তুমি থেকে যাও আমি রেখে দিব পর্ব-০৪

0
310

#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_০৪
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

অধরা দু’হাত দিয়ে আহানের গলা জড়িয়ে ধরে আছে।আহান অধরাকে কোলে তুলে নিয়ে ওপরে উঠে আসলো।অধরাকে নিচে নামিয়ে দিয়ে।অধরা কে আড়াল করে নিলো।সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।আহান রাগি দৃষ্টিতে রাফসানের দিকে তাকিয়ে আছে।মানুষ জন থাকায় কিছু বলতে পারছে না।

তিতির এসে বিষয় টা বুঝতে পারলে সবাইকে খাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায়।একটু পরে তিতির এসে অধরা কে নিয়ে যায়।

–তুমি এত শুকনো কেনো।আমার জামা তো তোমার হবে না।এখন তোমাকে কি পড়তে দিব।

–সমস্যা নেই আপু।আমি এখন বাসায় চলে যাব।বাসায় গিয়ে চেঞ্জ করে নিব।

–তুমি পাগল নাকি।দাঁড়াও তোমাকে শাড়ি পড়িয়ে দেই।শাড়ি ছাড়া আর কোনো অপশন নেই আমার কাছে।

–আপু একদম না।পরে আমার মান-সন্মাম সব শেষ হয়ে যাবে।আমি শাড়ি পরে চলাচল করতে পারি না।একবার খুব শখ করে পরে ছিলাম।রাস্তার মধ্যে খুলে গিয়েছিল।একটা লোক ডেকে বলেছিলো।এই বাবু তোমার শাড়ি খুলে গেছে।ইস কি লজ্জার ব্যাপার।তারপরে থেকে আমি আর কোনোদিন শাড়ি পড়ি নাই।

–তুমি আমার ওপরে বিশ্বাস রাখতে পারো বোন।আমি তোমাকে সুন্দর ভাবে শাড়ি পড়িয়ে দিব।খুলে যাবে না।

অধারর বেশ ঠান্ডা লাগছিলো।তাই আর কিছু বলল না।তিতির সুন্দর একটা লাল শাড়ি পড়িয়ে অধরাকে।হালকা করে সাজিয়ে দিলো।অধরা নিষেধ করলে।তিতির জরো করে সাজিয়ে দেয়।অধরাকে সাজানো হলো।তিতিরের মুখ দিয়ে অটোমেটিক বেড়িয়ে আসলো মাশাল্লাহ।

–তোমাকে সাজলে অনেক সুন্দর লাগে বোন।মাঝে মাঝে সাজলে’ও তো পারো।চলো নিচে যাবে।কেক কাটা হবে এখন।কেক কাটার কথা মনে পড়তেই অধরার মনে হলো সে,তো কোনো গিফট নিয়ে আসে নাই।এখন সবার সামনে যাবে।কি করে ইস ভিষণ লজ্জা লাগছে অধরার।অধরা কিছু বলছে না দেখে তিতির আবার বলল।

–বোন চলো তোমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছে দিতে হবে।তোমার নানি বার বার ফোন করছে।আমার ছেলের জন্য উপহার ও পাঠিয়ে দিয়েছেন উনি।তুমি নাকি সোজা অফিস থেকে এসেছো।তাই উনি উপহার পাঠিয়ে দিয়েছেন পার্সেল করে।

অধরা অবাক হলো তিতিরের কথায়।সাথে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।অধরা তার নানিকে মনে মনে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলো।অধরাকে সাথে নিয়ে তিতির নিচে নামলো।অধরা কে দেখে তিতলি সহ তার ফ্রেন্ডরা সবাই মিলে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।একটু আগে তারা যেই অধরা কে দেখলো।আসলে-ই কি সে এই অধরা।আদিল চোখ গোল গোল পা থেকে মাথা পর্যন্ত অধরাকে দেখে যাচ্ছে।আহান চেঞ্জ করে উপরে থেকে নিচে আসছিলো।অধরাকে দেখে বলল মাশাল্লাহ।মেয়েটাকে সাজলে অনেক সুন্দর লাগে।কিন্তু মেয়েটা সাজে না কেনো।

