পূণ্যতা নাকি শূন্যতা ২ পর্ব-০৩

0
274

#পূণ্যতা_নাকি_শূন্যতা
#সিজন_২
#রেজওয়ানা_রমা
#পর্ব_০৩

সিদ্ধাত: মায়া মা!!

বলেই ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মায়া বেগমকে। মায়া বেগম একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। কিন্তু তার চেয়ে আরও বেশি ভ্যাবাচ্যাকা খায় ঈশা।

সিদ্ধাত: মায়া মা! এতো দিন কোথায় ছিলে তুমি মায়া মা।

মায়া বেগম : সিদ্ধাত!

সিদ্ধাত: হ্যাঁ মায়া মা তোমার সেই ছোট্ট সিদ্ধাত।

মায়া বেগমের চোখ দিয়ে দুফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে। দুহাতে জড়িয়ে নেয় সিদ্ধাতকে। এতো বছর পর সেই ছোট্ট সিদ্ধাত কে দেখছে। তবে সিদ্ধাত আর ছোট নেই।

সিদ্ধাত: কেন ছেড়ে গেলে মায়া মা। আমাকে ছেড়ে থাকতে তোমার কষ্ট হয় নি? একটা বার তো আমার কথা ভেবে থেকে যেতে পারতে।

মায়া বেগম: তোকে ছেড়ে মায়া মা ভালো থাকতে পারে না। এতো টা বছর দূরে ছিলাম ঠিকই কিন্তু আমার মনে সব সময় তুই ছিলি বাবা। কত বড় হয়ে গেছিস তুই। আমি তো চিনতেই পারি নি

সিদ্ধাত: কিন্তু আমি তোমাকে ঠিকই চিনেছি। আমি ভুল করি নি তোমাকে চিনতে। সেই মুখ, সেই রাগ, সেই কণ্ঠ। আমি ভুলি নি মায়া মা।

মায়া বেগম কে ছেড়ে দিয়ে কথা গুলো বলে সিদ্ধান্ত। মায়া বেগম সিদ্ধাতের মুখটা দুহাত দিয়ে আলতো করে ধরে। যেন কত যুগ পর দেখছে।
ঈশা এতোক্ষন কিছুই বুঝতে পারে না কি হচ্ছে এখানে। তাই মাটি থেকে উঠে বলে,

ঈশা: তোমাদের আড়ি ভাব শেষ হলে আমাকে একটু বলবা কি হচ্ছে এখানে?

ঈশার কথায় মায়া বেগমের ধ্যান ভাঙে। মুহূর্তেই মনে পড়ে যায় একটু আগের ঘটনা। আর মনে পড়তেই গম্ভীর স্বরে বলে,

মায়া বেগম : সিদ্ধাত তোরা যে ভুল করছিস তা এখনই শুধরে নে। আমার মেয়ের আশেপাশে যেন তোকে আর না দেখি। যা বাড়ি ফিরে যা।

বলেই ঈশার হাত ধরে টেনে ভিতরে নিয়ে যায় মায়া বেগম। আর সিদ্ধাত ওভাবেই বৃষ্টিতে ভিজছে বাড়ির বাইরে। এক মুহূর্তেই সব এলোমেলো হয়ে এলো। যে বৃষ্টি ফোটা তাকে নেশায় ডুবিয়েছিল সেই বৃষ্টির ফোটা যেন কাটার মত গায়ে লাগছে। বড্ড অসহায় করে দিয়ে গেলো তাকে। যাওয়ার সময় ঈশা সিদ্ধাত কে দেখছিল আর বেখেয়ালে হেঁটে যাচ্ছিলো মায়ের সাথে। ঈশার চোখে অনেক প্রশ্ন। বাড়ির সদর দরজা লাগিয়ে দেয় মায়া বেগম। সিদ্ধাত কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ফিরে যায়।
আর এদিকে নিজের মেয়েকে হাজারো কথা শুনতে শুনতে ঘরে নিয়ে যায় মায়া বেগম। মেয়ে কে ঘরে দিয়ে কড়া ভাবে বলেন,

মায়া বেগম : আর কখনও যেন সিদ্ধাতের সাথে মেলামেশা করতে না দেখি

ঈশা: কিন্তু কেন আম্মু? কি করেছে সিদ্ধাত ভাইয়া?

