দোটানা ২ পর্ব-০২

0
675

#দোটানা ২
#লেখিকা_আরোহী_নুর
#পর্ব_০২

ক্লাবে ডান্স করতে মগ্ন সায়ান,মেয়েরা ওর ঘা ঘেষে ঘেষে ডান্স করছে,ওন্যদের সরিয়ে সুইটি সায়ানের সব থেকে কাছে থাকার চেষ্টায় আছে,সায়ান আশ পাশের সকল মেয়েদের সাথে একে একে ডান্স করছে,নোংরা ভাবে হাত বোলাচ্ছে ওদের গায়ে,সায়ানের একটু ছোঁয়া পেয়ে মেয়েগুলাও নিজেদের ধণ্য মনে করছে,একসময় ডান্স করতে করতে সুইটি সায়ানকে টেনে নিজের সাথে নিয়ে যেতে লাগলো,সায়ানও নেশাক্ত ভঙ্গিতে ওর সাথে কর্ণারের একটা রুমের দিকে যেতে শুরু করেছে ,দুজনই অল্পক্ষণে রুমটাতে পৌঁছে গেলো,সায়ানের বুকে আলতো ধাক্কা বিছানায় ফেলে দিয়ে সুইটি হেলেদুলে গেলো দরজা বন্ধ করতে যেনো কেউ তাদের রঙিন রাতের মধ্যে হস্তক্ষেপ না করতে পারে,কিন্তু দরজা বন্ধ করার আগেই ওপর পাশ থেকে কেউ দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলতে নিলে তাল সামলাতে পারে না সুইটি ফ্লোরে পরে যায়।চোখ তুলে সামনে তাকিয়ে দেখে আরুশি দাঁড়িয়ে, সুইটি সায়ান দুজনই অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছায়,আরুশি এমন একটা ক্লাবে তাও এতো রাতে এটা বিশ্বাসযোগ্য কিছু নয়।

মুখে অতি বিরক্তিরভাব নিয়ে আরুশিকে জিজ্ঞেস করলো সায়ান।

ওই ফকিন্নি তুই এখানে?

ফকিন্নি ধনী হতে এসেছি।

তেজি কন্ঠে দেওয়া আরুশির জবাব আরও অবাক করলো সায়ানকে,ভিতু আরুশির মধ্যে হঠাৎ এতো সাহস আসলো কোথা থেকে প্রশ্ন উঠলো সায়ানের মনে।

অবাক হচ্ছো সায়ান?আরে অপেক্ষা করো এখনও তো আরও অনেক চমক বাকি,দেখতে পাচ্ছো হাতের কাগজ।
আরে আমাদের বিয়ের কাগজ ভুলে গেছো?

বিয়ের কাগজ?ওগুলা তোমার কাছে আসলো কি করে?ভিতু কন্ঠে বললো সায়ান।

মনে থাকবে কি করে সেদিন তো ভুল করে ফেলে গেছিলে আমার কাছে।

তো এখন ওটা দিয়ে কি হবে?

কি আর…… লেনাদেনা।

মানে?স্পষ্টভাবে বলো আরুশি কি বলতে চাইছো তুমি?

তবে শুনেন মি.সায়ান চৌধুরী, এটা আপনার আর আমার বিয়ের কাগজ যেখানে আপনার সই স্পষ্ট।কাগজটা আপনার বাবা পর্যন্ত পৌঁছালে কি হতে পারে বুঝতেই তো পারছেন।

ব্লেকমেইল করছো আমাকে!

হ্যাঁ ওটাই।

ওগুলা নকল কাগজ।

তোমার সই টা তো আসল।

ইউ ব্লা/ডি রাসকেল।ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে আরুশির দিকে তেঁড়ে যেতে নিলো সায়ান।

নো নো নো মি.সায়ান,একদম আগাবেন না আমার দিকে,আপনি কি মনে করেছেন আমি এখানে বোকার মতো চলে এসেছি?নো মি.সায়ান।আমি উক্ত কাগজের অনেকগুলো কপি অন্য একজনের কাছে দিয়ে এসেছি,আমি যদি এখান থেকে অক্ষত অবস্থায় না ফিরি তবে সে লোকটা সেই কাগজগুলো নিয়ে সোজা আপনার নামে কেস করবে,অতঃপর আপনার কি হবে বুঝতেই পারছেন।

ইউ বেগার,তোর এতো স্পর্ধা আসলো কোথা থেকে আমাকে ব্লেকমেইল করার?কতো চাই তোর?