তিতলি তিতিরের কাছে এসে বলল।আপু তুই তোর এই দামি শাড়ি এই মেয়েটাকে দিয়েছিস কেনো।চোখে দেখেছে কোনোদিন।দেখবি একবার গায়ে তুলেছে,আর তোকে শাড়ি ফেরত দিবে না।

–আচ্ছা তিতলি দিন দিন তুই এমন হয়ে যাচ্ছিস কেনো বল তো।তুই বুঝবি না আমি কেনো এসব করছি।ঐ দিকে তাকিয়ে দেখ আহান নিচে এসেছে।

–আমি দেখতে-ই পাচ্ছি।আমাদের ভাই আবার আগের মতো হয়ে যাবে।

–তোর মতো মাথা মোটা বুঝবে না।আহান কেনো এসেছে।সবাই যদি সবকিছু বুঝতো তাহলে তো হয়ে-ই যেতো।তিতির রেগে চলে গেলো।

–কি ব্যাপার প্রথমে আমার কোলে উঠলে,এখন আবার আমার বোনকে ভুলিয়ে তার শাড়ি দখল করে নিলে।বলল আহান।

–চার পা আলা দেব।একদম বাজে কথা বলবেন না।ঐ ছেলে যদি আমাকে পানিতে ফেলে না দিতো।তাহলে এতকিছু হতো না।

–তুমি যেমন পেতনী।তোমাকে পেতনীর মতো-ই লাগছে।ভূতের মতো এত সেজেছো কেনো।দেখো সবাই কেমন করে তাকিয়ে আছে।

–আমি সাজতে চাই নাই।ঐ আপুটা আমাকে সাজিয়ে দিয়েছে।তিতির কে দেখিয়ে।

কেক কাটা হলে সবাই কে কেক খাইয়ে দিচ্ছে।কেউ কেউ আবার মুখে গালে মাখিয়ে দিচ্ছে।এসব বাচ্চারা বেশি করছে।আহানের মাথায় দুষ্টুৃমি বুদ্ধি আসলো।আহান দুই হাত ভরে কেক নিয়ে।পেছনে থেকে অধরার পুরো মুখের মাখিয়ে দিলো।অধরা মুখ থেকে কেকে সরাতে সরাতে আহান কে দেখে রেগে আহান কে তাড়িয়ে ধরলো।

–কেমন লাগে তুমি আমার সাথে লাগতে আসছিলে না।এখন বুঝবে আহান চৌধুরী কি জিনিস।

–আমার নাম’ও অধরা।আপনি আমাকে চিনেন না আহান চৌধুরী।আজ আপনাকে মেরেই ফেলবো আমি।বলে-ই দু’জন ড্রয়িং রুমে গোল গোল হয়ে ঘুরছে।অধরা শাড়ি পড়ে থাকার কারনে তার সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেলো।সবাই হাসাহাসি শুরু করে দিলো।আহান অধরার কাছে এসে বসে বলল।

–আহারে বেচারি আহান চৌধুরীর সাথে লাগতে আসছিলো।এর থেকে’ও কঠিন শাস্তি তোমাকে দিব।বলে-ই হাসতে শুরু করলো।অধরা আহানকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো।মানুষটা হাসলে ভিষণ সুন্দর লাগে।তার থেকে অসম্ভব সুন্দর লাগে উনি হাঁসলে ওনার গালে টোল পরে।আহানের আম্মু বেশ খুশি দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে ছেলে এভাবে মন খুলে হাসতে দেখলো।আহান উঠে চলে যেতে লাগলে,অধরা আহানকে পা বাঁধিয়ে ফেলে দিলো।

–মিস্টার আহান চৌধুরী।ইট ছুঁড়লে পাটকেল যে খেতে হয় এটা নিশ্চয় আপনার জানা আছে।এবার হয়েছে না সমানে সমানে।

