#পূর্ণতা❤️
#লেখনীতে-#তানজিলা_তাবাচ্ছুম ❤️
৯.
হাউমাউ করে কাঁদতে লাগে তারা।তার মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে।যেনো তার ভিতরে কেউ জোরে জোরে আঘাত করছে।কাল রাতে কতকিছুই না ভেবেছিল সে কিন্তু এক রাতে সব যেনো শেষ হয়ে গেলো।তারা আর পারলো না জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করলো।তার কান্নার শব্দ শুনে আলোক তাড়াতাড়ি করে ভিতরে এলো। দেখছে তারা জোরে জোরে কেঁদেই চলছে। আলোক বুঝতে পারছে না তারা কেন কাঁদছে। আলোক ভাবল হয়তো তার আর ক্ষত স্থানে পেইন হচ্ছে, আর তাই সে কাঁদছে। এদিকে তারার কান্নার বেগ বেড়েই চলছে। তারা চোখ উঁচু করে আলোকের দিকে তাকিয়ে কেঁদেই চলেছে। তার এমন অবস্থায় আলোক ঘাবড়ে গিয়ে বলল,
‘আপ__আপনার__আপনার কি খুব পেইন হচ্ছে?’
তারা কোনো উত্তর দিলো না।শুধুই কেঁদেই চলছে।
‘একটু অপেক্ষা করুন আমি ডক্টরকে ডাকছি।’
তারপর ফোন বের করে কাউকে কল দিলো আলোক।
‘হ্যালো আসলামলাইকুম ।’
ওপাশ থেকে হয়তো সালামের উত্তর দিল।
‘নিরব!ইরা আজকে ফ্রি আছে না?’
‘__________
‘ইরাকে নিয়ে একটু আসতে পারবি এখন?খুব আর্জেন্ট!’
‘______________
‘আচ্ছা।’
বলে ফোনটা রেখে দিলো আলোক।তারপর তারার কাছে গিয়ে বলল,
‘আপনার কি খুব পেইন হচ্ছে? কিছুক্ষণ সহ্য করুক ডক্টর আসছে।’
তারার মুখে কোনো কথাই নেই।সে যেনো বাকবিরুদ্ধ হয়ে গেছে।আর চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরেই যাচ্ছে।তারা আলোকের দিকে চেয়ে আছে। তারা এইসব কিছুই বিশ্বাস করতে পারছে না।আলোক তারার পায়ের দিকে দেখলো ,যে রক্ত পড়ছে।আলোক আবার নতুন ব্যান্ডেজ করিয়ে দিলো।তারা শুধু দেখেই যাচ্ছে।তার মুখে কোনো কথা নেই।তারা পাথরের মত হয়ে আছে ।কোনো নড়াচড়া নেই ,কোনো কথা নেই শুধু চোখ বয়ে পানি পড়ছে। অনেকক্ষণ পর আলোকের ফোনে একটা কল আসলো আলোক কলটা রিসিভ করার পর কথা বলতে বলতে বাহিরের দিকে পা বাড়ালো। একটু থেমে পিছন ফিরে তারাকে বলল,
‘ডক্টর এসেছে।আপনি নিজেকে ঠিক করুন।’
বলে চলে গেলো আলোক।তারা তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।তারা গাঁয়ে মাথায় ওরনা টাকে ভালো মতন জড়ালো। কিন্তু তার কান্নার বেগ কিছুতেই থামছে না।তারা নিজেও পারছে না। অটোমেটিক তার চোখ থেকে খালি পানি পড়ছে।তারা কাঁদতে কাঁদতে বলতে শুরু করে,’এত জঘন্য অপরাধ করতে পারলেন কিভাবে আপনি? ছিঃ আলোক! ছিঃ। আসলে আমিই ভুল ছিলাম।’ বলে থামলো তারপর জোরে কেঁদে আবার বলা শুরু করলো,’আপনার মত কিছু মানুষ বদলায় না।আমি ভুল ভেবেছিলাম। নিশ্চয়ই আপনি আগেও অনেক জঘন্য অপরাধ করেছেন।’ থামলো তারা।দরজায় শব্দ হওয়াতে তাকিয়ে দেখে আলোকের সাথে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে।সবাই ভিতরে ঢুকলো।তার মধ্যে মেয়েটা তারার কাছে এসে তাকে সালাম দিয়ে বলল,
‘ওহ এত কাঁদছো।আই থিংক খুব পেইন হচ্ছে তোমার তাই না?’
