#পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ
#পর্ব- ৩
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফিহা বাগানের দিকে ছুটে যায়। কিন্তু কাউকে দেখতে পায়না। ফিহার টেনশন হচ্ছে পামকিন কোথায় গেলো?? ফিহা বাগানের সাইডে যায়।
সেখানে তার সব থেকে প্রিয় খরগোশ পামকিন বসে আছে।
ফিহা পামকিনকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে—
কিরে পামকিন? তুই এখানে?? আর আমি টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। পামকিন মাথাটা নিচু করে ফেলে। পামকিনের দিকে অসহায় দৃস্টিতে তাঁকিয়ে ফিহা বলে উঠে—
বুঝেছি পামকিন তুই আমাকে মিস করছিলি তাইনা??
আমিও তোকে অনেক মিস করছিলাম রে!
এই বলে ফিহা একটা গাজর বের করে। পামকিন গাজর দেখে তা খেতে শুরু করে।
পামকিন কে দেখে অনেক খুশি লাগছে।
ফিহারাও ভালো লাগছে।
ফিহা বলে উঠে–
জানিস পামকিন??
আজকে না ইরিনা আপু আসছে।
ইরিনা আপু আসছে তার মানে কত্ত চকলেট নিয়ে আসবে আবার আজকে মামুনি বিরিয়ানিও উফফ আমার তো ভাবতেই মুখে জল চলে আসছে।
ইরিনা আপুকে আমি কত্ত মিস করি জানিস??
আজ কতদিন পরে আপু আসবে।
ফিহার কথা শুনে পামকিন ফিহার দিকে তাঁকায়।
ফিহা বলে উঠে—
আরে পামকিন তুই চিন্তা করিস নাহ!
তোকেও দিবো চকলেট বাট বেশি নাহ।
অইগুলো তো আমার তাইনা???
তোকে বেশি দেওয়া যাবেনাহ।
পামকিন গাজর খাওয়াতে মনোযোগ দেয়।
ফিহা আবারও দৌড়ে তার মামুনির বাড়ির দিকে যায়।
ফারহাজ বিশ্বাস ই করতে পারছেনা।
তার ভালোবাসার মানুষটি এতো বছর পর তার সামনে।
ফারহাজ কিরকম রিয়েক্ট করবে বুঝতে পারছেনা।
ইরিনা হয়তো ফারহাজ এর অবস্হাটা বুঝতে পারছে।
ইরিনা ফারহাজ এর চোখের থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয়।
ইরিনাকে দেখে একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায় ফারহাজ।
আগের থেকে দ্বিগুন সুন্দর হয়ে গেছে ইরিনা।
সেই পিচ্ছি ইরিনা আর সেই পিচ্ছিনা।
আজ সত্যিই যেনো ইরিনা বড় হয়ে গেছে।
ফারহাজকে এইভাবে তাঁকিয়ে থাকতে দেখে
ইরিনা ছুটকি বাঁজায়।
ফারহাজ এর ধ্যান ফেরে।
ইরিনাঃ কি এখন বিশ্বাস হয়েছে যে তোমার সামনে
তোমার ইরিনা দাঁড়িয়ে আছে??? হুম?
তা আমার সারপ্রাইজ টা
ফারহাজ হেঁসে বলে উঠে–/
জ্বী!
সত্যি আমার ইরিটা আর ছোট্র নেই!
আমার কল্পনার থেকেও বেশি সুন্দর হয়ে গেছে???
ইরি মুচকি হেঁসে বলে—
তাইনা???
ফারহাজঃ হুম তাই!
ইরিঃ কিন্তু আমার পুলিশ টাও আগের থেকে বেশি হ্যান্ডসাম হয়ে গেছে + বদমেজাজীও।
কি জানি কেউ আমার হ্যান্ডসাম পুলিশ কে চুরি করে ফেলেছে নাকি???
ফারহাজ ইরিকে নিজের দিকে টেনে বলে উঠে—
ফারহাজ শুধুই তার ইরিনার!
বুঝেছেন মিস!
