#প্রিয়_হতে_প্রিয়তর
#পর্বঃ০১
#লেখিকাঃতাসনিম
পাঁচ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছে ফারাহ এক ঘন্টা ধরে, গাড়ি আসার কোনো নাম নেই,কিছু স্মৃতি ভুলতে গিয়েছিল আর নতুন কিছু স্মৃতি সাথে করে নিয়ে এসেছে,কোনো স্মৃতিকেই সে খারাপ বলে না,মানুষের জীবনে সুখ দুঃখ তো একে-অপরের পরিপূরক,যা হয় তা ভালো ভেবে মেনে নিতেই শিখেছে সে। তার মা তাকে সবসময় বলতো “আল্লাহ যা করেন সবসময় ভালো জন্যই করেন,যদি কখনো দুঃখ আসে তাহলে ভেঙে পড়ো না,কারণ আল্লাহ দুঃখ দেনই তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য”
ফারাহ ব্যাগ থেকে ফোন টা বের করে বাবাকে কল দিল,দুইবার রিং হওয়ার পর ওপাশ থেকেই প্রথমে বলে উঠলো,
“মামুণি কোথায় তুমি,এখনো আসছো না কেন,তোমার আম্মু যে তোমার জন্য রান্না করে কখন থেকে বসে আছে”
“আব্বু রহিম আংকেল এয়ারপোর্টে আসলে তো আমি বাসায় আসবো তাই না”
“কিহ সে এখনো যায় নি,নিশ্চিয় ভুলে গেছে,আজ হচ্ছে ওর,তুমি আর একটু অপেক্ষা করো আমি নিজেই আসছি”
“না না আব্বু দরকার নেই,ফাহিম ভাইয়ার সাথে আমার কথা হয়েছে, ও নাকি কাছাকাছি আছে,চলে আসবে এখনি,তুমি আম্মু কে বলো আমি আসছি কিছুক্ষণের মধ্যে”
“আচ্ছা ঠিক আছে”
ফারাহ ফোন টা ব্যাগে রেখে সামনের দিকে পা বাড়ালো,কিছুদূর যেতেই ফাহিম গাড়ি থেকে নেমে এসে ওর সামনে দাঁড়ালো, পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে তারপর বললো,
“কিরে পাগলের ডাক্তার, তোর মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি,পাঁচ বছর লন্ডনে করলি কি”
“ভাইয়া এভাবে বলিস কেন,পাগলের ডাক্তার কি আবার,আমি একজন সাইকোলজিস্ট,সম্মান দিয়ে কথা বলো বুঝলা”
“হ্যা ওই একই কথা তোর কি এতোদিন আমাদের কথা মনে পড়লো না,এতোটা পাথর হৃদয় হলো কি করে তোর”
“পরিস্থিতিটাই এমন ছিল ভাইয়া আমাকে তো পাথর হতেই হতো,যাই হোক এখন চল না আম্মু নাকি আমার জন্য রান্না করে বসে আছে,আমি খাবো”
“শুধু রান্না করে রাখেনি,রাজপুত্র ও ঠিক করে রেখেছে”
“জি না, আগে ভাবি,তারপর রাজপুত্র”
“হাহ যাক তুই তাহলে বুঝলি যে আমার বিয়ের বয়স হয়েছে,বাসায় কেউ পাত্তায় দেয় না আমাকে,একজন প্রতিষ্ঠিত ছেলে বিয়ের বয়স হয়েছে কিন্তু বিয়ে দেয় না তাকে”
“আল্লাহ ভাইয়া এ কথা আজই আমি আব্বু আম্মু কে বলবো,কাজল আপুর কথা”
“হ্যা বলিস,এই দাড়া তুই কি বললি কাজল আপু মানে,তু তুই জানলি কিভাবে চিনলি কিভাবে”
“পরে বলবো এখন চল”
“আরে আরে”
“চল চল পরে রাতে আড্ডা দিব নে”
