তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-০৫

0
2474

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_৫
.. বেলা ঘুমের মাঝে তার ঠোঁটে উষ্ণ স্পর্শ অনুভব করছে গভীর ভাবে। তার মনে হচ্ছে কোনও বেড়া জালে আটকে আছে কেউ তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। তার কপালে ভেজা ভেজা কিছু অনুভব করতে পারছে। ঘুমের মাঝে সে তার ঠোঁটে ও গলায় উষ্ণ গরম আদুরে স্পর্শ পাচ্ছে যেটা গভীর থেকে গভীর হচ্ছে। ঘুমের মাঝেই বেলার শরীর এই আদুরে স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠছে। বেলা নিজে ও ঘুমের মাঝে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে এই স্পর্শের সাথে। যতক্ষণ না শ্বাস ফুলে যাচ্ছে বেলার সেই স্পর্শে মেতে থাকে। বেলার দম আটকে আসলে নিজের ঠোঁটে থেকে উষ্ণ স্পর্শ নিজের গলায় পায়।
.
–“উমমম । জি…জি..ন্দেগি । অস্ফুটে বলে ওঠে বেলা।
.
. বেলা নিজের গলায় একটা গভীর কামড় অনুভব করে নিজের চোখ মুখ কুঁচকে নিয়ে পিট পিট করে চোখ খুলে তাকায় । কিন্তু আবার সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলে। রুমের থাই গ্লাস সরানো পর্দা গুলো ও । সূর্যের আলো কোনো বাধা না পাওয়ায় মনের আনন্দে নাচতে নাচতে রুমে ঢুকে পড়েছে। বেলার মুখে চোখে আলো পড়তে তাই আবারো চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। আসতে আসতে চোখ খুলে তাকাতে বেলা মুখ হা হয়ে যায়। সাঁঝ তাকে নিজের সাথে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। সে সাঁঝ এর বুকের ওপর পড়ে আছে। আর সাঁঝ তাকে কোলে নিয়ে বসে আছে। সে বিড়াল বাচ্চার মত পড়ে আছে সাঁঝ এর বুকে।
.
. বেলা নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে সরে আসতে নিলেই। রুমের মধ্যে বাজ পড়ার মত শব্দ হয়।
.
–“ঠাসসসসস । একটা বিরাশি চক্করের থাপ্পড় বেলার গালে পড়ে।
.
. বেলা নিজের গালে হাত দিয়ে চোখে পানি নিয়ে টুকুর টুকুর করে চেয়ে আছে সাঁঝ এর দিকে। যে এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছে হিংস্র ভাবে চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে আছে। চোখ টা অসম্ভব ভাবে ফুলে আছে চোখের পাতা গুলো ভিজে ভিজে লাগছে। মাথার চুল গুলো উস্ক খুস্ক হয়ে আছে। বেলার ওই ভাবে তাকানো দেখে আগুনে চোখে হিংস্র ভাবে তাকায়। যেনো মনে হচ্ছে এই চোখ এর আগুন দিয়ে তাকে ভস্ম করে দেবে।
.
. বেলা সাঁঝ কে নিয়ে নিজের ভাবনার মাঝেই মৃদু চিৎকার করে ওঠে। ঘোর কেটে যায় তার। সাঁঝ এক হাত দিয়ে তার মাথার পিছনে চুল মুঠো করে ধরে তার মুখ একেবারে সাঁঝ নিজের মুখের কাছে নিয়ে আসে। তাদের দুজনের ঠোঁট ছুই ছুই হয়ে আছে। সাঁঝ রাগে ফুফাচ্ছে । সাঁঝ এর এই রাগের কারণ বুঝতে পারছেনা সে। হঠাৎ করে সে সকাল সকাল একটা থাপ্পড় খেয়ে নিলো বিনা পয়সায়। বেলা ভাবতে বসে আচ্ছা সে তো কাল রাতে ওয়াশরুমে ছিল। তার পর। তারপর কি হয়েছিলো তার আর কিছু মনে পড়ছে না। আবার ও নিজের চুলে টান খেতে নিজের ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসে।
.