ইরিনাঃ জ্বী সাহেব বুঝে গিয়েছি।
ফারহাজ ঃ আজকে যে এতো বড় সারপ্রাইজ পাবো তা সত্যিই ভাবেনি ইরি!
সত্যি আমার লাইফের সেরা সারপ্রাইজ ছিলো এইটা।
ইরিঃ কি আর করবো বলো??
আমার সাহেব টা যদি এতোটা বদমেজাজী হয়ে যায়।
তাহলে তাকে একটু শান্ত বানাতে তার সাহেবাকে আসতেই হবে।
ফারহাজঃ যদি আমার বদমেজাজীর জন্যই আপনাকে আসতে হয়! তাহলে বদ মেজাজী হতেও রাজি!
ইরিনা হেঁসে দেয়.।
ফারহাজ ঃ তো ম্যাডাম আপনি কি সোজা আমার কাছেই চলে এসেছেন???
ইরিনাঃ হুম আগে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকেই দেখতে চলে এসেছি।
কিন্তু এখন আমাকে যেতে হবে!
ফারহাজঃ এখনি চলে যাবে কত বছর পর আমাদের দেখা হলো ( মন খারাপ করে)
ইরিনা হেঁসে দেয়!
ইরিনা বলে উঠে–
সত্যি ফারহাজ তুমিও নাহ!
এইটুকুতে মন খারাপ এর কি আছে??
আজকে রাতে তুমি আর আমি মিলে
পুরো ঢাকা শহর ঘুড়বো ওক্কে??
তাও তোমার পুলিশ ওয়ালা বাইকে ওকে।
ফারহাজ এর হাঁসি চওড়া হয়ে যায়।
( ফারহাজ এর বাবা আর ইরিনার বাবা খুবই ভালো বন্ধু। তারা ছোটবেলা থেকেই ইরিনা আর ফারহাজ এর বিয়েটা ঠিক করে রেখেছে।
ইরিনা ও ফারহাজও একে অপরকে ভালোবাসে।
ইরিনার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য তাকে আমেরিকা ৫ বছর আগে যেতে হয় আজ অনেক বছর পরে ইরিনা আর ফারহাজ এর দেখা)
ইরিনা বাড়িতে ঢুকার সাথে সাথেই যেনো
সবাই খুশিতে মেতে উঠে।
ফিহাও অনেক খুশি।
রিহা ও রিক গিয়ে তাদের মেয়েকে জড়িয়ে ধরে
কতদিন পরে তারা তাদের মেয়েকে দেখতে পেয়েছি।
ইরিনাঃ কেমন আছে ড্যাড এন্ড মম???
রিহা ঃ ভালো ছিলাম না রে!
তুই আমাদের একটা মাত্র মেয়ে আমরা কি ভালো থাকতে পারি???
ইরিনাঃ এখন নো টেনশন বিকজ ইরিনা ইজ ব্যাক!
রিকঃ আমার সোনা মা ( ইরিনার মাথায় হাত বুলিয়ে)
তখনি ফিহা বলে উঠে—
ইরিপু আমার চকলেট এনেছো???
ফিহাকে দেখে ইরি বলে উঠে—
আরে আমাদের ফিহা নাহ???
কত পিচ্ছি ছিলো এইটুকু।
এখনো পিচ্ছি আছে বাট কিছুটা বড় হয়েছে।
ফিহা গাল ফুলিয়ে বলে
আমি পিচ্ছি নাহ হুহ! আমি বড় হয়ে গেছি
ফিহার গাল ফুলানো দেখে সবাই হেঁসে দেয়।
ইরিনা কিছুটা ভেবে বলে উঠে—
তার মানে এই চকলেট গুলো তো বড়রা খায়না ছোটরাই খায়।
আমি বরং কোনো ছোট বাচ্ছাদের দিয়ে দিবো
(একটা বড় চকলেট এর বক্স বের করে)
ফিহা বলে উঠে—
আমার চকলেট!