২ লক্ষ টাকা,তাও এই মুহুর্তে।

হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজের রাগ দমনের চেষ্টা করলো সায়ান,অতঃপর শান্ত ভঙ্গিতে কিছু একটা ভাবলো, বিচক্ষণতা নিয়ে বললো এবার।

বর্তমানে ২ লক্ষ আমার কাছে নেই,আমি তোমাকে এনে দিতে হবে, তাতে আমার সময় লাগবে।

বেশি সময় আমি দিতে পারবো না,এক ঘন্টার মাথায় আমার ২ লক্ষ চাই,এড্রেস সেন্ড করে দিবো ওখানে নিয়ে এসো।

কথাটা বলে হনহনিয়ে স্থান ত্যাগ করলো আরুশি,অতিরিক্ত রাগে দেয়ালে ঘুষি মারলো সায়ান,আরুশিকে আসতে দেখে রিফাতও সেখানে চলে আসে।সায়ানকে শান্ত করতে এবার ব্যস্ত সে।

দেখ সায়ান রাগ করে এখন কোনো লাভ নেই।

বোকা মালটা এতো মাথা খাটাবে জানা ছিলো না।

ওসব ফকিন্নিগুলো এমনই হয় বেবি।মুখ বাকিয়ে বললো সুইটি।

এখন এসব কথা ছাড়ো সুইটি।দেখ সায়ান ২ লক্ষ টাকা দিয়ে মামলা গুছিয়ে নে।

২ লক্ষ আর ওই ফকিন্নি!হা হা হা,একসাথে কখনো ২০০০ টাকা দেখেছে, ২ লক্ষ হাতাবে ও।

দেখ সায়ান এখন কোনো পাঙ্গা নিস না,তোর কাছে তো ২ লক্ষ টাকা পানির সমতুল্য, এখনই চেক দিয়ে দিতে পারতি।

২ লক্ষ কি,২ কোটি বললেও মুহুর্তে দিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে আমার,তবে ওই ফকিন্নির হাতে দমে যাওয়ার ছেলে সায়ান না,আমাকে ব্লেকমেইল করে,ওর এমন হাল করবো যে ওর চৌদ্দ গুষ্টিকেও সায়ান চৌধুরীর নামে কাঁপতে হবে।

ঠোঁটের কোনে শয়তানি হাসি টেনে কথাগুলো বললো সায়ান।

হাসপাতাল থেকে অল্প দূরত্বে একটা সরু রাস্তার প্রান্তে অপেক্ষা করছে আরুশি সায়ানের জন্য।এই প্রথম এতোটা সাহস দেখিয়েছে আরুশি মনের কোনে ভয়ের সাথে অপরাধবোধের রেশটাও আছে অনেক,তখন আরুশি মিথ্যে বলেছিলো যে ও কোনো লোকের কাছে বিয়ের কাগজের কয়েকটা কপি রেখে এসেছে,কথাটা শুধু সায়ানকে জব্দ করার জন্য বলেছিলো কারন এমন কোনো লোকই নেই যার কাছ থেকে আরুশি এমন সাহায্য নিতে পারবে,নিরুপায় হয়ে জীবনে প্রথম জেনেশুনে কোনো অন্যায়ের পথে পা বাড়ালো সে,তার কাছে যে আর কোনো রাস্তাও বাকি ছিলো না,মনে মনে এবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে ব্যাস্ত আরুশি