–এই মেয়ে তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি।তুমি আমার-ই সামনে আমার ছেলেকে ফেলে দিলে।বললেন আহানের আম্মু মিসেস আফরোজা চৌধুরী।

–আম্মু মেয়েটা একদম ভালো না।এসে থেকে দেখছি আহানের সাথে আঠার মতো লেগে আছে।এই সব মেয়েদের মান সন্মান আছে।বড়লোক ছেলে দেখলেই তার সাথে ঢলে পরে।বলল তিতলি।

–দেখুন আপনি প্রথম থেকে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করছেন।মুখে যা আসছে তাই বলছেন।আমি কিছু বলছি না।আমি যত ভাবছি এরিয়ে যাব।আপনি ততই বলছেন।বলল অধরা।

–কি বলবে তুৃমি।অসভ্য মেয়ে একটা।একদম আমার ভাইয়ের আশপাশের আসবে না।আর আহান তোকে বলি হারি।একবার ঠকে গিয়ে তোর লজ্জা হয় নাই।আবার নিজের জীবন টা নষ্ট করার চেষ্টা করছিস।খবরদার বলছি।তোকে যেনো কোনো মেয়ের আশেপাশে না দেখি।তিতলির কথা শেষ হবার আগেই।আহানের চোখ লাল হয়ে গেছে।দুই হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে আছে।চোখের কোনে পানি এসে জমা হলো।চোখের পলক ফেললেই পানি গুলো গড়িয়ে পরবে।নিজের বোনের থেকে হয়তো কথাগুলো আশা করে নাই।কোনো কথা না বলে হনহন করে উপরে উঠে চলে গেলো আহান।পুরনো ক্ষত আজ আবার জাগিয়ে দিয়েছে তিতলি।রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো আহান।আশরাফুল চৌধুরী এসে সবকিছু শুনে ভিষণ রেগে গেছে।মানুষ থাকায় কিছু বলতে পারছে না।

–দেখুন স্যার আপনার জন্য আমি আজ আপনাদের বাসায় আসছিলাম।স্যার আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হতে পারি।কিন্তু আমার আত্নসন্মান আছে।আমার কাছে চাকরি টা যেমন গুরুত্বপূর্ণ।তার থেকে-ও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার সন্মান।যেখানে আমার সন্মান নেই।সেখানে আমার না থাকাই ভালো।এতে আমার চাকরি থাক আর না থাক।ভুল কিছু বললে মাফ করবেন।আমি আর কোনো দিন আপনাদের বাসায় আসবো না।আজ আমি যতটা অপমানিত হয়েছি।কোনোদিন কেউ আমাকে এইভাবে অপমান করে নাই।আপু আপনি যদি আমার সাথে আসতেন।আপনার রুমে যাব একটু।তিতিরকে উদ্দেশ্য করে বলল।তিতির কোনো কথা না বলে অধরা কে নিজের রুমে নিয়ে গেলো।অধরার জামা কাপড় প্রায় অর্ধেক শুকিয়ে গেছে।অধরা চেঞ্জ করে নিলো।

–তুমি শাড়ি চেঞ্জ করে ফেললে কেনো বোন।শাড়িটা আমি তোমাকে বড় বোন হিসেবে উপহার দিয়েছিলাম।বলল তিতির।

–আমাকে মাফ করবেন আপু।গরীব ঘরের মেয়ে তো।এত দামি শাড়ি পড়ার অভ্যেস নেই।আপনি অনেক ভালো আপু।আজ তাহলে আসি।ভালো থাকবেন।বলে-ই অধরা বেড়িয়ে আসলো।তিতির ও অধরার পেছনে পেছনে আসলো।

–অধরা মা অনেক রাত হয়েছে।তুৃমি একা যেতে পারবে না।তোমাকে আমি পৌঁছে দিব।তোমার নানি আমার ভরসায় তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে।আশা করি তুমি আমার কথা বুঝতে পেরেছো।যা-ও আমার গাড়িতে গিয়ে বসো।আমি আসছি।সব অতিথিরা চলে গেছে।পুরো বাসা ফাঁকা হয়ে গেছে।তিতলি রেগে বলল।

