তুমি থেকে যাও আমি রেখে দিব পর্ব-০৩

0
341

#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_০৩
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

অধরা অন্ধকার রুমে আহানের গাল টিপে দেখছে,আর বোঝার চেষ্টা করছে,আসলে জিনিস টা কি।আহানের নাক চেপে ধরলো এবার বুঝতে আর বাকি রইলো না এটা একটা মানুষ।চিন্তার বিষয়ে মানুষটি ছেলে নাকি মেয়ে।না জানি কার রুমে রেখে গেছে স্যার।বেশ ভয় লাগছে অধরার।

আহান কোনো কথা বলছে না।সে মনে করেছে,তার বড় বোন হয়তো।এর আগের তা বড় বোন তাকে এভাবে শাসন করছে।আহান গিয়ে লাইট অন করলে।দু’জন দু’জনকে দেখে চিৎকার করে উঠলো।

–তুমি’!
–আপনি”।

–তুমি আমার রুমে কি করছো।তোমার সাহস কি করে হয়।আমার রুমে আমার অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করার।

–দেখুন আমি নিজ ইচ্ছায় আসি নাই।আপনার বাবা আমাকে এখানে রেখে গেছে।

–আজ তুমি যাবে কোথায়।সেদিন আমাকে কাঁদার মধ্যে ফেলে দিয়েছিলে না।এখন আমি তোমার কি অবস্থা করি দেখো।বলে-ই অধরার উঁচু করে বাঁধা চুলগুলো এলোমেলো করে দিলো।

–এটা আপনি কি করলেন।আমার চুল এলোমেলো করে দিলেন।দেখুন আপনার চুলের কি অবস্থা আমি করি।বলে-ই দুই হাতের মুঠোয় পুরে নিয়ে।আহানের চুল ধরে টানতে শুরু করলো।

–এই মেয়ে ছাড়ো বলছি।আমার লাগছে।আচ্ছা বজ্জাত মেয়ে তো।

–আপনি আমার চুলগুলো এলোমেলো করলেন কেনো।এখন দেখুন কেমন লাগে।

–আমার চুল ধরা তাই না।দেখো তোমার কি অবস্থা আমি করি।বলে-ই আহান অধরার চুল হালকা করে টেনে ধরলো।অধরা খেয়াল করলো।আহান ওর চুলগুলো ঠিকি ধরেছে।কিন্তু আহানের হাত কাঁপছে।এই সুযোগে অধরা আহানের চুলগুলো আরো শক্ত করে ধরলো।দু’জন দুজনের চুল ধরে টানাটানি করতে করতে কাপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে গোল গোল হয়ে ঘুরছে।দেখে মনে হচ্ছে দুই গুরু মারামারি লাগছে।শিং থাকলে এখনি একজন আরেকজনের পেট ফুটো করে দিতো।তখনি আশরাফুল চৌধুরী দরজায় নক করে।দুজনেই ভয়ে দরজার দিকে তাকায়।

–এই রে বাবা চলে এসেছে।এখন কি হবে।তুমি যদি বাবা’কে কিছু বলো তাহলে তোমাকে আমি মেরে-ই ফেলবো।বলে-ই আহান নিজের চুল ঠিক করতে করতে দরজা খুলতে চলে গেলো।

অধরা কি করবে ভেবে না পেয়ে দৌড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে চিরুনি হাতে নিলো।

–কি হয়েছে,তোমার দরজা খুলতে এত দেরি হলো কেনো।তুমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলে কেনো।আমি অধরাকে এখানে রেখে গিয়েছিলাম।তুমি ওকে বাজে কথা শোনাও নাই তো আবার।

–না স্যার উনি আমাকে কিছু বলে নাই।আপনার ছেলে’টা বড্ড ভালো মানুষ।আমি ওয়াশরুমে ছিলাম উনি বুঝতে পারে নাই।তাই দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলো।

আহান ভয়ে কাঁপছিল।কিন্তু অধারর কথা একটু শান্ত হলো।একটা মেয়ে আহান চৌধুরীর চুলে টেনে দিয়েছে।এটা বাহিরে জানাজানি হলে মান-সন্মান আর কিছু থাকবে না।মেয়েটা খুব চালাক।বাবার সামনে একদম ভালো সেজে থাকে।আহান সবকিছু বলতে গিয়ে’ও থেমে গেলো।ও যদি বাবা কাছে ভালো সেজে থাকতে পারে।তাহলে আমি কেনো পারবো না।আমি’ও বাবা কাছে ভালো থাকবো।