দুই ভাইবোন বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলো,মতিঝিল এ ওদের বাসা,ফারাহ চৌধুরী ও ফাহিম চৌধুরী লতিফ চৌধুরী ও তার স্ত্রী মিনারা চৌধুরীর একমাত্র ছেলেমেয়ে।হাসিখুশি একটি পরিবার তাদের, লতিফ চৌধুরী একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জবের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন,তারপর মিনারা বেগমের সাথে বিয়ে হয়,ফাহিম হওয়ার আগে তারা চট্টগ্রাম ছিল,ছেলের পড়াশোনার জন্য তারা ঢাকা চলে আসে,এখানে এসে লতিফ চৌধুরী একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেন,এখন এই ব্যবসা অনেক ভালো পজিশনে আছে।এই স্থানে আসার পথে লতিফ চৌধুরী অনেকবার মুখ থুবড়ে পড়ে গেলও তার পাশে সবসময় মিনারা বেগম ছায়ার মতো ছিল,সবসময় তাকে উৎসাহ দিত, শুধু লতিফ চৌধুরী নন তার ছেলেমেয়েরা ও মাকেই তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে রাখেন।
বাসায় আসার পর ফারাহ বাবা মার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে নিজের রুমে গেল। রুমটি এখনো আগের মতোই আছে,যেমনটি সে পাঁচ বছর আগে রেখে গিয়েছিল ঠিক তেমনটিই আছে,ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো,তারপর খাবার খেতে গেল,বহুবছর পর মার হাতের রান্না পেয়ে পেট ভরে খেলো,রুমে এসে বিছানায় শুতে না শুতেই ফাহিম এসে বিছানার সামনে চেয়ারে বসে পড়লো,আর বললো
“বল এখন”
“কি বলবো ভাইয়া,যা না এখন বেশি খেয়ে ফেলেছি ঘুমায় আজকে কাল কথা হবে”
“নাহ বল তুই কাজল চিনিস কিভাবে”
“আহা আমি দেশে ছিলাম বলে কি আমি কোনো খবর জানি না বলে তুই মনে করিস আমার কাছে সব খবর যেত”
ফাহিম চোখ ছোট করে তাকালো ফারাহর দিকে,সে বুঝতে পারল এভাবে তাকানোর কারণ,তাই সে দেরি না করে আবার বলতে শুরু করলো
“আনিকা বলেছে আমাকে তুই নাকি কাজল নামে একজনের সাথে অনেক দিন ধরে কথা বলিস, একদিন নাকি রেস্টুরেন্টে ও দেখেছে”
“তোর এই বান্ধবী গুলা আর সভ্য হলো না,আমি কার সাথে কোথায় যায় এগুলাও ওদের দেখতে হবে”
“যা এখন তোর কাজলের সাথে গিয়ে কথা বল আমাকে ঘুমাতে দে”
“মাত্র আট টা বাজে এখন ঘুমালে তো আবার তিনটায় উঠে বসে থাকবি”
“সে পরে দেখা যাবে,তখন আমি তোকে গিয়ে জ্বালাবো”
“এহহ একদম এসব বুদ্ধি মাথাও আনবে না,যাচ্ছি আমি”
ফারাহ চোখ বন্ধ করতে না করতেই রাজ্যের ঘুম চলে আসলো।সে ঘুম গিয়ে ভেঙে গেল ভোর চার টার দিকে,তাও ঘুমটা ভাঙলো কারো কথার আওয়াজে। সচারাচর ফ্ল্যাটে বাসায় এরকম এক বাসার মানুষের কথা অন্য বাসায় শোনা যায় না তবে এখন হয়তো সব চুপচাপ দেখে শোনা যাচ্ছে, আর এমন সময় কেউ এতটা জোরে কথাও বলে না,ফারাহ বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলো,দেখলো তার বারান্দার পাশের ফ্ল্যাট একজন ছেলে ফোনে কারো ঝগড়া করছে বলেই মনে হচ্ছে, পরনে চকলেট কালার টিশার্ট, সাদা ট্রাউজার, চোখ বন্ধ করে দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে কথা বলছে।