পরকীয়ার শেষ পরিণতি পর্ব-০৫

0
295

#পরকীয়ার_শেষ_পরিণতি
#পর্ব_৫
#Shimul

হঠাৎ করে দরজায় একটা শব্দ হলো, মনে হয় আমার অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটেছে। হ্যা সাব্বির এসেছে,

রুমে কারো আগমনের বার্তা পেয়ে আমার স্ত্রী বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো। সাব্বির সোজা রুমের ভিতরে ঢুকে আমার স্ত্রীকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরল, আর বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,

“হেই তুমি আমাকে আগে জানালে না কেন, যে তোমার স্বামী আজকে আসবে না গ্রামের বাড়িতে যাবে। তাহলে কষ্ট করে বিকালে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় যাওয়া দরকার ছিল না। রাতটা তোমার সাথে কাটিয়ে সকালে চলে যেতাম, তোমার স্বামী আসার আগে। ও তোমাকে তো আমি এতক্ষণ লক্ষই করিনি, তোমাকে এই সাজে খুব সুন্দর লাগছে। আমার জন্য সেজেছ নিশ্চয়ই, আজকে সারারাত তোমাকে মন ভরে আদর করবো”

আমার স্ত্রী ভয়ে কোন কথা বলছে না।

সাব্বির পরক্ষণে আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে আমার স্ত্রীর ঠোট জোড়া ওর আয়ত্বে নিয়ে নিল, আর বিছানায় এলিয়ে পড়লো।

আমি এ দৃশ্য দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না।ধারালো ছুরিটা দিকে তাকিয়ে আছি, আর মনে মনে বলছি,,,,,,,,,,,,

“এক কুপে কি দুজনার কল্লা আলাদা করতে পারবো তো”

আমি শামুক গতিময়তায় পায়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। যখন আমি সাব্বিরের বস্তু বিহীন শরীরের উপর হাত’টা রাখলাম, তখন সাব্বির এতোটাই আতঙ্কে পিছনে ফিরে তাকাল যে, মনে হচ্ছে ওর চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে।

সাব্বির আমাক, আর আমার হাতে ধারালো ছুরি দেখে ভয়ে কাপঁতে কাপঁতে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,

“স্যার আপনি”

“আমি আমার বাসায় থাকবো না তো, তোর মত জানোয়ার থাকবে”

“স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে, আমাকে ক্ষমা করে দিন।আমার কোন দোষ নাই স্যার, সব দোষ আপনার স্ত্রীর। আপনার স্ত্রী আমাকে আগে এগুলো করার জন্য আহবান জানিয়েছে” ( কতটা নিচু হইলে এগুলো করতে পারে, বলতে পারবেন কেউ )

“ওর’তো শাস্তি দেবো, ভয়ানক শাস্তি। এমন শাস্তি দেবো যে, ওর ভিতরে থাকা আত্মাটাও কেঁপে উঠবে। তার আগে তোর পালা”

এ কথা শুনে সাথে সাথে সাব্বির আমার পায়ে ধরে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,

“একাজ আর জীবনেও করবো না, প্রতিজ্ঞা করতেছি আমি”

“জীবন থাকলে তো করবি” এ কথা বলে আমি সাব্বিরের বস্তু বিহীন শরীরে ধারালো ছুরি টা দিয়ে জোরে একটা টান দিলাম। সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করো, আর সাব্বির ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো।

সাব্বির নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলো, দৌড়ে রুম থেকে বাহির হয়ে যেতে লাগলো। তা দেখে আমি সাথে সাথে ধারালো ছুরিটা দিয়ে আরেকটা টান দিলাম, সাব্বির এবার মেঝেতে পড়ে গেছে। আমি যখন সাব্বিরের শরীরে আরেকটা টান দিতে যাবো, তখন সাব্বির সাথে সাথে হাত দিয়ে ছুরিটা ধরে ফেললো। আর আমি সাব্বিরের দেহ থেকে হাতটা বিচ্ছিন্ন করে ফেললাম। সাব্বিরের এই পরিণতি দেখে আমার স্ত্রী জোরে জোরে চিল্লাতে লাগলো। তা দেখে আমি আমার হৃদয় আত্মা কাঁপিয়ে এত জোরে ধমক দিয়েছি যে, ২ মিনিট পর্যন্ত আমার সেই ধমকের সাউন্ড টা রুমে রয়ে গেছে।

আমি একটা চেয়ার এনে ধারালো ছুরিটা হাতে নিয়ে সেই চেয়ার’টায় বসলাম। তারপর সাব্বির আর আমার স্ত্রীকে কাছে আনলাম। এনে সাব্বির কে লক্ষ্য করে বললাম,,,,,,,,,,,,,,,