–“তোমার সাহস হয় কি করে। এত সাহস এলো কোথায় থেকে। আর এই শরীর টা কে আঘাত করার অধিকার কে দিয়েছে। বেলার চুল আরো একটু শক্ত করে ধরে হিসহিসিয়ে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–” নিজেকে ওয়াশরুমে বন্দি করেছিলে কেনো? বল আমায়? কিসের জন্য? আর এই শরীরে এত গুলো আঘাত এলো কেনো? উত্তর দাও আমায়। রাগে চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে পিটিশ পিটিশ করে সাঁঝ এর কথা শুনে যাচ্ছে। সাঁঝ এর এই রাগ তার এই চিৎকার করা তার এই আগুনে চোখ সব কিছু দেখে সে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
.
. এদিকে সাঁঝ বেলার চুপ থাকা দেখে আরো রেগে যায়। তার দিকে বেলার এমন ভাবে তাকানো দেখে সারা শরীরে যেনো কেউ আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
.
–” তোমার কি মনে হয় তুমি এমন করে আমার থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে? যদি এটা ভেবে থাকো তাহলে খুব বড় ভুল করছো। তুমি এখনো সাঁঝ রওশন কে চেন না। সে যেমন দিওয়ানা হতে পারে আবার সেই রকম হিংস্র রুদ্র মূর্তি ধারণ করতে ও দু মিনিট ভাবে না। বুঝতে পেরেছ? আর এই শরীর টা আমার। তোমার এই শরীর এর ওপর কোনো অধিকার নেই। তাই আইন্দা এইরকম কিছু করলে সেই দিন তুমি বুঝবে সাঁঝ রওশন কি আর কতটা ভয়ঙ্কর। সাঁঝ দাঁতে দাঁত চেপে হিসহিসিয়ে বলে ওঠে বেলার মুখ নিজের মুখের সাথে লাগিয়ে।
.
–“লিসেন বেলা আই সয়্যার এরপর যদি তোমার এই শরীরে একটা ছোট্ট দাগ ও দেখতে পাই আমি কি করব তোমাকে তুমি নিজেও জানো না। তুমি নিজের ওপর তোমার কোনো অধিকার নেই। তুমি এখন মিসেস বেলা সাঁঝ রওশন। তোমার ওপর এখন আমার অধিকার শুধু আমার। তাই আমি তোমাকে মারব তোমাকে আঘাত করব আবার তোমাকে আমার ভালোবাসা দিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দেবো। আমার যা ইচ্ছা করতে পারি কিন্তু তুমি নও। কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নাও। এটাই তোমার জন্য ভালো হবে। সাঁঝ দাঁতে দাঁত চেপে বলে বেলা কে বিছানায় বসিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
.
. এদিকে বেলা পুরো হতভম্বের মত বিছানায় বসে আছে। এতক্ষণ যা কিছু হয়েছে সব যেনো তার মাথার ওপর দিয়ে গেছে। সাঁঝ এর বলা কথা গুলো তার ওপর সাঁঝ এর চিৎকার করা যেনো তার মাথায় ঘুরছে বন বন করে। বেলা ঘুরে সামনের দিকে তাকাতে দেখে আয়নায় তার প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। বেলা তার কাঁধের ওপর থেকে চুল সরিয়ে দেখে তার ক্ষত সব মিলিয়ে গেছে। শুধু হালকা হালকা লাল হয়ে আছে।
.
–“মিষ্টি ভাবি। সারা রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে ডেকে ওঠে।
.
. বেলা নিজের দৃষ্টি সামনের আয়না থেকে সরিয়ে পাশে ঘুরতে দেখে রুমের দরজায় সারা দাঁড়িয়ে আছে কাচু মাচু মুখ করে। বেলা আলতো হেসে হাত বাড়িয়ে দিতে সারা ছুটে এসে বেলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেলা আলতো হেসে সারার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে।
.
–” মিষ্টি ভাবি। তুমি কেনো ওমন করেছিলে জানো আমি কত ভয় পেয়ে গেছিলাম। তোমাকে ওই ভাবে পড়ে থাকতে দেখে। জানো আমি ভাই ভাইয়্যু সব ভয় পেয়ে গেছিলাম আর ভাই এর তো পাগল পাগল অবস্থা হয়ে গেছিলো। সারা বেলা কে জড়িয়ে ধরে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে চুপ চাপ শুনে যাচ্ছে সারার কথা।
.