গরমের হালকা ভাব আসলেও পুরোপুরি গরম এখনি আসেনি,কিন্তু ছেলেটির ফর্সা মুখটি দেখে মনে হচ্ছে গরমে রাগে লাল হয়ে আছে। ছেলেটি চোখ খুলে কথা বলতে বলতে যখন জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকালো,তখন ফারাহ কে এভাবে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে পর্দা টা টেনে দিল।এভাবে পর্দা টা টেনে দেয়াই ফারাহ বেশ অপমান লাগলো,নিজের প্রতি রাগ ও হলো সে কেন এভাবে ছেলেটির দিকে ছিল।বারান্দায় আর থাকলো না রুমে চলে আসলো। নিজের পরিচিত জিনিস গুলো দেখতে লাগলো।চোখ গেল তার প্রিয় ডাইরি টার দিকে,যেটা তে সে তার সুখ দুঃখের কথা লিখে রাখতো।ডাইরি হাতে নিতে ইচ্ছে করলো,কিন্তু খুলে দেখতে সাহস হচ্ছিল না,কারণ সে অতীতের স্মৃতি টাকে মনে করতে চায় না,তাও খুলেই ফেললো প্রথম পেইজ রঙ বেরঙের কলম দিয়ে সুন্দর করে লিখা,জীবনের কিছু প্রিয় মুহূর্ত, চাই না ভুলতে কখনো,যদি কখনো ভুলে যায় তাহলে যেন ডাইরিটি পড়ে আবার মনে করতে পারি তার জন্যই এ লিখা,
বড় করে লিখাছিল,”ভবিষ্যতের অবলম্বন”
পড়তে ইচ্ছে করলো না ফারাহ,চায় সে মনে করতে পাঁচ বছর আগে তার জীবনটা কেমন ছিল,এখন সে বেশি ভালো আছে,এ ডাইরি টা রাখতে চায় সে নিজের কাছে সকালেই এটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে।
সকালে…………..
#চলবে
#প্রিয়_হতে_প্রিয়তর
#পর্বঃ০২
#লেখিকাঃতাসনিম
“আম্মু তুমি যে আমাকে রান্না গুলো শিখিয়ে ছিলে আমি কিন্তু ওইগুলো লন্ডনে গিয়ে রান্না করেছিলাম, তোমার তো ভালো না হলেও খারাপ হয় নি”
“রান্না করতে করতেই ভালো হবে মা,মানুষ পারে না এমন কিছু আছে,যত চেষ্টা করবে তত ভালো করে পারবে,এখন যাও দেখো ফাহিম ঘুম থেকে উঠেছে কিনা”
ফারাহ আম্মুর কথা মতো ভাইয়ের রুমের দিকে গেল, দেখলো সে এখনো ঘুমে,অনেক দুষ্টামি করা হয় না,তাই সে দৌড়ে নিজের রুমে গেল মেকআপের কিছু জিনিস নিয়ে আসলো,ভাইয়ের বিছানায় বসে তাকে সাজাতে শুরু করল, ছোটবেলায় ও তার এ স্বভাব ছিল,কতদিন দুই ভাইবোন মারামারি করেছে তার এ দুষ্টামির জন্য। সাজানো শেষ হলে ফারাহ তার একটি ছবি তুলে নিল ফোনে।তখনই মিনারা বেগম দুজনকে ডাকতে আসলো,মাকে দেখে ফারাহ হাত থেকে মেকআপ প্রডাক্ট গুলো পড়ে গেল,শব্দে ফাহিমের ঘুম ভেঙে গেল, সে উঠে বসলো।
“কিরে তুই আমার রুমে কি করিস আর তোর হাতে এইগুলা কেন”
“ফারাহ তুমি এমন কেন করেছো”
“আম্মু আমার মুখটা চুলকাচ্ছে কেন,এই তুই কি করেছিস”
ফাহিম গালে হাত দিয়ে দেখলো পাউডার পাউডার লাগছে তারপর ফোনের স্ক্রিন ওন করে দেখলো তার চেহারা,ততক্ষণে ফারাহ উধাও মিনারা বেগম ফাহিম কে বললো