আল্লাহ ক্ষমা করো আমায়,আমি জানি আমি যা করছি তা পুরোটা অন্যায়,তবে আমার কাছে যে আর কোনো রাস্তা নেই,আমি যদি কখনো পারি সায়ানকে তার টাকা ফিরিয়ে দিবো,প্রতিঙ্গা করলাম।
____________________

দেখো বাবা তুমি ভালো করে জানো আই জাস্ট হেইট পুওর,উপর থেকে গরীব তাও তেজ ষোল আনা তোমরা কি করে এমন ফালতু রাস্তার মেয়েটাকে কাজে নিতে পারো,আই জাস্ট ডন্ট ভিলিভ ইট।

ছেলের কথায় চটকালো নিরব।

কাজ কি এখন আমাদের তোমার কাছ থেকে শিখতে হয়ে আয়ান।হেইট পুওর মানে কি?আর ওই মেয়েটা তার যোগ্যতায় জব পেয়েছিলো, সে গবীর বলে কি তার চাকরি করার অধীকার নেই,গরীব হয়েছে বলে কি শুধু মানুষের ঘরে তাকে কাজ করে খেতে হবে?

ইয়েস, ওটাই করতে হবে,গবীরদের অবস্থানই হয় ধনীদের পায়ের নিচে যা ওদের ভালো করে মাথায় গুঁজে নিতেই হবে।আমি ওই মেয়েটাকে বের করেছি ও আর আমাদের অফিসের আশেপাশেও আসবে না এটাই ফাইনাল,আর যদি এ নিয়ে তোমাদের আমার সাথে কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে বলে দাও আমি অফিস ছেড়ে দিবো তোমরা দেখে নিও নিজেদের কাজ।

আয়ান,কোথায় যাচ্ছো,কথা শুনো আমার,আয়ান।

বাবার পিছুডাকে কান না দিয়ে বেড়িয়ে গেলো বাড়ি থেকে আয়ান,নিরব রেগে ওকে আটকাতে গেলে তাকে আটকালো নিহান।

কি করছিস ভাইয়া যেতে দে এমনিতেই নিজে থেকে কাজ বুঝে নিয়েছে আয়ান, সায়ানকে তো কতো বুঝিয়ে শুনিয়েও আমরা পারি নি অফিসে বসাতে,তুই তো জানিস আয়ান গবীরদের কতো অপছন্দ করে,ভুলে গিয়েছিস ওই বয়সে আমরা কেমন ছিলাম।

অনেক চিন্তা হয় নিহান ওই দুইটাকে নিয়ে,আমার দুই ছেলে দেখতে হুবহু একই হলেও ওদের স্বভাবে আর কোনোদিকে মিল নাই শুধু এক দিক ব্যতীত গবীরদের অপছন্দ করা।

হুম তবে আয়ান তো এমনটা ছিলো না ভাইয়া,ও তো গরীবদের অনেক পছন্দ করতো ইভেন সাহায্যও করতো তবে হঠাৎ করে কি হলো ওর,গরীবদের ঘৃণা করে বিশেষ করে গরীব মেয়েদের তো সহ্যই করতে পারে না।

কথাটা শুনে দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ত্যাগ করলো নিরব।

______________________

এক ঘন্টার উপর চলে গেলো সায়ান আসার নাম নেই,ওকে ফোন করলে ওর ফোন ওফ যাচ্ছে, আরুশি ভেবে পাচ্ছে না কি করবে এবার,অতঃপর আবারও সায়ানের সন্ধানে হাঁটতে নিলে সামনে থেকে চারজন লোক এগিয়ে আসে ওর দিকে,দেখতে চারজনকে মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না,কেমন জানো গুন্ডা ধরনের লোকগুলো,আরুশি বুঝতে পারলো লোকগুলো বাজে,পাশ কেটে হাঁটতে নিলে লোকগুলো ওর দিকে তেঁড়ে আসতে শুরু করলো যাতে দৌঁড়াতে শুরু করে আরুশি,তখন রাত ২ টা,স্বাভাবিক ভাবে লোকসমাগম নেই সেখানে, তবুও বাজারের দিকটায় দৌড়ার চেষ্টা করে আরুশি কিন্তু লোগুলো এর আগেই তার সামনে চলে আসে,আরুশি ঘাবড়ে যায়,ভয়ে হাত পা যথারীতি কাঁপতে শুরু করেছে তার,আয়াতুল কুরসী পড়তে শুরু করেছে,লোকগুলো চারদিক থেকে ওকে ঘিরে নিয়েছে,দাঁত কেলানো হাসি দিয়ে ওর দিকে এগিয়ে আসছে সব,হঠাৎ আল্লাহই যেনো রাস্তা দেখালেন ওকে,আরুশির ব্যাগে চাকু ছিলো যা ও একটু আগেই কিনে এনেছিলো মাকে ফল কেটে দেওয়ার সুবিধার্থে,বেগ খুলেই চাকুটা বের করে লোকগুলোকে একটু দমানোর চেষ্টা করলো।

