তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-০৮

0
2680

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_৮
…বেলা সকালে প্রচণ্ড জোরে ঘড়ির কাটার ধুকপুক আওয়াজ ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে কারোর মধ্যে প্যাচানো অবস্থা পায়। নাড়াচাড়া করতে ও পারছে না। মাথা হালকা কাত করতে বুঝতে পারে। তাকে দু হাতের মাঝে বন্দি করে ঘুমে আছে সাঁঝ। তার মাথা টা সাঁঝ এর বুকের ওপর আছে। এবার বেলা বুঝতে পারে আসলে ধুকপুক আওয়াজ টা ঘড়ির নয় এই গোমরামুখো সাঁঝ এর। বেলা নিজেকে ছাড়াতে না পেরে মাথা টা হালকা ঘুরিয়ে নিয়ে ঘাড় টা একটু উঁচু করে দেখতে থাকে সাঁঝ এর ঘুমন্ত মুখ।
.
.ঘুমন্ত অবস্থায় ও কেউ কি করে এত সুন্দর দেখাতে পারে হুঁ এমনি করে বেলার সামনে থাকলে না জানি বেলা কখন না আবার ডার্ক চকলেট ভেবে খেয়ে না ফেলে। উফ এই গোমরামুখো টা আর কত রকম জালবা দেখাবে নিজের। সে কি জানে তার এই রকম ভাবে দেখে বেলার অবস্থা একদম পানি পানি হয়ে যাচ্ছে। মনের মধ্যে আবার সেই পুরোনো দিন এর ভালোবাসা পাগলামি গুলো জেগে উঠছে। এক সময়ে যেটা মারাত্মক রকমের নেশা ছিল বেলার কাছে। এখন ও আবার সেই নেশা জেগে উঠছে সাঁঝ কে দেখে।
.
. ট্রিম করা দাড়ি গুলো দুধ সাদা ফর্সা গালে খুব সুন্দর লাগছে। যেনো কালো টিকা। কিন্তু সব মেয়েরা এই ফেস এর প্রেমে পড়ে যায়। আর এই মহারাজ এর তো সেদিকে কোনো হুস থাকে না সে থাকে তার আন্দাজে। সাঁঝ এর সিল্কি চুল গুলো কিছু কপালে এসে পড়েছে। ঘুমের মধ্যে থাকলে ও মুখের ভেসে আছে একটা মিষ্টি হাসি। ঠোঁট গুলো কেমন চোখা করে আছে একের ওপরে হয়ে অনেক টা চুমুকৃতি হয়ে আছে।
.
. বেলার এই মুহূর্তে প্রচুর ইচ্ছা জাগছে এই মুখটা তে একটু হাত বুলিয়ে দিতে আর এই সুন্দর গোলাপি ঠোঁট টা কে চকোলেট এর মত করে কামড়ে খেতে। কিন্তু কি করার সেতো নড়তে পারছে না। হাত গুলো সাঁঝ এর হাতের মাঝে থেকে বের করে আনবে সেটা ও পারছে না এই সিক্স প্যাক বডি বিল্ডার কাছে তার মত নরম সরম তুল তুলে একটা মেয়ে কি পারে। এটা ভেবেই বেলা মুখ ছোটো করে ঘুরে ঘুরে সাঁঝ এর ঘুমন্ত মুখ চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। কি আর করবে যেহেতু কামড়ে খেতে পারছে না।
.