তারা কোনো উত্তর দিলো না।
মেয়েটার হাতে একটা ব্যাগ ।মেয়েটা ব্যাগ থেকে কিছু বের করছে আর তারা কে বলছে,
‘তোমাকে ‘তুমি’ করে বলছি কিছু মনে করো না আবার। আসলে তোমাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে তুমি আমার ছোট।’
তারা কোনো কথা বলল না। মেয়েটা তার আর পায়ে ব্যান্ডেজ খুলতে লাগলো।তারপর হঠাৎ পিছনে ঘুরে বললো,
‘নিরব আর আলোক ভাইয়া আপনারা দুজন বাহিরে গেলে ভালো হয় ।’
কথাটা শুনে নীরব আলোকের কাঁধে হাত রেখে বলল,
‘দোস্ত চল । অনেকদিন পর একসাথে একটু আড্ডা দেই।’
আলোক হালকা হেসে তারপর চলে গেল। নীরব আর আলোক ছাদে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুজনেই নিশ্চুপ। এই নিশ্চুপতা কাটিয়ে নিরব বলে উঠলো,
‘তারাকে খানিকটা ওর মতন লাগে দেখতে।’
আলোক কিছু না বলে হালকা হাসলো।
‘বিশেষ করে ওর চোখ দুটো আর চোখের নিচে তিল পুরোই মিলে গেছে।’
আলোক নিরবের দিকে তাকালো তারপর সামনের রেলিং ধরল । নিরব আলোকের কাঁধে হাত রেখে বলল,
‘তুই বিশ্বাস করবি না আমি প্রথমে তারা কে দেখে ‘থ’ মেরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম ও এসে গেছে।’
আলোকের মুখে কোন কথাই নেই। সে শুধু সামনে তাকিয়ে দেখছে আর মাঝেমধ্যে একটু হাসছে।
‘আলোক।’
নিরব খুব গভীরতার সাথে ডাকলো আলোককে।আলোক ছোটো করে ‘হুমমম’ বললো। তারপর নিরব সিরিয়াল মুডে বলতে শুরু করল,
‘ওকে কি সব বলেছিস?’
আলোক কোনো কথা বলল না।নিরব আলোককে ডাকলো,
‘আলোককক!’
আলোক ফিরে তাকালো।নিরব আবার বলল,
‘ওকে কিছু বলিস নি?’
আলোক স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দেয়,
‘জানি নাহ।’
নিরব এগিয়ে রেলিং ধরে বলল,
‘জানিস না মানে?’
নিরবের দৃষ্টি নিচে গেল আর সে নিচে তাকিয়েই বলল,
‘আচ্ছা ওখানে কী হয়েছে? এত মানুষ এর ভিড়। আসার সময় ওখানে পুলিশ কেও দেখলাম। ব্যাপার কি?’
আলোক নিরবের দিকে তাকালো তারপর বলতে শুরু করলো।
_________
‘বের হয়ে গেছে। শুধু আজকে একটু ব্যাথা করবে তারপর ঠিক হয়ে যাবে।’
তারা অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে।
‘এইযে__এই কাঁচ টুকু পায়ের ভিতর ছিল তাই তোমার পেইন হচ্ছিল। কিন্তু বের করে দিয়েছি এখন ঠিক হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ্।’
তারা একটু হাসার চেষ্টা করলো।
‘আচ্ছা তোমার নাম তো জানাই হলো না!আমি ইরা । তুমি?’
তারা জোরপূর্বক হেসে বলল,
‘জ্বি তারা আমার নাম।’
ইরা উল্লাসী কন্ঠে বলে উঠলো,
‘ওয়াও কি সুন্দর নাম।’
তারা একটু হাসলো।
‘আলোক ভাইয়া তোমাকে খুব ভালোবাসে তাইনা?’
হঠাৎ করে এমন কথা শুনে তারা একটু হকচকিয়ে গেল।ইরার কথাটা তারার বুকে গিয়ে আঘাত করলো।তার চোখ বয়ে পানি আসছে।তারা ভাবছে যদি সত্যি এমন টা হতো।তারার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু ইরার সামনে পারছে না।ইরা তারাকে ঝাঁকিয়ে বললো,
‘এই কোন ভাবনায় ডুবে গেলে?তারা?’
তারা হুস ফিরলো সে ইরার দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে বললো,
‘হা?’
ইরা হাসলো।ইরা ভাবলো তার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তারা।
‘জানতাম ই।কারন আলোক ভাইয়া এত সকালে যেভাবে কল করে আসতে বলেছিল আমি তো পুরো ভয় পেয়ে গেছিলাম।’
তারা ছলছলে চোখে ইরার দিকে তাকালো।
‘আচ্ছা এখন উঠি।আমার মেয়ে দুটা বাসায় একাই আছে।’
তারা ভেবে পাচ্ছে না ইরাকে কি বলবে!তারা তাড়াতাড়ি করে বলে উঠলো,
‘এভাবে এসে যাবেন। কিছু খেয়ে____
‘আরে না না আজকে না।পরে একদিন ইন শা আল্লাহ্।’
কিন্তু তবুও তারার কেমন লাগছে এভাবে এসে চলে যাবে ?ইরা উঠতে যাবে তারা ইরার হাত ধরার চেষ্টা করে কিন্তু ধরতে গিয়ে নিজেই হাতে ব্যাথা পায়,
‘আউ__আউচ___
‘তুমি ঠিক আছো?’