এই বলে ফিহা নিতে নিলে
ইরিনা সরিয়ে দেয়
ইরিনাঃ কে জানি বলেছিলে
সে বড় হয়ে গেছে আর বড়রা তো চকলেট খায়না।
সবাই ফিহা আর ইরিনার কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাঁসছে।
ফিহা কিছুটা ভাবার ভান করে বলে উঠে—
এই নাহ নাহ আমি ছোটই আছি আমাকে আমার চকলেট দাও।
(বাইনা করে)
ইরিনা ফিহার গালে চুমু খেয়ে বলে উঠে—
এইসব গুলো তো আমার ফিহা রানীরই!
ফিহা ইরিনাকে জড়িয়ে ধরে।
ইরিনাও ফিহাকে জড়িয়ে ধরে।
( ইরিনা যখন বিদেশে যায় তখন ফিহা অনেকটাই ছোট ছিলো। ইরিনার কোনো বোন না থাকায় সে ফিহাকে নিজের বোনের মতোই ভালোবাসে।)
।।।।।।।
ফারহাজ আজ অনেক খুশি এতোদিন পরে ইরিনা এসেছে।
আজকে কাজগুলো সব তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।
তখনি অরুপ এসে বলে উঠে—
স্যার!
ফারহাজঃ হুম বলো!
অরুপঃ আপনি যেই মেয়েটার ইনফর্মেশন চেয়েছিলেন।
সব টা না পেলেও কিছুটা পেয়েছি!
ফারহাজঃ হুম বলো!
অরুপঃ নাহ ফিহা!
অনেক দুস্টু প্রকৃতির মেয়ে। বাট মেধাবী স্টুডেন্ট
ঢাকা বিদ্যাকানুন স্কুলে পড়ে ( কাল্পনিক নাম)
ক্লাস সেভের স্টুডেন্ট!
ফারহাজ হাতে হাত রেখে বলে উঠে—
ফিহা ইন্টারেস্টিং!
অরুপঃ কিন্তু মেয়েটির বাবা নাকি ছোটবেলায় মারা গেছে।
ফিহার বাবা নেই শুনে ফারহাজ এর খানিক্টা খারাপ লাগলো।
ফারহাজঃ আচ্ছা এখন বাদ দাও।
আমাকে এক জায়গায় যেতে হবে।
।।।।।।
বাড়িতে অনেক অতিথি এসেছে।
ইরিনার সাথে দেখা করতে। ইরিনাও বেঁচারী এদিকে ফোনটাও ধরতে পারছেনা।
সবাই তার সাথে গল্প জুড়ে দিয়েছে।
এদিকে,,
ফারহাজ বাইক নিয়ে ইরিনার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
এতোটা কাজের চাপে সে এই বাড়িতে আসার সময়ই পেতো নাহ।
আর সবথেকে বড় কথা ইরিনাও ছিলো নাহ।
তাই এই বাড়িতে তার তেমন আসাও হতো নাহ।
আজ অনেক বছর পর সে এসেছে।
ফারহাজঃ ইরি এখনো আসছে না কেন??
আমি কি একবার ভিতরে যাবো??
নাহ থাক অপেক্ষা করি একটু!
এদিকে,,
ফিহা পামকিন এর সাথে বাগানে খেলা করছে।
কিন্তু হঠাৎই পামকিন বানাগের বাইরে চলে যায়।
ফিহা ঃ আরে পামকিন কোথায় যাচ্ছিস???
ফিহাও পামকিনের পিছনে ছুটে গিয়ে খপ করে পামকিন কে ধরে ফেলে।
ফিহাঃ পামকিন তুই কিন্তু বড্ড দুস্টু হয়ে যাচ্ছিস।
এইভাবে কেউ দৌড়ায়
(হাফাতে হাফাতে)
হঠাৎ ফিহা খেয়াল করে কেউ বাইকে বসে আছে।
তাকে দেখে ফিহা অবাক হয়ে যায়।
ফিহা ঃ আরে এতো সেই লাটসাহেব।
আমার বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছে।
ইসস রে সিমি ঠিকই বলেছিলো আমি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছি।
এখন যদি পুলিশ টা আমাকে ধরে নিয়ে যায়।
ফারহাজ এর চোখ ও ফিহার দিকে যায়।
ফারহাজঃ আরে এ তো সেই পুচকি মেয়েটা।
।
।
।
।
চলবে কি?
#পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ
#পর্ব -৪
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফিহাকে দেখে ফারহাজ কিছুটা অবাক হয়। এই পুচকি মেয়েটা এইসময় এইখানে কি করছে? ফিহা এখন কি করবে বুঝতে পারছেনা। এই পুলিশ টা যদি তাকে ধরে নিয়ে যায়। নাহ নাহ ফিহাকে পালাতে হবে। ফিহা পামকিন কে নিয়ে উল্টো দিকে হাটা ধরলেই ফারহাজ বলে উঠে—
এই পুচকি দাঁড়াও!
ফিহা থেমে যায়। সে ভয়ে সিউরে উঠে এইবার তাকে জেলে যেতে কেউ আটকাতে পারবেনা।
ফিহা ফারহাজ এর দিকে ঘুড়ে তাঁকায়।
ফারহাজ বাইক থেকে নেমে ফিহার কাছে গিয়ে বলে উঠে—
তুমি সেই ঝগড়ুটে পুচকি মেয়েটা নাহ নাম কি যেনো???
ওহ হ্যা ফিহা মনে পড়েছে।
ফিহা ঃ এইরে এতো আমার নাম ও জানে এখন কি হবে 😢😢😢(মনে মনে)
ফিহা তবুও মনে মনে সাহস নিয়ে বলে উঠে—
এইযে লাটসাহেব ফিহা মোটেও ঝগড়ুটে নাহ হুহ!
ফিহা তো গুড গার্ল!
তাইনা পামকিন।
পামকিনও মাথা নাড়ায়।
ফিহা আবারোও বলে উঠে—
দেখেছেন??? পামকিন ও জানে ফিহা গুড গার্ল। ঝগড়ুটে তো আপনি লাটসাহেব!
ফারহাজ রেগে বলে উঠে—
সত্যি তোমার সাহস দেখে আমি অবাক!
জানো এর জন্য আমি তোমাকে জেলেও পাচার করে দিতে পারি তোমার পামকিন সহ!
ফিহা শুকনো ঢুক গিলল।
তার ছোট মস্তিষ্ক এইটাই বলছে যে
সে যদি জেলে যায় তাহলে হাওয়াই মিঠাই খাবে কীভাবে???
চকলেট ও বা পাবে কীভাবে।
ভাবতেই কান্না চলে আসছে ফিহার!
নাহ নাহ সে জেলে যাবেনা কিছুতেই নাহ!
ফিহার এইরকম ফেস দেখে খানিক্টা মজা পাচ্ছে ফারহাজ।
সত্যি পিচ্ছি মেয়েটাকে বোকা বানানো অনেক সহজ!
ফিহা এইবার পামকিন কে নিয়ে একটা দৌড় দেয়।
মাত্র কি হলো তা বুঝতে খানিক্টা সময় লাগলো ফারহাজ এর।
ফিহা পালাচ্ছে ভেবে সেও দৌড় দিলো ফিহার পিছনে।
ফিহা দৌড়াচ্ছে পামকিন কি নিয়ে।
ফারহাজ দ্রুত দৌড়ে ফিহার সামনে চলে আসে
ফারহাজ কে দেখে ফিহা থেমে যায়।
ফারহাজ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে—
পুচকি দেখি পালাচ্ছে!
সব সাহস একেবারে হাওয়ায় ফুশ???
ফিহা কান্নার সুরে বলে উঠে—
আমি পালাচ্ছিলাম না তো!
ফারহাজঃ তো কি করছিলে???
(ভ্রু কুচকে)
ফিহাঃ জোগিং করছিলাম।
আমাদের স্কুলে মোটকু স্যার আছে উনি বলেছেন
জোগিং করলে শরীর ভালো থাকে 😅😅
(মেকি হাঁসি দিয়ে)
ফারহাজঃ মোটকু স্যার??
উফফ যাক বাদ দাও বাট জোগিং তো সকালে করে.
ফিহাঃ ফিহা রাতেই করে!