. বেলা হঠাৎ বাঁকা হেসে নিজের মুখ ঘুরিয়ে নাক দিয়ে হালকা করে সাঁঝ এর শার্ট এর কলার্ট সরিয়ে দিলো এক রাম কামড় বসিয়ে সাঁঝ এর গলায়। কিন্তু এক মিনিট এর বেশি হয়ে গেলো সে কামড় দিয়ে ধরে আছে। কিন্তু সাঁঝ এর কোনো হেলদোল নেই। হালকা একটু নড়ে আবার ও ঘুমিয়ে পড়ে। এবার হাত কিছুটা শিথিল করে দেয় বেলার থেকে। সাঁঝ এর এমন ব্যবহারে বেলা চুপ করে চেয়ে আছে তাকে এত জোরে কামড় দিলো অথচ দেখো মশা কামড় খাওয়ার মতো করে আবার ঘুমিয়ে গেলো। সাঁঝ এর গলায় বেলার চোখ পড়তে আতকে ফর্সা বিদেশী চেহারার সাঁঝ এর গলায় পুরো দন্ত টিকা হয়ে আছে বেলার কামড় টা। পুরো জায়গা টা ফুলে গেছে। ফর্সা চামড়ায় কামড় এর জায়গা টা একদম রক্তের মত দাগ হয়ে গেছে।
.
. বেলার অজান্তে বেলার চোখের কোণে পানি জমে গেছে সাঁঝ এর এই অবস্থা দেখে। সে সাঁঝ এর শিথিল হয়ে যাওয়া হাত ছাড়িয়ে উঠে বসে। নিজের মুখ নামিয়ে এনে সাঁঝ গলায় একটা গভীর চুমু দেয়। আর তারপর কোনো দিকে না তাকিয়ে ছুটে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।
.
. বেলা যদি একবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখত তাহলে ও দেখতে পেতো সাঁঝ এর হাসি মুখ টা। যে এই মুহূর্তে মুচকি হেসে তার এই ছুটার দৃশ্য দেখছে। বেলার নড়ে উঠতে সাঁঝ এর ঘুম ভেঙ্গে গেছিলো। কিন্তু তবু সে বেলার রিয়্যাকশান দেখার জন্য ঘুমের ভান করে ছিল। বেলার কামড়ে দেয়াতে ব্যাথা পেলে ও খুশি হয়েছিলো আরো বেশি। কামড় এর বাহানায় তবু ও তো সে বেলার ঠোঁটের ছোঁয়া পেলো।
.
–“সুইটহার্ট তুমি আমার থেকে ভাগতে থাকো আর আমি তোমাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে থাকি। একদম কাছে যেখান থেকে পালাতে ও পারবে না। আমি জানি আমার জন্য তোমার ফিলিংস আছে।কিন্তু সেটা তোমার অভিমান এর নীচে জমা পড়ে আছে। তবে তুমি চিন্তা করো না সেটা ও আমি হাসিল করেই ছাড়ব। সাঁঝ মুচকি হেসে নিজের গলায় বেলার কামড় দেয়া জায়গা আঙুল বোলাতে বোলাতে বলে ওঠে।

—————-

–“এবার আমি দেখি আপনার ভালোবাসা কোথায় থাকে। মিস্টার গোমরামুখো হুতুম পেঁচা ইমরান হাসমি সাঁঝ রওশন। বাঁকা হেসে বলে ওঠে বেলা।
.
–” আমার টর্চার মিশন স্টার্ট। এবার দেখব কিভাবে সহ্য করেন আমার টর্চার গুলো। আমি ও তো দেখি মিস্টার গোমরামুখো আপনি আমার অত্যাচার কি ভাবে সহ্য করেন।
.
–” খুব না খালি আমার ওপর অধিকার ফলানো। কথায় কথায় খালি চুমু খেতে দৌড়ান। এবার দেখব আপনার এই সো কল্ড ভালোবাসা কতদিন থাকে অপশ কতক্ষণ থাকে। ভালোবাসা ও না জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
.
–” আজ থেকে শুরু হবে আপনার ওপর টর্চার। আপনার ধৈর্য ক্ষমতা আর আপনার ভালোবাসার পরীক্ষা শুরু এবার আমিও দেখি আপনি আমাকে কত টা ভালোবাসেন। আর আমার জন্য কি কি সহ্য করতে পারেন। কত ভালোবাসার জোর আপনার বলেই একটা তাচ্ছিল্য পূর্ণ হাসি দেয়।
.
