে মাতায় আগুন জ্বলে উঠলো।মন চাচ্ছে এখনি এই রাগের শিখায় এই ছেলেকে ঝলসে দেই,আমার রুমে থেকে, আমাকে বলে আমি কি করছি, সাহস কতো বড়ো।

“আপনি এই রুমে কি করছেন? লজ্জা করে না একটা মেয়ের রুমে ডুকে লুকিয়ে তার কাপর চেঞ্জ করা দেখতে?

~উয়াট ননসেন্স! এই মেয়ে এসব কি পাগলের মতো কথা বলছো।এই তুমি কি মেন্টাল হসপিটাল থেকে পালিয়ে আসছো?
~উয়াট(চিৎকার করে)কি বললেন?আমি পাগল?আপনি পাগল, আপনার বউ পাগল,আপনার বাচ্চা পাগল।

~জলদি মেন্টাল হসপিটাল ফোন দিয়ে ইনফরম করা লাগবে ওদের হসপিটাল থেকে একটা পাগল মেয়ে পালিয়ে এই রুমে চলে আসছে।
~বেয়াদব গর্দভ খচ্চর খবিশ। তুই পাগল তুই যা মেন্টাল হসপিটাল 😡।
~এই মেয়ে তুই তুকারি করছো কেনো?এক থাপ্পড়ে গাল লাল করে দিবো।
~কি এতো বড় সাহস আমাকে থাপ্পড় মারবে, আজ তো আপনাকে আমি খুন করবো!নিজে দোষ করে আবার বড় বড় কথা।

~এই মেয়ে তোমার এই সব বকবক বন্ধ করবে নাকি থাপ্পড় দিবো।ওই দিন রাস্তায় ও তুমি আমার কলার ধরে ছিলে তোমার সাহস কতো বড় আমার সাথে তর্ক করো।

~ঐ ডায়নাসর সরি বল!না বললে এখনি মেরে তক্তা বানিয়ে দিবো।
~অসভ্য বেয়াদব স্টুপিড মেয়ের কাছ থেকে ভালো ভাষা এক্সেপেক্ট ও করা যায় না।
~তুই অসভ্য বেয়াদব স্টুপিড, দোষ করেও সরি বলিস নি আর আজ তো,,তকে আমি..

আর কিছু বলতে পারলো না, হঠাৎ একটা চিৎকারে সব শান্ত হয়ে গেলো।

চলবে…

লেখার হাত ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।