ফারহাজ বলে উঠে*—বিশ্বাস করতে পারলাম নাহ!
কিন্তু এখন যখন তোমাকে পেয়েই গিয়েছি জেলে আজকেই পাচার করে দিবো।
সাথে তোমার এই টামকিন নাহ চামকিম নাহ কি যেনো নাম।
ফারহাজ এর মুখে এইসব উল্টো পাল্টা নাম পামকিন এর মোটেও ভালো লাগেনি।
আমি মুখ ফুলিয়ে বলে উঠলাম—
ওর নাম পামকিন ওক্কে????
ফারহাজঃ যাই হোক!
চলো এবার পুলিশ স্টেশনে!
(হাত ভাজ করে)
ফিহা পারে তো এইবার কেঁদেই দেয়।
ফারহাজ এর ও বেশ মজা লাগছে।
ফারহাজ মির্জাকে অপমান করা!
।।
এর শোধ আজকে ফারহাজ নিয়েই ছাড়বে।
এদিকে,,
ইরিনা বসে বসে সবার সাথে গল্প করছে।
আজকে ফারহাজকে সে কথা দিয়েছিলো তার সাথে আজকে সময় কাটাবে কিন্তু বাড়ির লোকেদের জন্য যেতেই পারছেনা।
ইরিনাঃ মা আমার না আরেকটু কাজ ছিলো।
ইরিনার খালাঃ আজকে তোকে কোথাও যেতে হবেনা।
কতদিন পরে তোকে কাছে পেয়েছি।
ইরিনার মা বলে উঠে
— আপু তো ঠিকই বলেছে।
আজকে কোথাও যেতে হবেনা তোর।
ইরিনা কি আর করবে বেচারি।
বসে পড়লো।
এদিকে,
ফারহাজ ফিহাকে কিছু বলবে তার আগেই তার ফোনটা বেজে উঠলো।
সে মেসেজ টা চেক করে দেখে ইরিনার মেসেজ আজ সে আসতে পারবেনা।
মেজাজটাই বিগড়ে গেলো ফারহাজ এর!
ইরিনার সাথে তার আজকে একটু সময় কাটানোর ইচ্ছে ছিলো।
ফারহাজ রাগে বাইক এ চড়ে বসে।
ফিহাঃ মনে হয় এই পুলিশ লাটসাহেব টা আমাকে জেলে দিবে না।
এখুনি সময় পামকিন নিয়ে একেবারে গেটে দিবো দৌড়!
ফারহাজ কিছু একটা ভেবে বলে উঠে—
এই পুচকি শুনো!
ফিহা বলে উঠে—
আমি পুচকি নাহ!
ফারহাজঃ তাহলে কি???
ফিহা মুখ ভেংচি দিয়ে বলে উঠে—
আমি বড় হয়ে গিয়েছি হুহ ( মুখ ফুলিয়ে)
ফারহাজঃ হ্যা যেহুতু বড় হয়েই গেছো
চলো এখন জেলে!
ফিহা কাদুকাদু ফেস করে বলে উঠেন—
আমার মতো গুড গার্লকে ধরে নিয়ে যাবেন???
মায়া হবেনা???
ফারহাজঃ ঝগড়ুটেদের জন্য ফারহাজ মির্জা দের মায়া হয়না!
কিন্তু একটা শর্তে জেলে দিবো নাহ!
ফিহা খুশি হয়ে বলে–সত্যি????
ফারহাজঃ হ্যা শর্ত টা হচ্ছে তোমার বাড়ির ঠিকানা টা বলো এখন
কি জানি আবার যদি এইরকম ঝগড়া করো তখন বাড়ি গিয়ে আবারোও ধরে নিয়ে এসে জেলে পাচার হুহ!
ফিহা পামকিন এর কানে আস্তে করে বলে উঠে—
পামকিন রে এখন যদি এই লাটসাহেব কে আমার আসল বাড়ি দেখিয়ে দেই তাহলে তো সত্যি জেলে নিয়ে যাবে। একটা কাজ করি মিথ্যে বলি!
