পূর্ণতা নাকি শূন্যতা ২ পর্ব-০৬

0
268

#পূর্ণতা_নাকি_শূন্যতা
#সিজন_২
#রেজওয়ানা_রমা
#পর্ব_০৬

বড় চাচ্চু: যাক অবশেষে স্বীকার তো করলে হাহাহা
খালামনি: সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল তো বাকাতেই হবে।

বড় চাচ্চু আর খালামনির কথায় আব্বু আম্মু মুখ চেপে হাসছে। সাথে সেই পাত্রপক্ষও। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। সিদ্ধাত ভাইয়া ও ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। অতঃপর সিদ্ধাত ভাইয়া বলে,

– মানে কি বলতে চাইছো তোমরা?
বড় চাচ্চু: এই নাটক টা না হলে তো তোমাদের মনের কথা বের করাই যেত না।
সিদ্ধাত ভাইয়া: মানে? তোমরা নাটক করছিলে এতক্ষন?
আব্বু: তা ছাড়া আর কি করবো। আমার মেয়েটাকে কেউ গোপনে ভালোবেসে কষ্ট পাবে আর আমরা সেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো?
সিদ্ধাত: ওহ নো। তোমারা নাটক করছিলে? আর আমি তো সত্যি ভেবেছি।
আম্মু: তুই কি ভেবেছিস আমরা কিছু বুঝি না? ডুবে ডুবে পানি খাবি আর আমরা বুঝতেও পারবো না? আমি তো সেদিনই বুঝেছি। তাই তো এই প্লানটা করে তোর মনের কথা বের করলাম
সিদ্ধাত: ওহ মায়া মা। লাভ ইউ সো মাচ!
আম্মু: হয়েছে হয়েছে। তোমার দুজন দুজনকে ভালোবাসো সেটা আগেই বুঝেছি আমরা সবাই

আম্মুর কথায় আমি সিদ্ধাত ভাইয়ার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম। অতঃপর বললাম,

– না আম্মু। তোমারা ভুল জানো। আমি সিদ্ধাত ভাইয়াকে ভালোবাসি না। একটুও ভালোবাসি না।

বলেই দৌড়ে ওপরে চলে গেলাম। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম। শালা খাটাস আমাকে ভালোবাসে আবার আমাকেই কষ্ট দেয়। এতোই যখন ভালোবাসো তখন এতো কষ্ট দাও কেন। আমি কথা বলবো না ওই রাক্ষসের সাথে। ভালোবাসো তাই না? এতো দিন না বলে খালি খালি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমিও এতো তারাতারি বলবো না যে আমি তোমাকে ভালোবাসি। হুহ! এরই মধ্যে রাক্ষস রাজা এসে হাজির। দরজা নক করছে। খুলবো না দরজা।

– ঈশা! ঈশা দরজা খোল
– কি জন্য এসেছো?
– দরজা খোল দরকার আছে
– আবার কি চাই?
– ভালোবাসা চাই দরজা খোলা
– আমি ভালোবাসার দোকান খুলে বসে আছি যে ভালোবাসা চাইলেই ভালোবাসা দিয়ে দেবো
– বড্ড বেশি কথা বলিস। এমনিতেই কিন্তু রেগে আছি তোর ওপর। আর রাগাস না
– ভালো করেছো রেগে আছো। আরও রাগো আমার কি
– দরজা খুলবি নাকি?

আমি উঠে দরজা খুলে দিতেই খাটাসটা রুমে চলে আসে আর দরজা টা লাগিয়ে দিয়েই আমাকে এক ধাক্কায় দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। চোখের পলকে এভাবে ফাদে পড়ে যাবো বুঝতে পারি নি। সব কিছু এতো তারাতারি হলো যে নিজেকে বাচাতেও পারলাম না। রাক্ষস টা অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে আমার ওপর। মুখে কোনো কথা বলছে না। ব্রত করেছে মনে হয় চুপ থাকার। রাগে চোখ গুলো লাল রসগোল্লা হয়ে আছে। আর সেই চোখ রেখেছে আমার চোখে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার চোখের দিকে। আমি বার বার ঢোক গিলছি আর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। তখন রাক্ষসটা তার ব্রত ভেঙে বলে,

– অযথা প্রচেষ্টা কেন করছিস? তুই নিজেও জানিস তুই এখান থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারবি না।
– পারি আর না পারি চেষ্টা করতে অসুবিধা কিসে?
– ওকে তুই চেষ্টাই কর।