মায়া বেগম : এতো কিছু তোর জানার দরকার নেই। আমি বলেছি মিশবি না, মিশবি না ব্যাস।

আম্মু হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। সিদ্ধাত ভাইয়া কে চেনে কি করে আম্মু? আর মিশতে কেন না করেছে? মাথায় অনেক প্রশ্ন নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলাম সাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছি। বিছানায় গুটিসুটি মেরে বসে বসে আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনার কথাই ভাবছি। কি করলাম এটা আমি। সিদ্ধাত ভাইয়ার কাছ থেকে দূরে কেন গেলাম না। কাজ টা একদম উচিত হয় নি। কি করে করলাম। খুব আফসোস হচ্ছে। সিদ্ধাত ভাইয়ার সামনে কি করে যাবো এবার। মুখ দেখাবো কিভাবে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে। আর সিদ্ধাত ভাইয়া! উনি কেন এমন করলো? কেন আমার এতো কাছে এসেছিল। ইসস। ভাবতেই কেমন লাগছে।

অপর দিকে সিদ্ধাত এক বুক কষ্ট, অজস্র অভিমান আর হাজারো অভিযোগ নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। ছেলেকে ভেজা শরীরের বাড়ি ঢুকতে মা মমতা বেগম ছুটে আসেন।

মমতা বেগম : সিদ্ধাত! এভাবে ভিজেছিস কেন?

সিদ্ধাত: তার আগে বলো, মায়া মা কে কেন ফিরয়ে আনা হয় নি?

সিদ্ধাতের এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলেন না মমতা বেগম।

মমতা বেগম : হঠাৎ মায়ার কথা?

সিদ্ধাত: মায়া মা কে দেখেছি আজ আমি। অনেক বছর পর আজ খুজে পেয়েছি আমি মায়া মা কে। মায়া মা কে এবাড়ি তে দেখতে চাই।

মমতা বেগম : তোমার কোনো কথার উত্তর আমি দিতে পারবো না। তুমি তোমার বাবার কাছে শুনে নিও।

সিদ্ধাত: বেশ।

আরিয়ান সাহেবকে ডাকতে ডাকতে উপরে চলে যায় সিদ্ধাত। পিছে পিছে মমতা বেগম ও। আরিয়ান সাহেবের রুমে ঢুকে,

সিদ্ধাত: বাবা! মায়া মা কে ফিরিয়ে আনো

সিদ্ধাতের এমন কথায় কিছুটা বিস্মিত হন তিনি। অতঃপর বলেন,

আরিয়ন সাহেব: আজ হঠাৎ মায়ার কথা?

সিদ্ধাত: আমি মায়া মা কে এ বাড়িতে দেখতে চাই।

আরিয়ান সাহেব: সেটা কখনো সম্ভব নয়।

সিদ্ধাত: কেন বাবা? কোন অপরাধের শাস্তি?

আরিয়ান সাহেব: মায়া আমাদের সবার মান সম্মান ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। আমাদেরকে ছেলে পক্ষের কাছে ছোট করে দিয়েছে। এটা অপরাধ নয়? ওর জন্য বিয়ে বাড়িতে সবার কাছে আমাদের ছোট হতে হয়েছে। এরপরও বলবি মায়া অপরাধ করে নি?

সিদ্ধাত: সেটা তো হয়ে গেছে বাবা। এতো গুলো বছর কেটে গেছে এখানো তুমি তোমার জেদ থেকে বের হতে পারো নি বাবা। আর তারই মাসুল দিতে হচ্ছে আমাদের সবাই কে। তোমার জন্য ঈশা চৌধুরী পরিবারের সন্তান হওয়া স্বত্ত্বেও পরিচয় দিতে পারে না। তোমার জন্য ঈশা তা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তোমার জন্য মায়া মা এ বাড়ির বউ এর মর্যাদা পায় নি। তোমার জন্য চাচ্চু তার অধিকার পায় নি। বাবা এগুলো কি অপরাধ নয়? মায়া মা আর চাচ্চু যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তো তুমি ওদের চেয়ে আরও বেশি অপরাধ করেছো বাবা। আর এখনো করেই যাচ্ছো

আরিয়ান সাহেব: সিদ্ধাত! তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছো তুমি কার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছো

সিদ্ধাত: না বাবা আমি ভুলি নি। আমি তোমাকে শুধু সত্যি টা দেখাচ্ছি। তুমি ওদের কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে কি সম্মান ফিরে পেয়েছো বাবা? পাও নি। তাহলে কেন এই জেদ? কেন বাবা কেন?

