তোমাতে বিভোর আমি পর্ব-০৭ এবং শেষ পর্ব

0
266

#তোমাতে বিভোর আমি
পর্ব,,,,,,,৭ ( অন্তিম পর্ব )
লেখিকা,,,,,মৌমো তিতলি

***********

রুদ্র বরবেশে স্টেজে বসে আছে,,,,, আর অধরা বসে আছে তার রুমে নিস্তব্ধ হয়ে,,,, একটু পর বান্ধবীরা আসে অধরাকে নিয়ে যেতে,,,, তামান্না, রিয়া ,সোমা অধরাকে নিচে স্টেজে নিয়ে আসে,,,,, তারপর বসিয়ে দেয় রুদ্রর পাশে,,,,
রুদ্ররা যখন অধরাদের বাড়িতে পৌঁছায় ঠিক তখনই আদ্র গিয়ে তার ঘরে দরজা আটকে বসে থাকে,,, তার আর শক্তি নেই এই বিয়েটা স্বচক্ষে দেখার,,,,

বাড়ির সবাই উপস্থিত হয় বিয়ের মন্ডপে,,,,, কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করে,,,, শামীমা বেগম খেয়াল করেছেন আদ্র এখানে নেই,,, তিনি আড়ালে গিয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলেন,,, তার ছেলেটা কি করে এই ধাক্কাটা সামলে উঠবে বুঝতে পারছেন না তিনি,,,,,

কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করে,,,,, অধরাকে কবুল বলতে বললে অধরা ওভাবেই নিথর হয়ে বসে থাকে যেন কথা বলতেই ভুলে গেছি,,,তাকে আবারও কবুল বলতে বলা হয় অধরা এবার রক্তরাঙা চোখে সামনের দিকে তাকায়,,,,, মুখে কিছু বলতে নিবে তখনই কোত্থেকে ছুটে আসে আদ্র,,,,,

আদ্র ছুটে এসে মণ্ডপে উঠে অধরার হাত ধরে হেচকা টানে দাঁড় করিয়ে দেয়,,,, বাড়ির সকলের সামনেই অধরাকে নিজের বাহুতে আবদ্ধ করে ডুকরে কেঁদে ওঠে,,,, বলে,,,,,,,

: অধরা প্লিজ তুই এই বিয়েটা করিস না,,,, তোকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না ,,,,কেন আমাকে এভাবে পোড়াচ্ছিস তুই??প্লিজ অধরা সবাইকে বলে দে তুই এই বিয়েটা করবি না,,,,, তুই আমাকে ভালোবাসিস সবাইকে বলে দে,,,,, আমিও যে তোকে খুব ভালোবাসি,,,, তোকে কি করে অন্যের বউ হতে দেখবো আমি বল ???
প্লিজ চুপ করে থাকিস না,,, সবাইকে সত্যিটা বলে দে,,, এই বিয়েটা তুই করিস না অধরা,,,,, তাহলে যে আমি একেবারে শেষ হয়ে যাবো,,, মরে যাবো আমি তোকে ছাড়া,,,,,
কথাগুলো বলেই অঝোরে কাঁদতে থাকে আদ্র,,,,,

নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজ অধরা,,,,, চোখের কোন বেয়ে অঝোর এ পানি ঝরছে তার,,,,আদ্র তাকে এতোটা ভালবাসে ,,আর সেই আদ্রের সাথেই কত বড় একটা অন্যায় করতে যাচ্ছিলো সে,,,,, দুহাতে আর্দ্র কে জাপটে ধরে অধরা,,,,, মুখে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসি,,,,, কিন্তু সেই হাসিটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না অধরার,,,,,
অসহ্য যন্ত্রনায় শরীর ঘুলিয়ে ওঠে তার,,,,, সারা শরীরে দাও দাও করে আগুন জ্বলতে থাকে যেনো,,,, চোখের সামনে সবকিছু অস্পষ্ট দেখে অধরা,,,,, মুহূর্তেই আদ্রের বুকে ঢলে পড়ে সে,,,,,
অধরাকে ওভাবে ঢলে পড়তে দেখে চমকে ওঠে আদ্র,,, তখনই অধরার হাতে ধরা বিষের শিশি টা “খট” করে গড়িয়ে পড়ে মেঝে তে,,,,,

: অধরাআআআআআআ……….