বলেই আরও শক্ত করে চেপে ধরে এগিয়ে আসে আমার দিকে।

– আউউচ
– কি হলো?
– লাগছে তো। মেরে ফেলবা নাকি?
– এটুকুতেই লাগছে? তুই জানিস তুই আমাকে কত টা আঘাত করেছিস?
– কই আঘাত করেছি? আমি কি তোমাকে এভাবে চেপে ধরি? হাতে ব্যাথা দেই?
– হুহ! এই আঘাতের চেয়েও আরও গভীর সে আঘাত। যা তোকে দেখাতে পারবো না। তিন দিন ঈশা! তিন দিন! এই তিন দিন আমাকে শেষ করে দিয়েছিস তুই। এর প্রতিশোধ নেবো না ভাবছিস?
– আ-আমি কি-কি করেছি?
– কি করেছিস বুঝতে পারছিস না?
– ন-না
– আমাকে ইগনোর করার কারণ কি? কত বার কথা বলে চেয়েছি কেন পালিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছিস? কেন এভোয়েড করেছিস আমাকে? কি করেছি আমি?
– কি করেছো জানো না তুমি?
– ঈশা ওটা…! ওটা তো ভুল বসত হয়ে গেছে। কন্ট্রোল করতে পারি নি। তার জন্য সরি ও বলেছি আমি
– সব কিছু সরি দিয়ে ঠিক করা যায় না সিদ্ধাত ভাইয়া।
– তাহলে এখন আমাকে কি করতে বলছিস? দূরে থাকবো তোর কাছ থেকে? সেটা আমি কখনো পারবো না। পারলে আরও কাছে আসবো

বলেই সিদ্ধাত ভাইয়া আমার আরও কাছে চলে আসে। এতো কাছে যে সিদ্ধাত ভাইয়ার গরম নিশ্বাস অনুভব করতে পারছি। হার্ট বিট এতো বেশি বেড়েছে যে সিদ্ধাত ভাইয়াও তা বুঝতে পারছে। আর বুঝতে পেরে তখন বলে,

– এতো নার্ভস কেন?
– কো-কই
-হার্ট বিট এতো ফাস্ট?
– তু-তুমি সরে যাও প্লিজ
– কেন?
-আমি বলছি তাই। আর তুমি আমার কাছে আসবে না। আমার একদম ভালো লাগে না
– কিহ! আমার স্পর্শ তোর ভালো লাগে না!
– না। একটুও ভালো লাগে না।
– কেন? তুই আমাকে ভালোবাসিস না?
– না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না।

আমার এমন কথায় সিদ্ধাত ভাইয়ার চোখ মুহূর্তেই লালবর্ণ ধারন করে। রাগে ফুসতে থাকে। চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার সাহস আর হচ্ছে না। তাই চোখে খিচ ধরে বন্ধ করে নেই। এই লোকটার রাগ উঠতে আর রাগ নামতে সময় লাগে না। মুহূর্তেই রেগে যায় আবার মুহূর্তেই রাগ কমে যায়। এখান থেকে পাঁচ মিনিট আগেও রেগেছিল আবার দু মিনিট আগে রাগ ছিল না, এখন আবার রেগে গেছে। উফফ এতো তারাতারি তো আলোও চলাচল করে না যতটা তারাতারি বাদরটার রাগ উঠা নামা করে। এরই মধ্যে আমি শূন্যে ভাসছি। বুঝলাম আমি কেন শূন্যে ভাসছি। তবুও চোখ খুলে দেখার সাহস হলো না। চোখ খুললাম তখনই যখম আমাকে বালুর বস্তার মত বিছানার ওপর ছুড়ে ফেলে দিলো।

– আউউউউ। রেগে আছো ভালো কথা তাই বলে সেই রাগ আমার ওপর দেখাবে?
– রাগের কারন যে, রাগ তো তাকেই দেখতে হবে
– মানে কি তোমার রাগের কারন আমি?
– না, আমার বউ
– একদম আমাকে বউ বউ বলবে না
– তোকে বউ কখন বললাম
– তাহলে কাকে বললে?
– আমার বউ কে বললাম
– তো এখান তো আর কেউ নেই আমি ছাড়া
– তাহলে তোকেই বললাম