“যাও মুখ ধুয়ে আসো মেয়ে টা এতোদিন পরে লন্ডন থেকে এসেছে ও যে আগের মতো নরমাল হয়ে গেছে এটাই অনেক, আমরা তো চাই ও এরকম চটপটে থাকুক সবসময়”
“কিন্তু আম্মু তাই বলে আমার সাথে”
“কথা বাড়িয়ে লাভ নেই যাও অফিস যেতে হবে না”
মিনারা বেগম ছেলের রুম থেকে এসে দেখলেন বাবা মেয়ে কি নিয়ে যেন আস্তে আস্তে কথা বলছে,মাকে দেখে বাবার পিছনে লুকিয়ে পড়লো ফারাহ।
“আজ ছোট ফুপ্পি আসবে,নীলের সাথে এমন দুষ্টুমি করে বসো না”
“ফুপ্পি আসলেই তো হয় সাথে ওটা কে আনার কি দরকার তাই না আব্বু”
“আসলে মামুণি হয়েছে কি তুমি তো এখন বড় হয়েছো,নীল বড় হয়েছে আগের মতো আর কেউ নেই”
“খেতে বসো সবাই খাওয়া শেষে ফারাহ আমার সাথে আসবে”
ফারাহ আর কিছু বললো না, খাওয়া শেষে মার সাথে তার রুমে গেল। মিনারা বেগম একটা নতুন মেরুন রঙের জামা দিলেন,আর বললেন
“তুমি বড় হয়েছো অনেক কিছু বুঝো মেয়েরা বড় হলে বাবা মার উপর দায়িত্ব পরে তাদের বিয়ে দেয়ার,আমাদের ও একই দায়িত্ব, তোমার ফুপ্পি চাই যেন নীলের সাথে তোমার কাবিন টা হয়ে যায়”
“আম্মু আমি নীলকে বিয়ে করবো না ওকে আমি আমার ভাই বাদে আর কিছুই ভাবি না আর ভাই বোনের কীভাবে বিয়ে হতে পারে”
“হতে পারে বলেই নিশ্চয় আমি এগিয়েছি,তোমার পছন্দের উপর তো একবার আমরা ভরসা করেছিলাম কোনো লাভ কি হয়েছে, হয়নি উল্টো তোমাকে হারাতে বসেছিলাম,যাই হোক পুরোনো কথা ভাবতে চায় না,তোমাকে আমরা একবার সুযোগ দিয়েছিলাম,এবার তুমি আমাদের একবার সুযোগ দিয়ে দেখো”
ফারাহ কিছু বললো না, চলে আসলো রুমে দরজা টা বন্ধ করে দিল, বিছানার পাশে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো।না চাইতেও চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো।জীবনে একবার একজনকে ভালোবাসে সে এখন এতো অসহায়, কোনোকিছু বলার নেই তার মা তো ঠিকই বলেছে। টি টেবিল থেকে ডাইরিটা আবার হাতে নিল,দেখতে লাগলো
সময়টা ২০১৭ সাল জুন মাস,
এসএসসি রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পর যে যার পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে শুরু করল।
ফারাহ তার প্রিয় কলেজ রাজউক এ ভর্তি হলো,প্রথম দিন কলেজে গিয়ে বেশ ভালোই লাগলো,সবার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল তার,ভীষণ চটপটে মিশুক স্বভাবের মেয়ে ফারাহ।
কিছুদিন যাওয়ার পর একজন সিনিয়র ভাইয়াকে ফারাহ ভিষণ ভালো লাগলো, চুপিচুপি তাকে দেখতো সে প্রতিদিন,একদিন তাকে দেখতে দেখতে কখন যে সে তার সামনে এসে দাড়িয়ে পড়েছে ফারাহ খেয়ালই করেনি।
“কি সমস্যা আপনি আমাকে এভাবে দেখেন কেন প্রতিদিন”
“আমি কোথায় আপনাকে দেখি আমি কেন আপনাকে দেখতে যাবো কি কি বলছেন”