–“জানো তুমি দরজা খুলছিলে না বলে ভাই কি রকম করছিলো। আমি আর ভাইয়্যু ভাই এর চিৎকার শুনে এখানে এসে দেখি ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ ভাই আর ভাইয়্যু মিলে দরজা লক ভেঙে ভিতরে ঢোকে। আমি তো তোমাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম। আর ভাই তো তোমাকে কোলে নিয়ে পাগলের মত ডেকে যাচ্ছিল তোমাকে। তোমাকে কোলে এনে বিছানায় দিয়ে ডক্টর এর কাছে ফোন করতে বেরিয়ে যায়। আমি তোমার চেঞ্জ করিয়ে দেই। জানো সারারাত ভাই তোমাকে বুকে নিয়ে বসেছিল। সারা কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
–“হুসস । কাঁদছো কেনো। পিচ্চি মেয়ে দেখো আমি একদম ঠিক আছি। কাঁদে না। আচ্ছা আচ্ছা সরি সরি আর হবে না। আচ্ছা আমি তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাব। এবার তো চুপ করো সোনা মেয়ে। বেলা সারার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সারা কে ভোলাচ্ছে।
.
–” তুমি জানো তোমার কাছে এলে না আমি কেমন মা মা গন্ধ পাই। আমি তো মাকে কখনও দেখিনি। আমি না কখনো মায়ের ভালোবাসা পাইনি । মা কেমন হয় জানি না। জানো ছোটো বেলা যখন আমি স্কুল যেতাম তখন তারা সবাই মায়ের সাথে করে যেতো আর আমি ভাই এর সাথে। আমি শুধু দেখতাম। জানো ভাই আর ভাইয়্যু আমাকে কখনও একা হতে দেয় নি আমার সব ইচ্ছা পূরণ করেছে। আমাকে কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দেয় নি। সারা বলে ওঠে।
.
. বেলার চোখে ও পানি টলমল করছে। সে ও তো বাবা মা কে হারিয়েছে। সে ও তো বাবা মায়ের ভালোবাসা পায়নি। সে বোঝে বাবা মায়ের না থাকার কষ্ট টা। আর পিচ্চি মেয়েটা তো মাকে পায়নি। বয়স কতই বা হবে। ছোটো থেকে মা ছাড়া বড় হয়েছে। বেলা সারা মাথায় চুমু খেয়ে সারা মুখ দু হাতে তুলে নিয়ে চোখ মুছে দিয়ে বলে ওঠে।
.
–“আমি আছিতো। এখন থেকে আমি সব সময়ে তোমার পাশে আছি। ঠিক আছে। এখন লক্ষি মেয়ের মত রেডি হয়ে নাও তো আমরা ঘুরতে বেরোব কেমন। এখন যাও। বেলা সারা কে বলে ওঠে।
.
–” ওকে মিষ্টি ভাবি।
.
. সারা রুমে থেকে চলে যেতেই বেলা বিছানা থেকে উঠে পড়ে। তাকে বেরোতে হবে। এই ভাবে বসে থাকলে হবে না। বেলা কাবার্ড থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
.
. কিছুক্ষণ পর বেলা ওয়াশরুমে থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হতে থাকে। ধূপ ধাপ আওয়াজ হতে বেলা দরজার দিকে তাকাতে দেখে সাঁঝ ট্রে হাতে ভিতরে ঢুকছে।
.
.সাঁঝ হাতের ট্রে পাশে কফি টেবিলে রেখে বেলা কে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতে থাকে। লাইট ব্লু ডেনিম। ব্ল্যাক শার্ট। পায়ে ব্ল্যাক স্টিলেটো চুল গুলো কে সাইট হাই পনিটৈইল করেছে। সামনের এক সাইট এর চুল বের করে রেখেছে যে গুলো মুখে পড়ছে। কানে ব্ল্যাক হপ রিং। নাকের থেকে নাক ফুল খুলে ফেলেছে। নাকের থেকে নোস পিন খুলে রেখে নোস রিং পড়েছে। হাতে ব্ল্যাক স্টোন এর ওয়াচ। ঠোঁটে পার্পেল কালার এর লিপগ্লস দিয়েছে।
.
. বেলা আয়না থেকে কোনা চোখে তার পিছে দাঁড়ানো সাঁঝ কে দেখছে। যে এই মুহূর্তে তাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। বেলা মনে মনে সাঁঝ কে গালি দিলেও এই জিনিস গুলোর জন্য বেশ খুশি হয়েছে। এখানে ড্রেস জুয়েলারি মেকআপ কীট সমস্ত কিছু কিনে রেখেছে।।
.
. সাঁঝ এতক্ষণ ধরে বেলা কে দেখে নিয়ে পিছন থেকে বেলার হাতে টান মেরে বিছানায় বসিয়ে দেয় কোনো কথা না বলে। বেলা আচমকা এমন হওয়াতে হকচকিয়ে যায়। রাগী চোখে সাঁঝ এর দিকে তাকালে সাঁঝ এর গম্ভীর মুখ দেখে তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হয় না আর।
.
