ধোঁয়াশা পর্ব-০৪

0
148

‘ধোঁয়াশা’ ৪.

~ তাবিনা মাহনূর

__________________

ইয়াতিমখানা থেকে ফিরে ক্লান্ত রুহিয়া ঘুমাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে রেহানকে ডেকে এনেছে নিশীথ। স্বপ্না একা সামলাতে পারেননি। সেসময় রুহিয়াকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি। তাকেও কামড় দিয়েছে রুহিয়া। বাসায় ফেরার আগেই নিশীথ রেহানকে ফোন করে বাসায় আসার কথা বলে। তারা যেতে যেতে রেহান পৌঁছে যায় এবং রুহিয়াকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে পরিশ্রান্ত করে তোলে।

রুহিয়ার পাশে বসে আছেন স্বপ্না। ইনবিহাজকে ফোন করে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি আসতে পারছেন না জানিয়েছেন, তবে মিনারাকে পাঠিয়ে দিবেন। মিনারার আসার কথা শুনে স্বপ্না শান্তি পেলেন। মিনারা এলেই তিনি এ জায়গা ছেড়ে যত দ্রুত সম্ভব চলে যাবেন।

রেহান চুপ করে বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। নিশীথকে দেখে তৃষ্ণার্ত পথহারা পথিকের মতো মনে হচ্ছে। দিশেহারা নিশীথ, খুঁজে পাচ্ছে না এতটুকু শান্তির স্থান। রেহান তাকে শান্ত হওয়ার সময় দিচ্ছে। এক পর্যায়ে নিশীথ সিক্ত কণ্ঠে বললো, ‘আমাকে বল তো রেহান, এভাবে আর কতদিন? আমি বুঝতে পারছি না কিছু। আমার শক্তি শেষ। মনে হচ্ছে যদি হারিয়ে যেতে পারতাম সবার কাছ থেকে, অনেক দূরে!’

রেহান দুই হাত বুকে বেঁধে বললো, ‘করুণ সত্য এই যে, ভাবীর অবস্থা খুব খারাপ। আগামী কাল আর পরশু দিন ভাবীকে চোখে চোখে রাখবি। নজরে রেখে দেখবি ভাবীর অবস্থা কোন পর্যায়ে যায়। যদি দেখিস আস্তে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তাহলে আর চিন্তা নেই। অবস্থার হয়তো আর অবনতি হবে না। কিন্তু যদি দেখিস আরো উগ্র আচরণ করছে, তাহলে আমাকে জানাবি অবশ্যই। আমি এরপর দ্বিতীয় ধাপে যাবো। ইন শা আল্লাহ, খারাপ হবে না আর।’

নিশীথের কাঁধে হাত রেখে রেহান বললো, ‘চিন্তা করিস না। আল্লাহ ভালোই রেখেছেন, ইন শা আল্লাহ। যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে ডাকবি।’

____________________________

পরের দিন স্বাভাবিকভাবে কেটে গেল। রুহিয়া এখন নিশীথকে দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে না। নিশীথের হাতে সকালের নাস্তা খেয়েছে, সে অফিস যাওয়ার পর ঝামেলা করেনি। স্বপ্না বাসায় একা থাকতে ভয় পাওয়ায় পাশের বাসার ফাইজাকে দুপুর বেলা ডেকেছিলেন। কারণ খাওয়ার সময় রুহিয়া উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করে। তবে আজ রুহিয়া শান্ত মুখে খেয়েছে। স্বপ্না স্বস্তি পেয়েছেন। বিকেল বেলা মিনারা এসে পৌঁছেছেন। সারাদিন শান্তভাবে কেটে গেল।

নিশীথ অফিস থেকে ফিরে এসে স্বপ্নাকে বাইরের পোশাক পরে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো, ‘কি হয়েছে ফুপি? তুমি কি কোথাও যাচ্ছ?’

স্বপ্না মুচকি হেসে বললেন, ‘মিনারা তো চলে এসেছে। আমি বরং আজ যাই। আবিরকে আসতে বলে দিয়েছি।’

নিশীথ আঘাত পেলো। কণ্ঠে তা প্রকাশ করে সে বললো, ‘কি বলছো ফুপি? কয়দিন হলো মাত্র?’