পামকিন কি বুঝলো কে জানে সেও মাথা নাড়ালো।
ফারহাজ ঃ কি ফিসফিস হচ্ছে???
ফিহাঃ নাহ মানে পামকিন কে বলছিলাম আজ রাতে তুই কি খাবি???
ফারহাজ ঃ ওয়াট???
বোবা প্রানীরা কি কিছু বলতে পারে যে তুমি জিজ্ঞেসা করছো???
ফিহাঃ আমার পামকিন সবই বুঝে!
তাই পামু???
ফারহাজ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সত্যি মেয়েটা একেবারে পাগল!
ফারহাজঃ এখন বলো?
বাসা কোথায়???
ফিহাঃ অইতো সামনে গিয়ে পিছনের গুলিতে
৩নং বাড়ি!
ফারহাজঃ ঠিক আছে উঠো আমার বাইকে।
আমি অইদিকেই যাবো।
ফিহা কাদুকাদু সুরে বলে উঠে—
নাহ! আমি পারবো!
ফারহাজঃ এইযে পুচকি শুনে রাখো!
ফারহাজ মির্জা এর বাইকে সবাই উঠতে পারেনা।
তুমি একটা বাচ্ছা মেয়ে এতো রাতে একা যাওয়া ঠিক হবেনা।
দেশের একজন সচেতন পুলিশ হিসেবে এইভাবে তোমার একা যেতে দেওয়া আমার উচিৎ হবেনা।
সো উঠে পড়ো।
।।।।।।।
ইরিনা কোনোরকম ঘরে আসলো।
সবাই তাকে যেভাবে চেপে ধরেছে বাবা!
ইরিনা ভাবছে ফারহাজ কে একটা ফোন করা উচিৎ!
তখনি কেউ আননোন নাম্বার দিয়ে ফোন করে
ইরিনা ঃ এখন আবার কে ফোন করলো??
ইরিনা ফোন টা উঠানোর সাথে সাথে কেউ বলে উঠলো—
ইরিমনি!
ইরি তার কন্ঠস্বর শুনে শিউরে উঠলো।
ইরিঃ কে???(কাঁপাকাঁপা কন্ঠে)
——যাক বাবাহ বাংলাদেশে গিয়ে একদিনেই আমাকে ভুলে গেলে
ইরিমনি এইটা ঠিক নাহ!
।ইরিনার এখন ঠিক করা উচিৎ সে বুঝতে পারছেনা।
ইরিনাঃ আপনি ফোন করেছেন কেন???
।।।।।।।।।।।।।। 💙💙
এদিকে
ফিহার মা এর চিন্তা হচ্ছে প্রচন্ড! মেয়েটা কখন গেছে এখনো আসছে নাহ কেন??
ফিহার মা কে চিন্তিত দেখে মিঃ রিহা বলে উঠে—
ফাতেমা কি হয়েছে এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে???
ফিহার মা বলে উঠে—
ফিহা এখনো আসছেনা।
রিহাঃ দেখো হয়তো বাগানে খেলছে।
পামকিন এর সাথে।
।।।
।।।।।।
ফিহা ঃ এইরে এখন তো ডাবল ফেঁসে গেলাম
কি হবে??🥺🥺(মনে মনে)
ফারহাজ এইবার ধমকের সুরে বলে উঠে—
কি হলো উঠে পড়ো!
ফারহাজ এর ধমকে ফিহা কেঁপে উঠলো।
সে চুপচাপ ফারহাজ এর সামনে পিছনে বসে পড়লো
পামকিন কে নিয়ে।
ফারহাজ বাইক টা স্টার্ট দেয়।
ফিহা চোখ বন্ধ করে ফারহাজ এর কাধে হাত রাখে।
ফারহাজ কিছু না বলে বাইক চালাতে থাকে।
অন্ধকার এক রাতে ফিহা ও ফারহাজ বাইকে বসে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।
ফিহা ভাবছে এখন কি হবে?? তার মা তো টেনশন করবে।
।
।
।
।
।
।
।।।।
।
।চলবে কি??
(কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু)
(ঘটনমুলক কমেন্ট করবেন)