–বাবা ঐ বাহিরের মেয়েটার জন্য তোমার এত দরদ কিসের।কথাটা বলার সাথে সাথে মেয়ের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো আশরাফুল চৌধুরী।

–বেয়াদব মেয়ে,তুমি আমার সবকিছু শেষ করে দিলে।কতটা কষ্ট করে দুটি মানুষের মধ্যে
বন্ধুত্ব তৈরি করতে লাগছিলাম।আর তুমি এক নিমিষেই সবটা নষ্ট করে দিলে।কেমন বোন তুমি নিজের ভাইয়ের ভালো সয্য করতে পারো না।তোমার মতো কুলাঙ্গার বোন যেনো আল্লাহ কাউকে না দেয়।তুমি সব সময় নিজের স্বার্থ তাই বুঝো।তুমি যেই মেয়েটাকে অপমান করলে না।সেই মেয়েটার জন্য-ই আজ পাঁচ বছর পরে হাসি দেখতে পেলে।আর তুমি ওকে অপমান করলে।সাথে নিজের ভাইটাকে’ও ছেড়ে দিলে না।পুরোনো ক্ষতটা আবার জাগিয়ে দিলে।তোমার মুখ দেখতে চাই না আমি।চলে-ই চলে গেলো।

অধরার বাসার সামনে এসে আশরাফুল চৌধুরী অধরাকে নামিয়ে দিলো।

–স্যার ভেতরে আসুন।গরীবের ঘরে হালকা কিছু খেয়ে যাবেন।

–না মা আজ অনেক রাত হয়ে গেছে।আমি অন্যদিন সময় করে আসবো।বলে-ই উনি চলে গেলেন।

আজ দশদিন হয়ে গেছে।আহান রুম থেকে বের হয় না।কারো সাথে কোনো কথা বলে না।ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না।যখন খুব বেশি ক্ষুদা পায় রাতে খেয়ে নেয়।আহানের বাবা আজ তিনদিন হলো অসুস্থ হয়ে বাসায় পরে আছে।সন্ধ্যা বেলা ডক্টর এসেছে আশরাফুল চৌধুরীকে দেখতে।অতিরিক্ত টেনশনের কারনে ওনার এই অবস্থা হয়েছে।ডক্টর টেনশন করতে নিষেধ করেছে।যতটা পারা যায় মাথা হালকা রাখতে বলেছে।সেদিনের পরে রেগে তিতলির সাথে কথা বলে নাই আশরাফুল চৌধুরী।তিতির আহানের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।কোমল কণ্ঠে ডেকে উঠলো।

–আহান ভাই আমার তুই এভাবে নিজেকে আর কষ্ট দিস না।তোর অবস্থা দেখে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে।আল্লাহ না করুক বাবার যদি কিছু হয়ে যায়।তখন নিজেকে ঠিক রাখতে পারবি।

একটু পরে আহান দরজা খুলে দিলো।আহান-কে দেখে তিতির আঁতকে উঠলো।এ কি অবস্থা তার ভাইয়ের।আহান কোনো কথা না বলে তার বাবা রুমে গেলো।আহান-কে দেখে তার বাবা উঠতে যাবে।তখনি আহান গিয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।

–সরি বাবা।তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি।তোমার আর কষ্ট দিব না।তুৃমি প্লিজ আমার জন্য আর চিন্তা করবে না।কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলল আহান।

ছেলে তার বাবাকে নিয়ে ভাবছে দেখে আশরাফুল চৌধুরীর বেশ ভালো লাগছে।যে পরেছে তার ছেলে-কে বাহিরে নিয়ে আসতে।

–বাবা একটা কথা বলবো।তুমি যদি কিছু মনে না করো।তোমার অনেক বয়স হয়েছে।তোমার আর অফিসে যাওয়া লাগবে না।কাল থেকে অফিসের দেখাশোনা আমি করবো।তুমি যদি আমাকে যোগ্য মনে করো তাহলে দায়িত্ব দিতে পারো।