স্বপ্না নিশীথের অভিমান প্রশ্রয় দিলেন না, ‘দেখ বাবা, আমার নিজের সংসার না থাকলেও আমার ছেলেমেয়ে আছে। আমাকে ওদের একেবারেই প্রয়োজন হয় না তা নয়। আমাকে আর আটকে রাখিস না। আমি মাঝে মাঝে এসে বৌমাকে দেখে যাবো ইন শা আল্লাহ।’

নিশীথ নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণের মাঝেই আবির এসে পড়লে স্বপ্না বিদায় জানালেন। নিশীথ অভিমানে একবারের জন্যও স্বপ্নাকে থাকার অনুরোধ করেনি। এ বাসায় এখন রুহিয়া, নিশীথ আর মিনারা। তবে মিনারা খুব হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। তার প্ৰতিটি কথা প্রাণোচ্ছল। নিশীথের বাকি সময় মন্দ কাটেনি। তাহিয়ার শারীরিক অবস্থার গল্প, মিনারার গ্রামের গল্প, শহরে এসে কীভাবে সব চিনেছেন, এসব গল্পে গল্পে খাওয়ার সময়টা পেরিয়ে গেল। সবচেয়ে ভালো খবর, রুহিয়া মিনারাকে দেখে কথা বলেছে, ‘আমাকে তুমি খাইয়ে দাও মিনা খালা।’ তার স্বাভাবিক কন্ঠ শুনে নিশীথ শান্তি পেয়েছে।

পরের ক’টা দিন বেশ শান্ত কাটলো। রুহিয়া আগের চেয়ে মানসিকভাবে সুস্থ হয়েছে। নিশীথ স্বাচ্ছন্দ্যে কাজে মনোযোগী হতে পেরেছে। তবে নিশীথের দিনগুলো স্বাভাবিক কাটছে না। আজকাল বাসায় সে অন্য কারো উপস্থিতি টের পায়।

যেমন সেদিন রাতে নিশীথের ঘুম ভেঙে গেলে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বিছানা ছেড়ে উঠতেই সে অনুভব করলো, বারান্দার পর্দার পেছনে মানব আকৃতির অবয়ব। পাশে রুহিয়াকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে সে একবার ডেকে উঠেছিল, ‘মিনা খালা?’ কিন্তু কোনো উত্তর আসেনি। তার ডাক শুনে বস্তুটা অদৃশ্য হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার নিশীথ ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছে। বিকেল বেলা রুহিয়াকে নিয়ে ছাদে গিয়েছিলেন মিনারা। নিশীথ ঘরে ঢুকে আনমনে বারান্দায় তাকালে দেখতে পায়, রুহিয়া প্রাচীরের উপর দাঁড়িয়ে হাঁটছে। নিশীথ থমকে গিয়ে চিৎকার করে ওঠে। বারান্দায় যেতেই রুহিয়া যেন অদৃশ্য হয়ে যায়। নিশীথ বুঝতে পারে এটা তার ভ্রম।

কিন্তু এগুলো প্রায়ই ঘটছে বলে বন্ধু রেহানকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে রেহান বলে, ‘তুই ভাবীকে নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকিস। আবার রাতে ভালো ঘুমও হচ্ছে না তোর। এসব কারণে হয়তো হ্যালুসিনেশন বেশি হচ্ছে।’

রুহিয়ার চিন্তায় থেকে নিশীথ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই ইনবিহাজকে ফোন করে সে তাহিয়াকে নিয়েই আসতে বলেছে। ইনবিহাজ এবারও অপারগতা প্রকাশ করেছেন। নিশীথ হাল ছেড়ে আগামীর অপেক্ষায় আছে। আজকাল নতুন একটা বিষয় তাকে ভাবায়। বিষয়টা ধর্ম। ধর্ম বলে কোনোকিছুর মাঝে নিজেকে জড়াতে না চাওয়া নিশীথ জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ায়। এই জীবনের মূল্য কোথায়? কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে সব? নিশীথ উত্তর খোঁজে, সঠিক পথ পায় না। সবকিছু ধোঁয়াশায় থেকে যায়। যেই ধোঁয়াশা কাটানোর পথ আছে, নিশীথ সেই পথ খুঁজে পায় না।

আজও ইউটিউবে বিজ্ঞান ও ধর্ম সম্পর্কিত কিছু ভিডিও দেখছিল সে। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে বারোটা। মিনারা সেসময় ঘর থেকে বেরিয়ে নিশীথকে জেগে থাকতে দেখে বলেন, ‘এত রাত জাইগো না বাবা। রুহি মা একলা একলা ঘরে। তুমি যাও, ঘরে যাও।’

নিশীথ মুচকি হেসে বলেছে, ‘আমি যাচ্ছি খালা। একটু দেরি করে ঘুমাবো আজ। আপনি একটু দেখে আসবেন রুহিয়া ঘুমাচ্ছে কিনা?’