“তুই কি ওঁকে ভালবাসিস”

সাব্বির অসহ্য ব্যথা নিয়ে বললো,,,,,,,,,,,,,,

“না”

“তাহলে ওর সাথে এ রকম কু’কর্ম করলি কেন”

সাব্বির কোন কথা বলছে না, ওর শরীরের রক্ত দিয়ে আমার রুমের মেঝে ভেসে যাচ্ছে।

“কি হলো কথা বল”

সাব্বির অনেক কষ্টে বললো,,,,,,,,,,,

“ওনাকে আমার কাছে সুন্দর লাগতো, ভালো লাগতো”

“তার মানে তোর মনে ধরেছে? মনের ব্যাপার সমস্যা নাই! মন এখন একটা চাইবে, কিছুক্ষণ পর আরেকটা চাইতে পারে। আবার এক সময় ঠিক ও হয়ে যেতে পারে, এই মনের ব্যাপারটা কোন অপরাধ না”

“তাহলে স্যার আমাকে ক্ষমা করে দেন, আমার জীবটা ভিক্ষা দেন! আমি আপনার পায়ে ধরে বলছি, আর কখনো এ রকম করবো না”

“হ্যা ক্ষমা করে দেব, যেহেতু মনের ব্যাপার”

তারপর আমি আমার স্ত্রী কে লক্ষ্য করে বললাম,,,,,,,,,,,,,,

“তুই ওর সাথে এ কু’কর্ম কেন করলি”

আমার স্ত্রী ভয়ে কোন কথা’ই বলছে না। আমি ধমক দিয়ে বললাম,,,,,,,,,,,,

“পৃথিবীতে যদি আরো কিছু সময় নিশ্বাস নিতে চাস, তাহলে আমার প্রশ্নের জবাব দে”

আমার স্ত্রী ভয়ে ভয়ে কাঁপন তোলা গলায়
বললো,,,,,,,,,,

“ওকে আমার ভাল লাগতো” ( এটা’ই মেয়ে জাতি ভাই! আজ একজন কে ভালো লাগবে, কাল অন্য জন কে 😅! তবে সব মেয়ে এক না )

আমি তার প্রতি উত্তরে বললাম,,,,,,,,,,,

“তার মানে তোরও ওঁকে মনে ধরেছে তাইতো”

আমার স্ত্রী মাথা ঝাকি দিয়ে বললো,,,,,,,,,,,

“হ্যাঁ”

“কাউকে মনে ধরাটা অপরাধ না! কিন্তু তোর মনে ধরার তো একটা সীমাবদ্ধতা আছে, দাড়ি কমা আছে। কারন তুই কোন মুক্ত আকাশে নিজের ইচ্ছে মত ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর পাখি না, বিবাহের মত পবিত্র বন্ধনে কারো সাথ আবদ্ধ হয়ে কারো মনে আর ঘরের শিকল বন্দি পাখি। কারো স্ত্রী, কোন এক সন্তানের মা। তোর কাউকে মনে ধরতে পাড়ে না। যদি ও বা মনে ধরে আর ভাল লাগে, তাহলে সে ব্যক্তিটা টা হবে শুধু তোর স্বামী।এর বাহিরে যদি তোর স্বামীকে বাদে কাউকে মনে ধরে, ভাল লাগে, তাহলে তোর স্বভাব এবং চরিত্র খারাপ।আর যাদের স্বভাব এবং চরিত্র খারাপ, তারা যতো প্রধবৃত্তি হোক না কেন, জীবনে যতো উন্নতি করুক না কেন। তাদের স্বভাব চরিত্র তাদের কাছ থেকে কখনো বিতারিত এবং গাফেল হয় না। আজ তোর এমন অবস্থা করব যে, তোর ভিতরে থাকা আত্মাটা ও তোকে দেখে শিহরিত হয়ে উঠবে”

পরক্ষণে সাব্বির গঙ্গানি কন্ঠে বলতে
লাগলো,,,,,,,,,,,,,,

“স্যার আপনি বলেছেন আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, আমার মনে ধরেছে, আমার তো কোন অপরাধ নাই”

“হ্যাঁ ক্ষমা করে দিব। তার আগে একটা সত্য কথা বল, তুই এর আগে যত জায়গায় টিউশনি করিয়েছিস আর কত জনের সাথে এই কু’কর্মে লিপ্ত হয়েছিস? সত্যি করে বলবি, আর না হয় এই দুনিয়াতে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য আর এক মিনিটও সময় পাবি না”

“স্যার সত্যি বললে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন তো”

“হ্যাঁ দিবো”

