তোর নামের রোদ্দুর ২ পর্ব-০৩

0
706

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
পর্বঃ৩

লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা

চোরের মতো উকিঝুকি দিতে দিতে রুম থেকে বেরোলাম।ড্রয়িংয়ে বাচ্চাকাচ্চা কার্টুন দেখছে,কিছু আত্মীয়স্বজন বসে কথা বলছে,রান্নাঘরে দেখলাম আম্মুসহ বড়মা,মেজোমা,ফুপিরা সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত।আমার জন্য বোনাস হলো একটু আগেই রুমের পাশ দিয়ে একজন যাওয়ার সময় বলছিলো শুদ্ধ ভাইয়া নাকি দরজা লক করে বাসর ঘর সাজাচ্ছেন।তারমানে বেরোবেন না সহজে।অন্তত সীমা ভাবিকে নিয়ে আসার আগে তো নাইই।এই সুযোগে বিয়েবাড়িটা চক্কর দিয়ে আসাই যায়।নইলে কোনোভাবে কেউ আবার আমাকে নিয়ে না পরে!

ড্রয়িংরুমে দরজায় তাকাতেই ভ্রু কুচকে আসলো আমার।পাশের বাসার আন্টি তার মেয়ে তাহমিনাসহ হাজির।বউ দেখতে অনেকেই এসেছে এমন,আসবে।কিন্তু তাহমিনাকে দেখে রাগ লাগলো আমার।এমনিতেও অনেক ফর্সা ও।সুন্দরীও।গাঢ় লাল রঙের অতিরিক্ত গর্জিয়াস একটা জামা পরে এসেছে।গয়নাগাটিও পরেছে।আরো সুন্দর লাগছে ওকে আজ।এতো সাজ কাকে দেখাবে ও?আমাকে দেখে আন্টি এগিয়ে এসে বললো,

-কিরে ইনসু?তুই যাসনি কেনো বরযাত্রীর সাথে?

-এমনি আন্টি।ইচ্ছে করেনি।

-ও।শুনলাম শুদ্ধ এসেছে এ বাসায়?

ওইযে!শুরু হয়েছে!বিরবিরিয়ে বললাম,

-শুনতে পারেন।আপনাদের তো আবার হাতির কান!

-কিছু বললি?

-না।তেমন কিছু না।হ্যাঁ।এসেছেন উনি।

-কোথায় রে?

বলবো না!তাই তার প্রশ্নটাকে একবিন্দু পাত্তা না দিয়ে তাহমিনার দিকে ঘুরে বললাম,

-এমনিতেও তো সুন্দরী তুই।এতো সেজেছিস কেনো আজ?

-বা রে!বিয়েবাড়ি আসবো আর সাজবো না?

-যাতে নতুন বউয়ের বদলে সবার চোখ তোর উপরে থাকে তাইতো?

ও দাত কেলিয়ে বললো,

-থাকতেই পারে।ইতনি সুন্দার হু মে কেয়া কারু?

মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে সুন্দারতা জানালা দিয়ে বের করে দেবো তোর!সাদাবিলাই কোথাকার!মুখে বললাম,

-তো চল তবে?বাগানে যাই?

-না!

-কেনো?

-আসলে কি বলতো ইনসু?মিনা বরাবরই মিশুক তো।সবার সাথে দেখা করবে।আমিও দেখা করবো।তোর চাচীরা সব কই?সেজোচাচী?

-সেজোমা তার ঘরেই।

-ও।আচ্ছা ঠিকাছে।চল চল মিনা!

তাহমিনা মাথায় ওড়না পেচিয়ে হাটা লাগালো।এমন বিহেভ কেনো করছে ও?চাচ্ছে টা কি এই মা মেয়ে মিলে?

-তাহমিনা।একটু শোন!

-আবার কি?

-ওই আসলে,ওদিকে ছেলেরা সবাই বাসর সাজাচ্ছে।একটা সাহায্য লাগবে ওদের।আমি একটু ব্যস্ত।তুই কাজটা করে দিবি?