. সাঁঝ বেলা কে বসিয়ে ট্রে থেকে আইস এর বোল থেকে আইস নিয়ে বেলার মুখে লাগাতে থাকে। তার মারা থাপ্পড় এর জন্য লাল হয়ে আছে মুখের এক অংশ।।
.
–“হুম মেরে নিয়ে এখন আদিক্ষেতা দেখাতে এসেছে ঢং দেখো। বেলা নিজের মনে মনে বলে ওঠে।
.
–” হুম আমি মারব আবার আমি আদর করব। এতে কিছু বলার আছে। মারার মতো কাজ করলে মার খেতে হবে। সাঁঝ গম্ভীর ভাবে বলে ওঠে।
.
. বেলা চমকে যায় সাঁঝ এর কথা শুনে ভাবতে থাকে এই বেটা হুঁনো টা তার মনের কথা ও বুঝতে পারে নাকি।
.
–“এই শুনুন এত পায়তাড়ি করবেন না। আর হ্যাঁ আমি আপনার কথা শুনতে বাধ্য নই ঠিক আছে। আমার যা ইচ্ছে হবে আমি সেটাই করব। বেলা চেঁচিয়ে বলে ওঠে।
.
–“আওয়াজ নীচে। শীতল চোখে বেলার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–“কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি ? সকাল সকাল রেডি হয়ে। কোথাও যাওয়া হবে না। চুপ চাপ রেস্ট করবে। সাঁঝ শান্ত কন্ঠে বলে ওঠে।
.
–“এই যে শুনুন আমি আপনার কথা শুনতে বাধ্য নই। আমি কোথায় যাচ্ছি সেটা বলতে ও বাধ্য নই। আমার যেখানে ইচ্ছা হবে সেখানে যাব। হতে পারেন আপনি এখানকার লিডার। কিন্তু আমার নয়। বেলা বলে ওঠে।
.
. বেলা বিছানায় পড়ে থাকা নিজের ফোন নিয়ে উঠে বেরিয়ে যেতে নিলেই পেছন থেকে সাঁঝ টেনে ধরে দেয়ালে সাথে চেপে ধরে।
.
–” যাচ্ছ যাও। কিন্তু মনে রেখো। তুমি কিন্তু আমার নজরে থাকবে। তোমার ওপর আমার নজর সব সময়ে থাকবে তাই এমন কিছু করবে না যার জন্য তোমাকে কঠিন শাস্তি পেতে হয়। আর এই শরীরে যেনো কোনো ছেলের স্পর্শ না লাগে। যদি এমন টা হয় তাহলে সেই যে হোক না কেনো নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করবে। তাই বি কেয়ার ফুল। সাঁঝ দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ বেলার ঠোঁটের ওপর নিজের আঙুল নিয়ে গিয়ে স্লাইড করতে বেলা চমকে ওঠে। সাঁঝ ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে বেলার ঠোঁটের দিকে। বেলা সাঁঝ এর এই ঘোর লাগা নেশা ভরা চোখ দেখে নিজেকে ছাড়াতে গেলে সাঁঝ বেলা কে চেপে ধরে বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
.
. কিছুক্ষণ পর সাঁঝ বেলা কে ছাড়তে বেলা সাঁঝ এর বুকে একটা ধাক্কা মেরে চোখ রাঙিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আর সাঁঝ আঙুল দিয়ে নিজের ঠোঁট মুছতে মুছতে বাঁকা হাসছে।
.
.
–“আরে মিষ্টি ভাবি কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। সারা বেলা কে নিচে নামতে দেখে বলে ওঠে।
.
–” ইয়ার বেলা কখন থেকে তোর জন্য ওয়েট করছি আর তুই সবে এলি। নিশান বলে ওঠে।
.
–“বাই দ্যা ওয়ে। জিজ কি আটকে রেখে ছিল নাকি তোকে হুম হুম। রুহি বেলা কে ধাক্কা দিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা চোখ রাঙিয়ে তাকালে সবাই মিট মিট করে হাসতে থাকে।
.
–“আব চল লেট হয়ে যাচ্ছে। বের হই তাহলে।বেদ বলে ওঠে।
.