–হ্যাঁ বাবা অধরা সত্যি কথা বলছে।আমি বুঝতে পারি নাই।ইস মেয়েটা সারাদিন কি খাটাখাটুনি করছে।তাই বললাম ফ্রেশ হয়েছো,যখন তাহলে নিজের চুলগুলো ঠিক করে নাও।এলোমেলো হয়ে আছে।বাসায় এত মানুষ।তোমাকে এই ভাবে দেখলে সবাই হাসাহাসি করবে।

আশরাফুল চৌধুরী সন্দেহের দৃষ্টিতে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।এরা যে,এত ভালো মানুষ না।তা তিনি কালকে-ই বুঝে গিয়েছিলেন।কিছু তো একটা করেছে।না হলে দু’জন এত ভালো হয়ে গেলো কি করে।

–অধরা মা তুমি খেয়ে নিচে আসো।আহান তুমি ওকে নিচে নিয়ে আসবে।গম্ভীর কণ্ঠে বলে চলে গেলেন আশরাফুল চৌধুরী।

আশরাফুল চৌধুরী চলে যেতে-ই দু’জন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।

–বাবা চলে গেছে।এখন তোমাকে কে বাঁচাবে।আমার চুল টেনে দিয়েছো না।দেখো তোমার কি করি আমি।বলে-ই অধরার দিকে এগোতে লাগলো।অধরা আহান’কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলল।

–সরুন মারামারি পরে করবো।আমার সত্যি খুব ক্ষুদা লেগেছে।মানুষের সামনে খেতে আমার সরম লাগে।এখন কেউ নেই।এই সুযোগে খেয়ে নেই।

–ভালো ভালো খাবার দেখেছো,খাবে-ই তো।আগে তো কোনোদিন এই সব খাবার চোখে দেখো নাই।

–এই চার পা আলা দেব।আপনি চুপ থাকুন।আপনি তো নিজের যোগ্যতায় চোখে দেখেন না।সবই আপনার বাবার কষ্টের ফল।আপনার বাবা কষ্ট করে কামাই করে।আর আপনি গান্ডে পিন্ডে গিলেন।খাওয়ার সময় এত কথা বলতে হয় না।খেয়ে নেই দাঁড়ান।

–রাক্ষসি একটা খাও খাও।কয়দিন ওরে দেখা যাবে। শহরের মানুষ গুলোকে খেয়ে ফেলছো।

–আপনাকে খেয়ে ফেলি নাই।এটাই অনেক শুকরিয়া আদায় করুন।

–আমার রুম থেকে বের হও,তাড়াতাড়ি অসয্য মেয়ে একটা।

মেয়েটা আহানের আশেপাশে থাকলে আহানের কেনো জানি প্রচুর কথা বলতে ইচ্ছে করে।এমন-টা কেনো হয়।সে,নিজে’ও জানে না।ঝগড়া করার জন্য হলে-ও এই মেয়ের সাথে কথা বলা দরকার।এতে আহানের বুকের ভেতরে থাকা চাপা কষ্ট টা একটু হালকা হয়।প্রতি বারের মতো আজ-ও আহান রুমে থাকবে না।অধরার সাথে ঝগড়া করার জন্য হলে-ও তাকে আঠার লেগে থাকতে হবে।

অধরা খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে নিলো।তখনি তিতির আর তিতলি রুমের মধ্যে প্রবেশ করলো।অধরাকে আহানের রুমে দেখে তিতির বেশ অবাক হলো।কিন্তু তিতলির মুখে বেশ বিরক্তির ছাপ।কেনো জানি মেয়েটাকে দেখতে ইচ্ছে করে না তিতলির।

–ভাই সকাল থেকে কিছু খেয়েছিস।আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে এসেছি।নিজে’ও হতে খাইয়ে দিব।আয় বস।এই মেয়েটা কে।তোর রুমে কি করছে।বলল তিতির।

–আমি চিনি না আপু।এটা বাবার নতুন পিএ।রায়হানের জন্মদিনের দাওয়াত দিয়েছিলো।অফিসের সবাই এসেছে।বলল আহান।

–তুমি তো দেখতে ভারি মিষ্টি বোন।তোমার নাম কি আপু।

–আমার নাম অধরা আপু।

–আপু এইসব মেয়ের সাথে কথা বলিস না।আমাদের বাসায় কি রুমের অভাব পড়েছে।যে,আহানের রুমে এসে-ই বসতে হলো।এসব মেয়ের ধান্দা বুঝি আমি।আমার ভাইকে পটানোর তালে আছে।বলল তিতলি।

–আপনি এসব কি বলছেন।স্যার আমাকে এই রুমে বসিয়ে দিয়ে গেছে।আমি নিজের ইচ্ছায় আসি নাই।