-ছেলেরা সবাই?

-না,সবাই আসেনি ও বাসা থেকে।শুনেছি ইমরোজ ভাইয়া,রিফাত ভাইয়া আর তামিম ভাইয়া চলে এসেছে।আর…

-ও।পারবো না আমি।তুই চলে যা!

-শুদ্ধ ভাইয়াও মেবি ওখানেই।

-কি বললি?আচ্ছা ঠিকাছে।এতো করে বলছিস যখন,করে দেই তোর দু একটা কাজ।বল না,কি করতে হবে আমাকে?

যেই শুদ্ধ ভাইয়ার নাম নিয়েছি রাজি হয়ে গেছে।আজ আমিও দেখবো,এর মুখে ওর নাম,ওর মুখে এর নাম এই কাহীনির জল কতোদুর গড়ায়!বড়সর হাসি উপহার দিলাম ওকে।আন্টির দিকে তাকাতেই সে মাথা নেড়ে বুঝালো – হ্যাঁ হ্যাঁ।কাজ দাও ওকে,ও করে দেবে।সোফার পাশে রাখা একঝুড়ি ফুল ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম,

-এই ফুলগুলো নিয়ে সিফাত ভাইয়ার রুমে চলে যা।লাগবে এগুলো ঘর সাজাতে।ওরা নিতে ভুলে গিয়েছিলো।

ও খুশি হয়ে ঝুড়িটা হাতে নিয়ে পা বাড়ালো।একটুদুর যেতেই ডাক লাগালাম আবারো।আঙুলের আংটি সামনে ধরলাম ওর।

-এটা কি?

-আংটি।

-তা তো আমিও দেখছি।আমাকে এটা কেনো দেখাচ্ছিস?

-এটা শুদ্ধ ভাইয়ার আংটি।

ওর চোখ চকচক করে উঠলো।পরপরই নিজেকে সামলে বললো,

-ছেলেরা এসব আংটি পরে না।আর শুদ্ধ ভাইয়ার তো চয়েজ তার মতোই মাশাল্লাহ হবে।

চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বললাম,

-বেশ অনেকটাই চিনে গেছিস মনে হচ্ছে?

ও লাজুক লাজুক ভঙিমায় দুলতে দুলতে বললো,

-তোকে বলাই যায়।ভাই হয় তোর,হেল্প করতে পারবি।জানালা দিয়ে দেখেছি আজ তাকে।এন্ড গেইস হোয়াট!লাইফে প্রথমবার ক্রাশ খাইছি।তুই তো জানিসই,স্কুল কলেজে কতো ছেলে ঘুরতো আমার পিছনে,পাত্তা দেইনি।আম্মুরও শুদ্ধ ভাইয়াকে ভালো লেগেছে মনে হয়।বললো সেজেগুজে চল।আবার এখন তার আম্মুর সাথেও কথা বলবে।তুই ভাব!

দাতে দাত চেপে আছি।ইচ্ছা করছে চুল টেনে ছিড়ে দেই ওর।জানালা দিয়ে তারমানে গিলেই নিয়েছে লোকটাকে!আর কি বললো?প্রথমবার ক্রাশ?উঠতে বসতে ওরে ভাল্লাগছে,এরে ভাল্লাগছে কে বলতো তবে?কলেজে একসাথে তিন তিনটে ছেলের কাছ থেকে ডেইলি চকলেট,টেডিবিয়ার নিতো কে তবে?আর তো আর ওর আম্মু!সে মহিলাও এভাবে…সবচেয়ে বড় কথা আমাকে হেল্প করতে বলছে ও?আমাকে?

-ইশ্!কি দেখতে ইয়ার!এই ইনসু?ওইযে তামিল নায়ক আছে না একটা?অখিল আক্কিনেনি!জানিস তো!আমার কাছে তো শুদ্ধ ভাইয়াকে পুরাই তার মতো লাগে।সেইম গায়ের রঙ,সেইম হেয়ারস্টাইল,দাড়িগুলোও ওমন।আর বডিফিটনেস তো….