মিনারা হাসিমুখে ভেতরে গেলেন। নিশীথ ভিডিওর দিকে নজর দিলে কিছুক্ষণ পর মিনারার পায়ের আওয়াজ শুনে সে নজর ফেরায়। মিনারাকে শুকনো মুখে ধীর পায়ে হেঁটে যেতে দেখে সে প্রশ্ন করে, ‘কিছু হয়েছে খালা?’

মিনারা বিব্রত ভঙ্গিতে উত্তর দেন, ‘না বাবা। ঘুমাও তোমরা।’

এই অল্প সময়ের কথোপকথনের পর নিশীথ ঘরে ফিরে যায়নি। এই রাতে কোনো এক অজানা কারণে নিশীথ ড্রয়িং রুমে ঘুমিয়ে পড়েছে। পরের দিন থেকে বাড়িতে অস্বাভাবিক কার্যক্রম বেড়ে যায়। হঠাৎ কারো দ্রুত হেঁটে যাওয়া, আড়ালে আড়ালে মানব আকৃতির অবয়ব দেখতে পাওয়া, মিনারার মলিন মুখ- সব মিলিয়ে নিশীথ নিজের প্রতি বিরক্ত। প্রায় চার দিন যাবৎ একই ঘটনা ঘটলে সে রেহানকে ফোন করে মানসিক সুস্থতার জন্য। রেহান রুহিয়ার খোঁজ খবর নিয়ে বন্ধুকে নিজের বাসায় ডাকে। কিন্তু নিশীথ যায়নি।

আজ পঞ্চম রাত। একটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিশীথ বিছানায় গড়িয়ে পড়লো। পাশেই রুহিয়া ঘুমাচ্ছে। নিশীথের মাঝে মাঝে রুহিয়ার কন্ঠ শুনতে ইচ্ছে করে। এটা সেই কন্ঠ, যখন রুহিয়া মুচকি হেসে কথা বলে। তখন নিশীথের মনে হয়, রুহিয়া বৃষ্টি ঝড়াচ্ছে। কিন্তু সেই কন্ঠ আর শোনা হয় না। নিশীথ অপেক্ষায় থাকে, অপেক্ষায় থাকে।

গভীর রাত। বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। নিশীথ আর রুহিয়ার বিছানার নিচ থেকে বেরিয়ে এলো জীবটা। কুৎসিত রূপের সেই জীবের আকৃতি রুহিয়ার মতো। দুই পা আর দুই হাতে ভর দিয়ে মাটি ঘেঁষে যাচ্ছে সে মিনারার ঘরে। মিনারার ঘরের দরজা খোলা থাকে। সেই জীব প্রবেশ করলো ঘরে। উঠে দাঁড়িয়ে ডাকলো, ‘মিনা খালা।’

মিনারা জেগে গিয়েছেন। সামনে দাঁড়ানো জীবটাকে দেখে তিনি বললেন, ‘রুহি নাকি?’ মিনারা উঠে বসলেন। হঠাৎ তার গলা চেপে ধরলো রুহিয়া ছদ্মবেশী জীবটা। মিনারা চিৎকার করার সুযোগ পেলেন না। সেই জীব হাত লম্বা করে মিনারাকে শূন্যে উঠিয়ে ফেলেছে। মিনারার গলার স্বর শুনে ভয় হয়। জীবটা আরেক হাত লম্বা করে দরজা আটকে দিলো।

চমকে ঘুম থেকে উঠে পড়লো রুহিয়া। তার পাশে থাকা নিশীথও জেগে গিয়েছে। সে রুহিয়ার গায়ে হাত রেখে বললো, ‘কি হয়েছে রুহি? স্বপ্ন দেখেছো?’