তারা বিছানায় বসে পড়লো।ইরা তারার ব্যথা পাওয়া দেখে বলল,
‘হাতেও লেগেছে?’
‘জ্বি বেশি না ।’
‘তাতে কি ?’
তারপর ব্যাগ থেকে একটা এন্টি বায়োটিক বের করে বলে ,
‘দেখি হাত দেও দিয়ে দেই।’
‘না আমি নিজে দিতে পারবো।’
ইরা হেসে বলল,
‘আচ্ছা ঠিক আছে দিয়ে দিও। নাহলে বলা যায় না ইনফেকশন হতে পারে।’
তারা হাসি মুখে মাথা নাড়ালো।তারার হাতের কনুই তে বেশি লেখেছে তার কারনে হাত একটু নড়াচড়া করলে ব্যথা অনুভব করে।ইরা দরজা খুলে বের হলো।আলোক আর নিরব ছাঁদ থেকে নিচেই আসছিল তখন ইরার সাথে দেখা হলো।আলোক ইরাকে দেখে প্রশ্ন ছুড়লো,
‘উনি__উনি ঠিক_ঠিক আছে?
ইরা হেসে বলল,
‘হ্যা ।আসলে কাঁচের অল্প একটা টুকরো ঢুকে ছিল যার জন্য ওর পেইন হচ্ছিল।’
আলোক শুনে নিচের ঠোঁট টা কে কামড়ে ধরলো।
‘চিন্তার কিছু নেই ভাইয়া ঠিক হয়ে যাবে।আর হ্যা এখন আপনি ওর কাছে যান,ওর আপনাকে প্রয়োজন।'[মুচকি হেসে]
আলোক কথাটা শুনে খানিকটা লজ্জা পেল।ইরা বুঝতে পেরে বলল,
‘না মানে ওকে এন্টিবায়োটিক দিয়েছি সেটা দিতে সাহায্য লাগবে। আপনি গিয়ে হেল্প করেন।’
আলোক মাথা তুলে তাকিয়ে ‘আচ্ছা’ বলে গেলো।আলোক গিয়ে দেখে তারা বাম হাত দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।আলোক তারার কাছে গিয়ে বলল,
‘দিন আমি দিয়ে দিচ্ছি।’
হঠাৎ আলোকের কন্ঠ শুনে তারা চেয়ে তাকায়।আলোক তারার হাত থেকে নিয়ে নেয়।তারা শুধু আলোকের দিকেই তাকিয়ে আছে। আশেপাশে কি হচ্ছে তারার সে দিকে কোনো খেয়াল নেই।তার মনোযোগ শুধু আলোকের দিকে।তারার আলোকের এই কাজ কর্ম গুলো তাকে আলোকের প্রতি দুর্বল করছে।তারা নিজেও বুঝতে পারছে না কেনো আলোকের প্রতি এইরকম হয় তার।আলোক লাগাতে যাবে তখন তারার ধ্যান ভেঙ্গে যায়।সে আলোকের থেকে নিয়ে বলে ,
‘থাক লাগবে না আমি লাগিয়ে নিতে পারবো।’
‘আপনি একাই দিতে গেলে সমস্যা হবে।তাই আমি লাগিয়ে দেই।’
বলে আলোক তারার হাত থেকে নিল।তারার চোখে পানি চলে এসেছে। ইচ্ছে করছে আলোককে জরিয়ে ধরে জোরে জোরে কাঁদতে যে,সে কেনো এমন করলো?যদি সব ঠিক থাকতো তাহলে তারা আজ আলোককে নিজের অনুভূতি কথা ,আর বাকি সব কথা বলতো। কিন্তু সব শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেলো।তারা মনে মনে বলতে শুরু করে,’ইস আপনি আসলেই যদি এমন হতেন আলোক তাহলে কতো ভালো হতো। কিন্তু আপনি তো মানুষ রূপি একটা পশু। জানি না অতীতে কি করেছেন। কিন্তু বর্তমানে আপনি একজন খুনি,একজন ধর্ষক । ছিঃ ভাবতে ঘৃণা হয় যে আপনার মত একটা জঘন্য লোককে আমি ভালোবেসে ফেললাম কিভাবে?’ তারা নিজের চোখের পানি মুছে আলোককে বলল,
‘বললাম না লাগবে না।’
‘আপনি পারবেন না ____
তারা রাগান্বিত কন্ঠে বলল,
‘পারবো আমি । আপনি যান এখান থেকে।’
আলোক আবার নিয়ে বলবে,
‘পার______
তারা উঠে আলোককে ধাক্কা দিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,
‘দূরে সরুন আমার থেকে। আপনি বোঝেন না আমি আপনার কাছে থাকতে চাই না।ছেড়ে দিন আমাকে।আমি থাকতে চাই না আপনার মত লোকের সাথে।ডির্ভোস দিয়ে ছেড়ে দিন আমাকে প্লিজ।আর এইসব দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।বুঝেছেন?’