–তিতলি এটা তোর কেমন ব্যবহার।তুই তো ওকে ভালোভাবে চিনিস না।তাহলে কি করে ওর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করিস।বাবা জানলে তোকে কঠিন শাস্তি দিবে।বাবার মেহমানকে তুই এভাবে অপমান করতে পারিস না।বলল তিতির।

–সরি আপু।আমি মেয়েদের একদম বিশ্বাস করি না আপু।এমনি একটা মেয়ে আমার ভাইটার জীবন টা এলোমেলো করে দিয়ে চলে গেছে।আমার ভাই আমাদের সাথে আর আগের মতো কথা বলে না।আড্ডা দেয় না।মজা করে না।চার দেওয়ালে নিজেকে বন্ধী করে রাখে।আমি চাই না।আর কোনো মেয়ের ছায়া আমার ভাইয়ের ওপরে পরুক।

অধরা কোনো কথা না বলে চুপচাপ বেড়িয়ে গেলো।ভিষণ খারাপ লাগছে তার।এভাবে কোনোদিন অপমানিত হয় নাই।স্যারের ছেলে-মেয়ে তাই কিছু বলতে-ও পারছে না।চাকরি টা অধরার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।অধরা চলে যেতেই আহান বাহিরে উঁকি দিয়ে দেখছে।মেয়েটা গেলো কোথায়।বাবা তো আমাকে বলেছিলো ওকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।এ বাসার কিছু-ই তো চিনে না মেয়েটা।তিতির আহানের অস্থিরতা দেখে মুচকি হাসলো।তারপরে নিজ হাতে আহান কে খাইয়ে দিলো।অধরা রেগে বাসার বাহিরে চলে আসছে।বাগানের সুইমিংপুলের কাছে আসতে’ই দাঁড়িয়ে পড়লো।এখানে-ও মানুষ দিয়ে ভরা।কিন্তু বাসার ভেতরে থেকে অল্প আছে।অধরা সুইমিংপুলের কাছে চুপচাপ একা দাঁড়িয়ে আছে।তখনি তিতলি আর তার ফ্রেন্ডরা আসে।অধরাকে শুনিয়ে শুনিয়ে অনেক কথা বলতে থাকে।অধরা সবকিছু এরিয়ে চলার চেষ্টা করছে।একটি মেয়ে বলে উঠলো।

–দেখ দেখ বার্থডে পার্টিতে আসছে।শুধু জিন্স আর টপস পড়ে এসেছে।মুখে কোনো মেক-আপ নেই।এদের কেনো তোর বাবা পার্টিতে ইনভাইট করে বুঝি না।

–আপু তোমার মেক-আপ নেই।তুমি আমাদের তিতলি কে বলতে পারতে।ওর অনেক দামি দামি মেক-আপ আছে।তোমাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতো।

–তুমি এত সাদামাটা হয়ে পার্টিতে আসছো কেনো।মেক-আপ কেনার টাকা নেই বুঝি।

–আমি এমনিতেই সুন্দর।আমার সুন্দর হবার জন্য আপনাদের মতো কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করে সুন্দর হওয়া লাগবে না।আপনি মুখ ধুয়ে ফেলুন আপনার সব সুন্দর্য টুস।আমাকে মুখ ধুয়ে আসতে বলুন।আমি ধুয়ে আসবো।আমাকে এখন,যেমন দেখতে পাচ্ছেন।মুখ ধুয়ে আসার পরে-ও ঠিক তেমনি দেখতে পাবেন।আপনার মুখ ধুয়ে আসুন।আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান।এক একটা কালনাগিনী দেখতে পাবেন।

অধরার কথায় তিতলি সহ সবাই তেরে আসলো অধরার কাছে।

–এই মেয়ে তোমার সাহস হয় কি করে আমার ফ্রেন্ডদের ইনসাল্ট করার।তুমি আমার বাসায় এসে আমার ফ্রেন্ডদের ইনসাল্ট করছো।তোমাকে আমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিব।বলল তিতলি।

–দেখলেন তো এমনি এমনি তো আর কালনাগিনী বলি নাই।একটা কথা বলতে-ই পারলাম না।কালনাগিনীর মতো তেরে আসলেন।ছোবল মারার জন্য।আপনারা বুঝি সবাইকে ইনভাইট করে নিয়ে এসে এভাবে অপমান করেন।বলল অধরা।

তখনি আদিলে এসে হাজির হয়।কি হয়েছে অধরা।কোনো সমস্যা, আমাকে বলতে পারো।তুমি এখানে একা দাঁড়িয়ে আছো কেনো।আমি তোমাকে কখন থেকে খুঁজছি।