–“বেলা তোকে ছাড়া আমরা কেমন করে ইউনিভার্সিটি যায়। তাই সকাল সকাল এখানে চলে এসেছি। কিন্তু বেলা তোর বাইক তো এখানে নেই তাহলে। ওম বলে ওঠে।
.
–“আরে চিল আমাদের সাথে যাবে। হাম লোগ হে না তু ফিকর কিউ কারতি হে। নিশান বলে ওঠে।
.
–“বেলা নিজের বাইক নিয়ে যাবে। টেনশন এর কারণ নেই। সাঁঝ নীচে নামতে নামতে বলে ওঠে।
.
–“ওর বাইক তো এখানে নেই তাহলে। রুহি বলে ওঠে।
.
–“এটা। বলেই বাইক এর কিজ উচু করে সাঁঝ।
.
–” ওয়াও জিজ ।ওকে সো লেটস গো । রুহি বলে ওঠে।
.
. বেলা আগুন চোখে সাঁঝ এর দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে সাঁঝ এর হাত থেকে কিজ নিয়ে নেয়। বেলা জানে এটা ছাড়া ও বাড়ির থেকে বেরোতে পারবে না। বেলার সাথে সারা ও বেরিয়ে যায় পিছন পিছন। যে যার বাইক উঠে যায় বেলার সাথে সারা আছে। পাঁচ টা বাইক একসাথে বেরিয়ে যায়।
.
. সাঁঝ পিছন থেকে ওদের দেখ ছিল এতক্ষণ। ওরা বেরিয়ে যেতে ফোন বের করে কানে দেয়।
.
–“ওদের ওপর নজর রাখো। এক সেকেন্ডের জন্য ও যেনো ওদের থেকে নজর না সরে। আর প্রতি টা মুহূর্তের আপডেট দিতে থাকবে আমাকে। আর কিছু অন্য রকম লাগলে দ্রুত আমাকে ইনফর্ম করবে। সাঁঝ বলে ওঠে।

——————

–“ম্যাডাম শিকার আমাদের সামনে। বলেন তো…
.
–“চুপ একদম। কোনো কাজের নয় শুধু বেকার কথা। তোমাদের কিছু করতে হবে না। আমাকে লোকেশন শেয়ার করো। আর ওদের ওপর নজর রাখো। আর কিছু করতে হবে না। যা করার আমি করব।
.
–“ওকে ম্যাডাম।
.
–” ও হ্যাঁ। ওরা যেনো বুঝতে না পারে যে ওদের কে ফলো করছো।
.
–” চিন্তা করবেন না। একটু ও বুঝতে পারবে না।
.
–” ওকে ।

——————

. বেলারা সব এক সাথে ইউনিভার্সিটি ভিতরে ঢোকে। ওদের এই পাঁচ জন এর রেনবো আর তার সাথে সারা। মিলে একসাথে ভার্সিটিতে ঘুরে ঘুরে দেখছে। বেলা সারা কে সব কিছু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে। আর এদিকে বেদ সারা কে ঘুরে ফিরে দেখছে। এটা ওদের বাকি চার জন ঠিক খেয়াল করেছে। ওরা ক্যাম্পাস গার্ডেন ঘুরে নিয়ে এবার হল রুমে চলে যায়।
.
–“সারা এটা হলো মিউজিক হল রুম। আমরা এখানে আমাদের প্র্যাক্টিস করি। রুহি সারা কে দেখিয়ে বলে ওঠে।
.
–” বেদ। বেলা ডেকে ওঠে।
.
. কিন্তু কোথায় কি সেতো এখন সারা কে দেখতে আছে। সবাই মিলে বেদ এর অবস্থা দেখে মিট মিট করে হাসছে । বেলা এসে বেদ এর পেটে একটা পাঞ্চ করতে বেলা নিজের ঘোর কেটে বেরিয়ে আসে। আর এদিকে সবাই বেদ অবস্থা দেখে হাসিতে ফেটে পড়ে। সারা ও লজ্জা পেয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
–“বেলা। তোমাদের কে প্রিন্সিপাল ডাকছে। দরজায় দাঁড়িয়ে বলে ওঠে ওদের এক ক্লাসমেট।
.
. বেলারা সবাই হল রুম থেকে বেরিয়ে প্রিন্সিপাল এর রুমের দিকে যেতে নিলে হঠাৎ বেলা কারোর সাথে ধাক্কা লাগে বা বলা ভালো কেউ পায়ে পা বাজিয়ে ফেলে দিয়েছে। আর এদিকে সবাই অবাক হয়ে গেছে।
.
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন ।😊 😊 😊