কথা টা বলে সিদ্ধাত ভাইয়া আমার ওপর শুয়ে পড়ে। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেবো তার আগেই আমার দুহাত একসাথে চেপে ধরে এক হাত দিয়ে বিছানার সাথে। গলাকাটা মুরগির মত ছটফট করছি। অপর হাত দিয়ে আমার চুল কপালের ওপর থেকে সরিয়ে সব গুলো চুল আলতো হাতে মুষ্টি করে আমার গলার মুখ ডুবিয়ে দেয়। মুহূর্তেই আমি শান্ত হয়ে যাই। গভীর ভাবে কিস করছে বার বার। আর প্রতিবার তার স্পর্শে কেপে কেপে উঠছি। স্পর্শ গুলো আরও গভীর হতে লাগলো। আমি কথা বলার ভাষা হারিয়েছি। নড়াচড়া করা শক্তি হারিয়েছি। অতঃপর বেশ কিছুক্ষন পর মুখ তুলে ডেভিল মার্কা হাসি দেয় রাক্ষসটা। আমি পিটপিট করে চোখ খুলতেই বলে,

– আমার রাগ কমানোর জন্য এর চেয়ে ভালো মেডিসিন আর হয় না

সিদ্ধাত ভাইয়ার এমন কথায় বেশ লজ্জা পেলাম। মুখে আচমকা হাসি ফুটে উঠেছে। আর তা দেখা মাত্র সিদ্ধাত ভাইয়া বলে,

– ভালো নাকি বাসিস না?
– বাসি না ই তো
– তাহলে আমি যে তোর এতো কাছে আসি, এইভাবে.. এতো কিছু করি তুই কিছু বলিস না কেন?
– বলার সুযোগ দাও নাকি। তার আগেই তো মুখের ভিতর তোমার দূর্গন্ধময় মুখ ডুবিয়ে দাও
– কিহ!!
– না কিছু না। রাগ তো কমেছে এখন যাও।
– তিন দিনের টা পুষিয়ে দে
– কি দেবো?
– অনেক কিছুই দেওয়ার আছে কোন টা দিবি নিজেই ভাব
– সিদ্ধাত ভাইয়া খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু
– হাহাহা। আমার সময় মত আমি পুষিয়ে নেবো। টাটা

বলেই আমার ওপর থেকে উঠে পড়ে। আমিও উঠে বসতেই আবারও আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে ঠোঁটে দখল করে নেই। ঝড়ের গতিতে এমন হওয়ার বোকে বনে চলে গেলাম। নিজেকে ছাড়ানো জন্য হুদাই চেষ্টা করছি। সিদ্ধাত ভাইয়ার চুল গুলো টেনে ছিড়ে ফেলার উপক্রম। ঘাড়ে খামচি দিচ্ছি তবুও ছাড়ছে না। বরং আমি খামচি দিতেই আমার ঠোঁটে একটা কামড় বসিয়ে দেয় অতঃপর উঠে পড়ে। আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম উঠে বসে চিল্লাচিল্লি করে বললাম,

– খবিশের বাচ্চা। গায়ে কি মরা গরু খাওয়ার শক্তি? কি করলি এটা? কামড় দেওয়ার জন্য আমার ঠোঁটটাই পেলি?

– দুইদিনের টা পুষিয়ে নিলাম। বাকি আছে আর একদিন। সেটাও নিয়ে নেবো।

বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আমি বিছানায় বসে বসে ন্যাকা কান্না শুরু করে দিলাম আর সিদ্ধাত ভাইয়ার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করতে লাগলাম।

রাতের খাবার খেয়ে দৌড়ে রুমে আসি। আবার সকালে নাস্তা করতে যাই লুকিয়ে লুকিয়ে। দুপুরেরটা শান্তি মত করতে পারি। কারণ ওই সময় দৈত্যটা বাড়ি থাকে না। আজ ভার্সিটিতেও যাই নি ভয়ে। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি সর্বক্ষন।

রাতে ঘুমাচ্ছি হঠাৎ অনুভব করলাম করলাম বিছানাটা ভেজা ভেজা লাগছে। এই রে মান সম্মান খাইলাম নাকি। লাফিয়ে উঠে বসি। দেখি সত্যি সত্যি বিছানা ভেজা। হায় আল্লাহ। বিছানা থেকে নেমে দাঁড়িতেই কেউ একজন বলে,

– এ কি করলি তুই? এতো বড় মেয়ে হয়েও বিছানায় ছিঃ ছিঃ
– সিদ্ধাত ভাইয়া! আমি এসব কিছু করি নি
– তাহলে বিছানা কিভাবে ভিজলো?
– বৃষ্টি হয়েছে মনে হয়
– বৃষ্টির পানি এখানে কিভাবে আসে?
– জানি না যাও তো।
– সবাই কে বলে দেবো আমি