আদ্রের হৃদয়বিদারক চিৎকারে সারাবাড়ি যেন থর থর করে কেঁপে ওঠে,,,,,
মুহুর্তের মধ্যে এত কিছু ঘটে গেলো সবাই নিস্তব্ধ হয়ে গেছিলো,,,,,
ছেলের চিৎকার শুনে ছুটে আসে শামীমা বেগম,,,,,
অধরার আব্বু আম্মু চিৎকার করে অধরাকে ধরে,,,, অধরার বড় আব্বু সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স কে ফোন করে,,,,,
এদিকে আর্দ্র অধরাকে বুকের সাথে চেপে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকে,,,,,,

: এটা তুই কি করলি অধরা?? কেন করলি তুই?? একবারও আমার কথা ভাবলিনা,,,,পরিবারের কথা ভাবলিনা,,,,

অধরাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়,,,, কয়েক মিনিটের মধ্যে আনন্দ পূর্ণ বিয়ে বাড়ি শোকের বাড়ি তে পরিণত হয়েছে যেনো,,,,,

রুদ্র স্তুম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,, শরীফ আহমেদ আরমান খান কে উদ্দেশ্য করে বলে,,,,,

: এটার মানে কি আরমান সাহেব????
আপনাদের বাড়িতেই ছেলে-মেয়ে দুটো একে অপরকে ভালবাসে,,,, আর সেটা আপনারা জানেন পর্যন্ত না??? নাকি জেনেও আমাদেরকে এভাবে অপমান করলেন??
এভাবে ঘরভর্তি মানুষ আত্মীয়-স্বজনের সামনে আমাদেরকে এভাবে ছোট না করলেও পারতেন,,,,,

আরমান সাহেব নড়েচড়ে উঠে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলেন,,,,,,

: শরিফ সাহেব আপনি অযথা এতগুলো অযৌক্তিক কথা বলবেন না,,,, অধরা আমাদের অতি আদরের,,, আমরা যদি তার মনের খবর জানতাম,, বা তাদের সম্পর্কের কথা জানতাম তাহলে এত কিছু ঘটতোই না,,,,
আপনারা প্লিজ আমাদের এরকম একটা মুহূর্তে সান্তনার বানী না শোনাতে পারেন তবুও এভাবে কটু কথা বলবেন না,,,,, আমি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি,,, আপনারা সসম্মানে ফিরে যেতে পারেন,,,,,,

রুদ্রের বাবা শরীফ আহমেদ তার আত্মীয়স্বজন আর ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে যায়,,,,,

**********

হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারে এক ঘন্টার উপরে হয়ে গেছে অধরা কে নিয়ে গেছে,,,,, এখনো ডক্টর রা সুবিধা করতে পারেনি,,,, এদিকে আদ্রের অবস্থা অবনতির দিকে,,, তাকে কিছুতেই সামলে রাখা যাচ্ছে না,,,, কয়েকবার অপারেশন থিয়েটারের দরজায় জোরে জোরে লাথি দিয়েছে,,,,, একের পর এক বিলাপ বকেই যাচ্ছে আদ্র,,,,,

: দেখোনা ছোট আব্বু,, অধরাকে সেই কখন নিয়ে গেছে এখনো কেন ফিরে আসছে না কেনো??
ওরা অধরাকে ভেতরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবে,,,, আমাকে প্লিজ যেতে দাও,,,, আমি অধরার কাছে যাবো,,, আমি ওর সামনেই থাকবো ,,,,তুমি প্লিজ ডাক্তারকে বোঝাও,,,,
অধরার বাবা আদ্রের অবস্থা দেখে নীরবে চোখের পানি ফেলে,,,এদিকে সোমা রিয়া তামান্না আলেক্স লিমন সবাই অস্থিরভাবে পায়চারী করছে হসপিটালের করিডোরে,,,,, আদ্র কে সান্তনা দেয়ার মত ক্ষমতা তাদের নেই,,, আদ্রের পাগলামি দেখে প্রত্যেকের চোখে জল এসে যাচ্ছে,,,,,

অভ্র আবারো গিয়ে দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দিতে থাকে আর বলতে থাকে,,,,,

: অধরা,,, এই অধরা,,, কি করছে ওরা তোমার সাথে??? তোমার কি খুব কষ্ট হচ্ছে??? কথা বলছো না কেন অধরা অধরা প্লিজ সাড়া দাও,,,,,,,

তখনই ডক্টর অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসেন,,,, ডক্টর বাইরে আসার সাথে সাথেই আদ্র ডক্টরের কলার চেপে ধরে চিৎকার করে বলে,,,,,

:সত্যি করে বলেন কি করছিলেন আমার অধরার সাথে?? মেরে ফেলেছেন আমার অধরাকে??? কেন মারলেন আমার অধরাকে?? কেন কেড়ে নিলেন আমার কাছ থেকে আমার ভালোবাসা?????

ডক্টর জোর করে কলার ছাড়িয়ে নিয়ে বললেন,,,,,,

: আপনি প্লিজ শান্ত হোন মিস্টার আদ্র,,,,, চিন্তার কোন কারণ নেই,,,,, সি ইজ আউট অফ ডেঞ্জার,,,!!!!!!!