কিছু ছিড়ে যাওয়ার শব্দে থামলো ও।কোনো এক ফ্যান্টাসির জগতে বিচরন করতে করতে এতোগুলো কথা বলছিলো,ওর ওড়নাটা ঝুড়ির সাথে বাঝাতে খুব একটা কষ্ট হয়নি আমার।টান মেরে ঝূড়িটা নিতে গেছি,ছিড়ে গেলো ওড়নাটা!

-কি করলি তুই এটা ইনসু!এতোসুন্দর ওড়না আমার!

-সরি রে।খেয়াল করিনি।ভাবলাম যে গুনকীর্তন জুরেছিস,সময় লাগবে তোর।তারচেয়ে বরং আমিই ফুলগুলো দিয়ে আসি।এজন্যই ঝুড়ি নিয়ে নিচ্ছিলাম।আমি কি করে জানবো তোর সাধের ওড়না পেচিয়ে আছে ওতে!তুই থাক,আমিই দিয়ে আসছি এটা।

তাহমিনা ওড়নার ছেড়া অংশ কোনোমতে সামলে ঝুড়িটা নিয়ে নিলো আবারো।বললো,

-না।আমিই যাবো।আংটিটা শুদ্ধ ভাইয়ারই তো?

-শিওর না।এটা শুদ্ধ ভাইয়ার রুমেই ছিলো।মলি খালা পেয়েছিলো,আমাকে দিয়ে দিতে বললো।তুই যাচ্ছিসই।তাই ভাবলাম তোকেই…আচ্ছা থাক।আমিই না হয়…..

-না না।আমাকে দে।আমিই দিয়ে দেবো।

-আর ইউ শিওর?

-ইয়াপ!

ওর হাতে আংটিটা দিয়ে দিলাম।আপনি ওর কথাই বলেছিলেন তাইনা শুদ্ধ ভাইয়া?বিয়েও ঠিক নাকি আপনার?তাহলে এই আংটি আমার কাছে রাখবো কেনো আমি?এমনিতেও তো খুলেই রেখেছিলাম।আপনিই এসে হুট করে আবারো….এবার তাহমিনার হাতেই পাঠিয়েছি।খুশি হবেন অবশ্যই?
তাহমিনা পা বাড়ালো।ওর পিছন পিছন লুকিয়ে রুম অবদি আসলাম আমিও।দরজায় নক করতেই ভেতর থেকে একজন বলে উঠলো,

-খোলা যাবে না!
আরেহ্ ইয়ার,প্রেম করবি,ভয় কিসের।

দরজায় নক করার উত্তরসমেত নিজেদের কথাও চালিয়ে যাচ্ছে ওরা ভেতরে।আরেকটু কৌতুহল নিয়ে কান খাড়া করে দাড়ালাম।তাহমিনা আবারো দরজা ধাক্কিয়ে বললো,

-আসলে আমি কিছু….

-খোলা যাবে না!
ভয় না‌ রে‌ শুদ্ধ,প্যারা লাগে।প্যারা!বাবু খাইছো গানের বাস্তব রুপ একেকটা।

তাহমিনা আবারো বললো,

-আমাকে বলা হলো এখানে ফুল লাগবে।তাই….

-খোলা যাবে না!
হ্যাঁ যা বলছিলাম,আই অলসো হ্যাভ স্পেশাল ওয়ান।তবে সে এইসব তোদের নিব্বিদের মতো বাবু খাইছো নিয়ে পরে থাকে না।সে তো…

এবার শুদ্ধ ভাইয়ার আওয়াজ।তার স্পেশাল ওয়ান?তারমানে তার সাথেই‌ কি তবে তার বিয়ে নিয়ে…হাতের মুঠোতে ওড়না শক্ত করে ধরে জিভ দিয়ে ঠোট ভেজালাম।চোখ চুলকাচ্ছে।সে চোখের পানি বেরোনোর চেষ্টায় আছে।এপাশ ওপাশ তাকিয়ে পরপর পলক ফেলে কান্না আটকালাম।এই কথায় কান্না মানায় না তোকে ইনসু!মানায় না।আজ না হোক কাল,এটা শুনতেই হতো তোকে।তুইও জানতিস তা।তবে কাদবি কেনো?তাহমিনা আবারো ডাক লাগালো,