“তোলাচ্ছেন কেন তাহলে”
“নাহ মানে আপনি অনেক কিউট”
“আল্লাহ তাই নাকি”
“জি তাই”
“বাহ ভালোই”
“আমি ফারাহ”
“শাহিন, এভাবে কারো দিকে তাকিয়ে থাকতে নেই লোকে খারাপ বলবে”
“আপনি খারাপ না ভাবলেই হবে”
“বাচ্চা, যাও ক্লাসে যাও”
শাহিন তার ক্লাসের দিকে চলে গেল, ফারাহ দাঁড়িয়ে তার যাওয়া দেখতে লাগলো।মাঝেমাঝে এমন টুকটাক কথা হতো তাদের।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন এক সপ্তাহের ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু হলো,ফারাহ রোজ ডে তে শাহিনের জন্য একটা গোলাপ নিয়ে আসলো কলেজে,
কলেজে আসতেই শাহিনের সাথে দেখা হলো,ওর দিকে গোলাপ টা এগিয়ে দিল।শাহিন একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে ওর হাত থেকে গোলাপ নিল।
“বাচ্চা মানুষ আবার এসব রোজ ডে ও বোঝে”
“একদম বাচ্চা বলবেন না,আমি সব বুঝি”
শাহিন কিছু বললো না, নিজের ক্লাসের দিকে চলে গেল। এভাবে দিন যেতে যেতে ভালোবাসার দিবসটি চলে আসলো।ফারাহ আর অপেক্ষা করতে পারলো না,শাহিন কে গিয়ে রিলেশনের জন্য প্রপোজাল দিয়ে দিল।শাহিন কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর বললো
“এটা অনেক বড় একটা ডিসিশন এভাবে হুট করে নেয়া যায় না,আর তুমি অনেক ছোট এখন”
“কিন্তু আমি তো আপনাকে ভালোবাসি”
“মানে বুঝো তুমি ভালোবাসার,বয়স কত তোমার,যে বয়সে তোমার পড়ালেখা করার কথা সে বয়সে তুমি এসব করছো”
“আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমি অন্য কিছু শুনতে চায় না,আপনি আমাকে যায় বলুন কেন,এসব আমি কিছু শুনবো না”
শাহিন কিছু বললো না কলেজ থেকে বেরিয়ে গেল।ফারাহ তাও আশা নিয়ে থাকলো শাহিন একদিন তাকে ভালোবাসবেই,সে শাহিন কে ছাড়বে না,তার পিছনে লেগেই থাকবে,শাহিন ফারাহর না হলে আর কারো হবে নাহ।
শাহিনদের টেস্ট এক্সামের পর আর সে কলেজে আসেনি,তাকে দেখতে না পেয়ে ফারাহ তার বাসার খোঁজ শুরু করল, পেয়েও গেল বাসার সামনে গিয়ে শাহিনকে কল দিল।
“একটু নিচে আসবেন”
“কিহ নিচে কেন আসবো কি হয়েছে ”
“আমি নিচে দাঁড়িয়ে আছি আপনাকে একটু দেখবো আসুন না প্লিজ একবার দেখেই চলে যাবো”
“এখন আসতে পারবো না ব্যস্ত আছি”
“তাহলে কখন আসবো আমি বলুন কখন আসলে নিচে নামতে পারবেন বলুন আমি তখনই আসবো”
শাহিন চুপ হয়ে গেল, ছোট্ট একটা মেয়ে কিনা বলছে ওকে দেখার জন্য সে আবার আসবে যখন আমি আসতে বলবো তখনই আসবে,সে কিছু না বলে কল টা কেটে দিল, জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো দেখলো ফারাহ নিচে দাঁড়িয়ে ফোন কানে লাগিয়ে রেখেছে সাথে সাথে আবার কল চলে এলো ওর ফোনে। ওকে বাসায় যেতে বলে ফোন টা অফ করে দিল শাহিন।
কিছুদিন পর………
#চলবে