মমতা বেগম: হ্যাঁ গো অনেক তো হলো এবার জেদ ছেড়ে ওদের কে ফিরিয়ে নিয়ে এসো। আর পারছি না আমি।

আরিয়ান সাহেব: কিন্তু…

সিদ্ধাত: আর কোনো কিন্তু নয় বাবা। চলো আমর সবাই যাই মায়া মা আর চাচ্চু কে ফিরিয়ে আনি। আমরা সবাই গেলে কেউ না করতে পারবে না।

আরিয়ান সাহেব: বেশ। তোমারা যা বলবে।

আরিয়ান সাহেবের কথায় সিদ্ধাত ও মমতা বেগমের মুখে হাসি ফুটে উঠে। আনন্দে মমতা বেগমের চোখে জল আসে। অতঃপর সিদ্ধাত নিজের ঘরে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে ঈশা কে ফোন করছে। কিন্তু ঈশা সিদ্ধাতের ফোন ধরছে না।

☆☆ঈশা ফোন কেন ধরছে না? মায়া মা কি কিছু বলেছে? নাকি অন্য কোনো কারন?
আবারও ফোন দেই। কিন্তু ঈশা একবারও ফোন রিসিভ করছে না। সারা রাত নির্ঘুম কাটে আমার। ওর কন্ঠস্বর না শুনে যে আমার ঘুম হয় না সেটা তো মায়াবীবি বোঝে না। একটা সিগারেট ধরিয়ে নেই। এক এক করে পুরো এক প্যাকেট সিগারেট শেষ হয়ে যায় তবুও বুকের কষ্ট কমে না। আজকে একটু বেশি হয়ে গেছে। ঈশা এই ব্যাপার টা কিভাবে নিয়েছে কে জানে? নিজেকে কন্ট্রল করা উচিত ছিল। কিন্তু কিভাবে? এতো নেশা ওর মাঝে নিজেকে দূরে রাখা কষ্টকর। সকাল সরাসরি কথা বলে নেবো। আজ সারারাত যত টা কষ্ট পেয়েছি তার সবটা ফিরিয়ে দেবো কাল। বুঝবি ঈশা আমাকে ইগনোর করার ফল কত ভয়ংকর হতে পারে।

◆◆বরাবরের মত আজ আর আমার দেরি হয় নি। আসলে সারারাত ঘুমাই নি। কেমন যেন লাগছে। খুব অদ্ভুত একটা অনুভূতি। ভালোই ছিলাম একা একা, নিজের অনুভূতি নিজের মধ্যে ছিল কেন এভাবে সিদ্ধাত ভাইয়ার কাছে গেলাম। না গেলেই ভালো হত। সকালের নাস্তা করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে আর সামনেই সিদ্ধাত ভাইয়া। আমি উনাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে এসেছি। পিছনে ডাকতে ডাকতে আসছে।

সিদ্ধাত: ঈশা! ঈশা দাড়া। ঈশা প্লিজ দাড়া। ঈশা আমি ডাকছি। ঈশা!!

আমি একটা রিক্সা নিয়ে চলে এসেছি। সিদ্ধাত ভাইয়া বার বার ডাকছিল। আমি কথা বলি নি। খুব কষ্ট হচ্ছিল তবুও পিছনে ঘুরে তাকাই নি। কি করে দাঁড়াবো উনার সামনে? নিজের সুপ্ত ভালোবাসা উনার স্পর্শে জেগে উঠেছিল। উনার প্রতি এতো দুর্বল হয়েছি ছিহ! উনার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকব।

ক্লাস করছি কিন্তু ক্লাসে মনোযোগ নেই। নোভার সাত কথায় একটা উত্তর দিচ্ছি। কেমন যেন উদাস হয়ে আছি। কোনো কিছুই যেন ভালো লাগছে না। কোনো মতে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছি। আজ আর ক্যাম্পাসে আড্ডাতেও অংশ নিলাম না। নোভাকে রেখেই এসেছি। রাস্তায় একলা আনমনে হাটছি আর পিছনে সেই চেনা কন্ঠস্বর। যা শোনা মাত্রই আমার হাটার গতি বেড়ে গেলো। শুনতে পেলাম সে রাগী কন্ঠে বলে উঠলো,

-ঈশা তুই যদি না দাঁড়াস তো আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না বলে দিলাম।

কথা টা শুনেও যেন শুনলাম না। আমি আমার মত হাটছি। হটাৎই কেউ এসে আমার হাত ধরে উল্টো ঘুরিয়ে সজোরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দেয় আমার গালে। অতঃপর রাগী কন্ঠে ভেসে আসে,

– কথা কি কানে যায় না? কত বার বলছি দাঁড়াতে? কেন ইগনোর করছিস আমায়? কত বার ফোন করেছি কি হয়েছে তোর? সারাটা রাত ঘুমোতে পারি নি আমি। কেন ফোন ধরিস নি? আর এখনো সেই একি ভাবে ইগনোর করছিস। কেন ঈশা? আমাকে কি ছ্যাচড়া মনে হয় তোর, যে তোর পিছে পিছে ঘুরবো আর তুই আমাকে এভাবেই ইগনোর করে যাবি?