-তবে যে ইনসিয়া বললো…

দরজা খুলে গেলো।আড়াল থেকে ওপাশে কে তা বুঝতে পারছি না।তাহমিনা লাজুক হেসে ভেতরে ঢুকলো।কি নির্লজ্জ মেয়ে!অতোগুলো ছেলের মাঝে ভেতরে ঢুকে গেলো?কিন্তু দরজাটা পুরোপুরি খোলা।দেয়াল ঘেষে দাড়ালাম খানিকটা।শুদ্ধ ভাইয়া বলছেন,

-এই ফুল কেনো এনেছো বললে?

-ইনসিয়া বললো লাগবে নাকি এখানে।

-ও।আচ্ছা যাও তুমি।এ ফুল লাগবে না।

-না!না মানে কেনো?এগুলো দিয়েও সাজান না রুম!

-অলরেডি সাজানো হয়ে গেছে।তুমি বরং ওগুলো অন্যকোথাও লাগিয়ে দাও।

-এই যে দেখুন না,এই দেয়ালে বড় ফুলটা লাগালে কতো ভালো দেখাচ্ছে।আর ওই ওখানটায়…

-সাজেশন দেবার জন্য থ্যাংকস্।তবে লাগবে না।হাইচ্ছু!

-দেখুন না,এটা…

-এই কি প্যানপ্যানানি বাধিয়েছিস তুই তাহমিনা?শুদ্ধ বলেছে লাগবে না,তো লাগবে না।যা তো!ডিস্টার্ব করিস না!

-আহ্!ইমরোজ।ওভাবে ধমকাচ্ছিস কেনো?বাচ্চা মেয়ে।হাইচ্ছু!

ও।তাহমিনা বাচ্চা মেয়ে?আমার দু মাসের বড় ও।ওকে ধমকানো যায় না?আমাকে ধমকানো যায়?ইমরোজ ভাইয়ার কথা যদি ধমকি হয় তবে নিজেরটা কি?হাজার হার্টজ কম্পাঙ্কে ঘর কাপিয়ে কাপিয়ে কথা শুনানোর সময় এই সাধুবাদ মনে থাকে না?

-তুই হঠাৎ হাচি দিচ্ছিস কেনো এভাবে?

-আসলে এই ফুলে এলার্জি আছে আমার।হ্ হাইচ্ছু!

শিট!কি করলাম আমি?এটা তো জানতাম না।ফুলে এলার্জি হয়?এবার লোকটা হাচি দিতে দিতে অসুস্থ্য না হয়ে পরে।কি করবো এখন?

-সরি সরি সরি সরি।এক্সট্রেমলি সরি। আমি জানতাম না ভাইয়া!সরি। ইনসু যে কেনো এভাবে….

-ইটস্ ওকে।তুমি ওটা নিয়ে বেরিয়ে যাও।তাতেই হবে।হাইচ্ছু!

-জ্বী।ভ্ ভাইয়া?

-হ্যাঁ বলো?

-এই এটা নাকি মলি খালা আপনার রুমে পেয়েছিলো।আমাকে দিয়ে দিতে বললো।

কিছুটা নিরবতা।আমি এদিকে অস্থির হয়ে পরেছি কথাটার রিয়্যাকশন কি তা জানার জন্য।মোটামুটি আধা মিনিট পর রীতিমত ধাক্কা খেয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো তাহমিনা।ঝুড়িটা ঢিল মেরে বাইরে ফেলে দিয়ে কেউ ঠাস করে লাগিয়ে দিলো দরজা ভেতর থেকে।চমকে উঠে আমি দেয়ালে আরো লেপ্টে দাড়িয়ে গেলাম।আমাকে দেখেই তাহমিনা ঠোট উল্টে ন্যাকিস্বরে বলে উঠলো,