–কালনাগিনী দের সাথে গল্প করছিলাম।

–এ্যাঁ,কোথায় কালনাগিনী।

–আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান দেখতে পাবেন।

–কিন্তু আমি তো মেয়ে নই মিস অধরা।আমি ছেলে,আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে,ওটা কালনাগিনী হবে না।ওটা কালনাগ হবে।বলল আদিল।

আদিলের কোথায় সবাই হেঁসে উঠলো।আদিল উপলব্ধি করতে পারছে সে কি বলে ফেলেছে।লজ্জায় সেখানে থেকে চলে গেলো।তিতলি তার ফ্রেন্ডদের নিয়ে চলে গেলো।

–শোন মেয়েটা’কে আমার একদমই সয্য হয় না।এসেই সোজা আহানের রুমে ঢুকে বসে ছিলো।আমি চাই না আমার ভাইয়ের জীবনে কোনো মেয়ে আসুক।ওর মেয়েটা’কে শিক্ষা দিতে হবে।রাফসান তুই তো ভালো পারিস মেয়েদের মন নিয়ে খেলতে।মেয়েটার খুব অহংকার।সবকিছু শেষ করে দিবি আজকে সবার সামনে।তখন দেখবো,এত বড় বড় কথা কোথায় থাকে।

–তিতলি কাম অন বেবি।রাফসান থাকতে তুমি এত প্যারা নিচ্ছো কেনো।তুৃমি বললে আমি আমার জান কুরবান করে দিতে ও রাজি।

–ঐ শালা তোর ডায়লগ বন্ধ কর। গিয়ে মেয়েটা’কে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্তা কর।

রাফসান কোনো কথা না বলে অধরার দিকে এগিয়ে গেলো।

–হেই বেবি,তুমি এখানে একা একা কি করছো।তোমার সাথে কথা বলার কেউ নেই।সমস্যা নেই তুমি মন খারাপ করো না।তোমার জন্য আমি আছি সোনা।বলল রাফসান।তখন রাফসান তিতলিদের সাথে ছিলো না।তাই রাফছান’কে চিনতে পারলো না অধরা।

–আমাকে কোলে নেন।তাড়াতাড়ি কোলে নিবেন।আমাকে কোলে করে পুরো চৌধুরী বাসা ঘুরে দেখাবেন।বলল অধরা।

অধরার কথায় রাফসান ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।

–এতবড় মেয়েকে কোলে নিতে যাব কেনো।তোমার পা নেই।নিজে পায়ে হেঁটে সবকিছু দেখো।

–এতবড় মেয়ে-কে বেবি বলার আগে মনে ছিলো না।আমাকে কোন দিক দিয়ে আপনার বেবি বলে মনে হয়।বেবি যখন বলছেন।তখন আপনাকে কোলে নিতেই হবে।আমাকে তাড়াতাড়ি কোলে নেন।রাফসান অধরার থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেলো।অধরা তেরে রাফছানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।রাফসান শয়তানি হেঁসে অধরার দিকে এগোতে লাগলো।

আহান পুরো বাসায় অধরাকে খুজেঁ চলছে।কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না।আহানকে এভাবে বাহিরে ঘুরতে দেখে সবাই বেশ খুশি।আশরাফুল চৌধুরী তৃপ্তির হাসি হাসলেন।অধরাকে খুঁজেতে খুঁজতে আহান বাগানে চলে আসলো।এতক্ষণে রাফসান অধরার অনেক কাছে চলে এসেছে।অধরার গাল স্পর্শ করতে যাবে।তখনি অধরা রাফসানের গালে কষে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।রাফসান রেগে অধরাকে পানিতে ফেলে দিলো।

আহান দৌড়ে আসার আগে-ই রাফসান অধরাকে পানিতে ফেলে দিয়েছে।আহান রেগে রাফসান’কে বলল এটা তুমি কি করলে।ও আমাদের বাসার অতিথি।আমাদের বাসার অতিথির সাথে বেয়াদবি করার তুমি কে।তোমাকে আমি পরে দেখছি।অধরা সাঁতার জানে না।বাঁচার জন্য ছোটাছুটি’ও করতে পারছে না।পানির নিচে তলিয়ে-ই যাচ্ছে।আহান’ও লাফ দিয়ে দিলো পানি’তে।দ্রুত অধরা’কে পানির নিচ থেকে উপরে তুলে আনলো।অধরা জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।আর একটু হলে মরে-ই যেতো।

চলবে…..