–“আপনাকে টাইট দিতে যদি না পেরেছি তো আমার নাম ও বেলা সাঁঝ রওশন নয়। না বেলা খান। বলেই বেলা নিজের হাতে থাকা খাবার এর ডিশ গুলো নিয়ে টেবিলে রাখতে থাকে।
.
–” গুড মর্নিং মিষ্টি ভাবি। সারা বেলা কে পিছন থেকে জড়িয়ে নিয়ে বলে ওঠে।
.
–“গুড মর্নিং ভাবি। সারিফ পিছন থেকে এসে বলে ওঠে।
.
–“গুড মর্নিং । এবার চটপট খেতে বসে যাও দেখি। খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। বেলা ওদের তাড়া দিয়ে বলে ওঠে।
.
–” গুড মর্নিং এভরিওয়ান । পিছন থেকে সাঁঝ নিজের ফোনের দিকে চেয়ে থেকে টেবিল এর দিকে আসতে আসতে বলে ওঠে।
.
–“ওই যে এলেন গোমরামুখো হুতুম পেঁচা। বেলা নিজের মনে বিড়বিড় করে বলে ওঠে।
.
–“ভাই তোমার গলায় কি হয়েছে। সারা বলে ওঠে।
.
–” জংলী বিল্লি কেটেছে। সাঁঝ একবার বেলার অস্বস্তি ভরা মুখের দিকে চেয়ে আবার ফোনের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–” হু! সকাল সকাল জংলী বিল্লি কোথায় পেলে। সারা কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” তোকে না বুঝলে ও হবে। তুই খেতে থাক সারিফ সারার মাথায় মেরে বলে ওঠে।
.
–“তাই না ভাবি। বলে ফিচিল হেসে ওঠে সারিফ।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সবাই কে খাওয়ার সার্ভ করতে থাকে। শেষে সাঁঝ এর জন্য স্পেশাল ভাবে বানানো ডিশ সাঁঝ কে দেয়। বেলা বাঁকা হেসে মনে মনে বলে ওঠে।
.
–” খাও খাও মিস্টার গোমরামুখো হুতুম পেঁচা ইমরান হাসমি সাঁঝ রওশন। এটা মুখে দিলেই আপনার হাওয়া টাইট হয়ে যাবে।
.
. বেলা নিজে ও বসে পড়ে কিন্তু ওর নিজের খাওয়ার দিকে কোনো মন নেই কোনা চোখে শুধু সাঁঝ কে দেখতে ব্যস্ত। সাঁঝ এর খাওয়ার মুখে দেয়ার অপেক্ষায় আছে বেলা।
.
–” উমম মিষ্টি ভাবি খাওয়ার জাস্ট ওয়াও হয়েছে। আমার তো প্রচুর ভাল্লাগছে। প্রচুর ভাল্লাগছে। সারা উম উম করে বলে ওঠে।
.
–” উম পোহা টা সেই হয়েছে। আর এই আপ্পাম(কেরালা রেসিপি) টা ও দারুণ বানিয়েছ। সারিফ ও খেতে খেতে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে শুধু একটু মুচকি হেসে পাশে তাকাতে দেখে সাঁঝ ফোন রেখে খাবার মুখে দিচ্ছে। বেলা ও উৎসাহ নিয়ে দেখতে থাকে। কিন্তু বেলার চিন্তা ভাবনার পানি ঢেলে দিয়ে চুপ চাপ খেতে থাকে সাঁঝ। এদিকে বেলা শুধু একবার খাবার এর প্লেট আর একবার সাঁঝ এর মুখ দেখতে থাকে।
.
–“হুম! খাবার টা সত্যি অনেক ডিলিশিয়াস হয়েছে। ঘরওয়ালি। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
. কিন্তু এদিকে বেলার সেদিকে হুস নেই সে অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর দিকে তার বানানো ঝাল ভরা খাবার টা কেমন করে বিনা বাঁধাই তৃপ্তি দিয়ে খাচ্ছে সাঁঝ। এটা ভেবে পাচ্ছে না বেলা। সে তো সাঁঝ কে কষ্ট দিতে চেয়েছিলো। তাহলে এখন সে কেনো কষ্ট পাচ্ছে। সাঁঝ এর ওই লাল হয়ে যাওয়া চোখ মুখ আর কান দেখে বেলার যেনো বুকের মধ্যে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে তার চোখের কোণে পানি চলে আসে।
.