একদম কাছে আসবে না কেউ,বলে দিলাম।

লোকগুলোও একটু পিছালো পরিস্থিতি বেসামাল দেখে,সেই ফাঁকে আরুশি একটা ছুটো সরু গলি দিয়ে পালালো,গুন্ডাগুলোও ওর পিছন, ছোটতে ছোটতে ভাগ্যবশত আরুশি দেখতে পেলো একটা বিয়ে বাড়ি,যেখানে হয়তো হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো বিয়ে হচ্ছে,গেট দিয়ে উনাদের প্রাঙ্গনে চলা রিতীনিতী দেখে আন্দাজ করে নিলো আরুশি,এক জোরা দম্পতি সাত পাক নিয়ে নতুন জীবনের শুরু করতে চলেছেন,আরুশি যেনো প্রাণে প্রাণ ফিরে পেলো,ছোটে গিয়ে দেয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে মিলে গেলো লোকদের ভিরে,গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে গার্ডদের সাথে কথা বলতে সময় যেতো,গ্রামে অনেক দেয়াল গাছগাছালির চড়েছে আরুশি তাই সেটা বড় কোনো ব্যাপার ছিলো না তার জন্য,এদিকে দেয়ালটাও ছুটো ছিলো অনেকটা। গুন্ডাগুলো আর খুঁজে পেলো না আরুশিকে,বিয়ে বাড়িতে ঢুকে সেখানের কিছু লোককে আরুশি নিজের অবস্থা জানালে উনারা ওর হয়ে বেড়িয়ে আসেন বাইরে তখন গুন্ডাগুলো আরুশিকে খুঁজছিলো,আরুশি লোকগুলোকে ওদের দেখিয়ে দিলে লোকগুলো তাদের দিকে তেঁড়ে যায়,অতিরিক্ত লোক দেখে ভয় পেয়ে গুন্ডাগুলো পালিয়ে গেলো।

রাগ দমন করতে ব্যার্থ হয়ে দেয়ালে ছুড়ে মারলো হাতের ফোনটা,ফোন কয়েকটুকরো হয়ে নিচে পরলো।

কি হয়েছে সায়ান এবার।

ওই ব্লা/ডি ফালতু ভাড়াটে গুন্ডা গুলো কিছুই করতে পারলো না।ওই আরুশি মালটাকে যতোটা দুর্বল আর বোকা মনে করেছিলাম ততোটা সে না।জানিনা এখন কি ঘটাবে।

আমি তোকে আগেই বলেছিলাম সায়ান টাকা দিয়ে দিতে,কিন্তু তুই তো তুই ই।শুনলি না আমার কথা,এবার যদি আরুশি সত্যিই বিয়ের কাগজ তোর বাবাকে দেখায়।

শিট রিফাত,ওই ফালতু ফকিন্নি আমার উপর ভারী পরবে তা আমি মোটেও মানতে পারছি না,মনে করেছিলাম ওই গুন্ডাগুলো ওর রেপ করে এতো সময়ে জঙ্গলে ওকে পুঁতে ফেলেছে হয়তো বাট ও তো ওদেরও মাত দিলো।কি এই মেয়েটা?ওকে আমি দেখে ছাড়বো।