-ওই ফুল কেনো দিলি তুই?শুদ্ধ ভাইয়ার এলার্জি আছে ওতে।আংটিটা কেনো দিলি?ওটা দেখেই কেমন পাথর হয়ে গেলেন উনি।আর ইমরোজ ভাইয়া হাত ধরে বের করে দিলো আমাকে।আংটিটা যদি ওনার হবে তবে রাগ করলো কেনো?আর যদি ওনার না হবে তবে নিলোই বা কেনো?আমার খুব পছন্দ হয়েছিলো ওটা।একদম হীরের মতো দেখতে পাথরটা।

ঠাটিয়ে চড় মারার ইচ্ছা করলো ওকে।বেয়াদ্দপ‌ মেয়ে!একেতো ওর জন্য এই ফুলটুলের নাটক সাজালাম,এরফলেই লোকটা এলার্জিতে হাচি তুলছে সমানে।এতোটুকো রাগ দেখায়নি,তবুও ফ্যাচফ্যাচ করছে।আর তো আর,আংটিটাতেই নজর ওর!বদমাইশ,বিলাইরানী,খাচ্চরনি মেয়ে একটা!

-এ্যাঁআআআআ!

-স্টপ ইট!ছিচকাদুনে কোথাকার!কাদছিস কেনো?

-ইনসু!আংটিটা….

আবার আংটির নাম নিচ্ছে!কত্তোবড় সাহস ওর!রাগে ফুসে উঠে ঢং করে বাধা ওর সামনের চুলগুলোর আটটা ছোটছোট ক্লিপ একটানে খুলে ফেললাম।আহ্!শব্দ করে মাথায় হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে ও আমার দিক।ক্লিপগুলো ওর হাত গুজে দিয়ে দাতে দাত চেপে বললাম,

-তোর চুলের স্টাইল নষ্ট হয়ে গেছে।আমার রুমে গিয়ে দেখ ড্রেসিং টেবিলের সামনেই যীনাত আপুর হেয়ার স্প্রে রাখা আছে।চুলটা ঠিকমতো সেট করে আয়।

ও চুলগুলো হাতে ধরে একপলক চুলের দিকে একপলক আমার দিকে তাকালো।কিছুটা জোর দিয়ে বললাম,

-বরযাত্রী এখনই বউ নিয়ে চলে আসবে কিন্তু!এন্ড ট্রাস্ট মি,একদম পেত্নীর মতো লাগছে তোকে!

একমুহুর্ত দেরি না করে দৌড় লাগালো ও।রণমুর্তি ধারন করায় সামনে আসা চুলগুলো রাগ নিয়েই কানে গুজে দিলাম।দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়ালাম আবারো।রাগ মেটেনি পুরোটা।তাহমিনাকে ড্রেনের পানিতে চুবাতে পারলে শান্তি লাগতো।এটাও ভাবছি,কাজটা কি ঠিক হলো?শুদ্ধ ভাইয়ার এখনো হাচি হচ্ছে?খুব কষ্ট হচ্ছে ওনার?আংটিটার কি হলো তবে?যা হয় হোক।আমার কি?দুরেই তো রাখতে চাই।দুরেই তো থাকতে চাই!
দরজা খোলার শব্দে বাস্তবে ফিরলাম।সবে দৌড় লাগাতে যাবো,ওড়নায় টান পরলো আমার।গলারটুক খামচে ধরে দাড়ালাম।শ্বাস দ্রুত চলে ভিতরের ধুকধুক শব্দ কানে আসছে।ফাকা করিডরের দেয়ালে যেনো সে শব্দ প্রতিধ্বনি হয়ে হাজারগুন বেড়ে কানে বাজছে আমার।পিছন ফিরে তাকানোর সাহস পাচ্ছি না।একদমই না!

#চলবে…