. বেলা সাঁঝ এর খাওয়ার এর প্লেট টেনে নিতে গেলে সাঁঝ বাধা দেয়। এদিকে বেলা চোখে পানি নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাঁঝ এর এই অবস্থা সহ্য করতে না পেরে উঠে রুমে চলে যায়। আর এক মুহূর্ত যদি সে সাঁঝ এর সামনে থাকে তো সে আবার ও সাঁঝ এর ভালোবাসায় ওই গভীর নীল চোখের মায়ায় পরে যাবে।
.
. বেলা রুমে এসে বিছানায় বসে পড়ে তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। আজ সে সাঁঝ কে কষ্ট দিতে গিয়ে নিজে কষ্ট পাচ্ছে।
.
–“কেনো কেনো ।আমার কেনো কষ্ট হচ্ছে। আমি তো ওকে ঘৃণা করি। তাহলে আমার কেনো এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো বুকের মধ্যে রক্তপাত হচ্ছে। না না আমাকে দুর্বল হলে চলবে না। কিছুতেই না। আমি কিছুতে আবার এক ভুল করতে পারি না। কখনও না। আমি তোমাকে ঘৃণা করি শুধুই ঘৃণা। আর কিছুই না। বলে চোখ মুছে উঠে দাঁড়ায় বেলা।
.
. ওয়াশরুমে গিয়ে নিজের চোখে মুখে পানি দিয়ে বেরোতে হঠাৎ টান খেয়ে দেয়ালের সাথে দাঁড়িয়ে যায়। হঠাৎ এমন আচমকা হওয়াতে বেলা একটু চমকে ওঠে। সামনে তাকাতে দেখে সাঁঝ দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে আছে। বেলা কিছু বলবে তার আগেই তার ঠোঁট জোড়া বন্ধ হয়ে যায়।
.
. সাঁঝ বেলার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মাঝে নিয়ে নেয়। বেলা প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলে ও চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। না সাঁঝ কে বাঁধা দিচ্ছে আজ আর না নিজে কোনো রেসপন্স করছে সাঁঝ এর আদরে। বেলা চোখ বন্ধ করে আছে। তার চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে।
.
. এদিকে সাঁঝ তার নিজের কাজে ব্যস্ত। সে এখন বেলার রসালো ঠোঁটের মাঝে মেতে আছে। নিজের ভিতরে সব ঝাল টুকু মিটিয়ে নিচ্ছে বেলার মিষ্টি ঠোঁট দিয়ে। শ্বাস ফুলে আসতে বেলার ঠোঁট থেকে মুখ তুলে বেলার কপালের নিজের কপাল ঠেকিয়ে রাখে সাঁঝ।
.
–“তুমি আমার ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে থাকো আর আমি ও তোমার কাছে পরীক্ষা দিতে থাকি। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
–” শুধু ঝাল কেনো। তুমি যদি বিষ ও দিতে তাহলে ও আমি সেটা চোখ বন্ধ করে অমৃত মনে করে খেয়ে নেবো। তোমার হাতে মরতে ও কবুল আমি। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
–“তোমার নেশার কাছে এগুলো কিছু না। তোমার আসক্তি পাগল হয়েছি আমি। অতিরিক্ত ভাবে ডুবে আছি। এই নেশা আসক্তি ভরা ভালোবাসা থেকে বেরোনো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র মৃত্যু পারে তোমার আসক্তি ভরা ভালোবাসা থেকে আমাকে মুক্ত করতে। বলে সাঁঝ আবার ও মুখ নিচু করে বেলার ঠোঁটে আলতো চুমু খায়।
.