ডাক্তারের কথা শুনে সবাই যেনো নতুন জীবন ফিরে পেল,,,,, আদ্র ধপ করে মাটিতে বসে পড়লো,,,,শামীমা বেগম এগিয়ে গিয়ে ছেলেকে বুকের সাথে চেপে ধরলেন ,,,,আজ কয়েকটা দিন ছেলেটা অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছে,,,,,

ডাক্তার বললেন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অধরার জ্ঞান ফিরবে,,,, তারা এখনই তাকে কেবিনে শিফট করে দিচ্ছে,,,,
একটু পরেই অধরাকে নিয়ে বেরিয়ে এল দুটো নার্স,,,,,, অধরাকে দেখেই আদ্র অধরার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল,,, দুই হাতে অধরার মুখ চেপে ধরে অসংখ্য চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিলো,,,,,
লিমন আর আলেক্স আদ্রকে একপাশে সরিয়ে নিলো,,,,
অধরাকে কেবিনের শিফট করে দেয়া হলো,,,,,

*********

সন্ধ্যার একটু পর অধরার জ্ঞান ফিরলো,,,,, জ্ঞান ফিরতেই অধরা নড়েচড়ে উঠলো,,, হাতটা টান দিতেই ভারী কিছু অনুভূত হলো তার কাছে ,,,,,চোখ মেলে দেখলো হাতটা চেপে ধরে বসে আছে আদ্র,,,,,,,

কেবিনে একটা ঝলমলে আলো জ্বলছে ,,,,,আর্দ্র ছাড়া কেবিনে আর কেউ নেই,,,,, আদ্র কে দেখে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল অধরার,,,,, কয়েকদিনে কি অবস্থা করেছে ছেলেটা নিজের,,, উস্কোখুস্কো চুল,, চোখ দেখেই মনে হচ্ছে হাজার রাত্রে সে ঘুমাইনি,,, ডিসিপ্লিন মেনটেন করা আদ্র যেন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে,,,,,
এই ছেলেটাকে কিনা বিনা অপরাধে সে কত কষ্ট দিয়েছে,,,,, সে কথা মনে হতেই দুচোখ ছাপিয়ে অশ্রুর ঢল নামে অধরার,,,,, অধরার চোখের পানি আদ্রের হাতে পড়তেই নড়েচড়ে উঠে চোখ মেলে আদ্র,,,,,, অধরার দিকে চোখ পড়তেই হন্তদন্ত হয়ে উঠে বসে,,,,,,,
অধরা সামনে বসে দুই হাতে আলতো করে অধরার মুখটা উঁচু করে ধরে অপলকে তাকিয়ে থাকে,,,,,

মুহূর্তেই পেছনের কয়েক দিনের কথা মনে হতেই মুখ শক্ত হয়ে যায় আদ্রের,,,,, উঠে দাঁড়িয়ে কষে একটা থাপ্পর মারে অধরার মুখে,,,,,,

: তোকে এত পাকামো কে করতে বলেছে?????
কেনো এতো নাটক করলি তুই ?????কি অপরাধ ছিলো আমার??? কোন অপরাধের শাস্তি দিলি তুই আমাকে???? বল,,,,,,

অধরা হতভম্ব হয়ে আদ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,,

“কত্ত বড় সাদা হাতি,,,আমি মরে না গিয়ে বেঁচে ফিরলাম,, তার জন্যই তো ফিরলাম,, আর সে আমাকে কিনা থাপ্পর মারলো,,,, এ কোনদিনও শোধরাবে না,,,
বাকি জীবনটা আমার এই থাপ্পরের উপরেই কাটবে সেটা আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি,,,,”

অধরাকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরো যেন রেগে যায় আদ্র,,,
হ্যাঁচকা টানে অধরাকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে দুহাতে ধরে ঝাকিয়ে বলে,,,,

: চুপ করে থাকবি না,, ড্যাম ইট!!!!!

অধরা আদ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে,,,,,, কি করে সে বলবে যে কেনো এমন টা করেছিলো,,!!! সেটা যদি আদ্রকে বলে কতটা নিচু মনের ভাববে তাকে আদ্র,,,

: তুই এভাবে চুপ করে থাকবি না !!!সত্যি করে বল কেন করলি তুই এমন??? জানতে হবে আমাকে,,,,,, কি দোষ করেছিলাম আমি যার জন্য তুই এত বড় একটা স্টেপ নিলি???