বলেই উল্টা হাটা শুরু করে। আর ওমনেই আমি হাত ধরে বলি,

– এই না না। প্লিজ কাওকে কিছু বলো না। প্লিজ প্লিজ
– বলবো। সবাইকে সব বলবো। তুই বিছানার হি….
– নাআআআআ। আমি কিছু করি নি
– দেখলাম তো
– প্লিজ কাউকে কিছু বলো না। তুমি এখন থেকে যা বলবে আমি সব শুনবো
– উমম! ভেবে দেখি
– প্লিজ। আমি সত্যি তোমার সব কথা শুনবো। পাক্কা প্রমিজ
– সিউর?
– একদম।
– ওকে।
– এই তো আমার ভালো ভাইয়া
– ঠিক আছে তাহলে দে এবার।

গাল এগিয়ে দিয়ে বলে। আমি ভ্রুকুচকে তাকিয়ে আছি।

– কি দেবো?
– এখানে কি দিতে হয়

আমি ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলাম। আর সিদ্ধাত ভাইয়া গালে হাত দিয়ে বলে,

– এটা কি হলো?
– তুমিই তো দিতে বললে
– আমি কি থাপ্পড় মারতে বলেছি?
– তাহলে?
– ঈশা!
– কি হয়েছে?
– আমি সবাই কে বলে দেবো
– এই না না। দাও দাও এবার দিচ্ছি

সিদ্ধাত ভাইয়া আবারও গাল এগিয়ে দিয়েই জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিলাম। সিদ্ধাত ভাইয়া ধমকে বলে,

– ঈশা!

আমি সিদ্ধাত ভাইয়ার ধমকে দু পা পিছিয়ে যাই। সিদ্ধাত ভাইয়া চার পা এগিয়ে এসে বলে,

– এখন থেকে আমার সব কথা না শুনলে সবাই কে বলে দেবো তুই বিছানায়…
– আমি তো বললাম সব কথা শুনবো
-কই শুনছিস না তো।
– আচ্ছা ঠিক আছে দাও।

বলেই পা উচু করে সিদ্ধাত ভাইয়ার নাগাল পেলাম। গাল ধরে কিসি দিলাম।

– নাও হয়েছে?
– শুকনো লাগছে

এবার আমি মুখের থুতু নিয়ে সিদ্ধাত ভাইয়ার গালে লাগিয়ে দিয়ে বললাম

– এবার ভেজা লাগছে?
– ঈশা!
– তুমি এখন রুম থেকে যাও নয়তো আমি বের হয়ে যাবো।
– আমি কিন্তু সবাই কে বলে দেবো
– আচ্ছা ঠিক আছে তোমাকে যেতে হবে না।

অতঃপর সারা রাত দুজন তর্কাতর্কি করে পার করলাম। কিন্তু সকাল থেকে শুরু হলো আমার অত্যাচার। সকালে নাস্তার টেবিলে সিদ্ধাত ভাইয়া বলে,

– ঈশা আমাকে এক কাপ চা দে তো
– আমি? আমি কোনো দিন চা বানিয়েছি নাকি
-এখন বানাবি।
– পারবো না
– সবাইকে কি বলবো?
– না যাইতেছি তো। হুদাই চিল্লায়

☆☆ঈশা কিচেনে চলে যায়। বাড়ির সবাই ওকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে। প্লানটা ভালোই। আসলে কাল রাতে ওর বিছানায় আমিই পানি ফেলেছি। আর ও ভাবছে যে ও বিছানায়….হাহা। এই সুযোগে ওকে ইচ্ছা মত নাচানো যাবে। ভালোবাসিস না তাই না? তোর মুখ দিয়েই বলাবো যে তুই আমাকেই ভালোবাসিস। এইবার আর আমি তোর কাছে যাবো না তুই আসবি বার বার আমার কাছে।

◆◆শালা খাটাস এভাবে আমাকে দিয়ে কাজ করাবে জীবনে ভাবি নাই। মনে মনে বকতে বকতে কিচেনে চলে গেলাম। চা বানিয়ে নিয়ে যাবো তখনই সয়তানি বুদ্ধি উকি দিলো। চায়ের মধ্যে আট থেকে দশ চামচ লবন মিশিয়ে দিয়ে দিলাম। রাক্ষস চা খাবি না? আমার হাতের চা? খাওয়াচ্ছি তোরে চা। সামনে গিয়ে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিয়ে বললাম,

– এই নাও তোমার চা
– আগে তুই খা
-মা-মানে?
– মানে আগে তুই খা। তারপর আমি খাবো।
– আমি কেন খাবো তোমার জন্য এনেছি
– তো আমি কি একা খাবো নাকি? ভালোবাসি তোকে আমি। তোকে রেখে একা খেতে পারি?

বলেই রাক্ষস টা চায়ের কাপ নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। জোর করে মুখে দিতেই আমি দৌড়ে পালিয়ে গেলাম।

চলবে?