–“বেলা! মেরি জান বেলা ।
.
. নিচে থেকে চিৎকার আসতে। বেলা চমকে গিয়ে চোখ তুলে একবার সাঁঝ এর দিকে দেখে নিয়ে পাস কেটে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সাঁঝ ও মুচকি হেসে বেলার পিছন পিছন বেরিয়ে যায়।
.
.
. এদিকে নিচে শুভ দৃষ্টি চলছে যদিও এক তরফ থেকে। বেদ মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সারার দিকে। যে এই মুহূর্তে তার দিকে বারবার কোনা চোখে তাকিয়ে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। বাকি দাঁড়িয়ে থাকা সবাই ও মিট মিট করে হাসছে ।
আর এদিকে চেয়ারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সারিফ রুহি কে দেখে যাচ্ছে যে এই মুহূর্তে মুচকি মুচকি হাসছে বেদ এর অবস্থা দেখে।
.
–“বেলা। মেরি জান। বলে গিয়ে জড়িয়ে নেয় রুহি।
.
. বেলা সিঁড়ি থেকে নেমে নিচে আসতে রুহি ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর এদিকে এই দুজন শুভ দৃষ্টি মানব এর ও ধ্যান ভাঙে। ওম বেদ নিশান ও গিয়ে একসাথে বেলা কে জড়িয়ে ধরে।
.
–” বেলা। বেলা। বেলা । একটা খুশির খবর আছে বলে ওঠে সবাই একসাথে।
.
–” কি এমনি হয়েছে সেটা না বললে কি করে জানবো। বেলা বিরক্তি হয়ে বলে ওঠে।
.
–“বেলা জে.কে মিউজিক অ্যান্ড ডান্স ইন্ডাস্ট্রি একাডেমী থেকে একটা মেইল এসেছে। তারা আমাদের সাথে একটা শো করতে চায়। বেদ বলে ওঠে।
.
–“ইয়েস ।শুধু তাই নয়। এই পুরো প্রোগ্রাম টা লাইভ হবে। আর এই চান্স পাওয়া সবার স্বপ্ন থাকে। আর দেখ সেটা আমরা পেয়ে গেলাম। রুহি চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–” ওয়াও ।এটা তো খুব ভালো নিউজ। কংগ্রাচুলেশন গাইজ। সাঁঝ পিছন থেকে বলে ওঠে।
.
–“থ্যাঙ্কস জিজ ।
.
–” তো প্র্যাক্টিস শুরু করে দাও। প্রোগ্রাম তো মাথার ওপরে। দেরি করা ঠিক হবে না। সাঁঝ বেলার দিকে একবার দেখে নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” রাইট। বেদ বলে ওঠে।
.
–“বলছি ভাই আজকে আমিও থেকে যায়না। আমি ভাবিদের রির্হাসাল দেখব। সারিফ বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ সারিফ এর কথায় ভ্রু উচু করে দেখতে থাকে। এদিকে বেলা বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি করে বলে ওঠে।
.
–“হ্যাঁ হ্যাঁ। তুমি থাকলে আমাদের ও একটু হেল্প হয়।
.
–” ওকে । থাক তাহলে তুই। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“বেলা বাই। সাঁঝ বেলার দিকে তাকিয়ে বলে যেতে লাগে।
.
. এদিকে সবাই বেলার দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে মজা নিচ্ছে সাঁঝ মেইন ডোর পর্যন্ত যেতে হটাৎ করে তার বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁঝ কে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে।
.
–“সাঁঝ । বেবি আই মিস ইউ।
.
. এদিকে সবাই চোখ বড় বড় করে দেখতে থাকে এই ঘটনার জন্য সবাই পুরো শকে চলে গেছে। সবাই একবার সাঁঝ এর দিকে তাকিয়ে নিয়ে বেলার দিকে তাকাতে দেখে বেলার চোখ ছলছল করছে এখুনি হয়তো গড়িয়ে পড়বে।
.
–” দ.. দিশা।
.
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…