বলে তারা কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লো বিছানায়।আলোক কিছু বলল না। হঠাৎ দরজার দিকে চোখ যেতেই দেখলো নিরব দাঁড়িয়ে আছে।নিরব দুটো ঠোঁট কে চেপে ধরে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আলোক তাকাতেই নিরব চোখ নামিয়ে বলে,
‘আসলে_ব__বলতে এসেছিলাম আমরা যাচ্ছি।পরে একদিন আসবো।’
নিরবের কন্ঠ শুনে তারা চোখমুখ মুছে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো।আলোক নিরবের কাছে গেল তারপর ওরা দুজন বাহিরে গেলো।বাহিরে যেতে ই তারা চিৎকার করে কাদতে শুরু করলো।
____________
রাত ১ টার মতন বাজে কিন্তু আজ তারা চোখে ঘুম নেই। শুধু অনাবৃত পানি ঝরেই যাচ্ছে।তারা ভাবছে আলোকের থেকে বিচ্ছেদ হলে কোথায় যাবে?বিয়ের পর আলোকের স্বভাব আচরন দেখে তারার ভালো লেগেছিল। শেষমেষ তারা ভেবেছিল সে আলোকের সাথেই থাকবে কিন্তু তা তার হলো না। আলোককে যখন একজন খুনি ভেবেছিল তখন তারার খুব কষ্ট হয়েছিল কিন্তু আজ তার থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে আলোককে একজন ধর্ষক ভাবতে।যাই হোক না কোনো তারা একজন ধর্ষকের সাথে কিছুতেই থাকবে না।মানুষকে খুন করা জঘন্য অপরাধ তার থেকে জঘন্য অপরাধ রেপ।এইসব ভাবতে তারার চোখ থেকে পানি ঝরছে।তারা বিছানার চাদর আকড়ে ধরে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছে। হঠাৎ দরজায় শব্দ হলো।তারা মুখ উঁচু করে তাকালো । লেখনীতে তানজিলা তাবাচ্ছুম।দেখলো দরজা টা নড়ছে যেনো কেউ বাহিরে গেল।ব্যালকনির দিকে তাকালো দেখলো ওখান কার দরজাটাও খোলা।তার মানে আলোক বাহিরে গিয়েছে।তারা কষ্ট করে উঠলো।পায়ে চাপ দিতে নিষেধ করেছিল ইরা কিন্তু তবুও তারা উঠলো কারন দেখতে হবে আলোক আজকে এত রাতে আবার কোথায় গেলো।তারা উঠে বাহিরে গেলো।দেখলো এপাশের তিনটি রুমের ওইদিক আলোক।আর ওই দিন তারা যেই ঘর টাতে ঢুকেছিল আলোক ও সেই ঘরটাতে ঢুকলো। কিন্তু আশা যে তারাকে বলেছিল এই ঘর বন্ধ থাকে তাহলে আলোক ঢুকলো কিভাবে?চাবি তো সব আশা নিয়ে গেছে। প্রত্যেক টা রুমেই তালা দেওয়া ।আশা নিজের থাকা ঘরটাতেও তালা দিয়েছে।তারা ওই ঘর দিকে এগলো।দেখলো ভিতর থেকে লাগা।তারা ভাবছে আলোক এই ভূতুড়ে ঘর টাতে কেনো ঢুকলো?আর এই ঘর তো তালা বদ্ধ ছিল তাহলে?তারা লক্ষ্য করলো ভিতর থেকে কিছু আওয়াজ আসছে।তারা দরজায় কান লাগালো।কারো কান্নার আওয়াজ পাচ্ছে সে।তারার ভয় ও করছে আবার অবাক ও হচ্ছে!এত রাতে কে কাঁদছে?আর কেনোই বা কাঁদছে? আলোক কাঁদছে ওখানে? কিন্তু কেনো? তারার মাথা ঘুরছে।আলোক এখানে ঢুকেছে আর কান্নার আওয়াজ আসছে কেনো?কে কাঁদছে?কি হচ্ছে?
_________
#চলবে….