ওখান থেকে দুজন লোক আরুশিকে হাসপাতালে এনে দিয়ে গেছে,আরুশির চোখ বেয়ে জল পরা বন্ধই হতে চাইছে না,আরুশি বুঝতে পেরেছে কাজটা সায়ানই করিয়েছে,তবে সায়ান ওতোটা নিচে নামবে তা কল্পনাও করে নি কভু আরুশি,যদি আরুশি বুদ্ধি করে পালাতে না পারতো তবে আজ তার সাথে না জানি কি সব ঘটে যেতো,এখন কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না আরুশি,কোথাও বেড়িয়ে যেতেও ভয় করছে যদি ওই গুন্ডাগুলো আবার আসে,আরুশির নিজের জন্য ভয় নেই তবে ওর কিছু হয়ে গেলে ওর মায়ের কি হবে সেটা ভেবে আর বেরুলো না,চোখমুখ মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করে মায়ের পাশে গেলো,মাকে কয়েকবার ডাকলে কোনো সারা দিলেন না,নিশ্বাস একদম পাতলা হয়ে এসেছে উনার আরুশি আন্দাজ করতে পারলো,আরুশি অস্থির হয়ে কান্না করতে করতে গেলো ডাক্তারদের কাছে, হাতে পায়ে ধরে একজনকে আনতে পারলে উনি বললেন উনার অবস্থা অনেক ক্রিটিকাল,আধঘন্টার ভিতরে উনার ভালো কোনো চিকিৎসা শুরু না করলে উনার প্রাণ যাবে,উনি ক্লিয়ারলি ওকে জানালেন টাকা দিয়ে মায়ের চিকিৎসা শুরু করতে নইলে উনাকে নিয়ে চলে যেতে,আরুশি ডাক্তারের পায়ে পরলো আবার।

ডাক্তার সাহেব আপনি দয়া করে আমার মায়ের চিকিৎসা শুরু করেন,আমার মাকে বাঁচান,মা ছাড়া এ পৃথিবীতে আমি নিঃস্ব,আল্লাহর দোহাই লাগে আমার মাকে বাঁচান,আমি আধ ঘন্টার আগেই যথেষ্ট টাকা নিয়ে আসছি,দয়া করেন এই গরীবের উপর।

অনেক কান্নাকাটির পর যেনো ডাক্তারের মনে কিছুটা দয়া আসলো,যটফট টাকা আনার কথা বলে আরুশির মাকে একটা কেবিনে নিয়ে যেতে শুরু করলেন।

এখন আধ ঘন্টার ভিতর কোথা থেকে টাকা আনবে আরুশি,সারা হাসপাতালে ঘুরতে শুরু করলো,অবশেষে উপায় না পেয়ে আবারও বাইরে যেতে নিলে হঠাৎই কানে আসলো একটা নারীর কান্না,উনার কান্নায় যা বুঝতে পারলো আরুশি উনার ছেলের একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে,ডাক্তার বলেছেন একটা কিডনিতে ও বাঁচবে তবে জীবনযাপনে কিছুটা সমস্যা থাকবেই আর উনি ২ টা কিডনিই চাচ্ছেন উনার ছেলের,উনার অনেক টাকা তবে কারো কিডনির টিস্যু ছেলেটার সাথে ম্যাচ করছে না,আরুশি এগিয়ে গেলো সেদিকে,আর কোনোদিক না ভেবে মহিলাটিকে বললো ওর কিডনি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াতে,যদি ম্যাচ করে যায় তবে ২ লক্ষ টাকার বিপরীতে সে তার কিডনী দিয়ে দিবে,যেহেতু ওর মায়ের চিকিৎসায় ২ লক্ষ টাকা হলেই চলবে।ডাক্তার মহিলাটির কথা অনুযায়ী আরুশির পরীক্ষা করলে তার কিডনি ম্যাচ খায় ছেলেটির সাথে আরুশিও আশার আলো দেখতে পায় অবশেষে।

চলবে……….