রুহিয়া ফিসফিস করে বললো, ‘মিনা খালা।’

নিশীথ ভ্রু কুঁচকে বললো, ‘কি হয়েছে মিনা খালার? তুমি স্বপ্ন দেখেছো রুহি।’

রুহিয়া বড় বড় শ্বাস নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। দৌড়ে চলে গেল সে মিনারার ঘরের সামনে। নিশীথ তার পিছু নিলো। রুহিয়া মিনারার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে। দরজাটা বন্ধ। নিশীথ তার কাঁধ ধরে বললো, ‘চিন্তা করো না রুহি। খালা ঘুমাচ্ছেন।’ রুহিয়া শান্ত হলো না। কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে মৃদু স্বরে সে বললো, ‘দরজা খোলো।’

নিশীথ বুঝতে পারছে না রুহিয়া কি চাইছে। রুহিয়া ধৈর্যহীন কণ্ঠে আবার বললো, ‘চাবি এনে দরজা খোলো।’

নিশীথ বিরক্ত বোধ করছে। কিন্তু রুহিয়ার কথা না শুনলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সে ঘরে গিয়ে চাবির বাক্স থেকে নির্দিষ্ট চাবি বের করে মিনারার ঘরের সামনে এলো। দরজা খোলার আগে সে একবার বললো, ‘রুহি, কারো বন্ধ দরজা এভাবে খোলা উচিত নয়।’

রুহিয়া তার কথা যেন শোনেইনি, ‘দরজা খোলো।’

বাধ্য হয়ে নিশীথ দরজা খুললো। রুহিয়া ধীর শব্দে দরজা সরিয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো, মিনারা কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাচ্ছেন। রুহিয়া এবার শান্ত হলো। নিশীথ তার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো ভেতরে কি হয়েছে। যখন সে বুঝতে পারলো রুহিয়ার চিন্তা কমেছে, সে বললো, ‘তুমি স্বপ্ন দেখেছো হয়তো। ঘুমাতে চলো।’

রুহিয়া নিষ্প্রভ মুখে ঘরে চলে গেল। নিশীথ দরজা আটকে ঘরে গেল। কিন্তু তার ঘুম এলো না। বাকি রাত ঘুম-নির্ঘুম এভাবেই কেটে গেল।

_______________________

সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলো নিশীথের। অফিসের তাড়া থাকায় গোসল করতে পারলো না সে। দ্রুত হাত মুখ ধুঁয়ে ডাইনিং রুমে গিয়ে নাস্তার খোঁজ করলো সে। কিন্তু ডাইনিং টেবিলে কিছুই নেই। রান্নাঘরেও মিনারার উপস্থিতি নেই। নিশীথ কপাল কুঁচকে একবার ডেকে উঠলো, ‘মিনা খালা।’

কোনো সাড়াশব্দ নেই। সকাল সাড়ে আটটা বাজতে বেশি দেরি নেই। নিশীথকে এখনই বেরিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মিনা খালা ঘুম থেকে উঠেনি, রুহিয়াও উঠেনি। দরজা আটকে দিবে কে? চিন্তিত নিশীথ দেখলো রুহিয়া ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে। ডাইনিং টেবিলের কাছে এসে সে কিছু খুঁজছে। নিশীথ প্রশ্ন করলো, ‘রুহি, তুমি আজ এত দ্রুত উঠলে?’

রুহিয়া উত্তর জানালো, ‘ক্ষুধা পেয়েছে।’

নিশীথ হতাশ ভঙ্গিতে বললো, ‘মিনা খালা আজ ঘুম থেকে ওঠেননি। নাস্তা তৈরি হয়নি। আমি নিচে গিয়ে পাউরুটি কিনে আনবো?’

রুহিয়া থমকে দাঁড়িয়ে আছে। নিশীথের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সে হঠাৎ মিনারার ঘরের দরজা ধাক্কানো শুরু করলো। নিশীথ স্তব্ধ হয়ে পরক্ষণেই রুহিয়াকে জড়িয়ে বললো, ‘আস্তে রুহি, শান্ত হও।’

রুহিয়া অস্থির চিত্তে দরজা ধাক্কাচ্ছে আর ডাকছে, ‘মিনা খালা, মিনা খালা।’

নিশীথ তাকে জোর করে থামিয়ে আবার বলে উঠলো, ‘তুমি শান্ত হও রুহি। আমি দরজা খোলার ব্যবস্থা করছি।’ রুহিয়া অশান্ত হয়ে ডেকেই চলেছে। নিশীথ দৌড়ে নিজের ঘরে গেল। চাবি নিয়ে ফিরে এসে সে দরজা খুলতে গেলে রুহিয়া তার হাত থেকে চাবি নিয়ে দ্রুত দরজা খোলার চেষ্টা করলো। দরজা খুলে রুহিয়া ভেতরে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলো। নিশীথ তাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

মিনারার ঝুলন্ত শরীর দেখে নিশীথ অজান্তেই বলে উঠলো, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।’

__________________

চলবে ইন শা আল্লাহ….