ছেলের কথায় আশরাফুল চৌধুরী যে,বেশ খুশি হয়েছে।তা উনার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

–আহান তুমি সত্যি বলছো।তুমি অফিস জয়েন করবে।

–আমি কখনো তোমার সাথে মিথ্যা কথা বলেছি।তুমি আর চিন্তা করবে না।বয়স হয়েছে আর কাজ করা লাগবে না তোমার।তোমার দু’টো ছেলে আছে।তোমার ছেলেরা কাজ করবে।তুমি শুধু বসে বসে খাবে।অনেক তো করলে আমদের জন্য।এবার আমাদের পালা তোমাদের জন্য কিছু করার।

–আমার সকল চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হয়ে গেছে রে আহান।বাবা-মা তার ছেলে-মেয়েদের থেকে এতটুকুই শুনতে চায় আর কিছু না।

–আর একটা কথা বলবে না।তুমি এখন ঘুমাবে।কাল থেকে আমি অফিসে যাব।তুমি বাসায় থাকবে।বলে-ই আহান চলে গেলো।

পরের দিন সকাল বেলা আহান অফিসে গেলো।অফিসে গিয়ে-ই নিজরে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করে দিয়েছে।কাজ বাদ দিয়ে কেউ বসে থাকলেই রাগ দেখাচ্ছে।

–আদিল সাহেব মিস অধরা আজ অফিসে আসে নাই।অফিসের সময় তো পার হয়ে গেছে।

–স্যার অধরা ম্যাডাম প্রতিদিন ঠিক সময়ে আসে।আজ কেনো দেরি হচ্ছে।বুঝতে পারছি না।

–ওনার চিন্তা আপনার করা লাগবে না।নিজের কাজে মন দিন।উনি আসলে আমার কেবিনে পাঠিয়ে দিবেন।বলে-ই গটগট করে চলে গেলো।

জ্যামের কারনে অধরার আজকে দেরি হয়ে গেছে।তার ওপরে বৃষ্টি।কোনো রকম দৌড়ে অফিসে এসে পৌঁছালো অধরা।অধরা অফিসে আসতে-ই আদিল বলল।

–স্যার তোমাকে দেখা করতে বলেছে।বলল আদিল।অধরা কোনো কথা না বলে ভেতর চলে গেলো।নিজের জিনিসপত্র নিজের জায়গায় রেখে।বসের কেবিনের দিকে গেলো।

–আসতে পারি স্যার।
–আসুন।
আহানকে দেখে অধরার চোখ গোল গোল হয়ে গেলো।চারদিকে তাকিয়ে আশরাফুল চৌধুরীকে দেখতে না পেয়ে।শুকনো ঢোক গিললো।

–আপনি কি অফিসে প্রতিদিন দেরি করে আসেন।

–না স্যার আজকে জ্যামের কারনে দেরি হয়ে গেছে।

–আহান চৌধুরী কোনো অজুহাত শুনে না।আমার অফিসে কাজ করতে হলে আপনাকে সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে।না হলে অফিসে আসার দরকার নেই।যতদিন অফিস কামাই দিবেন।মাস হিসাব করে।আপনার বেতন থেকে যতদিন আসবেন না।ততদিনের বেতন কেটে রাখা হবে।আর এই নোটিশ টা বাহিরে লাগিয়ে দিবেন।

–ওকে স্যার।

–এখন গিয়ে আমার জন্য কপি বানিয়ে নিয়ে আসুন।

–স্যার এটা আমার কাজ না।কপি,চা দেওয়ার জন্য আলাদা লোক রেখেছেন।আপনি তাদের বলুন।দিয়ে যাবে।

–একে তো দেরি করে আসছেন।আবার আমার মুখে মুখে কথা বলছেন।ভালো না লাগলে অফিস থেকে বেড়িয়ে যাবেন।হুংকার দিয়ে উঠলো আহান।অধরা চমকে উঠলো।হঠাৎ…

চলবে…..