– তো ছ্যাচড়া না হলে ইগনোর করার পরেও পিছে পিছে ঘুরছো কেন?

-ঈশা!

– তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই। প্লিজ আমার সামনে আর এসো ন।

বলেই চলে এলাম। বুকের ভিতরে ধনুকের আঘাতের মত ব্যাথা অনুভব হলো। এমন ব্যাথায় আমি অভ্যস্ত নই। সোজা বাড়ি ফিরে এলাম। ফ্রেস হয়ে বেলকানিতে বসে আছি খুব উদাসীন হয়ে। হঠাৎই আম্মুর ডাক শুনে নিচে গেলাম। আর যাওয়া মাত্রই দেখি সিদ্ধাত ভাইয়া সাথে আরও একজন মহিলা, আর একটা লোক। কাউকেই চিনি না। আমি নিচে যেতেই মহিলা টা আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে বলে,

-ঈশা! আমাদের ঈশা। কি মিষ্টি দেখতে হয়েছে।

মায়া বেগম: ঈশা, ইনি তোমার খালামনি।
ঈশা: খালামনি?
মায়া বেগম: হ্যাঁ। ইনি তোমার খালামনি আর উনি (আরিয়ান সাহেব) তোমার চাচ্চু।
ঈশা: মানে? আমি কিছু বুঝতেছি না
মমতা বেগম : আমি বুঝিয়ে বলছি শোনো, আমি আর মায়া আমরা দুবোন। আমাদের আর কেউ নেই। আমাদের দুবোনের মত আরিয়ান আর আয়ান। আজ থেকে বাইশ বছর আগে মায়া মানে তোমার আম্মু আর আয়ান তোমার আব্বু ওরা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। ওরা ভালোবাসতো দুজন দুজনকে। কিন্তু সেটা আমরা কেউ জানতাম না। মায়া বা আয়ান কেউ কিছু বলেও নি। আমরা মায়ার বিয়ে ঠিক করি। আর বিয়ের দিন মায়া পালিয়ে যায় আয়ানের সাথে। বিয়ে করে এসে দাঁড়িয়েছিল আমাদের সামনে। কিন্তু তোমার বড় চাচ্চু মানে সিদ্ধাতের বাবা ওদেরকে মেনে নেয় নি। বের করে দেয় বাড়ি থেকে। বাইশটা বছর মায়া আর আয়ানকে ছাড়া আমরা কাটিয়েছি।

আরিয়ান সাহেব: ওরা যদি একটা বার বলতো তাহলে আমরা নিজে থেকেই ওদের বিয়ে দিতাম।

আয়ান সাহেব: কি করে বলতাম? বার বার বলেছো যেন কোনো প্রেম টেম না হয়। এসব এবাড়ি তে চলে না। আমাদের কি দোষ

মমতা বেগম: বলেই দেখতিস তোরা।

আরিয়ান সাহেব: আচ্ছা যা হয়েছে হয়েছে। এখন চলো সবাই। আমাদের বাড়ি টা পরিপূর্ণ হবে তোমাদের আগমনে

সবাই হেসে রওনা দিলো। আর সিদ্ধাত ভাইয়া আমার দিকে যেভাবে তাকাচ্ছি তাতে বুঝতে বাকি নেই ওবাড়ি যেতেই আমার অবস্থা কি হতে পারে। তবে এতোক্ষনে যা বুঝলাম সিদ্ধাত ভাইয়া আমার চাচাতো ভাই আবার অন্য দিকে খালাতো ভাই। সিদ্ধাত ভাইয়া ড্রাইভ করছে পাশের সিটে আমি। আর পিছনে আম্মু, আব্বু, খালামনি, বড় চাচ্চু সবাই। সবাই খুব খুশি সেটা বুঝতে পারছি। কি জানি ও বাড়িতে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে। সিদ্ধাত ভাইয়ার ভালোবাসা নাকি অবহেলা? না না সিদ্ধাত ভাইয়া তো অন্য কাউ কে ভালোবাসে। আব্বু আম্মুর মত কি আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে? নাকি এক বুক শূন্যতা নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে হবে?

চলবে?