অধরা মাথা নিচু করে সেদিনের ক্লাবে দেখার ঘটনাটা খুলে বলে,,, সে ভেবেছিল আদ্রের গার্লফ্রেন্ড আছে ,,তাই সে বিয়েটা করতে রাজি হয়েছিলো,,, কিন্তু বিয়ের দিন যখন মেঘলা আপুর মুখে সবটা শোনে তখন কি করবে বুঝতে পারছিলো না,,,,,,,,,,

আদ্র আবারও কষে একটা থাপ্পর মারে অধরাকে,,,,,,

:এমনি কি আমি তোকে বলি যে তোর মাথায় গোবর ছাড়া কিছু নেই,,,, তোর বোধবুদ্ধি বলে কোনদিনও কিছু হবে না বল?? আমি আর্দ্র অধরাকে ছেড়ে অন্য কোন মেয়েকে ভালোবাসবো???
সেটা তুই মাথাতে কি করে আনলি ড্যামইট???

অধরা বুঝতে পারে প্রচন্ড রেগে গেছে আদ্র,,,,, অপ লোকে আদ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে অধরা,,,,,
হুট করেই আদরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়,,,, সাথে সাথেই নিস্তব্ধ হয়ে যায় আদ্র,,,,,, একেবারে শান্ত,,,,,,!!!!
অধরাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরে এই কয়েক দিনের জমে থাকা কষ্ট গুলো কে পিষে মেরে ফেলতে চাই যেনো,,,,,,

*****”*””

💗💗💗💗আজ আদ্র অধরার বিয়ে 💗💗💗💗

আজ আদ্র আর অধরার বিয়েটা সম্পন্ন হলো,,,,,

সোমা,, রিয়া ,,তামান্না অধরাকে আদ্রের রুমে বসিয়ে দিয়ে চলে যায়,,,,,
এদিকে লিমন আর আলেক্স আদ্রকে নানা কথার ছলে আটকে রাখে ড্রইংরুমে,,,,আদ্র বারবার নিজের রুমের দিকে তাকাচ্ছে উসখুস করছে ব্যাপারটা ভালোই উপভোগ করছে ,,তারা,,,,,,
তখন তামান্না রিয়া সোমা এসে বলে ,,,

:কি হচ্ছে এখানে তোরা কেন আদ্র ভাইয়াকে এখানে আটকে রেখেছিস?????
আদ্রকে তার রুমে যেতে বলে তারা,,,,,

আদ্রতার রুমের দিকে চলে যায়,,,,,,,,
রুমে ঢুকে আস্তে করে দরজাটা লাগিয়ে এগিয়ে যায় অধরার দিকে,,,,,,
অজস্র ফুলে মোড়ানো বিছানায় বউ সেজে বসে আছে অধরা,,,, অপলকে অধরার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে আদ্র,,,,, অধরা রুমে আদ্রের উপস্থিতি টের পেয়ে,,, আস্তে করে নেমে আসে তারপর সালাম করে,,,,

অধরাকে সালাম করতে দেখে হো হো করে হেসে ফেলে আদ্র,,,,
আদ্রকে হাসতে দেখে ভ্যাবাচাকা খেয়ে তাকিয়ে থাকে অধরা,,,,,
আর্দ্র বলে,,,,,

:তোর মত বোকা মেয়ের এই বুদ্ধিটা মাথায় কে ঢুকিয়ে দিয়েছে বলবি????

: কেউ ঢোকাবে কেনো??? আমি জানিনা মনে হচ্ছে বিয়ের প্রথম দিন স্বামীকে সালাম করতে হয়!!!!!!

অধরার মুখে স্বামী কথাটা শুনে আবার একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়,,,,, সত্যিই তো সে এখন অধরার স্বামী অধরা তার বউ,,, তার নিজের বউ,,,যাকে সে জীবনের সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট মেনে এসেছে,,, ভালোবেসেছে তার সবটুকু দিয়ে ,,,,অতিরিক্ত
চেয়েছে অধরাকে,,,,,

দুহাতে অধরার মুখটা তুলে ধরে অপলক তাকিয়ে থাকে আদ্র,,,, অধরা লজ্জা পাই,,, মুখ নীচু করে বলে,,,,,

: ওভাবে কি দেখছো ??মনে হচ্ছে কখনো দেখোনি!!!!!

: দেখিনি তো,,, আমিতো অধরাকে দেখেছি আমার বউকে দেখিনি,, তাই এখন দেখছি,,

অধরা লজ্জা পেয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো,,,,, আদ্রও হেসে অধরাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো,,,,,

কয়েকটা দিন খুব বেশিই যে জ্বালিয়েছে মেয়েটা,,,,,
সবটার শোধ তুলবে এবার,,,,,,,🙈🙈🙈🙈🙈

সমাপ্ত

********