“আরো দুই জায়গায়” ( এই’টা হচ্ছে ছেলে জাতি, একজন’কে দিয়ে তো হবে না আর 🤣! তবে সব ছেলেও এমন না )

“তার মানে আমার স্ত্রী’কে নিয়ে তিন জন তাইতো”

সাব্বির ভয়ে ভয়ে বললো,,,,,,,,,,,,,

“হ্যাঁ”

“তাহলে তো তোর এটাকে মনে ধরা বলে না! এটাকে বলে স্বভাব এবং চরিত্র খারাপ। আর স্বভাব এবং দুশ্চরিত্র লোক কখনো সঠিক রাস্তায় আসতে পারে না, তুই ও কখনো ঠিক রাস্তায় আসতে পারবি না। তাই আজ তোর জীবনের ইতি টানবো” এ কথা বলে আমি সাব্বিরের দেহ থেকে আরেক টা হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেললাম। সাব্বির দুহাত বিহিন মেঝেতে পড়ে আছে, আর জোরে জোরে চিৎকার করছে। সে চিৎকার শুনে আমার রাগ আরো বেরে গেল। এক এক করে সাব্বিরের ২টা পাও শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললাম।

হাত পা বিহিন সাব্বির মেঝেতে পড়ে আছে। আর অসহ্য যন্ত্রণায় আকাশ বাতাস কাপিয়ে চিৎকার করছে। কিন্তু সে চিৎকার বিল্ডিং এর দেওয়াল ভেদ করে মানুষের হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। কারণ বাহিরে তখন অঝোর ধারায় ঝুম ঝুম বৃষ্টি পড়তেছে। সেই বৃষ্টির সাথে ভয়ংকর শব্দ করে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। পৃথিবীর কোন মানুষ জানতে পারছে না, এই কালো ভয়ঙ্কর অন্ধকারে বৃষ্টিধারা রাতে রাস্তার পাশে একটা দু’তলা বিল্ডিং এর ভিতরে কি হতে চলেছে। সাব্বিরের সেই ভয়ানক আত্মচিৎকার যদি কেউ শুনতো, তাহলে কোন পুরুষ জিনার কাজে লিপ্ত হতো না। কোন নারী পর পুরুষের সাথে কু’কর্ম অশ্লীল খেলায় মেতে উঠতে পারত না।

আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখি, আমার স্ত্রী সাব্বিরের এই ভয়ানক অবস্থা দেখে জুরে জুরে চিল্লাতে লাগলো, আর লাফাতে লাগলো। তা দেখে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল, “আমার বাড়ি পল্লী এলাকায় সবুজ শ্যামলে ঘেরা, এই সোনার বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য রয়েছে পল্লী এলাকাতে। যে দিকে তাকাবে সেদিকেই অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ মহিমায় তোমাকে শিহরিত করে তুলবে। কোন এক আষাঢ়ের বৃষ্টিধারা রাতে বন্ধুদের মনে কামনা জাগলো মাংস খাবে। কিন্তু এত রাত মাংস কোথায় পাবে, এক বন্ধু পরামর্শ দিল ব্যাঙের মাংস খাওয়া যায়। আমি তা শুনে সাথে সাথে বুমি করে দিলাম, কারণ মুরগির মাংস ওই আমাকে ভালো ভাবে না ভেজে দিলে খেতে পারি না, আমার জীবনে আজো পর্যন্ত সিদ্ধ ডিম খাই নি। কারণ সিদ্ধ ডিমের ভিতর লবণ-মরিচ কিছুই ঢুকে না। বন্ধুরা কুচু পাতা মাথা দিয়ে, এককাইট্টা হাতে বেরিয়ে পড়ল, আমি কৌতুহল হয় ওদের পিছনে যেতে লাগলাম। ওরা ধান ক্ষেতে অল্প পানির মধ্যে গিয়ে একটা বড় ব্যাঙকে গাই দিয়ে ধরলো। যখন ব্যাঙের দুটা রান আলাদা করে ফেললো, তখন ব্যাঙটা অসহ্য যন্ত্রণায় জোরে জোরে ডাকতে লাগলো। ব্যাংগের সেই আত্মচিৎকার এবং ভয়ানক পরিণতি দেখে পাশে থাকা বেঙগুলি জোরে জোরে চিল্লাতে লাগলো এবং লাফাতে লাগলো” আমার স্ত্রী সাব্বিরের এই পরিণতি দেখে সেই ব্যাগের মতো জোরে জোরে চিল্লাতে লাগলো, আর লাফাতে লাগলো। হঠাৎ করে লক্ষ্য করে দেখি,,,,,,,,,,,,,,,,

#চলবে………………………….